#আরোহী
#পর্ব_০৪
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
____
আগুনের উত্তাত অনেক বেশি থাকায় কেউ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনি আর বাঁচাতেও পারেনি ।
ভাস্তি হারানোর শোকে মিডিয়ার সামনে কোনো কিচ্ছু বলতে পারছে না মিসেস নিশা খান ও তার স্বামী মিস্টার মোস্তফা কামাল কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যায়।
রিয়াজঃ আমি আমার স্ত্রীকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি। ও আমাকে এইভাবে ছেড়ে চলে গেলো আমি কিভাবে বাঁচবো। (কাঁদতে কাঁদতে বললো)
এক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো।
রিয়াজঃ আমি অফিসে ছিলাম আর এই ঘটনা আমি বাড়িতে থাকলে নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমি আমার স্ত্রীকে বাঁচাতাম.! (বলেই ফ্লোরে বসে পরলো)
মিডিয়াঃ আপনার স্ত্রীর এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আপনারা কি করবেন? এই সম্পত্তির এক মাত্র মালিক ছিলেন আপনার স্ত্রী। এখন তো উনি নেই তাহলে এই সম্পত্তি কি আপনারা কোনো অনাথ আশ্রমে দান করে দিতে চান?
পেছন থেকে মিস্টার মোস্তফা কামাল এসে বললেন।
মোস্তফা কামালঃ এই কোটি কোটি সম্পত্তি আজ থেকে ১ সপ্তাহ আগে আমার ভাস্তি নিজ ইচ্ছায় ওর স্বামীর নামে করে দিয়েছিলো। রিয়াজ ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়ালো।
রিয়াজঃ কি বলছেন কি আপনি মামা? (চোখের পানি মুছতে মুছতে অবাক হওয়ার মতো করে প্রশ্ন ছুড়ল)
মোস্তফা কামালঃ হ্যাঁ আমি ঠিক বলছি। এই তো প্রোপার্টি পেপার।
হাতে নিয়ে সেখানের উপস্থিত থাকা সকল মানুষ, জার্নালিস্ট সহ পুলিশদের কেও দেখালো।
পুলিশরা তদন্ত করে কিছুই পেলো না এটাকে সাধারণ বাড়িতে আগুন লেগে মারা গেছে বলে কেস বন্ধ করে দেয়।
মিডিয়ার লোকেরাও চলে যায়।
যেখানে আগুন লেগেছে সেটা হচ্ছে ফার্ম হাউজ এটা হচ্ছে দুই তোলা আর দুই তোলা ফার্মহাউস পুরো টাই কাচ সাদা থাই দিয়ে বানানো। পেছনের সাইডে অনেক বড় একটা নদী, আর এক পাশে ফুলের বাগান। অন্য পাশে ও ফুলের বাগান। রিয়াজের স্ত্রী ফুল অনেক পছন্দ করতো তাই ফার্মহাউসের দুই পাশেই ফুলের বাগান করেছে আর দুই পাশের ফুলের বাগানের যত্ন নেওয়ার জন্য ২জন মালি ও রাখা হয়েছে।
এই ফার্ম হাউজে সপ্তাহে ২বার আসতো আর এইবার তো শেষবার।
সবাই চলে যাওয়ার পর!
রিয়াজ হাতে প্রোপার্টি পেপার নিয়ে খান ভিলা তে চলে আসলো সাথে মিসেস নিশা ও মোস্তফা কামাল ও আছেন!
