you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part..27

0
1740

you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part..27
#Maishara_Jahan

রিমি তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে,,,, (আমি জানি এটা অনি ছিলো না, ফারহান তোমার হাতে স্পর্শ আমার বড্ড চিনা, আংটিটা যে কে পড়িয়েছে সেটা আমি ভালো করে জানি) মুশকি মুশকি হেঁসে।

ফারহান,,,,,,,,, কাল হবে আসল খেলা।

আরাব,,,,,,,,,, একদম।

রিধি,,,,,,,,, এই আংটি কি এখনো পড়ে থাকা লাগবে।

রিমান,,,,,,,, না, চাইলে খুলে ফেলো যদি খুলতে মন চাই।

রিধি,,,,,,,, মন চাইবে না কেনো।

রিমান,,,,,,,,,, আচ্ছা রিধি তুমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলে অন্য জনের সাথে এনগেজমেন্ট করতে এর কি কোনো বিশেষ কারন৷

রিধি,,,,,,,,, নো,,,এটা কোনো ব্যাপার হলো। এসব আংটি বদল আমি মানি না। একটা আংটি বদল করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি কিভাবে দেয় আমি এটাই বুঝি না। সো একটা আংটি পড়ালে মহা ভারত অসুদ্ধ হবে।

রিমান,,,,,,,,, তোমাকে পেয়ে আমরা ধন্য৷ তুমি না থাকলে হালারা আমার হাতে জোর করে আংটি পড়াতো। তারপর কি হতো একটা ছেলের সাথে আমার এনগেজমেন্ট হয়ে যেতো। পরে আমি সবাইকে মুখ দেখাতাম কিভাবে। (অসহায় ভাবে)

আরাব,,,,,,,,,, বেশি কথা বললে রিমির বাসর ঘরে রিমির জায়গা তোকে বসিয়ে দিবো শারী পড়িয়ে।

ফারহান,,,,,,,,, কেনো আমার রাতটা নষ্ট করতে চাস। এক কাজ করিস রিমানের বাসর ঘরে অনিকে ডুকিয়ে দিস।

রিমান,,,,,,,,,, তাহলে অনিকে তো পিটাবো, পিটাবো সাথে তোদের কবর দিয়ে দিবো। না তার থেকে ভালো বুদ্ধি এক দুমাস এমন ব্যবস্থা করবো যাতে তোরা তোদের বউ এর সাথে দেখা করতে না পারিস।

ফারহান,,,,,,,, হেহহ বললেই হলো।

রিমান,,,,,,,,, তুই বললে আমি রিমির এমন ব্যবস্থা করবো যে এক দু মাস তার দেখায় পাবি না। শুধু বল করবো নাকি।

ফারহান,,,,,,,,, দূরর তুই কি বলিস,আমি জানি তোর দারা সব সম্ভব। আমি তোকে কতো ভালোবাসি।

অনি,,,,,,,,,, এখানে সবাই কি কথা হচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,, এইতো এই, সেই,ঐ কথা হচ্ছে।

অনির চোখ ফারহানের আঙুলের দিকে যায়।

অনি,,,,,,,, তোমার এই হাতে আংটি কোথা থেকে এলো।আগে তো ছিলো না।

সাথে সাথে রিধি তার হাত লুকিয়ে ফেলে আর অনিও দেখে ফেলে।

ফারহান,,,,,,,, আমার দিকে দেখি অনেক খেয়াল করো।

অনি,,,,,,,,,,, তুমি খেয়াল করার জিনিস তাই খেয়াল করি।

রিমান,,,,,,,,, অনি তোমার কি কোনো সমস্যা আছে নাকি৷ থাকলে আগে থেকে বলে দাও।

অনি,,,,,,,,, সমস্যা মানে।

রিমান,,,,,,,,, না মানে মেয়েদের ছেড়ে ছেলেদের দিকে খেয়াল করছো তাই বললাম।

অনি,,,,,,,,রিমান তুমি তো সব সময় বেশি বুঝো। আচ্ছা রিধি তুমি হাত লুকালে কেনো। দেখি তোমার হাতটা।

