#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part..20
#Maishara_Jahan
,,,,,,,,এখন কি করবো।
,,,,,,,, কি করবো, কি করবো,এক কাজ করো তুমি আমার রুমে গিয়ে লুকাও আমি আসছি, তাড়াতাড়ি যাও।
রিমান দৌড়ে গিয়ে মাহুয়ার রুমে যায়। মাহুয়া স্বাভাবিক হয়ে দরজা খুলে।
মাহুয়া,,,,,,, আরে বাবাই তুমি এতো তাড়াতাড়ি কেনো আসছো।
বাবা,,,,,,,, কেনো আসছো মানে, কেনো আসা উচিত হয়নি।
,,,,,, না মানে,,তোমার তো আরো কয়েকদিন পড়ে আসার কথা ছিলো, তাই আরকি সমস্যা হলো নাকি।
,,,,,, না কোনো সমস্যা নেয়,, আমার মেয়েটা একা একা এতো কিভাবে থাকবে তাই চলে আসলাম।
,,,,,,,ওহহহ
,,,,,,,, তুই এতো ভয়ে আছিস কেনো। দেখে মনে হচ্ছে খুব ভয়ে আছিস।
,,,,,,,,, (জোর করে হেঁসে) কি বলছো বাবা, ভয়ে কেনো থাকবো, ঘুম পেয়েছে তো তাই বললাম।
,,,,,,,, চাঁদ আজ কোথা থেকে উঠলো রাত ৯ টার দিকে তোর ঘুম পেয়েছে। (তখনি বাবার নজর সাইডে থাকা জুতার দিকে যায়।) মাহু আমি ছাড়াও কি এই বাড়িতে আরো কেও আছে (সন্দেহর নজরে)
,,,,,,,,,, কে কে কেও কে বাবাই,,, অন্য আর কে থাকবে।
,,,,,,,,, তাহলে এই জুতো জোড়াটা কার।
,,,,,,,,, কা কা কার আবার আমার।
,,,,,,,, অনেক স্টাইলিশ জুতো।
,,,,,,,, আমি কি কম স্টাইলিশ নাকি।
,,,,,,, তা তো বটেই, তবে মা, তোমার পায়ের সাইজ দেখো আর জুতোর সাইজ দেখো। (মাহুয়ার সামনে এসে)
,,,,,,,,, ওওও বাবাই আনার পরে আমি সাইজ লক্ষ করলাম।
,,,,,,আচ্ছাআআ (চারদিক তাকিয়ে) মাহু টেবিলে দুটো কফির কাপ কেনো। এটার কি উত্তর হবে শুনি।
,,,,,,,,, আ না মানে,,,হ্যাঁ তোমার সাথে খেতে খেতে অভ্যাস হয়ে গেছে তো তাই দুইকাপ বানিয়েছি।
,,,,,,,,কিন্তু আমি তো চা খাই।
,,,,,, হ্যাঁ তো, আমি তো কফি খাই, তাই কফি বানিয়েছি। বাবাই তুমিও কি গোয়েন্দা গীরি লাগিয়ে দিয়েছো। তুমি বসো আমি তোমার জন্য চা বানিয়ে আনছি।
,,,,,,,,, তোর মতো বড় মেয়ে আর আমার বাড়ির মতো ফাঁকা বাড়ি থাকলে একটু তো গোয়েন্দা গীরি করা লাগবেই। (চারপাশে ভালো করে খুঁজতে খুঁজতে)
খুঁজতে খুঁজতে মাহুয়ার বাবা সিরির উপরে উঠতে থাকে।
মাহুয়া,,,,,,৷ বাবাই তুমি উপরে কোথায় যাচ্ছো।
,,,,,,,,,,, একটু দেখতে দে, কোনো চোর টোর ঢুকলো কিনা৷।।
,,,,,,,, না বাবা,,,,, বাবা তোমার সাথে আমিও উপরে আসছি (বেশ জোরে বলে কথাটা, যাতে রিমান শুনে সতর্ক হয়ে যায়)
বাবা,,,,,,, আমি কানে কম শুনি না, এতো জোরে বলারকি আছে মাহু।
,,,,,,, এমনি।
মাহুয়ার বাবা মাহুয়ার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে, মাহুয়ার দিকে তাকায়, মাহুয়া ভয়ে শেষ। তার বাবা তার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে, ঠাস করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে বলে,,, ধরে ফেলেছি।
