কোথাও হারিয়ে যাব পর্ব ৪

0
63

কোথাও_হারিয়ে_যাব
#রূবাইবা_মেহউইশ
পর্ব-৪

সূর্য ডুবছে পশ্চিমে ; কমলাভ বিকেলটা টুপ করে গড়িয়ে পড়েছে এই মাত্রই। নুপুরের হাতের মধ্যে ছোট্ট একটা বিড়ালছানা গুটি পাকিয়ে আছে অনেকক্ষণ ধরে। ছাদের কার্নিশে পড়ে আছে ম্যাজিক বলের বাটি। কাল রাতেই খুব জেদ ধরে বাবাকে দিয়ে আনিয়েছে এগুলো। আরও জেদ ধরেছিল জন্মদিনের একটি কেক, কিছু ছোট ছোট মোমবাতি আর কিছু চানাচুর, বিস্কিট। বাবা সবটাই দিয়েছেন এনে কিন্তু মেয়েটা আজ টিউশনি ছেড়ে কেন বাড়িতে তাই বুঝতে পারছেন না। বাড়ির আশপাশের কিছু ছোট বাচ্চা-কাচ্চাদের নাকি ডেকেছে। বাচ্চাদের মত যখন তখন বায়না কেন যে ধরে সে নিজেই বোধহয় জানে না। আজ তো বাড়ির কারো জন্মদিনও নয় তবে এসবের জেদ কেন! বাবা অবশ্য মেয়েটাকে প্রচণ্ড স্নেহে আগলে রাখতে সব কথাই মেনে নিচ্ছেন। না নিয়ে উপায় নেই মা ম/রা মেয়েটা কখনো অন্যা/য় আবদার করেনি আজ অবধি। করার মধ্যে ওই একবার বলেছে কলেজে ওঠে টিউশনি করবে যেটা কিনা নাজিম সাহেবের পছন্দ হয়নি। তিনি অঢেল টাকা-পয়সা কামান না এ কথা ঠিক, তবে যা ইনকাম দোকান ভাড়া, বাড়ি ভাড়া আর নিজের চাকরি মিলিয়ে সংসার স্বচ্ছন্দে চলছে। সৎ মায়ের সংসারে বোধহয় কখনো কালচোখের সম্মুখীন হতে চায় না বলেই হয়ত এখন থেকেই নিজের পথ নিজে দেখতে চাইছে মেয়েটা। তাই প্রথম বছরই টিউশনি শুরু করল। এইতো সেদিন বায়না ধরলো স্কুটি কিনবে নাজিম সাহেব জমানো টাকা দিয়ে দু দিন আগে কিনে দিলেন স্কুটি। কোথায় কার কাছে যেন চালানোও শিখে নিয়েছে। তবে মেয়েটা এমনি এমনি নিলো না স্কুটিটা আর বাবা কষ্ট পাক এটাও চায়নি সে। নিজের জমানো টিউশনির হাজার বিশেক টাকা দিলো, ‘এটা তুমি নিয়ে নাও বাবা। আমার খুব শখ নিজের টাকার গাড়িতে ঘুরব সে শখ তো পূরণ করতে অনেক দিন লাগবে। তাই একটু একটু করে আমি যা দিব তোমায় নিতেই হবে।’

শুকনো মুখে অল্প হেসে তিনি মেনে নিয়ছেন সে কথা। টাকা গুলো তিনি মেয়ের নামেই জমিয়ে রাখছেন সাথে নিজের সাধ্যমতও জমিয়ে তা মেয়ের ভবিষ্যত গোছাবেন। বাড়িতে বউ আছে, আছে আরও একটি ছেলে সন্তান৷ কে জানে কবে তাদের মন ঘুরে যায় তখন মেয়েটাকে যেন জলে না ভাসাতে হয় সে কারণেই গুছিয়ে, লুকিয়ে রাখছেন কিছু কিছু। সময় হলে মেয়ের হাতে তুলে দিবেন সেগুলো সেই সাথে খুঁজতে হবে পোক্ত একটা হাত যে হাতে তাঁর মেয়ে সর্বদা থাকবে সুরক্ষিত। নুপুর আচরণে যতই চঞ্চল প্রজাপতির মত হোক না কেন মন থেকে সে যথেষ্ট পরিপক্ক। তাই বাবা হয়ে নাজিম সাহেব মেয়েকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন না।

_________________

‘কাঠগোলাপে সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি’
‘আবছা নীল তোমার লাগে ভাল…..

