গল্পের নাম: বৃষ্টি_থামার_পরে পর্ব ৩৫: wrong_timing

0
1929

গল্পের নাম: বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ৩৫: wrong_timing
লেখিকা: #Lucky_Nova

“আর কিছু বলার নেই আমার। ক্ষমা করবেন।” নম্রভাবে বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালেন জোয়েল সাহেব।
মহা বিপদে পড়ে গেলেন রুহুল সাহেব আর আরোহী।
দিপালি নিশ্চুপ রইলেন। কারণ মিহিকে আর জোর করা হোক এটা ত তিনিও চান না। তাই এখানে আগ বাড়িয়ে বলার মত কিছুই নেই।
মিহি হাত কচলাতে লাগল। এইরকমটা হোক তা ত অনেক করে চেয়েছিল ও। কিন্তু এখন কেন একটুও ভালো লাগছে না! কেন অন্যরকম লাগছে? মনে হচ্ছে এমনটা ও চায় না।
“আপনাদের অনেক ধন্যবাদ সব জানানোর জন্য।” মিহির বাবা বললেন রুহুল সাহেব আর আরোহীকে।
তারা দুইজনই ভ্যাবাচেকা খেয়ে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো।
রুহুল সাহেব আমতা আমতা করে বললেন,”আপনার একটু ভাবা ত উচিত। বিয়েটা ত…।”
“জোর করে হয়েছে। আমার মেয়ের মত ছিল না। আমার মেয়ে খুশিও হতে পারবে না।” থমথমে গলায় বললেন জোয়েল সাহেব।
ঢোক গিলে শুকনো মুখে নিজের স্ত্রীর দিকে তাকালেন রুহুল। আরোহী তাকিয়ে আছে এরোনের দিকে। ছেলেটা ত মানবেই না!

“মিহি, চলে আসো।” জোয়েল সাহেব বললেন মিহিকে।
এরোন আর মিহি দুজনেই থমকালো।
বেশি ভয় হতে লাগলো এরোনের।
এরোন জানে মিহি নিজের বাবাকে কতটা ভালোবাসে। তার চেয়েও বড় বিষয়, মিহি ত এখনো ওকে ভালই বাসে না। যদি এখন মিহি সত্যিই ওকে ছাড়তে চায়! তাহলে?
নাকমুখ ঘেমে উঠেছে এরোনের। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা হয়ে গেছে একদম।
মিহিকে আমতাআমতা করতে দেখে ভ্রু কুচকে ফেললেন জোয়েল সাহেব। বললেন, “কই? আসো?”
মিহি ম্লান মুখে তাকালো ওর বাবার দিকে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। পা নড়ছেই না। অসাড় হয়ে আছে।
“ভয় নেই তোমার। আমি থাকতে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আর কিছুই হবে না। আমি হতে দেবো না। চলে আসো।” গম্ভীরমুখে আশ্বাস দিয়ে বললেন জোয়েল সাহেব।
মিহি ঢোক গিলে আড়চোখে তাকালো এরোনের দিকে। এরোন বিচলিত থমথমে মুখে তাকিয়ে আছে ওর দিকেই।
“আমার উপর ভরসা নেই তোমার?” মিহিকে সন্দিহান চোখে তাকিয়ে বললেন জোয়েল সাহেব।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগল মিহি। মনে হচ্ছে যেন পুড়ে যাচ্ছে ভেতরটা। কাঁপা হাতটা সোফার হ্যান্ডেলে রাখতে না রাখতেই মিহির অন্যহাতটা খপ করে ধরে নিলো এরোন।
মিহি চমকে তাকালো এরোনের দিকে। সে রুষ্ট চোখে তাকিয়ে আছে জোয়েল সাহেবের দিকে।
জোয়েল সাহেব অসন্তোষের সাথে তাকালেন এরোনের দিকে।
বাকিরা চিন্তিত মুখে তাকিয়ে রইল নিরব দর্শক হিসেবে। আজ একটা বড়সড় ঝামেলা যে হবে তা সবাই-ই মোটামুটি আঁচ করতে পারছে।
এরোন দাঁড়িয়ে পড়লো মিহির হাত ধরে। গম্ভীর তবে যথেষ্ট ভদ্রভাবে বলল, “বিয়ে করেছি আমি ওকে। আইন মোতাবেক ও আমার বউ এখন। ওর উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে আমার। সেই অধিকার থেকেই আমি ওকে নিয়ে তবেই যাব।”
জোয়েল সাহেব চোখ মুখ কুচকে ফেললেন৷ গমগমে গলায় বললেন,”আমি এবার সত্যিই পুলিশ…।”
“প্রেগন্যান্ট ও।”
এরোনের শেষোক্ত কথায় থমকে গেল উপস্থিত সবাই। মিহি চোখ বড়সড় করে তাকালো এরোনের দিকে।
“এখন দয়া করে ওর উপর এসব প্রেসার না ক্রিয়েট করলেই বরং ভালো। ওর সাথে সাথে আমার বাচ্চাও তাহলে সাফার করবে।”
জোয়েল সাহেব ভালোভাবে তাকালো মিহির দিকে। শুরু তিনি নন বাকিরাও।
মিহি লজ্জায় চোখমুখ কুচকে মাথা নুয়ে ফেলল একদম।
“আশা করি বুঝতে পারছেন কি বলছি। তাই দয়া করে আমার বউ, বাচ্চা আমাকে নিয়ে যেতে দিন।”