খান ভিলার হল রুমে বসে বসে রিলাক্সে পায়ের উপর পা তুলে জুস খাচ্ছেন মিসেস ও মিস্টার মোস্তফা।
জেনো কোনো কিছুই হয়নি।
রিয়াজ উপরের ফ্লোর থেকে রেগেমেগে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছে।
রিয়াজঃ চাচা অনেক হয়েছে ড্রামা অনেক ড্রামার পর আমাদের প্লেন সাকসেস হয়েছে একটা চিল পার্টি তো দেওয়া উচিত।
মোস্তফা কামালঃ না ভুলেও এই রকম কোনো কিছু চিন্তাও করো না সবে মাত্র ২ঘন্টা আগে তোমার ওয়াইফ আগুনে পুরে মারা গেছে আর তুমি এখন পার্টি করলে মিডিয়া সহ বাকি পুলিশ দের ও সন্দেহ হবে আর আমাদের কারো সন্দেহের লিস্টে যাওয়া যাবে না।
বাড়ির ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে এসিপি তামিম খন্দকার বললেন, ‘ একদম ঠিক বলেছে তোমার চাচা রিয়াজ এখন কিছুই করা যাবে না। ‘
সবাই সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো এক এক করে দুই জনেই এসিপি তামিমের সাথে হাত মেলালো।
রিয়াজঃ সব কিছু তো তোমার জন্য সম্ভব হয়েছে তামিম আঙ্কেল!
তামিমঃ তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের ভাগ্নে আর তোমার জন্য এতটুকু করবো না। আর সাথে তো কমিশনও পেয়েছি।
নিশাঃ কি খাবি বল?
তামিমঃ উইসকি!
মোস্তফা কামাল একজন স্টাফ কে বললেন নিয়ে আসতে।
তারপর চারজনে মিলেই হাসাহাসি করছে আর নেশা করছে।
আজ ৩মাসের পর উনাদের প্লেন সাকসেস হয়েছে আর সেটা কোনো কাকপক্ষী ও টের পায়নি।
রিয়াজ যে তার স্ত্রী ‘ হুমাইরা বিনতে আরোহী ‘ কে ফার্মহাউসে নিয়ে যায় ওর সাথে কিছু একান্ত সময় কাটানোর জন্য বাড়িতে সব সময় স্টাফ মেড সার্ভেন্ট সাথে আরোহীর ফুপা ফুপির জন্য একান্ত সময় কাটাতে পারে না। তাছাড়া আরও একটা কারণ আছে রিয়াজ আরোহীর কাছে যেতে পারে না। নিজেও জানে না কেনো? যখনই রিয়াজ আরোহীর অতি কাছে যেতে চায় তখনই কি একটা শক্তি জেনো রিয়াজকে বাধা দেয় আর রিয়াজকে দূর্বল করে দিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়। এই জন্যই রিয়াজ প্লেন করে আরোহীকে নিয়ে যায় ফার্মহাউসে নিয়ে আসে। তিন মাস হয়েছে বিয়ের আজ পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। রিয়াজের প্লেন ছিলো আগে আরোহীর সতীত্ব ভোগ করবে তারপর ওকে প্লেন অনুযায়ী আগুনে পুরিয়ে মারবে। রাতে রিয়াজ আরোহীর কাছে যেতে চাইলে আগের মতো আজও যেতে পারে না। পরের দিন সকালে রিয়াজের প্রচুর রাগ হয় যাও দুই দিন পর মারতে চেয়েছিলো কিন্তু এই কাছে যেতে পারে না বলে আজকেই প্লেন কে আনজাম দিবে ভেবেই নেয়।
ফার্মহাউসে যাওয়ার দ্বিতীয় দিন পর, সকাল ১০টায় রিয়াজ আরোহীর উদ্দেশ্যে বলে, অফিসে আর্জেন্ট কাজ পরে গেছে আমাকে যেতেই হবে।
ফার্ম হাউজে রিয়াজ আর আরোহী ছাড়া আরও দুজন ছিলো সেটা আরোহী জানতো না।
এখানে রান্না করার জন্য একজন সার্ভেন্ট আছে সে বাজারে গেছে আর বাহিরে দুইজন মালি তাছাড়া আর কেউ নেই।
আরোহী আর রিয়াজ ছাড়া যে দুজন লোক আছে তারা রিয়াজের লোক রিয়াজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আরোহীকে তারা ধরে নেয়৷ আরোহী অনেক ছুটাছুটি করে কিন্তু দু’জন লোকের কাছে হেরে যায়। উপরের ফ্লোর থেকে আরোহীকে টেনে হিচড়ে নিচে নিয়ে আসে। আরোহী অনেক কান্নাকাটি করে কিন্তু তারা জেনো আরোহীর কথা শুনতেই পাচ্ছে না। আরোহী কে হল রুমের মধ্য খানে নিয়ে আসে আর সেখানের একটা চেয়ারের উপর বসায় আরেকজন রশি দিয়ে আরোহীকে চেয়ারের সাথে বেধে দেয়।
আরোহীঃ আপনারা আমাকে বাধছেন কেনো ছেড়ে দিন আমাকে।
পেছন থেকে চেনা একজনের কন্ঠ ভেসে আসলো!
