খোঁজ পর্ব ১০

0
439

#খোঁজ ১০ম_পর্ব
লেখক মোঃ কামরুল হাসান

অদিতির ছেঁড়া কাটা লা*শটা মেঝেতে পড়ে রয়েছে। মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই এটা সেই অদিতি? যার সাথে কদিন আগেও আমার সুন্দর সুখী একটা সংসার ছিলো! আমার দেওয়া সেই ড্রেসটাই পড়ে রয়েছে সে, যেটা কিনে আনার পরে অনেক খুশি হয়েছিল অদিতি। হাত ও গলায়, নাক ও কানে আমার দেওয়া গহনা গুলো এখনো সোভা বর্ধনের চেষ্টা করছে। শুধু তার দেহটা আজ নিথর রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ভাবতে কষ্ট হচ্ছে ওর সাথে কেউ এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারে? ভেবে অস্থির হলাম, অদিতি কার কি এমন ক্ষতি করে ছিলো,যার জন্য তাঁকে এতো বড় শাস্তি পেতে হলো?

অদিতির এমন করুণ পরিনতি দেখে নিজেকে আমি কোনভাবেই সামাল দিতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছে আমিও মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে গড়াগড়ি খাই। মনপ্রাণ উজাড় করে হাউমাউ করে কেঁদে মরি! কিন্তু আমি এর কিছুই করতে পারলাম না। আমি যে পুরুষ মানুষ! কান্নাকাটি করা কি আমাকে মানায়?

তাই নিরবে চোখের জল গাল বেয়ে নিচের দিকে পড়তে লাগলো। ভাবছি এমন ভাবে সে আমাকে কেমন করে ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে পারলো! আজ বড়োই আফসোস হতে লাগলো। একটিবার কেন সে আমাকে সঙ্গে নিয়ে এলো না! তাহলে হয়তো আজ তার এই পরিনতি হতো না?

একটু পরেই আমার শ্বাশুড়ি এসে উপস্থিত হলেন সেখানে। অদিতি কে এমন অবস্থায় দেখে তিনি আর সহ্য করতে পারলেন না। সেখানেই মেয়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লেন তিনি। আমার অদিতি বলে চিৎকার করে উঠেই জ্ঞান হারিয়ে মেয়ের উপর আবার পড়ে গেলেন। কয়েক জন মিলে তাকে পাশের রুমে নিয়ে গেল।

চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে হাত পাখায় বাতাস দিতেই তার হুঁশ ফিরে এলো। পুলিশ অফিসারের নির্দেশে অদিতির বডি পোস্টমর্টেম করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো। আমার শ্বাশুড়ি আর একবারও নিজের মেয়ের কাছে এলেন না! ততক্ষণে আমার শ্বাশুড়ি নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছেন। তার দিকে তাকিয়ে আমি অবাক হলাম। একটু আগেই তিনি ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক!

পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরে জানা গেলো। অদিতি কে প্রথমে গলা টিপে মারা হয়েছে। তারপরে তার মুখ ও শরীরে ধারালো ছুরি দিয়ে কাটাকুটি করা হয়।পুলিশের ধারণা অদিতির সাথে এমন করার কারণ হচ্ছে তার উপর প্রচন্ড ঘৃণা আর রাগের বহিঃপ্রকাশ! তাই মারা যাবার পরে-ও খুনি অদিতির মৃত শরীরের উপর তার ঘৃণার চিহ্ন একে দিয়েছে।

বুঝতে পারলাম না অদিতির উপর এতো ঘৃণা কেন মিথিলার বাবার? আর তিনি যদি খুনি না হন, তবে কে সেই পাষণ্ড? এই বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের পিছনে তার কি এমন উদ্দেশ্য থাকতে পারে?

হঠাৎই সবার মনে হলো মিতুলের কথা। কিন্তু সে কোথায়? তাকে তো কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এমনকি এখানে যে সে ছিলো তার কোন চিহ্ন পর্যন্ত নেই। কোথাও এমন কিছু নেই যা দেখে বোঝা যায় মিতুলের উপস্থিতি এখানে ছিলো? সেই বাড়ি থেকে শুরু করে আশেপাশে অনেক জায়গায় মিতুলের খোঁজ চললো।

কিন্তু কোথাও মিতুল কে পাওয়া গেল না। আশেপাশের কেউ এমন কোন বাচ্চা মেয়ে কে দেখতে পায়নি। পুলিশ অফিসার চিন্তিত হয়ে ভাবছেন, আকরাম খান যদি অদিতি কে খুন করে থাকে। তবে মিতুলের সাথে সে কি করেছে?

