you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প) Part.23

0
1614

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.23
#Maishara_Jahan

,,,,,,,ঠিক বলেছো,,এখন পিল্জ তুমি এখান থেকে যাও।

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে যাচ্ছি,, বিয়ে করার শক তোর তাই না, শক মিটাবো।

বলে খাটে একটা লাথি দিয়ে চলে যায়।

দুপুরে ,,,,,

ফারহান রিমানের বাসায় যেতে নেয়, আরাব ডাক দেয়।ফারহান পিছনে তাকিয়ে দাঁড়ায়। আরাব ফারহানের কাছে আসে।

আরাব,,,,,,,,, ফারহান তুই ঠিক আছিস।

,,,,,,, দেখে কি মনে হচ্ছে,, আমি একদম ঠিক আছি। চল ভিতরে যায়।

,,,,,,,, না,, তোর ভিতরে যাওয়া লাগবে, চল আমরা অন্য কোথায় যায়,গিয়ে একটু ঘুরে আসি।

,,,,,,,,,,, কেনো, ভিতরে গেলে কি প্রবলেম।

,,,,,,,, না,, মানে

,,,,,,,, জানি আমি অন্তিক তার মা বাবা আসছে, আংকেল আমাকে সে জন্যই ডেকেছে।

,,,,,,,,,,, তাহলে কেনো যাচ্ছিস, এসব দেখে তোর কষ্ট হবে।

,,,,,,, কষ্টের কারনটাই দেখতে আসছি। আমিও তো দেখি কে এই অন্তিক যার নামও আজ পর্যন্ত শুনি নি সে হঠাৎ করে আমার জীবনে এমন করে কিভাবে এসে গেলো। চল গিয়ে দেখি।

ফারহান আরাবের কাঁধে হাত দিয়ে নিয়ে যায়। ভিতরে যেতেই ফারহান উপরে রিমির রুমের দরজার দিকে তাকায়।

রিমান,,,,,,,,, ফারহান তুই (মুখ মলিন করে)

ফারহান,,,,,,,, কেনো আসতে মানা আছে নাকি। এখন তুই ও বলে যে,তোদের বাসায় আসা যাবে না (রাগে)

রিমান,,,,,,,,,, আমি সেটা কখন বললাম। বস তোরা।

ফারহান,,,,,,,,, কাল তোরা রিমিকে বুঝাবি বলেছিলি, কি বলেছে ও।

আরাব,,,,,,,, কালকের কথা ছাড় না,, শান্তি বস।

ফারহান,,,,,,,,, কি বলেছে সেটা বল।

রিমান,,,,,,, তেমন কিছু না।

ফারহান,,,,,,,, আমার কছম সত্যিটা বল।

আরাব,,,,,,, ফারহান (ধমক দিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, বল

রিমান ফারহানকে সব কিছু বলে,, সেটা শুনার পর ফারহান দুম মেরে নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে।

আরাব,,,,,,,, ফারহান তুই ঠিক আছিস তো।

ফারহান,,,,,,,,, yeah I am fine. তোর বোন দেখা যায় কয়েক দিনে ঐ ছেলেকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। আর এতো বছরেও আমি তোর বোনের মনে একটু জায়গা করে নিতে পারিনি। ছেলেটাকে তো এখন দেখতেই হচ্ছে। তা কখন আসবে তারা।

রিমান,,,,,,,, কিছু ক্ষন পরেই হয়তো এসে যাবে।

আরাব,,,,,,,, হঠাৎ করেই রিমির এমন আচরণ আমি কিছু বুঝতে পারছি না। খালু কোনো জোরাজোরি করে নি তো।

রিমান,,,,,,, হতেই পারে না,, বাবার কাছে রিমি যেটা বলবে সেটাই,, যেটাতে ওর মেয়ে খুশি না এটা জীবনেও করবে না।

কিছু ক্ষন পর, রিমির মা বাবা সবাই এসে বসে। অন্তিক এর বিষয়ে কথা বলছে। ফারহান কোনো রকমে তার রাগটা কন্ট্রোল করছে। একটু পর অন্তিক তার ফেমেলি সবাই চলে আসে। সবাই দাঁড়িয়ে তাদের ওয়েলকাম জানাচ্ছে। ফারহান মাথা নিচু করে বসে আছে।