‘ আমি বলেছি বেইবি! ‘
আরোহী পেছনে ঘুরে তাকাতে পারছে না কিন্তু ভয়েসটা যে আরোহীর খুব চেনা কারণ সে যে তার স্বামী রিয়াজের কন্ঠ রিয়াজ এক পা দু পা করে আরোহীর সামনে এলো আর একটা ডেভিল হাসি দিয়ে বলল!
_______________
মোস্তফা কামালঃ কিরে কোথায় হারিয়ে গেছিস? (রিয়াজের কাঁধে ধাক্কা দিয়ে)
রিয়াজ বাস্তবে ফিরে আসে। কল্পনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে বলল।
রিয়াজঃ ওই আমার হট বউয়ের কথা চিন্তা করছিলাম। ওরে যখন চেয়ারে বেধে রাখছিলো তখন ও ওরে অসম্ভব সেক্সি লাগতেছিলো কিন্তু সালীর কাছেই যেতে পারতাম না সারাজীবন একটাই আফসোস থাকবে একদিন যদি পাইতাম উফফ।
নিশা- তুই ওরে নিয়া এত ভাবতাছিস কেন তোর জন্য তো মেয়েরা পাগল এনজয় করবি আজ থেকা আমাদের পথের কাটা তো দূর হইলো।
রিয়াজঃ তবুও চাচি আম্মু ওর পাগল করা রূপ আমি কি ভাবে ভুলবো। একদিন বেডে নিতে পারলে আর আফসোস থাকতো না।
এসিপিঃ বেডে নেওয়ার জন্য মেয়ের অভাব আছে নাকি ইয়াং ছেলে তুমি যাও ফুর্তি করো।
বলেই সবাই আবার উইসকির গ্লাসে চুমুক দেয়।
রিয়াজ এখন প্রতি দিনে প্রতি রাতে একটা একটা মেয়ের সাথে বেড শেয়ার করে।
কিন্তু কারো মাঝে আরোহী কে খুঁজে পাচ্ছে না আরেহীর রূপের কাছে সবাই কে ফিকা মনে হয় রিয়াজের।
_______
রিয়াজঃ কি ছিলো তোমার মধ্যে আরোহী যা মরেও আমাকে শান্তি দিচ্ছে না। বলেই দেওয়ালে পাঞ্চ করলো।
পেছন থেকে নিম্মি রিয়াজকে জরিয়ে ধরে।
নিম্মিঃ বেইবি চলো আমরা বাহিরে কোথাও থেকে ঘুরে আসি তাহলে তোমার মন ভালো লাগবে।
(নিম্মি হচ্ছে রিয়াজের গার্লফ্রেন্ড আরোহীকে যেদিন আগুন লাগিয়ে ছিলো সেদিন নিম্মি ও সেখানে ছিলো আরোহী দেখেছিলো নিম্মি কে)
রিয়াজঃ হুম তাই চলো।
১ঘন্টা পর রিয়াজ নিম্মি কে নিয়ে সাজেক যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে।
২দিন পর!
একজন নার্স হাসপাতালের মধ্যে দৌঁড়াচ্ছে!
অন্য নার্স রা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে টাইম নাই ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছি পরে বলবো।
নার্স এর নাম পুতুল!
নার্স দৌঁড়ে এসে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে পরলো।
ডাক্তার তখন অন্য একজন পেসেন্ট কে দেখছিলেন।
ডাক্তার আব্রাহিমঃ মিস পুতুল আর ইউ ওকে?
