প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৩৭

0
203

#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব__৩৭

চমৎকার একটি রৌদ্রজ্জ্বল দিন। গত দুইদিন আসফিকে শাস্তি দিয়ে মন ভালো ছিলনা আবিদের। কিন্তু তাই বলে বিষয়টি নিয়ে কোন দুঃখ-কষ্ট ছিলনা তার মধ‍্যে। এইতো আজকে হঠাৎ হসপিটালে আসফির কেবিনে বসে আছে আবিদ। আসফির অসুস্থতার খবর শোনা মাত্র হসপিটালে ছুটে এসেছে। দেড়দিন পেটে খাবার না পড়ায় ক্ষুধায় জ্ঞান হারিয়েছে। যদিও শাস্তি অপূর্ণ থেকে গেছে তবে আবিদের এখন এই ব‍্যাপারে মনযোগ দেওয়ার মতো সময় নেই। পরবর্তীতে তার একজন বিশ্বস্ত লোক ফোনে আসফির জ্ঞান হারানোর খবরটা জানায়। আবিদের তখন কপালে চিন্তার ভাঁজ, তৎক্ষণাৎ ভ্রুকুঁচকে হসপিটালে এডমিট করতে বলে। আবিদ নিজেও একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে সরাসরি হসপিটালে চলে আসে। এদিকে চৌধুরী পরিবারের সবাই ভিষণ চিন্তিত। গতদুইদিন ধরে আসফি অনুপস্থিত। আবিদ অবশ‍্য সবাইকে বলেছিল আসফি কাজের সুত্রে শহরের বাইরে গেছে। সবাই বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নেয় তবুও, ভেতরে দুশ্চিন্তা থেকে গেছিলো। কারণ আজ পযর্ন্ত কাউকে কিছু না জানিয়ে আসফি বাহিরে যায়নি। তবে কেউ যেন সন্দেহ না করে এজন্যই আবিদ সবাইকে সুন্দর করে সামলে নিয়েছে।

আজকে হসপিটালে যাওয়ার সময় দর্শিনী আবিদকে কোথায় যাচ্ছে জিগ্যেস করে। আবিদ কাজ আছে বলে দ্রুত চলে যায়। আবিদের চলে যাওয়ার পর আদিবা, পুস্পিতা, অনুসা বেগম সবাই জিগ্যেস করে হঠাৎ কী হলো আবিদের? দর্শিনী কোন জবাব দিতে পারেনি শুধু বলেছে, বলেনি আমাকে। অন‍্যদিকে প্রায় দুইদিন পর শবনম চৌধুরী নিচে নেমেছেন। তিনি অসুস্থতার বাহানা দিয়ে রুমেই ছিলেন গত দুইদিন ধরে। পরবর্তীতে কেউ তাকে বিরক্ত করেনি। শুধু কাজের লোকের মাধ‍্যমে খাবারটা ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। বাড়ির সবাই আসফিকে নিয়ে চিন্তিত। ফুপিকে দেখেও মনে হলো আসফির না ফেরার কথা শুনে তিনি অনেক বেশি চিন্তিত। এক্ষেত্রে শুধু প্রতিক্রিয়া নেই দর্শিনীর। তবে দর্শিনী খেয়াল করেছে শবনম ফুপি তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। দর্শিনীর সঙ্গে ভালো-মন্দ কোন কথা বলছে না তিনি। দর্শিনী নিজে দায়িত্ব নিয়ে ফুপুকে খুশি করার চেষ্টা করছে। তবে শবনম চৌধুরী প্রতিক্রিয়াহীন। দর্শিনীর মায়াবী আদলটা শবনম চৌধুরীর ভালো লাগে। কিন্তু সেইদিন ঐঘটনার পর আলাদা কষ্ট অনুভব করছেন। এজন্যই যথাসম্ভব তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

.

