খুনশুঁটির কুঁড়েঘর পর্ব ৫

0
942

#খুনশুঁটির_কুঁড়েঘর❤️
#Writer:—#TanjiL_Mim❤️
#part:—05
.
.
?
“আচমকা আরিয়ানের সাথে ধাক্কা লেগে ওনার গায়ের উপর পড়ে যাই আমি’!!হর্ঠাৎ করে এমনটা হওয়াতে আরিয়ানও তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায় নিচে’!!এই মুহূর্তে আরিয়ান নিচে আর আমি তার উপরে…….

“আর আমার পিছনে তিশা আর রুহি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে’!!আর বলছেঃ

——–“বেশ হয়েছে আমাদের থেকে পালানো হচ্ছিল না যা হয়েছে বেশ হয়েছে…..

“ওদের কথা শুনে রাগ হচ্ছে আমার’!!ইচ্ছে করছে দুটোকে লাথি মেরে ফেলে দেই’!!

“কিছুক্ষণ আগে…….

“আমার গান শুনে তিশা রুহি দুজনেই আমার পিছনে দৌড়াতে লাগে’!!কারন আমার গান তাদের এত পছন্দ হয়েছে যে আমায় তারা পিটিয়ে নুবেল দিবে’!!আর তাদের দেওয়া উপহার থেকে বাঁচতেই রুম থেকে সোজা দৌড়ে আসতে নিলাম আমি’!!কিন্তু রাস্তার মাঝখানে যে একটা খাম্বা দাঁড়িয়ে থাকবে কে জানতো’!!পিছন দিকে তাকিয়ে দৌড়াতে ছিলাম আমি’!!তারপর বাকিটা ইতিহাস…….

“এই মুহুর্তে ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছি আমি’!!জানি এখনি আরিয়ান আমায় চেঁচিয়ে বলবে…….

———“ইউ ইস্টুপিট গার্ল চোখে কি দেখ না নাকি…….

“একরাশ ভয় এসে গ্রার্স করলো আমায়’!!আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!তারপর আরিয়ান কি বলবে তার আগেই আমি চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———-“সরি সরি ভাইয়া আসলে আমি আপনাকে দেখতে পাইনি…….

———“তা দেখবে কেন চোখ তো তোমার মাথার পিছনে থাকে…….

———”চোখ গুলো পিছনে থাকলেই ভালো হতো তাহলে আপনাকে দেখতে পেতাম (জোরপূরক হেঁসে)

———“তোমার ইস্টুপিট কথা বার্তা বাদ দিয়ে উঠো আমার উপর থেকে…….(চেঁচিয়ে)

“আরিয়ানের কথা শুনে দাঁতে কামড় দিলাম আমি’!!

———“যা গায়ের উপর থেকে না উঠে খালি খালি বক বক করছি……

“তারপর আস্তে আস্তে উঠে পরলাম আরিয়ানের উপর থেকে…..

“তারপর আরিয়ানও উঠে দাঁড়ালো’!তারপর বলে উঠলঃ

————“তোমার ওজন কতো বলো তো!!

————“আমার ওজন এই তো বেশি না ৫ কেজি…….

————“ওই আমায় কি বোকা পেয়েছো তোমার ওজন পাঁচ কেজি……

———–“আপনি বোকার মতো প্রশ্ন করলে আমি বোকার মতো উওর দিবো না……

———-“আমি কি বোকার মতো প্রশ্ন করছি “লাল মরিচ”…..

———“ওই আপনি কথায় কথায় লাল মরিচ কেন বলেন আমার সুন্দর একটা নাম আছে সেইটা বলে ডাকবেন……

“এমন সময় সেখানে উপস্থিত হলো তুলি আফায় সে এসেই বললো আরিয়ানকেঃ

———“তুই আবার এই মেয়েটার সাথে কথা বলছিস……

“তুলির কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ

———–“আমার সাথে কথা বললে কি ওনার মানসম্মান প্লাস্টিক হয়ে যাবে নাকি……

“আমার কথা শুনে তুলির সোজা উওর……

———–“ওতো কিছু জানি না আরিয়ানকে বারন করেছি ব্যস…..

