উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ৩৯
জলপাই রঙের ভারী কাজের বেনারসিতে বেশ অস্বস্তিবোধ হচ্ছে মিতুর। শাড়িটা গ্রামীণ বধূদের ন্যায় পরানো হলেও অতিরিক্ত ভারী হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে চলাচলে বেশ বাঁধা। বাকী মডেলদের বিশাল এক রুম শেয়ার করে থাকতে হলেও মিতুকে থাকার জন্য আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে। যদিও সেটা আয়তনে অন্যান্য রুমের তুলনায় মাঝারি। যারা ফ্যাশন হাউজে থাকে, তাদের প্রত্যেকেই অন্যান্য জেলা থেকে আসা। আর যাদের বাড়ি শহরেই বা আশেপাশে, তারা শ্যুট শেষে বাড়ি ফিরে যায়। ছয় তলা বিল্ডিংটির প্রথম তিনতলা জুড়ে অফিসিয়াল কাজকর্ম চলে। আর চার তলায় মডেলদের থাকার ব্যবস্থা করা। পাঁচ, ছয় তলার রুমগুলোয় ও ছাদে বড়ো আকারের তালা ঝোলানো। সচরাচর কেউ যায়না সেখানে। মিতুর সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এই কয়দিনে। ভালো সম্পর্ক বলতে উভয়ের মধ্যে মাঝেসাঝে কথাবার্তা চলে এই আরকি। বাকীরা মিতুকে এড়িয়ে চলে। মিতু তা বোঝে বিধায় এড়িয়ে চলা মেয়েদের সেও এড়িয়ে চলে। রাইমার সঙ্গে তুলনামূলক বেশি কথা হয় মিতুর। রাইমা তার প্রথম দিনের ব্যবহার নিয়ে এ পর্যায়ে কতবার যে মিতুর নিকট ক্ষমা চেয়েছে, তার হিসাব অগণিত। রাইমা মিতুকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করে। মিতুর ভুল ধরিয়ে নম্রভাবে বুঝিয়ে দেয়। মিতু বাধ্যের ন্যায় ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করে। আজ রাইমার শ্যুট নেই। জরুরি কাজ থাকায় আজ আসতে পারবে না বলেছিল।
এখানে আসা অবধি এসির ঠাণ্ডায় নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ভীষণ ঝঞ্ঝাটপূর্ণ ছিল মিতুর নিকট। তবে আজ এসির ঠাণ্ডাটাও মিতুর সরু ঘামের স্রোত থামাতে অক্ষম যেন। মেক-আপ শেষে ভারী-ভারী গহনায় শরীর মুড়িয়ে দেওয়া হলো মিতুর। যা অস্বস্তির পাল্লা আরও কয়েক দফা শক্তিশালী করে তুলল। কপাল জুড়ে কুমকুমের নিদারুণ নকশা, গন্ধরাজের দখলে কুচকুচে কালো খোপা, বাহারি সাজের সমন্বয়ে হয়ে উঠল মিতু গ্রামবাংলার কোন এক জমিদারদের বউ।
যারা মিতুকে এড়িয়ে চলে, তারা আড়চোখে মিতুকে দেখে চলেছে সুযোগ বুঝে। উপচে পড়া হিংসে তাদের নাকের ডগায় ঝুলে রয়েছে। মিতু আয়নায় নিজেকে দেখছে বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ। কখনো সাজসজ্জার প্রতি তার আকর্ষণ ছিল না। জীবনে একবার মুখ ফুটে নয়নাকে বলেছিল সাজিয়ে দেওয়ার জন্য। ইচ্ছেটা পূর্ণতা পায়নি তার। বিয়ের দিন সেজেছিল বটে, তবে তারপর কখনো সাজা হয়নি আর। এখানে না আসলে হয়তো কখনো নিজেকে নিখুঁতভাবে খুটিয়ে দেখা হতো না। প্রতিদিন নতুনভাবে চিনছে সে নিজেকে। তবে তার অনূভুতি নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ বলার কারণ, সে জানে না তার রুপ নিয়ে সে খুশি হবে নাকি ব্যাজার। অনিক সরকার প্রতিটি মডেলকে গাইড করে। সে যতক্ষণ না পার্ফেক্ট বলবে, ততক্ষণ মডেলদের কেউই নিজেদের মধ্যে আস্থা স্থাপন করতে পারে না। কিছুক্ষণের মধ্যে শো শুরু হবে। অনিক পর্যায়ক্রমে সকলের নামের তালিকা করে ফেলেছে। হাতে সেই তালিকার কাগজ নিয়ে মেক-আপ রুমে আসল অনিক। তাগাদার সুরে বলল, ‘সবাই রেডি তো?’
