তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল পর্ব ৩০

0
121

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৩০

সকাল সকাল প্রীতি ফুল গাছে পানি দিচ্ছিলো। আজ হঠাৎ কলেজ বন্ধ কোনো এক কারণে তাই রিলাক্স মুডে সকাল সকাল গাছে পানি দিতে নামলো।

এদিকে শাফিন এক প্রকার দৌড়ে বাসা থেকে বের হচ্ছে। পারফি বলেছিলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাই যেনো আজ ঠিক টাইমে আফিসে পৌঁছায়। ওর কাজ তো সবসময় লেট লতিফের মতো লেট করে অফিসে উপস্থিত হওয়া। এর জন্য জীবনে পারফির থেকে কম বকা খায় নি। পারফি যখন বকা দিতো তখন ঠোঁট উল্টে মনে মনে ভাবতো শালা তোর মতো যদি সব কিছু টাইম মতো করতে পারতাম তাহলে কি আর লেট লতিফ উপাধি পেতাম সবার কাছে? শুধু শুধু আমাকে বকা দেস শালা। সকাল সকাল ঘুম ভাঙে না তাতে আমার কি দোষ? তোরতো বউ আছে তোর বউ তোকে ডেকে দেয়। আমারতো বউ নাই তাই ডেকে দেওয়ার মানুষ ও নাই। শালা পাষাণ এতোগুলা বকা না দিয়া একটা বউ ওতো এনে দিতে পারিস। কথা গুলো মনে মনে ভাবলেও সামনা সামনি বলা হয় নাই কখনো। এগুলো সামনা সামনি বললো পারফি ওকে এক থাবড়ে উগান্ডা পাঠিয়ে দিবে।

এই যে আজ আবার কতোগুলো বচন খাওয়া লাগবে ভাবতেই শাফিনের ইচ্ছে করছে নিজের মাথা নিজে টাকাতে। সকাল বেলা এতো ঘুম কই থেকে যে আসে তাই মাথায় আসে না। যেখানে ৮ টা বাজে অফিসে থাকতে বলেছে সেখানে ৯ টা বাজে ভেঙেছে ঘুম। শালা ঘুমের সাথে আমার কি এতো শত্রুতামি বুঝি না। যেদিন তারাতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা লাগবে সেদিন শালার ঘুম হাত-পা টিপে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে যাতে পারফির থেকে ঝারি খেতে পারি। এই শালা*র ঘুম ও আমার বিরুদ্ধে চলে, এর একটা ব্যবস্থা করতেই হবে ভাবতে ভাবতে শাফিন ছুট লাগালো অফিসের উদ্দেশ্যে।

কোনোদিক না তাকিয়ে এভাবে ছোটার জন্য হঠাৎ করো সাথে সজোরে ধাক্কা খেলো। কারো সাথে বেখেয়ালি ভাবে ধাক্কা লাগায় সরি বলতে যাবে অমনি সামনে তাকাতে হো হো করে হেঁসে উঠলো। কারণ সামনে হাত-পা মুখে কাঁদা পানি লেগে প্রীতির অবস্থা জোকারের মতো হয়ে গেছে। প্রীতির এই জোকার রুপ দেখে নিজের হাসি আর কন্ট্রোল করতে পারলো না।

একেতো শাফিন ধাক্কা মেরে প্রীতিকে ফেলে দিয়েছে তার উপর এভাবে আবার হাসছে তা দেখে প্রীতি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল,

শাফিনের বাচ্চা তুই আমাকে ফেলে দিয়েছিস আবার দাঁত কেলিয়ে হাসছিস আজতো তোকে আমি কি করবো আমি নিজেও জানিনা।

প্রীতির মুখে আবার ও তুইতোকারি শুনে শাফিনের হাসি থেমে গেলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

আবার তুই আমাকে তুই তোকারি করছিস?

করেছি বেশ করেছি, আরো করবো। সকাল সকাল ডাকাতি করতে বের হচ্ছো যে কোনো দিকে না তাকিয়ে কানার মতো দৌড়াচ্ছো, তোমার জন্য আমার কি অবস্থা হয়েছে? যেখানে সরি বলবা তানা উল্টা দাঁত কেলিয়ে হাসছো।

হাসছিস বেশ করেছি, আরো হাসবো। তোর মতো ঘাড় ত্যারা মেয়েকে সরি বললে জীবনেও মানতি না আমি জানি। তোকে বেকার সরি বলার চেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসা অধিক উত্তম।

প্রীতি ক্ষেপে যেয়ে বললো,

কি বললে তুমি আমি ঘাড় ত্যারা? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা এ বলে এদিক ওদিক একবার তাকিয়ে পানির পাইপটা হাতে উঠিয়ে শাফিনকে ভিজিয়ে দিতে লাগলো।