“এতক্ষণ পর আরিয়ান বলে উঠলঃ

———“ওসব কথা বাদ দে এখন চল…..

“আমি আরিয়ানের কথা শুনে বললামঃ

——–“কোথায় যাচ্ছেন আপনারা…..

——–“সেটা তোমায় না জানলেও চলবে(তুলি)

“এতটুকু বলে তুলি আফায় আরিয়ানের হাত ধরে নিয়ে গেল’!!ওনাদের এমন কাজ থেকে মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলঃ

——–“ওহ বাবা এ দেখি টুরু নাভ….

“আমার কথা শুনে জিসান হাসলো’!!তারপর তাদের পিছন পিছন সায়ান জিসান আর নূর তিনজনই গেল’!!এমন সময় নূর পিছন ঘুরে বলে উঠলঃ

———-“আপু আমরা ঘুরতে যাচ্ছি তোমরাও চলো আমাদের সাথে…..

“নূরের কথা শুনে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———-“আমরা গেলে “তুলোর বস্তা” থুক্কু তোমাদের তুলি আফায় প্রচুর রেগে যাবে'”! তাই তোমরা যাও….

“আমার কথা শুনে হাসলো নূর’!!তারপর আর কিছু না বলে সেও চলে গেল তাদের সাথে……

“মেয়েটা খুব ভালো কি সুন্দর মিষ্টি করে কথা বলে…..

“এমন সময় পিছন থেকে আমায় ঝাপটে ধরল তিশা আর রুহি’!!তারপর বললো এখন ছাড়ছি না তোকে আগে বল কি হয়েছিল তখন……

“শেষমেশ আর কোনো উপায় না পেয়ে ওদের সব বললাম’!!আমার কথা ওরা হাসলো খুব’!!অবশ্য হাসারই কথা……..

__________________________________________

___________________

“গ্রামীন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি আমি, তিশা,আর রুহি’!!আর হাজার হাজার সেলফি তুলছি’!!হর্ঠাৎই সামনে থেকে একটা ভ্যান গাড়ি গেল’!!সাথে সাথে সেইটাকে থামিয়ে আমরা উঠে পরলাম’!!উদ্দেশ্য পুরো গ্রাম ঘুরে দেখা’!!গ্রাম বাড়িতে ভ্যানে করে ঘুরার মজাই আলাদা’!!ভ্যানের উপর দাঁড়িয়ে গান গাইছি আমি…..

———-“যাই মু লং যাইমু বাজাইমু বাংলা গান তুমি আমি দুজন মিলে করমু কতো ফ্যান…..

“আমার গান শুনে তিশা বলে উঠলঃ

———–“এখানে আমরা তিনজন আছি কিন্তু’!!আর গানটা তোর জামাই সাথে থাকলে গাবি….

———–“এহন জামাই নাই তোরা আছো…….যহন হইবে তখন দেখমু আনে……..

———-“হ সেইসময় তো আমাগো ভুইল যাবি……..

———–“তগো মনে রাইখা কি লাভ……

“আমার কথা শুনে দুজনেই একসাথে বললোঃ

———-“কি…….

“আমি হাসলাম!!

___________________

“এদিকে আরিয়ান, সায়ান, জিসান তুলি, নূর পাঁচজন একসাথে গ্রাম ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ছবি তুলছে’!!আরিয়ানের কাছে আছে একটা ক্যামেরা যেটা দিয়ে সে ঘুরে ঘুরে পুরো গ্রাম বাংলার ছবি তুলছে আর সায়ান, জিসান, নূর আর তুলি সেলফি তুলতে ব্যস্ত……

“হর্ঠাৎই আরিয়ানের চোখ গেল তাদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে একটা ভ্যানে করে যাওয়া তিনটে মানুষের দিকে’!!সে বুঝতে পেরেছে তিনজন কারা কারা তাদের কান্ড দেখে হাসলো আরিয়ান’!!লাল মরিচের কান্ড দেখে আরিয়ান বলে উঠলঃ

———“পাগলী মেয়ে একটা…..