একটু পর অন্তিক ফারহানের ঠিক সামনে বসে, তখন ফারহান মাথা তুলে অন্তিকের দিকে তাকায়। ফারহানের চোখে স্পষ্ট রাগ দেখা যাচ্ছে। অন্তিক ফারহানের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।ফারহান কিছু ক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে থেকে, হাত মিলায়, ফারহান জোরে অন্তিকের হাত চেপে ধরে।

ফারহান রাগী চোখ আর ঠোঁটে হাসি নিয়ে অন্তিকের দিকে তাকায়। অন্তিক ও তীর্ক্ষ চোখে তাকিয়ে ফারহানের সাথে হেন শেখ করে।

রিমান,,,,,,,,,, একটা মাত্র বোন আমার সে এখনও ছোট। বিয়েটা এতো তাড়াতাড়ি না করলে হয়না।

অন্তিক,,,,,,,, বাবা, মা মানছে না। তাছাড়া ভালোবাসার মানুষের থেকে বেশি দূরে থাকা যায় না। আমি আর রিমি দুজন দুজনকে ভালোবাসি তাই লেইট করে লাভ কি (ফারহানের দিকে তাকিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, আচ্ছা অন্তিক রিমির সাথে তোমার কখন দেখা হয়,,মানে কবে হয়েছিলো।

অন্তিক,,,,,,,, আমার ডাক নাম অনি,, সবাই আমাকে অনি বলেই ডাকবেন। আর আমাদের দেখা হয়নি, শুধু মোবাইলে কথা হয়েছে, ভিডিও কলে দেখেছি।

ফারহান,,,,,,,, শুধু এভাবেই প্রেমে পড়ে গেলে।

অনি,,,,,,, ভালোবাসায় এসব মেটার করে না।

তখনি রিমির মা রিমিকে নিচে নিয়ে আসে। রিমি মিষ্টি গোলাপি রঙের জর্জেট শাড়ী পড়েছে। চুল ছাড়া, হালকা সাজ,মুখে কোনো হাসি নেয়।

ফারহানের রাগ এখন প্রচুর বেড়ে যায়। কাঁচের গ্লাসটা চেপে ধরে। কারন অনি রিমির দিকে অদ্ভুত নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে ছিলো। ফারহান তার হাতের গ্লাসটা জোরে টেবিলে রাখে। তার আওয়াজে সবাই ফারহানের দিকে তাকায়। রিমি ও ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।

ফারহান,,,,,,,,, ও সরি বুঝতে পারিনি এতো আওয়াজ হবে। (আজ এতো সাজ কার জন্য। এই দিনটিও আমাকে দেখতে হবে জীবনে ভাবিনি)

অনি,,,,,,, হায় রিমি,, কেমন আছো।

রিমি,,,,,,,, আমি ভালো আছি,অন্তিক তুমি কেমন আছো।

অনি,,,,,,,, তুমি আসার পরে সুপার ভালো। (চোখ টিপ দিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, রিমি অন্তিক না অনি বলে ডাক।তার নিক নেম, সবাই ভালোবেসে ডাকে।

রিমি ফারহানের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। একবার তাকিয়ে আবার সরিয়ে ফেলে। রিমিকে অনির পাশে বসানো হয়।

অনি,,,,,,, আমি ভাবতাম আজ কাল শাড়ি কে পড়ে, কিন্তু তোমাকে শাড়িতে দেখার পর মনে হচ্ছে এখনি বিয়ে করে নিয়। সুপার হট লাগছো,একদম মালাই কুলফি (রিমিকে ভালোভাবে দেখে)

রিমি বার বার নিজের শাড়ি ঠিক করছে, বার বার আশেপাশে তাকাচ্ছে, সে অনেক অস্তি ফিল করছে। ফারহানের এসব দেখে রাগে গলার হাতের রগ সব ফুলে গেছে।

অনি,,,,,,, আংকেল আন্টি, আপনারা অনুমতি দিলে আমরা একটু আলাদা কথা বলি।

রিয়াদ খান,,,,,,, হুম যাও,,,রিমি তোর রুমে নিয়ে যা।

রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ওর চোখে রাগের আগুন দেখে আবার সরিয়ে ফেলে।

অনি,,,,,,, চলো তোমার রুমে।

রিমি,,,,,,,,,, হুমম চলো।

অনি আর রিমি যাচ্ছে, ফারহান তাদের দিকে তাকিয়ে তাদের যাওয়া দেখছে।

অনি,,,,,, তাহলে এটা তোমার রুম,,একটা কথা বলবো।

,,,,,,,, বলেন।

,,,,,,,,,, আমি তো জানতামি না যে, আমার হবু বউ এতো সুন্দর। জানলে আরো আগে চলে আসতাম। তোমাকে দেখার পর তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। একটু হাসলে আরো সুন্দর লাগবে। একটু হাসো পিল্জ।

