প্রেমরাঙা জলছবি পর্ব ৭

0
110

#প্রেমরাঙা_জলছবি
#তানিয়া_মাহি(নীরু)
#পর্ব_০৭

সুরাইয়া বিকেলে একটু উপন্যাসের বই নিয়ে বসেছিল। আশরাফ পাশেই শুয়ে শুয়ে ঘুমুচ্ছে। বইয়ের পাতায় কিছুতেই মন দিতে পারছে না সুরাইয়া। বারবার আশরাফের মুখের দিকে চোখ চলে যাচ্ছে। কে বলেছে ঘুমানোর সময় শুধু নারীকে নিষ্পাপ লাগে? কোনো নারী কি ব্যক্তিগত পুরুষকে ঘুমন্ত অবস্থায় এরকম পলকহীন চোখে দেখেছে? দেখলে বুঝতো ঘুমন্ত পুরুষের মুখে এক রাজ্যের মায়ামাখা থাকে।

সুরাইয়া বইটা বন্ধ করে পাশে রেখে দেয়। ফোনটা হাতে নিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নেয় আশরাফের। ছবিগুলো একেএকে দেখে মিটিমিটি হাসতে থাকে। মনে পড়ে দুদিন আগের কথা। সুরাইয়া যখন স্বর্ণ পেয়ে খুশিতে লালশাড়িটা পরেছিল তখন আশরাফ তাকে সীমাহীন লজ্জায় ফেলে দিয়েছিল।

সুরাইয়া শাড়ি পরে যখন চোখে গাঢ় করে কাজল দিচ্ছিল তখন আশরাফ আচমকা বলে ওঠে,” চোখে কাজল দিচ্ছ, দাও। ঠোঁটে লিপস্টিক দিও না। তোমাকে কষ্ট দিয়ে তোমার চোখে পানি এনে কাজল নষ্ট না করলেও লিপস্টিকের দায়ভার আমি নিতে পারব না। ”

আশরাফের কথা কানে আসতেই চোখ বন্ধ করে ফেলে সুরাইয়া। মনে হচ্ছিল মাটি ফাঁকা হয়ে গেলে সে ভেতরে ঢুকে যাবে। সুরাইয়ার অবস্থা দেখে আশরাফ উচ্চস্বরে হেসে উঠেছিল। সুরাইয়া শুধু মুখে আঁধার নামিয়ে বলেছিল,” লাগাম ছাড়া কথা বলবেন না একদম। ”

সেদিনের কথা মনে পড়তেই ফিক করে হেসে ফেলে সুরাইয়া। আশরাফ ঘুম ঘুম চোখে বলে ওঠে,” হাসছ কেন? জ্বীনে ধরল নাকি আমার বউকে?”

সুরাইয়া ফোনটা পাশে রেখে বলে,” ধরলেই বা কী করবেন? নাক ডেকে ঘুমিয়েই যাচ্ছেন, ঘরে যে আরেকজন মানুষ আছে তার কোনো খেয়াল নেই।”

” কে বলেছে খেয়াল নেই?” বলেই সুরাইয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে নিজের কাছে নিয়ে এসে কোলে মাথা রেখে চোখবন্ধ করে ফেলে আশরাফ।
সুরাইয়া আশরাফের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,” চা খাবে? বানিয়ে নিয়ে আসব?”
” মন্দ হয় না। তোমার হাতের চায়ে কখনো ‘না’ বলা যায় না। ”

কথাটা শুনতেই বুকের ভেতর সূচালো ব্যথার সৃষ্টি হয় সুরাইয়ার। যতই মানুষটাকে ভুলে থাকতে চায় কোনো না কোনো কথায় তার কথা ঠিক মনে পড়ে যায়।
সুরাইয়া আস্তে করে উঠে বলে,” আমি চা নিয়ে আসছি।”
সুরাইয়া রান্নাঘরের দিকে যেতে থাকে। কাকতালীয়ভাবে তখনই উমেদ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে সুরাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,” চা করতে যাচ্ছিস?”