সন্ধ্যের আকাশে কালচে মেঘের ঘনঘটা। দিনের প্রচণ্ড দাবদাহে জ্বলতে থাকা ত্বকে এখন হালকা বাতাসের কোমল আদর। ফুরফুরে মন নিয়ে গলা ছেড়ে একই গানের কয়েকটা লাইন বারংবার গেয়ে যাচ্ছে রিদওয়ান। একটু আগেই রিমন এসেছে আব্বু-আম্মুকে নিয়ে অর্ণবদের বাড়ি৷ রিদওয়ান আর অর্ণব ফিরেছে তখন৷ বাড়ি এসে গেইট দিয়ে ঢুকতেই তারা দেখতে পেল উঠোনের এক কোণে বড় আম গাছটার নিচে চলছে রান্নাবান্না। রিদওয়ান একটাই চুলা বানিয়ে দিয়েছিলো বাচ্চারা নিজেরাই আরও একটা বানিয়েছে। কথা ছিল মুরগী বিরিয়ানি আর পায়েস করবে। কেমন করে যে আইটেম গুলো বদলে গিয়ে মোরগ-পোলাও, ডিমের কোর্মায় পরিবর্তন হলো রিদওয়ান বুঝতে পারছে না। সে গান গাইতে গাইতে এদিক সেদিক তাকিয়ে নিলো। যার খোঁজে দৃষ্টি ঘুরছে সে মানুষটা এখানেই নেই৷ থাক, সে দূরেই থাকুক তাতেই মঙ্গল। রিদওয়ান আবারও গানে মন দিলো চোখ বুঁজে । তার পাশেই এসে গা ঘেঁষে বসল রিমন৷ দ্রুত হাতে দু তিনটে টোকা দিলো রিদওয়ানের বা হাতের উল্টো পিঠে। ভাইয়ের এমন আচরণে রিদওয়ান গান থামিয়ে প্রশ্ন করলো, কি হলো!

‘একটা জরুরি কথা বলার ছিল।’
‘বল।’

‘এখানে না ছাদে চলো।’

‘এখানে কি সমস্যা?’ বিরক্ত হলো রিদওয়ান।

‘সিক্রেট ব্যাপার বোঝো না কেন?’

‘দূর হ’ কথাটা বলে রিদওয়ান নিজেই উঠলো। রিমনও উঠতেই দু ভাই মিলে বাড়ির ভেতর ঢুকল।

‘এবার বল।’

‘শিবলী ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে।’

‘তো!’ কথাটা বলেই রিদওয়ান চোখ বড় বড় করে তাকালো। কয়েক সেকেন্ড বোধহয় তার মস্তিষ্ক অচল হয়ে রইলো। সে কি ঠিক শুনলো? আশ্চর্য! কথাটা শুনতেই কেমন বুকের ভেতরটা খালি হয়ে গেল রিদওয়ানের। যেন বহু বছরের চাপা পড়ে থাকা নিঃশ্বাসটা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। কয়েক মুহূর্ত কেটে গেল স্তব্ধতায় তারপরই রিদওয়ান বলল, ‘গার্লফ্রেন্ড আছে তো কি হয়েছে?’

