অস্তিত্বের খোজে part 17

0
751

অস্তিত্বের খোজে
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৭



– শুভ্র principle এর কাছে এসে বলল আমার wife কে রেখে যাচ্ছি। ওকে কিভাবে পরীক্ষা দেওয়াবেন সেটা আপনাদের বিষয়। আর রাজনিতি শিক্ষা দেন তাই না! আপনাদের ভার্সিটিরর বিরুদ্ধে যদি আমি এ্যাকশন না নিতে পারি তখন দেখেন।
– Sir please রেগে যাবেন না। একটা না হয় ভুল হয়ে গেছে তাই বলে এভাবে আমাদের পেটে লাথি দিতে পারেন না। জব নিয়ে টানাটানি পরে যাবে। আমি নিজেই সব ব্যবস্থা করছি আপনার ওয়াইফের পরীক্ষার জন্য। তবুও action নেন না please…..
– শুভ্র কোন কথা না শুনেই চলে গেল।
– পুরো ক্লাস দিয়ে একটা সিডর বয়ে গেল যেন।
– পরীকে principle বলল দেখ মা আমি তোমার বাবার মত। তোমার husband কে যদি একটু বুঝাতে! তাছাড়া আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
– Sir tention করেন না সমস্যা হবেনা। কারন আমি শুভ্রকে চিনি ও অন্তত কারো ক্ষতি করবেনা।




– শুভ্র একটি রেস্টুরেন্টে বসে কফি খাচ্ছে আর সামনে
নিতু আর ওর একটা বান্ধবী বসা। নিতু শুভ্র কে ডেকেছে।
– হ্যাঁ নিতু কি বলবে বল। আমার ভিষন তাড়া আছে।
– বলব মানে! তোমাকে এখানেই রাখব।
– কেন!
– আমাদের বিয়ের দিন কবে ঠিক করছো! পূজার পরে?
– What! কিসের বিয়ে….. আমি তোমাকে কোন দুঃখে বিয়ে করতে যাব। আমাকে কি পাগলা কুত্তায় কামড় দিছে যে তোমাকে বিয়ে করতে যাব?



– মানে! তুমি কি বলছো? আমাদের আশীর্বাদ হয়ে
গেছে আর তুমি মজা করছো…… দেশে আইন আছে এর ফলাফল কিন্তু ভাল হবে না। আর তোমাকে যে আমি সব জেনে শুনে বিয়ে করতে চাচ্ছি এটাই তোমার সৌভাগ্য শুভ্র।


– হুম আমিও তো সেটাই বলতে চাচ্ছি সব জেনে শুনে যে আমি তোমাকে এতদিন টাইম দিছি সেটাও তোমার সৌভাগ্য নিতু।


– তুমি ঐ পতিতাবৃত্তি খোর রাস্তার মেয়ের জন্য আমাকে পত্যাখান করবে?
– শুভ্র ওর ফোন বের করে নিতুকে দুর থেকে একটা ভিডিও দেখাল। দেখতো নিতু চিনতে পারো কিনা! এটা তুমি না?
– নিতু ভিডিও দেখে আকাশ থেকে পড়ল। এটা ও কিভাবে পেল।
– আমি কিভাবে পেয়েছি সেটা বলছো তো মনে মনে? তাহলে শোন উপল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড যার সাথে তুমি এরকম কুকাম করেছো।
– পরী পতিতা নয় পতিতা তুমি।


– তোমার জন্য উপল সুইসাইড করেছে। যেদিন তুমি আমার বাসায় প্রপোজ দাও সেদিন তোমায় দেখে আমি চিনতে পেরেছি। আমি একঢিলে ২ পাখি মারতে চেয়েছিলাম। সেটা কাজও হয়েছে। আর তুমি হয়ত জানোনা পরী মাই লিগ্যাল ওয়াইফ। এটা বাসার সবাই এমনকি পরীর ভার্সিটির স্যারদের ও আজ যানা হয়ে গেছে। তাই নিজের ভাল চাও তো কেটে পর বলেই শুভ্র উঠতেই নিতু বলল শুভ্র আমি তোমাকে ভিষন ভাল বাসি।
– নিতু আমিও পরীকে ভিষন ভালবাসি। তোমার টা স্বার্থ আর আমারটা নিস্বার্থের ভালবাসা। তোমার জন্য পরীকে মানে আমার বউকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি তাই বাই বাই। আর যদি আইনের কথা বল তাহলে আমি বলব ওটা ভুলে যাও। ছোটবেলা থেকে আমি আমার বাসায় আইন চর্চা দেখে আসছি তাই লিমিট ক্রস করো না।।।।। বাই




