অন্তর্লীন প্রণয় শেষ পর্ব

0
719

#অন্তর্লীন_প্রণয়
#লেখিকাঃসাদিয়া মেহরুজ দোলা
#অন্তিম_অংশ

গ্রীষ্মের প্রথমাংশ! রোদ্দুরের দাপটে চারপাশ খা খা করছে। সতেজ, প্রানবন্ত গাছের সবুজ রঙের পাতা গুলো শুকিয়ে চৌচির। মাঝেমধ্যে দক্ষিণ দিক হতে আসা হিমেল হাওয়া যেনো এক মুঠো প্রশান্তির ন্যায় আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ধরছে। অন্তরীক্ষে সাদা মেঘের কুন্ডলী দলা পাকিয়ে চলাচল করছে নিজ ইচ্ছে মতোন। নীলচে আকাশে হলদেটে সূর্যের উপস্থিতি। নিরব, নির্জন প্রকৃতিতে শা শা করে অনিল বইছে। একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলেই বোধগম্য হয়, অনিল যেনো কিছু বলতে চাইছে।

অহর্নিশ বারান্দায় দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে। ধোঁয়া উড়ন্ত কফিতে চুমুক দিতে গিয়ে তার ওষ্ঠাধরের ওপরের অংশ অগ্নি তান্ডবে ছ্যাৎ করে উঠলো। তবুও কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া নেই তার মাঝে। দৃষ্টি নিবদ্ধ ফোন স্ক্রিনে। সেদিন মাহির বাসায় এসে আয়ন্তিকা কে কি বলেছিলো? তা বিশদ বর্ণনা করে মাহির নিজেই পাঠিয়েছে। আয়ন্তিকা কে শুধু বলেছিলো, অহর্নিশ আয়ন্তিকা কে সামান্য একটা এগ্রিমেন্টের ওপর ভিত্তি করে বিয়ে করেছে তা। এটা শুনে প্রবল কষ্ট নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো আয়ন্তিকা। আগাম জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাহির ম্যাসেজ সমাপ্ত করেছে। অহর্নিশ তপ্তশ্বাস ফেলে। এই কথাটা তার আগেই আয়ন্তিকা কে জানানো উচিৎ ছিলো। অযথা অন্যের মুখ থেকে শুনে যতোটা কষ্ট পেলো ততটা সে যদি নিজেই বলতো তবে হয়তো অতোটা কষ্ট অনুভূত হতো না তার।

‘ রোদে দাঁড়িয়ে কি করছো? ভেতরে আসো। জ্বর বাঁধাবে নাকি?’

আয়ন্তিকার রিনরিনে কন্ঠসুর। অহর্নিশ চট করে পেছনে ঘুরে। সাঈশাকে কোল থেকে নামিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে আয়ন্তিকা এবার পূর্ণ দৃষ্টি ফেলে অহর্নিশের পানে। অলস ভঙ্গিতে হেঁটে রুমে আসে অহর্নিশ। হাতের কফিমগ টেবিলে নামিয়ে রাখে। পরিশেষে ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে আয়ন্তিকা কে পিছন থেকে জরীয়ে ধরে বলল,

‘ সরি আয়ন্তিকা! ‘

আয়ন্তিকা চমকে জবাব দেয়, ‘ ফর হোয়াট? ‘

‘ তোমাকে ফার্স্টে আমি একটা এগ্রিমেন্ট এর ওপর ভিত্তি করে বিয়ে করেছিলাম। কথাটা আমার নিজেরই বলা উচিৎ ছিলো। মাহিরের থেকে শুনে বেশি কষ্ট পেয়েছো তাই না?’

আয়ন্তিকা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। বুকটা ধ্বক করে উঠলো তৎক্ষনাৎ। এই বিষয়টা নিয়ে কত রাত যে লুকিয়ে কেঁদেছে সে হিসেব নেই। কতটা কষ্ট নিয়ে দিনাতিপাত করেছে তা আয়ন্তিকা এবং স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানে না। অহর্নিশ আজ পুনরায় পুরোনো ঘা তে লবন ছিটিয়ে দিলো। গলা ঝেড়ে স্বাভাবিক সুরে আয়ন্তিকা শুধালো,

‘ কষ্ট তো পেয়েছিই। এখন এসব মনে করে কি লাভ অহর্নিশ? অনেক অনেক সময় পেড়িয়ে গেছে। ওসব আর মনে না করি? প্লিজ? তুমি একটু সাঈশা কে রাখো। আমি আনাফকে গোসল করাতে যাবো।’

