খুনশুঁটির কুঁড়েঘর পর্ব ১০

0
994

#খুনশুঁটির_কুঁড়েঘর❤️
#Writer:—#TanjiL_Mim❤️
#part:—10
.
.
?
“ভোরের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙলো আরিয়ানের’!!আর তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে আমাদের না থুক্কু আরিয়ানের লাল মরিচ’!!আরিয়ান মুচকি হাসলো তার দিকে তাকিয়ে’!!আর কিছু হোক বা না হোক মনে মনে যে খুব খুশি হয়েছে আরিয়ান বিয়েটা হয়েছে বলে’!!কিন্তু তার কপাল খারাপ তার লাল মরিচ তার মনের ফিলিংস বুঝলো না’!!কবে বুঝবে কে জানে’!!আধো বুঝবে কি না তাতেও সন্দেহ আছে আরিয়ানের??হর্ঠাৎই আরিয়ানের চোখ গেল তার লাল মরিচের কপালের কাছে লেপ্টে থাকা চুলের দিকে আনমনে হাসলো আরিয়ান’!চুলগুলো হালকা বাতাসে উড়ছে’!!একটা জিনিস ভেবে মনে মনে হাসছে ভিষণ আরিয়ান সেটা হলো!! রিয়াদকে অলওয়েজ শালা ডাকতো আরিয়ান’!!আর আজ কিনা সত্যি সত্যি শালা হয়ে গেল রিয়াদ আরিয়ানের’!!খুব একটা যাওয়া হয়নি রিয়াদের বাসায় একবার গিয়েছিল আরিয়ান কিন্তু তখন তার বোন ছিল না’!!শুরু রিয়াদের মায়ের সাথেই কথা হয়েছিল’!!প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিল আরিয়ানকে রিয়াদের আম্মুর’!!তাই হয়তো এত সহজেই বিয়েটা মেনে নিলো রিয়াদের পরিবার’!!শুধু তার বউই মানতে পারলো না’!!এই ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো আরিয়ান’!!তারপর আরো কিছুক্ষন তার লাল মরিচের দিকে তাকিয়ে থেকে কপালে একটা চুমু দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে পরলো’ সে’!!বিছানা থেকে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পরবে আরিয়ান’!!এখনও কোমড়ে ব্যাথা আছে আরিয়ানের’!!কাল রাতের কথা ভাবতে আরো হাসি পাচ্ছে তার’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল নিচে পড়ে থাকা কোলবালিশের দিকে!!সেটা দেখে এই মুহুর্তে আরিয়ানের মাথায় একটা জিনিসই আসলো সেটা হলো আসলেই তার বউ একটা “পাগলী”……

“কাল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাঝখানে কোলবালিশ রেখেছিল মীম’!!আর সেই বালিশের স্থান হলো গিয়ে খাটের তলায়’!!ঘুমের মধ্যে কখন সরিয়ে ফেলেছে হয়তো সে নিজেও জানে না……!!কোলবালিশটা বিছানায় রেখে আরিয়ান গো……..

______________________________________

___________________

সকাল ৮ঃ০০টা……..

“চোখে পানি পরাতে ঘুম ভাঙল আমার!!হর্ঠাৎ পানি পরাতে এক প্রকার লাফিয়ে উঠলাম আমি’!!এদিকে আমি উঠতেই উচ্চ স্বরে হাসলো রুহি আর তিশা’!!ইচ্ছে করছে দুটোর মাথাই বারি মেরে ভেঙে দেই’!!চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলাম আমি তারপর বললামঃ

———“ওই তোদের সমস্যা কি আমায় একটু ঘুমোতে দিবি না……

———-“আর কতো ঘুমাবি এখন যে শশুর বাড়ি যেতে হবে তোকে..(তিশা)

———-“কি?

———-“ওইভাবে তাকিয়ে লাভ নেই কোনো তোকে এখন তৈরি হতে হবে আরিয়ান ভাইয়ার আম্মু আব্বু, আর নূর অনেক আগেই চলে গেছে এখন তোকে আর আরিয়ানকে যেতে বলছে…..

———-“এসব কি বলছিস তোরা আমি বাড়ি যাবো না…..

