#কান্নাভেজা_রাত
#৭ম_পর্ব
#অনন্য_শফিক
‘
‘
‘
দরজা খুলে বের হয়ে দেখি রাতুলের মায়ের গলা শোনা যাচ্ছে ।তিনি এখন মেহেরুনের ঘরে।ওখান থেকেই আওয়াজ ভেসে আসছে এখানে। মেহেরুনের গলাও শোনা যাচ্ছে । মেহেরুন নরম গলায় কথা বলছে না আর।ওর গলা মাঝেমধ্যে খুব বেশিই চড়ে উঠছে। আবার মাঝেমধ্যে নরম। আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখি ওর দরজা ভেজানো। তবে খিল লাগানো না ভেতর থেকে।আমি একেবারে দরজার কাছে না গিয়ে সামান্য তফাতে দাঁড়ালাম।যেন ওদের কথাগুলো শুনতে পারি।
রাতুলের মা বলছে,’ তুই আমার বাড়ি থাইকা বিদায় হ এইবার। অনেক ঝামেলা করছস।তোর জন্য আমরা বিপদে পড়ছি।’
মেহেরুন সঙ্গে সঙ্গে কথা টেনে নিলো। অনেকটা তেজোদ্বীপ্ত গলায় বললো,’ আপনারা বিপদে পড়েছেন নাকি আমারে বিপদে ফেলেছে আপনার ছেলে? কোনটা? আপনি একটা শয়তান, আর আপনি জন্ম দিয়েছেন আরেক শয়তানকে!’
রাতুলের মা বললো,’ মুখ সামলে কথা বল খা*রাপ মেয়ে। নয়তো থা*প্পর দিয়া সবগুলো দাঁত ফে*লাই দিবো এক্ষুনি!’
মেহেরুন তেজে বললো,’ আর আমি আপনারে খালি ভক্তি শ্রদ্ধা করবো? আমি কি চ*ড় থা*প্পড় দিতে জানি না?’
রাতুলের মা সম্ভবত তর্ক করে পারছেন না। তিনি নিজেকে দমিয়ে রেখেই বললেন,’ তুই এখানে থাকলে ঝামেলা হয়তেছে বুঝস না কেন? আমি আমার বাড়িতে আত্নীয় স্বজন আনতে পারি না।পাড়া প্রতিবেশী আনতে পারি না।এরা আসলে কি বলবো? কি পরিচয় দিবো তোর? ‘
মেহেরুন হাসলো।বললো,’ বিয়ে পড়িয়ে দেন আপনার ছেলের সাথে। এরপর পরিচয় দিবেন, আমি আপনার ছেলের বউ।কথা তো এটাই ছিল। কিন্তু–‘
কথা শেষ করতে পারেনি মেহেরুন।এর আগেই রাতুলের মা আবার রেগে গেলো। রেগে গিয়ে বললো,’ তোর মতো নোং*রা মেয়ে হবে আমার ছেলের বউ? নিজের স্বামীরে খু*ন করছস তুই।পেটের অনাগত সন্তানরে খু*ন করছস।তুই তো মানুষই না।ডা*ইনি।’
মেহেরুন হাসলো। হেসে বললো,’ আপনি সব জানেন।আমি আসলে ডা*ইনি নাকি সাধারণ সহজ সরল একটা মেয়ে! সব জেনেও আপনি আমার মুক্তির ব্যবস্থা করেননি। আপনি আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনার ছেলের মতোই যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন। এখন বলছেন আমায় এখান থেকে বেরিয়ে যেতে।আমি যদি বেরিয়ে যাই এখান থেকে তখন কি আমি একা বিপদে পড়বো নাকি আপনার ছেলেও পড়বে? পুলিশ যদি আমায় অ্যা*রেস্ট করে তখন যদি আমি বলি, খু*ন আমি একা করিনি। আমার সঙ্গে রাতুল যুক্ত ছিল। তখন আপনার সোনার ছেলের কি অবস্থাটা হবে ভেবে দেখেন একবার!’
রাতুলের মা আর কথা লম্বা করেনি। চুপসে গেছে সম্ভবত। তার পায়ের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এদিকেই আসছে।আমি খুব দ্রুত ওখান থেকে কেটে পড়লাম।ঘরে এসে বসে রইলাম।
রাতুলের মা হেঁটে হেঁটে আমার ঘরেই এলেন। এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন,’ নিজে জন্ম দিছি এক কুলাঙ্গার, আরেক কুলাঙ্গার এসে নিজে থেকে ঘাড়ে চাপছে। কপাল!’
আমি বললাম,’ কি বললেন?’