হসপিটালে,
আসফির কেবিনে ডক্টরের সঙ্গে কথা বলে নেয় আবিদ। সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হচ্ছে ডা. নিহাল রায়হান আসফির চেকআপ করেছে। সে আবিদের উদ্দেশ্যে বলে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, খাবার না খাওয়ার ফলে আসফি জ্ঞান হারিয়েছে। তেমন সিরিয়াস বিষয় না। এখন স‍্যালাইন দেওয়া হয়েছে। শরীরে কিছুটা এনার্জি ফিরে এসেছে। জ্ঞান ফিরলে আসফিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে। নিহাল আসফির জন‍্য কিছু ঔষধ লিখে দেয়। আবিদ নির্বাক-নিশ্চুপ ছিল পুরোটা সময়। সে শুধু নিহালের কথাগুলো শুনে ধন্যবাদ জানায়। কেনো যেন নিহালকে আবিদ পছন্দ করেনা। হয়তো দর্শিনীর জন‍্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বলে। অন‍্যদিকে নিহালেরও খুব একটা পছন্দের ব‍্যাক্তি নয় আবিদ। তবে আবিদ আর তার পরিবার সম্পর্কে সবকিছু জানে। খোঁজখবর নিয়েছিল প্রয়োজনে। তবে আসফির ব‍্যাপারে নিহালের কেমন সন্দেহ মনে হচ্ছে। এতো বড় বাড়ির ছেলে ক্ষুধায় জ্ঞান হারিয়েছে, অদ্ভুত ব‍্য‍াপার। একটু ভাবার বিষয়ও বটে।

নিহাল আবিদকে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এদিকে আবিদ অপেক্ষা করতে থাকে আসফির জ্ঞান ফেরার। ইতিমধ্যে গার্ডসদের মাধ্যমে আবিদ ডাবের পানি, কিছু খাবার আনিয়েছে। আসফির জ্ঞান ফিরেছে তার কিছুক্ষণ পরেই। জ্ঞান ফিরতেই আসফি আবিদকে দেখে চমকে গেছে। তবে হাত-পা নড়ানোর শক্তি টুকু নেই যেন। না খেয়ে দুর্বল হয়ে আছে আসফি। পরবর্তীতে আসফিকে ধরে-বেঁধে খাইয়ে দেয় আবিদ। হঠাৎ যেন আসফি আবিদের শক্ত মুখবয়বের মাঝে সুপ্ত স্নেহ দেখতে পেলো। বিবেকের কাছে আসফি আবারো একদফা হেরে গেলো। সে বুঝতে পারছেনা তার পরবর্তী পদক্ষেপ। আবিদ তাকে মর্যাদা পূর্ণ একটা রাস্তা দেখিয়েছে। সে যদি আবিদের কথা না রাখে ভবিষ্যতে আবিদ তাকে ছাড়বেনা। ভাইয়ের কঠোর মনোভাবকে প্রচন্ড ভয় পায় আসফি। তবে অনেক হয়েছে এবার আসফির ক্ষমা চাওয়া উচিত যেভাবে আবিদ তাকে বলেছে। সে প্রিয়দর্শিনীর কাছে ক্ষমা চাইবে। দরকার পড়লে বারবার চাইবে। ভাবি বলে পায়ে পড়ে যাবে তবুও ক্ষমা নিয়েই ছাড়বে। নাহলে আবিদ হয়তো তার উপর হিংস্র হয়ে যাবে।

.

চৌধুরী ভিলাতে,

আবিদ আসফির কাঁধ জড়িয়ে সদরদরজায় মাত্র-ই এসে দাঁড়িয়েছে। চৌধুরী পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিল ড্রয়িং রুমে। দর্শিনী, পুস্পিতা, আদিবা সবাই স্ন‍্যাকসের সঙ্গে খোশগল্পে মেতেছিল। ঠিক এমন সময় আবিদ, আসফিকে দেখে আদিবা চিৎকার করে উঠে প্রায়। আদিবার চিৎকারে সবার নজর সদরদরজায় আসফির উপর পড়ে। সে আবিদের কাঁধে ভর দিয়ে ঝিমুচ্ছে। অনুসা বেগম, শবনম চৌধুরী, শাহরিয়ার চৌধুরী বিচলিত হয়ে উঠে দাঁড়ায়। ব‍্যাস্ত হয়ে জিগ্যেস করে,

‘কী হয়েছে আসফির? ওকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?’