মিতু ব্যতীত সবাই সমস্বরে চিত্কার করে বলল,
‘রেডি ভাইয়া।’
অনিক সকলকে পর্যায়ক্রম বুঝিয়ে মিতুর নিকট আসল। মিতুর দিকে জহুরি নজরে তাকিয়ে সে বলল, ‘আজকের মেইন আকর্ষণ কিন্তু তুমি। তাই তুমি সবার শেষে যাবে। কিন্তু মনে রেখো, কোনরূপ ভয় বা নার্ভাস হওয়া চলবে না।’
মিতু ছোট করে বলল, ‘জ্বি ভাইয়া।’
২০ জন মডেলের সমন্বয়ে আজকের বিকেলের ‘বাঙালিয়ানা’ মঞ্চ অনুষ্ঠান শুরুর তলব শোনা গেল। মিতুর বুক কেঁপে কেঁপে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে। শিরদাঁড়া বেয়ে সরু ঘামের রেখা বেয়ে যাচ্ছে। মেরুদণ্ড সোজা করে বসা মাত্র পেছনে কারো আলতো হাতের স্পর্শের আভাস পেল। মাথা ঘোরালে নাবিলার হাস্যজ্বল মুখটা নজর বন্দী করে। মিতু নাবিলার একহাত শক্ত করে দুহাত দ্বারা চেপে ধরল। মিতুর শরীরের কাঁপুনির জোরে নাবিলার দেহ কিঞ্চিৎ ঝাঁকি খাচ্ছে। নাবিলা একটা চেয়ার টেনে মিতুর পাশে বসে মিতুর কাঁপা হাত ঠেসে ধরে শীতল কণ্ঠে বলল, ‘আজকে আমি বকাঝকা করতে আসিনি কিন্তু, আমাকে রাগিও না আনকালচারড মেয়ে।’
মিতু হঠাৎ হেসে উঠে আবারও মুখ মলিন করে নেয়। নিচু কন্ঠে বলে, ‘আমার ভয় লাগছে ম্যাম।’
‘ভয়! লাগারই কথা। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষেরই লাগে। আমারও লেগেছিল। আমি ভয়কে জয় করেছি বলেই আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছি।’
‘কিন্তু ম্যাম আমি,,’
মিতুর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নাবিলা বলল,
‘কিন্তু তুমি কখনো র্যাম্প শো করোনি, জানি তো আমি। তবে আমি যেভাবে, যা শিখিয়েছি, এর বাহিরে তো কিছু করতে হবে না তোমাকে। এমন যদি হতো, কোন চর্চা ছাড়াই নিজ থেকে তোমাকে কেউ কিছু করতে বলেছে-তখন গিয়ে তুমি ভয় পেলে বা ঘাবড়ে গেলে সাজতো৷ আমি তো বলেছি এই-এই করতে হবে, তাহলে সমস্যা কোথায়?’
মিতু নিশ্চুপ। নাবিলা বলল, ‘চলো আরেকবার চর্চা করে নেওয়া যাক। তাহলে মনের ভয় একটু হলেও পালাবে।’
মিতু বাধ্যের ন্যায় মাথা নাড়ে। তখন রাইমা এসে বলল, ‘আমিও হাঁটি চলো তোমাদের সঙ্গে।’
মিতু রাইমাকে দেখে ঠোঁটের আলিজে হাসি ফুটিয়ে বলল, ‘তুমি না আজ আসতে পারবে না বলেছিলে?’
রাইমা এগিয়ে যেতে যেতে বলল, ‘আমার বন্ধুর প্রথম শো, আর আমি আসবো না? আজ আমিও একজন দর্শক হবো বুঝেছো? এই সুযোগ কি সবসময় আসে? আসে নাতো।’
নাবিলা বলল, ‘ভালো করেছো, চলো এবার প্র্যাক্টিস করা যাক।’
নাবিলা ও রাইমার সহযোগিতায় অঢেল সাহস জুগিয়ে নেয় মিতু। সেই সাথে তার ঠোঁটে দোল খায় আত্মতুষ্টির বিস্তৃত হাসি।
_____
‘হাজার ও পাঁচশত টাকার নোট নতুন রূপে আবিষ্কার- আপনার চমৎকার পন্থাটি সরকার কর্তৃক অনুমোদন পেয়েছে মিস্টার কাব্য। ভাবনাটা মাথায় আসলো কিভাবে বলুনতো?’ ইজি চেয়ারে বেশ আয়েসি ভঙ্গিতে দোল খেতে খেতে ইমদাদ হোসেন কাব্যর দিকে প্রশ্নটি ছুড়ে দিল।
কাব্য মুচকি হেসে বলল, ‘আসলো হঠাৎ করেই৷ এর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সত্যিই অবগত নই। তবে কালো ব্যবসায়ীদের মাত দেওয়ার জন্য এই উপায়টিই অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে মনে হলো। এবার এক তীরে সকলেই কুপোকাত হবে বলে আশা রাখা যায়। এবারটা যদি তাদের মজবুত শেকড় ধ্বংস হয়।’
‘একদম। আপনার এই তুখোড় বুদ্ধিমত্তার জন্যই আপনাকে আমি এত বিশ্বাস করি। গড ব্লেস মিস্টার কাব্য।’
কাব্য উৎকন্ঠিত হয়ে বলল, ‘আমি তো অপেক্ষায় আছি সেই সময়ের, যখন কালো ব্যবসায়ীরা নতুন মুদ্রা প্রচলনের খবরটি জানতে পারবে। তখন তাদের মুখের রঙ, আকৃতি দেখার মতো হবে। কি বলেন স্যার?’