কিন্তু ভিতরে কেও ছিলো না৷।।
মাহুয়া,,,,,, কাকে ধরে ফেলেছো।
বাবাই,,,,,,কিছু না এমনি বললাম।
মাহুয়া মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে, আর তার বাবা খাটের নিচে দেখে, ওয়াশরুমে দেখে কিন্তু কিছু না পেয়ে রুম থেকে বাহিরে যায়। নাহুয়া যেনো হাফ ছেরে বাঁচে
মাহুয়া,,,,,,, বাবাই তুমি আমাকে এভাবে সন্দেহ করো।
(ইনোসেন্ট ফেস বাবিয়ে)
বাবা,,,,,,,৷ সন্দেহ না,, একটু চেক করা লাগে মাঝে মাঝে। আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
,,,,,,ঠিক আছে যাও।
বাবা যেতেই দৌড়ে ভিতরে গেলাম। হঠাৎ করে এমন হাওয়া হয়ে গেলো কিভাবে। ভিতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে, আস্তে করে বলি,,,,কোথায় তুমি বাবা নেয়,বেরিয়ে আসো।
তখনি ঠাস করে আলমারির দরজা খুলে গেলো। রিমান আলমারির মধ্যে ছিলো। রিমান জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো।
মাহুয়া,,,,,,,,, তুমি ঠিক আছো তো।
রিমান,,,,,,, মনে তো হয়,,এখন কি করবো।
,,,,,,,, সেটাই তো, দরজা দিয়ে বের করতে পারবো না।
,,,,,,তুমি বললে আমি সারা রাত এখানেই থাকতে পারি। (আলমারির উপরের থাকে বসে, চোখ টিপ দেয়)
,,,,,, হুহহ তোমার স্বপ্নে। দরজা দিয়ে না তো কি হয়েছে, বারান্দা দিয়ে লাফ দাও।
,,,,,,পাগল হয়ে গেছো নাকি, হাত পা ভেঙে গেলে।
,,,,,,,, দূরর কিছু হবে না। এতোটাও উঁচু না। আমি তো কতো বার লাফ দিয়ে নিচে নেমেছি।
,,,,,,,, কোন সুখে লাফ দিয়েছো।
,,,,,,,, যখন বাবাই আমাকে আটকে রাখতো, কোথাও বের হতে মানা করতো তখন এমন করতাম।
তখন আবার মাহুয়ার বাবা দরজায় টুকা দেয়।
বাবা,,,,,, মাহু কার সাথে কথা বলছিস,, দরজা খুল।
মাহুয়া,,,,,, সর্বনাশ বাবাই,, তাড়াতাড়ি বারান্দা দিয়ে লাফ দাও এখনি।
মাহুয়া রিমানকে বারান্দায় নিয়ে যায়।
,,,,,,তাড়াতাড়ি লাফ দাও।
,,,,,,,, তুমি সিউর কিছু হবে না।
বাবা,,,,, মাহু দরজা খুল।
মাহুয়া,,,,, হ্যাঁ বাবাই আসছি। লাফ দাও বলছি।
রিমান বারান্দার ওপাশে গিয়ে রডে ধরে আছে।
রিমান,,,,,,, ওকে বাই,,, পা টা ভেঙে গেলে ডক্টরের কাছে নিয়ে যেয়ো কিন্তু। আল্লাহ রক্ষা করো।
,,,,,তাড়াতাড়ি যাও। না হলে কিন্তু আমি ধাক্কা দিবো।
রিমান,,,,,, জল্লাদ গার্লফ্রেন্ড। আল্লাহ।
বলে একটা লাফ দেয়। রিমান সোজা মাটিতে ঠিক মতো লেন্ট হয়ে, আবার উল্টিয়ে পড়ে যায়। তারপরে আবার উঠে।
রিমান,,,,,,, রিমান তুই বেঁচে গেছিস। তোর হাত পা ও ঠিক আছে। ধন্যবাদ আল্লাহ।
রিমান মাহুয়াকে টাটা দিয়ে দৌড়ে চলে যায়।মাহুয়া গিয়ে দরজা খুলে। মাহুয়ার বাবা আগে গিয়ে বারান্দা চেক করে।
মাহুয়া,,,,,,কি হলো বাবা।
,,,,,,, কার সাথে কথা বলছিলি, আর এতো লেইট হলো কেনো দরজা খুলতে।
