#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part.22
#Maishara_Jahan
ফারহান কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে থাকে, রিমান ফারহানের দিকে। তারপর আরাবের লাঠি নিয়ে রিমানের দিকে দৌড়ে যায় ফারহান। আর রিমান উল্টা পাল্টা দৌড় দেয়।
রিমান,,,,,,,,,, আরে আমি কি করছি, বিয়ে আমি ঠিক করছি নাকি। বিয়ে তো বাবা ঠিক করছে।(দৌড়াতে দৌড়াতে)
ফারহান,,,,,,,,,, শালা তুই থাকতে ওরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলো কিভাবে,আর ঠিক বা কিভাবে হলো।(লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দিতে দিতে)
রিমান,,,,,,,,,, আরে আমি কি করে জানবো, আমি কিছু জানি না সত্যি।
ফারহান,,,,,,,, সেটাই তো কথা তুই কিছু কেনো জানিস না, তোর বোনের ব্যাপারে কোনো খেয়াল নেয়।
আরাব,,,,,,,,,, থামবি তোরা,, আগে গিয়ে খালুর সাথে কথা বলেতো দেখি।
ফারহান,,,,,,,, ঠিক আছে,,,, শুনে রাখ রিমান যদি তুই এই বিয়েটা আটকাতে না পারিস, তাহলে তোর জান আমি কবজ করবো।
রিমান,,,,,,,,,, এভাবে তুই আমাকে ভয় দেখাতে পারিস না।
আরাব,,,,,,,,, চুপচাপ আগে রিমানের বাসায় গিয়ে দেখি কি অবস্থা। রিমি হয়তো কান্না করছে।
ফারহান,,,,,,,, হুম চল চল,, রিমি হয়তো কান্নায় ভেঙে পড়ছে।
সবাই বাসায় যায়, গিয়ে দেখে শুধু রিমানের মা সোফায় বসে আছে।
রিমান,,,,,,,,,, মা বাবা কোথায়।
মা,,,,,,,, তোর বাবা তো কাজে বাহিরে গেছে।
ফারহান,,,,,,,,,, আন্টি রিমি কোথায়।
মা,,,,,,,,, ভার্সিটিতে গেছে।
আরাব,,,,,,,,, কিন্তু এতো ক্ষনে তো রিমির চলে আসার কথা।
মা,,,,,,, হুমম ভার্সিটির পর ওর বাবার সাথে কোথায় যাবে বললো ভালো করে শুনেনি।
রিমান,,,,,,,,,, কে কান্না করছে,,ও তো মজা নিয়ে ঘুড়ছে। (হেঁসে হেঁসে)
ফারহান রিমানের দিকে রাগী ভাবে তাকায়, রিমান চুপ হয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,, খালা কি শুনলাম রিমির নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
মা,,,,,,,, হুমম ঠিক শুনেছিস,,আমি তোদের বলতেই নিয়েছিলাম।
ফারহান,,,,,,,, এমন হঠাৎ করে,, কখন ঠিক হলো বিয়ে(ব্যস্ত হয়ে)
মা,,,,,,, কাল থেকে কথা ভার্তা চলছিলো, আজ ঠিক হয়ে গেছে।
রিমান,,,,,,,, মা আমাকে কিছু কেনো বললা না,, আর রিমি এখন ছোট এতো তাড়াতাড়ি কেনো বিয়ে দেওয়া লাগবে ওর।
মা,,,,,,,, আমি কিছু জানি না, তোর বাবা আর বোন আসলে জিজ্ঞেস করিস।
আরাব,,,,,,, রিমি জানে বিয়ের কথা।
মা,,,,,,,,,, হ্যাঁ জানে।
ফারহান,,,,,,,, নিশ্চয়ই মেয়েটার মন খারাপ,, কি জানি এখন কেমন অবস্থায় আছে। রিমান আমার সাথে বাহিরে আয়। (হেঁসে)
রিমান,,,,,,৷ যা বলার এখানেই বলনা।
ফারহান,,,,,,, এখানে বলা যাবে না।
ফারহান রিমানকে জোর করে নিয়ে যায়। সাথে আরাব ও যায়।