‘বিয়ে হবে, বাসর হবে, বাচ্চা হবে আমরা চাচা হব এই আরকি! হুহ’

ভেংচি কে/টে চলে গেল। রিদওয়ান তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে অর্নিদের বসার ঘরটায়। কানের কাছে অনুভূতিরা শীতল হাওয়ায় ভাসিয়ে নিচ্ছে তাকে। কবে, কখন, কিভাবে কে জানে তার মনটা টুপ করে ডুবে গিয়েছিলো পুঁচকে বাচ্চা অর্নিতার মাঝে৷ তারপর ধীরে ধীরে তলিয়ে গেল শিবলী ভাইয়ের নামের সমন্ধের আড়ালে। চোখের সামনে বড় হতে লাগল অর্নি আর রিদওয়ানও মনের ঘরে পর্দা টেনে গু/ম হয়ে রইলো। শিবলী ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে শুনে রিদওয়ান যখন নির্ভার ঠিক তখন দোতলার একটি ঘরে অর্নি বসে আছে মন খারাপ করে। একটু আগেই ভাইয়া তাকে ধমকে দিয়েছে। অর্ণব বাড়ি ফিরে প্রথমেই নিজের ঘরে ঢুকে গোসল করেছিল। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় শরীরটাও বেশ ক্লান্ত থাকায় গোসলের চেয়ে ভাল আর কিছুই হতো না কিন্তু গোসল শেষে বডি স্প্রের জন্য ড্রয়ার খুলতেই চোখে পড়লো সুন্দর একটা গিফট বক্স। বোন এনেছে নিশ্চয়ই তা ভেবে বক্সটা হাতে নিলো। ঠোঁটের কোণে অল্প হাসি রেখে গিফটটা বের করতেই ফোন বেজে উঠলো অর্ণবের। এক হাতে ব্রেসলেট, অন্যহাতে ফোন৷ স্ক্রীণে ভাসছে অর্ধপরিচিত মেয়েটির নাম্বার৷ আজ এতবার কেন কল দিচ্ছে সে! বিকেলেও কতক্ষণ বকাবকি করল কল দেখে মেয়েটা কি ঠিকঠাক শোনেনি তখন? কলটা পুনরায় রিসিভ করতে করতেই অর্ণব বোনকে ডাকলো, ‘অর্নি!’

পাশের ঘরে বসেই বেলুন গুলো ফুলিয়ে রাখছে অর্নিতা তার সাথে ছিল চাচাতো বোন প্রিয়া। ভাগ্যিস রিমন ভাই মনে করে বেলুন ফোলানোর যন্ত্রটা আনলো নইলে অত অত বেলুন কি করে ফুলাতো সে! রিদওয়ান ভাইটা একদম অমনোযোগী সকল কাজেই৷ একটা কাজও তিনি ঠিকঠাক করতে পারেন না এজন্যই বোধহয় খালু তাকে সবসময় কথা শোনায়৷ মনে মনেই ভাবছিলো অর্নি কথা গুলো তখনই কানে এলো ভাইয়ার ডাক।সে প্রিয়াকে রেখে চলে গেল ভাইয়ের ঘরে।

-ডেকেছিলে ভাইয়া!

অর্ণব ফোন কানে তখন প্রশ্ন করছে, ‘কল দিচ্ছো কেন বারবার?’

হাতের ইশারায় বোনকে বক্সটা দেখালো। ওপাশে নুপুর তখন মিহি সুরে বলতে লাগল, ‘শুভ জন্মদিন৷ উইশ করব বলে দিচ্ছলাম একবারও শুনলেন না তাই আবারও কল দিলাম।’

নুপুরের কথা কানে পৌঁছুলেও অর্ণব আগে বোনকে জবাব দিলো, ব্রেসলেটটা পছন্দ হয়েছে থ্যাংকস।’

অর্নি মুচকি হাসলো। নুপুরও শুনতে পেল অর্ণবের প্রশংসা। তার ঠোঁটেও ফুটলো পবিত্র এক হাসির ছটা। অর্ণি ভাবছে যাক, ভাইয়া আর কিছু জানতে চায়নি এই ঢের তাই সে চলে যাচ্ছিলো। তখনি ফোনের ওপাশে নুপুর চেঁচালো, ‘সত্যি পছন্দ হয়েছে! আমি জানতাম গাব্বার সিং এমন একটা জিনিস পছন্দ না করে থাকতেই পারে না।’

-কিহ!

