you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
Part..14
#Maishara_Jahan
রিমান,,,,,,,,, বললি কেনো,এখন টিপে দে।
ফারহান রিমানের পা টিপছে। মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে।
সকালে,,,,,,,,
সবাই গায়ের হলুদের কাজে ব্যস্থ। পুরো বাড়ি গানের আওয়াজে শিহরিত। আরাব সকাল সকাল প্রতিবন্ধীর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারন সে কথা বলার মতো কাওকেই পাচ্ছে না। তার কোনো কাজও নেয়।
আরাব,,,,,,,,,, অদ্ভুত আমার বিয়ে আর আমাকে কেও পাত্তায় দিচ্ছে না। রিমান আর ফারহান কোথায় সকাল থেকে দেখছি না।
ফারহান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লাইটিং এর কাজ দেখছে। রিমি লাফাতে লাফাতে আসে।
রিমি,,,,,,,,, কি করো।
ফারহান,,,,,,,,, দেখছিস না লাইটিং এর কাজ দেখছি।
রিমি,,,,,,,, সে তো ঠিক আছে, তোমার এমন লাল লাল দাগ কেনো।
ফারহান,,,,,,,,,, বেস্টফ্রেন্ডের বোনের সাথে প্রেম করলে যা হয় আরকি (একটু আস্তে)
,,,,,,, কিহহ শুনলাম না,আবার বলো
,,,,,,,, কিছু না,, এটা তো ভালোবাসার দাগ।
,,,,,,, মানে।
,,,,,,,, মানে তোর বুঝে লাভ নেয়। এক কাজ কর।
,,,,,,, কি (বড়ো একটা হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,, যা এখান থেকে আর এক দুদিন আমার সামনে আসিস না, মানে একটু দূরে দূরে থাকিস।
,,,,,,,,, কেনো। (কপাল ভাজ করে)
,,,,,,,,, ঐটা তোকে বলতে পারবো না৷
,,,,,,,,, এখন বুঝি আমাকে আর ভালো লাগে না,, বিয়েতে সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখে কি মন পাল্টে গেলো নাকি। (মন খারাপ করে)
,,,,,,,,,, কি বলছিস কোনো ধারনা আছে তোর। আমার মন কোনো টিভির চেলেন নাকি যে,পাল্টে যাবে।
,,,,,,,,,, ছেলেদের মন এমনি হয়। আপনার মন পাল্টে গেছে না হলে কখনো এমন ভাবে বলতেন না। (ঠোঁট বেকিয়ে কান্নার ভাব নিয়ে)
রিমি যেতে নেয়, ফারহান রিমির হাত ধরে তার দিকে ঘুরায়। রিমি ঠোঁট বেকিয়ে কান্নার ভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,, আমার জানেমান রাগ করেছে।
রিমি,,,,,,,,,, হুমম অনেক।
ফারহান,,,,,,,,, ইশশশ এভাবে ঠোঁট বেকিয়ে রাখিস না। বুকে আঘাত লাগে, কেমন কেমন ফিলিং আসে তোকে বলতেও পারবো না।
রিমি,,,,,,, ছিঃ,, ছাড়েন আমাকে।
ফারহান,,,,,,,,,, আবার আপনিতে চলে গেছিস।
ফারহান রিমির পিছনে তাকিয়ে দেখে রিমান দাঁড়িয়ে আছে, ওদের এদিকেই আসছে, রিমানকে দেখে ফারহান রিমির হাত ছেড়ে দিয়ে ইনোসেন্ট একটা হাসি দেয়। রিমান তাদের কাছে এসে একটা হাসি দেয়।
রিমান,,,,,,,,, কি চলছে এখানে (হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, কই কিছুই না।
রিমান,,,,,,,,, সেটা তো দেখলামি। রিমি তোর কোনো কাজ নেয়।
রিমি,,,,,,,,, না।
রিমান,,,,,,,, কাম চুর,,, কেনো নেয় একটু বলবেন এখানে সবাই কিছু না কিছু করছে।
রিমি,,,,,,,,, আমি অসুস্থ তো, তাই কেও আমাকে দিয়ে কিছু করাচ্ছে না।
রিমান,,,,,,,,, কিছু ক্ষন আগে যে তুই লাফিয়ে লাফিয়ে নাচ্ছিলি তখন কোথায় ছিলো তো অসুস্থ।
ফারহান,,,,,,,,,, তুই ডান্স করছিলি (রাগে)
