অলকানন্দার নির্বাসন পর্ব ১৩

0
634

#অলকানন্দার_নির্বাসন
#মম_সাহা

১৩.

আকাশে সাদা তুলোর ন্যায় মেঘের দল ভেসে বেড়াচ্ছে নিজ আনন্দে। তাদের কোনো বাঁধা ধরা নিয়ম নেই, থেমে থাকার ভয় নেই। তাদের গন্তব্যহীন কেবল পথ চলা। যেখানে ঠাঁই হয়নি পিছুটানের। সেই মেঘপুঞ্জের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অলকানন্দার দৃষ্টি স্থির, কথারা নিশব্দ। সে অনুভব করছে কেবল, তাকে ছুঁয়ে যাওয়া শীতল বাতাসের অস্তিত্ব। অনেকদিন বোধহয় প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া হয়নি তার। আজ সকল না হওয়া কাজ সে একটু একটু করে সম্পূর্ণ করে অনুভব করতে চায়।

সময়টা অপরাহ্ন। ‘বিহারিণী মহলের’ সামনের খোলামেলা জায়গায় একটু ছোটোখাটো আয়োজন করা হয়েছে। আজকে ইংরেজি সাহেবেরা আসবে এই মহলে। এখানের কিছু জমিজমা নিয়ে কথা হবে। অলকানন্দার ঘাড়েই তাই দায়িত্ব পড়েছে। যেহেতু এখন বিচারকার্য তার উপর তাই সে-ই গ্রামের মানুষদের সকল ভালো-মন্দে সাথে থাকবে। সুরবালার নেই কোনো আপত্তি। বরং সে নিজের পুত্রবধূকে ভালো একটা শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে সুন্দর করে। কপাল অব্দি ঘোমটা টানা। চন্দনের ফোঁটা কপালের মাঝ বরাবর যেন চন্দ্রবিন্দুর ন্যায় শোভা বাড়াচ্ছে।

জায়গাটা নির্দেশ দিয়ে দিয়ে পরিপাটি করিয়েই ক্ষান্ত হলো অলকানন্দা। অতঃপর হাফ ছেড়ে বসলো আরামকেদারা খানায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই মহলের চারদিকের আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। ঝলমল করে ওঠলো চারপাশ। অলকানন্দা হাঁক ছেড়ে বাড়ির এক কর্মচারীকে ডাকল,
“মোহিনী, এক গ্লাস জল দিয়ে যাও তো।”

ডাক শেষ হওয়ার মিনিট দু’য়ের মাঝেই জল চলে এলো। অলকানন্দা সেটা হাত বাড়িয়ে নিতে গিয়ে খেয়াল করল জলটা মোহিনী নয়, কৃষ্ণপ্রিয়া এনেছে। তার সাথে দাঁড়িয়ে আছে মনময়ূরী ও পানকৌড়ি। অলকানন্দা ভ্রু কুঁচকালো। এরা তিনজন একসাথে মানে কোনো না কোনো ঝামলা তো আছেই। কিন্তু তবুও সে কিছু বললো না। এগিয়ে দেওয়া জলের গ্লাসটা হাতে নিয়ে আয়েশ করে পান করলো পুরোটা জল। কৃষ্ণপ্রিয়া হাত বাড়িয়ে খালি গ্লাসটা নিতেই মনময়ূরী কথা বলল,
“বৌঠান, তোমার চরিত্র বলতে কিচ্ছুটি নেই তাই না?”

অলকানন্দা এমন একটা কথা শুনেও অবাক হলো না। বরং বেশ স্বাভাবিক কণ্ঠে উত্তর দিল,
“আমার নাহয় নেই, তোমার আছে তো? তাতেই হবে।”

“ঘরের পুরুষ, বাহিরের পুরুষ, কাউকেই তো ছাড়ছো না। কিছু তো লজ্জা আনো ভেতরে।”

ময়ূরীর কথায় হো হো করে হেসে উঠলো অলকানন্দা। রহস্য করে বলল,
“সব পুরুষকে না ছাড়লেও তোমার পুরুষকে ছেড়ে দিয়েছি, এতে কী তুমি খুশি নও?”

ময়ূরী থমকে গেলো। অলকানন্দার ইশারা বুঝতে তার বাকি রইলো না। চিত্ত স্থির থেকে চঞ্চল হলো। কিছু একটা হারানোর ভয় কার বুকে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠলো সাথে অলকানন্দার প্রতি নিবিড় ক্ষোভ বেরিয়ে এলো। সে হিংস্র চোখে চেয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
“চরিত্রহীন…”

“তোমার স্বামী নিলাম না, তোমার ভাগের সোহাগ নিলাম না, সব চাইলেই আমার হতো তবুও চাইলাম না তাও এমন নামকরণ? কলঙ্ক লাগাচ্ছো? পরে সত্যি সত্যি কলঙ্কিনী হতে গেলে কিন্তু তোমার কপাল পুড়বে ঠাকুরঝি। তুমি কী তা চাও?”