“এমন সময় আম্মু আসলো রুমে’!!আমার কথা শুনে আম্মু বলে উঠলঃ

———–“না তোকে এখান থেকেই শশুড় বাড়ির যেতে হবে……

“মুহূর্তের মধ্যে মন খারাপ হয়ে গেল আমার’!!এই হুট করে বিয়ে একদম সহ্য হচ্ছে না আমার’!!চোখের কোনে পানি এসে জমলো আমার’!!আমি দৌড়ে আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ

———-“এসব কি বলছো তোমরা!!এমনটা হতে পারে না আমি তোমাদের সাথে তোমাদের বাড়ি না আমার বাড়ি যাবো…..

“আম্মু আমার মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ

———-“এমন করিস না এটাই তো নিয়ম বিয়ের পর যে মেয়েদের তার স্বামী বাড়ি গিয়ে থাকতে হয়…..

———–“না আমি যাবো না…..

———–“পাগলী মেয়ে এমনটা বললে চলবে না তো!! তাড়াতাড়ি তৈরি হো……!!

“এই বলে আম্মু আমায় ছাড়িয়ে চলে গেল!!তারপর তিশা আর রুহি’ বলে উঠল তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে তোকে তৈরি হতে হবে’!!ওদের কথা শুনে ওদের দুজনকে একসাথে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———–“এটা কি হলো এমনটা কেন হলো আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে তোদের ছেড়ে ভাইয়া আম্মু আব্বুকে ছেড়ে কিভাবে থাকবো আমি!!আমি যাবো না তোরা আম্মুকে বলে দে না প্লিজ……

“আমার কান্না দেখে ওরাও কেঁদে দিলো’!!তারপর বলে উঠল রুহিঃ

———–“এমনটা বলে না দেখবি তুই খুব ভালো থাকবি আরিয়ান ভাইয়াদের বাড়িতে’!!ওনারা খুব ভালো……

————“আমি ওসব কিছু জানি না!!আমি যাবো না…….

————“এসব বলিস না!!আমাদের তো কষ্ট হচ্ছে কোথায় ভাবলাম তোর বিয়েতে নাগিন ড্যান্স দিমু কিন্তু কিছুই হলো না’!!এই সব হয়েছে ওই তুলোর বস্তার জন্য……(তিশা)

“তিশার কথা শুনে রেগে গেলাম আমি’!!এই মুহূর্তে তুলিকে ইচ্ছে করছে ঠাসস করে লাগাতার মারতে থাকি!!আমার ভাবনার মাঝেই রুহি বলে উঠলঃ

———“যা হয়েছে হয়েছে ভুলে যা আগে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়….এই বলে একপ্রকার জোর জবরদস্তি করে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিলো রুহি আর তিশা’!!

“এই মুহুর্তে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে আমার’!!বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে’!!এই ভাবে জীবনটা এলোমেলো হয়ে যাবে ভাবতেই পারি নি’!!দাদুভাই আমার সাথে এমনটা করতে পারলো’!!আর কথা বলবো না আমি দাদুভাইয়ের সাথে’!!

______________________________________

___________________

“লাল বেনারসি শাড়ি পড়িয়ে পাক্কা দেড় ঘন্টা বসিয়ে রেখে সাজিয়ে দিলো আমায় তিশা আর রুহি’!!বাবা গো বাবা এত সাজ একদম সহ্য হচ্ছে না আমার’!!মনে হচ্ছে কেউ আমায় গরমের ফ্যাক্টরিতে আঁটকে রেগেছে’!!আমি লাফিয়ে উঠে দাড়িয়ে বললামঃ

———“এত সাজ ভালো লাগছে না!!এত বড় কানের দুল কেন পড়িয়েছিস আমায় মনে হচ্ছে এখনি কান ছিঁড়ে হাতে আসবে আমার…..

“আমার কথা শুনে বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে তিশা বলে উঠলঃ

———-“কিছু হবে না…….

“তারপর রুহি রেগে বললোঃ

———–“তোর তো সব কিছুতেই সমস্যা শাড়ি পরিয়ে দিসি তাতেও তোর প্রবলেম আইলাইনার দিয়ে দিছি তাতেও তোর প্রবলেম’!!গলায় গহনা পড়িয়ে দিয়েছি তাতেও প্রবলেম,মুখে মেকাপ দিয়ে দিয়েছি তাতেও তোর সমস্যা’!!এখন কোথায় যাবো আমরা বল’!!এত প্রবলেম নিয়ে ঘুমাস কিভাবে তুই……!!যা তোকে আর সাজাতে পারবো না আমি’!!তোর এত বক বক শুনে আমি পাগল হয়ে গেলাম’!!যাই আমি থাক তুই তোর সমস্যা নিয়ে……..

