you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part. 8
#Maishara_Jahan
ফারহান আমাকে সবার সামনে নিয়ে যায়, আমার মাথায় শুধু ফারহানের কথা গুলো গুড়ছে। অন্য কোনো দিকে খেয়াল নেয়।
আরাব,,,,,,,কিরে কোথায় ছিলি তোরা সব।
রিমান,,,,,,,, এখানেই ছিলাম।
আরাব,,,,,,,,, দেখলাম না যে।
ফারহান,,,,,,,, চোখ অন্য দিকে থাকলে দেখবি কিভাবে।
আরাব,,,,,,,,,, আমার চোখ ঠিক জায়গায় আছে, তোদের মাথা ঠিক নেয়।
কয়েকজন মেয়ে,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, আপনি রিমান খান না, সিঙ্গার।
রিমান,,,,,,,,,, হুমম।
,,,,,,,,,,,ওয়াও আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনার নতুন গানটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমরা আপনার অনেক বড় ফেন।
রিমান,,,,,,,,,, থেংস।
,,,,,,,,,, একটা সেলফি পিল্জ।
রিমান,,,,,,,,, অবশ্যই।
রিমানের সাথে একজনের পর একজন সেলফি নিতে আসে। মাহুয়া টেরা চোখে তাকিয়ে আছে।
সেলফি তুলে একটা ভাব নিয়ে আসে রিমান।
রিমান,,,,,,,, আরাব আমার কয়েকটা ভালো পিক তুলে দে তো, ইন্সটাগ্রাম এ দিতে হবে না।
আরাব,,,,,,,,, চল।
রিমান দাঁড়িয়ে পোজ দিচ্ছে আরাব পিক তুলে দিচ্ছে। আর সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে, কেও কেও আবার ভিডিও করছে।
রিমান,,,,,,,,,, এই ঝর্ণার সামনে শার্ট পড়া পিক ভালো লাগবে না।
রিমান শার্ট খুলে পিছনে কমরে বেঁধে নেয়। আর সাথে সাথে সব মেয়েরা চিৎকার করা শুরু করে দিয়েছে। রিমান তার বডি দেখিয়ে বিভিন্ন পোজ দিচ্ছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, রিমি তোমার ভাইয়া কি সোঅফ করছে। (রিমানের দিকে তাকিয়ে)
রিমি,,,,,,,,,, দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। এতো কষ্ট বডি বানিয়েছে দেখাক।
মাহুয়া,,,,,,,, তাই বলে অন্যদের দেখাতে হবে।
রিমি,,,,,,,, তোমাদের মধ্যে কি কিছু চলছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, একটুও না।
রিমি,,,,,,,,,,, তাহলে তোমার প্রবলেম কি।
মাহুয়া,,,,,,,, কোনো প্রবলেম নেয়। রিমান (জোরে ডাক দিয়ে) আমরা লেইট হয়ে যাচ্ছি।
মাহুয়া যেভাবে তাকিয়ে আছে, সেটা দেখে রিমান তাড়াতাড়ি চলে আসে।
মাহুয়া,,,,,,,,, শার্টটা পড়ে নাও,, নাকি আরো পিক তুলার বাকি আছে।
রিমান,,,,,,,,, তীব্র পুরার গন্ধ পাচ্ছি (শার্টটা পড়তে পড়তে)
মাহুয়া,,,,,,,,, সেট আপ।
মুন,,,,,,,, সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, এখন গেলে ভালো হতো।
আরাব,,,,,,, হুমম হুমম চলো সবাই। অন্ধকার হওয়ার আগে যেতে হবে।