প্রীতি কি করছে বুঝে উঠতে শাফিন তারাতাড়ি প্রীতিকে আটকানোর জন্য ওকে ধরতে যাবে তার আগে প্রীতি ছুটে অন্য পাশে চলে যেয়ে শাফিনকে ভেজাতে ভেজাতে বললো,

এবার দেখো কেমন লাগে? আমার সাথে লাগতে আসা তাইনা এবার দেখো প্রীতির সাথে লাগতে আসার ফল।

শাফিন প্রীতির দিকে তেরে যেতে যেতে বললো প্রীতি থাম বলছি, আমি একবার তোকে ধরতে পারলে থাপ্পড় খাবি কিন্তু বলে দিলাম।

প্রীতি থামলো না বরং এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে শাফিনকে ভেজাতে লাগলো। এক পর্যায়ে শাফিন প্রীতির হাত ক্ষপ করে ধরে ফেলে পাইপটা নিজের হাতে নিয়ে নিলো। শাফিন এবার এক হাত দিয়ে প্রীতিকে ধরে রেখে আরেক হাত দিয়ে প্রীতির দিকে পাইপ ঘুরিয়ে দিলো। প্রীতি ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত মোচড়ামুচড়ি করতে লাগলো কিন্তু কোনো লাভ হলো না।

বাহিরে হঠাৎ এমন শোরগোলের শব্দ শুনে শাহানা বেগম ছুটে আসলো। দুই ছেলে মেয়ের এমন পাগলামো দেখে তার মাথায় হাত। এই দুটোকে নিয়ে আর পারে না সব সময় মা/রা/মা/রি ঝগড়া বিবাধ লাগিয়েই রাখবে।
তখন সেখানে এসে আরো উপস্থিত হলো পিয়াসা বেগম আর ইয়ানা। শাহানা বেগমের মতো পিয়াসা বেগমের ও একি অবস্থা হলো দুজনের অবস্থা দেখে।

এদিকে প্রীতি আর শাফিনের অবস্থা দেখে ইয়ানা শব্দ করে হেঁসে ফেললো। দুজনে কাঁদা পানি মেখে এক একার অবস্থা। দুজনের এমন পাগলামো দেখে নিজের হাসি আর কন্ট্রোল করতে পারলো না।

কারো হাসির শব্দ শুনে শাফিন আর প্রীতি ওদের লড়াই বন্ধ করে পিছু ঘুরলো। পিছু ঘুরে সবাইকে এমন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাতে থাকা পাইপ ফেলে দিয়ে ভদ্রের মতো দাঁড়িয়ে গেলো। দেখে যেনো মনে হচ্ছে এদের মতো ইনোসেন্ট মানুষ আর দুটো নেই।

শাহানা বেগম এবার বলল,

কি হলো থামলি কেনো? আরো কর মা/রা/মা/রি।

শাহানা বেগমের কথায় শাফিন বলল,

আম্মু আমার কোনো দোষ নাই এই রাক্ষসী আমাকে আগে ভিজিয়েছে। শাফিনের কথায় প্রীতি ফোঁস ফোঁস বললে উঠলো,

নিজে যে আগে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছো তার দোষ নেই? আসছে আমার নামে বিচার দিতে।

মিথ্যা বললে একটা থাপ্পড় খাবি আমি কি ইচ্ছে করে ফেলেছি? এক্সিডেন্টলি ধাক্কা লেগে গিয়েছিলো।

আসছে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে এখন এক্সিডেন্ট বলতে।

শাফিন রেগে বলল,

একদম মিথ্যা বলবি না প্রীতি তাহলে কিন্তু তোর কপালে শনি আছে বলে দিলাম।

প্রীতি আর শাফিনকে আবার ও ঝগড়া বাজাতে দেখে পিয়াসা বেগম এবার এদের থামানোর জন্য বলল,

থামবি দুটোয়? আর নাহলে এখন দুটোকে ধরেই পেটাবো বলে দিলাম।

পিয়াসা বেগমের ধমকে দুজনে থামলো। শাফিন কিছু বলতে যাবে তার আগে শাহানা বেগম শাফিনের কান টেনে ধরে বলল,

বাচ্চা মেয়েটার সাথে তোর না বাজালে হয় না? তোর না অফিসে যেতে লেট হয়ে গিয়েছে তার জন্য না খেয়ে বের হয়ে গিয়েছিস আর এখন এভাবে মা/রা/মা/রি করছিস তাতে দেরি হচ্ছে না?