“রুহির কথা শুনে আমি বলে উঠলামঃ

———-“দোস্ত তুই এতটা রেগে গেলি কেন??

———-“রাগবো না’!!

“এই বলতে বলতে রুহি রেগেমেগে রুম থেকে বেরিয়ে আসতে নিলে পা পিছলে পড়ে যায় রুহি!!আচমকা এমনটা হওয়াতে ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো রুহি’!!হর্ঠাৎই মনে হলো কেউ রুহির কোমড় জড়িয়ে ধরেছে’!!যার কারনে রুহি নিচে পড়তে গিয়েও বেঁচে যায়’!!আস্তে আস্তে রুহি তার চোখ খুললো সামনের ব্যক্তির মুখ দেখে কি রিয়েকশন দিবে রুহি বুঝতে পারছে না সে’!!লজ্জায় নাক কাটা যাচ্ছে মনে হয়……..!!অপূর্ব লাগছে এই মুহুর্তে সায়ানকে রুহির কাছে’!!প্রথম দিন থেকেই তো সায়ানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলো রুহির’!!আজকে সেই আকৃষ্টতা আরো দিগুণ আকার ধারণ করলো’!!এই কয়েকদিনে অনেকভাবে নিজের মনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে রুহি’!!কিন্তু ব্যর্থ সে’!!সে বুঝে গেছে সে যে সায়ানকে ভালোবেসে ফেলেছে’!!কিন্তু কোথাও এক ভয় আছে তার মনে যার কারনে সবসময় দূরে দূরে থাকে রুহি সায়ানের কাছ থেকে’!!কারন সে যেটা ভাবছে সেটা হয়তো কোনোদিনও সম্ভব নয়……!!কিন্তু যতই সায়ানের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকতে চায় ততই যেন কাছে চলে আসে রুহি সায়ানের’!!যার কারণে বার বার দূর্বল হয়ে পড়ে রুহি……!!ঘোর লাগানো মায়াবী চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছে রুহি সায়ানের দিকে…..

.

“এদিকে সায়ান তাকিয়ে আছে রুহির দিকে’!!এক অদ্ভুত মায়ায় আঁটকে গেছে সায়ান’!!রুহির চোখে এক অদ্ভুত মায়া আছে যেটা তাকে খুব টানছে এই মুহুর্তে’!!এ কয়েকদিনে বহুবারই তো এমন হয়েছে’!!কিন্তু আজ এক অন্যরকম আকৃষ্টতে আঁটতে গেছে সায়ান’!!আজকে রুহিও সেজেছে’!!চোখে গাড়ো কাজল দিয়ে মেরুন রঙের গাউন পড়েছে সে’!!চুলগুলো খুলে দিয়েছে’!!কারন তারাও যে আজকে ফিরবে ঢাকাতে’!!সহজ ভাবে বললে আজকে সবাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে যার যার গন্তব্যে………

“রুহির আর সায়ানের ভাবনার মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালাম আমি আর তিশা’!!হাসি পাচ্ছে খুব ওদের এভাবে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে’!!আমি আর তিশা দুজনেই ওদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কাশি দিলাম’!!সাথে সাথে দুজনেই তাদের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো’!!দুজনেই আমাদের কাজে লজ্জা পেয়েছে’!!সায়ান তাড়াতাড়ি রুহিকে ছেড়ে দিয়ে তোতলাতে তোতলাতে বলে উঠলঃ

———-“তো..মা..দের হয়েছে দাদু ডাকছে সবাইকে বের হতে হবে তো……

“এই বলে সায়ান আর দু’মিনিট দাঁড়ালো না’!!দ্রুত গতিতে চলে গেল…..

“এদিকে সায়ান যেতেই রুহিও আমতা আমতা করে বলে উঠলঃ

——–“আ..মা..কেও আম্মু ডাকছে আমি আমিও গেলাম এই বলে এক প্রকার দৌড়ে চলে গেল রুহি!!

“এদিকে আমরা দুজন ওদের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ’!!তারপর আমি বলে উঠলামঃ

———“তুমি ছুঁয়ে দিলে হায়……

“আমার কথা শুনে তিশা বলে উঠলঃ

———“আমার কি যে হয়ে যায়…..

———“হুম মামু ডাল মে কালা কি আছে পেয়ে গেছি……

“আমার কথা শুনে হাসলো তিশা’!!তারপর তিশা বলে উঠলঃ

———-“আগে আগে দেখো হোতাহে ক্যা মামু…..

