খোঁজ পর্ব ২

0
716

#খোঁজ দ্বিতীয়_পর্ব
#লেখক_মোঃ_কামরুল_হাসান

বাথরুমের দরজা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি, অদিতি কি এমন পা*গলামি করেছে সেখানে? যার জন্য আমার শ্বাশুড়ি কেঁদে কেটে বলছেন, সর্বনা*শ হয়ে গেছে!

অনেক চিন্তা করেও ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না আমি। তাই কৌতুহল চেপে রাখতে কষ্ট হচ্ছে আমার। মনে হচ্ছে এখনই গিয়ে শ্বাশুড়ি আম্মা কে জিজ্ঞেস করি, সেখানে গিয়ে কি এমন করেছে আপনার মেয়ে? যাতে করে আপনার সর্বনা*শ হয়ে গেছে?

কিন্তু কাজটা এখনই করতে পারছি না! তাহলে যে প্রমাণ হয়ে যাবে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে শ্বাশুড়ির কথা শুনছিলাম। তাই চুপ করে বাথরুমের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কথা শোনার জন্য কান পেতে রইলাম।

এমন সময় তরু এসে জিজ্ঞেস করে মা তুমি রান্না ঘরে এতো রাতে কি কর? আমার শ্বাশুড়ি কোন জবাব না দিয়ে তরুর কাছে এগিয়ে আসতে লাগলেন। আমি তার পায়ের শব্দ স্পষ্ট শুনতে পেলাম।

তরু অবাক হয়ে আবারও জিজ্ঞেস করে, তোমার চোখে পানি কেন মা! কি হয়েছে তোমার ? এতো রাতে বিছানা ছেড়ে রান্না ঘরে এসে কাঁদছো কেন? তোমার কি শরীর ভালো নেই মা!

তরুর প্রশ্নের জবাব পেয়ে তরু একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেল, আমার কাছে তাই মনে হলো। শ্বাশুড়ি ধমকে উঠে বলে, তোদের জ্বালায় কোথাও গিয়ে আমার একটুখানি শান্তি নেই! এখানে কি জন্য মরতে এসেছিস? মরার আর জায়গা পেলি না!

তরু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, মা! তুমি আমার সাথে এমন আচরণ করছো কেন? আমি আবার কি করলাম? তিনি মেয়ের উপর রা*গ করে বলেন, তুই আবার কি করবি? কিছু করিস নি। যা কপালে আছে তার বেশি কোথায় পাবো আমি? এতো রাতে এখানে ঘুরঘুর করছিস কেন তাই বল? তরু মায়ের এমন আচরনের কারণে বিরক্ত হয়ে বলে, দুলাভাইয়ের ঘরে আলো জ্বলছে দেখে দরজা খুলে দেখি তার ঘরে তিনি নেই!

তাই ভাবলাম, তিনি এতো রাতে কোথায় গেলেন? একটু দেখে আসি। আমার শ্বাশুড়ি হঠাৎ তরুকে তাড়া দিয়ে বলেন, যা নিজের ঘরে যা! জামাই মনে হচ্ছে ছাদে গেছে। সে ছাদে নেই মা! আচ্ছা যা, তুই তোর ঘরে যা! আমি খুঁজে দেখছি।

বিয়ে করার পর থেকেই দেখছি আমার শ্বাশুড়ি অতি মাত্রায় চালাক একজন মানুষ! বুঝতে পারলাম তিনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, আমি বাথরুমের ভিতরে আছি। তাই তিনি কোন কিছু প্রকাশ পাবার আগেই তরু কে নিয়ে চলে গেলেন।

এখন তরুর উপর ভীষণ রা*গ হচ্ছে আমার। মেয়েটা যদি এখানে না আসতো তবে, এতোক্ষনে আমি সব কথা শুনে ফেলতাম! শ্বাশুড়ি আমার এখন আরও সাবধান হয়ে যাবে। অদিতি নিশ্চয়ই একটা কিছু করেছে, যা আমার কাছে বলা যায় না!

