গল্পের নাম: বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ১৪: অর্ধাঙ্গিনী
লেখিকা: #Lucky_Nova
আচমকা কেউ পিছন থেকে ওর এক হাত টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।
মিহি চমকে উঠলো।
“এত রাতে এভাবে, এখানে কি করছ?” দাঁতেদাঁত চিপে ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলল এরোন।
মিহির বুক ভয়ে ছ্যাত করে উঠলো।
“আ..আপনি।”
এরোন হাতটা আরো চেপে ধরতেই মিহি ব্যাথাতুর শব্দ তুলে বলে, “লাগছে।”
এরোন মিহির পিঠের পিছনে চেপে ধরে থাকা হাতটা আলগা করে। তবে তার রাগ কমেনি।
সে হাত ধরে টানতে টানতে মিহিকে পুনরায় সেই রুমে নিয়ে এসে এক ঝটকায় হাত ছাড়ে।
মিহি এক হাত দিয়ে অন্যহাতের কব্জিটা আলতো করে মুঠোয় নেয়।
অন্ধকারের মাঝে আবছা আলোয় মিহির নির্লিপ্ত মুখ স্পষ্ট। চোখ নামিয়ে আছে সে।
“পালাচ্ছিলে?” থমথমে গলায় জিজ্ঞেস করে এরোন।
“হ্যা।” ভনিতা না করে সোজাসুজি উওর দেয় মিহি।
এরোনের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। তাও কন্ঠের খাদ নামিয়ে দাঁতেদাঁত চিপে বলে,”এত রাতে?”
“দিনের বেলায় হলে যেতে দিতেন আপনি?” মিহি কটমটে চাহনিতে এরোনের চোখের দিকে তাকায়।
“দিনে, রাতে, সকালে বা দুপুরে কখনোই দিতাম না, আর না দেবো।” একরোখা মনোভাবের সাথে বলে এরোন।
মিহি ঠোঁটের কোনে তাচ্ছিল্যের হাসি আনে। তার পর মুহুর্তেই কাঠকাঠ গলায় বলে,”আমি আপনাকে চাই না।”
“সেটা নাটক শুরু করার আগে মনে করা উচিত ছিল।” থমথমে গলায় উওর দিল এরোন। তার দৃষ্টি স্থির। কোনো নড়চড় নেই।
“আমি ত বলেছি ওসব ভুল ছিলো। আমি কোনমতে আপনাকে বিয়ে করব না।” হালকা ঝাঁঝের সাথে বলে মিহি।
“কারণ বলো।” স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থমথমে গলায় বলল এরোন।
মিহি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে রইল।
“পলিটিক্স? এটাই সমস্যা ত?” এরোনই বলে ওঠে।
মিহি চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকায়। তার মুখ এখনো রুষ্ট।
“ছেড়ে দেব।”
মিহি চোখ ফিরিয়ে এরোনের দিকে তাকালো। তবে দৃষ্টি একইরকম।
“তাহলে ত আর সমস্যা থাকার কথা না!” বলে এরোন।
মিহির মন কিছুতেই সায় দেওয়ার মত না। কারণ এসব ছেড়ে দিলে কি ওসব অভ্যেস গুলোও চলে যাবে নাকি?! যাবে ত না। কারণ কয়লা ধুলে ময়লা যায় না।
মিহিকে চুপ থাকতে দেখে এরোন তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে,”এখন চুপ কেনো?”
“আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।” স্বাভাবিক ভাবেই বলে ওঠে মিহি।
এরোন কয়েক মুহুর্তের জন্য থমকে যায়।
স্বাভাবিক কথাটা অতিরিক্ত অস্বাভাবিকভাবে নাড়া দেয়। বুকের মধ্যে যেন কেউ অদ্ভুতভাবে ছুরি বসাচ্ছে এমন মনে হয়।
এর আগেও হয়তো একবার বলেছিলো মিহি এই কথা, সেসময় অত গুরুত্ব দেয়নি ও। কিন্তু এখন সত্যি মনে হচ্ছে।
এরোন মিহির থেকে চোখ সরিয়ে মেঝের দিকে চঞ্চল চাহনিতে তাকায়। কপালে ভাজও পরে এসেছে। মাথা কাজ করছে না।
সে কয়েক সেকেন্ড ওভাবে থেকে বেরিয়ে আসে মিহির ঘর থেকে।
মিহি হালকা আশ্বস্ত হয়। হয়তো এবার এসবের একটা সমাপ্তি ঘটবে।
?