উমেদের গলা শুনে তাড়াতাড়ি করে মাথায় কাপড় দেয় সুরাইয়া। থেমে গিয়ে বলে,” হ্যাঁ। লাগবে?”
” এক কাপ চা পেলে ভালো হতো।”
” ঠিক আছে। পেয়ে যাবেন।”

সুরাইয়া কথা না বাড়িয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে যায়। চায়ের জন্য পানি বসিয়ে দেয় চুলায়। অতীত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সেদিন ছিল শুক্রবার। ক্লাস বন্ধ। হঠাৎ উমেদের মেসেজের নোটিফিকেশন পেয়ে মুখে হাসি ফোটে সুরাইয়ার। মেসেঞ্জারে গিয়ে দেখে উমেদ মেসেজ করেছে।
” বাড়ি আছিস?”
সুরাইয়া তৎক্ষনাৎ রিপ্লাই করে,” নাহ, তোর মনের মধ্যে আছি। খুঁজে পাচ্ছিস না?”

ওপাশ থেকে অ্যাংরি ইমোজিসহ মেসেজ এলো,” ধুর মজা করিস না তো। বাড়ি আছিস কি না বল।”
সুরাইয়াও আর মজা না করে লেখে,” হ্যাঁ বাড়িতেই তো থাকার কথা।”
” আমি আসছি তোর বাসায়।”
” কেন?”
” একটা কথা বলার আছে আর তার চেয়ে বড়ো কথা আমার চায়ের নেশা উঠছে।”
” চা খেতে আসবি আয় কিন্তু কথাটা কী?”
” এসে বলছি।”
” এখনই বল।”

মেসেজ আর সিন হলো না। পরপর আরও কয়েকটা মেসেজ পাঠালো সুরাইয়া কিন্তু সেই আগেই মতোই কোনো রিপ্লাই তো দূর সিনও হলো না। কথাটা জানতে আর অপেক্ষা করতে মন চাইছে না সুরাইয়ার। লাস্ট দুই তিন বছরে সে যে কথা শোনার অপেক্ষায় ছিল সেই কথাটা বলবে না তো উমেদ? হাজারটা প্রশ্ন মাথা ঘুরপাক খাচ্ছিল সুরাইয়ার। প্রশ্নগুলো উত্তর না পেয়ে চা করতে চলে যায় সে। দশ মিনিটের মাথায় উমেদ সুরাইয়ার বাড়িতে চলে এসেছিল। সুরাইয়া রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে দেখে উমেদ তার বাবা-মার সাথে তাদের ঘরে কথা বলছে। সুরাইয়ার মা-বাবাও হাসি হাসি মুখ করে কথা বলছে। সুরাইয়ার চিন্তা বেড়ে যায়। ভালোও লাগছিল এটা ভেবে যে উমেদ হয়তো তার সাথে আগে কথা না বলে তার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলছে।
কিছুক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে সে কিন্তু কোনো কথায় কানে এসে পৌঁছায় না। চা নিয়ে নিজের ঘরে চলে আসে সুরাইয়া।

দুই তিন মিনিটের মাথায় উমেদ সুরাইয়ার ঘরে এসে দরজায় নক করে বলে,” আসব?”
সুরাইয়া উমেদের দিকে তাকিয়ে বলে,” আয়। আজ অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হলো কেন?”

উমেদ ভেতরে এসে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বলে,” এখন থেকে অভ্যাস করতে হবে।”
সুরাইয়া ভ্রু কুচকে বলে,” অভ্যাস? মানে? ”

উমেদ পকেট থেকে কয়েকটা চকলেট বের করে সুরাইয়ার হাতে দিয়ে বলে,” চকলেট খা। ভাইয়া নিয়ে আসছে।”

সুরাইয়া চকলেটগুলো টেবিলের ওপর রেখে বলে,” কথা শেষ কর। ”
উমেদ চায়ে চুমুক দিয়ে বলে,” বলছি, এত অধৈর্য্য হচ্ছিস কেন?”
” হচ্ছি তার কারণ আছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়েছিস। বল জলদি।”

” কথাটা হচ্ছে…” বলেই মিটিমিটি হাসতে থাকে উমেদ। উমেদের এই হাসি সবসময় সুরাইয়া মুগ্ধ হয়ে দেখে এসেছে কিন্তু আজ যেন রাগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সুরাইয়া চোয়াল শক্ত করে বলে,” বলবি নাকি ঘর থেকে বের করে দেব?”
উমেদ হাসতে হাসতে বলে,” আরে থাম এতো রেগে যাচ্ছিস কেন?”
” বল।”
” তোর বিয়ে নিয়ে এসেছি আমি আজ। ঘটকের সাথে এটা কেমন ব্যবহার? ”