কিন্তু কি সেটা? আগের ও এখনকার আচরণের কারণে মনে হচ্ছে শ্বাশুড়ির গলা টি*পে ধরে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে খুলে বলেন না কেন আপনি? আমার সাথে এমন লুকোচুরি খেলছেন কেন? কিন্তু এর কিছুই আমি করতে পারলাম না। তাই বাথরুম থেকে বেরিয়ে সোজা বিছানায় গিয়ে বালিশটা মাথার উপর চেপে ধরে শুয়ে পড়লাম।

হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধির উদয় হলো। আমার অতি চালাক শ্বাশুড়ি তো সহজে আমাকে অদিতির কাছে যাওয়ার ঠিকানা দিবে না! তাই কৌশলে আমি আমার শ্যালক জাহিদের কাছ থেকে সেটা জেনে নিবো। এটা ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরদিন শ্বাশুড়ির সামনে পড়তেই তিনি যেনো আমাকে দেখে কিছুটা চমকে উঠলেন। আমার চোখে তাই মনে হলো। আমি নাস্তা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মা! আজ মনে হচ্ছে অদিতি এসে পড়বে তাই না? তিনি আমার কথার জবাব দিতে গিয়ে কি যেনো ভেবে নিলেন। তারপর বললেন, বাবা সায়েম তুমি আমার মেয়ে কে অনেক পছন্দ কর, সেটা আমি জানি। তাই কথাটা তোমাকে কিভাবে বলবো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।

আমি শ্বাশুড়ির মুখে এমন কথা শুনে বুঝতে পারলাম তিনি কাল রাতের ঘটনাটা আর চেপে রাখতে পারছেন না। তাই আমার কাছে না লুকিয়ে বলতে চাইছেন। কিন্তু তার মনের ভিতরে একটা দ্বিধাদ্বন্দ কাজ করছে।

আমি বললাম, কোন সমস্যা নেই আম্মা! আপনি আমাকে নিজের ছেলের মতোই মনে করবেন। যা বলতে চান নির্দ্বিধায় আমাকে বলতে পারেন। বলুন আম্মা, কি বলতে চান আপনি? হ্যা বাবা! আমিও তোমাকে নিজের ছেলের মতোই মনে করি।

তাইতো প্রথম দেখাতেই যখন তুমি অদিতি কে পছন্দ করে ছিলে, তখন আমিও তোমাকে ফিরিয়ে দেইনি বাবা! তোমাদের দু’জনকে মানিয়েও ছিলো বেশ! তুমি পুরুষ মানুষ অনেক কিছু সহ্য করার ও সহজভাবে নেওয়ার ক্ষমতা তোমার আছে মনে করি! আশা করি আমার কথাগুলো শুনে তুমি আমাকে সাহায্য করবে? রাগ করবে না।

আমি হেসে জবাব দিলাম, হুম! আপনি একটা কথা বলবেন, আর আমি রাগ করবো! সেটা কেমন করে ভাবলেন আম্মা? তোমাকে এই কথাটা কিভাবে বলবো, তাই ভেবে কাল রাতে আমার দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি বাবা!

আপনি বলে ফেলুন তো আম্মা! কি বলতে চান? এতো কৈফিয়ত আমাকে দিতে হবে না। আমি সেই রকম ছেলে না! আমার সামনে থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে তিনি পানি পান করলেন। আমি উনার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, সত্যি তিনি কাল রাতে এক ফোটাও হয়তো ঘুমান নি? উনার চোখ দুটি কেমন ফোলা ফোলা লাগছে!

তাই দেখে উনার উপর আমার কেমন যেনো একটুখানি মায়া লাগলো। তাই বললাম আপনি আমাকে বলতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আপনি যাই বলুন না কেন? আমি শান্ত থাকবো!

এই কথা শুনে আমার শ্বাশুড়ি আমার সামনেই কেঁদে ফেলে বললেন, বাবা সায়েম! গতকাল থেকে অদিতি নিখোঁজ! অনেক খোঁজ খবর নিয়েও ওর কোন হদিস পাওয়া যায় নি!

এমন খবর শুনতে হবে আশা করিনি! তাই কি বলবো নিজেই বুঝতে পারলাম না। যদি আর কোনদিন ওঁকে না পাওয়া যায় বাবা? আমি নিজের অজান্তেই কেঁপে ওঠে বললাম, না এটা হতে পারে না। আমি যেখান থেকেই হোক ওঁকে খুঁজে বের করে আনবো। অদিতি কে ছাড়া আমার চলবে না!

নাস্তাটা তারাতাড়ি শেষ করে রেডি হয়ে গেলাম। তারপর শ্বাশুড়ি কে গিয়ে বললাম, চলুন আমার সাথে। শ্বাশুড়ি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাবো? উনার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আমি আশ্চর্য না হয়ে পারলাম না! পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাবেন মানে?

আপনার মেয়ে কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! আপনি তাঁকে খুঁজে পেতে চান না? আমার কথায় তিনি সহজ কন্ঠে জবাব দিলেন, হ্যা অবশ্যই চাই বাবা! সেই জন্যই তো আপনার বড় বোনের বাড়িতে যেতে হবে আপনাকে। ঘরে বসে থাকলে কি তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাবে? কে জানে সে কোন বি*পদে পড়েছে?