পিয়াসা বেগম বলল ওকে একা বলছো কেনো পাশেরটাকে ধরেও কিছু বলো। ও ছোট হয়ে কেনো শাফিনের সাথে লাগতে যাবে? তোমার লাই পেয়ে পেয়ে এটায় আজ বাঁদর হয়েছে।

পিয়াসা বেগমর কথায় শাহানা বেগম বললো,

আজ দুটোকে ধরেই মার দিবো এ বলে প্রীতির আরেক কান ধরে বললো দুটোয় দিন দিন বাঁদর হচ্ছিস। এই তোরা না বড় হেয়েছিস এখন তো একটু মিলেমিশে থাক এভাবে ঝগড়া মা/রা/মা/রি না করে। আর কতোদিন এভাবে ঝগড়া মা/রা/মা/রি করে কাটাবি?

শাহানা বেগম কান ধরায় প্রীতি ইনোসেন্ট ফেস করে বললো,

আন্টি এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না সব দোষ তোমার বাঁদর ছেলের।

হ এখন সব দোষ আমার আর তুইতো ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে পারিস না ইনোসেন্ট বান্দর।

দুজনকে আবার বাজাতে দেখে শাহানা বেগম বললো,

আবার শুরু করেছিস এবার কিন্তু সত্যি দুটোয় মার খাবি।

শাহানা বেগমের কথায় প্রীতি আর শাফিন ঠোঁট উল্টে তাকালো শাহানা বেগমের দিকে তা দেখে তিনি কান ছেড়ে দিয়ে বললো দুটোয় এখন দুজনের কাছে সরি বলে বল আর কখনো ঝগড়া করবি না।

প্রীতি আর শাফিন এক সাথে বলে উঠলো জীবনেও না।

দুজনের কথায় মাথায় হাত শাহানা বেগমের।

এদিকে প্রীতি আর শাফিনের অবস্থা দেখে ইয়ানা মুখ টিপে হেসেই চলেছে তা প্রীতির চোখে পড়তে প্রীতি বলে উঠলো,

খুব মজা নেওয়া হচ্ছে ওখানে বসে তাইনা? আর একটু হাসলে তোকেও ভিজিয়ে দিবো বেলে দিলাম।

প্রীতির কথায় পিয়াসা বেগম বলল,

আর তুই ভেজাতে আমার মেয়েকে। তোর মতো বাঁদর নাকি আমার মেয়ে যে তুই আমার মাকে ভেজাতে আসবি? পিটিয়ে তোর বাঁদরামি ছুটাবো আমি।

পিয়াসা বেগমের কথায় ইয়ানা হেঁসে ফেললো। পিয়াসা বেগমকে এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে প্রীতির দিকে তাকিয়ে জ্বিভ ভেঙচিয়ে বলল ,

কতোবড় সাহস আমার ভালো মার মেয়েকে ভেজাতে চাস। আমার মা তোকে পিটিয়ে বাঁদর থেকে মানুষ বানিয়ে দিবে একদম।

ইয়ানার কথায় শাফিন বলে উঠলো,

একদম ঠিক বলেছো ফুল পরী আমার বনু। এটা আসলেই বাঁদর,এটাকে পিটিয়ে মানুষ বানাতে হবে।

শাফিনের কথায় শাহানা বেগম ফের শাফিনের কান টেনে ধরে বলল,

আবার শুরু করেছিস? তুইতো ওর থেকেও বড় বাঁদর আবার কথা বলিস।

শাফিনকে বাঁদর বলায় প্রীতি যেনো ঈদের থেকেও বেশি খুশি হলো।

প্রীতিকে এমন খুশি হতে দেখে শাফিন বিড়বিড় করে বললো তোকে পড়ে দেখে নিবো আগে এখান থেকে ছাড়া পাই। তারপর শাহানা বেগমকে বলল,

উফফ আম্মু এবার তো ছাড়ো অফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এখানে তোমার মার খাচ্ছি অফিসে যেয়ে এই বাঁদরের ভাইর হাতে মার খাওয়া লাগবে। এতো মার খেয়ে কবে জানি চেপ্টা হয়ে যাবো আমি।

শাহানা বেগম কান ছেড়ে দিয়ে বলল,

তোর জন্য মার এই ঠিক আছে, যা সর এখান থেকে।

শাফিন ছাড়া পেয়ে বিড়বিড় করতে করতে বাসার প্রবেশ করলো চেঞ্জ করার জন্য।

শাফিন যেতে শাহানা বেগম প্রীতির দিকে তাকিয়ে বলল,

যা ফ্রেশ হয়ে নে ঠান্ডা লেগে যাবে।

পিয়াসা বেগম বললো এটাকে এতো সহজে ছেড়ে দিচ্ছো কেনো? আগে পিঠের উপরে দুটো দেও আর নাহলে জীবনেও সোজা হবে না বলতে বলতে ভিতরে চলে গেলো।

পিয়াসা বেগমের কথায় প্রীতি ঠোঁট উল্টে বলল,

দেখেছো আমার সাথে কেমন করে?