রিমান,,,,,,,,,যাক ভাবা আমি তো দেখি বলেও ভুল করলাম।থাক তুমি যে মেয়েদের পছন্দ করো সেটা আমাদের বুঝাতে রিধির হাত দেখতে হবে না। রিমির হাত দেখো গিয়ে।

এ কথা বলতেই ফারহান রিমানের কাঁধে হাত রেখে জোরে চাপ দেয়। আর রিমানের দিকে তাকিয়ে একটা বড় হাসি দেয়।

রিমান,,,,,,,,, না না আমার বোনের হাত ধরা যাবে না এখন, খবরদার যদি আমার বোনের হাত ধরো, বা দেখো তো।

অনি,,,,,,,,,, একদিন তোমার বোনের হাত ধরবো আর দেখবোও। এখন একটু রিধির হাতটা দেখি, রিমির মতো এনগেজমেন্ট আংটি দেখলাম মনে হলো।

রিধি,,,,,,,,,,,, হুমম তো কি হয়েছে। এই দেখো আংটি একদম রিমির মতো এখন কি করবে বলো হুমম (হাতটা বাড়িয়ে)

অনি,,,,,,,,,, তোমাদের আংটি একদম আমাদের মতো৷ আর হঠাৎ আবার তোমাদের দুজনের হাতে কোথা থেকে এলো।

রিধি,,,,,,,,, আমাদের দুজনের এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে।আমরা একা একা করে ফেলেছি, এখন বলেন আপনার কোনো সমস্যা (রাগ দেখিয়ে)

অনি,,,,,,,, না কোনো সমস্যাই নেয়।

ফারহান,,,,,,,,, আমরা একটু কথা বলবো তুমি একটু পড়ে আসো।

অনি,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি যাচ্ছি এখন, তোমরা কথা বলো।

অনি চলে যায়। সবাই বিরক্তি ভাবটা মুখ থেকে সরাই।অনি রিমির কাছে যায়। গিয়ে বলে,,,,,,,,,জানো আমার মনে হয় ফারহান আর রিধি দুজন দুজনকে বিয়ে করতে চাই।

রিমি,,,,,,,,,, হঠাৎ একথা মনে হলো কেনো।

অনি,,,,,,,,,, আরে ওরা নিজেরা বলেছি যে,ওরা নাকি নিজে নিজে এনগেজমেন্ট করে ফেলেছে।

রিমি,,,,,,,,,,,, ও

অনি,,,,,,,,,, শুধু ও,, তুমি অভাক হলে না।

রিমি,,,,,,,,,, হুমম অনেক অভাক হয়েছি। (গাধা)

বলে চলে যায়। অনি অভাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে৷ তারপর রাইসাকে দেখে, রাইসাকে ডাক দেয়।

রাইসা,,,,,,,,, কি হয়েছে।

অনি,,,,,,,,, আরে রিধি আর ফরহান দুজন দুজনকে পছন্দ করে। দুজন দুজনকে আংটি পড়িয়েছে।

রাইসা,,,,,,,,,,, যা মুখ দিয়ে আসে সেটাই বলিস না।

অনি,,,,,,,,,,, ওরা নিজে আমাকে বলেছে, বিশ্বাস না হলে ওদের হাতে এনগেজমেন্ট আংটি দেখে আয়।

রাইসা,,,,,,,,,,, যদি এমন হয় তাহলে সবার আগে রাইসাকে মরতে হবে। ফারহানের কাছে যে আসবে তাকে আমি ছাড়বো না। I kill him.(প্রচন্ড রাগে)

অনি,,,,,,,,,, এখন না পড়ে। এখন মাথা ঠান্ডা কর।
,,,,,,,,,

রিমি দেওয়ালে হেলান দিয়ে বারান্দা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে, ফারহান সেখানে আসে৷

ফারহান,,,,,,,,,,,,, কংগ্রাচুলেশনস, এনগেজমেন্ট হয়ে গেলো ।

রিমি,,,,,,,, ধন্যবাদ।

ফারহান,,,,,,,,, অনেক খুশি খুশি লাগছে।

রিমি,,,,,,,,,, লাগবেই তো আমার এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, কিছু দিন পরে অনির সাথে বিয়ে।