অহর্নিশ আয়ন্তিকা কে ছেড়ে দিয়ে সাঈশা কে কোলে তুলে নেয়। বাবার উষ্ণ বুক পেয়ে হাত – পা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে একদম শান্ত হয়ে যায় চট করে সাঈশা। আয়ন্তিকা বিষয়টা খেয়াল করে ভ্রু কুঁচকে নেয়। মেয়েটা তাকে বড্ড জ্বালায়। অথচ বাবার কোলে গেলে একদম শান্তশিষ্ট। চুপচাপ! অহর্নিশ মেয়ের গালে ফটাফট কয়েকটা চুমু দিয়ে বসলো। সাঈশা তৎক্ষনাৎ হেঁসে উঠে খিলখিল করে। তা দেখে অহর্নিশ মৃদু হেঁসে আয়ন্তিকার দিকে দৃষ্টি ফেলে। আয়ন্তিকা মুখভাব দেখার পর সন্দিহান গলায় বলে,

‘ কি ব্যাপার আয়ু? চেহারা এমন কুঁচকানো কেনো?মেয়েকে চুমু খেলাম। তোমাকে চুমু খাইনি বলে কি রাগ করেছো? আহা..! রাগ করেনা। আসো, চুমু দেই তোমাকে। তবে, তোমায় কিন্তু গালে না অন্য কোথাও দিবো। ‘

অহর্নিশ কথার সমাপ্তি টেনে দুষ্ট হাসে। আয়ন্তিকা চটজলদি দুই কদম পিছিয়ে গিয়ে ধমকে উঠে বলল,

‘ চুপ! যত্তসব উল্টোপাল্টা কথাবার্তা। মেয়ের সামনে কি বলেন এসব?’

‘ মেয়ের সামনে বললেই বা কি?সাঈশা কি আর আমাদের কথা বুঝে নাকি?নাকি কথা শিখিয়েছো?দেখি তো! আম্মু, বলোতো ‘বাবা ‘ বলো। ‘ মা ‘ ও বলতে পারো আই ডোন্ট মাইন্ড। ‘

আয়ন্তিকা স্তম্ভিত। এইটুকুন একটা বাচ্চাকে কথা বলতে বলছে অহর্নিশ? পাগল হলো নাকি? আশ্চর্য! সাঈশা মা, বাবার কথোপকথন বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে তাকালো। শেষে ঠোঁট উল্টে কান্নার ভাব করতেই অহর্নিশ মেয়ের পিঠে আদুরে হাত বুলিয়ে দিয়ে উদ্বেগ নিয়ে বলল,

‘ আরে..আরে..! কান্না করে না আম্মাজান। কান্না করতে বলিনি তো। ‘ বাবা ‘, ‘ মা’, বলতে বলেছি। এই আয়ন্তি! কি উল্টোপাল্টা শিখিয়েছো এসব আমার মেয়েকে? ‘

আয়ন্তিকার মাথায় হাত। আর কিছুক্ষণ এখানে থাকলে সে নিশ্চিত পাগল হয়ে যাবে। সাঈশাকে অহর্নিশের কোল থেকে টেনে নিয়ে নিজের কাছে নিয়ে বলল,

‘ ছাড়ুন ওকে। আপনার কাছে থাকলে নিশ্চিত আমার মেয়েটা আপনার মতো পাগলে রূপান্তর হবে। নিচে অয়ন ভাইয়া, সারা আপু এসেছে। তাদের কাছে যান। আমি সাঈশাকে আম্মুর কাছে দিয়ে আসছি। ‘

আয়ন্তিকা চলে যেতেই অহর্নিশ ম্লান হাসে। সে মূলত এসব অদ্ভুত আচরণ নিজের ইচ্ছেতেই করছিলো। কারণটা অবশ্য আয়ন্তিকা। মাহিরের কথা টানার পর, এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে বলার পর কেমন পাংশুটে, মলিন হয়ে গিয়েছিলো আয়ন্তিকার মুখোশ্রী। মূলত আয়ন্তিকা কে এই কথাগুলো ভুলানোর জন্যই তার এই উদ্ভট আচরণ।

_

সকাল থেকে তোড়জোড় চলছে অহর্নিশের বাসায়।আজ আনাফ, সাঈশার জন্মদিন। এই উপলক্ষে প্রায় ২৫০ জন গরীব, দুঃখী মানুষকে খাওয়ানো হবে এবং মসজিদে মিলাদের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তারজন্য সকাল থেকেই ব্যাস্ত সময় পার করছে আহমেদ ভিলা। আজ বাহিরের কাজকর্ম ফেলে বাসায় পড়ে আছে অহর্নিশ। বাহিরের কাজগুলো তার লোকদের দেখিয়ে দিয়ে এসেছে। আজকের মতো তারা সামলে নিবে ওদিকটা।