– পরীক্ষা শেষ করে আজ জলদি বাসায় আসলাম। বাসায় ঢুকতেই মা বলল পরী শুভ্র নিতে যায়নি তোমায়?
– না আন্টি…. হয়ত কাজে আটকা পড়েছে বলেই রুমে এসে ফোন অফ করে দরজা লাগিয়ে দিলাম। আমাকে তাই বলে এত্ত মানুষের সামনে চড় মারবে! আমার কি সম্মান নেই। আসার সময় কত মানুষের কত কথা শুনতে হল।




– শুভ্র পরীকে কল দিচ্ছে বার বার কিন্তু ফোন অফ। প্রচুর রেগে গেল শুভ্র। শেষে বাসায় কল দিয়ে ওর মাকে বলল পরী বাসায় ফিরেছে কি না?
– হ্যাঁ অনেক ক্ষন আগেই তো ফিরেছে। আর তুই এখন গেছিস ওকে নিতে! আগে মনে ছিলনা?
– কাজ ছিল মা। বাসায় এসে কথা বলছি মা বলেই কল কেটে দিয়ে বাসায় চলে আসে।




– খাবার টেবিলে পরীকে না দেখতে পেয়ে অনিতা পরীর রুমে গিয়ে দেখল ওর রুম লক করা।
– পরী দরজা খোল।
– আমি মার ডাক শুনে বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিয়ে বললাম আন্টি আমার শরীর খারাপ লাগছে কিছু খাবনা আপনারা খেয়ে নেন আমি একটু ঘুমাব।
– কেন! তোমার শরীর ঠিক আছেতো!
– জ্বী আন্টি একটু ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।
– ওকে আমি সব খাবার রেডী করে রাখছি ঘুম ভাঙ্গলে খেয়ে নিও মা।
– ঠিক আছে।




– আমি এসে সুয়ে পড়লাম। খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই জলদি ঘুম ও এসে গেল।
– আজ পরী খাবার খাবেনা বউমা!(নিতাই)
– না বাবা এসে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম ভাঙ্গলে খাবে। আপনারা খেয়ে নিন।



– গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘড়িতে দেখলাম রাত ২ টা বাজে। খুব খুদা লাগছে তাই নিচে গিয়ে ফ্রীজ থেকে খাবার বের করে গরম করলাম। তারপর খাবার গুলো নিয়ে ডাইনিং টেবিলে আনতেই দেখি শুভ্র বসে আছে। ও এখানে কি করছে………..
– পরী ফোন অফ কেন?
——————————–?
– বউ রাগ করছো তোমাকে ওভাবে চড় মারার জন্য!
———————————-?
– Sorry বউ রাগ কন্টোল করতে পারিনি।
———————————–?
– কথা বলবি না তো? ওকে না বল। খাবার দে খুদা লাগছে বলেই প্লেট নিল। বুঝলাম ও আমার জন্য খায়নি। ওকে খাবার দিয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
– কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন প্লেট নিয়ে বস।
– আমারও প্রচুর খুদা লাগছে তাই প্লেটে ভাত বেড়ে খেতে লাগলাম।
– এর মধ্য ও আর একটাও কথা বলল না খেয়ে সোজা উপরে উঠে গেল।
– আমি সব ঘুছিয়ে রেখে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।




