#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part..30
#Maishara_Jahan
,,,,,,,,খবরদার আমার কাছে এসেছেন তো।
,,,,,,,,, সামনে মধু রেখে মৌমাছি খালি মুখে চলে যাবে এটা কোনো দিন সম্ভব বলো।(শয়তানি হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,,খবরদার আমার কাছে আসলে ভালো হবে না।
,,,,,,,,, কিন্তু আমার জন্য অনেক ভালো হবে। আজকে তুমি আমার বিছানার রানী।
,,,,,,,,,, আমার কোনো ক্ষতি করলে না, আমার ভাইয়ারা আর ফারহান তোকে ছাড়বে না। এমন মার মারবে না যে উঠে বসতে পারবি না।
,,,,,,,,, (হেসে) আমাকে পেলে তো, তোমার ভায়েরা আমাকে খুঁজে বের করতে করতে, আমি আমার কাজ করে, রিধি,মুন,মাহুয়াকে মেরে এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাবো।
,,,,,,,,,,,, পৃথিবীর বাহিরে তো যেতে পারবে না। যেখানেই থাকো খুঁজে বের করে মেরে ফেলবে।
,,,,,,,,, সে দেখা যাবে,,,এখন এতো কথা ভালো লাগছে না। কাম বেবি।
অনি রিমির দিকে এগোতে থাকে, রিমি পিছনে যেতে থাকে৷
,,,,,,, খ খ খবরদার আমার দিকে এগোলে ভালো হবে না বলেদিলাম। বাঁচাওওওও আআ বাঁচাওওওওও ( কান্না জোরে চিৎকার করে)
,,,,,,,,,,,,, কোনো লাভ নেয় বেবি, কেও বাঁচাতে আসবে না।
রিমি পিছাতে পিছাতে বিছানায় পড়ে যায়। অনি রিমির উপরে উঠে বসে। রিমির সাথে জোরা জোরি করার চেষ্টা করে, রিমি তার হাত দিয়ে অনিকে আটকানোর চেষ্টা করছে।
তখনি একজন জোরে জোরে দরজা ধাক্কাচ্ছে। অনি অতিষ্ঠ হয়ে দরজা খুলে তার লোককে একটা গুষি দেয়। রিমির বিচানার এক কোনায় কাচুমাচু হয়ে বসে কান্না করতে থাকে।
,,,,,,,,,,, দেখছিস একটা জরুরি কাজ করছি তাও এতো বিরক্ত কেনো করছিস।
,,,,,,,, বস, আপনি যে মেয়েকে উঠিয়ে আনতে বলেছিলেন তাকে উঠিয়ে তো এনেছি কিন্তু।
,,,,,,,,,কিন্তু কি।
,,,,,,,,, বস সে উঠে সবাইকে মারা শুরু করে দিয়েছে।
,,,,,,,,,, লজ্জা করে না, একটা মেয়েকে সামলাতে পারো না। (রিমিকে উদ্দেশ্য করে বলে) বেবি আমি এখনি আসছি।
অনি বাহিরে দিয়ে দরজা আটকিয়ে চলে যায়। গিয়ে দেখে মাহুয়া সবাইকে ইচ্ছে মতো মারছে। মাহুয়ার মার দেখে অনি হা করে থাকে।
,,,,,,,,,,, এখানে মারামারি হচ্ছে আর বাহিরে লোক দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। যা গিয়ে বল ভিতরে এসে এই মেয়েকে সামলাতে।
দু মিনিট পড়েই আরো আট নয় জন লোক আসে। মাহুয়া মারামারি করছে পিছন থেকে দুটো লোক এসে মাহুয়ার হাতে ধরে। তার পর সবাই মিলে মাহুয়াকে চেপে ধরে। মাহুয়া ছটফট করছে কিন্তু ছুটতে পারছে না। তখন অনি আসে।
অনি,,,,,,,,, ইশশ মেয়ে তো নয় যেনো আগুনের গোলা। তোমার ফাইট দেখে আমি শিহরিত। আমি এটা বুঝলাম না রিমান,আরাব আর ফারহান এতো সুন্দর মেয়ে পেলো কোথায়।