ময়ূরী আর কোনো উত্তর দিল না। স্বামী হারানোর ক্ষীণ ভয় তার বুকের মাঝে উঁকিঝুঁকি দিয়ে উঠল। সে তো জানে, তার স্বামীর মনে এই মেয়েটার খুব নিবিড় একটা বসবাস হয়তো আছে। প্রকাশ করেনি মানুষটা কিন্তু ঠিকই আছে হয়তো।

“বড়দি, তুমি কী একটু বেশিই করছো না? একটা মেয়ে হয়ে এতটা ক্ষমতা দেখানো কী তোমার উচিত হচ্ছে বলো?”

“উচিত হচ্ছে না বলছো?”

কৃষ্ণপ্রিয়ার প্রশ্নের জবাবে প্রশ্ন ছুঁড়লো অলকানন্দা। কৃষ্ণপ্রিয়া কর্কশ কণ্ঠে বলল,
“না, হচ্ছে না।”

“উচিত না হলেও এ ক্ষমতা আমি দেখাবো ছোটোবউ। তুমি বরং তোমার স্বামী সামলে রাখো। যাকে দেবতার স্থান দিয়েছো সে না আবার তোমারই বড়ো ক্ষতিটা করে।”

“কোনো ক্ষতিই সে আমার করবে না, বড়দি। তোমার তো স্বামী মারা গেছে তাই তুমি স্বামী সোহাগিনীর সুখ সইতে পারছো না।”

কৃষ্ণপ্রিয়ার কথায় আবারও খিলখিল করে হাসলো অলকানন্দা, হাসতে হাসতে প্রায় লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় তার। সে মুখ চেপে ধরে হাসি সংযত করার চেষ্টা চালালো। কিয়ৎপরিমাণ চেষ্টার পর সে সফলও হলো। তার হাসি কমে এলো, চোখ জুড়ে টলমল করে ওঠলো অশ্রু দানা। সে অনামিকা আঙুল দিয়ে সেই অশ্রু কণিকা মুছতে মুছতে বলল,
“তোমার দিদি মোহমালা কোথায় কৃষ্ণা? এতদিন যাকে আশ্রয় দিয়েছো তোমার বাড়িতে আজ তোমার বিপদে সে কোথায়?”

কৃষ্ণপ্রিয়া ভ্রু কুঁচকালো। অলকানন্দার কথা বুঝতে না পেরে বলল,
“ও তো ওর শ্বশুর বাড়ি গিয়েছে। এতদিন পর স্বামী ফিরিয়ে নিয়েছে এমন সময় আসা সাজে নাকি? সবাইকে নিজের মতন পাষণ্ড ভেবো না, বড়দি।”

“ভাবছি না ছোটোবউ, ভাবছি না বলেই তোমাকে সাবধান করছি। আর আমি খুব ভুল না করলে মোহমালা দিদি খুব শীগ্রই তোমার কাছে আসবে। অপেক্ষা করো।”

“বড়দি, মিছিমিছি আমার দিদির গায়ে কলঙ্ক লেপো না। সবাই তোমার মতন না।”

“হ্যাঁ, সেটা জানি। সবাই আমার মতন না বলেই তোমার কপাল পুড়বে। নাহয় তো তুমি বেঁচেই যেতে।”

কথা কাটাকাটি আরেকটু বাড়ার আগেই ইঞ্জিন চালিত গাড়ির শব্দ হলো। তারা দূর থেকেই জানান দিল এক ঝাঁক ভিনদেশী পুরুষ নিয়ে তারা হাজির হচ্ছে। থেমে গেল বাড়ির রমণীগণ। নবনীল বেরিয়ে এলো ঘর ছেড়ে। অলকানন্দাও ওঠে দাঁড়াল। মেয়েরা সকলে অন্দরমহলের দিকে গিয়ে দাঁড়াল কেবল অলকানন্দা ছাড়া। আর নন্দন মশাই, নবনীল তারা বাহিরে এলো। বাড়ির ভেতরের দিকে দাঁড়াল ময়ূরীর স্বামী প্রসাদ আর পানকৌড়ির স্বামী ধ্রুবলালও।

মিনিট খানেক পেরুতেই সাহেবদের গাড়ি বিশাল কারুকাজ শোভিত লোহার গেইট পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। অলকানন্দার বুকে দুরুদুরু কম্পন। নবনীল হয়তো বুঝলো সে কম্পন। অতঃপর সে ফিসফিস করে ভরসা দিয়ে বলল,
“পা যেহেতু এগিয়েছেন, ভয় কিসের? পুরো পৃথিবী আপনার বিপরীতে চলে গেলেও একটা কথা মনে রাখবে- আমি আছি আপনার সাথে।”