ফারহান রিমির দুবাহুতে চেপে ধরে। রিমি ভয় পেয়ে যায়।ফারহান রাগে বলে,,,,,,,,,,অনেক খুশি মনে হয় অনির সাথে বিয়ে হলে।

রিমি,,,,,,,,,, খুশিইতো। আমার পছন্দের ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে।

,,,,,,,,,, খুব পছন্দ তাই না অনিকে ঠিক আছে করাবো বিয়ে তোকে।

রিমি,,,,,,,,, কি তুমি আমাকে অনির সাথে বিয়ে করাবে।

,,,,,,,,,,,,, বিয়ে তো তোকে আমিই করবো৷ ভেবেছিলাম বিয়ের পর আদর করবো। কিন্তু দেখা যায় বিয়ের পর আগে তোকে মেরে ঠিক করতে হবে। তারপর আদর।

,,,,,,,,, কিহহহ তুমি আমাকে বিয়ের পর মারবে। মারতে পারবে আমাকে।

,,,,,,,,,, ও তার মানে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে আমাকে।

,,,,,,,,,, না আমি তো এমনি বললা।

,,,,,,,,,,,,,, শুধু শুধু নিজের কপালে দুঃখ টেনে আনিস। বিয়ের পর আমার প্রতেকটা চোখের পানির হিসাব আমি নিবো। (ডেবিল হাসি দিয়ে)

,,,,,,,, কেনো মারবেন নাকি আমাকে।

,,,,,,,,,, না মারবো না, তোমার সাথে অন্য ভাবে আমার হিসাব মিলাবো।

রিমান,,,,,,,,, কিসের হিসাব।

ফারহান তাড়াতাড়ি রিমির থেকে দূরে সরে গিয়ে বলে,,,,,,,,, ঐটা তুই বুঝবি না৷

রিমান,,,,,,,, সব বুঝতে পারছি৷ যাই হোক আরাব কোথায় ।

ফারহান,,,,,,,,, জানি না।

রিমান,,,,,,,, চল, খুঁজি আরাবকে দরকার আছে।

ফারহান,,,,,,,,,, আমি পারবো না। তুই খুঁজে বের কর।

রিমান,,,,,,,,,, ঠিক আছে খুঁজা লাগবে না। আমার কি আমি তো তোর কাজের জন্যই খুঁজছিলাম।

ফারহান,,,,,,,,,, চল চল আরাবকে অনেক ক্ষন ধরে দেখি না৷

রিমান,,,,,,,, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে একটু বেকা করতেই হয়।

রিমান আর ফারহান আরাবকে খুঁজতে বের হয় তখনি মুনকে দেখতে পেয়ে ফারহান ডাক দেয়।

ফারহান,,,,,,,,,,, মুন শুনো।

মুন,,,,,,,,,হুমম বলো।

রিমান,,,,,,,,,,,,, আরাব কোথায়, অনেক ক্ষন ধরে দেখি না।

মুন,,,,,,,, আমি জানি আরাব কোথায়, আমি কি কোলে নিয়ে বসে থকি নাকি। দেখো রিধির সাথে আছে হয়তো। অনেক ক্ষন ধরে তাকেও দেখছি না। (রাগে)

রিমান,,,,,,,,,, আস্তে আস্তে,,, কি হয়েছে, আরাব রিধির সাথে কথাও বলে না।

মুন,,,,,,,,, না বলে না,, কিছু ক্ষন আগেই রিধির সাথে কোথায় জেনো যাচ্ছিলো আমি ডাক দিতেই বলে,আমি একটা জরুরি কাজে যাচ্ছি। কি যে তার জরুরি কাজ আমি মনে হয় জানি না হুহহ (রাগে গজগজ করে)

এটা বলে মুন রাগে তাড়াতাড়ি চলে যায়৷ রিমান আর ফারহান শুধু হা করে তাকিয়ে থাকে।

রিমান,,,,,,,,,, মারহাবা,, এতো রাগ ফারহান বুঝতে পারছিস।

ফারহান,,,,,,,,,,, আমাদের আরাবের কি হবে।

,,,,,,,,

মাহুয়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার চুল ঠিক করছে। তখনি একটা ছেলে আসে।

