উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ২১
কেটে গেল আরও আটটি বছর। এই আট বছরে অনেক কিছুর বদল ঘটেছে। প্রতিটি চরিত্রের জীবনচক্র অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। বিচিত্র সব ঘটনায় তলিয়ে গেছে চরিত্রগুলো। দীর্ঘ আটটি বছর মিতুর কাছে যেন এক যুদ্ধের সমান কেটেছে। এখনো লড়াই জারি আছে তার। পরিত্রাণ পায়নি আজও। তবে সে এখন আর সেই আগের অবুঝ, ভীতু মেয়েটি নেই। যথেষ্ট বুঝদার হয়েছে। পরিস্থিতি তাকে চোখে আঙুল ঢুকিয়ে বুঝদার হতে বাধ্য করেছে। সংসার সামলানো একসময় একটা জগাখিচুড়ি ছিল তার নিকট। মিতুর মনে হতো সবকিছু যেন তার উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো দুঃখে-কষ্টে দম বন্ধ হয়ে আসতো। মনটা আগের জীবনের স্বাদ চাইতো বারংবার। নয়নার হাতে হাত রেখে স্কুলে যাওয়া, ডানা ঝাপটে ঘুরে বেড়ানো, আর গোধূলি বেলায় কাব্য ভাইয়ের সাথে খুনসুটির সময় কাটানো। সব কিছুই যেন স্মৃতির ঘন কুয়াশা হয়ে ভাসে মিতুর চোখের সামনে। যা কেবল লম্বা এক দীর্ঘশ্বাসেই প্রকাশ্য। মিতু যত বড়ো হয়েছে, ততই কাব্যর শূন্যতা অনুভব করতে পেরেছে। বয়সের সাথে সাথে বোধবুদ্ধিরও বিকাশ ঘটেছে। যেদিন সংসার নামক ফাঁদ ঠাউরে উঠেছিল,সেদিন থেকেই সে জীবনের কঠিনতম মানে খুঁজে পেয়েছে। শুধু পায়নি ভুল শুধরানোর সুযোগ। আজ মিতু কেবল একজনের বাড়ির বউ নয়, পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ের জন্মদায়িনীও। এই মেয়ে জন্ম দেওয়া মিতুর জীবনে আরও একটি দুর্বিষহ কালো অধ্যায়। সেতু সাধ করে মিতুর মেয়ের নাম মায়া রেখেছিল। এটাই ডাকনান৷ মায়া দেখতে কুচকুচে কালো। মিতু আর সেতুর মতো দুধে-আলতা গায়ের রঙ পায়নি। কালো হলেও মায়ার মুখটা ভারী মায়াবী। মায়াবী চেহারা বলে মায়া নামটাই শ্রেয় মনে হয়েছিল সেতুর কাছে। মায়া পৃথিবীতে আসার পর থেকে সেতুর কাছেই বেশি আদর পেয়েছে। সেতুর কোলেই বেশি চড়েছে। সেতু মায়ার মধ্যে বাঁচার কারণ পায়৷ মাতৃত্বের স্বাদ পায়। যে স্বাদের আশা ছেড়েই দিয়েছিল সে, তা অনায়াসে মায়ার মাধ্যমে পেয়ে যায়। মায়ার দুনিয়া বলতে শুধু মিতু ও সেতু-ই। এই দুজন ছাড়া অন্য কারো কাছে স্নেহ খুঁজতে যায়না সে। কিভাবে যাবে? আপন বাবা, দাদীই তো দূরে ঠেলে রাখে, দুচ্ছাই করে। মায়া জন্মের পর থেকে নুরুল ও মছিদার কাছে দুটো কারণে অবহেলিত। এক, মায়া মেয়ে বলে। দুই, মায়া কালো বলে। নুরুল ও মছিদা কখনো বলতে পারবে না তারা দুটো সেকেন্ডের জন্য হলেও মায়াকে কোলে নিয়ে দেখেছে। বরং মায়ার ছায়া