– সেদিনের পর থেকে শুভ্র আমার সাথে আর কথাই বলে না। না বলুক তাতে আমার কি!
– এভাবে আরও কিছুদিন চলে যায়। দূর্গা পুজার জন্য
পরীক্ষার মধ্য ৮ দিন ছুটি পরে গেল।
– যেহেতু শুভ্রদের বাসায় পুজা হয় তাই বাসায় অনেক ধুম। অনেক আত্বীয় স্বজনও আসছে। আমি রুম থেকে একদম আর বের হইনা এ কয়েকদিন।
– শুভ্রটা যে কি করে ওকেও দেখতে পাইনা। এই কয়েকদিন আমি রুমেই খাই কারন বিভিন্ন পূজা করে সেগুলো খায় তাছাড়া আরও অনেক নিয়ম পালন করে তাই মা ঘরেই খেতে বলেছে।

– শুভ্রর মাসির ছেলে বিকাশ পরীকে খুব ফলো করে। শুভ্রের অশীর্বাদের দিন পরীকে দেখে ওর খুব পছন্দ হয়। ছেলেটার চরিত্র একটু খারাপ।


– রাতে আমি পানি নিতে এসে পানি নিচ্ছিলাম এমন সময় একটা কিছু ছায়ার মত দেখলাম। পিছন তাকাতেই সেটা সরে গেল।
– আমি তেমন গুরুত্ব না দিয়ে রুমে চলে আসলাম।




– পূজার ১০ম দিনে সবাই সিঁদুর খেলায় মত্ত। আমি রুমে কাপ্টি মেড়ে সুয়ে আছি। কারন অর্পিতা দাদু কয়েকবার ডেকে গেছে। আমি অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সুয়ে আছি। যদি মা এসে বলে পরী সিদুর লাগাও একটু এতে শুভ্রের মঙ্গল হবে এই কথার ভয়ে শুধু চুপ করে পরে আছি।




– বিকাশ এটারই সুযোগ খুজছিল। বাসায় কেউ নেই। সবাই মন্দিরে গেছে। বিকাশ পরীর রুমের কাছে গিয়ে পরী কে ডাক দিল।
– আমি বের হয়ে বললাম বিকাশ কিছু বলবে?
– পরী মিষ্টি খাবা বলে আমার সামনে হরেক রকম মিষ্টির বাটি তুলে ধরল।
– আমি মিষ্টি তেমন খাইনা বিকাশ।
– অনেক আশা করে আনলাম আর তুমি খাবা না?
– ওকে একটা খাচ্ছি বলে একটা তুলে নিয়ে মুখে পুরলাম।




– বিকাশ একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে মনে মনে বলে একটাতেই কাজ হবে দারুন।
– আমি খেতেই ও চলে গেল। আমি চুপ করে বসে পড়তে লাগলাম।
প্রায় ২০ মিনিটের পর আমার শরীর কেমন জানি করতে লাগল। অসম্ভব রকম মাথা ঘুড়ানো প্লাস উত্তেজনা বেড়েই চলছে। আমি উঠে দাড়াতে চেষ্টা করলাম কিন্তু আর উঠতেও পারলাম না।




– বিকাশ এই সময়টার অপেক্ষায় ছিল এতদিন। বিকাশ খুব খুশি হয়ে রুমে ঢুকে বলল পরী শুভ্র দাদার আর্শীবাদের দিন থেকেই আমি তোমাকে চাইতাম আজ সেদিন এসেই গেল বলে পরীর কাছে গেল।
পরী বার বার ওর হাত সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।

– আরে ওয়েট ওয়েট তুমি নিজেই একটু পর আমার কাছে এমনি আসবে বলে পরীর হাত ধরে।
– বিকাশ কি করছিস এখানে!
– বিকাশ চমকে পিছে ফিরে দেখে শুভ্র পিছনে চোখ টকটকে লাল করে দাড়িয়ে।
– পরীকে বিকাশ ছেড়ে দিতেই পরী ধপ করে পরে যায়।