নার্সঃ ডাক্তার স্যার ওই ওই ৩০২ নাম্বার কেবিনের মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে আর সে পাগলামো করছে।
ডাক্তার আব্রাহিমঃ কিহ চলো তো দেখি।
ডাক্তার পেসেন্ট রেখে নার্সের সাথে চলে আসলেন।
(আরোহীর বাবার একমাত্র বন্ধু ছিলেন ডাক্তার আব্রাহিম। আরোহীর নাম আরোহীর জন্মের পর আব্রাহিম নিজেই রাখে নিজের ও আরমান খানের নামের সাথে মিলিয়ে)
ফার্ম হাউজে আগুন লেগেছে জানতে পেরে আব্রাহিম সেখানেই যাচ্ছিলো রাস্তায় একটা মেয়েকে আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে সে গাড়ি থেকে নেমে মেয়েটার কাছে যায় আর মেয়েটাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখে মেয়েটার খুবই গুরুতরো অবস্থা সে ডাক্তার হওয়ার সুবিধাতে সাথে সাথেই মেয়েটাকে নিজের সাথে হসপিটাল নিয়ে আসেন মেয়েটা তখনও বেঁচে ছিলো সেজন্য হাসপাতালে এনে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করে দেয়। আব্রাহিম আর আরোহী কে দেখতে যেতে পারে নাই শেষ বারের মতো। আজ ২দিন পর মেয়েটার সেন্স ফিরেছে। মেয়েটার মুখ খুব খারাপ ভাবে পুরে গেছে দ্বিধায় তাকে চেনার উপায় নেই। আর সমস্ত শরীরে একটু আঁচড় ও নেই। আব্রাহিম শুরুতে মেয়েটাকে বাঁচায় তারপর বাহির থেকে ডাক্তার দের আসতে বলে অপারেশন করেন। অপারেশন সাকসেস হলেও মেয়েটার সেন্স ফেরেনি সবাই ভেবেই নিয়েছিলো মেয়েটা বাঁচবে না কিন্তু আব্রাহিম মনে মনে জানতো মেয়েটা বাঁচবে। সকলে হাল ছেড়ে দিলেও ডাক্তার আব্রাহিম ছাড়েনি।
কেবিনে এসে দেখলেন মেয়েটি অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছে পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে একজন নার্স। নার্সের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে সে বলে, ‘ স্যার উনি যেমন ছুটাছুটি করছিলেন তাতে উনার ক্ষতি হতে পারে সে জন্য তাকে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেছি।
আব্রাহিম শুকনো ঢোক গিলে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘ পরবর্তী তে হুশ ফিরলে আমাকে আগে জানাবে কোনো প্রকার মেডিসিন প্রয়োগ করবে না। ‘
নার্স উপর নিচ মাথা দুলালো। ডাক্তার আরও কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো। পেছন থেকে ডাক্তার নিভ এসে বললেন, ‘ আব্বু কিছু কথা ছিল তোমার সঙ্গে তারাতাড়ি আসো। ‘
ডাক্তার ইব্রাহিম ছেলের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। ডাক্তার নিভ হচ্ছে আব্রাহিমের একমাত্র ছেলে। এতবছর বিদেশে ডাক্তারি পড়েছে সেখানেই বড় এক হাসপাতালের ডাক্তার নিভ ‘ বাবার কল পেয়ে ইমার্জেন্সি ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসে। মেয়েটার অপারেশন সম্পূর্ণ নিভ করেছে।
কেবিনের মধ্যে হাত টেবিলের উপর গুড়াচ্ছে শব্দ করে। আব্রাহিম আসতেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো সে, ‘ মেয়েটার সম্পর্কে জানতে পেরেছো কিছু? ‘
আব্রাহিম দুইবার দুই দিকে মাথা নাড়ালো মানে না।