ফারহান,,,,,,,, তোরা দুজন শুনে রাখ রিমির বিয়ে অন্য কোথাও হলে তোদের দুজনের জান নিয়ে নিবো আমি।
আরাব,,,,,,,, আমি কি করলাম।
ফারহান,,,,,, তোদের মতো বন্ধু থাকতে যদি, নিজের ভালোবাসাকে হাড়াতে হয়, তাহলে কি কচুর বন্ধু তোরা।
রিমান,,,,,,,, আরে তুই একটু বেশি ভাবছিস,রিমি এই বিয়েতে রাজি হবে না, আর রিমি রাজি না হলে বাবা জীবনে রিমির বিয়ে দিবে না।
ফারহান,,,,,, ঠিক,,, আর তোর বাবার চোখে কি দূরবীন লাগানো নাকি,,কাছে ছেলে থাকতে, দূরে বিয়ে ঠিক করছে। তোর বাবার চোখে আমি পড়ি নাই। আমি কি দেখতে খারাপ।
রিমান,,,,,,,,, কিছু করার নেয়,বাবারা হয়ি ভালোবাসার দুষমন। আচ্ছা যা বাসায় যা,,বাবা আসলে কথা বলবো। এই ছোট একটা বিষয় নিয়ে টেনশন করিস না।
ফারহান,,,,,,, ঠিক আছে।
সবাই যার যার বাসায় চলে যায়।
আরাব তার রুমে যায়, মুন আয়নার সামনে বসে আছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা ভাবছে আর নিজের চুল আঁচড়াচ্ছে।
আরাব,,,,,,,, আমার কথা ভাবছো।
মুন,,,,,,, হুমম (অন্য দিকে মন দিয়ে) না মানে, আপনার কথা কেনো ভাববো (জোরে জোরে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে)
,,,,,,,,, কালকের রাতের কথা তো ভাবছো না (মুনের পিছনে দাঁড়িয়ে)
,,,,,,,,,,,, কা কা কাল রাতে আবার কি হয়েছে। (উঠে যেতে নিয়ে)
আরাব মুনের সামনে এসে দাঁড়ায়, মুন ডেসিন টেবিল এর সাথে লেগে যায়।
,,,,,,,,, সত্যি মনে পড়ছে না,কালকের কথা।
,,,,,,,,,, না,, একটু ও মনে নেয়।
,,,,,,,,, তাহলে আমি আছি তো মনে করিয়ে দেওয়ার মতো (হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,, আমার কিছু মনে করার দরকার নেয়।
,,,,,,,,, আছে আমার আছে। (মুনের আরো কাছে গিয়ে, আরাব টেবিলের দুপাশে হাত রাখে মাঝখানে মুন)
,,,,,,,,, কি হচ্ছে কি।
,,,,,,, সেটাই তো কাল অনেক কিছু হতে নিয়েও হয়নি। আচ্ছা যেহেতু তোমার মনে নেয়, তাহলে আমি একটা একটা করে মনে করাচ্ছি। রুমে ঢুকতেই তুমি আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছো।
,,,,,,, কিহহ মোটেও না,,, মানে এমন হতেই পারে না।
,,,,,, হয়েছে, এমন হয়েছে,,,তারপর আমাকে জোর করে কিস করছিলে। আমি কতো মানা করলাম।কিন্তু তুমি আমাকে বার বার বলছিলে, আরাব আমি তোমাকে ভালোবাসি,, তোমাকে ছাড়া আর থাকতে পারছি না,, প্রতিদিন তোমার কাছে যেতে আমার অনেক ইচ্ছে করে।
,,,,,,,, স্টপ,, মুখ বন্ধ করুন আপনার কাল রাতে এমন এমন কিছু বলিনি, সব মনে আছে আমার। (আরাবের মুখে হাত দিয়ে, তাড়াতাড়ি বলে কথাটা)
আরাব মুনের হাতে কিস করে, মুন তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নেয়।
মুন,,,,,,, কি করছেন এটা।
,,,,,,,,,, কালকে এতো কিছু হলো,তাও কিছু হলো না, এখন শুধু হাতে একটু কিস করেছি এটাতে অনেক প্রবলেম।
মুন লজ্জায় আরাবের দিকে তাকাতে পারছে না। চোখ দুটো শুধু এদিক সেদিক করছে।