কমলা রঙের পাঞ্জাবি তার ওপর সাদা কটি পরিধান করেছে অহর্নিশ। ভীষণ গরমে ঘেমে মাথার চুল গুলো তার কপালের সাথে মিশে আছে। আয়ন্তিকা ওপর থেকে অহর্নিশের দৌড়াদৌড়ি দেখছে। সে চেয়েছিলো কিছু করতে কিন্তু অহর্নিশ তাকে ধমকে রুমে বসিয়ে রেখেছে আনাফ, সাঈশার সাথে। ক্লান্ত অহর্নিশ কে দেখে অন্তঃকরণ ভার হয়ে আছে তার। এই লোকটার নিশ্চিত প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। সকাল থেকে না খাওয়া। অয়নকে ফোনে প্রবল অনুরোধ করে কোনোরকমে দেড় ঘন্টার মাঝে অহর্নিশ কে রুমে আবিষ্কার করলো আয়ন্তিকা। হাঁপাচ্ছে রীতিমতো জলদি আসায়৷ পাঞ্জাবির হাতায় ঘাম মুছে বিরক্তি নিয়ে বলল,

‘ কি হয়েছে? অসময়ে ডাকাডাকি করছো কেনো?’

খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে এগোল আয়ন্তিকা। নিরুত্তর থেকে অহর্নিশের হাত ধরে তাকে টেনে সোফায় বসালো। খাবার মাখতে মাখতে জবাব দিলো,

‘ সকাল থেকে না খেয়ে এভাবে দৌড়াদৌড়ি যে করছেন। এভাবে তো আর বিশ্বের সবথেকে উত্তম পুরুষের ট্যাগটা আর আপনি পাচ্ছেন না তাইনা?তাই বলছি খেয়ে নিন। ‘

‘ কি আশ্চর্য! উত্তম পুরুষের ট্যাগ কে চাইছে?’

‘ চাননি তো? তাইনা?তাহলে খাবার খেয়ে তারপর কাজ করুন। ‘

মুখের সামনে খাবার তুলতেই অহর্নিশ বিনাবাক্যে খাবার গলাধঃকরণ করে নেয়। আয়ন্তিকা দিনদিন তার মতো হয়ে যাচ্ছে। সে যেমন কাওকে কথার প্যাচে ফেলে আঁটকে দেয় তেমনি আয়ন্তিকাও আজ তার পুনঃ রূপ করলো। মিটিমিটি হেঁসে হুট করে অহর্নিশ বলে উঠলো,

‘ তুমি আমাকে আবার আপনি বলছো! খেয়াল আছে?তুমি বলার কথা ছিলো কিন্তু। ‘

‘ আমার দ্বারা আর সম্ভব না অহর্নিশ। চেষ্টা করেছি হয়না তো। বহু বছরের অভ্যাস ত্যাগ করা মুশকিল।’

হতাশ দৃষ্টিতে তাকালো অহর্নিশ। আয়ন্তিকা নিজ কর্মে ব্যাস্ত। আনাফ, সাঈশা বিছানায় বসে তাদের দিকেই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। নিঃশব্দ রুমটায় শব্দের উৎস ধ্বনি হলো হটাৎ আনাফ। সে চেঁচিয়ে কেঁদে উঠলো। আয়ন্তিকা হতভম্ব হয়ে হাতের প্লেট রেখে বিছানার কাছে এগিয়ে গিয়ে আলগোছে একহাত দিয়ে আনাফকে কোলে তুলে নেয়। আদুরে সুরে জিজ্ঞেস করে,

‘ কাঁদছো কেনো বাবা?খুদা লেগেছে? ‘

আনাফ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না। চুপচাপ লেপ্টে রইল মায়ের সাথে। পেছন থেকে গলার স্বর তীক্ষ্ণ করে অহর্নিশ বলল,

‘ খুদা লাগেনি ওর। তুমি আমায় খাইয়ে দিচ্ছো দেখে কেঁদে দিয়েছে। আনাফ তোমাকে অন্য কাওকে ভালোবাসা দিতে দেখলেই ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দেয় জানোনা?’

