#আমি_তারে_দেখেছি (কপি করা নিষেধ)
#৫ম_পর্ব
এর মাঝেই ফোন টা বেজে উঠলো। শান্ত বিনয়ী স্বরে বলল,
“এক্সিউজ মি”
বলেই পকেট থেকে ফোনটা বের করলো। স্ক্রিনে “মাদার বাংলাদেশ” জ্বলজ্বল করছে। ফলে কেটে দেবার উপায় নেই। ফোনটা রিসিভ করতেই কাজের মেয়ে রেবার তীক্ষ্ণ কন্ঠ কানে এলো,
“ভাইজান, তাত্তাড়ি বাড়ি আইনেন। তুফান শুরু হইছে”
রেবার কথাটা কর্ণপাত হতেই ঠোঁট গোল করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো শান্ত। “তুফান”শব্দটির সাথে সে খুব ভালোভাবেই পরিচিত। মাদার বাংলাদেশের যখন মেজার সপ্তম আসমানে উঠে তখন ই তুফানের আগমন ঘটে। কিন্তু অন্য সময় ফোনটা আসে ভাবী কিংবা বাড়ির ল্যান্ডলাইন থেকে। আজ ফোনটা এসেছে মাদার বাংলাদেশের মোবাইল থেকে। ফলে বুঝতে হবে এখন দশ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে, অতিশীঘ্রই তা এগারো নম্বরে প্রদর্পন করবে। তাই এখন ই বাসায় যাওয়া উচিত। শান্ত জসীম সাহেবের উদ্দেশ্যে বলল,
“আজ উঠতে হবে আংকেল। বাসায় কাজ পরে গেছে”
“বাড়ির অতিথি খালি মুখে বেড়িয়ে গেলে অকল্যান হয়। তুমি কি চাও আমরা অকল্যাণের জোয়ারে ভেসে যাই? আর আমার মেয়ের সামনে বিয়ে। আমি চাই না কোনো ঝামেলা হোক”
জসীম সাহেবের মুখ কঠিন, স্বরে গাম্ভীর্য। সে বেশ গুরুত্ব দিয়েই কথাগুলো বলছেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে এতে শান্তর মুখোভাব বদলে গেলো। সে এখন মহাবিপাকে পড়লো। একদিকে মাদার বাংলাদেশ একদিকে তার হবু শ্বশুর। আমতা আমতা করে বলল,
“আংকেল আমাকে যেতে হবে, এখন খাওয়ার সময় নেই। আমার বাসা তো অনেক দূর, জ্যাম ও আজ অনেক। তাই আজ থাক। আর এগুলো তো কুসংস্কার”
“এই ছেলে তুমি বেশি বুঝো? তুমি বলতে চাচ্ছো আমি ব্যাকডেটেড। আমি কুসংস্কার পুষি? আর তুমি সর্বজ্ঞানী যোহান গার্থ? ঠিক এই কারণে আমার পুলিশ অপছন্দ। তারা সত্তায় এসে নিজেদের চানক্য ভাবতে শুরু করে। দেখছো শারমিন বলছিলাম, এই মাথামোটা পুলিশের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিও না। দেখতে ফিটফাট আসলে সদরঘাট। সুদর্শন হলে কি হবে, আস্তো গা/ধা। ওর নাম হওয়া উচিত আরেফিন শান্ত কেটে রাখা উচিত গা/ধা শান্ত। বলে কি না আমি কুসংস্কার পুষি”
শান্ত থতমত খেলে গেলো জসীম সাহেবের কথা শুনে। তিনি রীতিমত চটে গেছেন। নিজেকে সামলাতে সময় লাগলো তার। লোকটিকে খুব স্বল্পভাষী, গম্ভীর, শান্ত, ধীরসম্পন্ন মনে হলেও এখন সেই ধারণা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। এমন একটি শ্বশুর পাবে ইহজীবনে কল্পনা করে নি সে। ফলে ইতস্তত কন্ঠে বলল,
“আমি সেটা বুঝাতে চাই নি, আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে?”
“আমার ভুল হচ্ছে? তুমি বলতে চাও আমি বেকুব? আমার কপালে বলদ লেখা? না না বলেই ফেলো কি বলবে?”