আবিদ নিশ্চুপ ছিল। আসফি এখনো দূর্বলতা অনুভব করছে। আবিদ তাকে ধরে ধরে ড্রয়িংরুমের সোফায় এনে বসায়। তার ফর্সা চেহারা প্রায় লাল হয়ে গেছে। আসফির জন‍্য সবাই প্রায় ব‍্যাস্ত হয়ে উঠেছে। দর্শিনী আবিদের পাশে দাঁড়ায় প্রশ্নবিদ্ধ চোখে সবকিছু পরোক্ষ করতে থাকে। আবিদ তাকে ঠান্ডা পানি আনতে বলে। পরক্ষণে দর্শিনী ঠান্ডা পানি নিয়ে আসে। আবিদ নিজেও সোফায় আসফির পাশে বসে। পরিবারের সবাই তখন উত্তর পাওয়ার আশায় চেয়ে রয়েছে তাদের দিকে। আবিদ একবার আসফির পানে চায়। আসফি ভাইকে ইশারা করে নিজে বলে,

‘একটু কাজের জন‍্য বাহিরে গেছিলাম। টেনশনে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া হয়নি, অসুস্থ পড়েছি।’

শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন,

‘কেনো রে বাবা? খাওয়া-দাওয়া ঠিক রেখে কাজ করা যেতো না?’

অনুসা বেগম তো প্রায় কেঁদে-ই ফেলেছেন। আদিবা তো ভাইয়ের পাশে বসে কাঁধে মাথা রেখে আছে। চোখমুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে যেকোনো সময় কান্না করে দিবে। পরিবারের সবার চিন্তিত মুখ দেখে আসফির ভেতরে অসম্ভব ভালোলাগা কাজ করছে। তার কথা সবাই ভাবে, তার জন‍্য চিন্তা করে। কে বলেছে কেউ তাকে ভালোবাসে না?গুরুত্ব দেয়না? এইতো এতো ভালোবাসা চোখে পড়েনি কেনো? নাকি ইচ্ছে করে কোনদিন দেখেনি ভাইয়ের উপর হিংসা করে? তাছাড়া আজকে তো আবিদের ভেতরে আসফির জন‍্য স্নেহ দেখেছে। এজন্যই আসফির ভেতরের সমস্ত ভুল ধারণা মুছে গেছে। আসফি সৌজন্য মূলক হেসে ঠিক করে নেয়, তার কী করা উচিত। সে পরিবারের সবাইকে বলে আবিদের সাহায্য নিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। এদিকে আবিদ তার মাকে বলে দেয় আসফির পছন্দের সব খাবার রান্না করতে। কিছুক্ষণ পরে অনুসা বেগম, পুস্পিতা কাজের লোকের সাহায্যে রান্নাবান্না শুরু করে দেয়। শাহরিয়ার চৌধুরী নিজের কাজে ব‍্যাস্ত হয়ে পড়ে। অন‍্যদিকে ফুপিআম্মুর সঙ্গে আদিবা নিজের রুমে চলে যায়। দর্শিনী তখন ড্রয়িং রুমে কিছুক্ষণ স্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আবিদ হঠাৎ দর্শিনীকে ডেকে নেয়। দর্শিনী রুমে চলে যায়।

দর্শিনী ঘরে এসে আবিদের শার্ট-টাই খুলতে সাহায্য করে। আবিদ দর্শিনীর মলিন মুখ দেখে কোমড় আঁকড়ে দূরুত্ব কমিয়ে বলে,

‘মনে হচ্ছে অনেক প্রশ্ন জমে আছে? মুখটা এমন মলিন লাগছে কেনো? শুনি! কী জানতে চায়, আমার বউটা?’