অলকানন্দা ক্ষীণ হাসলো। কোমল কণ্ঠে বলল,
“আপনি আছেন বলেই একটু ভয় কম পাচ্ছি।”

নবনীল ঘাড় কাঁত করলো। মেয়েটার কৃতজ্ঞতায় থাকতে পেরে যেন তার জীবন প্রায় ধন্য। তন্মধ্যেই সাহেবরা সকলে একসাথেই প্রবেশ করলেন। অলকানন্দাসহ বাকি সকলেই দু-হাত জোর করে তাদের সাদরে আমন্ত্রণ করল। সকলের মুখে গম্ভীরতা থাকলেও অ্যালেন নামের লোকটার মুখে প্রাণোচ্ছল হাসি। সে হাসি বিস্তৃত করেই অলকানন্দার উদ্দেশ্য বলল,
“শুভ সন্ধ্যা, বিউটিফুল। ভালো আছেন আপনি?”

অলকানন্দা কৃত্রিম হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে ঘাড় কাঁত করে বলল,
“বসুন, বসুন। সকলে বসুন।”

অ্যালেন নামের ফর্সা ধবধবে পুরুষটা অন্যেদের দিকে তাকাল, অনুমতি দিয়ে বলল,
“সিট এভ্রিওয়ান। সিট।”

সকলে বসলো। অলকানন্দার ভীষণ অস্বস্তি হলেও সে বসলো। বসতে বাধ্য। কারণ অ্যালেন নামক লোকটা তাকেই সর্বেসর্বা ভাবছে তাই না চাইতেও বসতে হবে। তাছাড়া আজকের কথাবার্তা হবে গ্রামের মানুষদের ফসলি জমি নিয়ে যেখানে সাহেবরা নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে চায়। গ্রামের বেশ অনেক গুলো পরিবার এই জমির উপর নির্ভরশীল। জমিটা সাহেবদের দখলে চলে গেলে তাদের জীবন-যাপনে বড়ো দুর্ভোগ নেমে আসবে যে!

সকলে কুশলাদি বিনিময় করার পরই কথা শুরু করল। শুরু হলো যুক্তিতর্ক। অলকানন্দা প্রথমে চুপ ছিলো, কথা বলছিলেন নন্দন মশাই। কিন্তু হুট করে সাহেবদের মাঝেই বসে থাকা মিস্টার স্টিফেন নামের লোকটা নন্দন মশাইকে বিশাল অঙ্কের একটা প্রস্তাব দিলেন। যদি জমিটা তাদের দেওয়া হয় তবে তার বিনিময়ে নন্দন মশাইদের বিরাট অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে। অলকানন্দা চাইলো তার খুড়োশ্বশুরের পানে। লোকটা যা লো-ভী, রাজি না হয়ে যায়! অলকানন্দার ভাবনা সত্যি করে দিয়ে নন্দন মশাইয়ের চোখে মুখে দেখা দিল খুশির চিলিক। সে প্রায় রাজি হয়ে যাবে হাবভাব। এবার মুখ খুলল অলকানন্দা,
“মিস্টার স্টিফেন, দুঃখিত আপনাকে আমরা সে-ই জমি দিতে পারবো না। সে আপনি যত টাকাই আমাদের প্রস্তাব দেন না কেন আমরা আমাদের জমি ছাড়ছি না। গ্রামের কৃষকরা আমাদের উপর ভরসা করে চেয়ে আছেন। তাদের ভরসার দাম কোনো টাকার অঙ্ক পরিপূর্ণ করতে পারবেনা। দুঃখিত।”

সাহেবদের মাঝে অনেকে বাংলা ততটা জানেনা বলে তাদের বুঝতে অসুবিধা হলো তাই যারা বাংলায় পারদর্শী তারা সেটা বুঝিয়ে দিল। নিজেদের মাঝে চলল আলোচনা। মিস্টার স্টিফেন যখন বুঝতে পারলেন তার প্রস্তাব অলকানন্দা প্রত্যাখান করেছে তখনই সেই সাদা রুদ্রমূর্তির ন্যায় মানুষটা খ্যাপে ওঠলেন। কিছুটা হিংস্র হয়ে বললেন,
“আপুনি (আপনি) বাড়াবাড়ি করিতেছেন। আমরা চাইলেই এই জমি কাড়িয়া নিয়া যাইতে পারি। তবুও আমরা আপোনাদেরকে মানি অফার করিয়াছি, ভাবিয়া লন।”

“ভাবাভাবির কিছু নেই মিস্টার স্টিফেন, আমরা টাকা চাইনা। আমাদের জমি আমাদেরই থাকবে।”

