গোধূলিলগ্ন ২৪

0
394

উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ২৪

নুরুল গতকাল থেকে বাড়িতে নেই। কোথায় আছে না আছে মিতু তা জানে না। নুরুল এরকম অনেকবার করেছে। মদ-জুয়া খেলতে এতটাই মগ্ন হয়ে যায় যে বাড়ির কথা ভুলেই যায়। নেশা কেটে গেলে রাত পেরিয়ে একেবারে সকালের দিকে বাড়ি ফেরে। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নুরুল বাড়িতে এসেই মিতুকে গলা ছেড়ে ডাকতে লাগে,
‘ওই মিতু? কিরে কোথায় তুই? সামনে আয়।’

মিতু হাতের কাজ ফেলে চরম বিরক্তি নিয়ে যায়।তিরিক্ষি মেজাজে বলে, ‘কি কইবেন, তাড়াতাড়ি কন। আমার মেলা কাজ পইড়া আছে।’

নুরুল মিতুর দিকে দু কদম এগিয়ে গিয়ে সপাটে এক চড় বসিয়ে দিল মিতুর গালে। মিতু বুঝতে পারেনি এমন কিছু হবে বলে। ওইভাবেই গালে হাত রেখে নুরুলের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেলে চেয়ে রইল। তা দেখে নুরুল চেঁচিয়ে বলল,
‘চোখ নামা বলছি। আমার কথা শোনার থেকে তোর কাজ বড়ো হয়ে গেল নাকি? আবার চোখ রাঙিয়ে তাকানো!’

মিতু কিড়মিড় করে বলল, ‘আপনি কি আর কইবেন? টাকা চাওয়া ছাড়া আর কি কওনের আছে আপনার?’

‘বুঝতে পেরেছিস যখন টাকা দিয়ে দে,আমি চলে যাই।’

‘কিহের টাকা দিমু আমি? আপনি কি আমারে কামাই কইরা আইন্যা হাতে দিছেন যে হেই টাকা দিমু?’

নুরুলের মাথা এবার ভালো মতোই বিগড়ে গেল। তিনি রাগ সংযত করতে না পেরে মিতুর চুল টেনে ধরে মারতে শুরু করে। মায়া দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে ছুটে এসে কান্না করে দেয়। নুরুলকে পেছন থেকে কিল ঘুষি মারে যাতে মিতুকে ছেড়ে দেয়। একটা পর্যায়ে নুরুলের পায়ে মায়ার ধারালো দাঁত বসিয়ে দিতেই নুরুল ব্যথায় চিৎকার দিয়ে মিতুকে ছেড়ে দিল। হাটুতে ভর দিয়ে ধড়াম করে বসে পড়ল নুরুল। তারপর লুঙ্গি সামান্য উঁচু করে পা ভর্তি রক্ত দেখতে পেয়ে ভয়ে চোখ কপালে উঠে যায় তার। মায়া এক কামড়ে সামনের উপরের দুপাটি দাঁত ঢুকিয়ে দিয়েছে নুরুলের পায়ে। নুরুলের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মছিদা বেগম ও সেতু দৌঁড়ে আসলেন। ছেলের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে মছিদা বেগম হাউমাউ করে মরাকান্না জুড়ে দিলেন। সাথে বললেন,
‘কে কোথায় আছো গো? আমার নুরুলকে বাঁচাও। মেরে ফেলল আমার ছেলেকে।’
বলেই মছিদা তার আঁচল নুরুলের রক্ত পড়া স্থানে চেপে ধরলেন।

মায়া সেতুকে দেখামাত্র ভয়ে সেতুর পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পড়ল। সেতু মিতুর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে, ‘কি হইছেরে মিতু? মিঞা ভাইয়ের পাও দিয়া রক্ত পড়তাছে ক্যান? কেমনে হইল এইডা?’

মিতু কিছুই বলল না। বড়ো বড়ো চোখ করে চেয়ে রইল নুরুলের পায়ের দিকে।

নুরুল ব্যথাতুর কন্ঠে বলল, ‘মা ওই বিচ্ছু, বজ্জাত, কালি মেয়েটাকে আমার হাতের কাছে এনে দাও। ওর পেটে যা আছে পাড়া দিয়ে সব বের করে ফেলব। ওর মরার সময় চলে এসেছে। ওর কত বড়ো সাহস আমাকে কামড় দেয়!’

সেতু বুঝল নুরুল মায়াকে কেন্দ্র করে কথাটা বলেছে। বুঝে উঠে সেতু রক্তচক্ষু ধারণ করল। সেই রক্তচক্ষু নুরুলের দিকে নিক্ষেপ করে বলল,
‘ছি মিঞা ভাই! বাচ্চাগো কেউ এমনে কয়? আপনি তো মায়ার জন্মদাতা। বাপ হইয়া এরম সর্বনাশা কথা কেমনে কইতে পারলেন? মুহে আটকাইলো না?’