দেখলেও তাদের শরীরে দাউদাউ করে অনল প্রবাহ শুরু হয়। তাদের ক্ষোভ, ছেলে হলো না কেন? মেয়ে ধুয়ে কি পানি খাবে! নাকি দামান ধরে বংশের মুখে চুনকালি লাগাবার জন্য মেয়ে পয়দা করেছে? গেলে যাক, তাও ভালো। নইলে এমন কালো ভূতকে কোন প্রতিবন্ধীও ছুঁয়ে দেখবে না। এমন অনেক কুরুচিপূর্ণ কথার সম্মুখীন হতে হয় মিতুকে। এই তীর্যক ব্যাঙ্গ করা কথাগুলো সবচেয়ে গায়ে লাগে সেতুর। সে প্রতিবাদ না করে স্থির হয়না। আর যতবারই সেতু মায়ার হয়ে প্রতিবাদ করেছে, ততবারই নাহিদের নির্মম ক্রোধের শিকার হতে হয়েছে। সেতু নিজের জীবন নিয়েও সুখী নয়। ধিরে ধিরে নাহিদ সেই আগের রূপেই ফিরে এসেছিল। রাবেয়ার মৃত্যুর পর থেকে সেতুকে নাহিদ ও মছিদা কেউই দেখতে পারে না। শুধু সেতু নয়। সেতুর সাথে মিতু ও মায়াও তাদের মা ছেলেদের চক্ষুশূল। একদিকে নাহিদ পুরো দমে নষ্টামিতে মগ্ন, অন্যদিকে নুরুল জুয়া খেলা সাথে মদের নেশায় শক্তপোক্ত ভাবে আসক্ত। গ্রামের লোক হিংসুটে, অসুস্থ মনোভাবের মানুষ। কেউ একটু ভালো থাকলেই, তাদের শিরা-উপশিরায় যেন আগুন লেগে যায়। বলা বাহুল্য, নুরুল বাংলাদেশে পা ফেলার পর থেকে তার বন্ধু আরাফাত হোসেন বিভিন্ন কুমন্ত্রণা দিয়ে নাহিদকে বশ করেছে। নিয়ে গেছে মদ-জুয়ার ধ্বংসাত্মক দুনিয়ায়। ফলে নুরুলের যা সম্পদ ছিল, তা সবই জুয়ার কোটে বিলুপ্ত হয়। ছেলে মারা যাওয়ার বছর দেড়েক পর মিতু মায়াকে জন্ম দেয়। মেয়ে হওয়ায় নুরুলের অধঃপতনের মাত্রা আরও কয়েকশো গুণ বেড়ে ওঠে। ধিরে ধিরে সংসারের মায়া ত্যাগ করে দিনরাত মদ-জুয়ায় মত্ত থাকে। নুরুলের সম্বল বলতে এখন শুধু বিল্ডিং টাই অবশিষ্ট আছে। বর্তমানে তিনি যতটা দেনা করেছে তার শোধ দিতে গেলে বিল্ডিং কেন, তার দুটো কিডনি বিক্রি করলেও পাওনাদারদের ঋণ শোধ করতে পারবে না। রোজ পাওনাদাররা পাওনা টাকা আদায়ের জন্য নুরুলের বাড়ি হানা দেয়। এ নিয়ে মছিদা ও মিতু কম হাতে-পায়ে ধরেনি পাওনাদারদের। বর্তমানে নুরুল কোনো কাজকর্ম করে না। তার কথা, বিল্ডিং বিক্রি করে সবার টাকা শোধ করবে। তারপর যেখানে দুচোখ যাবে, সেখানে চলে যাবে। গ্রামে দুস্থ মহিলাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রদানের একটা সংস্থা রয়েছে। যার নাম নারী জাগরণ। মিতু সেখান থেকে সেলাইয়ের কাজ শেখে। বর্তমানে সংসারটা তার হাতেই চলমান। নুরুল যখন তখন মিতুর নিকট টাকা চেয়ে বসে। মিতু নিষেধাজ্ঞা জানালে নুরুলের হাত ওঠে নিরপরাধ মায়ার উপর। মায়ার কথা ভেবে নুরুলের সাথে কোনো তর্কে জড়ায় না মিতু। না চাইতেও নিজের রক্ত পানি