শান্ত অসহায় ভাবে নবনীতার দিকে চাইলো। নবনীতা নির্বিকার। তার মাঝে কোনো ভাবান্তর দেখা গেলো না। শারমিন বেগম স্বামীকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু জসীম সাহেবকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেলো না। তিনি বেশ চটে গেছেন। এমন কি বিয়ে ভেঙ্গে দেবার হুমকিও দিচ্ছেন। এই প্রথম শান্তকে দিশেহারা লাগছে। এতো দিন চোর, ছ্যাচরের পিছে ঘুরেছে কই এমন তো দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে পড়েন নি। তবে এতোকিছুর মাঝে একটি ব্যাপারে সে নিশ্চিত জসীম সাহেব পুলিশ অপছন্দ করেন। কথা হচ্ছে অপছন্দ স্বত্তেও বিয়েটা পাকাপাকি হলো কি করে! এর মাঝেই একটি ঠান্ডা পানি ভর্তি গ্লাস নবনীতা এগিয়ে তার দিকে। চোখের ইশারায় বোঝালো সে যেনো পানিটুকু পান করে। শান্ত বিনা বাক্যে পানিটুকু পান করলো। সত্যি পিপাসা পেয়েছিলো। জসীম সাহেবের হুমড়ি তুমড়িতে গলা শুকিয়ে সেগুন কাঠ হয়ে গিয়েছিলো। এক নিঃশ্বাসে পানিটুকু শেষ করে নবনীতার কাছে গ্লাস এগিয়ে দিতেই নবনীতা শীতল কন্ঠে বলল,
“বাবা, উনি পানি খেয়েছেন। এবার আর অকল্যান হবে না। শান্ত হও। একেই প্রেসার বাড়া, আরোও বাড়ানোর মানে নেই”
“কিন্তু পানি তো খাবার না?”
“হ্যা, পানি খাবার নয়। কিন্তু উনার পেট ভরেছে। আর যাকে তোমার অপছন্দ তাকে পাত পেরে খাওয়ানোর মানে নেই। অর্থ, অন্ন উভয় নষ্ট। সামনে আমার বিয়ে, টাকা জমিয়ে রাখো। আর আপনি বসে আছেন কেনো? উঠুন, বাসায় যাবেন না?”
নবনীতার কথায় ঘোর কাটলো। জসীম সাহেবের হুমড়ি তুমড়ির অন্ত ঘটেছে। তিনি গড়গড় করছেন কিন্তু নিঃশব্দে। সেই ফাঁকে উঠে দাঁড়ালো শান্ত। মৃদু কন্ঠে বলল,
“আসি, আসসালামু আলাইকুম”
বলেই হাটা দিলো সে। শারমিন বেগমের ইশারাতে নবনীতা তার সাথে যেতে বাধ্য হলো। ঘরের মেহমানকে দরজা অবধি এগিয়ে দেওয়া আন্তরিকতা, ভদ্রতা। যা নবনীতা করতে বাধ্য। কে এই নিয়ম বানিয়েছে জানা নেই, তবে যেই বানাক অতি বিরক্তিকর নিয়ম। ফরমালিটি বজায় রাখতে শান্ত কন্ঠে বললো,
“সাবধানে যাবেন”
বাইকে বসে হেলমেটটা পড়লো শান্ত। বাইক স্টার্ট দিতেই নবনীতা ভেতরে যাবার জন্য পা বাড়ালো। তখন ই শান্ত পিছন থেকে ডেকে বলল,
“নবনীতা শোন”
“জি?”
“তোমার বাবাকে বলো, আমি মানুষটা এতোটা খারাপ নই। হয়তো তার পছন্দের স্কেলে পদার্পন করতে পারবো না, কিন্তু তার মেয়েকে আগলে রাখায় কমতি রাখবো না। আর উনি বিয়েতে ব্যাগড়া দিলে তোমাকে তুলে নিয়ে হলেও বিয়ে করবো”
শান্তর কথা শুনে চমকে গেলো নবনীতা। চোখজোড়া বিস্ফারিত হলো। মস্তিষ্কে কথাটা ধারন করতে সময় নিলো। অবাক কন্ঠে বললো,
“হুমকি দিচ্ছেন?”
“আমি কি গু/ন্ডা? হুমকি না ফ্যাক্ট বলছি। এখন ভেতরে যাও। কাল সকালে আসবো”
“কেন?”
“বাহ রে হবু বউ কে কলেজ পৌছাতে। স্বামী হিসেবে এটা তো আমার দায়িত্ব”
নবনীতার ভ্রু কুচকে গেলো। পদে পদে সে ভিড়মি খাচ্ছে। সকালেও তো স্বাভাবিক ছিলো মানুষটা। এখন এমন অস্বাভাবিক আচারণ কেনো করছে! উদ্বিগ্ন স্বরে বললো,
“আপনার শরীর ঠিক আছে তো?”
“সকাল অবধি ঠিক ছিলো। কিছু এখন মনে হচ্ছে ঠিক নেই। জটিল একটা রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে”
“কি রোগ?”