থমকেই তাকিয়ে রইলেন জোয়েল সাহেব। তাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে এরোন গটগট করে বেরিয়ে এলো মিহিকে নিয়ে।
সোজা গাড়িতে নিয়ে বসিয়ে দিয়ে নিজেও এসে বসলো। ঠান্ডা ভাবে কথাগুলো বলে আসলেও ভিতরে ভিতরে তোলপাড় এখনো চলছে। হৃদপিণ্ডটা এখনো মারাত্মকভাবে লাফাচ্ছে। দেরি না করেই গাড়ি স্টার্ট দিল সে। তাকালো একবার মিহির দিকে।
মিহি নিজের কোলের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে আছে।
ও কি চায়? থাকতে চায় নাকি চায় না? এমন চুপচাপ বসে আছে কেন?
সেদিনের মত কি আজও কাঁদবে? বলবে ‘বাসায় যাব। আমার বাবা মায়ের কাছে দিয়ে আসুন আমাকে। আমি ভালোবাসিনা আপনাকে। আর না কোনোদিনো বাসবো।’
গলা শুকিয়ে আসছে এরোনের। মিহি এটা চাইলে ত ওর বাবা সত্যিই নিয়ে যাবে ওকে। তখন? তখন ত জোর করেও রাখা যাবে না।
ভেবেই দম বন্ধ হয়ে আসছে আবার। ভয় হচ্ছে। হারিয়ে ফেলার ভয়।
চিন্তায় চিন্তায় অনেকদূর এসে গাড়ির ব্রেক কষলো এরোন।
মিহি ভ্রুকুটি করলো। এরোনের দিকে তাকাতে না তাকাতেই সে গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। মিহি দৃষ্টি ঘুরিয়ে ওকে দেখতে দেখতেই ও এসে দরজা খুলল এপাশের। হাত ধরে টেনে বের করে আনলো মিহিকে।
মিহি সন্দিহান কন্ঠে কিছু বলার আগেই এরোন শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ওকে। হতবুদ্ধি হয়ে গেল মিহি।
রাস্তার মধ্যেখানে!
সরিয়ে দিতে চেয়েও দিলো না মিহি। ঘন ঘন নিতে নিতে ওকে আরো আঁকড়ে ধরছে সে। নিঃশ্বাসের সেই শব্দ কানে আসছে মিহির। এমন কেন করছে সে?
“তোমার বাবার থেকে তোমাকে দূরে সরানোর ইচ্ছা আমার না। আমি তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি এতদিন, এমনকি এখনো করছি আর করবও। সে যা বলবে সব করব। কিন্তু তোমাকে ছেড়ে দিতে পারব না।” কন্ঠ কেঁপে কেঁপে উঠলো তার। অস্থির হয়ে উঠল সে।
“একদম পারব না। একদম না।” মিহির কাধে মুখ গুজে বারবার আওড়াতে লাগলো এই কথাটা।
“যেও না। তুমি কিন্তু কথা দিয়েছ আমায়।” বারবার বলতে লাগল সে।
মিহির অবাক হয়ে গেল। তার এই বাচ্চাদের মত ব্যবহার ভিতরটা আন্দোলিত করল যেন।
“কথা দিয়েছ কিন্তু।” ব্যকুল হয়ে উঠল সে।
মিহি আলতো করে এরোনের কাধে হাত রেখে নিচু গলায় বলল, “যাব না।”
এই দুটো অক্ষর যেন একটু শান্ত করল অশান্ত মন।
“সত্যি?”
“হুম। সত্যি।”
এতক্ষণে শান্ত হলো সে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আরো কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকলো মিহিকে।
মিহি চোখ বন্ধ করে ওর বুকের সাথে মিশে রইল। হাসির রেশ ফুটলো মুখে।
“আমি চাই তুমি সত্যি সত্যি প্রেগন্যান্ট হও।”
আচমকা এমন কথা শোনায় থতমত খেয়ে গেল মিহি। স্বর শুনে ত মোটেই রসিকতা মনে হলো না। তাই ইতস্তত করে মাথা তুলে তাকালো এরোনের দিকে।
হ্যাঁ সে মজা করছে না। মুখোভাব দেখেই তা আরো স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
চোখে চোখ পড়তেই লজ্জায় মাথা নামিয়ে নিলো মিহি।
“তোমার বাবার জন্যই ত যত সমস্যা। যা ঘাড়ত্যাড়া বাপ তোমার! ভাবা যায়? এতদিনেও গললো না? কি জিনিস রে বাবা! দয়ামায়াহীন।” হালকা বিরক্তমাখা গলায় বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল এরোন।
মিহি চোখ বাঁকিয়ে তাকালো এরোনের দিকে। ওর সামনেই ওর বাবার নামে কটুক্তি করছে মানুষটা।
“সে অতটাও খারাপ না।” ধীর গলায় প্রতিবাদ করে বলল মিহি।
“বুঝে গেছি তা আমি। আর রিস্ক নেবো না। তাই তোমাকে আগে প্রেগন্যান্ট বানাবো তারপর রিপোর্ট দিয়ে আসব আমার ওই দজ্জাল শ্বশুরকে।” তেড়ছা ভাবে বলল এরোন।
চোখ রসগোল্লার মত হয়ে গেল মিহির। এই লোকের মুখে যত উদ্ভট কথাবার্তা। কীভাবে বলে?
“সরুন আপনি।” মিনমিনে গলায় বলে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইল মিহি।
এরোন মৃদু হেসে বলল, “আমি মজা করছি না। তোমার বাবাকে মোটেও বিশ্বাস নেই। তাই একটা বাচ্চা চাই আমি। তাহলে যদি ওই লোকের মন একটু গলে!”
মিহি ঠোঁট কামড়ে ধরে এদিক ওদিক তাকাতে লাগল।
এরোন নিঃশব্দে হাসলো। মুখ এগিয়ে ঠোঁট ছোঁয়ালো ওর মাথায়। এতে ঠোঁটে সুক্ষ্ম হাসি ফুটে উঠল মিহির। মাথা নুয়ে থাকায় এরোন দেখতে পেল না সেটা।
এরোন গাড়ির দরজা খুলে মিহিকে বসালো। নিজেও এসে বসে আবার গাড়ি স্টার্ট দিল।

