“আপনি আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ, কয়েক ঘন্টা থেকে এরা আমায় আটকে রেখেছে কিন্তু আমার দোষটা কি তাই বুঝতে পারছিনা”
“হুসসসসস..!চুপ!
ঈশা কান্নার সুরে কথাটি বললে ঈশান তাকে ইশারা করে থামিয়ে দেয়।প্রায় বারো মিনিট থেকে ঈশান ঈশাকে পরখ করছে। দুজনেই বসে আছে সামনা সামনি।তবে ঈশাকে চেয়ারের সাথে মোটা দড়ি দিয়ে বাধা।
কত অপেক্ষা প্রতিক্ষার পর যেনো ঈশার দেখা ঈশান পেয়েছে।না দেখা চোখ দুটো চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে ঈশার দিকে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে দুচোখের।
ঈশা আবারো ডুকরে কেদেঁ উঠে,
” আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ আমার দোষটাকি।ট্রাস্ট মি..এখান থেকে বের হতে পারলে আর কখনো আপনাদের সামনে আসবো না।
ঈশার কথা শুনে ঈশানের বুকের ভেতরে ধক করে উঠে। ঈশা আর আসবে না তার সামনে! ভাবতেই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে তার।যে মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে অনন্ত কাল পার করা যায় তাকে তো যেকোন মূল্যেই ঈশানের চাই।
পাশে থাকা ছোট একটি টেবিল থেকে রুমাল নিয়ে ঈশার মুখ বেধেঁ দেয় ঈশান। তবে ঈশা আত্নোৎনাদ করতে নিলে ঈশানের চোখের দিকে তাকিয়ে যে ভয় পেয়ে যায়।
ঈশান রুম থেকে বেরিয়ে ঠাসস করে দরজা লাগিয়ে দেয় বাইরে থেকে।ঈশান রুম থেকে বেরিয়ে আসলেই তার তিন বন্ধু রাসেল, সাইফ,নাজিম এগিয়ে আসে।সাইফ ঈশানের দিকে তাকিয়ে বলে,
“দেখেছিস কি হট মাইরে…!চল এর সাথে খেলে অন্যভাবে প্রতিশোধটা তুলি।
ঈশান চুপ চাপ গম্ভীর হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু নাজিম সাইফের কথায় তাল মিলিয়ে বলে,
” অবশ্যই, খেলা তো হবেই।এতো সুন্দর পাখি পেয়েছি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নয়।
ঈশান দুজনের দিকে গম্ভীর হয়ে তাকিয়ে বলে,
“কখনো না। তোদের এতো খেলতে ইচ্ছে হলে পতিতালয়ে যা খবর দার ওই মেয়ের সাথে কিছু করবিনা।
“কেনরে ভাই, ইউএস এ কি এইসব চলে না নাকি তুই করতি না।এখন এসেছিস সাধু সাজতে বিডিতে এসে কি তুই ভদ্র হয়ে গেছিস নাকি! নাকি পবিত্র সাজাচ্ছিস নিজেকে।নাকি মেয়েটাকে একাই ভোগ করবি আমাদের ভাগে দিবি না।(বিশ্রি হাসি দিয়ে)
কথা শেষ করতেই ঈশান সাইফকে চড় দিতে নেয়।কিন্তু মূহুর্তেই হাত নামিয়ে শাটের কলার টেনে নাকে দুইটা পাঞ্চ দেয়।সাইফের নাক থেকে গল গল করে রক্ত ঝরছে।ঈশান আবারো কলার টেনে বলে,
” খবরদার ওই মেয়ের সাথে যদি কিছু করিস এই দুনিয়া তোদের জন্য জাহান্নাম বানিয়ে ছাড়বো।
“কেন রে এতো কিসের দরদ ওর জন্য কে হয় তোর..!ওই মেয়ের জন্য আমাদের গায়ে হাত তুলিস (রেগে নাজিম)
“She is my heart…! So none of you will touch him…!(চিল্লিয়ে)
কথাটি বলেই সামনে থাকা একটি চেয়ারের উপর জোরে লাথি দেয় ঈশান।আজ রাগ তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।যত যাই হোক ঈশাকে নিয়ে তার বন্ধুরা বাজে কমেন্ট করেছে,খারাপ ইশারা ইংগিত করেছে তা সে কিছুতেই মানতে পারছেনা।
ঈশানের কথায় রাসেল কিছুক্ষন বরফের মতো শক্ত হয়ে যায়। কি বলছে এই ছেলে এই মেয়েকে আগে কখনো দেখে নি তারা।ইউএস এ থাকাকালীন ঈশান কোন মেয়ের প্রতি তেমন কোন ইন্টারেস্ট দেখায় নি তবে বিডিতে এসে একটা মেয়ের জন্য গত পাচঁ বছরের বন্ধুর গায়ে হাত তুললো!…কিছুতো একটা গড়বড় আছেই। রাসেল বুঝতে পারে ঈশানের রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সে এখন হিংস্র হয়ে যাবে যাবে পাবে তাই ভাঙ্গবে। তাই রাসেল এগিয়ে এসে ঈশানের কাধেঁ হাত রাখলো..
