অবশেষে পূর্ণতা পর্ব ১৪

0
653

#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১৪

“আগামীকাল সকাল ১০ টার সময় রেডি থেকো। ওপাশ থেকে বলতে লাগলো,কিন্তুু কেনো.? কেনো যেতে কোন সমস্যা.?না। তাহলে রেডি থেকো আমি নিয়ে আসবো গাড়িতে করে বলেই কলটা কেটে দিলো। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ চোখ পড়ল বিকালে ডুবন্ত সূর্যের দিকে । কত সুন্দর লাগছে ডুবন্ত লালচে সূর্যটা। হয়তো নীলের জীবনটা এমন সুন্দর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। নীল তখুনি ভাবে,ইস আজ যদি ফারিয়া আমার সাথে থাকতো,তাহলে আমি তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে দুজন একসাথে এমন সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারতাম। তখুনি নীল বলতে থাকলো,

(লেখনিতে_নীল)
“-তোমার নেশা ধরানো চোঁখ দু’টো দেখে,
-চোঁখ নয় যেন দুটি রাতের আকাশের শুকতারা ,
-পলকে পলকে হয়ে যায় দিশেহারা,
-ভ্রু দু’টো কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি,
-মন কেড়ে নেই দিবা শর্বরী!”

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘ফারিয়া ঘুম থেকে উঠে ফোনের স্কিনের দিকে তাকি অনেকটা অবাক হয়ে যায়,তখন বাজে ৯ টা। এতো বেলা অবতি ফারিয়া কখনো ঘুমায় না। তারপর ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে। তারপর নাস্তা করে রেডি হয়ে নেয়,নীলের সাথে যাওয়ার জন্য। ৯ টা ৩৫ মিনিটে নীল কল করে জানিয়ে দেয়,সে বাসা থেকে রওনা দিবে একটু পর,ফারিয়া যেনো রেডি হয়ে বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে। নীলের বলা কথা অনুযায়ী ফারিয়া বাসার সামনে দাড়িয়ে থাকে,নীল গাড়ি নিয়ে আসে ফারিয়াকে নিতে। সাথে দাড়িয়ে ছিলো ফারিয়ার মা অহনা বেগম,নীলকে দেখে বললো ভেতরে যেতে,কিন্তুু নীল বললো এখন না। কিছুক্ষণ পর অহনা বেগমকে বললো,একটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি, আজ বিকালে আমাদের বাসায় যাওয়া লাগবে আপনাদের সবাইকে। ফারিয়ার মা অহনা বেগম বললো,কেনো.? আসলে আগামীকাল বাবা-মা লন্ডন থেকে দেশে এসেছে,তারা আপনাদের সাথে কথা বলতে চাই এবং ফারিয়াকে দেখবে বলেছে। আমি যাওয়ার পথে আংকেলকে বলবো,আপাতত আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো তাই আপনাকে বললাম। তারপর নীল ফারিয়াকে ধরে গাড়িতে তুলে নিলো,তারপর সিটবেল্টটা লাগিয়ে নিতে বললো। তারপর গাড়িটা স্টাট দিলো নীল। ফারিয়া নিজেও জানেনা নীল তাকে কোথায় নিবে যাবে। একটু যেতেই জ্যামের আটকে যায় নীল। ফারিয়া গ্লাসটা খুলে দেয়।

-“আজকে আতিকও ভার্সিটিতে যাচ্ছিল ফারিয়াকে দেখার উদ্দেশ্য একই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ আতিক পাশের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে যায়। যাকে খোজার উদ্দেশ্য আতিক ভার্সিটি যাচ্ছি, শেষমেশ সে তার চোখের সামনে আছে। আতিক এর মনের মাঝে অনেকটা প্রশান্তি হতে লাগে ফারিয়াকে দেখে। আবার পরক্ষণে ভাবতে থাকে ফারিয়া গাড়িতে করে কেমন করে,তারমানে কি ফারিয়া বিয়ে করে নিয়েছে। কথাটা ভাবতে আতিকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে উঠে। বুকের বামপাশে ব্যাথা অনুভব হয়। নিজেই বলতে থাকে এটা কখনোই হতে পারেনা। একটু পর জ্যাম কেটে গেলে নীল আবারো গাড়ি চালাতে শুরু করে। আর আতিক তাদের গাড়িটাকে ফলো করে পিছনে পিছনে যেতে লাগে।