সবাই আবার গাড়িতে বসে। এবার গাড়িতে রাইসা বসেনি। ওকে এর পরে থেকে দেখায় যায়নি। রিমি এবার মুনের পাশে বসে। ফারহান ও কিছু বলেনি। মুন রিমিকে ধরে রেখেছে। আরাব মুনের কাঁধে ধরে রেখেছে।
মুন,,,,,,,, ভালোই ভালোই হাতটা সরিয়ে ফেলুন।
আরাব,,,,,,,,, হুহহ তোমাকে ধরার আমার কোনো ইচ্ছে নেয়।তোমাকে একারনে ধরে রেখেছি, যাতে রিমি পড়ে না যায়। তুমি পড়ে গেলে রিমিও পড়ে যাবে।
রিমান,,,,,,,, রিমির নাম তোর কাম,,, আরে বা।
আরাব,,,,,, চুপচাপ বসে থাক।
মুন ও কিছু বলেনা ভয় তারও করছে। ওরা আসতে আসতে অন্ধকার হয়ে যায়। তারা সবাই মার্কেটে যায়। সেখানে শুধু মুক্ত, ঝিনুক, শামুক আর কাঠের জিনিস৷ আর বিভিন্ন পাথরের জিনিস ও আছে৷ সুন্দর সুন্দর পোশাক ও আছে।
তারা সবাই কিনা কাটায় ব্যস্থ। রিমি, মুন বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস আর কসমেটিক্স কিনছে। আর মাহুয়া তার জন্য তার বাবার জন্য, সু জুতো কিনছে, আংটি, বেসলাইট এইাসব কিনছে। তাও আবার ফারহান, রিমান, আরাবের সাথে তাল মিলিয়ে।
রিমান,,,,,,,,, মাহু আমি তোমার জন্য এটা এনেছি (একটা নীল ছোট পাথরের পায়েল দিয়ে)
মাহুয়া,,,,,,,, ওয়াও এটা বেশ সুন্দর।
মাহুয়া এটা নিয়ে গলায় ধরে। গলায় পড়ার চেষ্টা করে।
রিমান,,,,,,,,, কি করছো।
মাহুয়া,,,,,,,, এটা মনে হয় ছোট হয়ে গেছে গলায় তো পড়াই যাচ্ছে।
রিমান মাহুয়ার কথা শুনে অভাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছে।
রিমান,,,,,,, মাহু এটা পায়েল, এটা গলায় না পায়ে পড়ে। আর এটা তো আমিও জানি।
মাহুয়া,,,,,,, ও সরি একি রকম লাগছিলো তাই কোনফিউজ হয়ে গেছি। আচ্ছা এটা আমি রেখে দিচ্ছি পড়ে পড়বো।
রিমান,,,,,,,,,, ঠিক আছে, মনে করে কিন্তু আমাকে পড়ে দেখাবে।
সবাই কিনা কাটা শেষ করে। হোটেলে রেখে রাতের খাবার শেষ করে সবাই আবার সমুদ্রে আসে৷ রাতে সমুদ্রটা কেমন লাগে সেটা দেখতে। সমুদ্রের তীরে এখনো মানুষ আছে। অনেক তার সঙ্গীনির হাত ধরে হাটছে।
মেয়েরা বালুচরে বসে আছে, ছেলেরা আগুন জ্বালিয়ে গান বাঝনা করছে। আর কয়েকজন সেখানে বড় বড় নীল লাল কাকড়া, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ বিভিন্ন মসলা দিয়ে তেলে ভাজছে।
সবাই মজা করে খাচ্ছে, যার যেটা ভালো লাগে। রাত ১২ টা যে যার মতো হাঁটছে। ঠান্ডা বাতাস বয়ছে। সাথে পানির আওয়াজ, খালি পায়ে সবাই।
রিমান, মাহুয়া হাঁটছে, রিমান অনেক ক্ষন ধরে ভাবছে মাহুয়ার হাত ধরার কিন্তু পারছে না। অবশেষে সাহস করে হাত ধরেই ফেলে। মাহুয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে, আরাব হাঁটা শুরু করে, কিছু বলে না। দুজনেই চুপকরে হাঁটছে৷
,,,,,,,,
রিমি,,,,,,, আচ্ছা ভাইয়া কি মাহুয়াকে পছন্দ করে।