“তারপর আমরা দুজন একসাথে হেঁসে দিলাম’!!

___________________

“সকাল ১০ঃ০০টা…….

“বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি আরিয়ান,সায়ান, জিসান,রুহি,তিশা, রুহির আম্মু দাদুভাই সহ আরো কিছু লোকজন,তারসাথে আমার আম্মু আব্বু আর ভাইয়া’!!চোখ দিয়ে অটোমেটিক পানি গড়িয়ে পড়ছে আমার’!!ভাইয়া অনেকক্ষণ যাবৎ আরিয়ানকে অনেককিছু বলছে’!!এইভাবে হুট করে বিয়ে আর হুট করে শশুর বাড়ি যাওয়া কোনোটাই যেন এখনও মাথায় ঢুকছে না আমার’!!শুধু মাথায় একটা প্রশ্নই নাড়া দিচ্ছে কি থেকে কি হয়ে গেল…..

“ভাইয়া আমার সামনে এসে দাঁড়ালো’!!ভাইয়া দাঁড়াতেই আমি ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়ে বললামঃ

———-“ভাইয়া এটা কি হলে!এমনটা হওয়ার কথা ছিলো কি……!!আমি তোমাদের ছাড়া কি করে থাকবো…….

ভাইয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললোঃ

———-“কিচ্ছু হবে না সাতচুন্নি, তোকে আরিয়ান খুব ভালো রাখবে দেখিস….

———-“ভাইয়া আমি সাতচুন্নি তুমি কি “কুমড়ো পটাস কোথাকার”…..

“তারপর দুজন কাঁদতে কাঁদতে হেঁসে দিলাম’!!এমন সময় মাথা নিচু করে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো তুলি’!!চুলগুলো অগোছালো, চোখের কাজল লেপ্টে গেছে সব,,চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে তার’!!বুঝাই যাচ্ছে সারারাত নির্ঘুম কেটেছে তার’!!একদিন কি অবস্থা হয়েছে তার’!!তুলিকে দেখে রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে আমার’!!আজ শুরু মাএ এই তুলির জন্য আমার জীবনটা এইভাবে তছনছ হয়ে গেল’!!আমি তুলির সামনে গিয়ে বললামঃ

———“এমনটা কেন করলে আপু!তুমি আমাকে পছন্দ করতে না ঠিক আছে তাই বলে এই ভাবে আমার জীবনটা এলোমেলো করে দিয়ে কি মজা পেলে তুমি!!আমার তো মনে যেটা হয়েছে তাতে আমার চেয়ে বেশি ক্ষতি তোমারই হয়েছে!!শুধু শুধু একটা ভুল জিনিস মাথায় এনে আমার লাইফটা তছনছ করে দিলে……(চেঁচিয়ে)

“আমার কথা শুনে তুলি আমার হাত ধরতে নিলো’!!সাথে সাথে টান মেরে হাত সরিয়ে নিলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ

———“একদম টাচ করবে না আমায়…..আরো কিছু বলতে যাবো এমব সময় তিশা আমায় ধরে বললোঃ

———-“অনেক হয়েছে !!তুলিকে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে অনেক অপমান করেছে সবাই’!!তুই আর বলি না এখন চুপ থাক’!!যা হবার হয়ে গেছে সেটা ভেবে আর লাভ নেই’!!হয়তো তোর ভাগ্যে এমনটাই লেখা ছিল……!!তিশার কথা শুনে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম আমি!!তারপরও একটা কথা বলে উঠলাম আমি তুলিকেঃ

———–“আমি তোমায় কোনোদিন ক্ষমা করবো না!কোনদিনও না…..

“তারপর সবাই মিলে আমায় গাড়িতে বসিয়ে দিল’!!সামনের সিটে…..’!!তারপর আব্বু আরিয়ানকে কি কি যেন বললো’!!আরিয়ানও তাদের কিছু বলে তারপর উঠে পরলো গাড়িতে…..তারপর আরিয়ান নিজেই গাড়ি চালাতে শুরু করলো’!!কি অদ্ভুত ব্যাপার যে গাড়ির টায়ার ফাটাইলাম আমি’!!সেই গাড়ি করেই যাচ্ছি…..কি অদ্ভুত বড্ড অদ্ভুত খেলা খেললো নিয়তি আমার সাথে……….