করা অর্জন গুলো বিলিয়ে দিতো। নুরুল সেই টাকায় দিনভর জুয়া খেলে। আর রাতভর বুকের ব্যথায় কাতরায়। বয়স তার অর্ধশত। নুরুলের মুখের দিকে তাকালে যে কেউ বলতে বাধ্য যে নুরুলের এক পা মাটিতে চলে গিয়েছে। চেহারার খুবই বাজে হাল। দিনরাত ছাইপাঁশ গেলা হলে, এমনটা তো হওয়ারই ছিল। সেদিক দিয়ে মছিদা এখনো ভীষণ শক্ত আছে। বয়স তার সত্তরের ঊর্ধ্বে। তবে দেখে তেমন বোঝা যায়না। মছিদা বেগম ভালোই তাজা মোটা এখনো। সবাই নুরুলের সাথে মছিদার তুলনা করে বলে, মায়ের থেকে ছেলেকেই বেশি বয়স্ক দেখা যায়। বর্তমানে খুব অভাব অনাটনে দিন যাচ্ছে মিতুদের। তবে সেতু সেদিক দিয়ে ভালো আছে। নাহিদ সংসারে অশান্তি করলেও, ঠিকমতো বাজার-সদাই করে। তবে হিসেব মতো। মিতু আর সেতুর উনুন আলাদা। যবে থেকে নুরুল সব টাকা-পয়সা জুয়ায় খুইয়েছে, তবে থেকে সংসারও ভাগ হয়ে গিয়েছে। নাহিদ ব্যবসায়ী লোক। বিশাল চালাকচতুর। সে ইচ্ছাকৃত ভাবে আলাদা হয়েছে। কারণ সে বুঝে যায় নুরুলের সঙ্গ দিয়ে তার ক্ষতি বৈকি লাভ হবে না। নুরুল একটা মরিচ অবধি কিনে আনতো না। সব কিছু বিচার-বিবেচনায় ফেলে নাহিদ আলাদা হতে বাধ্য হয়। সেতু হিসেব মতো রান্না চড়ায়। নাহিদ যেভাবে বলে ঠিক সেভাবে। আগে সেতু নাহিদের কথা অমান্য করে বেশি করে রান্না করতো,যাতে সবাই খেতে পারে। একটা সময় নাহিদ বাজার-সদাই এনে ফ্রিজে তালাবদ্ধ করা শুরু করে। রান্নার জন্য পরিমাণ পণ্যসামগ্রী বের করে আবারও ফ্রিজে তালা মেরে চাবি নিজের সাথে নিয়ে যেত। এখনো এই ধারা অব্যাহত আছে। ফলে সেতু চাইলেও বেশি করে রান্না করতে পারে না। ভালো কিছু রান্না হলে সেতু নিজে না খেয়ে তার ভাগের অংশটুকু সকলের অগোচরে মায়াকে খাওয়াবে। মছিদাও একই কাজ করে। নিজে না খেয়ে নুরুলকে খাওয়ায়। । সেতু, মিতু তাদের দুজনের সকল ক্লেদ,বেদনা মায়ার মিষ্টি হাসিতেই ঘুচিয়ে নেয়। মিতু মাঝেসাঝে আনমনে হাসে। শুকনো একটা হাসি দিয়ে মনে মনে অনেক কথাই বলে যায়। যা বাঙময় হয়েও মনের ভাব প্রকাশ্য। আবুল কালামের স্বপ্ন ছিল মেয়েরা রাজরানী হবে। তার মেয়েরা যেমন রূপবতী, তেমন রাজারহালই তাদের প্রাপ্য। মেয়েরা সুন্দরী বলে মনে মনে একটা অহংকার কাজ করতো। তার মেয়েরা কত সুখে আছে, তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছেন। তার সকল অহংকার ঘুচেছে। আজ মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পা রাখতে পর্যন্ত পারে না আবুল কালাম। তাকে দেখলেই নুরুল বিয়ের সময় দেওয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চেয়ে বসে মুখের