,,,,,, বাবা মোবাইল এ ভিডিও ছাড়া ছিলো,আর আমি ওয়াশ রুমে গেছিলাম তাই লেইট হয়েছে।
,,,,,,ও আচ্ছা ( সন্দেহর নজরে)
সকালে,,,,,,,
মুন চোখ খুলে দেখে, সে আরাবকে জরিয়ে আছে তার উপর পা তুলে, আর আবার ও তাকে আস্টে পিষ্টে জরিয়ে আছে। মুন সরে যেতে চাই কিন্তু আরাব শক্ত করে ধরে রেখেছে। তাদের নাক আরেকটুর জন্য টাচ হচ্ছে না। মুন কিছু ক্ষন নড়াচড়া করে আর না পেরে শান্ত হয়ে যায়। আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে।
মুন,,,,,,,,(আরাব এতোটাও খারাপ না,, কি আস্তে আস্তে আরাবের দিকে এট্রাক হচ্ছি। হয়তো হচ্ছি)
আরাব চোখ খুলে মুনের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়।
মুন,,,,,,, এবার দয়া করে আমাকে ছাড়বেন।
,,,,,,, আমার দয়া মায়া কম।
,,,,,,ছাড়েন বলছি (জোরে ধাক্কা দিয়ে)
আরাব ছেড়ে দেয়, মুন ও উঠে বসে।
মুন,,,,,,,,, আমি কি কোলবালিশ যে, আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে আছেন।
,,,,,,,, আমি আগেই বলেছি, আমাকে জরিয়ে ধরলে আমিও আরো আকড়ে ধরবো। আর দেখো আমি আমার জায়গা মতোই আছি, তুমি আমার জায়গায় এসেছো।
,,,,,, আপনি না একদম ভালো না, অসভ্য একটা।
বলে রাগে হনহন করতে করতে ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা আটকে, হাসতে থাকে।
আরাব নিচে যায়। রিমান আর ফারহানকে দেখে আবার দৌড়ে সিরি দিয়ে উঠতে থাকে।
রিমান,,,,,, এই দাঁড়া, কই যাস,ফারহান ধর ওরে।
রিমান আর ফারহান দৌড়ে যায়,আরাব সিরি দিয়ে দৌড়ে উঠতে উঠতে দুজনে গিয়ে আরাবের গেনজিতে ধরে, আর ফার ফার করে গেনজিটা ছিড়ে যায়।
রিমান আর ফারহান গেজির টুকরো কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর আরাব তাদের দিকে। রিমান গেনজির টুকরো নিয়ে আবার ছিড়া জায়গায় ধরে হাত দিয়ে চাপ মেরে লাগিয়ে দেয়, যা সুন্দর করে নিচে পড়ে যায়।
আরাব তাদের ড্রেসের দিকে তাকায়। আরাবের তাকানো দেখে দুজনে তাদের সামনে হাত রাখে।
ফারহান,,,,,,, আমাকে অফিসে যেতে হবে খবরদার আমার কাপড়ের দিকে নজর দিয়েছিস তো।
রিমান,,,,,,,, ভাই অনেক কষ্টে রেডি হয়ে এসেছি, আমাকেও কন্সেডে যেতে হবে।
আরাব,,,,,,,, তোদের প্রবলেমটা কি একটু বলবি আমায়।
ফারহান,,,,,,, আমার কোনো প্রবলেম নাই রিমান তোর আছে।
রিমান,,,,,,, না আমারো নেয়,,,,কথা সেটা না কথা হলো তুই আমাদের দেখে দৌড় দিলি কেনো। কি করছোস।
আরাব,,,,,,, কিছু না, এমনি দৌড় দিতে ইচ্ছে হলো।
রিমান,,,,,,,,, কি লুকাচ্ছিস আমাদের থেকে।
আরাব,,,,,, অনেক হয়েছে,, আমি কিছু লুকাচ্ছি না, আমি যায় গিয়ে চেঞ্জ করে আসি।
ফারহান,,,,,,, আমরা কেনো এসেছিলাম সেটা শুনবি না।
আরাব,,,,,,, আমি না করলে তোরা কি বলবি না।