– শুভ্র জলদি রুমে গিয়ে পরীকে তুলে উঠায়। পরীকে একহাতে ধরে ওর কাছে এনে বলে আর একবার ওর গায়ে হাত দে………. কুত্তা কোথাকার দেনা একবার বলেই ঠাস করে বিকাশের গালে চড় বিকাশের দেয় শুভ্র।
– শুভ্রের চড় খেয়েই বিকাশ গালে হাত দিতেই
দৌড় দেয়। শুভ্রও পরীকে রেখে বিকাশের পিছে দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরে ফেলে। বিকাশের শার্টের কলার ধরে বলে তোর সাহস কিকরে হয় ওর গায়ে হাত দেস? জানিস ও তোর কে হয়! ও তোর বৌদি হয় আর তুই ওর গায়ে হাত দিস বলেই এলোপাথারি মাইর শুরু করে দিল। আমার আমানতের জিনিসের গায়ে হাত দেওয়া!
– শুভ্রদা আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দাও প্লিজ………




– পরী টলতে টলতে শুভ্রর সামনে দিয়ে নিচে নামতে যাচ্ছে।
– পরী এই পরী ওদিকে কই যাচ্ছো বলে বিকাশকে এক হাত ধরে টানতে টানতে পরীকে একহাতে ধরে নিজের কাছে নিল।
– এই তুই ওর সাথে কি করেছিস বল বলেই বিকাশকে ঝাকালো।
– পরীকে শুভ্র ওর রুমে রেখে দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে দিয়ে বিকাশ কে বলল কিরে বল কি করেছিস ওকে!
– বিকাশ ভয়ে কেঁদে উঠে বলল মিষ্টির সাথে হাই ডোজের নেশার দ্রব্য এবং উত্তেজক মেডিসিন মিশিয়ে খাওয়াছে যাতে পরী নিজে ওর কাছে আসে।



– তুই এত খারাপ বলেই কয়েকটা থাপ্পড় বিকাশের গালে ও পিঠে পড়ল। দ্বারা তোর কি অবস্থা করি বলেই ওকে টেনে হিচড়ে উপরে নিয়ে গিয়ে চিলেকোঠা রুমে রেখে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। দাদা খুলে দাও আর হবেনা বলে বিকাশ
বার বার শুভ্রকে ডাকতে লাগলো।
– শুভ্র সেদিকে কান না দিয়ে নিচে নেমে ওর রুমে গেল। দরজা খুলতেই পরীকে দেখে ও বির বির করছে আর গায়ে ওড়নাটা ও রাখেনি।




– পরী বলে ডাকতেই পরী শুভ্রর দিকে কামুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চেয়ে থাকল।
– শুভ্র মনে মনে বলল এই মেয়ে যে আজ কি করবে সেটা ও ভাল জানে।


– শুভ্র পরীর গায়ে হাত দিতেই পরী ওকে জড়িয়ে ধরে এবং গায়ে শক্ত করে খামচি দিয়ে ধরে।
– আহ্ পরী লাগছেতো। আর তুমি এত বড় বড় নখ কেন রাখছো। ডাকিনীর মত আচড়াচ্ছো তো দেখছি।
– পরী শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বার বার ওর বুকে মুখ গুজাচ্ছে।
– শুভ্র বুঝে গেল পরী কি চায়। পরী ওকে ধরে বলল। I Love you মৃদুল।


– মৃদুলের নাম শুনতেই শুভ্র রেগে যায় আর পরীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। স্বভাব যাবেনা তোর। এই লজ্জা করেনা বরের সামনে পরপুরুষের নাম ধরে ডাকতে! বলে শুভ্র পা বাড়াতেই পরী এসে ওকে আবার জড়িয়ে ধরে। আর কিস করতে থাকে।
-এই আমি চলে যাচ্ছি না এখানেই আছি বলে দরজাটা বন্ধ করে আসতেই আবার ওকে জড়িয়ে ধরে।

– নাহ্ মেডিসিনে দেখছি ব্যাপক কাজ করেছে। একে ছেড়ে দিলে নিজেরতো সম্মান রাখবেনা সাথে আমারও সম্মান জলাঞ্জলি দিতে হবে।
– শুভ্র একটা কিস করলে পরী ৫ টা কিস করে। শুভ্র বলল যদি তুমি সঙ্গানে থাকতে তাহলে ব্যাপারটা অনেক পরিতৃপ্তিকর হত। হুম এই প্রথম প্রায় ১ বছর পর তাদের শারিরীক মিলন ঘটে সেটাও পরীর অজান্তে।