মাঝরাতে ছাদের কোনায় কারো অবয়ব দেখে লাফিয়ে ওঠে মেঘ। ছাদে চিতপটাং হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলো সে। সদ্য জেগে এমন অবয়ব দেখে গলা শুকিয়ে যায় ওর।
সাহস যুগিয়ে বলল, “ব্যাটা ভুত, ভাগ।”
গলার স্বর ভয়ের কারণে ফ্যাসফ্যাসে হয়ে বের হলো।
এরোন ঘুরে একপলক তাকিয়ে আবার মুখ ঘুরিয়ে নিল।
“সালা তুই?” হাফ ছাড়ে মেঘ। তারপর উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলে,”এতো রাইতে এহানে কি করস?”
এরোন উওর দেয় না।
“মরছস নাকি?” বলে মেঘ।
“যা এখান থেকে।” নির্লিপ্ত কন্ঠে বলে এরোন।
“কেডায় মরলো!” রসিকতা করে বলে মেঘ।
এরোন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে।
মেঘের একটু খটকা লাগে, “কি হয়েছে?”
তারপর একটু ভেবে বলে, “আবার মিহি কিছু করেছে?”
এরোন উওর না দিয়ে রেলিঙের বাহিরে পা ঝুলিয়ে বসে পরে।
মেঘের মুখ হালকা মলিন হয়ে আসে। কয়েক দিন আগ অব্দিও সব ঠিক ছিল। একসাথে এই টেবিলে আড্ডা দিত ওরা। পরের ম্যাচে কিভাবে আরো ভালো করবে, কিভাবে আরো গোল করবে। কিন্তু এখন!
সত্যিই পরিস্থিতি কত দ্রুত বদলায়। চোখের পলকে, নিমিষেই।
এরোন পা ঝুলিয়ে বসে শূণ্যে তাকায়।
“আমি মরলেও কি মিহির যায় আসবে না?” বিষাদময় ভাবলেশহীন কন্ঠে বলে বসে এরোন।
মেঘের ভিতরটা হিমশীতল হয়ে ওঠে। কিন্তু তাও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠোঁটে হাসির রেখা টেনে বলে, “ভালো মানুষরা আগে মরে তারপর কুত্তার বাচ্চারা।”
এরোন মৃদু হাসে। তবে পরমুহূর্তে আবার দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়।
?
“কাকে ভালোবাসো?” প্রশ্ন করে এরোন।
মিহি ভ্রুকুটি করে।
এরোন একদৃষ্টে তাকিয়ে প্রশ্নের উওরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
“কেনো? ক্ষতি করবেন তার?” মিহির ত্যাছড়া জবাব।
এরোন কৃত্রিম হাসে। তারপর হাসি সরিয়ে মুখে নির্লিপ্ততা এনে বলে,”সেইরকমই কিছু।”
“আপনি নাকি এসব ছেড়ে দেবেন?” কড়া নজরে বলে মিহি।
“ছাড়তে ত হবেই। কারণ তোমাকে ত আর ছাড়তে পারবো না।” ম্লান মুখে সোজাসাপটা উওর দেয় এরোন।
“ছাড়তে পারবেন না মানে।”
“যেটা তোমার অপছন্দ সেটা ছেড়ে দেবো। তার বদলে তোমাকে চাই।” স্বাভাবিক ভাবে বলে এরোন।
মিহি অবাক না হয়ে পারে না। এত কিছু বলে, কয়েও, সে যেন ছাড়তেই নারাজ।
“আমার আপনাকেই অপছন্দ।” রূঢ় কন্ঠে বলে ওঠে মিহি।
“জলদিই উল্টোটা হবে।” দায়সারাভাবে বলে এরোন। যদিও মিহির কথাগুলোয় ভিতরে ভিতরে তোলপাড় হচ্ছে ওর।
এদিকে মিহির অবাক হবার পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে।
“আমাকে নিজের ভালোবাসায় মিথ্যা জালে জড়িয়ে, কষ্ট দিয়ে, তারপর চলে যাবা! এতো ইজি?” বিরসভাব নিয়ে বলল এরোন।
মিহি চোখ সংকুচিত করলো।
“সেদিন তোমার অগোচরে ফাইল চেঞ্জ করেছি আমি। বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের।”
কথাটা কর্ণগোচর হতেই মিহির চোখ প্রসারিত হয়ে ওঠে। কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে গমগমে গলায় বলে,”মজা করছেন?”