‘খবরদার! মুখ সামলে কথা বলবে৷ আমি এই মেয়ের বাবা না। এই মেয়ে যেন খুব শীঘ্রই মারা যায়, আজ সেই দোয়াই করলাম। আজ আমার রক্ত বের করেছে তাইনা! আমি ওর রক্ত চুষে খাওয়া না অবধি শান্তি পাব না,এই বলে রাখলাম।’ নুরুলের কথার সঙ্গে নাক মুখ দিয়ে অগ্নিপিণ্ড ছুটছে যেন।

‘আপনি বাপ না, তো কে ওর বাপ? কথাবার্তা ঠিক করেন মিঞা ভাই। এত নির্দয়,পাষাণ হইয়েন না। পাপ লাগবো পাপ।’ বলল সেতু।

‘লাগুক পাপ। আর কি ক্ষতি হওয়ার বাকী আছে আমার? কিছুই না। যা হওয়ার হোক। আমার কিছুই আসে যায়না। আমি বাড়ি এসে যদি এই কালো মেয়েটাকে চোখের সামনে দেখি, তাহলে সত্যি বলছি, নিজের হাতে গলা টিপে মেরে ফেলব ওকে। দরকার পড়লে মা মেয়ে দুজনকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলব।’

নুরুল কথা শেষে খোড়াতে খোড়াতে বাড়ির বাহিরে চলে গেলেন। মছিদা বেগম কত বললেন না যেতে। কিন্তু নুরুল মছিদার কোনো কথা কর্ণকুহরে প্রবেশ করালেন না।

তারপরই শোনা গেল মছিদার বাজখাঁই কন্ঠ,
‘কলিজা ঠান্ডা হয়েছে তো তোদের মা মেয়ের? মা মেয়ে মিলে আমার ছেলেটাকে মেরে শান্তি পেয়েছিস তো তোরা? কতখানি রক্ত বের হলো আমার নুরুলের পা থেকে! কি মারাত্মক মেয়েরে! বাপের জন্মেও এমন ডাকাত মেয়ে দেখিনি বাবাহ!’

সেতু মছিদার উদ্দেশ্যে বলল, ‘আপনি আর আপনার পোলারা তো অনেক ভালো। আপনাগো তো কোনো দোষই নাই। খালি কেউ প্রতিবাদ করলেই দোষ হইয়া যায়। আপনারা যহন আমাগো মারেন, তহন আমাগো তো অনেক মজা লাগে!’

মছিদা বেগমের নিকট সেতুর ব্যাঙ্গাত্মক কথাটা মোটেও পছন্দ হলো না। তিনি তুমুল রাগ নিয়ে তেড়ে গেলেন সেতুর দিকে। তারপর বললেন,
‘মুখে মুখে কথা তো ভালোই বলতে পারিস৷ যার মেয়ে সে উত্তর দেয়না, তুই দিস কেন? নিজের পেটের সন্তানের মুখ তো জীবনেও দেখতে পারবি না। বোনেরটা নিয়ে এত মাতামাতি করিস কেন? মার থেকে খালার দরদ কি বেশি উতলে উঠে নাকি?’

মছিদার কথা সরাসরি সেতুর বুকে গিয়ে আঘাত করে। কষ্টে সেতুর চোখের পানি চলে আসে। ফলে মছিদার বিপক্ষে আর রা করেনা। এতক্ষণ মিতু চুপ ছিল। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারল না।
মিতু বলল, ‘আপনাগো মতো বুবুও আমার মাইয়ারে দূর দূর কইরা তাড়ায় দিলে আপনাগো ভালো লাগতো? সবাই মিল্যা আমার মাইয়ারে মারতে পারলে পরাণখান জুড়াইতো আপনাগো।বুবু আমার মাইয়ারে মার লাগান ভালবাসে দেইখ্যা আপনার জ্বলে, তাইনা আম্মা? আমি ঠিক কইতাছি তো?’

মছিদা বেগম মুখ বাকিয়ে বললেন,
‘দিয়েছিস তো মেয়ের জন্ম। তাকে নিয়ে কেউ আহ্লাদে আটখানা হবে না। কারো সেই সময় নেই যে মেয়ে নিয়ে গদগদ করবে। তাও আবার এমন পাতিলের মতো কালো মেয়েকে নিয়ে। আমার নুরুলের বয়স হয়েছে। ওর একটা ছেলে থাকলে ভিটে মাটি দেখে রাখতো নাহয়৷ কিন্তু তা হলো কোথায়? আজ মেয়ে জন্ম দিয়েছিস বলেই আমার ছেলেটা সংসার জীবন ত্যাগ করেছে। আমার নুরুলের মন ভেঙে গেছে তুই মেয়ে জন্ম দেওয়ার পর থেকে। আজ তোর দোষে আমার ছেলেটার এই অবস্থা। যেইদিন মেয়ে জন্ম দিয়েছিলি, ওইদিনই মেয়েকে নিয়ে গলায় ফাঁসি দিলি না কেন? তাহলে তো আজ আমার ছেলে খারাপ পথে নামতো না।’