স্টিফেন নামের লোকটা এবার দাঁড়িয়ে গেলেন। কিছুটা রুক্ষ স্বরে বললেন,
“ডোন্ট ক্রস ইউ’র লিমিট। আদারওয়াইজ…”

স্টিফেনের কথা শেষ করার আগেই অ্যালেন প্রশ্ন ছুঁড়ল,
“আদার ওয়াইজ হোয়াট? স্টিফ, কাম ডাউন। রেসপেক্ট হার।”

স্টিফেনের রঙচঙে রাগ এবার বিস্মিয়ে পরিবর্তন হলো। সে প্রায় বিস্মিত স্বরে বলল,
“তুমি জানো অ্যালেন তুমি কী বলছো? আর ইউ ম্যাড? হু আর সি? তাকে কেন রেসপেক্ট করিব আমি? সে আমাদের সাথে রুড আচরণ করিতেছে।”

“কাম ডাউন, স্টিফ। সে তার গ্রামের মানুষদের ভালোর কথা ভাবিয়া এসব বলিয়াছে। ডোন্ট এংগ্রি। সি ইজ সাচ অ্য বিউটিফুল এন্ড স্ট্রং লেডি। ইউ নো, সি ইজ অনলি সিক্সটিনথ ইয়ার ওল্ড।”

স্টিফ আবার অবাক হলো বোধহয়। অবাক হয়ে বলল, “অনলি সিক্সটিনথ!”

“ইয়েস।”

স্টিফেনের চোখে এবার অবাক ভাব। ষোলো বর্ষীয়া একটা মেয়ে কি-না তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়েছিল সে ভাবতেও যেন পারছে না। তাছাড়া এই দেশ সম্পর্কে তাদের যতটুকু ধারণা সেই ধারণায় এতটুকু একটা মেয়ের এমন সু-উচ্চ সাহসিকতার পরিচয় কোথাও উল্লেখ্য নেই। স্টিফেন আনমনে বললেন,
“ইম্প্রেসিং!”

তন্মধ্যেই তরঙ্গিণী বাড়ির কিছু কর্মচারীকে নিয়ে হাজির হলো যাদের হাতে ছিল খাবারের স্তূপ। হরেক রকমের খাবার নিয়ে সকলে রাখল সাহেবদের সামনের ছোটো টেবিলটাতে। পুরো টেবিল মুহূর্তেই খাবার দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেলো। সেখানে অনেক আমিষ খাবার থাকায় অলকানন্দা ওঠে দাঁড়াল। বিনীত স্বরে সকলের উদ্দেশ্যে বলল,
“আপনারা আহার করুন আমি অন্দরমহলে যাচ্ছি। আসলে আমার আমিষের ধারে কাছে থাকা অনুচিত।”

স্টিফেন এবার আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করল, “হোয়াই?”

“কারণ আমি বিধবা। আর আমাদের স্বামী মারা যাওয়ার পর এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হয়। নাহয় আমরা অশুদ্ধ হয়ে যাবো।”

অলকানন্দার উত্তরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো স্টিফেন। অ্যালেনের মুখে হাসির রেখা। বুক ভরে গেছে মুগ্ধতায়। তার সামনে দাঁড়ানো নারীটার মাঝে যেন একা আকাশ পরিমাণ মুগ্ধতা।

_

গ্রামের মানুষদের আরও একটা দারুণ খবর দিয়ে এবার অলকানন্দা সকলের পছন্দের আসনে পাকাপোক্ত ভাবে আরোহন করলো। সকলের মুখে মুখে তার জয়ধ্বনি। সাহেবরা এতদিন যে জমি আটকে রেখেছিল সেটা কৃষকদের দিয়ে দিবে জানিয়েছেন। আনন্দের সীমা রইলো না কারো। এ যেন এক অসম্ভব কিছু সম্ভব হওয়া। চারদিকে অলকানন্দার একটা জয়ধ্বনি পড়ে গেল যেন!

নিজের বিছানায় শুয়ে আছে অলকানন্দা। মিলাচ্ছে তার ছোটো জীবনের বিরাট হিসাব-নিকাশ। হুট করে তার এত অবহেলিত জীবনটা এতটা উঁচুতে উঠে গেলো সে ভাবতেও পারছে না। তবে খুব দ্রুত উঁচুতে উঠে না আবার মুখ থুবড়ে পড়তে হয় সে-ই ভয়ে কাঁপছে তার বুক। মনে হচ্ছে খুব খারাপ কিছু বোধহয় হতে চলেছে। তার ভাবনাকে সত্যি করে দিয়ে একটা খবর এলো। অলকানন্দার বাড়ি থেকে খবর এসেছে। অলকানন্দার ছোটো বোনটাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here