‘বড় একটা শপিংমল এর সামনে এসে গাড়িটা থামায় নীল। তারপর ফারিয়াকে নামতে বলে,আর পিছনে পিছনে আতিকও গাড়ি থামিয়ে নেয়। আতিক একটা মাস্ক পড়ে নেয় যাতে করে ফারিয়া তাকে এতগুলো মানুষের ভেতরে চিনতে না পারে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আতিক ফারিয়ার সাথে ছেলেটাকে দেখে সহ্য করতে পারেনা,তার অনেক রাগ হতে থাকে। তার ভেতরটা ভেঙে চুরমার হতে থাকে। তারপর শপিংমল এর ভেতরে গেলো আতিক। দেখলো ছেলেটা ফারিয়াকে বলছে,এই ড্রেসটা পছন্দ হয়েছে কিনা.? ফারিয়া হেসে হেঁসে বলছে পছন্দ হয়েছে। আর আতিক এদিকে একটু দূরে দাড়িয়ে সবকিছু শুনতে আর ভেতর থেকে জ্বলছে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল) তারপর বিল পরিশোধ করে গাড়ির সামনে আসতে নীল ফারিয়াকে বললো,তুমি ১ মিনিট দাড়াও আমি একটু ভেতর থেকে আসছি। ফারিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। নীল ভেতরে গিয়ে লাল বেনারসিটা আর নীল একটা শাড়ি কিনে।