‘আসলেই!’
‘তাহলে কবে ঘোষণা দেবেন সরকার?’
ইমদাদ বলল, ‘আগামীকাল মন্ত্রী সভায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। তারিখ অথবা নির্ধারিত সময় তখনই জানতে পারবে পুরো দেশ। তবে ক্রেডিট থাকবে আপনার। রাতারাতি ছড়িয়ে যাবে আপনার নাম। সেই সাথে আমাদের চ্যানেলের নামডাক বিশ্ব ছাড়াবে।’
কাব্যর নৈরাশ্যের বাক্যবাণ, ‘আমি ক্রেডিট পেতে কিছু করছি না বা ভাইরাল হওয়ারও কোন উদ্দেশ্য নেই। যা করেছি, আমার আব্বুর দেখানো পথ ধরেই করেছি৷ সন্ত্রাস, শিষ্টাচার, ধর্ষণ, দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়াই আমার আসল উদ্দেশ্য, জয়জয়কার পাওয়া নয়।’
_____
হাজারো দর্শকের তালিকায় রাত্রিও শামিল। অনুষ্ঠান প্রায় শেষের পর্যায়ে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিক দিয়ে যতটা আগ্রহ রাত্রির মাঝে ছিল, তার এক তৃতীয়াংশও বোধয় বর্তমানে বিদ্যমান নেই। বেশ কয়েকবার চলে যাবে-যাবে করেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি তার। একে একে উনিশ জনের র্যাম্প ওয়াক শেষে মিতুর চরণ স্টেজে পড়ে। ঝলমলে আলোকসজ্জা, যতখানি চোখ যায় শত-সহস্র মাথা, অতিমাত্রায় শোরগোল ইত্যাদি মিলিয়ে ঘাবড়াতে বাধ্য হলো মিতু। হাঁটু কাঁপছে ভয়ানক ভাবে৷ ধীরে ধীরে পায়ে জোর কমে আসছিল। চোখের পাপড়ি ঘনঘন লাফাচ্ছিল। সব মিলিয়ে দমবন্ধকর এক অবস্থা তৈরি হলো। মিতু চোখ ঠেসে বন্ধ করতেই মায়ার ক্রন্দনরত মুখটি ভেসে ওঠে। আর কানে বাজে, ‘আমারে এইহান থেইক্যা নিয়া যাও আম্মু। আমি তোমার ধারে যামু। আমার ডর লাগে আম্মু।’
সহসাই চোখ খুলে ফেলল মিতু। সে নিজের সঙ্গে এক প্রকার তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে চালিয়ে বুকে সাহস জুগিয়ে হেঁটে দেখালো বাকী মেয়েদের মতো। অন্যদিকে দু দন্ডের জন্য হলেও চোখের পলক ফেলছে না রাত্রি। চোখ বলছে এক, মন বলছে আরেক-এই দুই স্বত্বাধিকারের গোলক ধাঁধাঁয় পাকাপোক্ত ভাবে ফেঁসে গিয়ে উদ্ভট অনূভুতিটা অবিরত খেলা করে চলেছে রাত্রির স্নায়ুকোষ জুড়ে। রাত্রি ফোন হাতে ভিডিও করল ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের। এর বেশি পারেনি কারণ ততক্ষণে মিতুসহ সকল মডেল মঞ্চ ছেড়ে দিয়েছিল।
রাত্রি ভীড় ভেঙে মেক-আপ রুমের সন্ধানে বের হলো। সে জানে; এখন মডেলদের সমাবেশ মেক-আপ রুম ছাড়া অন্য কোথাও নয়। একে- তাকে জিজ্ঞাসা করে মেক-আপ রুম অবধি পৌঁছাতে সক্ষম হয় রাত্রি। দূরের এক কোণায় দুজন একে অপরের সঙ্গে কথা বলে চলেছে। তাদের মুখেচোখে হাসির বিচরণ করছে। রাত্রি তাদের দিকে এগিয়ে যেতেই লুৎফর সামনে এসে প্রকট হলো। রাত্রির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে বলল, ‘এখানে ঢোকার অনুমতি নেই বাহিরের কারোর। চলে যান।’
রাত্রির উৎকন্ঠা, ‘শেষে যেই মেয়েটা স্টেজে এসেছিল, তার নাম কি?’