,,,,,,,,,,,, কি মেম কোনো হেল্প লাগবে।

মাহুয়া ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, নো থেংস।

,,,,,,,,,,, আরে আপনার চুলের সাথে কানের দুল লেগে গেছে একা ছুটাতে পারবে না, আমাকে দাও আমি ছুটিয়ে দিয়।

মাহুয়া,,,,,,,,,, বললাম তো লাগবে না,আমি একা করে নিবো৷

,,,,,,,,,,, আচ্ছা আপনার নামটা জেনো কি বলেছিলেন্

মাহুয়া,,,,,,,,, আমি তো বলিই নি।

,,,,,,,,,,আচ্ছা তাহলে বলে দিন কি নাম।

,,,,,,,,,,ভালোই ভালোই এখান থেকে যাবেন নাকি।

,,,,,,,,,, আরে এমন করেন কেনো নামি তো জানতে চেয়েছি। আর আপনি যেমন সুন্দর আপনার কন্ঠও অনেক সুন্দর। আপনার নামটাও সুন্দর হবে হয়তো।

,,,,,,,,,,,, আমার জুতোআরো সুন্দর। যে একবার এর মার খেয়েছে সে আর কোনো দিন আমার কাছে আসে নি।

,,,,,,,,,,,,, আরে, আমি তো আপনার সাহায্য করে এসেছিলাৃ আপনি তো দেখি রাগ হচ্ছেন। আপনার বয় ফ্রেন্ড আছে নাকি।

রিমান,,,,,,,,, হুমম আছি,,, আপনি যেতে পারেন, একে আপনি সামলাতে পারবেন না। আর হ্যাঁ এর আশপাশেও যদি দেখি তাহলে তো বুঝতেই পারছেন।

,,,,,,,,,, ওনার চুলে কানের দুল বেঝে গেছে তাই সাহায্য করতে,,।

রিমান,,,,,,,,,,, ওটার জন্য আমি আছি,, এখন এখন থেকে যাবেন নাকি আবার। (শার্টের কলার উপরে করতে করতে)

ছেলেটা তাড়াতাড়ি ভয় পেয়ে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,,, দাও দেখি কোথায় কি হয়েছে।

মাহুয়া,,,,,,,, একটু ছুটিয়ে দাও।

রিমান আস্তে আস্তে চুল ছুটিয়ে দিচ্ছে। অতি যন্তে কানের দুল ছুটিয়ে দেয়। মাহুয়া একটুও ব্যাথা পায় না।

রিমান,,,,,,,,,, নাও হয়ে গেছে।

মাহুয়া,,,,,,,,, থেংক ইউ উম্মা (রিমানকে হঠাৎ গালে কিস করে দৌড় দেয়।

রিমান মাহুয়ার পিছনে দৌড় দিতে নেয় আরাব পিছন থেকে কলার টেনে ধরে। রিমান পড়তে পড়তে বাঁচে। পিছনে রাগে তাকায়।

রিমান,,,,,,,,,, কে রে।

আরাব,,,,,,, আমি রে,,

রিমান,,,,,,,, কি হয়ছে ভাই।

আরাব,,,,,,,,,, কাজ হয়ে গেছে। কাল হবে মজা।

ফারহান,,,,,,,,,,, তাহলে তো হলোই৷
,,,,,,,,,,

রাইসা,,,,,,,,, অনি যে কাজ দিয়ে ছিলাম সেটা হলো।

অনি,,,,,,,,, হয়ে গেছে।।

রাইসা,,,,,,,, এবার আমিও দেখবো, রিধিকে কে বাঁচায়।

(আমি গ্রামের বাড়ি আর সেখনে বেশি সময় পায়নি মোবাইল ধরার মতো।আর সেখানে বেশি ক্ষন মোবাইল হাতে নিয়ে থাকলে মানুষ খারাপ বলে, বুঝতেই পারছেন গ্রামের বাড়ি। এই টুকু তিন দিনে লিখলাম। পিল্জ কেও মনে কিছু নিয়েন না, আমি গল্প দিতে পারছি না, আপনাদের থেকে বেশি আমার খারাপ লাগছে)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here