রিমান,,,,,,,, ও ভাই তুই কেনো এতো এক্সাইটেড হচ্ছিস কুল। বিয়ের বাড়িতে বরের ভাই বোন নাচবে না, তো কি বুড়ো বুড়ি নাচবে।
আরাব,,,,,,,, তোরা এখানে আর আমি সারা বাড়ি খুঁজে মরি।
রিমান,,,,,,,,, তোরি বাকি ছিলো,, একে দেখে কেও বলবে যে আজ ওর বিয়ে।
আরাব,,,,,,,,কেনো বলবে না।
রিমান,,,,,,,, কোন জামাই নিজের গায়ের হলুদে এমন বেশরমের মতো সারা বাড়ি গুড়ে।
আরাব,,,,,,,,, তোর বিয়ের সময় দেখবো নে,,
রিমান,,,,,, শালার বিয়ের বউয়ি তো রাজি হয় না।
ফারহান,,,,,,,, ইশশ কি দুঃখ।
রিমান,,,,,,,, তুই আর ভাব দেখাস না। রিমি তুই যা এখান থেকে৷
রিমি,,,,,,,,, যামু না কি করবি।
রিমান,,,,,,,,, দেখ আল্লাহ কি বোন দিছে, বড় ভাইয়ের কোনো সম্মান নেয়।
ফারহান,,,,,,,, রিমি তুই এখন এখান থেকে যা।
রিমি,,,,,,,, ঠিক আছে।
রিমান,,,,,,,,,, আমি বলছি কানে ডুকে নাই, এখন যাবি কেন,,তুই এখানেই থাকবি।
রিমি,,,,,,,, আরে দূরর আমি যামু না থাকমু।
আরাব,,,,,,,,,, রিমি তুই এখন দৌড়ে এখান থেকে যা। না হলে বিপদে পড়বি।
রিমি আর কিছু না ভেবে চলে যায়, আবার পিছনে ফিরে দেখে, সন্দেহজনক নজরে।
রিমান,,,,,,,, এই তুই পিছনে ফিরে তাকাস কেন।
রিমি তাড়াতাড়ি দৌড়ে চলে যায়।
ফারহান,,,,,,, এমন করার কি আছে আমি সেটাই বুঝতে পারছিনা।
এটা বলার সাথে সাথে আরাব আর রিমান চোখ ছোট ছোট করে ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারহান তাদের দিকে তাকিয়ে একটা ইনোসেন্ট হাসি দেয়। আরাব ফারহানের মাথায় থাপ্পড় মেরে বলে,
,,,,,,,,, তোর বোন থাকলে বুঝতি।
রিমান,,,,,,,, একে থাপ্পড় না লাফি দেওয়া উচিত।
রিমান পা দিয়ে বড়ো করে লাথি দিতে যায় আর ফারহান সাথে সাথে সরে যায় আর রিমান ঠাস করে পড়ে যায়।
রিমান,,,,,,,, আল্লাহ আমার কোমড় গেলো গো,, ফারহানের বাচ্চা।
ফারহান,,,,,,,, ভাই কাল রাতের ব্যাথা এখনো যায় নি, আর মার খেতে পারবো না।
আরাব রিমানের দিকে আসে, রিমান হাত বাড়িয়ে দেয়, উঠার জন্য। আরাব রিমানকে ডেঙ্গিয়ে। চলে যেতে থাকে।
আরাব,,,,,,, আমার ক্ষুধা লেগেছে বাই।
রিমান,,,,,,,,, শালা হারামি।
রিমান হাত বাড়িয়ে সামনে তাকায় দেখে ফারহান ও নেয়। তারপর রিমান একা একাই উঠে।
রিমান,,,,,,, সবাইকে দেখে নিবো।
বিকেল হয়ে আসে,, মেহমান সবাই চলে আসে,, আরাবকে বসিয়ে হলুদ দেওয়া হবে একটু পড়। ছেলেরা সবাই হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে। মেয়েরা হলুদ শাড়ি।
মাহুয়া আসবে নাকি আসবে না সেটা ভাবছে। একে তো প্রথম শাড়ী পড়ছে। তার মধ্যে লজ্জা করছে। গেইডে দাঁড়িয়ে সে কাওকে খুঁজছে যার সাথে সে ভিতরে যেতে পারবে৷ কাওকে না দেখাতে একায় চলে যায়। কেও মাহুয়াকে চিনছেই না। শুধু তাকিয়ে আছে।
মাহুয়া মাথা নিচু করে তাড়াতাড়ি যেতে থাকে, হঠাৎ একটা হাত মাহুয়াকে জোরে টান দেয়। মাহুয়া দেওয়ালের সাথে মিশে যায়। মাহুয়া চোখ উঠিয়ে দেখে রিমান। হাতের কনুই দেওয়ালে ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মাহুয়া,,,,,,, এমন করে কেও টান দেয়।