“তুমি রোগ”
বলেই শব্দ করে হাসতে লাগলো শান্ত। শান্তর এই রসিকতা এখন সহ্যের বাহিরে চলে যাচ্ছে নবনীতার জন্য। ফলে এক মূহুর্ত সে দাঁড়ালো না। হনহন করে চলে গেলো অন্দরমহল। শান্ত তাকিইয়ে রইলো নবনীতার যাবার পানে। তার ঠোঁটে এখনো হাসি অক্ষত। ঘাড় তুলে আকাশের দিকে তাকালো। আজকের সন্ধ্যাটা ভালো ছিলো, এমন সন্ধ্যা আরো পাওয়া গেলে মন্দ হতো না__________
********
পনেরো বার কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খুললো রেবা। তার হাত এঁটো, বোঝাই যাচ্ছে ভাত খাচ্ছিলো। জীর্ণশীর্ণ অর্ধেক উচ্চতার মেয়েটি বয়সেও শান্তর অর্ধেক। কিন্তু বুদ্ধি তার যেনো হাওয়াই জাহাজ চালায়। হেনা বেগমের একনিষ্ঠ সেনাপতি সে। শান্ত বিনাবাক্যে ঘরে প্রবেশ করলো। জুতো খুলতে খুলতে বললো,
“তুফানের আপডেট কি?”
“কোনোই আফডেড নাই, আম্মা ক্ষেইপ্যা ঢোল হয়ে আছে। খায় নাই। কইছে খাইবো না”
“আজ ও কি কারণ ভাবী?”
“না, ভাবি না। আপনে”
রেবার কথায় মুখ তুলে চাইলো শান্ত। অবাক স্বরে বলল,
“আমি?”
“হ”
“কেনো?”
“আপনের বিয়া আজ থেকে গুইনে গুইনে নয়দিন পর। কিন্তু আপনে ঘরে নাই। আজকে আপনের বউ এর শাড়ি কেনার কথা ছেলো, ভুইলে গেছেন?”
“ওসব ক্যান্সেল”
“হ্যা???”
রেবার মুখে চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, কৌতুহল, চমক সব অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ দেখা গেলো। সে হা করে তাকিয়ে আছে। শান্ত উত্তর দিলো না। সে সরাসরি ভেতরে চলে গেলো। ঘরের একেবারে শেষ ঘরের আগের ঘরটি হেনা বেগমের। ভদ্রমহিলার বয়স ষাটের কাছাকাছি। এই বয়সে সাধারণত বিধবা নারীটা নরম হয়ে যায়। তাদের তেজের অগ্নি শান্ত হয়ে যায়। চর পড়ে কতৃত্বের প্রবাহমান নদীতে। কিন্তু হেনা বেগমের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটে নি। তিনি এখনো বজ্রের মতো কঠোর, বটবৃক্ষের ন্যায় অটল। তার হাড্ডির জোর কমলেও তেজের জোর কমে নি।
শান্তর কাছে তার মা “মাদার বাংলাদেশ”। তার কিছু কারণ অবশ্যই আছে। প্রথম কারণটি তার সাহস, হেনা বেগমের বয়স তখন আট বছর। দেশে তখন অরাজকতা। পাক বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ট দেশ। নারী এবং শিশুর অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সেবার পরীক্ষা দেশে সব বোনেরা নানা বাড়ি গিয়েছিলো ঘুরতে। সপ্তাহ খানেক পর ই জানা যায় গ্রামে পাক বাহিনী ঘাটি করেছে। এতোগুলো মেয়েকে তখন সে স্থানে রাখা মোটেই নিরাপদ নয়। কিন্তু কোথায় পাঠাবে! রাস্তায় গেলেই তো পাক বাহিনীর তান্ডবতার শিকার হবেন। তাই তো নানা জামশেদ আলী সব নাতী, মেয়েদের কুচুরিপনার পুকুরে লুকিয়ে থাকার পরামর্শ দিলেন। আষাঢ়ের রাত। প্রবল বর্ষণের মাঝে কেবল নাকখানা উচিয়ে সকলে ডুবে ছিলো ঐ পানাপুকুরে। পাকসেনার কিছু তাগড়াই যুবক বন্দুক হাতে এসেছিলো বটে। পুরো ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও তারা। কিন্তু কাউকেই পায় না। ঘরে কেবল ই বৃদ্ধ জামশেদ আলী। তাই দয়া করে তাকে প্রাণ ভিক্ষা দিয়েছিলো। সারা রাত নিঃশব্দে সেখানেই কাটে। সকালে যখন পানি থেকে তাদের তোলা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে ছিলো ছোট্ট হেনা বেগমের। এই গল্প প্রায়শ ই শুনেছে শান্ত। তাই মাদার বাংলাদেশ আখ্যাটি তার ই দেওয়া।
আর দ্বিতীয় কারণ মার অসীম ধৈর্য্য। শান্ত তখন ছয় মাস, আরেফিন সাহেবের মৃত্যু ঘটে। অপঘাতে মৃত্যু। রাতে ফেরার কথা, অথচ মানুষটি ফিরলো না। দুদিন পর তাকে পাওয়া গেলো ম্যানহোলে মৃত। চোরাঘাতে ঝাঝড়া শরীরটি অনিমেষ চোখে দেখেছিলেন হেনা বেগম। তার সাজানো জীবনটা মূহুর্তেই গুড়িয়ে গেলো। কিন্তু তিনি হাটু ভাঙ্গেন নি। শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়েছেন। ছেলে দুজন কে মানুষ করেছেন। ফলে তাকে মাদার বাংলাদেশ নামটি দেওয়া অস্বাভাবিক নয়।
শান্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে কড়া নাড়লো হেনা বেগমের রুমের দরজায়। ভেতর থেকে হেনা বেগমের রাশভারী স্বর কানে এলো,
“কোথায় ছিলে সারাদিন?”