হাতের পেপারটা সোজা করে মেলে ধরে এরোন। তারপর বলে, “পেপারের ফটোকপি। মেইনকপি জীবনেও পাচ্ছ না।”
মিহি ভয়ে ভয়ে পেপারের দিকে তাকায়। সাথে সাথে বুকের মধ্যে ধক করে ওঠে ওর। মনে পরে। সেদিন কলম আনার পর প্রথম পৃষ্ঠার পরে বাকি দুটো পৃষ্ঠা পুরো না উল্টিয়েই সই করেছিলো ও।
চিন্তা হতেই গা রি রি করে ওঠে।
মিহি অতিরিক্ত রোষের সাথে এক থাবা দিয়ে কাগজটা নেয়। আর ক্ষোভের সাথে ছিড়ে কুটিকুটি মেঝেতে ছুড়ে ফেলে। তারপর এরোনের দিকে তাকায়।
“আপনি ঠকিয়েছেন আমাকে।”
“সেইম টু ইউ। সো উই আর ইভেন নাউ।” তার ভাবলেশহীন প্রস্তুত উওর।
মিহি রেগে বড় বড় দম নিতে নিতে বলে, “আমি ডিভোর্স দেব আপনাকে। মানি না আমি।”
“ইন ইউওর ড্রিমস।” বুকের কাছে হাত গুজে বলে এরোন। তার মুখোভাব এখনো নির্বিকার।
“বাস্তবই দেব।” ক্ষোভের সাথে বলে মিহি।
“তোমার বাসার সবাইকে জানানো হয়ে গেছে আমার। আমি এসব ছেড়েও দেব সেটাও বলে দিয়েছি ওদের। তারা এবার খুশি খুশি মেনেও নিয়েছে।”
মিহি হালকা অবাক হয়।
“আমি আগেই বলেছি সব ঠিক করবো আমি। আপাতত সবই প্রায় ঠিক। শুধু তুমি বাদে।” বলতে বলতে এগিয়ে আসে এরোন।
মিহি চমকে পিছিয়ে যায়।
“এবার তোমাকে ঠিক করবো আমি।” তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে এরোন।
মিহি বিদ্রোহী চোখে তাকিয়ে রয়।
“লিগ্যালি তুমি এখন আমার স্ত্রী। মাথায় এটা ভালোভাবে ঢুকিয়ে রাখো। কারণ অন্য কোনো ছেলের কাছে যাওয়ার চিন্তা করলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবেনা।”
“আপনি বাড়াবাড়ি করছেন।” রোষ পূর্ণ ছলছলে চোখে বলে ওঠে মিহি।
“আগেই বলেছি। নাটক করার আগে মনে রাখা উচিত ছিল।”
“জঘন্য আপনি।” একই ভঙ্গিতে বলে মিহি।
“আই নো। আপাতত মানিয়ে নেও। কিছুদিনের মধ্যে মেনেও নিবা। আমি মানাবো।”
মিহির এসব কথা কানে লাগে না। বরং বিয়ের বিষয়টা মাথায় নাড়া দিতেই চোখ দিয়ে একফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে যায়।
এরোন সেটা লক্ষ্য করে হাত বাড়াতেই ছিটকে সরে যায় মিহি। বাজখাঁই গলায় বলে,”ছোঁবেন না আমায়। আমি কোনোদিনো ক্ষমা করবো না আপনাকে।”
এরোনের মুখোভাবে কোনো অনুশোচনা আসে না।
এতে মিহি আরো ঝলসে ওঠে, “বিয়ে টা ছেলেখেলা মনে হয় আপনার?”
“ভালোবাসার নাটক করাটা ছেলেখেলা হলে, এটাও ছেলেখেলা। না হলে, না।” কথার পিঠে বলে ওঠে এরোন।
মিহি কিছু বলতে গিয়েও দাঁতেদাঁত চিপে চুপ হয়ে যায়। কারণ তর্ক করেও এখন কিছু ঠিক হবে না।
এরোন বেরিয়ে গেল।
আর বেরিয়ে যেতেই মিহির চোখের পানি হু হু করে ঝরে পরতে লাগল। ও নিরাশ হয়ে দেয়াল ঘেঁষে বসে পরলো। অনূভুতি শূন্য লাগতে শুরু করলো ওর।
অনেক সময় হাটু জড়িয়ে ধরে ওভাবেই পাথর হয়ে বসে রইল মিহি।
রাতে প্রীতি খাবার দিয়ে গেলেও মিহি কিছু মুখে তুলল না। হাটুতে মাথা গুজে ঠাঁই বসে রইল। সবকিছু অসহ্য লাগছে ওর। এরোনের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে এটা যত বার মনে পরছে গায়ে কাঁটা ফুটে উঠছে।
রাত নয়টা দশটার দিকে দরজা লাগানোর আওয়াজ আসতেই সন্দিহান চোখে মাথা তুলে তাকালো মিহি।
“খাও নি কেনো?” ভ্রুকুটি করে ফেলল এরোন।
ওকে দেখা মাত্র মিহির মুখোভাব কঠোর হয়ে উঠলো। সে মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালো।