মধ্যরাতের চেয়েও বেশি বেজে গেল ওদের বাসায় ফিরতে। কয়েকবার কলিং বেল দিতেই দরজা খুলে গেল।
এরিক খুলেছে।
সে মিহি আর এরোনের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,”এত রাতে ফিরে এলি যে?! আর মা বাবা কই?”

শেষ প্রশ্নটা শুনে থমথমে হয়ে গেল এরোনের মুখ। আজ তারা মহা ঝামেলা পাকিয়েছে। না জানিয়ে আগ বাড়িয়ে মাতব্বরি করা যাকে বলে।
“জানিনা। সর। ঢুকতে দে ভিতরে।” বলল এরোন।
এরিক সন্দিহান চোখে তাকিয়ে সরে দাঁড়ালো।
এরোন ঢুকলো৷ পিছুপিছু গুটিগুটি পায়ে মিহিও ঢুকলো।
বাবা মায়ের মিহিদের বাসায় যাবার কথা ছিল। এটা এরিক সকালেই খেলতে বের হবার আগেই শুনেছিল৷ তারপর কি হলো? সমস্যা হলো নাকি কোনো? হাবভাবে ত মনে হয়, হয়েছে।

মিহি আজ কোনোরকম ঝামেলা না করে চুপচাপ এরোনের রুমেই এলো।
এরোন মুচকি হেসে বলল, “তুমি এখানে ফ্রেস হও আমি অন্য রুমে যাচ্ছি। তোমার সবকিছু কাবার্ডেই আছে।”
মিহি একপলক তাকিয়ে মাথা হালকা নাড়িয়ে সায় দিলো।
“ঠান্ডা লাগিও না।” বলতে বলতে বেরিয়ে গেল এরোন।