“এদিকে আতিক ফারিয়ার পিছনে ছিলো,এই সুযোগটা সে কাজে লাগাবে। মাস্ক খুলে ফারিয়ার সামনে আসতেই ফারিয়া রেগে যায়। ফারিয়া যত চায় এই পশুটাকে চোখের সামনে দেখবে না,তত তার চোখের সামনেই নরপশুটা চলে আসে।
আতিক বলতে লাগলো,ফারিয়া আমাকে মাফ করে দাও,প্লিজ আমার জীবনে আবার ফিরো আসো। কথাটা বলার সাথে সাথে ফারিয়া আতিক এর গালে সজড়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। ফর্সা মুখটা হাতের ছাপ বসে গেছে। মুখটা লাল হয়ে গেছে। ফারিয়া হয়তো এত জোরে মারতে চায়নি,তবে রাগের মাথায় হয়তো জোরে হয়ে গেছে। নীল আসতেই ফারিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। আতিককে আরো কষ্ট দেওয়ার জন্য নীলকে বলে, দেখোনা নীল এই লোকটা আমাকে যত কি সব বাজে কথা বলছে। নীল আতিককে জিজ্ঞেস করে,কিরে ভাই কি সমস্যা আপনার আপনি বলতে পারেন। আতিক নীলকে পুরো বিষয়টা বলে। নীল অট্ট হাসি দিয়ে বলে,, সরি ভাইয়া আপনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন,ফারিয়া এখন আমার স্ত্রী। আপনি হয়তো ওর জীবন থেকে চলে না গেলে ফারিয়ার মতো এমন একজন জীবনসঙ্গী পেতাম না। আপনার পুরো বিষয়টা আমি শুনেছি। আপনি তো একটা স্বার্থপর পুরুষ। না হলে কি ঘরে একটা বউ রেখে অন্য আরেকটা বিয়ে করতে পারতেন.?
আমি মানছি বাচ্চা হচ্ছিল না,একটা সময় তো হতেও পারতো তাইনা। আমাদের দেশের অনেক মেয়েদের দেরিতে বাচ্চা হয়। অনেকের দেখা যায় বিয়ের ১০,১৫ বছর পর বেবি হয়। আর আপনাদের তো মাত্র ৫ বছর। আপনি কি করলেন,আরেকটা বিয়ে করে সুখের আশায় একটা নিষ্পাপ মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দিতে পারলেন.? আদেও কি আপনি মানুষের ভেতরে পড়েন.? আমার তো মনে হয় না। একটা মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে,এতদিন পর পুরঃরায় আবার তাকে চাওয়াটা সত্যিই বোকামী ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-‘একটা মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করাকে পুরুত্ব বলে না। একটা মেয়ের পাশে ভালো-খারাপ সকল পরিস্থিতিতে পাশে থাকতে হয়। সংসার জীবনে এমন বিপদের সম্মুখীন হতেই পারে, তাকে ছেড়ে না বরং তাকে আকড়ে ধরে থাকার নামই বলা হয় পুরুষত্ব। যা বর্তমান সমাজের লোক বলে বউ পাগল। মেয়েদের জীবন কতটা কষ্টের একটু ভেবে দেখেছেন কখনো,জম্মের পর যারা তাকে কোলে পিটে মানুষ করে, নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর তাদের ছেড়ে নতুন একটা অপরিচিত পরিবারে যেতে হয়,যেটাকে আমরা বলি শ্বশুর বাড়ি। তারপর স্বামী, সংসার দেখে রাখতে হয়। তারপর বাচ্চা-কাচ্চা হলে তাদের দেখাশোনা শুরু করতে হয়,তাদের ভালো রাখার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। এবার বলুন তো মেয়েদের জীবনটা কতটা কষ্টের.?আর আপনি কত বড় অন্যায় করেছেন একটা মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে একবার ভেবে দেখেন। এই কথাগুলোর জন্য অনেকে আমাকে বলতে পারে নীল একটা মেয়েবাজ লেখক। আসলে বিষয়টা এমন না। আমি বাস্তব ভিত্তিক আর সমাজে ঘটে যাওয়া কথাগুলো গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করে থাকি। এতে আমাকে কে কি বললো দেখার সময় নেই।

-“আতিক বুঝতে পারে নীলের কথাগুলোর গভীরতা সম্পর্কে। আতিক ফারিয়ার সাথে করা অন্যায় সম্পর্কে সবকিছু বুঝতে পারে। নীলের মুখ থেকে এমন মধুর বাধ্য শোনার জন্য আতিক একটুও প্রস্তুত ছিলো না। লেখক_আহম্মেদ_নীল)আতিক এর বুকের ভেতরে কেউ যেনো লোহার হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর মতো যন্ত্রণা হতে থাকে,যা সে কেবল নিজেই অনুভব করতে পারছে। প্লিজ ভাই পরবর্তীতে ফারিয়ার পিছনে পিছনে ঘুরবেন না,এখন সে আমার স্ত্রী, আমার চেনা পরিচিত কেউ দেখলে ফারিয়াকে খারাপ ভাববে। আশা করছি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

‘তারপর নীল চলে যায়,আতিক হতভম্ব করে দাড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। আতিক এর পুরো আকাশটা আজ কালো মেঘ ছেয়ে গেছো। যদি এখন তার মনের আকাশটাতে বৃষ্টি হয়ে তার মনের ভেতরে জমে থাকা কষ্টগুলো ধুয়ে মুছে ছাপ হয়ে যেতো তাহলে হয়তো আতিক এর জন্য অনেকটা ভালো হতো। একটু পর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আতিক গাড়ি চালাতে থাকে। আতিক এর চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকে। আতিক এর কানে সেই একটা বাধ্য বারবার গ্রাস করতে থাকে,ফারিয়া আমার স্ত্রী। অফিসে বসে কাজ করতে থাকলেও আতিক কাজে কোন রকম মন বসাতে পারছে না।
আতির এর একটা ভুলের কারনে আতিক ফারিয়াকে চিরতরের মতো ফারিয়াকে হারিয়ে ফেললো,কথাটা ভাবতেই আতিকের বুকের ভেতরে দুঃখ কষ্টে জর্জরিত হতে থাকে।