রিমান,,,,,,,,, কেনো বলবো না,,,আমরা শুধু এটা বলতে এসেছিলাম আজ তোরা মুনের বাপের বাড়ি যাবি তাই, আজ আমাদের সাথে আর দেখা হবে না।
আরাব,,,,,,, শুধু এটাই বলতে এসেছিলি। আর কিছু না (হেঁসে)
ফারহান,,,,,,,,,, আরো কিছু বলার আছে।
আরাব,,,,,, না না,, আমি বুঝেছি তোদের কথা, এখন তোরা যা,,আর আমিও গিয়ে জামা কাপড় পাল্টায়।
বলে আরাব চলে যায়।
ফারহান,,,,,,,, অদ্ভুত আচরণ করলো কেনো।
রিমান,,,,,,,, মনে ছিলো না কিন্তু হালা মনে করিয়ে দিয়ে গেছে, ওদের মধ্যে আজো কিছু হয়নি, দেখা বুঝা যাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,, এখন না হতে পারে হয়তো কিছু দিন পরে হবে।
রিমান,,,,,,, এটা রিয়েল লাইফ, স্টার জলসার নাটক না যে,বিয়ের ছয় মাস পরে বাসর হবে। বাস্তবে তো বিয়ের আগেই কতো কেও করে ফেলে। আজি কিছু একটা করতে হবে।
ফারহান,,,,,,, কিন্তু আজ তো মুন তার বাপের বাড়ি যাবে।
রিমান,,,,,,,, সো ওয়াট,,, সেখানেই গিয়ে ধামাকা করবো।
ফারহান,,,,,,,,, আরাবের ১২ টা ১৩ টা বেঝে যাবে।
রিমান,,,,,,,, তাতে আমাদের কি, আমাদের আনন্দ নেওয়ার কাজ আনন্দ নিবো।
দুজনে হাই ফাইফ করে চলে যায়। আরাব আলমারি থেকে কাপড় বের করছে। মুন ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এসে, আরাবের অবস্থা দেখে জোরে জোরে হাসতে থাকে৷
আরাব,,,,,, এতে হাসার কি হলো।
মুন,,,,,,(জোরে জোরে হেঁসে) এখন এটা বইলেন না যে, এটা একটা স্টাইল।
মুন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
আরাব,,,,,,, রিমান আর ফারহান দুষ্টমি করতে গিয়ে ছিড়ে ফেলেছে।
,,,,,,,, হাহাহাহা অনেক ফানি লাগছে।
আরাব একটানে গেনজি খুলে ফেলে। মুনের হাসি বন্ধ হয়ে যায়। আরাব মুনের দিকে এগোতে থাকে, মুন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে।
মুন,,,,,, ক ক কি হলো আমার দিকে কেনো আসছেন।
আরাব মুনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, মুনের হার্ট বির্ড বেড়ে যাচ্ছে। আরাব মুনের কাছে এসে তার পাশ কাটিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়।মুন চোখ বড় বড় করে বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কিছু ক্ষন পর, মুন তার বুকে হাত দিয়ে, জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলে।
মুন,,,,,,,, হুহহ স্টাইল দেখাতে আসছে আমাকে। এমন স্টাইল আমরাও করতে পারি।
,,,,,,,,
আরাব আর মুন রেডি হয়ে, মুনের বাপের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে আরাবের অনেক খাতির দারী করা হয়। মুন শুধু বসে বসে মুখ বেকিয়ে সব দেখছে।
মুন,,,,,,,,, মা, তোমার মেয়েও এসেছে, এসছি পর থেকে শুনছি, বাবা এটা খাও বাবা ঐটা খাও। একবারো মা এটা খা শুনিনি।
মা,,,,,,,,,, চুপ মেয়ে, বিয়ে হয়ে গেছে তাও বুদ্ধি হলো না,
তোর যখন মেয়ে হবে আর তার যখন বিয়ে হবে তখন বুঝবি।