,,,,,,,,,,, হাতটা ছুটাতে পারলে সবার আগে তোকে মারবো।
,,,,,,,,, আমি সামনে দাঁড়িয়ে আছি, মারো আমাকে মারো।
মাহুয়া রাগে পা দিয়ে অনিয়ে লাথি। অনি অনেকটা পিছিয়ে যায়।তারপর অনি রাগে এসে মাহুয়ার মুখে গুষি মারে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, ভিতু কোথাকার একটা মেয়ের সাথে পারে না। একটা মেয়েকে আটকাতে এতো গুলো লোক লাগে, তোর মধ্যে দেখি পুরুষত্ব নেয়।
অনি এগুলো শুনে রাতে মাহুয়াকে আরো করেকটা জোরে গুষি মারে। মাহুয়ার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
অনি,,,,,,,,,, মেয়েদের এতো কথা বলা ভালো না। এরেকটা কথা বললে না এখানেই মেরে দিবো।
রাইসা,,,,,,,,,, মেরে তো দিবো। সবাইকে মেরে পড়ে যাবো এখান থেকে। রিধি কোথায়।
অনি,,,,,,,,,,, ঐ রুমে (পিছনের রুমের দিকে ইশারা করে)
রাইসার নজর মাহুয়ার হাতের ঘড়ির দিকে যায়। রাইসা তাড়াতাড়ি মাহুয়ার হাত থেকে ঘড়িটা খুলে নেয়।
অনি,,,,,,,,, এতে তো ট্রেকার লাগানো আছে। তাড়াতাড়ি এখান থেকে যেতে হবে।
আরাব,,,,,,,, কোনো লাভ নেয় আমরা এসে গেছি।
তিন জনকে দেখে সবাই তাদের উপর হামলা করা শুরু করে। তিনজন মারামারি করা শুরু করে। রিমান দেখে মাহুয়াকে আটকে রেখেছে, রিমান গিয়ে দুজকে মেরে মাহুয়াকে ছুটায়। মাহুয়ার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে রিমান মাহুয়াকে ধরে তার নাকের রক্ত মুছে দিয়ে, রাগে সবাইকে পিটাতে থাকে।
অনিকে হাতে পেয়ে ইচ্ছে মতো পিটাতে থাকে, মাহুয়া রিমানকে গিয়ে থাময়।
মাহুয়া,,,,,,, তুমি রিমিকে খুঁজো উপড়ে সামনের রুমে আছে হয়তো, যাও দেখো আমি একে দেখে নিবো, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিবো।
রিমান,,,,,,, ঠিক আছে আমি যাচ্ছি।
রিমান উপরে যায়। মাহুয়াও মারামারি করতে থাকে।
আরাব,,,,,,,,,মুন কোথায়।
মাহুয়া,,,,,,,, পিছনের রুমে।
আরাব,,,,,,,ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি, তুমি আর ফারহান সামলাও।
ফারহান,,,,,,,,, আমরা আছিই তো এই জন্য। আমার জায়গা রিমান গেছে শয়তান (অন্য জনকে মারতে মারতে)
আরাব,,,,,,,,, তাহলে আমার জায়গা তুই যা, যা যা।
ফারহান,,,,,,,, থাক লাগবো না।
আরাব,,,,,,,, হিংসামি করার টাইম পায় না আর।
আরাব মুনকে খুঁজতে যায়। রিমান উপরে গিয়ে সব গুলো দরজা খুলে খুলে চেক করে। আরেকটা রুম খুলে মাথাটা ঢুকাতেই রিমি ফুলের টপ দিয়ে দেয় একটা বারি মাথায়।
রিমান,,,,,,,,, আম্মা,,,,,, এখানে ফারহানকে পাঠালে ভালো হতো। (মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