“এদিকে নীল নিজ হাতে কেনা বেনারসি আর একটা নীল শাড়ির প্যাকেটটা ফারিয়া হাতে দিয়ে বললো বাসায় গিয়ে দেখতে। তারপর নীল চলে ফারিয়াকে নিয়ে যায় নামকরা একটা ডাক্তারের কাছে। ভেতরে গিয়ে কল করলো নীলের বেস্ট ফ্রেন্ড লামিয়ার কাছে। কিরে নীল কেমন আছিস.?লেখক_আহম্মেদ_নীল) ভালো আছি, তুই কেমন আছিস.?আমার স্ত্রী ফারিয়াকে নিয়ে তোর কাছ আসলাম চেকাপ করাতে। নীলের মুখ থেকে এমন কথা শুনে লামিয়া রিতিমতো চমকে গেলো,বলতে লাগলো,তুই আবার কবে বিয়ে করলি রে.? সরি তোকে বলা হয়নি,সরি,আসলে তারাহুরো করে বিয়েটা করে নিয়েছিলাম,তাই কাউকে বলতে পারিনি।

-আগে চেকাপটা করে নে,পরে না হয় এই বিষয়ে কথা বলবো।একটু পর চেকাপ করানোর জন্য ফারিয়াকে নিয়ে গেলো রুমের ভতরে আর নীল বাইরে বসে থাকে। চেকাপ শেষ করে লামিয়া নীলকে বলতে লাগলো,সুখবর আছে তোর জন্য। নীল বলতে লাগলো,কি সুখবর.? নীল ছেলে হবে আমাদের ভাবির,আর তুই তো ছেলে খুব পছন্দ করিস। নীলের কথাটা শুনে মুচকি হাসলো,তারপর লামিয়ার সাথে অনেকক্ষণ ফারিয়া আর নীল কথা বলে চলে গেলো। নীলের মনের মাঝে আজকে একরাশ আনন্দ অপ্লুত হতে থাকে নিজের অজান্তেই। নীল ড্রাইভিং করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে তা দেখে ফারিয়া অনেকটা লজ্জা পাচ্ছে।ফারিয়ার লজ্জা পাওয়া দেখে নীল বলতে লাগে, লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ফারিয়ার বাসার সামনে এসে নীল গাড়িটা থামিয়ে ফারিয়াকে ধরে বাসার ভেতরে নিয়ে যায়,তারপর ফারিয়াকে নিজের রুমে দিয়ে এসে। ফারিয়ার মা নীলের জন্য নাস্তা রেডি করে,তারপর নীল কিছুক্ষন বসে থেকে আমিন সাহেবকে ডাকতে বলে,তারপর ফারিয়ার বাবা আমিন সাহেবকে বলে আজকে বিকালে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য। তারপর নীল চলে যাবে,তখুনি নীলের মনের মাঝে ইচ্ছে জাগে ফারিয়াকে আরেকবার দেখার জন্য। নীল আবারো ফারিয়ার রুমে গেলো,তারপর ফারিয়াকে বললো,বিকালে নীল শাড়ি পড়ে তাদের বাড়ি যেতে। ফারিয়া পড়ে গেলো মহা বিপদে,নীল শাড়ি এখন কোথায় পাবে,এখন কি বাজারে যাওয়া সম্ভব। কারন ফারিয়া জানতো না যে নীল তাকে একটা বেনারসি আর নীল শাড়ি কিনে তার হাতে দিয়েছিলো। তারপর নীল নিজের বাসার জন্য অগ্রসর হতে লাগলো।