রিমান,,,,,,,, আজ তো মনে হয় আমি মরেই যাবো। কি যে লাগছে। তোমাকে দেখে আমার কি যে হচ্ছে আমি বলে বুঝাতে পারবো না।
,,,,,,,, আর বলতেও হবে না,,, ধন্যবাদ আমার বাসায় পার্লার থেকে মেয়ে পাঠানোর জন্য।
,,,,,,,,, সে ঠিক আছে,, তবে শাড়ি পড়লে যে, লেহেঙ্গা কোথায়।
,,,,,,, রিমি বললো হলুদে সবাই হলুদ মাখামাখি করবে, রং দিবে তাই শাড়ি পড়ে আসতে পড়ে সন্ধ্যায় সে আমাকে লেহেঙ্গা পড়িয়ে সাজিয়ে দিবে। আমার লেহেঙ্গা ওর কাছে।
,,,,,,,,,, তোমাকে দেখে আমার একটা গান মনে পড়ছে।
,,,,,,,,, কি গান।
,,,,,,,,, ইচ্ছে করে একি ঘরে থাকি দুজনে। (গান গেয়ে)
,,,,,,,, যেমন আপনি ফালতু তেমন আপনার গান ও ফালতু। (লজ্জা পেয়ে)
রিমান তার মুখ মাহুয়ার কাছে আনে।
রিমান,,,,,,, তুমি কি লজ্জা পাচ্ছো।
,,,,,,,, ক ক কে লজ্জা পাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,, কি হচ্ছে এখানে। (হেসে হেসে)
রিমান আর মাহুয়া তাড়াতাড়ি সরে যায়। মাহুয়া তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যায়।
রিমান,,,,,,,, কি হচ্ছে, আমারা শুধু কথা বলছিলাম।
ফারহান রিমানকে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে, তার কাছে গিয়ে বলে,,
ফারহান,,,,,,,,, এভাবে কি এমন কথা বলছিলে।
রিমান,,,,,, জাস্ট এমনি কেমন আছো কি,,
একটা লোক তাদের দেখে কাশি দিয়ে, তাদের দিকে সন্দেহর নজরে তাকিয়ে তাকিয়ে যায়। ফারহান আর রিমান ঐ লোকের যাওয়া দেখতে থাকে। লোকটা চলে গেলে সাইডে তাকিয়ে দেখে আরাব হা করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,, তোরা ঠিক কি করছিস, তাও আবার এভাবে। (ব্রু একটা উঠিয়ে)
ফারহান আর রিমান দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি সরে যায়।
ফারহান,,,,,,,, রিমান আর মাহুয়া কিভাবে ছিলো আমি শুধু সেটা দেখাছিলাম অন্য কিছু না।
আরাব,,,,,,,,, কাকে দেখাচ্ছিলি। তোদের মধ্যে কোনো প্রবলেম নেয় তো।
রিমান,,,,,,,,, ওও ভাই কি বলছিস, আমাদের দুজনার গার্লফ্রেন্ড আছে।
আরাব,,,,,,,, আচ্ছা তুই মাহুয়ার এতো কাছে কি করছিলি। (দুষ্টু হাসি দিয়ে)
রিমান,,,,,,,, একটু রোমান্স করার চেষ্টা যেটা আর হতে দিলো কোথায়।
ফারহান,,,,,,,, নিজে করলে কিছু না, অন্য জন করলেই দোষ।
রিমান,,,,,,,, তোরে তো আমি,,
আরাব,,,,,,, ওকে, এই টপিক বাদ,, একটা কথা বল, আমি সেই কখন ধরে বসে আছি তোরা আমাকে নিতে আসবি। কিন্তু কেও এলি না।
রিমান,,,,,,, তুই কি মেয়ে নাকি যে লজ্জায় আসতে পারছিস না।
ফারহান,,,,,,,, আসলে আয় না আসলে নায়। চল রিমান আমরা গিয়ে স্টেজে বসে থাকি।
রিমান,,,,,,, চল।
দুজন দুজনার কাঁধে হাত রেখে যেতে থাকে।
আরাব,,,,,,,,,, তোদের মতো ফ্রেন্ড পেয়ে জীবন ধন্য। হাড়ামিরা।
আরাব স্টেজে এসে দেখে তার বসার জায়গা নেয়,, রিমান তার জায়গায় মাঝখানে বসে আছে।
আরাব,,,,,,,,, রিমান এটা আমার জায়গা।
রিমান,,,,,,, জায়গার কি অভাব আছে, যেখানে খুশি বসে পড়।
আরাব,,,,,,,,,, আরে সর,, আমার বিয়ে।
রিমানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। স্টেজটা বাগানের সামনে লাগানো হয়।