মুন,,,,,,,, আমি আমার মেয়েকে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিবো না, তাই না আরাব।
আরাব,,,,,,,, হুমম (মুনের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে)
মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে যায়।
,,,,,,,,,
রিমি আর মাহুয়া কলেজে যায়। গিয়ে ক্লাস করে দুজনে বাহিরে এসে আড্ডা দিতে থাকে। আর হেটে হেটে যেতে থাকে।
রিমি,,,,,,,,, ভাবি সামনে গিয়ে কিন্তু ফুচকা খাবো।
মাহুয়া,,,,,,,, ঠিক আছে, চলো, রিমি আমরা একি ক্লাসে পরি আমাকে ভাবি বলে ডাকো আমার কেমন নিজেকে বড় বড় লাগে।
রিমি,,,,,,,, আমার কিন্তু বেশ ভালো লাগে।
হাঁটতে হাটতে মেডিকেল এরসামনে চলে আসে, সব ডক্টর স্টুডেন্টরা বের হচ্ছে। তাদের ছুটি তাই।
রিমি,,,,,,, যানো ভাবি আমার না ডক্টর ছেলে খুব ভালো লাগে।
মাহুয়া,,,,,,, ফারহান জানে,,
রিমি,,,,,,, আমাকে কবর দিয়ে দিবে। আমি অসুস্থ হয়ে গেলেও না কোনো ছেলে ডক্টরের কাছে আমাকে জীবনে নিয়ে যাবে না। তোমার কোন ধরনের ছেলে পছন্দ।
মাহুয়া,,,,,, কোনো ধরনেরই না,, তোমার ভাইয়াকে কিভাবে মনে ধরে গেলো কে জানে, আমি তো ভেবে ছিলাম বিয়েই করবো না।
সামনে থেকে মাহি আসে।
মাহি,,,,,,,, হাই রিমি, এখানপ কি করছো।
রিমি,,,,,,, হ্যালো আপু,,আমার কলেজ ছুটি তাই আজকে হেঁটে যাচ্ছিলাম।
মাহি,,,,,,, ও,, তুমি কেমন আছো আর তোমার ভাইয়া কেমন আছে।
রিমি,,,,,,,, ভালো, তুমি কেমন আছো।
মাহি,,,,,,, ভালো।
রিমি,,,,, পরিচয় করিয়ে দিয়, এ হলো মাহুয়া আমার ক্লাস মেট।মাহুয়া এ হলো ড.মাহি।
মাহুয়া,,,,,, ওনার সাথে আমি আগেও পরিচিত হয়েছি, আর তুমাকে নাম ধরে কেনো ডাকছো, ভাবি ডাকতে এখনো ভাবি ডাকবে,ওনি তো আর রিমানের মা বাবা, বা কিছু হয় তো আর না,যে, জানলে অসুবিধা হবে (ধমক দিয়ে)
রিমি,,,,,,,,,, হেহহহ মাহুয়া।
মাহুয়া,,,,,,, আবার মাহুয়া,, ভাবি ডাকবে, কি ডাকবে,,(ধমক দিয়ে)
রিমি,,,,,,,,, ভাবি (কিছু বুঝতে না পেরে)
মাহি,,,,,,,,, ভাবি কেনো, তুমি কি
মাহুয়া,,,,,,, আমি রিমানের গার্লফ্রেন্ড খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবো আমরা।
মাহি,,,,,,, রিমান ও কি তোমাকে ভালোবাসে।
মাহুয়া,,,,,,, কি প্রশ্ন করছো,,ও আমাকে ভালো না বাসলে আমি ওর গার্লফ্রেন্ড হলাম কি করে। আচ্ছা এখন আসি, চলো রিমি।
মাহুয়া রিমিকে টানতে টানতে নিয়ে যায়,মাহি সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
,,,,,,,,রাতে
আরাব, মুন সবাই বসে বসে কথা বলছে,হাসছে। তখন রিমান আর ফারহান আসে।তাদের দেখে আরাব দাঁড়িয়ে যায়। দুজনে বড় একটা হাসি দিয়ে সোফায় বসে।
রিমান,,,,,,, বসে পড় ভাই।