রিমি রিমানকে দেখে জরিয়ে ধরে কান্না করেতে থাকে। রিমান রিমির কান্না দেখে পাগল হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, রিমি কি হয়ছে,, অনি কি তোর সাথে কিছু করেছে,, বল আমাকে।
রিমি,,,,,,,,,, এএআআআ না, তবে করতে চেয়েছিলো। আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছি। ঐ অনি আমার উপর জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে, পড়ে কে জেনো এসে ডাক দিয়েছে, পড়ে চলে যায়। (কান্না করে)
রিমান,,,,,,,,, কান্না থামা,, এখনি আমি হার্ট অ্যাটাক করলাম হলে। চল নিচে ঐ অনিকে আমি আর রাখবো না।
রিমান প্রচন্ড রাগে রিমির হাত ধরে নিচে নিয়ে যায়। ফারহান অনির সাথে মারামারি করছে। রিমান সোজা গিয়ে অনিকে ধরে একা ধারে ঘুষি দিতে থাকে। আর বলতে থাকে,,,,,,,, তোর সাহস কি করে হলো আমার বোনের সাথে এমন করার। তোকে আজ মেরেই ফেলবো।
ফারহান,,,,,,,,, ও রিমির সাথে কি করেছে (ভয় পেয়ে)
রিমান অনিকে মেরেই যাচ্ছে, ফারহান বার বার জিজ্ঞেস করছে কিন্তু সে দিকে তার কোনো খেয়াল নেয়। পড়ে ফারহান রাগে রিমানে ধরে ঘুষি মারে।
রিমান,,,,,,,,, ঐ কি হয়ছেটা কি তোর।
ফারহান,,,,,,,,, কখন থেকে জিজ্ঞেস করছি,, ও কি করেছে রিমির সাথে।
রিমান,,,,,,,, রিমির সাথে জোরা জোরি করার চেষ্টা করেছে।
ফারহান,,,,,,,,, তুই যেভাবে বলছিলি এখনি আমি হার্ট অ্যাটাক করতাম। (বুকে হাত দিয়ে) শালা তোর সাহস কি করে হলো রিমির সাথে এমন কিছু করার।
বলে উড়া দুড়া মার শুরু।
আরাব মুনকে যে রুমে আটকে রেখেছে সেখানে যায়। গিয়ে দেখে মুন বাঁধা অবস্থায় চেয়ার সহ নিচে পড়ে কাচুমাচু করছে ছুটার জন্য। রিধি অসহায় ভাবে মুনকে দেখছে।
আরাব,,,,,,,,, এই মেয়েটার শরীরে শান্তি নেয়, এই অবস্থাও বলে কেও এতো ছটফট করে।
মুন,,,,,,,,,, কে আরাব নাকি, আরাবের কন্ঠ (আরাবের দিকে ফিরার চেষ্টা করে।
রিধি,,,,,,,,,, দোস্ত তোরা এসেছিস,, তাড়াতাড়ি খুল।
আরাব এসে মুনকে ধরে সোজা করে। মুন সব গুলো দাঁত বের করে হেঁসে দেয়। আরাব তার দুটো হাত মুনের গালে রেখে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,,,,,ওরা তোমাকে মারেনি তো।
মুন,,,,,,,,, আরে না, ওদের সাহস আছে আমাকে মারার। শুধু হাত দুটো একটু ব্যাথা করছে। অনেক শক্ত করে বেঁধেছে।
আরাব তাড়াতাড়ি হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে মুনের হাত ধরে ভালো করে দেখতে থাকে। মুনের হাত লাল হয়ে গেছে।
রিধি,,,,,,,,,,, ঐই আমিও এখানে আছি। আগে আমাকে খুল।
মুন,,,,,,,,,,(হিংসুটে হুহহহহ)
আরাব গিয়ে মুনের বাঁধন খুলে দেয়। রিধি ছাড়া পেয়ে একটা টানা দেয় আর বলে,,,,,,চল বাহিরে গিয়ে দেখি কি অবস্থা।
আরাব,,,,,,, হুমম চল। মুন চলো।