তিনি থতমত খেয়ে গেলেন। বললেন,’ না কিছু না। তুমি রান্নাটা করে ফেলো।আমি একটু বাইরে যাবো।’
বলে তিনি নিজের ঘরে গেলেন।ওখান থেকে রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন।
রাতুলের মা বাইরে গেলেও আজ আর মেহেরুনের ঘরের দরজায় তালাবদ্ধ করেননি। করার প্রয়োজন মনে করেননি হয়তো কোন কারণে। অথবা বেশি দুশ্চিন্তা করছেন এই জন্য এরকম হয়েছে। সবকিছু গুলিয়ে ফেলছেন।কি করবেন না করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।
আমি ভাত আর ডাল চড়িয়ে দিয়ে মেহেরুনের কাছে এলাম। মেহেরুন আমায় দেখে বললো,’ তোমারে দেখলে আমার রাগ হয়, আবার কষ্টও লাগে খুব!’
আমি হাসলাম। বললাম,’ রাগ হয় আবার কষ্ট লাগে এটা কেমন কথা? বিপরীতমুখী দুই জিনিস একসঙ্গে হবে কিভাবে? আচ্ছা বলো, কেন রাগ লাগে আর কেন কষ্ট লাগে?’
মেহেরুন হাসলো। হেসে বললো,’ রাগ লাগে এই জন্য যে, তোমার মতো শিক্ষিত ঘরের একটা মেয়েকে কেন যাচাই বাছাই না করে এখানে বিয়ে দিয়ে দিলো এই জন্য। যদিও যাচাই বাছাই করে রাতুল সম্পর্কে খারাপ তথ্য পেতো না।ও মুখোশ পরা লোক। তবুও রাগ লাগে।আর কষ্ট লাগে তোমার দুঃখ দেখে। নতুন বিয়ের পর মানুষের জীবন হয় স্বর্গীয়। কিন্তু তুমি এখানে নরক য*ন্ত্রণা ভোগ করতেছো!’
আমি এই বিষয় নিয়ে আর কথা বাড়ালাম না।সময় কম।রাতুলের মা কখন এসে পড়ে এর নাই ঠিক। কিন্তু মজার বিষয় হলো মেহেরুনকে আজ অতো ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছে না। এবং চেহারা আরো উজ্জ্বল হয়েছে ওর।কি অদ্ভুত বিষয়!
আমি ওর কাছে জিজ্ঞেস করলাম,’ তুমি তোমার স্বামীকে খু*ন করেছিলে কেন? কি কারণে?’
মেহেরুন হাসলো। ও হাসছে অথচ তার চোখ থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে। সেই জল তার ফর্সা গালে বসে চিকচিক করছে। এই জল সে মুছে দিচ্ছে না। আড়াল করার চেষ্টা করছে না। সে এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। এবার খাটের উপর বসলো। বসে বললো,’ আমার জীবনটাও তোমার মতোই সহজ সরল ছিল।বাবা গরীব মানুষ। গ্রামের কৃষক। পড়াশোনা নাই। তাছাড়া সৎ মায়ের সংসারে আমার বড় হওয়া।এস এস সি পরীক্ষা দিবো তখন। কদিন আছে পরীক্ষার। টেস্ট দিয়ে ফেলেছি।সব বিষয়ে ভালো নম্বর এসেছে। এরমধ্যে বাড়িতে বিয়ের আলাপ এলো। ছেলে বিরাট বড় লোক।গাড়ি আছে চার চাকার। আমার সৎ মা পাগল হয়ে গেলেন বিয়ে দিয়ে দিতে।বাবা সব সময় দেখেছেন আমার সৎ মা আমার উপর কতো অ*ত্যাচার অ*নাচার করেছে। এই জন্যই বোধহয় বাবা অতো জানাবোঝা না করেই কথা দিয়ে ফেললেন ছেলে পক্ষকে। ভাবলেন, ছেলে ধনী। তাছাড়া আমার চেহারা ছবি ভালো। ছেলে হয়তো ধন সম্পদ না দেখে চেহারা দেখেই পছন্দ করেছে আমায়। খুব তাড়াহুড়ো করেই বিয়ে হয়ে গেল আমার।এস এস সি দেয়ার কথা ছিল আমার।দেয়া আর হলো না। বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। আমার স্বামী আমায় নিয়ে শহরের এমন এক জায়গায় চলে এলো যেখান থেকে আর বেরুতে পারিনি কোনদিন আমি।বাড়ি নয়, এ যেন আস্ত একটা পাপের মহল।
আমার স্বামী ছিল শীর্ষ এক স*ন্ত্রাসী। ওখানে আমার জীবন ছিল সুন্দরী দাসিদের মতো।ওর কথায় উঠতে বসতে হতো। সে অ*স্ত্র এবং নে*শাজাতীয় দ্রব্যের কারবার করতো।বড় বড় লিডারদের সঙ্গে তার আঁতাত ছিল। সেইসব লিডারদের থেকে নানান সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাকে অনেক বার ইউজ করেছে সে।’
এইটুকু ফলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো মেহেরুন।আমি ওর কাছে গিয়ে বসলাম।ওর হাতের উপর একটা হাত রেখে বললাম,’ তারপর।’