আরাব বসতে বসতে বলে,,,,তোরা এখানে কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,, ভাই তোকে যে কি পরিমান মিস করছিলাম তা শুধু আমরাই জানি।
আরাব,,,,,,, অতি ভক্তি চুরের লক্ষন।
রিমান,,,,,,,, এতো বাঝে ধারনা তোর আমাদের সম্পর্কে, শুনে দুঃখ লাগলো।
মুন,,,,,,, আরে ওরা এসেছে তো তোমার কি হয়েছে।তোমরা বসো আমি নাস্তা নাস্তা নিয়ে আসছি।
ফারহান,,,,,,,, ভাবি সবার জন্য নিয়ে এসো কিন্তু, তোমাদের জন্য ও আমাদের আবার একা খেতে শরম লাগে।
আরাব,,,,,, তোদের আবার শরম।
রিমান,,,,,,, সবাইকে নিজের মতো ভাবিস না।
আরাব,,,,,,,, (ওরা এখানে এসেছে কিছু তো একটা রহস্য আছে,,কিছু তো একটা করতে এসেছে,কিন্তু কি)
রিমান,,,,,,,, এমন ভাবে তাকাস না পাগল লজ্জা লাগে।
আরাব,,,,,,, চল সর।
মুন নাস্তা আর সবার জন্য জুস নিয়ে এসেছে।
রিমান একটা জুসের গ্লাস নিয়ে সবার আড়ালে নিচে ধরে, আর ফারহান একটা ঔষধের সিসি বের করে দু ফোটা মিশিয়ে দেয়। রিমান গ্লাসটা আরাবের দিকে ধরে।
রিমান,,,,,,,, নে ধর। (হাসি দিয়ে)
আরাব সন্দেহর নজরে তাকিয়ে, অন্য গ্লাস নেয়।
রিমান,,,,,,,, শালা,,,আচ্ছা মুন, না মানে ভাবি তুমি নাও।
মুন,,,,,,,,,, আরে তোমরা খাও, আমি এখনি আসছি, তারপর খাবো।
মুন রান্না ঘরে চলে যায়। রিমান আর ফারহান হতাশা হয়ে, গ্লাসটা রেখে দেয়।
ফারহান,,,,,,, আমি বলেছিলাম রিমিকে নিয়ে আসতে,রিমি তাদের খায়িয়ে দিলো হলে।(আস্তে আস্তে)
রিমান,,,,,, রিমি একশটা প্রশ্ন করলো হলে,আর তার জবাব কিভাবে দিতি।
ফারহান,,,,,, ওকে বলতাম এটা একটা স্পেশাল জিনিস।
রিমান,,,,,, রিমি যে ছুছি এটা শুনার পর সে আগে খেয়ে দেখতো।
ফারহান,,,,,,, সর এভাবে বলিস না।
রিমান,,,,,,, এহেহহ মা থেকে মাসির দরদ বেশি,,আর তুমি কেনো রিমিকে আনতে বলছো সেটা মনে করছো আমি বুঝি না।
আরাব,,,,,,,, কি ফুসফুস করছিস।
রিমান,,,,,,, হিহিহি কিছু না।
ফারহান তাকিয়ে দেখে জুসের গ্লাসটা মুনের ভাই খেলে ফেলে।ফারহান রিমানকে ইশারা দিয়ে দেখায়।
রিমান,,,,,,, লে হালুয়া,,,, যাক সমস্যা নেয়, ওর বউ আছে না, তাহলে কি প্রবলেম।
মুনের জন্য আরেকটা গ্লাসে ওষুধ রাখে।
রিমান,,,,,,,, মুন ভাবি এই নাও।
মুন,,,,,,শুধু মুন বললেও চলবে (গ্লাসটা নিয়ে)
রিমান আর ফারহান খুশি হয়ে যায়। মুন গ্লাসটা নিয়ে তার পাশে থাকা ভাবিকে দিয়ে দেয়,আর নিজে অন্যটা নেয়।
রিমান,,,,,,, মারহাবা,, যাদের জন্য বানানো হয়েছে তারা ছাড়া দুনিয়ার সবাই খেয়ে নিচ্ছে।
কিছু ক্ষন পর,,,,
মুনের ভাই,,,,,,, অনেক গরম করছে তাই না।
আরাব,,,,,,, কোথায় , এসি তো ঠিক চলছে।
ভাই,,,,,, আমার গরম করছে কেনো তাহলে,,
ফারহান,,,,,,, আরো কতো কিছু করবে।
ভাবি,,,,,,,,, শুনছো আমার না কেমন জানি খারাপ লাগছে,আমি শুয়ে পড়লাম আর তুমিও আসো কথা আছে।
মা,,,,,,, আরে কতো কাজ আছে, এখনি চলে যাবে।