,,,,,,,,, কি হলো লজ্জা পাচ্ছো নাকি,, কিন্তু কালকে তোমার লজ্জা ছাড়া অনেক কিছুই দে,,
,,,,,,, চুপ করবেন আপনি,,, বার বার কালকে কালকে লাগিয়ে দিয়েছেন,,,কালকের কথা ভুলে যান না।
,,,,,,,, কি করে ভুলবো,, পারছি না তো, কালকের সব কিছু মাথায় ঘুরছে। (নিজের ঠোঁটে হাত দিয়ে)
,,,,,,,,,, অফফ দয়া করে আর কালকের ঢোল বাঝাবেন না। দয়া করে আজকের দিকে ফকার্স করুন।
,,,,,,,, ইশশ পারছি না,,,একবার ভাবো কাল যদি আমি কন্ট্রোল না করতাম তাহলে তো (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,,, কে বলেছিলো কন্ট্রোল করতে,, অর্ধেক ঝুলিয়ে রাখা থেকে ভালো পুরোটাই হয়ে যেতো (অন্য দিকে তাকিয়ে)
,,,,,,,,,,,, কি, কি বললে, হয়ে গেলে ভালো হতো।
,,,,,,,,,,, আর নয়তো কি, অন্তত এই লজ্জা থেকে তো বাঁচা যেতো।
,,,,,,,,, তুমি চাইলে কালকের অসম্পূর্ণ কাজ আজ করতে পারি।
,,,,,,,,, তোমার স্বপ্নে। কাল হুশে ছিলাম না কিন্তু আজ আছি। সরো, আর হ্যাঁ কালকের বিষয়ে আমাকে আর কিছু বললে খবর আছে।
বলে আরাবকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে চলে যায়।
আরাব,,,,,,,, শুধু শুধু কাল কন্ট্রোল করলাম তাহলে। ইশশ এখন আফসোস হচ্ছে।
মুন,,,,,,,, ইশশ আরেকটু হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো। মুন তোর কি হয়েছে আরাবের সামনে যেতেই তোর হার্ট বির্ড বেড়ে যায় কেনো। আর অদ্ভুত একটা ফিলিং আসে। কিন্তু কেনো,,,
,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,(ফোনে) আমার জানু এখন কি করে।
রাইহান খান,,,,,,,,,, তোমার জানু এখন গোসল করে।
,,,,,,, ক কে
,,,,,,,,, তোমার জানুর বাবা বলছি।
,,,,,,,,, ও বাবাই, না মানে আংকেল, কেমন আছেন, মানে সরি। (তাড়াহুরো করে)
,,,,,,,,,,আস্তে আস্তে ,, আমি ভালো আছি। তো তোমাদের মধ্যে সব ঠিক ঠাক।
,,,,,,,,, হুমম আংকেল।
মাহুয়া,,,,,,,,, বাবাই কার সাথে কথা বলছো আমার ফোন দিয়ে।
,,,,,,,,, তোর জানু ফোন করেছে।
,,,,,,,, কিহহ কে করেছে।।
,,,,,, নে কথা বলে দেখ,, আমি আসি।
মাহুয়ার হাতে ফোনটা দিয়ে মাহুয়ার বাবা চলে যায়।
,,,,,,হ্যালো কে।
,,,,,,,,, আরে আমি।
,,,,,,,,,ও কেনো ফোন করেছো।।
,,,,,,,, এটা আবার কেমন কথা,, গার্লফ্রেন্ডকে মানুষ কেনো ফোন করে,, আর আমি কি দেখি না মানুষ তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে সারা দিন রাত কথা বলে, আমার আবার ওমন কপাল কোথায়,, হায়রে জীবন।
,,,,,,,,, হয়েছে ড্রামা করা। আল্লাহ তুমি আর তোমার নাটক। আচ্ছা একটা কথা বলো, রিমির কি হয়েছে কাল থেকে মন খারাপ করে বসে আছে, কি জেনো চিন্তা করছে।
,,,,,,, আরে বাবা ওর বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করে ফেলেছে।
,,,,,,,,, কি বলছো,,তুমি না ভাই কিছু একটা করো।
,,,,,,, আরে হ্যাঁ চিন্তা করোনা কিছু না কিছু ঠিক করবো।