উপর। সাথে খুব বিচ্ছিরি ভাষায় গালাগাল দেয়। একদিন তো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করেও দিয়েছিলেন। জুয়া আর মদের নেশায় প্রায় পাগল নুরুল। তাই টাকার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে সর্বক্ষণ। এসব ছাড়াও আরও একটা কারণে আবুল কালাম যায়না সেখানে। কারণটা লজ্জা। অপমান সে মানতে পারলেও, লজ্জা নামক দন্ডটি সে কোনভাবেই মানতে পারেনা। মিতু বা সেতু কেউই আবুল কালামের মুখ দেখতে চায়না। সেতু আবুল কালামকে দেখামাত্র মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দেয়। মিতু দরজা না লাগালেও আবুল কালাম মিতুর গায়ের ছ্যাড়া শাড়ি, রুগ্ন, শুকনো মুখশ্রী দেখলেই বুক ফাটে তার। আজ কপাল থাপড়ে রাস্তায় গড়াগড়ি খেলেও আবুল কালাম তার মেয়েদের জীবন আগের মতো করে দিতে পারবেন না। এইজন্য নিজেকে কতই না ধিক্কার জানান! আজ তার লোভের জন্য সে তার মেয়েদের মুখে ‘বাজান’ ডাকটা শুনতে পাননা। সে জানে আজ তার সাথে যা কিছু হচ্ছে, পুরোটাই তার পাপের ফসল।
***
টেবিলের বিপরীতমুখী চেয়ারটায় বেশ আয়েসি ভঙ্গিতে পায়ের উপর পা তুলে বসেছেন দল সেরা গ্যাংস্টার সুপ্ত সাখাওত। তার ঠোঁটের চওড়া হাসি উপেক্ষা করে নিজের দরকারি জিনিসপত্র হাতড়ে যাচ্ছে কাব্য। গুরুতর কিছু খুঁজে চলেছে কপালে গভীর ভাজ ফেলে। হঠাৎ সুপ্ত সাখাওত টেবিলে সজোরে বারি মেরে বললেন, ‘কানে বধির নাকি সাংবাদিক সাহেব?’
কাব্য নিজ কাজে মগ্ন থেকেই জবাব দেয়,
‘গেট আউট।’
রাগে সুপ্তর কপালে ভেসে থাকা রগদুটো ফুলে ওঠে। তারপরও রাগটা গিলে খেয়ে বললেন,
‘আমি কে জানেন না? ভাব পায়ের নিচে ফেলে কথা বলুন। কয়টা কথা বলে চলে যাব। শুনলে আপনারই লাভ।’
কাব্য শুষ্ক হাসি দেয়। বলে, ‘আমার লাভ নিয়ে আপনাকে মাথা না ঘামালেও চলবে। কি বলেছি শোনেন নি? বেরিয়ে যান আমার ক্যাবিন থেকে। আপনাদের মতো লোকেদের আমি দু’পয়সাও দাম দেইনা৷’
সুপ্ত সাখাওত বেশ কিছুক্ষণ তার অগ্নিদৃষ্টি কাব্যর দিকে তাক করে রাখে। কাব্য তখনও নিজ খেয়ালে মগ্ন। সুপ্ত ও তার কথা, পরোয়া করার প্রয়োজন মনে করছে না সে। কিছুক্ষণ পর সুপ্ত সাখাওত টেবিলে জোরে লাথি মেরে তার বডিগার্ড সহ বেরিয়ে গেলেন। যাবার সময় বললেন, ‘কাজটা ঠিক করলি না সাংবাদিকের বাচ্চা৷’
কাব্যর চোয়াল শক্ত হয়। তবুও অত্যন্ত শান্ত গলায় বলে, ‘এটা আমার অফিস, তাই কিছু বললাম না। তবে সবসময় ছাড় দেব না আমি।’
সুপ্ত বড়ো বড়ো পা ফেলে প্রস্থান করে। এরপর পরই একজন মেয়ে কাব্যর ক্যাবিনের দরজা ঠেলে বলল, ‘মে আই কাম ইন কাব্য স্যার?’