,,,,,,,, কি করবো বলুন, আমি তো আর অভিনেত্রী নয়, তাই ওতো ভালো অভিনয় পারিনা। তাই চেষ্টা করেও হাসতে পারছি না।

,,,,,,,,,এরকম জ্বাজালো মেয়ে আমার খুব ভালো লাগে।এখান থেকে যখন নিচে যাবো তখন তেমার মুখে যেনো হাসি থাকে। আর ঐ ফারহান তোমার এক্স হয় তাই তো, দেখে বুঝা যায়। আচ্ছা এখন সব এক্স ফেক্স ভুলে যাও, আর শুধু আমাকে মনে রাখো। তোমাকে জরিয়ে ধরতে আমার অনেক মন চাইছে, একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে, মে আই।

রিমি,,,,,,,, নো, পিল্জ। আম নোট রেডি। (দূরে সরে গিয়ে)

,,,,,,,, ঠিক আছে, এখন জোরা জোরি করবো না,, কিন্তু বিয়ের পরে বলতে পারবো না।

কিছু ক্ষন পর রিমি আর অনি নিচে আসে, ফারহান তাদের দিকে তাকায়, রিমি আর অনির মুখে হাসি দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। বিয়ের তারিখ ঠিক করে সবাই চলে যেতে নেয়। সবাই তাদের এগিয়ে দিতে যায়।

রিমি উপরে উঠে তার রুমের দিকে যেতে নেয়,ফারহান রিমির হাত ধরে এক কোনায় এনে চেপে ধরে।

রিমি,,,,,,,, ফারহান কি হচ্ছে ছাড়ো আমাকে।

,,,,,,,,,, কার জন্য এতে সেজেছিস তুই হুমম। (রাগে)

,,,,,,,,,, বুঝতে পারছো না, কার জন্য।

,,,,,,,,,, না বুঝতে চাই না,,, তুই শুধু আমার জন্য সাজবি,, সাহস কি করে হলো তোর অন্য কারো জন্য সাজার হুমম (রিমির মুখ চেপে ধরে) তোর এই রুম এই সব কিছু শুধু ফারহানের নামে লেখা। অন্য কারো হতে দিবো না।

,,,,,,,,, ছাড়ো, আমার লাগছে।

,,,,,,,,, তোর মুখে ব্যাথা লাগছে, আমার এই জায়গায় লাগছে। (বুকের দিকে ইশারা করে)

,,,,,,,, যেতে দাও আমাকে।

,,,,,,, যেটা তো যাবি, আগে বল রুমে একা গিয়ে এতো ক্ষন কি করলি যে হাসি ঠোঁট থেকে যাচ্ছিলোই না।

,,,,,,,, তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছে নেয় আমার, ছাড়ো আমাকে।

,,,,,,,,,, কিস করেছে তোকে হুমম (রিমির মুখের কাছে গিয়ে, ফারহানের চোখ লাল হয়ে গেছে, চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে)

,,,,,,,,,, কি আবল তাবল বকছো।

,,,,,,,,,,,, না বল আমাকে, আমি শুনতে চাই, কিস করেছে তোকে, ছুয়েছে তোকে, কোথায় ছুয়েছে (পাগলের করে)

,,,,,,,, ফারহান থামো এবার (রাগে জোরে)

,,,,,,,,,, (ফারহান রিমির গলায় চেপে ধরে) ঐ পশুটা তোর দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিলো না, মনে হচ্ছিলো চোখ দিয়ে তোর শরীর ছুয়ে যাচ্ছে।

,,,,,,,, ছিঃ চুপ করো পিল্জ।

,,,,,,,,, কি শুনতে ভালো লাগছে না,, যাকে দুদিন পরে বিয়ে করবি, তার ছুঁয়ার নামে এতো ঘৃণা। একটা কথা কান দিয়ে শুনে রাখ তুই শুধু আমার, Only mine. দরকার পড়লে তোকে উঠিয়ে বিয়ে করবো।