,,,,,,,, রিমির যদি আরেক বার মন খারাপ দেখি না তাহলে খবর আছে তোমার।
,,,,,,,,,, আরে সাব্বাশ যাকে দেখি শুধু আমাকে হুমকি দেয়।
সন্ধ্যায় রিমি আর তার বাবা বাসায় আসে। রিমান ফারহান আর আরাবকে ফোন দিয়ে ডাকে। সবাই তাড়াতাড়ি আসে। ফারহান রিমানের পাশে বসে, রিমান উঠে যেতে চাইলে ফারহান জোর করে বসায়। ফারহান আরাব আর রিমানকের মাঝখানে বসে।
রিমান,,,,,,,, বাবা এটা কি ঠিক হলো, আমাকে না বলে বিয়ে ঠিক করে ফেললে। কার সাথে বিয়ে ঠিক করলে কি।
বাবা,,,,,,,, আরে ছেলের অনেক বড়ো বিসনেজ আছে, ছেলে দেখতে হেন্সাম, ভালো ভদ্র আর কি লাগে।
ফারহান এই সব কথা শুনে দুই সাইডে রিমান চর আরাবের হাত চেপে ধরেছে। দুজনে না কিছু বলতে পারছে না ব্যাথায় চিৎকার করতে পারছে।
রিমান,,,,,,, এতো দূরে দেখার কি দরকার ছিলো, আশেপাশে কতো হেন্সাম, বিসনেজ ম্যান ভদ্র ছেলে আছে তাদের ছেড়ে, কি কার সাথে বিয়ে দিচ্ছো।
বাবা,,,,,,,,,আরে আমার মেয়ের জন্য ঐ ছেলে নাম্বার ওয়ান।
ফারহান আরো জোরে দুজনের হাত চেপে ধরে রাগে। দুজনি আউউ করে উঠে।
বাবা,,,,,,,কি হলো।
রিমান,,,,,,, বেশি কিছু না শুধু তোমার কথার ভার নিতে পারছি না।
আরাব,,,,,,, কিন্তু খালু রিমি এখনো ছোট।
বাবা,,,,,,,,, জানি কিন্তু ছেলে মেয়ে রাজি তো কি করবে কাজি।
ফারহান,,,,,,,, মানে,,,আর রিমি হয়তো এই বিয়েতে মত নেয়।
বাবা,,,,,,,, ওর মতেই তো এসব কিছু হচ্ছে। আমি তো রাজি ছিলাম না,, এখন রিমির ঐ ছেলেকে পছন্দ হয়েছে তো আমি কি করবো। ও নিজে আমাকে এসে বলেছে যে ও অন্তিকে সে বিয়ে করতে চাই।
ফারহান,,,,,,,,,, কিহহ এটা হতে পারে না (উঠে দাঁড়িয়ে)
বাবা,,,,,,,,, তোর আবার কি হলো,,
রিমান,,,,,,, কিছু না কিছু না,, দাঁড়া একবার রিমিকে ডাক দিয়ে শুনি কি বলে। রিমি রিমি (জোরে ডাক দিয়ে)
রিমি রুম থেকে বেরিয়ে সিরি দিকে এসে, দেখে সবাই এখানে আছে, ফারহানের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয়।
আরাব,,,,,,, নিচে আয় তোর সাথে কথা আছে।
রিমি নিচে এসে সবার সামনে দাঁড়ায়। ফারহান রিমির দিকে প্রশ্ন ভরা চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু রিমি নিচের দিকে মাথা করে আছে।
রিমান,,,,,,, রিমি কি শুনছি,,তুই নাকি বিয়ের জন্য রাজি। তোর নাকি ঐ অন্তিককে পছন্দ।
ফারহান,,,,,,,,, এটা মিথ্যা কথা তাই না রিমি।
রিমি,,,,,,,,, সত্যি কথা,, এখানে কিছুই মিথ্যা না (নিচের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, আমার বিশ্বাস হয় না, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কেনো বলছিস না। সত্যি হলে চোখের দিকে তাকিয়ে বল।
রিমি ফারহানের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে, শক্ত গলায় বলে,,,,,, এটাই সত্যি, আমি অন্তিককে ভালোবাসি। আর তাকেই বিয়ে করতে চাই।