আরাব বাহিরে গিয়ে দেখে সবাই হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,,, কিরে তোরা হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।
ফারহান পেছনের দিকে ইশারা করে, কিন্তু আরাব বুঝতে পারে না।
আরাব,,,,,,,,, এমন করছিস কেনো কি হয়েছে বল।
রিমান ও আরাবকে ইশারা করে, কিন্তু সে কিছু বুঝতে পারেনা। সবাই তাকে ইশারা করে কিন্তু বুঝতে পারে না।
আরাব,,,,,,,, কি সবাইকে মেরে ভর্তা বানিয়ে ফেলেছিস তো।
রিমান,,,,,,,,, আরে ভাই তোর চোখের মারবেল দুটো একটু পিছন দিকে ঘুরা (রেগে গিয়ে)
আরাব পিছনে তাকিয়ে দেখে রাইসা রিমির মাথায় বন্ধুক রেখে দাঁড়িয়ে আছে আর তার পাশে অনি দাঁড়িয়ে আছে।
অনি,,,,,,, কোনো চালাকি করলে, রিমি আর থাকবে না।
রাইসা,,,,,,,, আর তোমরা ভালো করে জানো, ওকে মারতে আমার হাত কাঁপবে না।
রিমান,,,,,,,,, রিমির কিছু হলে এখান থেকে বেঁচে যেতে পারবে না।
ফারহান,,,,,,,,,,, রাইসা তুমি আমার সাথে কথা বলো রিমিকে ছেড়ে দাও।
আরাব,,,,,,,,,, এখান থেকে বেঁচে তোরা যেতে পারবি না৷ তাই ভালোই ভালোই হার মেনে যা৷
অনি,,,,,,,,,, এতো সহজে না,,, তোদের সবার মা বাবার পিছনে আমি লোক লাগিয়েছি, যারা আমার এক ইশারায় তাদের সবাইকে মেরে ফেলবে।
ফারহান,,,,,,,,, এটা বলেই তো তুই রিমিকে ভয় দেখিয়েছিস।
রাইসা,,,,,,,,, শুধু ভয় দেখায়নি, এটাই সত্যি।
আরাব,,,,,,,,,, হেহহ তোদের সেই লোকদের কবে মেরে সর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি।
অনি,,,,,,,হোয়াট।
রিমান,,,,,,,,, ইয়েস,,,,বিশ্বাস না হলে ফোন করে তো দেখ।
রাইসা,,,,,,,,, ঠিক আছে, তাহলে আমি রিমিকে আর তোদের সবাইকে মেরে দিবো।
ফারহান,,,,,,,, নো,, তোমার আমাকে চাই তাই না,, ওকে আমরা এ বিষয়ে কথা বলবো।
রিমি,,,,,,,,,,, কিসের কথা, কোনো কথা নেয়। তুমি শুধু আমার। আর কারো না, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আর অন্য কাওকে দেখতে পারবো না তোমার পাশে।
ফারহান,,,,,,,, কি কি আবার বল,, তুই আমাকে,,
রিমি,,,,,,,,,, ভালোবাসি,, আই লাভ ইউ।
ফারহান,,,,,,,,,, ইশশশ কতো দিন হলো এটা শুনার জন্য আমার মন আকুল হয়ে ছিলো, আবার বল না।
সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,, ও রোমিও এটা কোনো সময় হলো রোমান্স করার। আর রিমি আই লাভ ইউ উলা ঘরের উলা, তোর মাথায় যে বন্ধুক ঠেকানো সেটা খেয়াল করছস।
রাইসা,,,,,,,,,,,,, বা অনেক ভালোবাসা দেখি, মাথার ভিতরে গুলি ঢুকলে বুঝতে পারবে। ভালোবাসা কতোটা গভীর।
মুন,,,,,,,,,, ঐ দেখো কি (জোরে, রাইসার পিছনের দিকে ইশারা করে)
রাইসা পিছনে তাকায় আর মাহুয়া লাথি দিয়ে বন্ধুক ফেলে দেয়। আরাব গিয়ে বন্ধুক ধরে ফেলে।