_______________

‘আতিক অফিসে বসে বসে নিজের করা ভুলগুলোকে মনে করতে থাকে। অফিস শেষ করে আজ সে বাসায় যাবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়। অফিস শেষ করে ড্রিংক করে অনেক অফিসে বসেই। এদিকে সামিয়া একের পর এক কল করেই যাচ্ছে, আতিকের নাম্বারে। আতিক ড্রিংক করে মাতাল হয়ে পড়ে আছে রেস্ট নেওয়া রুমে। তার মনে পরে শুধু,নীলের বলা কথাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। আতিক নিজেও বুঝতে পারেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। হয়তো তার জন্য অনেক খারাপ কিছু পরিনতি অপেক্ষা করছে। এদিকে নারগিস বেগমের কাছে যায় সামিয়া,তারপর কান্না করতে থাকে। এবার নারগিস বেগম কল দেয় আতিকের নাম্বারে,কিন্তুু কলটা রিসিভ হয়না। নারগিস বেগম সামিয়াকে নিয়ে আতিক এর অফিসে যায়। প্রথমে অফিসে এসে খুজে আতিক এর কাজ করা বসা রুমে,যখন না পায় তখন যায় রেস্ট রুমে। দেখে আতিক এর মাতাল দেহটা পড়ে আছে।আর সে অনবরত ভুল বকেই চলেছে।তার মুখ দিয়ে একটায় ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে, ফারিয়া আমাকে মাফ করে দাও,আবার আমার জীবনে ফিরে আসো। আরো অনেক কথা বলেই চলেছে অনবরত। ছেলের এমন হাল দেখে নারগিস বেগমের চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পড়তে থাকে। একটু পর সামিয়া আর নারগিস বেগমের আতিককে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে বাসায় নিয়ে যায়।

“নারগিস বেগম আর সামিয়া ফারিয়ার সাথে করা অণ্যায় পরিনাম সম্পর্কে ভাবতে থাকে। সামিয়া নিজেও বুঝতে পারছে তাদের জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। সামিয়া নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারে। একটু পর সামিয়া আতিক কে রেখে ওয়াশরুম যায় ফ্রেশ হতে,এমন সময় লক্ষ করলো,তার নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে, সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। পরে ভাবতে লাগে,হয়তো অতিরিক্ত চিন্তা করার কারনে এমনটা হচ্ছে। তবে সামিয়ার মনের মাঝে একরাশ ভয় জন্মাতে থাকে।

-‘এদিকে নারগিস বেগম নিজের রুমে গিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে বসে ভাবতে থাকে,ফারিয়ার সাথে যে অন্যায়গুলো তারা করেছে,আজ সবগুলো একে একে ফেরত আসতে চলেছে আতিকের জীবনে। তবে নারগিস বেগম বলতে লাগে,আমি এত সহজে হার মানার পাত্র না। আতিকের জীবন থেকে তো ফারিয়া নামক মেয়েকে আমি সড়িয়েই ছাড়বো। তারপর আতিকের রুমের দিকে অগ্রসর হয়।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) তারপর সামিয়াকে তার রুমে আসতে বলে। নারগিস বেগম কথামতো সামিয়া তার রুমে যায়,তারপর তাকে ধমক দিয়ে বলে,তোমাকে যে কাজগুলো দিয়েছিলাম,তা কি সঠিকভাবে করতে পেরেছো.?

-সামিয়া অনেকটা ভয় পেয়ে যায়,সামিয়া তো তার কথামতো কোন কাজে সফলতা পায়নি,তাহলে সে এখন কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না সামিয়া। তার মনের মধ্যে একরাশ ভয় গ্রাস করতে থাকে। সামিয়া বললো,আমি চেষ্টা করছি তবে ইদানীং আতিক আমার সাথে খুব বেশি খারাপ আচারন করছে।

‘হঠাৎ নারগিস বেগম বলে উঠে,,,

চলবে কী.?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here