অর্নি থেমে পেছনে ফিরলো ওপাশে বুঝি নুপুরও চমকে গেল অমন ভারিক্কি স্বরে ‘কিহ’ শুনতেই। কপালের মধ্যাংশে রেখার উদয় হলো অর্ণবের৷ সে একবার বোনকে দেখে আরেক বার ফোনে তাকালো।

-এই গিফট তুই আনিসনি?

-ইয়ে মানে ভাইয়া…

– ইয়েস অর নো!

-নো

– কে দিলো?

-নুপুর

-কে হয় নুপুর?

-আমার বান্ধবী।
এ কথা বলার সময় অর্নির চোখ জলে থৈ থৈ। অর্ণব তাকালো না সেদিকে। আগের চেয়ে ভারী স্বরে বলতে লাগল, তাহলে আমার বার্থডে গিফট তার কাছ থেকে কেন আসে?আমার বান্ধবী সে!’

নুপুর তখনো কলেই ছিলো। সে শুনছে সব আর বিড়বিড় করে চলছে, আপনার নই তো কি হয়েছে হয়ে যাব… বান্ধবী।

-স্যরি ভাইয়া ও জোর করল….

-জোর করলেই আনতে হবে কেন? তোকে যদি জোর করে ভাইয়ের বউ করে নিয়ে আয় সেটাও করবি নাকি!

এ পর্যায়ে কণ্ঠস্বর আগের চেয়েও উঁচু আর গাঢ় হলো অর্ণবের। অর্নি বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে গেল ভাইয়ার এমন আচরণে। অভ্যস্ত নয় সে এমন রুক্ষ আর রূঢ়ভাষী ভাইকে দেখে। ভাইয়া বরাবরই কম কথা বলে, গম্ভীর হয়ে থাকে এসব তার নিজের স্বভাবেও আছে কিন্তু কারো দেয়া উপহারে এমন করাটা ভালো লাগলো না৷ চুপচাপ চলে গেল ভাইয়ের ঘর ছেড়ে। অর্ণব নিজেও এবার অপ্রস্তুত হলো। অর্নিকে কেন ধমকালো! তার অবচেতন মন অনেক কিছু দেখছে, বুঝতে পারছে তাই সতর্ক থাকাটা জরুরি কিন্তু এখানে অর্নির কি দায়! মাথা গরম করা বুদ্ধিমানের কাজ নয় তবুও হয়েই যায়। আজ দেড়টা বছরের মত হয়ে এলো অর্নির বান্ধবীর দৃষ্টি সে পড়তে পারছে। অল্পবয়সী মেয়েরা একটু উড়নচণ্ডী হবে, কাউকে দেখলে ভাল লাগবে এগুলো স্বাভাবিক হিসেবেই নিয়েছে সে। কিন্তু বাড়ি অবধি বিশেষ দিনে উপহার পাঠানো আজ নয় কাল নিজেই হয়ত আসা যাওয়া করতে চাইবে৷ এতে না চাইতেও কিছু প্রশ্রয় পেয়ে যাবে মেয়েটা। যে জীবনে সবটাই বাঁধাধরা সে জীবনে অবাধ্য কারো উপস্থিতি অর্ণব একদমই চায় না। খালামনি আর খালুর একটি মাত্র কন্যা বৃষ্টি। অর্ণব আর অর্নিতার উপর আজন্মকালের অসীম এক ঋণ তাদের কাছে। তাই মন জানে একদিন তাকে ওই মানুষদুটোর খাতিরে হয়ত বৃষ্টিকেই জড়াতে হবে নিজের সাথে। যেমনটা এখন অর্নিকে জড়াতে হচ্ছে শিবলী ভাইয়ের সাথে! অর্ণব আর ফোনে দৃষ্টি দেয় না৷ হাতের ফোন বিছানায় ছুঁড়ে কালো রঙের একটা টি শার্ট গায়ে জড়ালো৷ ঘরের বাতি বন্ধ করে চুপচাপ চলে গেল নিচে খালামনির কাছে। ফোনে তখন কল লগ বেড়ে চলছে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টায়৷ নুপুরও বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো নিজেদের বাড়ির শূন্য ছাদটায়। আঁধারঘেরা রাতের শূন্য ছাদ সঙ্গ দিলো তার বুক ভাঙানিয়া সময়টাতে।