রিমান,,,,,,,,, সাব্বাশ বাপের বেটি।
মাহুয়া গিয়ে রাইসাকে কয়েকটা থাপ্পড় মারে। এতেই রাইসা মাটিতে পড়ে যায়। অনি তো এমনি আধ মরা।
কিছু ক্ষন পর পুলিশ আসে। সবাইকে এরেস্ট করে।
রিমান,,,,,,,, মানুষ ঠিকি বলে পুলিশ কোনো দিন টাইম মতো আসে না।
সবাইকে ধরে নিয়ে যেতে থাকে, আরাব রাইসা আর অনিকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,,,,, চিন্তা করো না, এবার এমন ব্যবস্তা করবো যে জেল থেকে আর জেলের বাহিরে থেকে কাওকে দিয়ে কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
ওদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পড়ে সবাই দুম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। একটু শান্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
রিমান,,,,,,,, হয়ছে সবাই এবার চলো, এখানে কেও বিরানি দিবে না যে, এভাবে দাঁড়িয়ে আছো।
রিমি,,,,,,,,,,, এখন আমার বিরানি খেতে ইচ্ছে করছে।
রিমান,,,,,,,,,, দেখ কি ছুছা, শুধু নাম নিলাম তাতেই ছুছির মুখে পানি পড়ছে।
রিমি,,,,,,,,, চুপ থাক।
মাহুয়া,,,,,,, চলো সবাই আগে।
সবাই বাড়িতে পৌঁছায়। সবাই একটু শান্তিতে বসে।
আরাব,,,,,,,, তোরা সবাই বস, আমি যায়, আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। চলো মুন।
মুন,,,,,,, হুমম।
মুন আর আরাব চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,, আমি আর রিমি যায়, তুই আর মাহুয়া আলাদা কথা বলবি, আমরা থাকলে ডিস্টার্ব হবে।
রিমান,,,,,,,,, কার ডিস্টাব হবে বুঝা যাচ্ছে। এটা বল তোরা আলাদা কথা বলবি। যা এখান থেকে।
ফারহান,,,,,,,,,, এই জন্য কারো ভালো করতে নেয়।চলো রিমি।
ফারহান আর রিমি চলে যায়। রিমান উঠে গিয়ে ঔষধের বক্স নিয়ে আসে। মাহুয়ার সামনে বসে। একটা কটমবারে ঔষধ লাগিয়ে মাহুয়ার থুতনিতে ধরে নাকের ভিতরের রক্ত মুছতে থাকে। মাহুয়া ব্যাথায় এক চোখ বন্ধ করে দেয়।
রিমান,,,,,,,,, বেশি ব্যাথা লাগছে।
মাহিয়া,,,,,,,,,, না, হালকা হালকা।
,,,,,,,,, সরি আমার আসতে একটি দেড়ি হয়ে গেছে। (মন খারাপ করে)
,,,,,,,,,, আরে আমার এতো ব্যাথা লাগেনি। আর ভালো হয়েছে তুমি লেইট করে এসেছো, এই জন্যই তো আমার এতো দিনের শক পূরণ হয়েছে।
,,,,,,,, কি শখ।
,,,,,, এই যে আমার কিটনাপ হবে তারপর আমি তাদের সাথে ফাইট করবো।
,,,,,,,,,,, তোমাকে সামলানোর শক্তি যাতে দেয় আমাকে আল্লাহ। যেমন তুমি তেমন তোমার শখ।
,,,,,,,,,, এটা তো ভালো শখ,, সত্যি মারামারি করে এখন শান্তি লাগছে৷
,,,,,,,,, হুমম একটা কথা শুনো কালকে ফারহান আর রিমির বিয়ের কথা বলে, আমরা যাবো তোমার বাবাই এর কাছে তোমাকে নিজের করে নিতে।
,,,,,,,,,, সত্যি (খুশি হয়ে)