“হর্ঠাৎই ডাক পরলো আরিয়ানের'”!আরিয়ানও আর কিছু না ভেবে আরেকবার ওদের দিকে তাকিয়ে চলে গেল’!!জিসানদের কাছে…….

___________________

“পাক্কা ৩০ মিনিট ভ্যানে করে ঘুরে নামলাম আমরা’!!তারপর ইয়া বড় একটা মাঠের দিকে হাঁটতে লাগলাম আমরা তিনজন একসাথে….!!হর্ঠাৎই তিশা বলে উঠলঃ

———-“দোস্ত ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লেগে গেছে তো!!

———-“আমারো(রুহি)

———-“কিন্তু এই মুহুর্তে খাবার কোথায় পাবো’!!আশেপাশে তো কোনো দোকান নেই’!!আর আমরা তো এই ক্ষেতের ভিতর চলে এসেছি…..

“হর্ঠাৎই সামনে একটা পেয়ারা গাছ দেখতে পেলাম আমি’!!তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ

———“দোস্ত দেখ সামনে কি পেয়ারা খাবি……

“আমার কথা শুনে ওরা হেঁসে বললোঃ

———-“খাবো কিন্তু পারবো কেমনে…

———-“চাপ নিস না আমি তো আছি……

“আমার কথা শুনে ওরা দুজনেই অবাক হয়ে বললোঃ

———–“তুই গাছে উঠবি পারো উঠতে…..

———–“পারি না তাতে কি হইছে চেষ্টা তো করতে পারি…….

———-“পড়ে গেলে কি হবে(রুহি)

———“আরে পড়বো না তো তোরা দাঁড়া এই বলে আমি কোমড়ে ওড়না বেঁধে'”!!গাছে উঠতে লাগলাম……

“কিছুক্ষনের মধ্যেই উপরে উঠে গেলাম’!!তারপর একটা একটা করে প্রায় অনেকগুলো পেয়ারা পেড়ে ওদের হাতে দিলাম’!!তারপর ওরা খেতে শুরু করল!!আর আমি গাছের ডালে বসেই শুরু করলাম’!!সময়টা দুপুর হওয়ায় এই মুহুর্তে আশেপাশে তেমন কেউ নেই’!!

“বেশকিছুক্ষন পর তিশা আর রুহি’ বলে উঠলঃ

———“আর কতক্ষণ গাছে বসে থাকবি এখন তো নাম……..

“ওদের কথা শুনে পরলাম আমি আরেক বিপদে উঠে তো গেছি এখন নামবো কিভাবে……

———–“নামবো কিভাবে……..

আমার কথা শুনে ওরা অবাক হয়ে বলে উঠলঃ

———-“কি…….

———“চেচাচ্ছিস কেন আমি নামতে পারছি না আমায় নামা তোরা!!

“আমার কথা,শুনে দুজনেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল!!আর আমারও এখন ভয় হতে লাগলো কারন আমি সিরিয়াসলি নামতে পারছি না’!!

———-“ভাই তোরা কিছু একটা কর আমি সত্যি সত্যি নামতে পারছি না’!!

“এমন সময় ওখানে এসে উপস্থিত হলো আরিয়ান সায়ান জিসান তুলি আর নূর'”!!জিসান জিজ্ঞেস করলোঃ

———-“তোমরা এখানে কি করছো’!!

———-“আমরাও আপনাদের মতো ঘুরতে ঘুরতে এখানে এসেছি কিন্তু…..(রুহি)

———–“কিন্তু(সায়ান)

“সায়ানের কথা শুনে তিশা বলে উঠলঃ

———“আসলে ভাইয়া আমরা একটা বিপদে পড়েছি……..

———-“কি বিপদে পড়েছো তোমরা,আর তোমরা দুজন কেন আরেকজন কোথায়(আরিয়ান)

“আরিয়ানের কথা শুনে রুহি হাতের ইশারায় আমায় দেখালো!!তারপর বললো ও গাছে উঠে তো পড়েছে কিন্তু নামতে পারছে না……

“আচমকা সবাই আমার দিকে তাকাতে আমি একটা দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে বললামঃ

———-“সারপ্রাইজ…?[দুই হাত মেলে]

“আমার কথা শুনে সবাই জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল’!!