“কাচের জানালা ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে আছি আমি’!!চোখ বেয়ে পরছে পানি’!!এমনটা হবে আগে জানলে আমি কখনোই এই বাড়িতে আসতাম না!আর ওদিকে আরিয়ান চুপচাপ ড্রাইভ করছে!!দুজনের মধ্যেই কুটকুটে নীরবতা এসে ভর করেছে………

___________________

“এদিকে আরিয়ানরা যেতেই সায়ান বলে উঠলঃ

———“এখন তাহলে আমরাও চলি…..

“সায়ানের কথা দাদু বলে উঠলঃ

———-“হুম তোমরাও যাও,আর সাথে রুহি আর তিশাকেও নিয়ে যেও কিন্তু…..

“দাদুর কথা শুনে রুহি তিশা দুজনেই অবাক হয়ে বললোঃ

———-“আমরা গিয়ে কি করবো দাদুভাই……

———-“তোমরা বুঝতে পারছো না!আমার ময়না পাখি এই বিয়েটা মেনে নিতে পারে নি!তোমরা গেলে ওর ভালো লাগবে!বেশি নয় এখন গিয়ে বিকালে চলে যেও যার যার বাসায়……..!!

“দাদুর কথা শুনে কেউ আর কিছু বললো না!সায়ান রুহি,তিশা জিসান এক গাড়িতে বসে পরলো!!আর রুহির আম্মু একা একটা গাড়িতে!!আর রিয়াদ, আর আম্মু আব্বু অন্য গাড়ি করে চলে গেল!আর এদিকে দাদুভাই মন খারাপ করে বললোঃ

——–“আমরা ময়না পাখি আমার সাথে কথা বললো না!এমন সময় একজন মহিলা বলে উঠলঃ

———“হয়তো রেগে আছে একটু!পড়ে ঠিক হয়ে যাবে!

“দাদু পিছনে ঘুরতেই তুলিকে দেখলো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে সে!দাদু কিছু বলবে তার আগেই তুলি দাদুর হাত ধরে কেঁদে বলে উঠলঃ

———“সরি দাদুভাই ভুল হয়ে গেছে!জেদের বসে এমনটা করে ফেলেছি আমি!আমি বুঝতে পারি আমার ভুলটায় এতবড় ক্ষতি হয়ে যাবে!

তুলির কথা শুনে দাদু তার মাথায় হাত দিয়ে বললোঃ

———-“অনেক সময় অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি হয়ে যায়’!!তাই কারো ভালো করতে না পারো কখনো ক্ষতি করো না!এতটুকু বলে চলে গেল দাদু!!

“আর তুলি নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগলো!তার ছোট্ট ভুলে তার পুরো পরিবারের মতো বন্ধুরা তাকে রেখেই চলে গেল!এটা ভাবতেই তার কষ্ট হচ্ছে ভীষণ….তারপর সেও তার ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেল!কিছুক্ষনের মধ্যেই তার গাড়ি চলে আসলো!কারন সে আগেই তার বাপিকে বলে রেখেছিল গাড়ি পাঠাতে……

“তারপর সেও চললো তার গন্তব্যে…….

“কিছুদিনের ব্যবধানে সবকিছু যেন এলেমেলা আর ঘোলাটে হয়ে গেল!!তুলির এটা ভেবে কষ্ট হচ্ছে তার সাথে সবার বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেল!

___________________

———“মিস “আলুর পরোটা” আর কতক্ষণ চুপ থাকবে এখন তো কিছু বলো হর্ঠাৎ করে জিসানের মুখে এমন অদ্ভুত নাম শুনে তিশা রেগে বললোঃ

———“কি বললেন আপনি……

———“এই রে খাইছে আলুর পরোটা রেগে গেছে!চুপ জিসান……

“অনেক্ক্ষণ যাবৎই জিসান তিশার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছিল!কারন তিশার মুড অফ ছিল’!!কিন্তু কি বলবে এটা ভেবেই হুট করে অদ্ভুত নাম মাথায় আসলো জিসানের তারপর আর কি তিশাকে রাগিয়ে দিল!!সত্যি বলতে জিসানের তিশাকে রাগাতে হেব্বি লাগে……

“আর সামনের সিটে রুহি আর সায়ান নীরবতার মাঝখানেই চলছে হর্ঠাৎ জিসানের কথা শুনে হাসলো তারা দুজনেই…….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………..

~ রির্চেক দেওয়া হয় নি!?আজকের পর্বটা হয়তো অগোছালো হয়েছে তার জন্য সরি সবাইকে!?

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here