সুরাইয়া ভ্রু কুচকে বলে,” বিয়ে মানে? কীসের বিয়ে? কার বিয়ে?”
” কার আবার তোর বিয়ে।”
” আমার?”
” হ্যাঁ৷ আমার ভাইয়া তোকে পছন্দ করে, সুরাইয়া। ”

মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে সুরাইয়ার। আমতা আমতা করে বলে,” ম মজা ন নিচ্ছিস? ”
” আরে না রে ভাই। সত্যিই আশরাফ ভাইয়া তোকে ভালোবাসে। গতকাল বাড়িতে ভাইয়ার বিয়ে নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন ভাইয়া তোর কথা বলল। আমি তো হেব্বি খুশি। তুই আমার ভাবি হবি ভাব একবার! আমি আর তুই এক বাড়িতে থাকব, একসাথে পড়াশোনা কত ভালো হবে!”
” তুই খুশি হচ্ছিস এসবে?”
” হ্যাঁ, খুশি হব না? তুই আমার ভাবি হচ্ছিস। ভাবিবন্ধু।”

উঠে দাঁড়ায় সুরাইয়া। দ্রুতগতিতে বলে,” তোর ভাইকে বলিস আমি বিয়ে করতে পারব না।”
উমেদ ভ্রু কুচকে বলে,” ভাইয়াকে বিয়ে করতে পারবি না মানে? তাছাড়া তোর তো বয়ফ্রেন্ডও নেই। ”
” বয়ফ্রেন্ড নেই জন্য ধেই ধেই করে বিয়ে করতে বসব নাকি?”
বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি চলে দুজনের। শেষ পর্যন্ত উমেদ বলে ওঠে,” তুই আমাকে আজ অপমান করলি সুরাইয়া। আশা নিয়ে এসেছিলাম আমি তোর কাছে। আমার ভাইয়াকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। যে যেহেতু মুখ ফুটে বলেছিল তোর কথা সেহেতু ভেবেছিলাম ভাইয়ার ভালোবাসা হয়তো আমি পাইয়ে দিতে পারব। নিজের ওপর ভরসা ছিল। তুই আমাকে ফিরিয়ে দিলি। ”
” তোকে না তোর ভাইকে ফিরিয়ে দিলাম।”

সুরাইয়ার কথার অর্থ সেদিন উমেদ বুঝতে পারেনি। না বুঝেই বলেছিল,” তুই আমার ভাইকে বিয়ে না করলে আমার সাথে কোনোদিন কথা বলিস না। ”

উমেদ চলে যাওয়ার পর সুরাইয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উমেদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হোক তবুও ভালোবাসার মানুষের বড়ো ভাইকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব না। কাউকে দূর থেকেও ভালোবাসা যায়।
নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি সুরাইয়া। পরিবার ভালো একটা ঘর পেয়ে তার সিদ্ধান্ত পা দিয়ে পিষে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল। পরিবারের ওপর সেদিন রাগ হয়নি, সব পরিবারই চায় মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে হোক মেয়ে ভালো থাকুক কিন্তু উমেদ! এতোগুলো বছর একসাথে থেকেও তার অনুভূতি বুঝল না! ভালোবাসাটা খুব জলদি অভিমান আর ঘৃণায় রূপ নিয়েছিল তার।

পিঠে কারো স্পর্শ পেতেই চমকে ওঠে সুরাইয়া। পিছনে তাকিয়ে দেখে তার শাশুড়ি ময়না বেগম চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছেন। সুরাইয়া চুলার দিকে ফিরে তাকাতেই দেখে পাতিলের সবটুকু পানি শুকিয়ে পাতিল পুড়*তে শুরু করেছে। তাড়াতাড়ি করে চুলা বন্ধ করে দেয় সে।

ময়না বেগম চেঁচিয়ে বলে ওঠেন,” গ্যাস কি ফ্রিতে দেয় নাকি দোকানদার? ”

সুরাইয়া কোনো উত্তর না দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দ্বিতীয়বারের মতো পানি বসিয়ে দেয়।
______

” তার মানে ফরেনসিক রিপোর্টে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল? স্যার সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ”