ফারহান,,,,,,,,,, দেখে কি মনে হচ্ছে।
রিমি,,,,,,,,, হাত ধরে হাঁটছে তারমানে ভালোবাসে।
ফারহান ও রিমির হাত ধরে, রিমি দাঁড়িয়ে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, দাঁড়িয়ে গেলি যে, চল।
রিমি আবার হাঁটা শুরু করে।
রিমি,,,,,,,,, হাতটা ছাড়ুন, আরাব ভাইয়া পিছনে আছে, দেখলে কি ভাববে।
ফারহান,,,,,,,, ভাববে আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। আর এটা তো মিথ্যা না। আমি আমার মনে কথা বলে দিয়েছি, এখন শুধু তোর বলার পালা। তুই সময় নে কোনো সমস্যা নেয় কিন্তু উত্তরটা জেনো হ্যাঁ হয়। আচ্ছা শুন আরেকটা কথা।
রিমি,,,,,,,, কি।
ফারহান,,,,,,,,, এই রাতে সাদা ড্রেসে তোকে অনেক সুন্দর লাগছে।
রিমি,,,,,,,, ও
ফারহান,,,,,,,, আরেকটা কথা।
রিমি,,,,,,,, কি।
ফারহান,,,,,,,,, না, কিছু না। শুধু ভালো লাগছে।
,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,, ফারহান আর রিমি কি,,
আরাব,,,,,,,,, ফারহান রিমিকে ভালোবাসে।
মুন,,,,,,,, আর রিমি।
আরাব,,,,,,,, ঠিক জানি না।
মুন,,,,,,,, রিমিও ফারহানকে খুব ভালোবাসে।
,,,,,,,, তুমি কিভাবে বুঝলে।
,,,,,,,, আরে দেখো না, রাইসা আসলেই রিমি কেমন জ্বলে উঠে, আর ভালো না বাসলে এভাবে হাত ধরতে দিতো নাকি।
,,,,,,,,,, ভালো,, আমার দু বন্ধুর প্রেম কাহিনি শুরু হয়ে গেছে।
,,,,,,,, আচ্ছা আপনি কাওকে ভালোবাসেন। (আরাবের মুখের দিকে তাকিয়ে)
আরাব ও মুনের দিকে এক ব্রু উঠিয়ে তাকায়। মুন সাথে সাথে সামনে ফিরে যায়।
মুন,,,,,,,,(মুন তুই ও না,, যদি ও কাওকে ভালোবাসতো তাহলে কি তোকে বিয়ে করতো)
আরাব,,,,,,,,,, এখন কাওকে বাসি না, বিয়ের পর বউকে বাসবো।
মুন,,,,,,,, গুড৷ এটাই উচিত,,,,,,, হেহহহ কিহহ(আরাবের দিকে তাকিয়ে)
আরাব,,,,,,,,,, ভেবেছিলাম বিয়ে পড় বউকে ভালোবাসবো, কিন্তু (হতাশা পূর্ণ একটা নিশ্বাস ফেলে)
মুন,,,,,,,,,,,,(মানে কি উনার আমাকে কি ভালোবাসা যায় না নাকি হুহহ)
দুজনে হাঁটছে, কেও কারো সাথে কথ বলছে না, কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করছে।
রাত দুটোর দিকে সবাই গিয়ে শুয়ে পড়ে।
খুব সকালে রিমি উঠে পড়ে, মুন আর মাহুয়াকেও উঠিয়ে দেয়।
মুন,,,,,,,,,, কি হলো এতো সকালে কেনো উঠিয়ে দিয়েছিস।।
রিমি,,,,,,,,, আরে এখন সমুদ্র পাড়ে যাবো, আর অনেক ঝিনুক কুড়াবো। কি ভালো লাগবে।
মাহুয়া,,,,,,,, ঠিক বলেছো, এমনিতেও আজ রাতে রওনা দিতে হবে।
মুন,,,,,,, চলো সবাই রেডি হও তাহলে।
তিনজনে রেডি হয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,,, মাহুয়া এটা কি পড়েছে৷
মাহুয়া,,,,,,,,,, আমার প্যান্ট, শার্ট, গেলজি বেশি ভালো লাগে।