আওয়াজ আসে, ‘আসুন রাত্রি।’
রাত্রি ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল, ‘স্যার ওই লোকগুলো বারবার কেন আসে আপনার কাছে? কি চায় তারা?’
‘আপনি কি এটা জানার জন্য এসেছেন? যদি তাই হয়, তাহলে অহেতুক সময় নষ্ট না করলেই খুশি হতাম।’ কাব্যর ঘোরানো কথার বাণ রাত্রি বুঝে ওঠে। চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে,
‘দুঃখিত স্যার। আমি আসলে বলতে এসেছিলাম, শুভ জন্মদিন। আজ আপনার বার্থডে, তাই উইশ করতে চলে এলাম।’
কাব্য রাত্রির দিকে এক ঝলক চেয়ে আবার চোখ সরায়। বলে, ‘সকালেই তো ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্থডে উইশ করলেন।’
‘হ্যাঁ, তবে সামনাসামনি আর ভার্চুয়াল দুটো আলাদা জিনিস। ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড, একটা প্রশ্ন করি আপনাকে?’
‘জ্বি অবশ্যই।’
‘গতকাল রাত বারোটার দিকে আপনার একটা স্ট্যাটাস দেখলাম। “ফেলে এসেছি চেনা সেই ছন্দ, আর কটা তুমিহীন বসন্ত৷” কাকে কেন্দ্র করে লিখেছিলেন সেই স্ট্যাটাস?’
কাব্য মহা বিরক্ত এমন মুখশ্রী পাকাতেই রাত্রি সঙ্গে সঙ্গে বলে, ‘খুব ভালো লেগেছিল তাই জিজ্ঞেস করা৷ থাক বলতে হবে না। স্যরি স্যার, আর কখনো আপনার পার্সোনাল কিছু নিয়ে প্রশ্ন করবো না। এবারের মতো মাফ করুন।’
কাব্য চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। হাত ঘড়িটায় চোখ রেখে বলে, ‘আমাদের একটা জায়গায় রিপোর্ট করতে যাবার কথা আজ। সাজিদ কোথায়? ওকে বলো এখনই বের হবো আমরা।’
রাত্রি জোরপূর্বক হেসে বলল, ‘এক্ষুনি বলছি স্যার।’
কাব্য চলে যেতে নেবে তখন রাত্রির পিছুডাক পড়ে, ‘স্যার একটা গিফট ছিল আপনার জন্য। যদি গ্রহণ করতেন!’
‘কি দরকারে?’ প্রশ্ন করে কাব্য
‘আপনার জন্মদিন তাই।’
‘রেখে দিন নিজের কাছে।’
রাত্রি মুখ কালো করে বলল, ‘গিফট নেওয়া দোষের কিছু নয়৷ নিলে খুশি হতাম৷ আচ্ছা থাক।’
কাব্য হাত এগিয়ে বলল, ‘আচ্ছা দিন তবে।’
রাত্রি মারাত্মক খুশি হলেও আকার ইঙ্গিতে তা প্রকাশ করার সাহস পেল না। ব্যাগ থেকে রঙিন কাগজে মোড়ানো উপহারটি কাব্যর হাতে তুলে দেয়। কাব্য ছোট করে একটা ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে নিজ ক্যাবিন ত্যাগ করে। আর রাত্রি ধ্যানমগ্নে পড়ে রয় কাব্যর দেওয়া সেই স্ট্যাটাসের চিন্তায়।
চলবে ইনশাআল্লাহ….