ঘরের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে শান্ত বলল,
“একটা কাজে বেড়িয়েছিলাম”
“তোমার না ছুটি?”
“ছুটিটা ডিআইজি স্যার ক্যান্সেল করিয়ে দিয়েছেন”
“মানে?”
“মানে বিয়েটা দশ নয় পঁচিশ দিন পর হবে”
কথাটা শুনেই হেনা বেগমের ভ্রু যুগল একবিন্দুতে এলো। সাথে সাথেই তিনি ফোনটা হাতে নিলেন। শান্ত সেখানে দাঁড়ালো না। দাঁড়ালে বজ্রাঘাতে তাকে শহীদ হতে হবে এখন শহীদ হবার পালা আজমল সাহেবের। ঘর থেকে বের হতে হতে কানে এলো,
“আজমল, তোমার সমস্যা কি? আমার ছেলে কি তোমার জন্য চিরকুমার থাকবে?”
“………….”
“না আমি মোটেই শান্ত হবো না। তুমি মোটেই কথা বলবে না। আমি শুনছি না”
**********
নিগুড় রাত, আকাশে তখন পূর্ণচন্দ্রমা। মেঘহীন কালো আকাশের বুকে নিজেকে পূর্ণ ভাবে উজার করেছে সে। এতো স্নিগ্ধ আলোতেও রাতের আঁধার কাটলো না। জনশূন্যহীন রাস্তায় হাটছে নবনীতা। এতো রাতে হাটতে তার প্রচন্ড ভয় করছে। গা শিরশির করছে। শুষ্ক পাতার মরমর শব্দ একটু পর পর আত্নাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। এখানে ছায়াও যেনো নিজের শত্রু। হঠাৎ কারোর তীব্র চিৎকার শুনতে পেলো সে। শব্দটি শিরদাঁড়ায় হিম ধরিয়ে দিলো। উৎস খুঁজার কৌতুহল হলো। ভয় ও করছে। কিন্তু কৌতুহল দমাতে পারলো না। একটু এগিয়ে যেতেই দেখলো সেই মাস্ক পরিহিত ব্যাক্তি। নিষ্ঠুরতার সাথে গলা চাপছে একটি মেয়ের। মেয়েটি চিনে নবনীতা। মেয়েটির নাম দোলা। দোলা হাত পা ছুড়ছে। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সে। অপরদিকে নবনীতার মনে হলো তার পা কেউ আটকে রেখেছে। সে চাইলেও এগুতে পারছে না। চিৎকার করতে চাইলো কিন্তু গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না। ক্রমাগত ঘামছে সে। এর মাঝেই সেই মাস্ক পরিহিত ব্যাক্তির সাথে চোখাচোখি হলো সে। সেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যেনো ক্ষতবিক্ষত করছে নবনীতা। সাথে সাথেই চোখ মেললো নবনীতা। তার সম্পূর্ণ শরীর ঘামে ভিজে আছে। আশপাশ তাকাতেই দেখলো সে তার ঘরে। তবে এটা কি স্বপ্ন ছিলো?………..
চলবে
[আমার লেখা প্রথম বই “তন্দ্রাবিলাসী” পেয়ে যাবেন বইফেরী এবং বুকশেলফ.কম এ]
মুশফিকা রহমান মৈথি