ফারহান,,,,,,, মিথ্যা বলছিস,,,তাহলে এই অন্তিক এতো দিন কোথাই ছিলো।
রিমি,,,,,,,, ও অনেক আগে থেকেই ছিলো। আমরা ফোনে কথা বলতাম,,কিন্তু এখন আমি তার জন্য ফিল করি।
রিমান,,,,,,,, ওয়াট দ্যা ফাও কথা,, এটা তোকে বাবা বলতে বলেছে তাই না।
বাবা,,,,,,,, ঐ চুপ আমি কেনো বলবো,,উল্টো রিমি আগে আগে বিয়ের কথা বলছে,,অন্তিক এর ফেমেলি বাকি বিয়ের জন্য জোর করছে তাই রিমি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলতে চাইছে।
ফারহানের রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে, সে রিমির দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে কিন্তু রিমি চুপচাপ অন্য দিকে চোখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আছে। ফারহান রাগে সেখান থেকে চলে যায়।
বাবা,,,,,,, এর আবার কি হলো।
আরাব,,,,,,, কিছু না একটা কাজ মনে পড়ে গেলো,, আমরা এখনি আসছি।
আরাব আর রিমান ফারহানের পিছনে যায়। ফারহান বাসায় গিয়ে সব কিছু ভেঙে ফেলছে রাগে টেবিল লাথি দিয়ে ফেলে দেয়,ফুলের টপ সব কিছু ভেঙে ফেলছে।আরাব আর রিমান ফারহানকে আটকায়।
আরাব,,,,,, কি করছিস।
রিমান,,,,,,, শান্ত হ
ফারহান,,,,,,,, কিভাবে শান্ত হবো,, তোর বোনের সমস্যাটা কি,, ও নাকও অন্য কাওকে ভালোবাসে,, এটা কি করে সম্ভব। (চিৎকার করে)
রিমান,,,,,,,, বুঝতে পারছি না,, আমি রিমিকে বুঝাচ্ছি।
ফারহান,,,,,,, বুঝা ওকে ভালো করে বুঝা,, ও শুধু আমার শুধু আমার, only mine..চিৎকার করে।
আরাব,,,,,, আমরা রিমিকে বুঝাচ্ছি তুই শান্ত হ
ফারহান,,,,,,,, আমাকে একটু একা থাকতে দে,, যা এখান থেকে।
রিমান,,,,, শুন তুই,,
,,,,,, বল্লাম না যা,,আমাকে একা থাকতে দে (চিৎকার করে)
আরাব,,,,,,, চল রিমান,,,ওকে একটু একা থাকতে দে,, আমরা গিয়ে রিমির সাথে কথা বলি।
আরাব আর রিমান রিমির কাছে যায়।
রিমান,,,,,,, রিমি এসব কি হচ্ছে, তুই ফারহানকে ভালোবাসিস না।
রিমি,,,,,,, না ভাসি না।
আরাব,,,,,, তহলে এতো দিন কি ছিলো এসব।
রিমি,,,,,,,, ফারহান আমাকে বাধ্য করেছিলো ভালোবাসতে তাই। আমি শুধু অন্তিককে ভালোবাসি।
আরাব,,,,,,, মিথ্যা বলিস না,, আমি তোর চোখে ভালোবাসা দেখেছি।
রিমি,,,,,,, ভুল দেখেছো।
রিমান,,,,,,,, একটা থাপ্পড় দিয়ে তোর সব ড্রামা বের করে দিবো। চুপচাপ বাবাকে গিয়ে বল তুই বিয়েটা করবি ন।
রিমি,,,,,,,, বিয়েটা তো আমি করবো,,আর যদি তোমরা আমাকে আটকাও তাহলে আমি আমার জান দিয়ে দিবো, আর তোমরা জানো এটা আমি করতে পারি।
রিমি এটা বলে চলে যায়।
রিমান,,,,,, রিমিহহ,,,আরাব এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে নাকি।
আরাব,,,, জানি না কি হচ্ছে।
রাত ১ টা,,,,
ফারহান লুকিয়ে বারান্দা দিয়ে রিমির রুমে ঢুকে। ঢুকে দেখে রিমি একটা বালিশ কোলে নিয়ে অর্ধেক শোয়া অবস্থায় আছে। অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।