,,,,,,,,,হুমমম সত্যি।
মাহুয়া খুশিতে রিমানকে জরিয়ে ধরে সোফায় শুয়ে পড়ে। রিমান ও মাহুয়াকে জরিয়ে ধরে।
রিমান,,,,,,,, খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে আমি নিজের করে নিবো।
মাহুয়া মাথাটা উঠিয়ে বলে,,,,,,,,,,, আমি তো তোমারি।
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে মুশকি হাসে,, তারপর মাহুয়ার কমরে ধরে নিজের দিকে টেনে ঠোঁটে কিস করতে থাকে।
,,,,,,,
মুন গোসল করে বের হয়, মাথার চুল দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। চুল মুছতে মুছতে আসে, আরাব মুনকে ধরে বিছানায় বসিয়ে দেয়।
মুন,,,,,,,,,,, কি হলো।
আরাব একটা মলম এনে মুনের হাতে লাগিয়ে দিতে থাকে৷ মুন আরাবকে দেখছে, তার অজানতেই তার ঠোঁটে হাসি চলে আসে।
মুন,,,,,,,,, আমার এতো টাও লাগেনি।
আরাব,,,,,,,,,, হাত দুটো লাল হয়ে গেছে, লাগেনি মানে।
,,,,,,,,,, শুধু আমার হাত না রিধির হাত ও লাল হয়ে গেছে, সেওতো বাঁধা অবস্থায় ছিলো। তাকে লাগাবেন না।
,,,,,,,,,, তুমি ঠিক বলেছো, আমি এখনি লাগিয়ে দিয়ে আসছি।
এটা বলে আরাব উঠে মুন বসে থেকে আরাবের টিশার্টের এক কোনা ধরে। আরাব মুনের দিকে তাকায়।
,,,,,,,,, কি হলো যেতে দিবে না আমাকে।
,,,,,,,,, না আপনি কোথাও যাবেন না। অন্য কাওকে মলম লাগাবেন না।
,,,,,,,,,, কেনো।
,,,,,,,,, কারন আমি দেখতে পারবো না। আচ্ছা আপনি কি রিধিকে ভালোবাসেন।
,,,,,,, হালকা হেসে,,,যদি বেসে থাকি তখন কি তোমার খারাপ লাগবে।
,,,,,,,,, হ্যাঁ অনেক লাগবে (কপাল কুঁচকিয়ে)
,,,,,,,,,, কেনো ভালোবাসো আমায়।
,,,,,,,,,,সেটা জানি না তবে এটা জানি আপনি আমাকে ভালোবাসেন না।
,,,,,,,,,,, আচ্ছা,, আমি তো বলি নি,, তুমি কিভাবে বুঝলে।
,,,,,,,, অনেক আগেই বুঝেছি, আমাদের যখন কে কি খায়িয়ে দিয়েছিলো, তখন আমাদের নিজেদের উপর কন্ট্রোল ছিলো না। কিন্তু আপনি অনেক কষ্ট করে হলেও আমার থেকে দূরে ছিলেন। তার মানে কি দাঁড়ায়।
,,,,,,,,,,, কি।
,,,,,,,,এটায় যে আপনি আমাকে এতোটা ঘৃণা করেন যে, আমার কাছে আসতে চান না ভুল করেও।
,,,,,,,,,, সব তো দেখি নিজের মতোই করে বানিয়ে ফেলেছো। তাহলে শুনো আমি তোমার কাছে এজন্য আসেনি, কারন আমি চাই না তুমি সকালে উঠে আফসোস করো। আমি তোমার ইচ্ছে ছাড়া কিছু করতে চায় না। তাই কষ্ট হলেও কন্ট্রোল করেছি। আর একটা কথা আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
মুন আরাবের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,,, তোমার কাছে থেকেও তোমার থেকে দূরে থাকা সত্যি খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল করে চাই না। বিশেষ করে এটা জেনে যে, তুমিও আমাকে ভালোবাসো।