‘আসফি ভাইয়াকে শাস্তি দিয়েছেন আপনি? এজন্যই উনি বাড়িতে ছিলেন না?’

‘হুম, দিয়েছি!’

‘এমনটা করার প্রয়োজন ছিলনা আবিদ! সবাই অনেক দুশ্চিন্তা করছিলো উনার জন‍্য।’

‘তোমাকে কথা দিয়েছিলাম আমি। তাছাড়া আসফির শাস্তি প্রয়োজন ছিল, বউ। সে বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছিল। তাকে শিক্ষা না দিলে, ভুল ধারণা গুলো ভেঙ্গে না দিলে আবারো এমন করতো। তাছাড়া অন‍্যায় করলে শাস্তি পেতে হয়।’

দর্শিনী আবিদের কথায় প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকায়।

‘প্রথম দেখতে যাওয়ার দিন তোমাকে দেখে আসফি পছন্দ করে ফেলে। এদিকে আমি জানতাম না আসফির হবু পাত্রী তুমি ছিলে। যখন জানলাম পরবর্তীতে আমি তোমাকে বিয়ে করব জানিয়ে দেই। আসফি মেনে নেয় কিন্তু ওর প্লান ছিল অন‍্যরকম। প্রথমে আসফি বিয়েটা ভাঙ্গতে চাইছিল। পরবর্তীতে কিছু করতে না পেরে প্রজ্জ্বলিনীর সাহায্যে তোমাকে আঁটকে রেখে জোর করে বিয়ে করতে চাইছিল। বিয়ের দিন প্রজ্জ্বলিনী আর আসফি তোমাকে অচেতন করে আঁটকে রেখেছিল। যেনো আমাদের বিয়েটা না হয় এজন্য।’

দর্শিনী স্তব্দ হয়ে গেছে। এটা কী ঠিক শুনছে তার বোন প্রজ্জ্বলিনী? প্রজ্জ্বলিনী আর আসফির যুক্ত হয়ে তাকে আঁটকে রেখেছিল? এতোবড় সত্যি কথাটা আবিদ সেদিন কেনো লুকিয়েছিল? দর্শিনী আগে থেকে জানতো প্রজ্জ্বলিনী আবিদের সঙ্গে তার বিয়ে হোক এটা চাইতো না। হয়তো আবিদকে পছন্দ না বলে। কিন্তু তাকে আঁটকে রাখার মতো কাজ কীভাবে করতে পারল। দর্শিনীর চোখে পানি। আবিদ সন্তপর্ণে চোখের পানি মুছে বলে,

‘সবার ভুল বোঝা-বুঝি ছিল দর্শিনী। আর তাছাড়া আসফি তোমাকে পছন্দ করতো। তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্বীকার করেছে। তুমি কষ্ট পেয়ো না। আমি আসফিকে শাস্তি দিয়েছি, সে তোমার কাছে ক্ষমা চাইবে।’

দর্শিনী হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে,

‘আর আমার বোন? আপু আপনার উপর রাগে আমার ক্ষতি করতে চাইছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। তার শাস্তি অত‍্যাবশক ছিল আবিদ। সেদইদিন বিয়েটা ভেঙ্গে গেলে আমাকে কী ফেইস করতে হতো আপু কী জানতো না? আমার কিছু হয়ে যেতে পারতো! তাছাড়া লোকজন কত রকম কথাবার্তা বলতো? এমন কী আমার চরিত্রের উপর কথা বলতে দ্বিধাগ্রস্ত হতো না।’