– শুভ্র পরীকে ওর রুমে রেখে আসে। কারন ও বার বার ভেঙ্গে পড়ছিল। ওকে শুয়ে দিয়েই ওর রুমে আসে। সব ঠিকঠাক করে নিচে নেমে আসে। আজ যদি ও না আসত জলদি তাহলে আজ কি হয়ে যেত। শুভ্র ভাবতেই গা শিউরে উঠল ওর। শুভ্র ওর মাকে কল দিয়ে বলল মা বাসায় আসো জলদি বলেই সোফাতে বসে পড়ল।
– অনিতা বাসায় আসতে শুভ্র উঠে ওর মায়ের কাছে গেল।
– কি হয়েছে বাবা( অনিতা)
– মা দাড়াও বলে শুভ্র ছাদে গিয়ে বিকাশকে টেনে হেচড়ে নিচে নেমে আনল।
– অনিতা শুভ্রের কাজ দেখে অবাক হয়ে বলে কি হয়েছে ওকে এভাবে টানছিস কেন ওভাবে?


– স্বাধে টানছি মা!
– তোমার দিদির ছেলে আজ যা করেছে তা অনুমান করারও বাহিরে বলে বিকাশকে একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বলল তুই মুখ খুলবি না আমি কিছু করব।


– বিকাশ শুভ্রের কাছে ধরা পরার পর থেকে অনেক গুলো মাইর খেয়ে ওর অবস্থা শেষ। ও বলল শুভ্রদা মাফ করে দাও কোনদিন এমন করবনা। আমি তোমার পা ধরছি দাদা মাফ করে দাও।


– কি ঘটনা ঘটায়েছিস সেটা আগে জলদি বল বলেই আর একটা চড় বসিয়ে দিল। বেচারা বিকাশের গাল লাল হয়ে গেছে এতক্ষনে। বিকাশ বাধ্য হয়ে সব কথা অনিতার সামনে গড়গড় করে বলে দিল।


– অনিতা বিকাশের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল। মেয়েটাকে একা ও ভাবে বাসায় রেখে যাওয়া ঠিক হয়নি।


– এভাবে হবে না ওর মাকে ডাকো বলেই শুভ্র ওর মাসিকে কল দিয়ে আসতে বলল। বিকাশ এবার শুভ্রর পা ধরে বলল দাদা মাফ করে দেন মাকে কিছু বলেন না প্লিজ বলে কাঁদতে লাগল।


– বিকাশ আজ যা তুই করেছিস সেটা আমার সহ্যর বাহিরে। আমি যদি আজ না আসতাম তাহলে কি তুই ওকে ছেড়ে দিতিস বলেই আবার একটা চড় বসিয়ে দিল। শুভ্রর মনে হচ্ছে ওকে এখানেই পুঁতে দেয়।


– বিকাশের মা আসলে তাকে সব খুলে বলে শুভ্র বলল আমি যেন কোন দিন বিকাশকে অন্তত আমার বাসার আশপাশ না দেখি। এবার যদি দেখি তাহলে ওকে আর আস্ত আর রাখব না ওকে খুনই করে ফেলব। সর চোখের সামনে থেকে বলে শুভ্র সেখান থেকে চলে আসল।




– প্রায় একটানা ১০ ঘন্টা ঘুমানোর পর পরী ওঠে। ওর শরীর বেশ ভারী ভারী লাগছে। পুরো চোখমুখ ফুলে গেছে। কেমন জানি লাগছে। একটা অসস্তিকর অবস্থা। বিকাশের মিষ্টি খাওয়া তার পর পড়তে বসা এর পর কিছু মনে নাই। এখন সকাল না সন্ধা সেটাই বুঝতে পারছেনা।


– পরের দিন ঘুম ওর ভাঙ্গছে। তবুও ঘুমের রেশ কাটছেনা বলে লম্বা একটা সাওয়ার নিল। পরী ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে আসতেই পলা বলে উঠল এই পরী তুমি উঠে পড়েছো দেখছি। কাল থেকে ঘুমাচ্ছো তার পর থেকে তোমার সাড়া পাওয়া যায় নি। তুমি কি ভান টান কিছু খেয়েছিলে কি!