———–“কি ডেঞ্জারাস মেয়েরে বাবা বিপদে পড়েছে তারপরও হাত কেলানি কমলো না….(তুলি)

“হর্ঠাৎই জিসান আমার সামনে এসে বললোঃ

———–“তুমি ওখানে কি করছো…..

———-“আমি…..

———-“হুম!!

———–“ভাইয়া কেচ…..এই বলে একটা পেয়ারা মারলাম জিসানের দিকে’!!জিসানও ধরে ফেললো!!জিসান ধরতেই আমি বলে উঠলামঃ

———“ভাইয়া খান প্রচুর মিষ্টি আর ওইটা পারার জন্য উঠেছিলাম গাছে……

“জিসানও আমার কথা শুনে পেয়ারা খেতে লাগলো!!তারপর বলে উঠলঃ

———-“সত্যি খুব মিষ্টি…..

———“বলে ছিলাম না ভাইয়া আরো দিবো…..

——–“হুম দেও……

“তারপর জিসান আর আমি ওখানে ওইভাবেই গল্প শুরু করে দিলাম’!!

“আর বাকিরা জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইলো আমাদের দিকে’!!কারন তারা হয়তো ভাবতেই পারছে না এই রকম একটা সিরিয়াস বিষয়ে এমন কিছু করবে দুজন…….

“কিছুক্ষন পর তিশা আর আরিয়ান একসাথে সামনে এসে বললোঃ

——–“এই তোরা কি করছিস বলতো ও ওখান থেকে নামতে পারছে না আর তোরা কিনা একসাথে গল্প শুরু করে দিছো!!

“তিশার কথা শুনে এতক্ষণ পর আমার মনে পরলো যে আমি গাছের ডালে আটকা পড়েছি!!আমি চেঁচিয়ে বললামঃ

———“ভাইয়ারা প্লিজ হেল্প মি….

“আমার কথা শুনে আরিয়ান বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে বললোঃ

———-“তোমায় ওখানে উঠতে বলেছিল কে…..

আরিয়ানের কথা শুনে আমি ভেবে বললামঃ

———-“হুম কে জানো বলেছিল হা ভাইয়া আমি নিজেই নিজেকে বলে ছিলাম…….

——–“শাট-আপ(দমক দিয়ে)

“আরিয়ানের দমক শুনে আমি চুপ……

_________________

“বেশকিছুক্ষন চলে গেল কোনোভাবেই কেউ আমায় নামানোর উপায় খুঁজে পেল না!!

“এখন সবাই মিলে আমায় বকাবকি করছে!!আরিয়ান,সায়ান,তুলি,তিশা রুহিও!!যেটা মোটেও আমার কাছে ভালো লাগছে না!!মাঝখান থেকে তুলি বলে উঠলঃ

———“নামতে যখন জানো না উঠে ছিলে কেন??

“কথাটা খারাপ না বললেও কেমন গায়ে লাগলো আমার’!!তারপর চেঁচিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ

———-“চুপ কর সবাই আমি একাই উঠেছি একাই নামবো’!!

“এমন সময় হাতে লাঠি নিয়ে গাছের মালিক দিল দৌড় আর চেঁচিয়ে বলছেঃ

———“এই কারা আমার গাছের পেয়ারা চুরি করে….

“লোকটার কথা শুনে সবাই প্রায় উওেজিত হয়ে গেছে’!!আর বলছেঃ

———-“তাড়াতাড়ি নাম…….

“আমিও আর কোনো উপায় না পেয়ে নিচে নামতে ব্যস্ত হয়ে পরলাম’!!আর যার পরিনতি পা পিছলে পড়ে গেলাম’!ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলাম’!!জানি এখনি আমায় নিয়ে হসপিটালের দৌড়াতে হবে আর আমি হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকবো’!!আর কিছু মনে নেই অতিরিক্ত রৌদ্রের তাপ আর ভয়ে আমি জ্ঞান হারালাম………..

“বাকিটা কালকে কমু…….???
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………..

❤️❤️❤️❤️[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর আজকের পার্টটা কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে খুব সবাই]❤️❤️❤️

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here