আকরাম খান কে রিমান্ডে নেওয়া হলো। উনাকে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে অনেক বার বিভিন্ন ভাবে অদিতিকে খুন করার কথা স্বীকার করানোর চেষ্টা করা হলো। কিন্তু তিনি কোনভাবেই অদিতি কে খুন করার কথা স্বীকার করলেন না। বারবার নিজেকে তিনি নির্দোষ বলে দাবী করলেন।

উল্টো পুলিশের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখলেন, আমি কেন শুধু শুধু একটা নিরীহ মেয়ে কে খুন করতে যাবো? আমার এতে কি স্বার্থ হাসিল হবে, আপনারাই বলুন স্যার? পুলিশের কাছে আকরাম খানের বিরুদ্ধে দাঁড় করবে এমন কোন শক্ত প্রমাণ নেই। তাঁকে সেখানে পিস্তল হাতে পাওয়া গেছে। একথা ঠিক কিন্তু খুনটা তো পিস্তল দিয়ে করা হয়নি। যে ছুড়ি দিয়ে খুন করা হয়েছে তা আশেপাশে কোথাও পাওয়া যায় নি!

সেটা পেলেও না হয় কথা ছিলো?

যদিও আকরাম খান ছাড়া সেখানে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে খুন করার অস্ত্রটা কোথায় উধাও হয়ে গেলো? কারণ আকরাম খান সেখান থেকে বেরুনোর আগেই পুলিশ ওখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। আকরাম খান বলে স্যার! আমি নিজেই তো বিপদের মধ্যে ছিলাম। আর আপনারা আসার আগ পর্যন্ত আমি জানতাম না, সেখানে আমি ছাড়াও আরও কেউ আছে! বিশ্বাস করেন স্যার?

আমাকে অনেক দিন ধরে তারা বিভিন্ন জায়গায় বন্দী করে রেখেছে। যদিও আমার এই জায়গা পরিবর্তন করার বিষয়টি আমি ঘরের ভিতরটা দেখেই বুঝতে পারতাম।

একেক সময় একেক রুম। চারপাশের শব্দেরও তারতম্য খেয়াল করেছি। কিন্তু তারা কখন আমাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যেতো তা আমি বুঝতে পারতাম না। মনে হচ্ছে তারা আমাকে নেশা জাতীয় কিছু খাওয়াতো?

আমার ধারণা অনুযায়ী আমাকে গতকাল এখানে নিয়ে এসেছে তারা। কারণ গতকালের আগে আমি অন্য আরেকটা রুমে ছিলাম। হঠাৎ চোখ মেলে আমি দেখতে পাই আমার জায়গার পরিবর্তন করা হয়েছে। আর একটু পরেই আপনাদের আগমনের কথা বুঝতে পারি। আশ্চর্যের কথা, আগে আমার হাত-প বেঁধে রাখা হতো। কিন্তু আজই প্রথম নিজের হাত-প বাধাহীন দেখতে পেলাম। তাই তৎক্ষনাৎ পালানোর পথ খোঁজে পাওয়ার আকাঙ্খা জাগে মনের মধ্যে।

ঠিক তখনই দরজা ভাঙার শব্দ পাই আমি। তখন হাতের কাছে পিস্তল দেখতে পেয়ে নিজের অজান্তেই আত্মরক্ষার জন্য সেটা তুলে নিয়ে ছিলাম। দেখতে পেলাম দরজা টাও খোলা! তাই পালানোর পথ খুঁজতে সামনের ঘরে এসে দেখি অদিতি কে খুন করা হয়েছে!

অফিসার জিজ্ঞেস করে তা না হয় বুঝতে পারলাম। কিন্তু সেটা যে অদিতির বডি আপনি কেমন করে জানলেন? স্যার আপনাদের মুখ থেকেই ওখানে দাঁড়িয়ে আমি শুনতে পেয়েছি। মেঝেতে অদিতির লাশ পড়ে রয়েছে! অফিসার তার জবাব শুনে বলে, ঠিক আছে বলে যান।

আমি পালানোর রাস্তা খুঁজে পাওয়ার আগেই আপনারা দরজা ভেঙে আমাকে দেখতে পেলেন। কিন্তু স্যার! সেই খুনের জন্য আমি কোনভাবেই দায়ী নই। আমার পিছনে সময় দিলে তা শুধু নষ্টই হবে। আসল আসামি এই সুযোগে পালিয়ে যাবে। আমার মনে হচ্ছে স্যার আমাকে একটা ফাাঁদে ফেলা হয়েছে?