মুন,,,,,,,, ঠিক এটা পড়েই থাকো, আমি এর মধ্যে একটু চেঞ্জ করে দিচ্ছি। রিমি তোর নীল স্কাটটা দে তো।
মুন নীল স্কাটটা মাহুয়াকে পড়িয়ে দেয়।
মাহুয়া,,,,,, একি আমাকে লেহেঙ্গা পড়াচ্ছো কেনো।
রিমি,,,,,, এটা লেহেঙ্গা না, স্কাট, লেহেঙ্গার ছোট ভাই। কোমড়ে একদম পার্ফেট লেগেছে।
মাহুয়া একটা সাদা গেনজি পড়েছে, এর উপর দিয়ে মুন নীল ওড়না প্যাচিয়ে দেয়।
রিমি,,,,,,, এরেকটু বাকি আছে।
রিমি গিয়ে মাহুয়াকে গানের দুল পড়িয়ে দেয়, আর লিপস্টিক আর সুন্দর করে আইলেনার আর কাজল লাগিয়ে দেয়।
মুন,,,,,,,,, ওয়াও আজ সবাই তাক লেগে যাবে।
মাহুয়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,,, আমাকে কেমন অদ্ভুত লাগছে।
রিমি,,,,,, কি বলে,, অনেক সুন্দর লাগছে। চলো চলো।
মাহুয়ার নিজের কাছে অনেক অদ্ভুত লাগছে। সবাই মাহুয়াকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে। কারন প্রথম মেয়ের পোশাকে দেখছে।
রিমান তার চুল ঠিক করতে করতে আসছে, মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে হা করে আছে। চোখ এদিক ও যাচ্ছে না ঐ দিক ও যাচ্ছে না।
রিমি,,,,,,, ভাইয়া কেমন লাগছে বল।
রিমানের মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে শুধু মাথা নাড়াচ্ছে। এ প্রথম মনে হয় মাহুয়ার লজ্জা লাগছে।
আরাব গিয়ে রিমানকে একটা জোরে ঝাকি দেয়। ঝাঁকি খেয়ে রিমানের হুশ ফিরে।
আরাব,,,,,,,,, মুখ বন্ধ কর, না হলে মশা ডুকবে।
রিমান,,,,,,,, আমি কি স্বপ্ন দেখছি, এটা কি করে হয়েছে।
মুন,,,,,,,, আমার আর রিমির জাদু। হয়েছে এবার সবাই নাস্তা করে তাড়াতাড়ি চলো।
সবাই খেতে বসে, মাহুয়া ঠিক মতো খেতে পারছে না, রিমান খাবার খেতে বসে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,,(রিমান এমন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো, এভাবে তাকালে খাবো কি করে)
মাহুয়া অনেক কষ্ট একটু খায়। সবাই সমুদ্র তীরে পৌঁছে, অনেক ঝিনুক দেখে লাফা লাফি করে কুড়াতে থাকে। মাহুয়া দাড়িয়ে আছে। রিমান একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
মাহুয়া রিমানের দিকে তাকিয়ে, তার স্কাটটা একটু উপরে তুলে পায়ের দিকে ইশারা করে। রিমান মাহুয়ার পায়ের দিকে তাকিয়ে মুশকি হাসে। কারন মাহুয়া রিমানের দেওয়া পায়েলটা পড়েছে।
রিমি ঝিনুক নিয়ে সব ফারহানের হাতে জমা করছে।
ফারহান,,,,,,,, কি করছিস, হয়েছে তো আর কতো। এতো লাফালাফি করতে পারে মেয়েটা।
মুন অনেক গুলো ঝিনুক কুড়িয়েছে,কিন্তু রাখবে কোথায় ভেবে পাচ্ছে না, কারন সে তার সাথে কোনো ব্যাগ আনেনি। মুন এগুলো হাতে নিয়ে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখে আরাবের ব্যাগ একটু দূরে রাখা, আশেপাশে আরাব নেয়। সে তাড়াতাড়ি গিয়ে লুকিয়ে ঝিনুক গুলো আরাবের ব্যাগে রেখে দেয়।
