#অবহেলায়_ভালোবাসা
#লেখকঃRabi_Al_Islam
#পর্বঃ৪
প্রিন্সিপ্যাল রবিকে বলল, তোমার কাছ থেকে আমি এটা আশা করিনি। তোমার জন্য কলেজে এখন ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে
এসব দেখে অন্য স্টুডেন্টরা কি ভাববে বলতে পারো? এটা কলেজ কোনো মারামারির জায়গা না যে তোমাদের যখন ইচ্ছা ঝামেলা করবে।
তোমাদের দুই দলের জন্য সবসময় কলেজে ঝামেলা হয়। তোমাদের এই ঝামেলার জন্য স্টুডেন্টরা কলেজে আসতে ভয় পায়
আজকে যদি আমি সময়মত না আসতাম তাহলে আবার মারামারি হত। তোমাকে আমি শেষবারের মত বলছি এরপরও যদি তুমি এমন করো তাহলে তোমাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হবে। এখন যাও
রবি চুপচাপ প্রিন্সিপ্যালের রুম থেকে চলে আসলো। রবির বন্ধুরা ওকে বলল, স্যার কি বলল?
– এরপর যদি আর কখনও এমন হয় তাহলে আমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হবে
– ঝামেলা কি আমরা একা করি নাকি। ওরা তো গায়ে পড়ে আমাদের সাথে ঝামেলা বাধাতে চায় ওদের কি হবে?
– জানি না। এখন থেকে সাবধানে থাকতে হবে। কলেজ থেকে বহিস্কার হওয়া যাবেনা
স্যারকে হয়তো কেও আমার সম্পর্কে উল্টা- পাল্টা বলেছে। তাই স্যার আমার উপর এতটা রেগে আছে
মেঘাকে ওর বান্ধুবিরা বলল, তুই স্যারকে রবির সম্পর্কে উল্টা- পাল্টা বললি কেনো? তোকে আবারও বলছি তুই অনেক বড় ভুল করছিস
– আমি কোন ভুল করছি না। আমি ওই রবিকে শাস্তি পেতে দেখতে চাই। ওকে আমি এত সহজে ছেড়ে দিবো না
হঠাৎ রবি এসে বলল, তুমি আমার নামে স্যারের কাছে উল্টা- পাল্টা বলেছ জানপাখি। আমি ভাবলাম হয়তো অন্য কেও বলেছে
– আমি বলেছি সামনে আরও বলবো যদি আপনি আমার পিছু না ছাড়েন। আপনি এত ছ্যাচরা কেনো? আমি আপনাকে ভালোবাসি না তারপরও আমায় বিরক্ত কেন করেন?
আমি জানি না আপনি আমার বান্ধুবিদের কি জাদু করেছেন। তারা তো আপনাকে মহান ব্যাক্তি ভাবে।
– তুমি আমায় কেন ভালোবাসো না? তুমি চাইলে আমি পরিবর্তন হয়ে যাবো
– আপনাকেই আমার পছন্দ না। আপনি এখন জান তো এখান থেকে। আমাকে একা ছেড়ে দিন
– আমি তোমাকে কিভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি জানপাখি? যদি তোমার কোন বিপদ হয় তখন কে তোমাক বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে। তাই আমি সবসময় তোমার সাথেই থাকবো
– আপনিই আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ। আর কোন বিপদের ভয় নেই আমার। আপনি সাথে থাকলে বিপদও আমার সাথে থাকবে
আপনি আমার মধ্যে কি এমন দেখেছেন বলেন তো যে আমাকেই আপনার ভালোবাসতে হবে। পৃথিবীতে কি আমি ছাড়া আর কোন মেয়ে নেই নাকি
– এত কিছু জানি না। এত মেয়ে থাকতে আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি জানপাখি এটা একটু ভাবো। তুমি বিশেষ কেও আমার জন্য