রিমি ফারহানের হাতটা তার গলা থেকে ছাড়িয়ে বলে,,,, পারবে না,, কেনো জানো, যদি আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাও তাহলে তোমার বন্ধু, আমার ভাই আর আমার বাবার সম্মানের কি হবে। আমারটা নাহয় ছেড়েই দিলাম। ইন্টারনেটে দেখো রিমান খানের বোনের বিয়ের খবর ছড়িয়ে গেছে।এখন উঠিয়ে নিয়ে গেলে তোমার বন্ধুর সম্মান তো মাটিতে মিশে যাবে।

ফারহান রাগে দেওয়ালে সো জোরে একটা ঘুষি মেরে বলে,,,,,, যেকোনো একটা রাস্তা তো বের করেই নিবো তাও তোকে অন্য কারো হতে দিবো না। আর এই সাজ শুধু আমার জন্য হওয়া চাই।

বলে ফারহান রিমির মুখ ধরে সব লেপটে দেয়।

,,,,,,, ছাড়ো ফারহান।

,,,,,,,,, নে ছেড়ে দিলাম।

বলে চলে যায়। রিমি দৌড়ে তার রুমে গিয়ে কান্না করতে থাকে।

রিমি,,,,,,,,, পিল্জ ফারহান এটা আমার জন্য এতো কঠিন করে দিয়ো না, অনেক কষ্টে নিজেকে বুঝিয়েছি।আমাকে এই ভাবে দুর্বল করে দিয়ো না। আমাকে শত আঘাত করো কিন্তু নিজেকে এভাবে আঘাত করো না। আমার কাছে আর কোনো উপায় নেয়। (কান্না করতে করতে)

ফারহান রাগে হন হন করতে করতে বাহিরে যায়। গিয়ে দেখে আরাব আর রিমান দাঁড়িয়ে কথা বলছে। ফারহানকে দেখতে পেয়ে তারা ফারহানের কাছে আছে।

ফারহান,,,,,,, কংগ্রাচুলেশনস ভাই তোর বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। মিষ্টি কোথায়, উপসস সরি মিষ্টি তো ভিতরেই রেখে চলে এসেছি, তোদের জন্য আনতে মনে ছিলো না। কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ে, সব কিছুর জন্য আয়োজন কর।

রিমান,,,,,,,, ফা ফারহান শান্ত হ পিল্জ।

আরাব,,,,,,,,, চিন্তা করিস না, আমরা কিছু একটা ভেবে নিবো।

ফারহান,,,,,,,, কি ভাববি তো হুমম কি ভাববি,,, রিমান সব শয়তানি বুদ্ধি তোর মাথায় থাকে, তুই বল কি করবো (রিমানের কলার ধরে)

রিমান,,,,,,,,,, বাবাকে গিয়ে সব বলে দে,, আমরা তোর সাথে আছি।

আরাব,,,,,,, রিমিই তো রাজি না, তোর বাবা কি করবে।

ফারহান,,,,,,,, শালা ভাই হয়ে না, বন্ধু হয়ে বুদ্ধি দে।

রিমান,,,,,,,,, জোর করে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে কর।

ফারহান,,,,,,,, অন্য কিছু বল।

রিমান,,,,,,,,, বিয়ের দিন আমরা অনিকে কিটনাপ করে ফেলবো তার জায়গা তুই বিয়ে করে নিস।

ফারহান,,,,,,,,, এটা সম্ভব না।

রিমান,,,,,,,,, তাহলে তুই রিমিকে রাজি করা,, ওর বিয়ের এক সেকেন্ড আগেও যদি তোকে বিয়ে করতে রাজি হয়, তাহলে আই প্রমিজ তোদের বিয়ে কেও আটকাতে পারবে না।

আরাব,,,,,,,, রিমিকে রাজি করানোর চেষ্টা কর।

ফারহান,,,,,,,,, মনে তো হচ্ছে না তোর বোন রাজি হবে।

আরাব,,,,,,,,, তুই চেষ্টা তো কর।

ফারহান,,,,,,,, জানি না আমি,, শুধু এটা জেনে রাখ তোর বোনের বিয়ে অন্য কোথাও হলে আমি আমি সব কিছু তছনছ করে দিবো।

বলে রাগে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,, আমার ফারহানের জন্য অনেক টেনশন হচ্ছে। ও পাগলামো করে কিছু করে না বসে।

আরাব,,,,,,,,, বুঝতে পারছি না আমাদের জীবনে এই অনি কোথা থেকে আসলো। রিমির বিয়ে হয়ে গেলে ফারহান নিজেকে শেষ করে দিবে।