রিমান,,,,,,,, আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। দাঁড়াও তোমার কয়েকটা পিক তুলে নিয়, তোমার বাবা দেখলে অনেক খুশি হবে।
রিমান তাড়াতাড়ি মোবাইল বের করে মাহুয়ার কিছু ছবি তুলে নেয়।
মাহুয়া,,,,,,, তোমার ড্রিম গার্লের মতো লাগছে বুঝি।
রিমান,,,,,,,, আমার ড্রিন গার্ল সব সময় তো তুমিই ছিলে। শুধু সেই স্বপ্নটাকে নতুন সাজে দেখছি।
মাহুয়া,,,,,,,, জানি না কেমন লাগছে,,, তবে না জানি কেনো আমার না সমুদ্র কিনারে দৌড়াতে ইচ্ছে করছে।
রিমান,,,,,,, ঠিক আছে তুমি দৌড়াও, আমি তোমাকে ধরছি।
মাহুয়া,,,,,,,, সত্যি
রিমান,,,,,,, হুমমম।
মাহুয়া,,,,,, আমার সব পাগলামো ইচ্ছে মানার কোনো দরকার নেয়।
রিমান,,,,,,,,, আমার মানতে ভালো লাগে।
মাহুয়া,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে ধরেন।
মাহুয়া দৌড়াতে শুরু করে, রিমান তার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছে।
মুন,,,,,,,,, ওরা এমন দৌড়াচ্ছে কেনো।
আরাব,,,,,,,, হয়তো দেখছে কে কার থেকে বেশি দৌড়াতে পাড়ে।
মুন,,,,,,,, ওও,,, আমিও অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারি।
আরাব,,,,,,,,,, আমার থেকে দ্রুত হতেই পারে না।
মুন,,,,,,,, হুহহহ আমি দৌড় শুরু করলে আর ধরতে পারবেন না।
,,,,,,, তোমাকে ধরা আমার এক সেকেন্ডের ব্যাপার।
,,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে ধরে দেখান, দেখি।
,,,,,,,,, চেলেন্স করছো,, ঠিক আছে আমি রেডি।
মুন দৌড় শুরু করে, আরাব ধরার চেষ্টা করছে। বার বার হাত ফসকে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আরাব মুনের হাত টান দিয়ে নিজের দিকে টানে। আর মুন পড়ে যেতে নেয় আরাব মুনকে জরিয়ে ধরে। পড়ে দুজনি গড়াগড়ি খেয়ে পড়ে যায়।
মুন আরাবের দিকে তাকায়, আরাব মুনের দিকে। সবার হাসির আওয়াজ শুনে, দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে বসে। কিছু ক্ষন পর আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে হাসছে।
মুন,,,,,,,,, কি হলো হাসছেন কেনো।
আরাব,,,,,,, তোমার মুখে ভিজা বালু লেগে আছে।
মুন বালু উঠিয়ে আরাবের দিকে ছুড়ে মারে।
আরাব,,,,,,,,,, আরে।
আরাব ও ভিজা বালু উঠিয়ে মুনের দিকে ছুরে দেয়। দুজন এমন করেই একজন আরেক জনের উপর বালি ছুড়তে ছুড়তে জামা কাপড় সব মাখিয়ে ফেলে।
আস্তে আস্তে সমুদ্রে মানুষের ভীর বাড়তে থাকে। রিমি আর ফারহান স্প্রিড বাইকে উঠে সমুদ্রে অনেক ক্ষন ভ্রমণ করে তীরে এসে নামে।