মেহেরুন চোখ মুছলো না এবারও । আবার সে বলতে শুরু করলো।বললো,’ আমাকে অনেক বার ওসব বড় বড় লিডার আর উপর মহলের লোকদের মনোরঞ্জনের বস্তুও বানিয়েছে সে। আমার স্বামী হয়ে সে আমায় নিজে ধরে নিয়ে গিয়ে ওদের বিছানায় রেখে আসতো। ‘
এইটুকু বলে সে আবার থামলো। তার কেমন কষ্ট হচ্ছে। বলতে পারছে না আর।খুব কাঁদছে।
আমি চুপ করে রইলাম।তাড়া করতে পারলাম না আর।
খানিক পর ও নিজ থেকেই আবার বলতে শুরু করলো।বললো,’ এরকম একটা
সন্ত্রাসীর ঘর আমি করতে চাইনি! সব সময় ওখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতাম। কিন্তু উপায় মিলতো না! ওখানে নিজেকে মনে হতো দোযখের বাসিন্দা।মনে হতো, আমি একটা দাসির চেয়েও বেশি পরাধীন।
এরপর এক ঘটনা ঘটে। আমার তখন গর্ভ হয়েছে। চার মাস। শরীর ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। কিচ্ছু খেতে পারি না। কিছু করতে পারি না। আমার ফুট- ফরমাশের জন্য আমার স্বামী তার দলের একটা সহজ সরল ছেলেকে বাসায় রেখে দিলো। আমার কোন প্রয়োজন হলে সে সাহায্য করবে। এই ছেলেটিই রাতুল।রাতুলকে দেখতে তখন বোকাই মনে হতো।বোকা বলেই হয়তো আমার স্বামী ওকে নিরাপদ ভেবেছিল।সব সময় দেখতাম, আমার স্বামীর সামনে ভয়ে থরথর করে কাঁপছে। ওকে দেখলেই মায়া হতো।মনে হতো, এরকম ছেলের জন্য তো এই লাইনের কাজ না। এই বেচারা কিভাবে এই পাপের জগতে এসে পা ফেললো!
সে খুব বিনয়ের সঙ্গে আমার সব কাজ করে দিতো।মাথা সব সময় নিচু করে রাখতো। এরকম ভাবে থাকতো যেন আমি এই ঘরের রানী আর সে আমার অনুগত সামান্য দাস।
মাঝেমধ্যে ওর সঙ্গে কথা হতো। কথা বলতে বলতে একদিন জানলাম, ও এখানে এসেছে বিপদে পড়ে।ওর মায়ের ক্যান্সার। এই রোগের চিকিৎসা বিরাট ব্যয়বহুল। কোন ভাবেই টাকা মিলাতে পারছিলো না।শেষে আমার স্বামীর সঙ্গে কিভাবে যেন পরিচয় হয়। সে তাকে কাজ দেয়।বলে, এই কাজে অনেক বেশি পয়সা উপার্জন করতে পারবে। সহজেই মায়ের চিকিৎসা করাতে পারবে।
এসব শুনে এতো মায়া লাগে।
এরপর একদিন একটা সামান্য ভুলের জন্য আমার সামনেই রাতুলকে আমার স্বামী খুব মা*রধোর করলো।জ*খম করলো ওকে মেরে। এরপর আমার স্বামী ওখান থেকে বেরিয়ে গেলে আমি ওর জ*খমে ওষুধ লাগিয়ে দিলাম। তখন রাতুল কাঁদতে কাঁদতে বললো, এই জগত থেকে সে বেরিয়ে যেতে চায়। এইসব করতে আর তার ভালো লাগে না। এভাবেই ওর সঙ্গে একটু একটু কথা হতে হতে এক সময় ভালো একটা সম্পর্ক দাঁড়িয়ে গেল।প্রেমের মতো। এতো দিন একটা খারাপ লোকের ঘর করেছি তো।হুট করেই তখন মনে হলো আমার এই পাপ মহলের জীবন বদলাতে হবে।আমি একটা শুদ্ধ জীবন চাই।রাতুলের মতো কেউ আমায় সুন্দর জীবন দিতে পারবে। ভালোবাসা দিতে পারবে।
রাতুলকে আমি সব বলি। রাতুল বলে, সে আমায় গ্রহণ করবে। বিয়ে করবে। কিন্তু তার তো ভ*য় আছে। জীবনের ভ*য়। সে আমার স্বামীর দলে কাজ করে। সে আমার স্বামীর সামান্য এক কর্মচারী।কর্মচারী যদি মালিকের বউকে নিয়ে ভাগে তখন কর্মচারীর জীবন থাকবে? মালিক তাকে ছাড়বে? ছাড়বে না।মে*রে ফেলবে। তাকে একা মা*রবে না, তার মাকেও মা*রবে।এমনকি আমাকেও ছাড়বে না। এরকম একটা ঘটনার পর আমাকেও মে*রে ফেলবে।ওর মতো লোকের জন্য মানুষ মা*রা মশা মাছি মা*রার মতোই তুচ্ছ বিষয়।
আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে কি হবে। কিন্তু মাথায় সব সময় এটা ঘুরতো যে ওখান থেকে আমার বেরুতে হবে। কিন্তু আমার স্বামী বেঁচে থাকতে এসব কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।
আমি নিরুপায় হয়ে রাতুলকে জিজ্ঞেস করলাম ,’ রাতুল, কি করবো আমি? উপায় কি নাই এখান থেকে বেরুবার?’