আবিদ আলতো হাতে দর্শিনীকে জড়িয়ে বলে,

‘প্রজ্জ্বলিনী প্রেগন‍্যান্ট ছিল। আমি তাকে রাগে বশে থাপ্পড় মেরেছিলাম। তাকে জানিয়েছিলাম কতো আগে থেকে আমি তোমাকে ভালোবাসি। পরবর্তীতে সে আমার ভালোবাসার উপর সহানুভূতি দেখায়। তোমাকে যে রুমে আঁটকে রেখেছিল সেখানে নিয়ে যায়। এরপরই তোমাকে পেয়ে যাই আসফির প্লানটাও ভেস্তে যায়। মানছি দুজনে দোষ করেছে তেমনি আমি দুজনকেই শাস্তি দিয়েছি, বউ।’

দর্শিনী কাঁদতে কাঁদতে বলে,

‘এতোবড় সত্যি কথা আমাকে জানাননি কেনো আবিদ?’

‘তুমি কষ্ট পাবে ভেবে।’

‘এখন কী পাচ্ছিনা?’

‘সত‍্যিটা তোমার জানা দরকার ছিল। প্রজ্জ্বলিনী অনুতপ্ত ভিষণ। এখন সে নিজে তোমাকে জানাতে বলেছে লক্ষ্মীটি।’

‘আমার খারাপ লাগছে আবিদ। আমি ভাবতে পারছিনা আপু এমন একটা কাজ করেছিল।’

‘দুজনে ভুলবশত করে ফেলেছে। দুজনেই আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে দর্শিনী। যখন তোমাকে খুঁজে পাওয়া যচ্ছিলোনা আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছিলো প্রায়। প্রজ্জ্বলিনীর জন‍্য লাস্ট মুহূর্তে আমাদের বিয়েটা হয়েছে। তাছাড়া রাগের বসে প্রেগন‍্যান্ট অবস্থায় ওকে থাপ্পড় দেওয়াতে অনুশোচনা বোধ হচ্ছিলো আমার। আর আসফি তো বিয়ের দিন থেকে নিখোঁজ ছিল নাহলে সেদিনই ওকে শাস্তি দিতাম। সবাই জানলে ব‍্যপারটা দৃষ্টিকটু লাগবে। আমি চাইনা এটা নিয়ে কোনো ইস‍্যু তৈরি হোক। এখন দুজনেই অনুতপ্ত! তোমার তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।’

‘আমার ভাবতে সময় লাগবে। আপনি ওদের দুজনের অন‍্যায় আমার থেকে লুকিয়েছেন। অন‍্যায়কে লুকিয়ে আপনিও অন‍্যায় করেছেন। শাস্তি আপনার পাওয়া উচিত।’

আবিদ আহত দৃষ্টিতে দর্শিনীর দিকে তাকায়। দর্শিনী চোখের পানি দ্রুত মুছে নেয়। সে নিজেকে আবিদের থেকে ছাড়িয়ে সোজা নিচে চলে যায়। আবিদ অসহায় চোখে দর্শিনীর যাওয়ার দিকে তাকায়। পরক্ষণে ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে কপালে স্লাইড করে বলে,

‘এটা কী হলো? বউ, আমার উপর রাগ করে চলে গেলো? আমি সবার কথা ভেবে গোপন করলাম উল্টে আমার উপর শাস্তি? ওদের দুজনের জন‍্য আমাকে সাফার করতে হবে দেখছি। ইয়া মাবুদ, আমার বউটা যেন আমার উপর কঠিন নাহয় প্লীজ।’

#চলবে

[ দর্শিনী সবটা জেনে গেছে, অনেকে নিশ্চয়ই খুশি হবেন? প্লট মাথায় ছিল কিন্তু সাজিয়ে লিখতে পারছিলাম না এজন্যই দেরী হলো। আজকের পর্বটা অগোছালো মনে হলো! ভুলত্রু’টি মানিয়ে নিবেন প্লীজ, আর রেসপন্স করবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here