,,,,,,,,এটা আমি কখন বললাম।
,,,,,,,তোমার চোখ বলে দিচ্ছে।
এটা বলে আরাব মুনের পাশে বসে, মুনের গালে তার দুটো হাত রেখে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। আরাব মুনকে কিস করতে থাকে। মুন বিছানায় শুয়ে পড়ে, আরাব মুনকে কিস করতে থাকে। তারপর আরাব তার মুখ মুনেট গলায় ডুবিয়ে দেয়। মুন আরাবকে খামছে ধরে।
মুন,,,,,,,,, আরাব আমি এখন রেডি নয়, এটার জন্য।
আরাব,,,,,,, সরি বাট আই কান্ট কন্ট্রোল। (মুনের গলায় কিস করতে করতে)
,,,,,,,,,,,
ফারহান রিমির রুমে গিয়ে বসে, রিমিকে টান দিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে দেয়।
,,,,,,,,,,, কি হচ্ছে, কেও দেখে ফেললে।
,,,,,,, I don’t care. তুই জানিস কতো দিন পড়ে মনে একটু শান্তি লাগছে। (রিমিকে শক্ত করে ধরে)
,,,,,,,,,৷ আস্তে আমার ব্যাথা লাগছে।
,,,,,,,,,লাগোক তোর ব্যাথা এতো দিন যখন আমাকে কষ্ট দিয়েছিস তার সয়ম।
,,,,,,,,, সরি (ফারহানের গলায় দুই হাত দিয়ে ধরে)
,,,,,,,, আর কোনো চান্স না, কালকেই বাবা মা দিয়ে তোমার বাসায়, তোর হাত চাইতে আসবো।
,,,,,,,,,,, সত্যি,, ইশশ কতো ভালো হবে, আমি তোমার সাথে থাকবো।
,,,,,,,, আমার সাথে থাকার দেখি অনেক ইচ্ছে তোর।
,,,,,,,,,,,, আবার জিজ্ঞায়।
,,,,,,,,,, একটু লজ্জাও করছে না এটা বলতে। (আমার কোলে বসে এাব কথা বলছিস)
,,,,,,,,,,সত্যি বলতে,,,,,,,,,,, একটু ও না।
ফারহান রিমির কমরে ধরে নিজের দিকে টান দেয় রিমি ফারহানের আরো কাছে চলে যায়। ফারহান তার মুখ রিমির গলার কাছে নিয়ে যায়। ফারহানে নিশ্বাস রিমির গলায় পড়ায় সে কেঁপে উঠে। ফারহান তার মুখ রিমির আরেকটু কাছে নিতেই রিমি উঠে অন্য দিকে দাঁড়ায়।
ফারহান উঠে রিমিকে নিজের দিকে ফিরায়, রিমি চোখ বন্ধ করে আছে। ফারহান তার মুখ রিমির কানের কাছে নিয়ে আস্তে আস্তে বলে,,,,,,, এটা কে লজ্জা বলে। যেটা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
ফারহান রিমির চোখে দুটো কিস করে চলে যায়।
ফারহান নিচে গিয়ে দেখে রিমান আর মাহুয়া রোবটের মতো সোফায় বসে আছে, এটা দেখে ফারহানের অনেক সন্দেহ হয়।
ফারহান,,,,,,,, এখানে কি কিছু হয়েছে, তোরা এভাবে বসে আছিস কেনো।
রিমান,,,,,,,, কি হবে কিছু হয়নি,,মুন যাও গিয়ে রিমির সাথে ঘুমিয়ে পড়ো।
মাহুয়া,,,,,,,,,,ঠিক আছে।
মাহুয়া তাড়াতাড়ি উপরে চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,, কিছু তো একটা হয়েছে। (সন্দেহর নজরে)
রিমান,,,,,,,, ও এসিপির ছোট ভাই, হয়তো আমার সাথে এসে শুয়ে পড় না হলে তোর বাসায় যা।
[খুব তাড়াতাড়ি এই গল্প শেষ করে দিবো]
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।