সেতু বলল, ‘আপনি ভালো কইরা কথা কন আম্মা। দোষ মিতুর না। দোষ আপনার পোলার। ভালোই বাড়ির বউগো দোষ দিতে শিখছেন। আপনার কোন ছেলেমেয়ে ভালো পয়দা হইছে কইতে পারবেন? আপনার ছোডো পোলা তো কম খারাপ না। তার কুকীর্তির কথা তো আর অজানা নাই আপনার। আর আপনার মাইয়ার কথা আর কি কমু? শেষ বয়সে কিনা একটা ধান কাটা ব্যাডার লগে পালাইয়া গেছিল। যাজ্ঞে, হেয় আর দুনিয়াতে নাই, হেরে নিয়া না ঘাটলাম। কিন্তু আপনি কোন আক্কেলে মিতুরে মাইয়া জন্ম দেওয়া নিয়া দুষেন? আর কোন মুহে আমারে বাচ্চা না হওয়া নিয়া খোটা দেন? আপনি কি মাইয়া জন্ম দেন নাই? নিজের মাইয়ার লাইগ্যা তো কাইন্দা কাইট্টা এক কইরা ফালান। আর অন্যের মাইয়ারে যা মুহে আহে তাই কন! অন্যের মাইয়া কইতাছি ক্যান? মায়া তো আপনার পোলারই রক্ত। মায়ার লাগান শিশুর লগে এরম অবিচার কেমনে করতে পারেন আপনারা আম্মা? মিতু কি ইচ্ছা কইরা আপনার পোলার ঘাড়ে চাপছিল, নাকি আপনার পোলাই জোর কইরা মিতুর ঘাড়ে চাপছে? ভুইল্যা যায়েন না আম্মা,মিতুরে পোলার বউ বানানোর লাইগ্যা আমার বাজানের পায়ে ধরতেও রাজী ছিলেন আপনারা। আর রইল আমার বাচ্চা না হওয়ার ব্যাপারখান। আমার বিশ্বাস আমি আঁটকুড়া না। আপনার পোলাই আঁটকুড়া। কথাডা আপনার মাথায় থাহে না ক্যান? আমি যদি আপনার পোলারে ছাইড়া অন্য একজনের লগে সংসার করতাম, তাইলে আল্লাহ চইলে আমার সন্তান ঠিকই হইতো। কিন্তু আমি তেমন মাইয়া না। পেট কামড়াইয়া আপনার আর আপনার পোলার লাথি চড় খাইয়া হইলেও এইহানেই পইড়া আছি। নাইলে কবেই সব ছাইড়া যাইতাম। আমি তো আর খারাপ মাইয়া মানুষ না যে এমন কাজ করুম। কিন্তু আপনি একজন বয়স্ক মহিলা হইয়াও ঠিক ভুলের পার্থক্য বুঝেন না আম্মা? এইডাই আফসোস থাইক্যা গেল। হায়রে ফুটা কপাল! ‘

সেতুর বিরতিহীন লম্বা কথায় মছিদা বেগম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। উনি সেতুর দিকে আঙুল উঁচিয়ে বললেন,
‘তুই এত বড়ো কথা বলতে পারলি আমায়? আমার ছেলেরটা খেয়ে পড়ে আমাকেই কথা শোনালি! না,আর মানতে পারলাম না। দুই বোন জোট বেঁধে আমাকে ধরলি তাইনা? আমিও দেখে নেব তোদের। ওই পাজি, কালো মেয়েটার জন্যই এত কাহিনী। আমিও নুরুলের মতো দোয়া করলাম, এই মেয়ের মুখ যেন দেখতে নাহয় আর। মিতুর বুক যেন খুব শীঘ্রই খালি হয়ে যায়।’

হঠাৎ মিতু উচ্চস্বরে কেঁদে ওঠে মছিদার কথায়। মিতু হাতজোড় করে বলল, ‘এমন কইরা কইয়েন না। আমারে মারেন কাটেন,তাও এমন অভিশাপ দিয়েন না আমারে। মায়া যেমনই হোক, ও আমার পেটের সন্তান। দয়া কইরা আমার মাইয়ারে ভয়ংকর অভিশাপখান দিয়েন না। যা অভিশাপ দেওয়ার আমারে দেন।’