_______

ঝিরিঝিরি বাতাস আর একটা দুটো ঝিঁঝির ডাক। নিস্তব্ধতা কাটিয়ে অর্ণবদের ছাদ আজ আলোর ঝলকে ভাসিয়ে নিচ্ছে চারপাশ। ছাদের মধ্যভাগে ছোট্ট একটা টেবিল তার ওপর সাজিয়ে রাখা পাউন্ড তিনের চতুষ্কোণ কেক। ছোট ছোট মোমের মাঝে অর্ণবের একটা ছবি। কেকটা দেখে প্রথমেই মুখ খুলল রিদওয়ান, ‘এই ছবিটা দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে তামিল মুভির কোন হিরোকে বসিয়ে দিয়েছে।’

-‘ইশ, ভাইয়া এগুলো বলো না পরে দেখা যাবে হিরোসাহেব কেকটাই কাটবে না।’ বৃষ্টি সতর্ক করলো ভাইকে৷

রিমন হঠাৎ পাশ থেকে বলল, ‘আসলেই! শেষে দেখা যাবে কেক না কেটে আমাদের কাটছে।’

-‘একদম ঠিক বলছেন রিমন ভাই’ পাশ থেকে সায় জানালো অর্ণবের এক চাচাতো বোন আয়রা। একে একে প্রত্যেকেই বলতে লাগল এমন ধারার হাজারো কথা। অর্ণব চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে রেলিং ঘেঁষে। ছাদের মধ্যভাগ বেলুনে বেলুনে ভরিয়ে ফেলেছে অর্নিতা। চারপাশে আলোরও যেন কমতি নেই৷ ছোট বড় কয়েক রঙের নকল বাতিও সাজিয়ে রেখেছে। অর্ণব ভেবে পায় না এ বয়সে এমন করে জন্মদিন কেন পালন করতে হবে! সে তো মেয়ে নয় আর না ছোট বাচ্চা। তার ধারণা এমন করে জন্মদন শুধু মেয়ে কিংবা বাচ্চাদেরই হওয়া উচিত। সকলের উপস্থিতি তাকে মোটেও স্বস্তি দিচ্ছে না এদিকে বোনটাকে তখন এমন ধ/মকালো যে এখন আর ভালোই লাগছে না কিছু। সকলের উপস্থিত পূর্ণ করতেই রিদওয়ান চলে গেল নিচে। সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠা দুঃসাধ্য বলে ছোটদাদী একাই নিচে থাকতে চাইলেন। অর্ণব মানলো না সে কথা তাই নিজেই যাচ্ছিলো দাদীকে আনতে। তাকে আটকে রিদওয়ানই গেল। মিনিট পাঁচেক পর দাদীকে কোলে তুলে ফিরে এলো সে। সকলের উপস্থিতি পূর্ণ হতেই অর্ণব বোনকে ডাকলো, ‘অর্নি!’

-জ্বী!

দু ভাই-বোন হাত মিলিয়ে কেক কাটতে উদ্যত হলো। সমস্বরে গলা ছেড়ে গেয়ে উঠলো জন্মদিনের গান৷ ওদিকে রিদওয়ান আড়ালে দাঁড়িয়ে ভিডিও কলে তাদের সাথে শামিল করলো আর একজনকে৷

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here