লুৎফর আগের অবস্থা ধরে রেখে জবাবে বলল,
‘মৌ।’
‘মৌ?’
‘হ্যাঁ মৌ। এবার আসুন।’
‘আপনি মিথ্যে বলছেন তাইনা? মেয়েটির নাম মৌ নয়, মিতু।’
লুৎফর রেগে বললেন, ‘কে মিতু? যা-তা! সিনক্রিয়েট না করে বেরিয়ে যান।’
রাত্রি তার আইডি কার্ড বাড়িতে রেখে এসেছে বিধায় কথা না বাড়িয়ে চলে আসল। লুৎফর ছুটে গেল ব্যাপারটা বাদশার কানে তুলতে।
_____
হন্নে ছুটে এলো লুৎফর। তাকে বিচলিত, উদ্বিগ্ন দেখে বাদশার কপালে কটা চিন্তার রেখা ফুটে।
‘এভাবে ছুটে আসার কারণ?’
লুৎফর হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, ‘ওইযে কাব্য সাংবাদিক আছে না মিতুর প্রেমিক, তার সহকর্মী মেয়েটাকে দেখলাম। মিতু অবধি পৌঁছেও গিয়েছিল, কিন্তু ঠিক সময় আমি হ্যান্ডেল করে নেই।’
বাদশা কন্ঠ স্বাভাবিক রেখে বললেন,
‘তো কি হয়েছে? সে না আসলেও খবরের কাগজের মাধ্যমে ঠিকই মিতুর বিষয় টা লিক হয়ে যেত কোন এক ভাবে। তাছাড়া আমাদের অনুষ্ঠান তো টিভিতে লাইভ দেখানো হয়।’
‘সেই কাব্য যদি ঝামেলা করে বস?’
‘লুফুরে, তুই বড্ড বোকা কিছামের লোক। আরে মিতু তো নাবালিকা নয়। ১৮+ তার। সে যদি বলে তার নিজের মর্জিতে এসব করছে, তাহলে দুনিয়া ধ্বসে গেলেও আমার একটা চুলও বাঁকা হবে না। এছাড়াও, মিতুর মেয়ে যতক্ষণ আমার কব্জায়, ততক্ষণ ও আমার হাতের কাঠ-পুতুল। যেভাবে নাচাবো ওইভাবেই নাচবে।’ কথা শেষে হাসির ঝড় বইয়ে দিল বাদশা। শামিল হলো লুৎফরও।
_____
রাত্রি সুযোগের অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে এলোমেলো চঞ্চল পায়ে এদিকসেদিক হেঁটে চলেছে। কাব্যর ফোন বন্ধ আসছে। বিরক্তি তার সীমা ছাড়িয়ে যখন বহুদূরে, তখন রাত্রির নজর কাড়ে তার দিকে হেঁটে আসা মেয়েটি। রাত্রি এগিয়ে তার পথ আটকে শুধায়, ‘আপনার নাম মডেল রাইমা তাইনা?’
রাইমা বলল, ‘হ্যাঁ বলুন।’
‘একটা হেল্প দরকার ছিল ম্যাম।’
রাইমা তাড়াসমেত বলল, ‘সময় নেই ফাস্ট।’
‘আপনার সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল তার নাম কি মিতু? ওইযে শেষে যিনি র্যাম্প ওয়াক করলেন।’
রাইমা ভ্রুযুগল কুচকে নিয়ে বলল, ‘ইয়েস, বাট হোয়ায়?’
এতক্ষণে রাত্রির মাথার সমস্ত জট কাটল। তিনি বললেন,
‘কিছু না, নতুন দেখলাম তো তাই। আপনার শ্যুট ছিল না আজ?’
‘না, আর কিছু?’
‘নো ম্যাম, ইউ ক্যান গো নাও। থ্যাংকস।’
রাইমা কাউকে কল দিয়ে কথা বলতে বলতে চলে গেলে রাত্রিও তার গাড়িতে গিয়ে চড়ল।
চলবে ইনশাআল্লাহ….