খুনি আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে নিজের রাস্তা খুঁজে নিয়েছে। আপনারা বিশ্বাস না করলেও এটাই বাস্তব সত্যি! রিমান্ডে নিয়ে আকরাম খানের উপর অনেক টর্চার করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সে মোটেও ভেঙে পড়েনি। বারবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। সে খুন করেনি। তাঁকে কেউ ফাঁদে ফেলতে এই ঘটনার অবতারণা করেছে!

পুলিশ তার কথা বিশ্বাস না করলেও। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। তারপর সে নিজেই অনেক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো। এমনকি তার জন্য লিখিত মুক্তিপণও দাবি করা হয়েছে! পুলিশ তাঁকে প্রমাণ ছাড়া বড়োজোর সন্দেহবশত আঁটকে রাখতে পারে। এর বেশি কিছু করতে পারবে না।

অবশেষে পুলিশ ধৈর্যহারা হয়ে বলে, তুমি যতোই চালাক হও না কেন? তোমাকে আমরা সহজে যেতে দিচ্ছি না! যদিও বর্তমানে আমাদের কাছে তোমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ নেই এটা ঠিক। কিন্তু তোমার অতীতের ঘটনার আলোকে তোমাকে একেবারে নির্দোষ বলে ছেড়েও দিতে পারি না। আমাদের বিশ্বাস কোন না কোন ভাবে তুমি অবশ্যই এই খুনের সাথে জড়িত। পুলিশ অফিসারের মুখে এমন কথা শুনে আকরাম খান বলেন।

স্যার! আমি জানি আমার মুখের কথা এখন আপনাদের বিশ্বাস হবে না। কিন্তু সত্যি বলতে আমি এর সাথে কোন ভাবেই জড়িত নই। শুধু শুধু আমাকে আপনারা সন্দেহ করছেন।

অফিসার জিজ্ঞেস করে, তুমি যদি জড়িত না হও, তবে কেমন করে সেখানে পৌঁছালে? আর তোমার জন্য দাবি করা মুক্তিপণ নিতে কেউ এলো না কেন? স্যার এর বিন্দুবিসর্গও আমি জানি না। হয়তো আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্যই সেই নাটক সাজানো হয়েছে?

অফিসার আকরাম খানের চুলের মুঠি ধরে বলে, আচ্ছা পরের ঘটনা না হয় সাজানো। কিন্তু হঠাৎ করেই তোমার নিখোঁজ হওয়ার রহস্য কি? আকরাম খান ব্যাথায় ককিয়ে উঠে বলে, স্যার! চুলটা ছেড়ে দেন। আমি সবকিছু খুলে বলছি!

আমার মেয়ে মিথিলা কে অপহরণ করার পরে আমি চোখ কান খোলা রাখছিলাম। আর চিন্তা করে বের করার চেষ্টা করছিলাম, কে আমার মেয়ে কে তুলে নিয়ে যেতে পারে? কারণ স্যার আমার পুরোনো শত্রুর কথা আমি নিজেও এখন প্রায় ভুলে গেছি। তাদের মধ্যে হয়তো কেউ এখনো মনের মধ্যে তা পুষে রেখেছে?

তাই আমি সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলছিলাম। একদিন হঠাৎ খেয়াল করলাম একজন আমার বাড়ির উপর সবসময় চোখ রাখছে! আমার বাসার সামনেই একটা চায়ের দোকানে বসে থাকে সে। আমাকে দেখলেই পত্রিকার পাতায় মুখ ঢেকে নেয়।

আমি যে বুঝতে পেরেছি। তা তাঁকে কোনমতেই বুঝতে দিলাম না। একদিন তার পিছু নিলাম। লোকটা শহরের শেষ প্রান্তে একটা ভাঙা বাড়িতে প্রবেশ করে। আমিও সাবধানে তার পিছুপিছু সেখানে গিয়ে পৌঁছে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলাম। কিন্তু তাঁকে আর কোথাও দেখতে পেলাম না। আমার কেন যেনো মনে হলো মিথিলা কে এখানেই রাখা হয়েছে।

কারণ সেখানে আমি মিথিলার অনেক পছন্দের একটা কলম খুঁজে পাই। যা সে সবসময় কাছে রাখতো। কিন্তু স্যার মিথিলা কে খুঁজে পাবার আগেই কেউ আমাকে পিছন থেকে আঘাত করে বসে। তারপর যখন আমার হুঁশ ফিরে আসে তখন আমি নিজেকে হাত-প বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করি। আমি তখন মিথিলার নাম ধরে চিৎকার করে ডেকে উঠি! তারপর আমাকে অনেক মারধর করা হয়।

অফিসার তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে, আর বলতে হবে না। বাকিটুকু আমরা জানি। ধরলাম সেটা নাটক ছিলো তোমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কে তোমাকে ফাঁসাতে চাইছে? অফিসার টেবিলের উপর লাঠির প্রচন্ড আঘাত হেনে জিজ্ঞেস করে, কে সে বলে ফেলো?

