অপরাধ ,পর্ব: 1

0
2729

অপরাধ ,পর্ব: 1
লেখক : Rimon

5 বছর পর আজ নিজের এলাকায় ফিরতেছি।
ভাপতেই খুব ভালো লাগছে। এই কথা ভেবে হঠাৎ সেই জগন্য কাজটার কথা মনে পড়ে গেলো।
মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো।
বাস ছেড়ে দিয়েছে নিজের এলাকায় যেতেছি।
অনেক দিন পর নিজের এলাকায় যাবো।
ভাপতেই ভালো লাগছে। বাবা মা ভাইয়া কে দেখবো। কতদিন ওদের দেখি না।
কিন্তু ওরা আমাকে দেখলে কি ভাবে রিয়েক্ট করবে সেটাই। ভেবে পাচ্ছি না।
যে কাজটা আমি করেছি। তাতে তো আমাকে দেখে তো তাড়া রেখে যাবে মনে হয়।
আপনারা কিছু বুজতে পারছেন না তো।
তাহলে চলুন অতিত ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
তাহলেই বুজবেন।

অতিত

ঝুমু : প্লীজ রিমন আমার সাথে এমন করিস না।
আমার এতো বড় সর্বনাশ করিস না প্লীজ।
আমি; তোকে কত বার বলেছি।
আমি তোকে ভালোবাসি কিন্তু তুই শুনিস নাই।
তোকে এত শাস্তি পেতেই হবে।
ঝুমু : দয়া কর রিমন আমার উপর। এমন করিস না।
আমি : ঝুমুর কোনো কথা সুনলাম না।
নিজের চাহিদা মেটাতে লাগলাম।
ঝুমু চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাক দিচ্ছে কিন্তু বাড়িতে কেউ নেই।
ঝুমু হচ্ছে আমার বেয়াইন । দেখতে পরীর মতো সুন্দর। আমি ওকে প্রথম ভাইয়ার বিয়ের দিন দেখেই ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।
যখন শুনলাম ও ভাইয়ার শালিকা। আর আমার বেয়াইন সেটা শোনার পর যে কতটা খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারবোনা।
ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেলো।
ভাবি কে নিয়ে বাড়িতে চলে এলাম।
তারপর অনেক বার ওর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু ওর সাথে কথা বলতে পারিনি।
কিছুদিন পর ঝুমু আমাদের বাড়িতে আসলো।
আমি খুব খুশি হলাম।
আরও খুশি হলাম যখন শুনলাম ও এখন থেকে আমাদের বাড়ি থেকে পড়াশোনা কতবে এটা শুনে।
তারপর থেকে প্রতিদিন ঝুমু কে প্রপোজ করতাম।
আর ও প্রতিবার আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
আজ সকালে ওকে একটা ছেলের সাথে ঝুমু কে ঘুরতে দেখলাম।
দেখেই আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
কত মেয়ে আমার পিছু ঘুরে কিন্তু আমি ওকে পছন্দ করি বলে সবাইকে না করে দিয়েছি।
কিন্তু ওকে ওই ছেলের সাথে।
দেখে আমার আমার খুব রাগ উঠলো বাড়িতে এসেই শুনি মা বা ভাইয়া সবাই ভাবিদের বাড়িতে গেছে।
এটা শুনে আমি খুব খুশি হলাম।
আর একটা পৈশাচিক হাসি দিলাম।
বাড়িতে শুধু ঝুমু আর আমি তারপর ঝাপিয়ে পড়লাম ঝুমুর উপর। আমাকে অবহেলা করে অন্য ছেলের সাথে ঘোড়া।
ঝুমু চিৎকার দিতেছে।
আমি আমার চাহিদা মিটিয়ে ওকে ছেড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
কিন্তু ওয়াশ রুম থেকে বেড়িয়ে দেখি।
বাবা মা ভাইয়া ভাবি সবাই আমার রুমে আর ঝুমু বিছানায় বসে কান্না করছে।

তারপর ভাবি আমার কাছে এসেই ঠাসস ঠাসস থাপ্পড় মারলো আমায়।
ভাবি : তোমাকে আমি আমার ভাইয়ের মতো ভালোবেসেছি।
আর তুমি আমার বোনের সাথে এমনটা করতে পারলে।
আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি।
বাবা আর ভাইয়া এসে আমাকে অনেক মারলো।
কিন্তু মারার শেষে বাবা যে কথাটা বললো তা শুনে আমার মুখে হাসি ফুটলো।
বাবা : শোনো যা হবার হয়ে গেছে বৌমা।
এখন ওদের বিয়ে দিয়ে দেওয়াই ভালো হবে।
ভাবিকে বললো।
ভাবি : আপনি যা ভালো মনে করেন বাবা।
তাই করেন।
তারপর ভাইয়া কাজি এনে আমাদের বিয়ে পড়ানো হলো।
বিয়ে পড়ানোর শেষেই বাবা আমার কাছে এসেই আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে গেলো।
বাবা : আজ আমাদের সম্মান বাচাতে তোর বিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু তুই এই বাড়িতে থাকতে পারবিনা।
আর 6 মাস পর ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিবি।
আর তোকে আমি ত্যাজ্যপুত্ত করলাম।
আজ থেকে আমাদের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।
আমি সবার মুখ দেখলাম কেউই আমার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চায়না তা তাদের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here