এরোন বিছানার পাশ থেকে খাবারের ট্রে তুলে এনে মিহি পাশে বসে গেল।
মিহি হকচকিয়ে একটু সরে গেল। আর কাঁচুমাচু হয়ে রইলো।
এরোন প্লেটটা মিহির পায়ের পাশে রেখে নরম গলায় বলল,”জেদ না করে খাও।”
“আমি বাসায় যাব।” গমগমে গলায় বলে উঠলো মিহি।
“হ্যা নিয়ে যাব।”
“এখনি যাব আমি।” রাশভারি কন্ঠে বলল মিহি।
“আজ না। দুদিন পর।” সরল গলায় বলল এরোন।
মিহি তেতে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই এরোন আবার বলে,”দুইদিনের মধ্যে বাকি সব ঠিক করবো আমি।”
মিহি ভ্রুকুটি করল।
“তবে যখন নিয়ে যাব, ওদের সামনে আমাদের সম্পর্কের তামাশা করবা না। বাহিরের লোকজন এমনিই এসব তামাশা দেখে…।” এরোন থেমে যায়।
“সব ত আপনার জন্যই হয়েছে।” ক্ষোভের সাথে বলে মিহি।
“সত্যিই কি সব আমার দোষ!” মিহির চোখের দিকে তাকিয়ে তরঙ্গহীন কন্ঠে বলে এরোন।
মিহি ক্ষোভের সাথেই মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
“খাও।” চোখের ইশারায় প্লেট হাতে নিতে বলে এরোন।
মিহির হেলদোল নেই। সে মুখ ফিরিয়ে বসেই রয়।
“নাকি আমি খাওয়াবো?” গম্ভীর গলায় বলে এরোন।
মিহি কানে নেয় না।
এরোন এগিয়ে এসে মিহির খুব কাছ ঘেঁষে বসে।
মিহি হকচকিয়ে সরে যেতে চাইতেই এরোন আঁচল টেনে ধরে।
মিহি চমকে ওঠে। তেজী গলায় বলে, “আপনি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।”
“তোমার কারণে আমারো খাওয়া হচ্ছে না।” অভিযোগের সুরে বলে এরোন।
“আপনাকে খেতে কে মানা করেছে?!” সামনের দিকে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলে মিহি। সে জেদে অটল।
এরোন বুঝলো আজ সে খাবে না।
তাই হাল ছাড়লো। আর জোর করলো না।
আঁচল ছাড়া পেয়ে মিহি চট করে উঠে দাঁড়ালো। আর বেলকনিতে চলে গেল।
একটু সময় পর এরোনও বেলকনিতে এসে ঢুকলো।
“আ…আপনি চলে কেনো যাচ্ছেন না!” কটাক্ষ করে বলল মিহি।
“আমরা তো এখন থেকে একসাথেই থাকবো।” হালকা হেসে বলল এরোন।
মিহি ভয়াতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,”কোনোদিনো না।”
“কেনো না?” ভ্রু উঁচু করে নামালো এরোন।
তারপর মিহির দিকে পা বাড়ালো।
মিহি ঘাবড়ে পিছিয়ে গেল।
এরোন খুব কাছে এসেই থামতেই মিহি এদিক ওদিক তাকাতে লাগল।
এরোন হাত বাড়িয়ে মিহির এক হাত ধরতেই মিহি চমকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে উঠলো। আর তেতে বলল, “আমি কিন্তু মানি না। আপনি এমন করতে পারেন না।”
এরোন হাতটা শক্ত করে ধরে মিহির দিকে সিরিয়াস হয়ে তাকালো।
তারপর বলল, “আমি জীবনের শেষ দিন অব্দি তোমায় নিজের অর্ধাঙ্গিনী বলে মানি আর স্বীকার করি। যাই হয়ে যাক না কেনো আমি তোমার থেকে আলাদা হব না।”
মিহি কিছু বলল না। চুপ করে রইল। ওর মনে এসব প্রভাব ফেলতে পারছে না। জেদে অনড় ও।
এরোন ওর হাত ছেড়ে দুই পা পিছিয়ে গেল৷ আর বলল,”কাল আমাদের ফুলসজ্জা।”
মিহি চোখ ছানাবড়া করে এরোনের দিকে তাকালো।
তার মুখে দুষ্টু হাসি। যা দেখেই মিহির মুখটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল।
“গুড নাইট।” বলে মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল এরোন।
মিহি শুকনো ঢোক গিলে দুহাতে নিজের শাড়ির আঁচল চেপে ধরল।
“অসভ্য লোক।” বিড়বিড়িয়ে উঠলো মিহি।
(চলবে…)