মছিদা মুখ ঝামটা দিল। ভেংচি কেটে গিজগিজ করতে করতে চলে যান সেখানে থেকে। মিতু ওইভাবেই উঠোনের উপর পড়ে কান্না করছে। বুকের ভেতরটা জ্বলে পুড়ে খাঁখাঁ করছে তার। সেতুও কেঁদে চলেছে। সে মায়াকে শক্ত করে বুকের মধ্যে এমন ভাবে জড়িয়ে রেখেছে যেন মায়া কোথাও হারিয়ে না যায়। মায়া সেতুর বুকের মধ্যে গুটিশুটি হয়ে ঢুকে আছে। মায়া শুধু মিতুর নয়, সেতুরও প্রাণভোমরা। মায়াই প্রথম, যে কি না সেতুকে মা বলে ডেকেছে। জীবনে যেই আশাটা ছেড়েই দিয়েছিল, সেটা মায়া পূরণ করেছে তাকে বড়ো মা বলে ডেকে।
***
আনিসুলের হাড় কাঁপানে জ্বর বেঁধেছে গতকাল মিতুর হাতে ঝাড়ুর বারি খাওয়ার পর থেকে। জান বাঁচাতে পালিয়ে আসার সময় একটা বিশাল নারিকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কাও খেয়েছিলেন। বুকের ব্যথাটাও খুব জ্বালাচ্ছে তাকে। ভয়, ব্যথা, শখের ছাতা ফেলে আসায় মন ভাড় ইত্যাদির সমষ্টি যোগে জ্বর বাঁধতে সময় নেয়নি আনিসুলের। থরথর করে কেঁপে কেঁপে উঠছেন কিছুক্ষণ পর পর। এই গরমে শরীরে লেপ মুড়িয়েও তার হাড়কাঁপুনি থামছে না। তার স্ত্রী রেবেকা এ পর্যায়ে নানান প্রশ্ন চালিয়েও সঠিক কোন জবাব পাননি বিধায় আর প্রশ্ন করেননি। যে ঘরটায় আনিসুল শুয়ে আছেন, সেখানে হঠাৎ হন্তদন্ত পায়ে কিছু সময় পর ছুটে এলেন রেবেকা। তার মুখে কেমন একটা কৌতূহলী ভাব। তিনি আনিসুলকে বলছেন, ‘তোমার লগে চেয়ারম্যানের ছেড়ায় দেহা করবার লাইগ্যা আইছে। হের লগে একটা ব্যাডাও আছে। আমি কইছি তোমার জ্বর। ভিতরে কি আইতে কমু?’

আনিসুলের দাঁতের সাথে দাঁত বারি খাচ্ছে কাঁপাকাঁপির জন্য। তিনি মাথা আর চোখ দিয়ে আসার অনুমতি দেয়। এরপর রেবেকা গিয়ে তাদের ভেতরে যাওয়ার জন্য বলে দেয়।

বাদশা তার পার্সোনাল সিকিউরিটিকে বসার জন্য দুটো চেয়ার এগিয়ে দিলেন রেবেকা। এরপর চলে গেলেন নাস্তার জোগাড়ে। আনিসুলের ঠোঁট নড়বড়ে। তিনি ঠাওর করতে পারছেন বাদশার এমুখো হওয়ার মতলব। আনিসুল খুব কষ্টে গলায় স্বর এঁটে বললেন,
‘আমি সেই মেয়ের বাড়ি আর যাব না। মেয়ে তো নয় যেন ডাকিনী!’

বাদশা হতচকিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কি করেছে তোমার সঙ্গে?’

‘ঝাড়ু নিছিলো মারতে। আবার গেলে ছুরি, কাচিও উঠতে পারে। দেখতাছেন না আমার অবস্থা!’

বাদশার কপাল কুঁচকে এলো। বিতৃষ্ণা নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আনিসুলকে চোখ গরম দিয়ে বললেন, ‘দুটো ঝাড়ুর বারি খেয়ে চলে আসেন, আপনি নাকি এ গ্রামের বিখ্যাত ঘটক! আপনার দ্বারা হবে না বুঝলাম। এবার আমি নিজে যাব সেই মেয়ের বাড়ি।’

আনিসুল বলল, ‘আপনারেও ঝাড়ু নিয়া তাড়া করতে পারে, সম্মান বজায় রাখতে চাইলে ওই মেয়ের সামনে যেয়েন না।’

বাদশা উচ্চশব্দে ধমক প্রয়োগ করলেন। তিক্ত গলায় বলল, ‘প্রাণে মেরে দেব আমার সম্মানে দাগ ফেললে। আমি কে তার ধারণা আছে? আমার হাত কতদূর সে কি জানে? জানে না। জানিয়েই ব্যবস্থা নেব। দেখবো কত তেজ ওই মেয়ের! আমার সামনে বড়ো নেতারাও প্যান্ট ভেজায়। সেখানে সেই মেয়েতো গ্রামের কোন এক অবলা নারী মাত্র।’
চলবে ইনশাআল্লাহ….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here