মিহি অল্প সময়েই গোসল সেরে বেরিয়ে এলো। মাথা মুছতে মুছতে বারান্দার দরজার টাঙানো হ্যালোকিটি ডোরহ্যাংগিং -টার সামনে এসে দাঁড়ালো।
গোলাপি, সাদা, লাল ও কালো এই চার রঙের পমপম দিয়ে চারটা আলাদা আলাদা হ্যালোকিটি। যা রঙিন সুতোয় বেঁধে বেঁধে ঝুলানো। সাথে কিছু রঙিন কাগজের ব্যবহারও আছে।
মিহি মৃদু হেসে পুতুলগুলো ছুঁয়ে দেখতে লাগল। তুলতুলে নরম।
“পছন্দ হয়েছে?”
আচমকা চেনা স্বর কানে আসতেই সামান্য চমকে উঠল মিহি। ঘুরে তাকাতে না তাকাতেই পিছন থেকে কোমড় জড়িয়ে ধরলো সে। মিশে এলো ওর শরীরের সাথে।
এলোমেলো দৃষ্টিতে সামনে মুখ ঘুরালো মিহি।
এরোন ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিতে দিতে বিমোহিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,”হয়ে নি পছন্দ?”
মিহি হালকা শিউরে উঠল। এরোনের হাতের উপর হাত রেখে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে নিচু করে বলল, “ছাড়ুন, কেউ আসলে ক…?”
“কেউ আসবে না।” বলে আলতো করে অধর ছুঁয়ে দিলো এরোন।
শিরশির করে উঠলো মিহির পুরো শরীর। চোখ বন্ধ করল ও।
এরোন কোমড় জড়িয়েই নিজের দিকে ফিরালো ওকে। মিহি চোখ বন্ধ করেই রাখলো।
এরোন মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে কপালের ভিজে চুলগুলো সরালো।
মিহি চোখ খুলল ধীরে ধীরে। কিন্তু এরোনের দিকে তাকালো না।
এরোন মুচকি হেসে ওর মিহির ঠোঁটের দিকে ঝুঁকতে না ঝুঁকতেই এরিক ঢুকতে ঢুকতে বলল, “শোন…”
হঠাৎ এরিকের কন্ঠ শুনে অপ্রস্তুত হয়ে গেল ওরা দুইজনেই।
বিষয়টা বুঝে এরিক নিজেও খানিক ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।
মেকি হেসে বলল,”oops! wrong timing!”
মিহি অতিরিক্ত লজ্জায় ছিটকে সরে গিয়ে বারান্দায় পালালো।
এরোন মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে সামলে পিছনে ফিরলো। সরু চোখে তাকিয়ে বলল,”নক করে আসতে পারিস না?”
“দরজা আটকাতে পারিস না! লক নষ্ট?” দরজার লকটা ব্যস্ত ভঙ্গিতে দেখতে দেখতে বলল এরিক।
এরোন ভ্রুকুটি করে তাকালো।
“আরকি তোর বিয়ে হয়ে গেছে এটা মনে থাকে না।” প্রসস্থ করে হাসলো এরিক।
“যাইহোক, খাবার গরম করেছি। জলদি আয়। ঠান্ডা হলে আমার দোষ নাই।” বলতে বলতে বেরিয়ে গেল এরিক।
কপালে আঙুল ঘষে বারান্দার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো এরোন। এগিয়ে গেল বারান্দায়।
মিহি সম্পূর্ণ লাল হয়ে এক কোনে দাঁড়িয়ে তিরতির করে কাঁপছে। এইটুকু সময়ে ঘেমে টেমেও একাকার হয়ে গেছে মেয়েটা। আজ ত মনে হয় নিচে যেতেই পারবে না ও। এমনকি এরিকের সামনেও কিনা আর যেতে না চায়।

?
এরোন ভাতের প্লেট ঘরে নিয়ে এলো। মিহি এখনো বারান্দায়। ঘরে আসেনি।
এরোন বারান্দার কাছে এগিয়ে গিয়ে মোলায়েম গলায় বলল,”ভিতরে আসো। খাবা না?”
মিহি আড়চোখে তাকালো শুধু একবার। চেহারায় এখনো রক্তিম ভাব।
এরোন হাসি চেপে আশ্বস্ত করে বলল,”দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। আসো।”
মিহি দাঁতেদাঁত চিপলো। মান সম্মান ডুবিয়ে এখন দরজা বন্ধ করে কি লাভ?
এরোন এগিয়ে এসে ওর হাত ধরে বলল,”এরপর থেকে দরজা আটকে নিবো। আসো।”
মিহিকে ভেতরে নিয়ে এলো এরোন। বিছানায় বসিয়ে প্লেট হাতে নিলো।
ভাত মাখিয়ে মিহির মুখের সামনে ধরতেই অবাক হয়ে তাকালো মিহি।
“কি? হা করো। হা।” ভ্রু উঁচিয়ে বলল এরোন।

(চলবে…)

(পরের পর্ব বৃহস্পতিবার। চেষ্টা করবো শনিবারের পর থেকে রোজ গল্প দিতে?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here