তুমি গিয়ে কি করবে বাবা? সেখানে আপার দেবরের ছেলেরা খাওয়া দাওয়া এমনকি ঘুমের তোয়াক্কা না করে অক্লান্ত পরিশ্রমের সাথে অদিতি কে খুঁজে চলেছে। সেখানে তুমি আর আমি গিয়ে কি করতে পারবো?

আমি দৃঢ়ভাবে বললাম, ওদের সাথে আমিও অদিতি কে খুঁজে বের না করা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসবো না। যদি তবুও না পাই তবে পুলিশের কাছে যাবো। হঠাৎ পুলিশের কথা শুনে আমার শ্বাশুড়ি আঁতকে উঠে বলে, সে কি বাবা! আবার এরমধ্যে পুলিশকে জড়াতে চাইছো কেন? এবার আর নিজেকে সামলিয়ে উঠতে পারলাম না,আমি!

জিজ্ঞেস করলাম পুলিশের কাছে গেলে কি সমস্যা আপনার? শ্বাশুড়ি গম্ভীর কন্ঠে জবাব দিলেন, তবে কি লোকের সামনে মুখ দেখাতে পারবো? পারবো না বাবা! মান সম্মান বলে আর কিছু থাকবে না আমাদের! তুমি আগেই এমন কথা মুখে এনো না সায়েম।

উনার কথা শুনে আমার মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেছে। মনে হচ্ছে জিজ্ঞেস করি তাকে, সত্যি কি অদিতি কে আপনি পেটে ধরেছেন? আপনার মেয়ে সে! কিন্তু সেগুলো আমার মুখে এলোনা। বললাম আপনার মেয়ে হারিয়ে গেছে! আর আপনি আছেন কি-না মানসম্মান নিয়ে! লোকে কি বলবে সেই কথা নিয়ে?

চুলোয় যাক লোকের কথা! শ্বাশুড়ি আম্মা গম্ভীর কন্ঠে বলেন, তবুও বাবা! আগেই এতো ঢাকঢোল পিটানোর কি দরকার? বুঝতে পারলাম আমার কথা হয়তো তিনি বুঝতে পারছেন না, নয়তো আমি উনার কথা?

তাই বললাম, আমি যাচ্ছি অদিতির খোঁজে। আপনার ইচ্ছে হলে আপনিও আমার সাথে আসতে পারেন। আর যদি ইচ্ছে না করে বাড়িতে বসেই মেয়ের ফিরে আসার অপেক্ষা করুন!

তিনি আমার এমন কথা শুনে মনে হচ্ছে হুঁশ ফিরে পেলেন। বললেন আমিও তোমার সাথে যাবো বাবা! একটু অপেক্ষা কর আমি রেডি হয়ে এক্ষুনি আসছি।

শ্বাশুড়ি কে সাথে নিয়ে চললাম অদিতির খোঁজে। ওর বড় খালার বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম। ওর খালাম্মা সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিক। আমাকে ড্রইং রুমে বসিয়ে রেখে উনারা দুই বোন ভিতরের রুমে চলে গেলেন। সেখানে কি আলাপ হচ্ছে তার কিছুই আমি শুনতে পেলাম না। আর অপরিচিত জায়গায় উঁকি ঝুঁকি পর্যন্ত দিতে সংকোচ হতে লাগলো। কাজেই সেখানে বেকার বসে থাকতে আমার মুটেও ভালো লাগছিলো না।

তাই চিন্তা করে দেখলাম, এখানে বাড়িতে বসে ওর খোঁজ করা সম্ভব নয়! বাইরে গিয়ে অদিতির খোঁজ করতে হবে।সে যখন ছোট থেকে এখানে বড় হয়েছে। তবে তার বন্ধুবান্ধব এখানে নিশ্চয়ই থাকার কথা? এটাই ওঁকে খুঁজে বের করার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে।

তাই আমার শ্বাশুড়ি আমার সামনে এলেই তাঁকে বললাম, আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসছি। তিনি কৌতুহলের সাথে জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাবে? তুমি তো এখানে তেমন কিছুই চিনো না,বাবা। নিশ্চয়ই তোমার অনেক সমস্যা হবে? আমি তোমার সাথেই যাবো!

আমি হেসে জবাব দিলাম আমার কোন সমস্যা হবে না,আম্মা। আপনি শুধু শুধু চিন্তা করবেন না। আমি তো আর ছোট বাচ্চা নই যে, হারিয়ে যাবো? না বাবা! তবুও আমি তোমাকে একা ছাড়তে রাজি নই।আমি তোমার সাথেই যাবো!