স্যার এরকম লোক একজন’ই কেবল আছে। যে সুযোগ পেলেই আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে ছাড়বে না। অফিসার অধীর আগ্রহে জিজ্ঞেস করে কে সে? স্যার আসলাম! একমাত্র সেই পারে আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে।

আর অদিতিকে খুনটা কে করলো তবে? সেটাও কি বলতে চাও, আসলাম করেছে? জ্বি স্যার! করতে পারে। কেন করবে সে এমন কাজ? কারণ স্যার এই অদিতির সাথে একসময় আসলামের গভীর প্রেম ছিলো। শুনেছি তাদের বিয়েও নাকি হয়েছিল।

অফিসার জিজ্ঞেস করে, তুমি বলতে চাও! অদিতি আসলামের প্রেমিকা ছিলো? জ্বি স্যার! আচ্ছা তাহলে শুধু প্রেমিকা বলেই আসলাম অদিতি কে খুন করেছে। এটাই বলতে চাও তুমি? না স্যার! তা কেন হবে? অফিসার হুঙ্কার ছেড়ে জিজ্ঞেস করে, তবে কি?

স্যার অদিতি যখন জানতে পারে আসলাম শুধু এলাকার সাধারণ গুন্ডা মার্কা ছেলে নয়। বরং সে একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। এমন কোন অপরাধ নেই যে আসলাম করতে পারে না। তখন তাকে ভীষণ ঘৃণা করতে থাকে। এবং একসময় তাকে অপমান করে অদিতি তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যায়।

আকরাম খানের কথা শুনে পুলিশ অফিসার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, তবে আসলামের সেই প্রেমিকা মিথিলার বান্ধবী অদিতিই ছিলো? জ্বি স্যার! আমি এই নিয়ে অদিতি ও আসলাম দুজনকেই সাবধান করেছিলাম কিন্তু কেউ আমার কোন কথা শুনেনি।

তবে মিতুল কি অদিতি ও আসলামের সন্তান? আকরাম খান একটুখানি ভেবে দেখে বলে, যতোদূর মনে পড়ে তাদের কোন বাচ্চা হয়নি। হলেও, আমি তা জানি না স্যার!

অদিতি যখন আসলাম কে অপমান করে তার বাবা-মায়ের কাছে চলে আসে তখন সারাদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরপাকর শুরু হয়। আর এই কারণে আসলাম রাতারাতি আত্মগোপন করে। এরপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। সে বেঁচে আছে না-কি মারা গেছে? তা কেউ বলতে পারে না!

তবে আমার মনে হচ্ছে স্যার, আসলাম এখনো বেঁচে আছে। আর এসব কিছুর মূলে তার হাত রয়েছে। অফিসার জিজ্ঞেস করে, যদি আসলাম বেঁচে থাকে! তবে সে কোথায় আত্মগোপন করে থাকতে পারে, সেই সমন্ধে তোমার কোন ধারণা আছে? জ্বি না স্যার! আচ্ছা তুমি আপাতত জেলহাজতেই থাকো। তোমার কথার সত্যতা কতোটুকু তা আমরা ঠিক খুঁজে বের করবো।

আকরাম খান অফিসার কে অনেক অনুনয় করে বলে, সত্যি বিশ্বাস করেন স্যার আমি অদিতির খুনের জন্য দায়ী নই! অফিসার পিছনে ফিরে তার দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে বলে, এখন চুপ করে থাকো। নির্দোষ প্রমাণ হলেই বাড়ি পাঠিয়ে দেবো!

পুলিশ অফিসার বুঝতে পারছে না, এই গেমটা কে খেলছে। আকরাম খান না-কি আসলাম নামের সেই কথিত সন্ত্রাসী? যার সমন্ধে তারা কেউ কিছু জানে না। লোকটা বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে? তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না!

লিটুর মুখে যখন অদিতির পুরান প্রেমের কাহিনি শুনলাম। তখন আমি দিশেহারার মতো আমার শ্বাশুড়ির কাছে এর জবাব চাইতে ছুটলাম। কি কারণে তারা মা মেয়ে মিলে আমার সাথে এমন প্রতারণা করলেন? তাদের কাছে কি এমন দোষ করেছিলাম আমি!

চলবে,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here