রাতুল কাঁপা কাঁপা এবং ভয়ার্ত গলায় বললো, উপায় আছে একটা। আমার স্বামীকে খু*ন করতে হবে। আমার স্বামীকে খু*ন করলেই সব পরিষ্কার।আমরা তখন খুব সহজেই এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পারবো এবং আমরা বেরিয়ে গেলেও কেউ আর আমাদের খুঁজবে না। প্রথমে ভয় লাগলো খুব। কিন্তু এরকম একটা জীবন বহন করাও আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল।আমি রাতুলকে বললাম,রাতুল, তুমি পারবে ওকে খু*ন করতে?
রাতুল বললো, সে তো কাছেই যেতে পারে না। ঘেঁষতে দেয় না কাছে। সে বুঝিয়ে বললো, এই কাজ আমার জন্য করা সহজ।কারণ আমরা এক খাটেই ঘুমাই। এবং ঘরে অ*স্ত্র আছে।একটা পি*স্তল সব সময়ই সেফটি হিসেবে থাকে আমার স্বামীর সঙ্গে। ঘুমাবার বেলায় এটা বালিশের নিচে রাখে।ও ঘুমিয়ে পড়লে খুব সহজেই আমি ওকে মে*রে ফেলতে পারবো। অবশ্য রাতের খাবারে কিছু ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতে হবে।যেন ওর ঘুমটা গাঢ় হয়। বালিশের নিচ থেকে পি*স্তল টেনে আনার সময় কোন রকম হুঁশ তার না থাকে।
তখন মাথায় একটাই শুধু চিন্তা। বাঁচতে হবে আমায় বাঁচার মতো। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ফেলার সময় হয়েছে আমার। সে রাতেই আমি মনস্থির করলাম, জীবনের প্রথম খু*নটা আমি করবো।একটা ভ*য়াবহ পা*পীষ্ঠকে এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবো। সেটা আমি করিও।রাতের খাবারে পরিমাণ মতো ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেই। আমার স্বামী বুঝতেই পারেনি। খাওয়ার আধ ঘন্টা পরই ঘুমে ঢলে পড়ে সে। তখনও আমি অস্থির হয়ে উঠিনি। অপেক্ষা করি। তখন রাত প্রায় শেষের দিকে।সবাই ঘুমে নিমগ্ন। শুধু ঝিঁঝিঁ দল জেগে আছে।ওরা খুব ডাকছে।আর মেঘ ডাকছে গুরুম গুরুম করে। বৃষ্টি হবে আজ। উথাল পাতাল বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে সব পাপ ধুয়ে মুছে সাফ করবো আমি। নতুন জীবন হবে আমার। আমাদের দুজনের। রাতুল আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো বাইরে।গাড়ি নিয়ে। পেছনের দিকে।আমি কাজটা শেষ করে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবো । গুরুত্বপূর্ণ চাবিগুলো আমার স্বামীর কাছেই থাকে সব সময়। পেছনের দরজাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।কারণ কোন বিপদ আপদ হলে ওখান দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া সবচেয়ে সহজ ছিল। আমার স্বামী তখনও মৃদু নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।আমি মনে মনে বললাম, এবার সময় হয়েছে। এরপর বালিশের নিচে হাতড়াতে হাতড়াতে ছোট্ট অথচ খুব দামি পি*স্তলটা খুঁজে পেলাম। তারপর—-
‘
#চলবে