উনার এমন আচরণ দেখে আমার হঠাৎ মনে হচ্ছে তিনি আমার জন্য চিন্তা করে নয়। আমাকে তিনি পাহারায় রাখতে চাইছেন! কিন্তু কেন তিনি এমন করছেন? সেটাই আমাকে খুঁজে বের করতে হবে।

আমি এক ফাঁকে শ্বাশুড়ির চোখে ধূলো দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। পাড়ার এক দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে ধোঁয়া ছেড়ে দোকানিকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করে সাধারণ আলাপ জমাতে থাকলাম। পরে এ-সব কথার ফাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আতিক রহমান সাহেবের জিনিস পত্র আপনার দোকান থেকে নিয়ে যায় নাকি অন্য কোন দোকান থেকে?

দোকানি গর্বের সঙ্গে বলে, তারা সব জিনিস আমার দোকান থেকেই কিনে নিয়ে যায়। অন্য দোকানের মাল তাদের পছন্দ নয়! আমি তো দুই নাম্বার জিনিস বিক্রি করি না।

মোবাইলে অদিতির ছবিটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ওঁকে চিনেন? জ্বি, জ্বি, উনি তো অদিতি আপা! চিনবো না কেন? তবে অনেক দিন দেখি নাই তারে! জিজ্ঞেস করলাম কেন? দোকানী হেসে বলে, মেয়ে মানুষের বিয়ার পরে কি আর স্বাধীনতা থাকে?

তিনি এদিকে বিয়ার পরে আর আসে নাই! আমি অবাক হয়ে বললাম, অদিতি কতোদিন ধরে বেড়াতে এসেছে। অথচ আপনার এখানে আসেনি? এবার দোকানী আশ্চর্য হয়ে গিয়ে বলে, কই তাকে তো একবারও দেখলাম না আমি!

আমিও ঠিক বুঝতে পারলাম না, অদিতি এতোদিন ধরে এখানে এসেছে। অথচ বাড়ির পাশেই দোকানদার তাঁকে দেখেনি? যাইহোক অদিতির বন্ধু অথবা বান্ধবীর খোঁজ করাই আমার উদ্দেশ্য। তাই জিজ্ঞেস করলাম, ভাই আপনার অদিতি আপার কোন বান্ধবীর ঠিকানা জানেন?

দোকানী মিথিলাদের বাড়িটা দেখিয়ে দিলো। বেশি দূরে নয়। মিথিলাদের বাড়িটা মোটামুটি কাছেই।ওদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ করতেই পেয়ে গেলাম তাঁকে। আমি অদিতির স্বামী শুনে মিথিলা সাদরে গ্রহণ করে আমাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলো। সাধারণ আলাপ শেষে মিথিলা জিজ্ঞেস করে, অদিতি এলো না কেন? আর আপনি এদিকে কি মনে করে এলেন?

জবাবে মিথিলার দিকে তাকিয়ে জবাব দিলাম, অদিতির মুখে আপনার অনেক নাম শুনেছি। তাই এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম যখন, তখন দেখা করে গেলাম। মিথিলা জিজ্ঞেস অদিতি আর আপনি একসাথেই বেড়াতে এসেছেন বুঝি? বললাম, নাহ্! অদিতি তো সপ্তাহ দুয়েক আগে এসেছে।

মিথিলা অবাক হয়ে বলে কই আমার সাথে তো একবারও দেখা হলো না! আমিও আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করি, কি বলেন, আপনার সাথে দেখা দেখা হয়নি? মিথিলা বলে, সত্যি! কথাটা শুনে আমি ভীষণ আশ্চর্য হলাম। অদিতি এতোদিন পরে এখানে এসেছে তবুও আমার সাথে দেখা করতে এলো না? সত্যি মানুষ অনেক বদলে যায়।

আমি কাজের তাড়া দেখিয়ে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম। খালা শ্বাশুড়ির বাড়িতে এসে সোফাতে বসে ভাবতে লাগলাম। অদিতির আসল ব্যাপারটা কি? তাহলে হয়তো গত পনের দিনের উপরে সে নিখোঁজ! তাই তো অদিতি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না! ভাবলাম, সেই কথাটা নিশ্চয়ই আমার শ্বাশুড়ি জানতেন? কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি। কিন্তু কেন উনার এই লুকোচুরি খেলা? তারপর আজ হঠাৎ আবার আমার সামনে কথাটা বলে দেবার কি কারণ?

যখন বাড়ির কাজের মহিলার কাছে জানতে পারলাম, সেও অদিতিকে দেখেনি। তখন আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, এখানে অনেক বড় কোন ঘটনা লুকিয়ে আছে। যেটা হয়তো আমার কল্পনার অতীত! তাই মনে মনে পণ করলাম, আমাকে তা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here