– অনিতা এসে পলাকে ধমক দিয়ে বলল কি যাতাসব বলিস। পরীর দিকে তাকিয়ে বলল মা কিছু খাবে?
– ভাত খেতাম খুব খুদা লাগছে।
– অনিতা ওকে নিজে ভাত বাড়িয়ে দিয়ে সামনে বসে বলল তোমার শরীর ঠিক আছেতো?
– আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে বললাম হুম তার পর খেয়ে সেখান থেকে রুমে এসে বসে পড়লাম। পেট প্রচুর ব্যাথা করছে। শরীরও ভাল লাগছেনা। আবার ঘুম আসছে তাই সুয়ে পড়লাম। একটু পর ঘুমও চলে আসল। এক ঘুমে সন্ধায় গিয়ে ঘুম ভাঙ্গল আমার। কি হচ্ছে আমার সাথে এত ঘুম কেন হচ্ছে আমার। আমাকে কি কেউ ডাকতেও আসেনি বলেই উঠে ফ্রেস হয়ে বেলকুনিতে গেলাম। দুরে দেখি দাদু কার সাথে যেন কথা বলছে। একটু পর মাগরিবের আযান দিলে অযু করে নামায পরে নিলাম দেন পড়তে বসলাম। কারন কাল পরীক্ষা। এমনি ঘুমানোর জন্য অনেক পরার লস হয়ে গেছে।




– অর্পিতা এসে বলল বাহ্ দিদি তুমি দেখছি উঠে পড়ছো। কতবার আমি দাদা মা তোমায় এসে দেখে গেছি। তুমি ঘুমাচ্ছিলা। একবার ডেকেও ছিলাম মা আর দাদা নিষেধ করে দিয়েছিল।
– আমি একটু হেসে বললাম অর্পিতা একটু নিচে গিয়ে পলা আন্টিরে বলবা খাবার দিতে আমার খিদা লাগছে। কাল পরীক্ষা তাই পড়তেও হবে। এমনি অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে।
– ওকে দিদি বলে অর্পিতা চলে গেল।




– এভাবে আরও অনেক দিন গেল। শুভ্র একটা জিনিস নোটিস করল পরী আগের থেকে আরও বেশি আকর্ষনীয় হয়ে গেছে। শরীর অনেক পরিবর্তন ও হয়ে গেছে। বেশ দারুন ও লাগে ব্যাপার টা শুভ্রর কাছে। কিন্তু শুভ্র পরীর সঙ্গে কথা বলে না। বরং এড়িয়েই চলে। কি যে ওর মনের ভিতর চলছে ও সেটা ভাল যানে।



– এভাবে পরীক্ষা শেষের দিকে পরীর। আজ শেষ পরীক্ষা। মৃদুল বার বার কল করে বলেছে আজ দেখা করবে। পরীও বলেছে অপেক্ষা করবে ওর জন্য।
– বাসায় বলে গেল আসতে দেরী হবে। আজ লাষ্ট পরীক্ষা তাই।
– পরীক্ষার হলে ঢুকে বসে আছে। স্যার খাতা দিয়ে বলল কেমন আছো পরী! তোমার Husband কেমন আছে?
– জ্বী sir ভাল আছে। আপনি ভাল আছেন?
– ফ্রম পুরুন ও পেপারে মার্জিন টানতেই ঘন্টা পরে গেল এবং প্রশ্ন পত্র দিল দেন পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল।




– পরীক্ষা শেষ করে পরী এসে বাহিরে দেখে অনেকগুলো মানুষের ভীরে লম্বা ফর্সা কফি কালার শার্ট পরে একটি ছেলে দাড়িয়ে আছে। পরীর বুঝতে বাকি রইল না এই মৃদুল। তাই বেশ হাসি মুখে মৃদুলের দিকে এগিয়ে গেল।



চলবে————————

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here