আরাব,,,,,,,, বিয়েতে হলুদ মাখানো জরুরি নাকি। রিমান ফারহান সবাইকে বলিস একটু করে কোনো মতো হলুদ ছৌয়াতে। আর তোরাও বেশি লাগাস না পিল্জ৷
রিমান,,,,,,, ওকে ওকে।
ফারহান,,,,,, তুই কোনো চিন্তা করিস না।
রিমি বড়ো একটা থালা নিয়ে নিচে নামছে। থালাতে হলুদ বাটি, আরো যা যা লাগে ঐগুলো। এগুলো নিয়ে আসছে। ফারহান রিমির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,, রিমিকে সুন্দর লাগছে না অনেক।
ফারহান,,,,,,, হুমম অনেক (রিমির দিকে তাকিয়ে)
রিমান,,,,,,, আমার বোনকে চোখ দিয়ে দেখা যায় তার জন্য মুখ খুলা রাখার কোনো দরকার নেয়৷
ফারহান,,,,,,,,, হুমম (অন্য মানুষ্ক্য হয়ে)
রিমান,,,,,,,, আরে চোখ রসগোল্লার মতো চোখ দুটো অন্য দিকে ঘুরা (ফারহানের মাথায় মেরে)
ফারহান,,,,,,,,, কেনো আমার লাভ স্টোরিতে ভিলেনের পার্ট করছিস। তোরা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,, ফ্রেন্ড হয়ে ভাব না৷
রিমান,,,,,,,,, আমার কাজ ভিলেনের মতো লাগছে।
ফারহান,,,,,,,, তাহলে আবার। (রাগ করে)
রিমান,,,,,,,, আচ্ছা সরি,,,, ঠিক আছে বন্ধু হয়ে ভাবছি,, প্রেম করবি ভালো কথা, কিন্তু আমাদের সম্মানের কথাও মাথায় রাখিস।
ফারহান,,,,,,,,,, আরে লুকিয়ে কিস করলে মান সম্মানের কি হবে।
রিমান আরাব ফারহানের দিকে আবার চোখ ছোট করে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,, আচ্ছা সরি,ভুলে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে।
আরাব,,,,,,,,, ফারহান চোর কে চোর তখন বলা হয় যখন সে ধরা পড়ে যায়, কথাটা মাথায় রাখিস।
রিমান,,,,,,,, তোর দেখা যায় অনেক অভিজ্ঞতা আছে।
আরাবকে হলুদ লাগানো শুরু হয়। সবাই একে একে এসে হলুদ ছুঁয়িয়ে যাচ্ছে। ফারহান আরাবের সামনে এসে একটা হাসি দেয়,আরাব ও একটা হাসি দেয়।
ফারহান,,,,,,,,, এভাবে কেও হলুদ দেয়, আমি দেখাচ্ছি কিভাবে দিতে হয়।
ফারহান বাটি থেকে হাত ভরে হলুদ নিয়ে আরাবের মুখ ভরিয়ে দেয়৷ আরাব হা করে আছে। রিমান এসে শরীরে যেটুকু জায়গা বাকি আছে, সব জায়গায় ঢলে ঢলে হলুদ লাগায়৷ আরাব অসহায় এর মতো বসে আছে। আর রাগে দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে। আর দুজন দাঁত কেলিয়ে হাসছে।
রিমি,,,,,,,ভাইয়া তোমাকে না বেসনের মধ্যে বেগুন ডুবানোর মতো লাগছে (হেঁসে হেঁসে)
রিমান,,,,,,, ঠিক, আমার হেন্সাম বেগুনি।
আরাব,,,,,,,,,, তোদের মতো বন্ধু থাকলে শত্রুর কি দরকার।
সবাই গায়ের হলুদে সেই আনন্দ করছে। সবাইকে হলুদ লাগাচ্ছে। রং মাখা মাখি হচ্ছে। আরাব চুপচাপ বসে দেখছে। বিচারার চোখ ও ভালো করে দেখা যাচ্ছে না।
রিমান মাহুয়াকে ধরে ইচ্ছে মতো হলুদ লাগাচ্ছে।
রিমি দৌড়াচ্ছে, ফারহান রিমির হাত ধরে ফেলে। ধরে আবার ছেড়ে দেয়। রিমি অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।
রিমি,,,,,,, হাতটা ছেড়ে দিলেন যে।
ফারহান,,,,,,, ছাড়তে মন তো চাইছে না, তবে বাসায় মানুষ অনেক, আমি চাই না কেও তোকে নিয়ে খারাপ কিছু বলুক। তবে আজকে তোকে ঠিক আমার বউয়ের মতো সুন্দর লাগছে।