হৃদিতার সামনেই বসে যাচ্ছে প্রায় পয়তাল্লিশ বছর বয়সী এক লোক। পেশায় তিনি সিবিআই অফিসার আজহার রেজা। হৃদিতার কথায় তিনি প্রথম থেকে সাজিয়ে বলা শুরু করেন,” আবার বলছি মন দিয়ে শোনো যাকে খু*ন করা হয়েছে তার খু*ন ছু*ড়ির আঘা*তে হয়নি। খু*ন হয়ে বালিশ চাপা দেওয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে। এই খবরটা হয়তো ওপরমহল থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ আর এখানে জড়াবে না। যেহেতু মিস এশাকে সেখানে দেখা গিয়েছিল আর খু*ন হওয়া ব্যক্তির সাথে শ*ত্রুতা ছিল তাই সে পুলিশের চোখে পড়েছিল। তাছাড়া ছু*ড়িতে এশার হাতের ছাপও পাওয়া গিয়েছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে আগের রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। মানে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ছু*ড়ির আঘাতে নয় বালিশ চাপা দেওয়ায় শ্বাস আটকে মৃ*তু হয়েছে কিন্তু বালিশে এশার হাতের কোনো ছাপ নেই। যে খু*ন করেছে সে সামনে আসবে না বলেই এশাকে সামনে রেখে এসেছে এতোদিন। দেখা যাবে কেস চলাকালীন টাকা দিয়ে সব বদলে ফেলা হয়েছে। এশাকে নির্দোষ প্রমাণ করে ফেলবে।টাকাওয়ালাদের খেলা এখানে। বর্তমানে এমন অবস্থা যে টাকা যার আইন তার। ”

কথা শেষ হতেই উঠে দাঁড়ায় হৃদিতা। ছলছল চোখে বলে,” তার মানে আমরা কিছু করতে পারব না, স্যার?”
আজহার রেজা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,” আমরা যেখানে অবস্থান করছি গায়ে সেই ট্যাগ থাকাকালীন তো নয়।”
” আর যদি অন্যভাবে কিছু করা হয়?”

আজহার রেজা উলটো প্রশ্ন করেন,” কীভাবে?”
” যেভাবেই হোক খু*নীকে তো আমি খুঁজে বের করবই আর শা*স্তিও আমিই দেব। আপনি শুধু আমাকে সাহায্য করবেন, কথা দিন স্যার।”

আজহার রেজা হৃদিতার মাথায় হাত রেখে বলে,” তোমার জন্য আমি সবসময় আছি। তোমার আঙ্কেলের দোয়াও সবসময় তোমার সাথে থাকবে।”

হৃদিতা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসে। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,” সবকিছু এত কঠিন কেন, আল্লাহ? যত কঠিনই হোক না কেন এর শেষ আমি খুঁজে বের করবই। খুঁজে বের করবই। ”

হৃদিতা রুমে আসতেই মায়ের কল আসে। হৃদিতা গলা ঠিক করে নিয়ে কলটা রিসিভ করে নেয়। ফোনের ওপাশ থেকে নাহার বেগম বলে ওঠেন,” হৃদি?”

হৃদিতা মৃদু গলায় বলে,” হ্যাঁ আম্মু। কী করছো?”
” সেলাইয়ে বসেছিলাম। তোর শরীর ভালো? খেয়েছিস?”
” হ্যাঁ মা খেয়েছি। শরীরও ভালো। আব্বু কোথায়?”
” তোর আব্বুও ভালো আছে৷ বাড়ি আসবি না, মা? তোকে দেখতে ইচ্ছে করছে।”
” গোরুর মাংস রান্না করে রাখেন ম্যাম আমি কালই চলে আসছি।”

নাহার বেগম মৃদু হেসে বলে,” আর পায়েস?”
” কেয়া বাত হ্যেয় নাহার-জি। সাবকুচ পাকালো মেরে লিয়ে, ম্যেয় জালদি আ’যাউঙ্গি।”

” আ’যাউ।” বলেই নাহার বেগম কল কাটলে হৃদিতা ল্যাপটপ নিয়ে বসে। অনেকক্ষণ বসে বসে সেটাই ঘাটাঘাটি করতে থাকে।

চোখে ঘুম চলে আসে হৃদিতার। ফোনটা চার্জে দিয়ে ঘুমুবে ভেবে ফোনটা হাতে নিতেই দেখে আবরারের নম্বর থেকে চারবার কল এসেছিল। ফোনস্ক্রিনটা এই মুহূর্তে একটু হলেও আনন্দ দেয় হৃদিতাকে।

মৃদু হেসে বলে, ” আবরার সাহেব! ”

#চলবে……

নভেম্বরের ত্রিশ তারিখ থেকে আমার পরিক্ষা তাই প্রতিদিন পর্ব দেওয়া সম্ভব হবে না। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন করে পাবেন ইন শা আল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here