রিমান,,,,,,,, এমন কিছু হতে দিবো না।

সন্ধ্যায়,,,,,,,,

মুন,,,,,,,,, কি হলো আরাব মন খারাপ করে বসে আছো যে।

আরাব,,,,,,,,, আমার ফারহানের জন্য অনেক টেনশন হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।

,,,,,,,, চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।

,,,,,,,,,,, কিন্তু এখানে ঠিক হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। তুমি এক কাজ করো রিমিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো হঠাৎ এমন কি হলো, হয়তো তোমার কাছে বলে দিবে।

,,,,,,, ঠিক আছে আমি গিয়ে, কথা বলে দেখছি।

তখনি আরাবের মেবাইল বেঝে উঠে। আরাব ফোন উঠায়।

,,,,, হ্যালো নিধি,, কেমন আছিস, হঠাৎ এতো দিন পরে ফোন করলি।

,,,,,,, ভালো আছি,, আমি কাল বাংলাদেশে আসছি,তাই ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম।

,,,,,,, ওয়াও that’s great. তুই এখানে আসলে অনেক মজা হবে। তাড়াতাড়ি চলে আয়, আমরা তোকে অনেক মিস করি।

,,,,,,হুমম এখন রাখি আমাকে প্যাকিং করতে হবে।

,,,,,, ওকে বাই কালকে দেখা হচ্ছে তাহলে।

,,,,,,,হুমম।

আরাব ফোন রেখে দেখে মুন তার দিকে সন্দেহর নজরে তাকিয়ে আছে।

মুন,,,,,,,, রিধিটা আবার কে।

,,,,,, আমার ফ্রেন্ড, মানে আমাদের সবার ফ্রেন্ড।

,,,,,,,,,, অনেক মিস করছেন বুঝি ওনাকে (এক ব্রু উঠিয়ে, ঠোঁট বেকিয়ে)

,,,,,,,,,, না মানে হ্যাঁ।

,,,,,,,, ভালো কাল আসবে ভালো করে দেখে নিয়েন, অনেক দিন ধরে দেখেন না আহারে।

বলে রাগে চলে যায়, আরাব মুনের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে।

আরাব,,,,,,,, মিস্ বকবকের জেলাস ফিল হচ্ছে নাকি,,ভালো আমার জন্য খুব ভালো খবর, রিধি তুই তাড়াতাড়ি দেশে আয়।( হাসি দিয়ে)

মুন রিমির রুমে গিয়ে দেখে মাহুয়া বসে আছে।

মাহুয়া,,,,,, আরে ভাবি কেমন আছো।

মুন,,,,, ভালো তুমি।

মাহুয়া,,,,,,, ভালো।

মুন,,,, তুমি কি শুরু করেছো একটু বলবে পিল্জ।

মাহুয়া,,,,,, হুমম তোমার মনে যদি কোনো কথা থাকে তাহলে আমাদের বলো।কোনে চাপে এমন করছো না তো।

রিমি,,,,,,,, ভাবি আমি কখন ধরে বলছি,এমন কিছুই না, আমি সব নিজের ইচ্ছেই করছি।

মুন,,,,,,, কিন্তু তুমি তো ফারহানকে ভালোবাসো।

রিমি,,,,,,,, এখন বাসি না।

মাহুয়া,,,,, ভালোবাসা এতো তাড়াতাড়ি ভুলা যায় না। কিছু হয়ে থাকলে বলো আমাদের।

রিমি,,,,,,, আমি এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। আমি অনিকে বিয়ে করবো এটাই ফাইনাল। আর যদি তোমারা বেশি জোরা জোরি করো তাহলে আমি এখান থেকে চলে যাবো, একাই বিয়ে করে নিবো। (দাঁড়িয়ে জোরে বলে)

মাহুয়া,,,,,,, কিন্তু রিমি।

রিমান এসে বলে,,,,,,, আর কিছু বলা লাগবে না ওকে। ও অনেক বড় হয়ে গেছে, আমাদের কথা কেনো শুনবে। তোর যা ইচ্ছে তাই কর শুধু একটা কথা মনে রাখিস তোর কারনে যাদি আমার বন্ধুর কিছু হয় তাহলে কোনো দিন তোকে ক্ষমা করবো না। চলো মাহুয়া,আর মুন তুমিও যাও, এখানে শুধু শুধু নিজের সময় নষ্ট করো না।(রাগে)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,

like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here