– আপনি যাবেন নাকি আমিই চলে যাবো
– তুমি থাকো আমিই যাচ্ছি
৩দিন পর
রিয়ান এখন মোটামুটি সুস্হ। আজকে কলেজে এসেছে রিয়ান। সবাই ভাবতেছে আজকে কিছু একটা হবে। রিয়ান রবিকে ছেড়ে দিবেনা
মেঘা রিয়ানকে দেখে খুবই খুশি হয়েছে। রিয়ানকে বলল, তুমি সুস্হ হয়ে আবার কলেজে এসেছো আমি খুবই খুশি হয়েছি। এতদিন তোমাকে অনেক মিস করেছি। একা একা লাগছিল আমার। এখন তুমি কলেজে এসেছো আর কোন চিন্তা নেই
– আমিও তোমাকে অনেক মিস করেছি। শুধু এটা ভাবতেছিলাম কখন কলেজে আসবো তোমাকে দেখবো আর আমার প্রতিশোধ নিবো
– আমিও চাই যারা তোমার এই অবস্থা করেছে তুমি তাদের শাস্তি দেও। রবি তোমাকে মেরে কলেজে স্বাধীনভাবে ঘুরছিলো যা দেখে আমার খুবই রাগ হচ্ছিল। কিন্তু নিরুপায় ছিলাম আমি। কি বা করতে পারতাম আমি
এতদিন রবি আমাকে অনেক বিরক্ত করেছে। এখন তুমি এসে পড়েছো তাই ও আর বিরক্ত করতে পারবে না
– তুমি কোন চিন্তা করো না। রবি আমাকে যতটা মেরেছে তার থেকে অনেক বেশি মার আমি ওকে মারবো
রবিকে ওর বন্ধুরা বলল, দোস্ত রিয়ান আজকে কলেজে এসেছে। ওকে দেখে মনে হয় ও কোন ঝামেলা বাঁধাতে চাইবে। একা একা কোথাও যাস না
– আমি ওকে ভয় পাইনা। যদি ও কোন ঝামেলা করে তাহলে আবার ওকে মারবো। ওকে বলেছিলাম মেঘার সাথে না মিশতে
মেঘাকে ওর বান্ধুবিরা বলল, তুই কি পাগল হয়ে গেছিস?
– আমি আবার কি করলাম?
– তুই রিয়ানকে এসব কথা বলে রবির বিরুদ্ধে খেপিয়ে দিলি কেনো? এখন তো কলেজে আবার মারামারি হবে
– হউক। আমি চাই রবি ওর শাস্তি পায়
– আর যদি রিয়ানের কিছু হয় তখন
মেঘা চুপ করে আছে কিছু বলছেনা। ও ভাবলো, আবার যদি রিয়ানের কিছু হয় তখন কি হবে।
দোস্ত, রিয়ান তোকে মারার প্লান করতেছে। একা কোথাও যাসনা
– হাহা, ওর প্লানে ওকেই মার খেতে হবে
আবির আয়ানকে বলল, রবির একটা ব্যাবস্থা করতে হবে। তার আগে ওই মেহেদীর কিছু করতে হবে। ওরা দিন দিন আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে
উপর থেকে আদেশ এসেছে ওদের দুজনকেই শরিয়ে দিতে হবে
– কিন্তু কিভাবে? কে এই কাজ করবে?
– অন্য শহর থেকে কাউকে আনতে হবে। এমন ভাবে কাজ করবে ওদের বুঝতে দেওয়া যাবেনা
– তুই কিছু একটা ব্যাবস্থা কর। রবি খুব ভয়ংকর। ওকে শরিয়ে দেওয়া এত সহজ হবেনা। যে এই কাজটা করবে তাকে রবির মতই হতে হবে
– হুম। খুব তাড়াতাড়িই সে আসবে
রবি দেখলো, মেঘা আবার রবির সাথে কথা বলতেছে। রবির বন্ধুরাও কেও ওর সাথে নেই। মেঘাকে আবার রিয়ানের সাথে দেখে ওর প্রচন্ড রাগ হলো
মেঘার কাছে গিয়ে বলল, তোমাকে নিষেধ করেছিলাম রিয়ানের সাথে কথা না বলতে তারপরও কেনো বলেছো?
— আমার যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে বলবো। আপনার কি?
– আমারই তো সব। আমি ছাড়া তুমি কারও সাথে কথা বলবেনা
হঠাৎ রিয়ান বলল, এখন তোকে কে বাঁচাবে
চলবে—