তখনি আগমন হয় রাইসার।
রাইসা,,,,,,,, ফারহান আজ আমি তাড়াতাড়ি চলে এসেছি, আজ চলো না আমাকে স্প্রিড বাইকে ঘুড়াবে।
রিমি,,,,,, আবার এসে গেছে,,ফারহান না করে দাও।
রাইসা,,,,,,,, তুমি বলার কে হুমম।
রিমি,,,,,,,, ফারহান কেনো যাবে হুমম।
রাইসা,,,,,,,, ফারহান আমি তোমাকে ভালোবাসি,,, তুমি কি আমাকে পছন্দ করো না।
ফারহান,,,,,,,,, মানে
রিমি,,,,,,, কি মানে মানে করছেন, সোজা বলে দিন পছন্দ করেন না।
রাইসা,,,,,,,, ফারহান বলো পছন্দ করো না আমায়(ফারহানের হাত ধরে)
রিমি জোরে ফারহানের হাত ছাড়িয়ে নেয়।
রিমি,,,,,,,, খবরদার যদি ওকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছে তো। ফারহান শুধু আমাকে ভালোবাসে শুধু আমাকে। ফারহানের আশেপাশেও যদি দেখিনা তাহলে তোর ১২ টার খবর বাজিয়ে দিবো। he is only mine. Do you understand.. আর ফারহান আপনাকে বলছি, যদি আপনার চোখ আমাকে ছাড়া যদি অন্য কোথাও যায় না তাহলে এই চোখ আমি উঠিয়ে ফেলবো বলে দিলাম। you are only mine.. আপনি শুধু এই রিমির কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে রাখুন,, চলেন এখান থেকে এখন। (রাগে)
একটানে কথা গুলো বলে ফারহানের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। ফারহান শুধু রিমির দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলো।
রিমান,,,,,,,, কিরে এতো রাগে কোথায় যাস।
রিমি,,,,,,, জাহান্নামে,, যাবি আমার সাথে।
রিমান,,,,,,, আমি তো জান্নাতে যাওয়ার জন্য হয়েছি। আচ্ছা ঐদিকে চল,, একটা ছোট দুতলা জাহাজে উঠে সমুদ্র দেখবো।
ফারহান,,,,,,, তুই যা আমরা আসছি।
রিমান,,,,,,, আরে চলতো।
দুজনকে টেনে নিয়ে যায়। সবাই মিলে জাহাজে উঠে। আরো অনেকে উঠে। জাহাজ যাওয়া শুরু করে দেয়। সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। রিমির রাগ এখনো কমে নি। আর সবাই সাথে তাকায় ফারহান কিছু বলতেও পারছে না।
জাহাজ সমুদ্রের মাঝখানে থামে, সবাই নিচে, রিমির ভালো লাগছে না, তাই সে উপরের তলায় উঠে যায়। উপরে উঠে নিচের দিকে তাকিয়ে একা একা বকবক করছে।
হঠাৎ রিমিকে কে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। রিমি সমুদ্রে পড়ে যায়৷ রিমি লাফালাফি করছে বাঁচার জন্য, কারন রিমি সাতার পারে না। উপর থেকে এটা রাইসা দেখে হাসছে।
রাইসা,,,,,,, আমাকে ধাক্কা দিয়েছিলে না, এবার মর। তোর কোনো অস্থিতই থাকবে না। সমুদ্রে হাড়িয়ে যাবি।
রিমি, অনেক ক্ষন হাত পা নাড়াচ্ছে, জাহাজের শব্দের কারনে কিছু শুনা যাচ্ছে না। রিমির চোখ বন্ধ হয়ে আসে, আর সমুদ্রে তলিয়ে যেতে থাকে।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।