রিমান,,,,,, আরে আন্টি যেতে দিন,সারা দিন কাজ করে খারাপ লাগছে।
ভাবি তাড়াতাড়ি রুমে চলে যায়,
ভাই,,,,,,,, আপনারা থাকেন, আমার একটা জরুরি কাজ আছে।
রিমান,,,,,,, হুমম হুমম জানি।
ফারহান আর রিমান দুজনে চাপা হাসি দিতে থাকে।
আরাব,,,,,,,, কিরে তোরা এভাবে হাসছিস কেনো।
ফারহান,,,,,,, একটা জোক মনে পড়ে গেছিলো।
আরাব,,,,, কি জোক
ফারহান,,,,,, সরি ভুলে গেছি।
রিমান আর ফারহান অনেক ভাবে চেষ্টা করে কিন্তু খাওয়াতে পারে না।
রিমান আর কোনো উপায় নেয়, এটা আমাকে করতেই হবে।
ফারহান,,,,, কি।
রিমান একটা পায়েসের বাটি ফারহানকে দেয়,আরেকটা নিজে রাখে। আর সব গুলো পায়েসের বাটিতপ ঔষধ মিশিয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,, এটা কি করেছিস, এখন তো সবার।
রিমান,,,,,,, চুপ থাক এখানে সবাই বিবাহিত তাই চিন্তার কোনো ব্যাপার নেয়।
রিমান এটা বাটি আরাবের দিকে ধরে আরাব অন্য বাটি নিয়ে খেতে থাকে,মুন ও একটা নিয়ে খেতে থাকে। রিমান আর ফারহান হাসতে থাকে।
ওদের দুজনের কাওয়া শেষ।
আরাব,,,,, হঠাৎ করে এমন গরম লাগছে কেনো।
রিমান,,,,,,, চল ফারহান,, আমরা আসি আমাদের কাজ শেষ।
আরাব,,,,,,শালা দাঁড়া কি করছস।
ফারহান,,,,,, একটু পর টের পাবা,,বাই।
রিমান তার ফারহান তাড়াতাড়ি চলে যায়।
মুন,,,,,,, ওরা এতো তাড়াতাড়ি চলে গেলো কেনো। হঠাৎ করে আমার এমন অদ্ভুত লাগছে কেনো।
আরাব আর মুন শুধু ছটফট করছে।
মুন,,,,,,, আমার খারাপ লাগছে, আমি রুমে গেলাম (আমার হঠাৎ এমন লাগছে কেনো, কাওকে জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে, তবা তবা কেমন লাগছে)
মুন তাড়াতাড়ি রুমে যায়। আরাব বসে শুধু ছটফট করছে।
আরাব,,,,,,,, (শালা তোরা এটা ঠিক করলি না) আচ্ছা আমি এখন আসি।
বাবা,,,,,, আরে বসো তোমার সাথে কথা বলি।
আরাব,,,,,,,(এখানে আর বসে থাকা যাবে না বাবা বুঝার চেষ্টা করেন)
আরাব বার বার যাবো যাবো করছে, আর ছটফট করছে।
মা,,,,,,,, আরে ওদের নতুন বিয়ে হয়েছে, যেতে দাও,, যাও বাবা।
আরাব,,,,,,(গেলো আমার সম্মান মাটিতে,তোদের আমি ছাড়বো না)
আরাব তাড়াতাড়ি রুমে যায়, গিয়ে দরজা বন্ধ করে।
ফারহান আর রিমান আবার আসে।
বাবা,,,,,,তোমরা আবার।
রিমান,,,,,, আরাব কোথায়।
বাবা,,,,,, দুজোন রুমে গেছে।
রিমান,,,,, কাজ হয়েছে।
ফারহান,,,,, একটা জরুরি কথা আছে আরাবের সাথে, এখনি আসছি।
দুজোন তাড়াতাড়ি গিয়ে মুনের দরজা পিছন থেকে লাগিয়ে দেয়। আবার নিচে চলে আসে।
রিমান,,,,,,,, আলকেল তাদের ডিস্টার্ব করেন না, নতুন বিয়ে হয়েছে।
ফারহান,,,,,,, ডিস্টার্ব করতেও পারবে না,, দেখ আংকেল পায়েস খাচ্ছে। আচ্ছা আসি আমরা।
দুজনে চলে যায়।
আরাব রুমে ডুকে রিমির দিকে তাকায়, রিমিও নেশা ভরা চোখে আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।