প্রীতি কথায় শাহানা বেগম হেঁসে ফেললো তারপর প্রীতিকে সান্ত্বনা দিয়ে বললো,

রাগের মাথায় বলেছে এবার যা তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে এ বলে শাহানা বেগম ও চলে গেলো।

শাহানা বেগম যেতে ইয়ানা হো হো করে হেঁসে বলল,

দোস্ত তোকে দারুণ লাগছে। আয় একটা সেলফি তুলি তোর সাথে।

ইয়ানার কথায় প্রীতি ইয়ানার দিকে তেরে যেতে যেতে বলল তবে রে দেখাচ্ছি মজা।

এদিকে প্রীতিকে নিজের দিকে আসতে দেখে ইয়ানা ভো দৌড়। এক দৌড়ে যেয়ে পিয়াসা বেগমের পিছে লুকালো।

পিয়াসা বেগমের পিছে লুকাতে প্রীতি আর কিছু বলতে পারলো না। পিছ থেকে বলে গেলো কতক্ষণ লুকিয়ে থাকবি? তোকে তো পড়ে দেখে নিবো আমি হুহ্।

ইয়ানা প্রীতিকে জ্বিভ দিয়ে ভেঙচি কাটলো।

তা দেখে প্রীতি দাঁতে দাঁত চেপে উপরে উঠে গেলো ফ্রেশ হতে।
—————–
এদিকে শাফিন অফিসে পৌঁছে নিজের কেবিনে যেয়ে বসতে একজন স্টাফ এসে বলল শাফিন স্যার পারফি স্যার বলেছে আপনাকে তার সাথে দেখা করতে।

অফিসে আসতে না আসতে পারফির ডাক পড়াতে শুকনো ঢোক গিললো শাফিন। আজ যে কপালে শনি আছে তা ঢের বুঝতে পারছে।

কিছুক্ষণ বসে থেকে কথা সাজিয়ে নিলো কি বলবে পারফিকে তারপর ঢোক গিলে পা বারালো পারফির কেবিনে।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….

যারা রোমান্টিক পর্ব চান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনাদের লেখিকা পুরোই আনরোমান্টিক তাই আপনাদের লেখিকা আপুর পক্ষ ওতো বেশি রোমান্টিক গল্প লেখা সম্ভব না। জীবন মানেই রোমান্টিক এ ভরপুর থাকা না। এর বাহিরেও সুন্দর একটা সম্পর্ক উপস্থাপন করা যায়।
আর যারা আরো বড় পর্ব চাও তাদের উদ্দেশ্য বলছি আমি নিয়তি গল্প দেই সেই হিসেবে যথেষ্ট বড় পর্ব দেই। এই গল্পের ৩০ টা পার্ট দিয়েছি তার মধ্যে আমি শুধু দুইদিন গল্প দেই নি। আমি শুধু গল্প লিখি না, কোনো গল্প ভালো লাগলে সেটা পরি ও। যেসব গল্প রানিং চলে ওইসব গল্প পড়া অনেক কষ্টের হয়ে পরে কারণ এক পর্বের পর আবার আরেক পর্বের অপেক্ষায় থাকা লাগে। তার ভিতরে দেখা যায় রেগুলার গল্প বেশিরভাগ এই দেয় না তখন অনেক খারাপ লাগে পরের পর্ব পরার অপেক্ষা করতে। আপনাদের মতো আমিও একজনের পাঠিকা তাই আমি বুঝি পরবর্তী পর্ব পাওয়ার জন্য মনের মাঝে কতটা আকুলতা থাকে। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি রেগুলার গল্প দেওয়ার। মাঝে মাঝে মন মানসিকতা অনেক খারাপ থাকে, ইচ্ছে হয় না গল্প লিখি তবুও লিখতে বসে যাই কারণ আমি জানি আমার পাঠক/পাঠিকারা নেক্সট পার্ট এর জন্য ওয়েট করছে। এমনকি সকাল সকাল আপনাদের জন্য ঘুম থেকে উঠে আগে গল্প পোস্ট করি। আমার বরাবর এই সকালে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা হয় কিন্তু আপনাদের জন্য আমি সকাল ৮ টায় উঠে নিয়মিত গল্প পোস্ট করার ট্রাই করি।
এতো কিছুর পর ও যদি আপনাদের আরো বড় পর্ব লাগে তাহলে গল্প অনেক বড় করে দিবো বাট সেটা একদিন পরপর দিবো তাহলে। এতো বড় করে রেগুলার পার্ট দেওয়া পসিবল না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here