আয়ন্তিকা মুচকি হাসে৷ ছেলে হয়েছে অবিকল বাবার মতো। আয়ন্তিকা অন্য কারোর প্রতি একটু ভালোবাসা, গুরুত্ব দেখালেই যেমন অহর্নিশ খেঁকিয়ে উঠে তেমনি আনাফও আয়ন্তিকা কে অন্য কাওকে সে ছাড়া গুরুত্ব দিতে দেখলে উচ্চ স্বরে কেঁদে উঠে। কি আশ্চর্যজনক ব্যাপার! মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয় আয়ন্তিকা। আনাফ নয় অহর্নিশের ওপর। ছেলেটা তো তারজন্যই এমন হয়েছে।

_

রাতের বারোটা অব্দি সকল কাজ শেষে রুমে আসে অহর্নিশ। প্রচন্ড ক্লান্তি নিয়ে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লো। রুমে আনাফ, সাঈশা এবং আয়ন্তিকা। এই তিন ব্যাক্তির একজনও উপস্থিত নেই। আনাফ এবং সাঈশা আজ অহনার সাথে ঘুমাবে। অহনার মন বিষন্ন। আর্নিয়ার কথা মনে করে সন্ধ্যায় কান্নাকাটি করেছে। তাই সাঈশা, আনাফকে আয়ন্তিকা তার কাছে দিয়েছে। যদি একটু ব্যাস্ত থাকেন তিনি সেই প্রত্যাশায়। আর্নিয়ার মৃত্যুর আজ এক বছর পূর্ণ হলো। রোড এক্সিডেন্টে স্পট ডেড হয়েছে তার। আর্নিয়ার ছেলেকে নিয়ে গেছে আফিম অস্ট্রেলিয়া। অহনা এবং অহর্নিশের সায় ছিলো এতে। মা কে হারিয়েছে। বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করা সঠিক হবেনা এই ভেবে।

অহর্নিশ উঠে বসলো। একটা বাজতে চললো অথচ এই আয়ন্তিকার দেখা নেই। কোথায় গিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে এই মেয়ে? রুম থেকে বের হতে নিবে তৎক্ষনাৎ ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দ কর্ণপাত হতেই সেদিকে দৃষ্টি দেয় সে। সঙ্গে সঙ্গে তড়িৎ বেগে অহর্নিশ চমকে উঠে। তার সামনে থাকা আয়ন্তিকা কে দেখে অন্তঃকরণ নড়েচড়ে উঠেছে। লম্বা পা ফেলে অহর্নিশ এগিয়ে গিয়ে বলল,

‘ আ..আয়ন্তিকা? এসব কি পড়েছো তুমি?’

আয়ন্তিকা লজ্জায় নতজানু হয়ে ছিলো। সাহস নিয়ে মাথা তুলে বলল,

‘ কেনো শাড়ী?’

‘ কিন্তু এই শাড়ীটা তো..! তুমি পড়বেনা বলে ফেলে দিয়েছিলে না? আবার কোথা থেকে পেলে? পড়তেই বা গেলে কেনো?’

আয়ন্তিকার গায়ে জরানো পাতলা কালো রঙের একটা শাড়ী। এই শাড়ীটা আজ সকালে অহর্নিশ মজার ছলে এনেছিলো আয়ন্তিকা কে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য । অস্বস্তি প্রদানের জন্য। আয়ন্তিকা সকালে রেগে শাড়ীটা ফেলে দিয়েছিলো তারই চক্ষু সম্মুখে। এখন আবার ঐ শাড়ীটাই পড়ে দাঁড়িয়ে?আয়ন্তিকা ঈষৎ চুপ থেকে বলে উঠলো,

‘ ফেলে দিয়েছিলাম। পরে আবার নিয়ে এসেছি। আপনি আমায় বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এনেছিলেন এবার আমি আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেললাম। ব্যাস!’

‘ দিনদিন চালাক হয়ে যাচ্ছো আয়ু।’

আয়ন্তিকা মৃদু হাসে। তার মধ্যে অহর্নিশ তাকে কোলে তুলে নিয়ে বলে উঠলো,

‘ কিন্তু ভুল করে ফেললে যে জান। আমায় বিভ্রান্তিতে ফেলার সাজা অনেক কঠিন ভাবে দিতে হবে তোমায়। ‘

আয়ন্তিকা লাজুক হেঁসে মুখ লুকালো অহর্নিশের বুকে। তারপর হটাৎ মুখ তুলে অহর্নিশের চোখে তাকালো। লোকটা পন করুক না কেনো, মুখে বলবে না ভালোবাসি। প্রকাশ করবে না তার অসীমান্ত ভালোবাসা। তার চোখ দু’টো তো প্রায়শই আয়ন্তিকা কে ‘ ভালোবাসি ‘ শব্দটা বিভিন্ন ভাবে জানিয়ে দেয়। মুখে না বলুক। থাকুক না তাদের প্রণয় অন্তর্লীন হয়ে।

(সমাপ্ত)

[ আগের শেষ পর্বটা ভুলত্রুটি পূর্ণ। তাই এই পর্বটা দেয়া। যারা যারা কার্টেসী সহ কপি করেছেন তারা প্লিজ আগের শেষ পর্বটা ডিলিট দিয়ে, ইডিট করে এই পর্বটা বসিয়ে নিবেন। ]

অন্তর্লীন প্রণয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here