নিভ ভ্রু কুঁচকালো আবারও প্রশ্ন ছুড়ল, ‘ তোমার বন্ধু আরমান আঙ্কেলের মেয়ের কি হয়েছে? ‘
একথা শুনে ভেঙে পরে আব্রাহিম। ছেলে শক্ত হাতে বাবাকে ধরে ইজি চেয়ারে বসিয়ে দিলো। তার চোখের কার্নিশ বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরল। মায়া জুড়ানো কন্ঠে বলল, ‘ হুমাইরা বিনতে আরোহী আমাদের রাজকন্যার মতো ছিল। অপরূপ সুন্দরী তার রূপের বর্ণনা দিলে শেষ হবে না। আর দেখ সেই মেয়েকে গ্রাস করল জলন্ত আগুন। আমি শেষ বারের মতো দেখতেও যেতে পারলাম না। ‘
‘ চলো আমরা তার বাড়ি যাবো। ‘
‘ কেনো? ‘
‘ এমনি। ‘ শান্ত কন্ঠে উত্তর দিলো।
______
বিকেলের দিকে বাড়ি আসল, সকলের এটিটিউট দেখে ডাক্তার নিভ যা বুঝার বুঝে নিলেন। আড়চোখে সিঁড়ির দিকে তাকাতে দেখল, একটা মেয়ে রিয়াজ কে আঁকড়ে ধরে সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাচ্ছে।
(নিয়াজের সাদেক যাওয়ার প্লেন ছিল তবে তার মনে যন্ত্রণা করছে আরোহীর জন্য কোনো কিছু তেই শান্তি পাচ্ছে না। চোখের সামনে রূপসী আরোহীর প্রতিবিম্ব ভেসে উঠে তার। চোখ খুললে চোখ বুঝলে সব জায়গায় শুধু আরোহী)
রিয়াজের অবস্থা দেখে নিভ ও তার বাবা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
রুমে নিয়ে বেডের উপর শুয়ে দিতে নিলে নিয়াজ নিম্মিকে ধাক্কা দিয়ে ঙ
মেঝেতে ফেলে দেয়। রুমের মধ্যেও সে জেনো আরোহীর চু্লের মনোমুগ্ধকর সুভাস পাচ্ছে, সে জিদে রুমের সবকিছু ছুড়তে থাকে।
মোস্তফা কামাল এসে দুই হাতে রিয়াজকে আকড়ে ধরে শান্ত হয়ে বসতে বলে।
নিশা খান জিজ্ঞেস করেন, ‘ কি হয়েছে বাবা তুমি এমন করছো কেন? ‘
রিয়াজ হুংকার দিয়ে বলে, ‘ ভেবেছিলাম আরোহী মরে গেলে ওর সয় সম্পত্তি আমার মনে তারপর আরামে আয়েশে জীবন কাটাবো। কিন্তু আমি একমিনিট এর জন্য ও শান্তি পাচ্ছি না আমার অন্তরের ভেতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। মস্তিষ্ক বলছে সে আগুন শুধু আরোহী নিভাতে পারবে আমি দুদণ্ড শান্তি পাচ্ছি না। আমার সামনে শুধু আরোহী ভেসে উঠছে। যেদিকে তাকাচ্ছি সেদিকে শুধু তাকেই দেখতে পাচ্ছি। আমি পাগল হয়ে যাবো। ‘
মোস্তফা কামাল কর্কশকন্ঠে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, ‘ আরোহীর সাথে ভালোবাসার নাটক করতে করতে তুই বাস্তবে ওকে ভালোবেসে ফেলিসনি? যে কারণে তোর এত পুড়ছে? ‘
রিয়াজ চেচিয়ে বলল, ‘ যা তা বাজে বকবে না চাচু। আমার পক্ষে কাউকে ভালোবাসা ইম্পসিবল সেটা তুমি জানো। আমি কখনো এক নারীতে আসক্ত হতে পারবো না। আমার নিত্য নতুন মেয়ে চাই। ‘
বলে রুম থেকে হনহনিয়ে বের হয়ে গেলো।
________
গাড়ি স্লো ড্রাইভ করছে নিভ সাথে সে চিন্তায় মগ্ন। আব্রাহিম নিভ এর কাঁধে হাত রাখলে নিভ নড়েচড়ে বসে বসলল,
‘ বাবা তোমার খটকা লাগছে না? ‘
‘ কিসের জন্য বাবা? ‘
‘ এই যে একটা মেয়ে মারা গেলো তার ফ্যামিলি স্বামী এত স্বাভাবিক কিভাবে? আমার মনে হচ্ছে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় এটা মার্ডার ‘
.
.
To be Continued?