,,,,,,, কি ঘুম আসছে না।
রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে, দাঁড়িয়ে যায়।
,,,,,,,,,,,, তুমি এখানে,,,এতো রাতে কি করছো এখানে।
,,,,,,,তোর সাথে কথা বলতে এসেছি।
,,,,,,,,, আমরা কাল কথা বলবো, এখন যাও।
,,,,,,, এই চুপ,, আমি এখনি কথা বলবো (জোরে,রাগে)
,,,,,,,,,, বল এসব কেনো করছিস,, আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। (রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে,চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে)
,,,,,,,,, তোমাকে কষ্ট দেওয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেয়।
,,,,,,, রিমি আমার সাথে নাটক করিস না, আমাকে ভালো করে জানিস,এটা তোর জন্য ভালো হবে না। তোর নাটক বন্ধ কর।
,,,,,,,, এটা কোনো নাটক না,, আমি ভালোবাসি অন্তিককে।
ফারহান রিমির দুগালে চাপ দিয়ে ধরে বলে,,,,,,কাকে ভালোবাসিস হুম,, কাকে,, তাহলে এতোদিন আমার সাথে কি করছিলি হুমম।
রিমি ফারহানের হাত এক ঝটকায় সরিয়ে নিয়ে বলে,,,,তুমি জোর করেছো তাই ভালোবাসার নাটক করেছি,,তুমি শুধু ব্যাথা দিতে যানো,,অন্তিক আমাকে অনেক ভালোবাসে, আর আমি তাকেই বিয়ে করবো।
ফারহান রিমির গলা চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে বলে,,,,,,,আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হওয়ার চিন্তা করলেও তোকে আমি মেরে ফেলবো,,তুই শুধু আমার,,Only mine.. You Are Only mine,, Do you understand. (রাগে চিৎকার করে)
রিমি,,,,,,, আস্তে কথা বলো,, আর এই জন্যই আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,আমাকে ছাড়ো ব্যাথা লাগছে।
ফারহান আরো জোরে চেপে ধরে বলে,,,,,,, লাগুক,, সত্যি করে বল,, না হলে কিন্তু আমি,,
রিমি ফারহানের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে, রিমির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,, ফারহান রিমির চোখের পানি দেখে ছেড়ে দেয়। রিমি লম্বা কয়েকটা শ্বাস নেয়।
রিমি,,,,,,,,, কি করবে হুমম
,,,,,,,,, তোর অন্তিককে জানে মেরে দিবো।
,,,,,,,, এটা করার কল্পনাও করবে না,, যদি অন্তিকের কিছু করার কথা ভাবো তাহলে আমি আমার জান দিয়ে, দিবো বলে দিলাম।
,,,,,,,,,,হুমকি দিচ্ছিস আমাকে,,, এতো ভালোবাসা ওর প্রতি।( বলে ফারহান দেওয়াকে অনেক জোরে ঘুষি দেয়,হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে)
,,,,,,,,ফারহান কি করছো,হাত থেকে রক্ত পড়ছে।।
,,,,,,,, তাতে তোর কি হুমম (রিমির দু বাহুতে শক্ত করে ধরে)
,,,,,,,ঠিক বলেছো,,এখন পিল্জ তুমি এখান থেকে যাও।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে যাচ্ছি,, বিয়ে করার শক তোর তাই না, শক মিটাবো।
বলে খাটে একটা লাথি দিয়ে চলে যায়।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।