রিমি,,,,,,, সবাই বলছিলো আজকে নাকি আমাকে বেশ সুন্দর লাগছে।,,,,, (লজ্জা পাওয়ার মতো ভাব করে)
ফারহান,,,,,,,,, ঠিক কারা কারা বলছিলো। (সন্দেহর নজরে)
রিমি,,,,,,,, অনেকেই (ভাব দেখিয়ে)
ফারহান হলুদ নিয়ে রিমির পুরো মুখ মাখিয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,, এখন আর কেও বলবে না।
রিমি,,,,,,,, তো কি হয়েছে, একটু পর আমি আবার সাজবো। (জিহবা বের করে ভেঙিয়ে দৌড় দেয়)
অনেক ক্ষন মাখামাখি নাচ গানের পরে, আবারকে নিয়ে গোসল করানো হয়। সবাই গোসল করে আবার রেডি হয়ে আসে, সন্ধ্যায়। মেয়েরা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে মুনের বাসায় হলুদ দিতে যায়।
এবার আরাব, রিমান, ফারহান হলুদ সেরওয়ানী পড়ে। এবার পার্টি হবে ছাদে। সন্ধ্যার পার্টির জন্য ছাদে আয়োজন করা হয়। ছাদটা অনেক বড়ো হওয়ার কারনে কোনো সমস্যা হয় না।
নাচ গান হচ্ছে।
রিমান,,,,,,, মেয়েরা সব কোথায় গেলো, দশমিনিটের রাস্তা এতো দেড়ি লাগে আসতে।
ফারহান,,,,,,,, ঐখানে গিয়েই কি আসতে পারবে, খেয়ে দেয়ে আসবে।
আরাব,,,,,,, আমার কানের কাছে কেন কেন করবি না।
রিমান,,,,,,, শালা তোর কারনে এখানে আছি, নাহলে কবে চলে যেতাম।
আরাব,,,,,,,,, মেহের বানী করেছিস আমার উপরে।
ফারহান,,,,,,, আবার জিজ্ঞেস করে। ঐ রিমান দেখ সামনে কে হেঁটে আসছে।
রিমান তাকিয়ে দেখে মাহি আসছে, তাও আবার রেডিমেড শারী পড়ে। সিলবার কালারের শাড়ী পড়ে আসে।
মাহি,,,,,,,,, হ্যালো।
আরাব,,,,,,, ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য।
মাহি,,,,,,,,, রিমান ইনভাইট করতে আসবে আর আমি আসবো না এটা কি হয়।
আরাব আর ফারহান রিমানের দিকে তাকায়, তাকিয়ে কয়েকটা কাশি দেয়।
রিমান,,,,,,, ধন্যবাদ,,, রিমি আপনাকে দেখলে অনেক খুশি হবে।
মাহি,,,,,, কোথায় রিমি।
রিমান,,,,,,,, বউদের বাসায় গেছে হলুদ দিতে। একটু পড়েই চলে আসবে৷
আরাব আর ফারহান কান পেতে শুনছে কি বলছে।
রিমান,,,,,, চলো একটু দূরে গিয়ে কথা বলি। এখানে অনেক ডিস্টার্ব হচ্ছে। (ফারহান আর আরাবের দিকে তাকিয়ে)
মাহি,,,,,, হুমম,,চলেন।
মাহি একটু দূরে গিয়ে শাড়ীর সাথে বেঝে পড়ে যেতে নেয় আর রিমান ধরে ফেলে। আরাব আর ফারহান ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আরাব,,,,,,, ফারহান ওদের না দেকে একটু সামনে তাকা।
ফারহান সামনে তাকিয়ে দেখে মাহুয়া চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে। রাগে মুখের হাভ ভাব পাল্টে গেছে।
আরাব,,,,,,,,, বিচারা রিমান লাভ স্টোরি শুরু হওয়ার আগেই শেষ।
ফারহান,,,,,,,,, মাহুয়া যে মেয়ে রিমানের কপালে শনি আছে। শুধু দোয়া করি মাইর যাতে দেয়।
আরাব ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,, তুই রিমানকে মাইর খাওয়াতে চাস।
ফারহান,,,,,,,, হহহ,, শয়তান আমাকে অনেক মারছে।
আরাব,,,,,,,, দেখ মাহুয়া কি গতিতে রিমানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আল্লাহ বাঁচাক আমার বন্ধু কে।
সরি একটু বিজি আছি তাই গল্প বেশি বড়ো করে দিতে পারছি না।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।