” আরে চাপ নিস না। শুন, তুই কি করবি মেয়েটাকে।তোর নির্দেশেই মেয়েটাকে তুলে আনা হয়েছে তাহলে এখন ওদের সাথে এমন করছিস কেন?
“আমি মেয়েটাকে আনতে বলেছি এই না যে ওই মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করবো আর আমি জানতাম না ওই মেয়ে সেই…….
মুখের কথা শেষ না করেই ঈশান কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়।রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলে,
” আরেকজন মেয়ে থাকার কথা সে কই?
“পাশের রুমে।
” ওকে চল আগে প্রথম মেয়েটার কাছে যাই।ওই তোরাও আয়..!(নাজিম আর৷ সাইফকে উদ্দেশ্য করে)
নাজিম আর সাইফ দুজনে ঈশানের সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে থাকে। কেননা ঈশান যদি তাদের উপর রেগে থাকে তবে তাদের লস হয়ে যাবে।
নিজ নিজ সার্থের জন্য দুজনেই ঈশানের কাছে মাফ চেয়ে নেয়।
আর এদিকে রাগে ঈশার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। কেন শুধু শুধু এই ভাবে তাকে বেধে রেখেছে, না বলে হুদাই সবাই তার উপর রাগ দেখাচ্ছে।এরা কি পাগলা গারদ থেকে উঠে এসেছে, নাকি সবাই একসাথে পালিয়ে এসেছে ভেবে পায় না ঈশা।বিরক্ত হয়ে ভাবতে থাকে সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো।……
ভোর পাচঁটা বেজে তেতাল্লিশ মিনিট হুট করেই কে যেন কল করে ঈশার ফোনে।ঘুমন্ত চোখেই ফোনটি রিসিভ করতে কানে ভেসে আসে এক মিষ্টি কন্ঠ হুট করেই উঠে বসে যায় সে।
“মেম আপনার জন্য একটা পার্সেল আছে। দয়া করে আপনাদের ফ্লাটের গলিত মোড় থেকে পার্সেলটি নিয়ে যান। আমি অপেক্ষা করছি।
কথাটি বলেই ছেলেটি ফোন কেটে দেয়।এদিকে ঈশা ভাবতে থাকে কে তাকে গিফট দেবে তাও এতো সকাল সকাল পার্সেল আসবে। মূহুর্তেই মনে পড়ে আর তিনদিন পর তার জন্মদিন হয়তো তার দুই বেস্ট ফ্রেন্ড অনু আর দিহান পাঠিয়েছে। আগের বারো তারা ঠিক একই ভাবে সারপ্রাইজ দিয়েছিল কিন্তু এতো আগে তো দেয় নি।দূর এইসব ভেবে ঈশার কি সে তো খুশিতে নাচতে নাচতে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পা চালায়। তখনি বাধা দেয় তার বাবা মুজাহিদ,কিন্তু হাটতে যাওয়ার নাম করে বাবাকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রায় ভোর ছয়টা দশে গলির মোড়ে যায় সে।সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল বড় প্যাকেট হাতে ছেলেটি।ছেলেটিকে দেখে ঈশা খুশিতে গদ গদ হয়ে ছেলের সামনে দাড়ালে ছেলেটি বলে,
” Sorry for everything…!
ঈশার ভ্রু যুগল কুচকে যায় কিছু ভাবার আগেই ছেলেটি ক্লোরাফর্ম স্পে করা রুমাল মুখে চেপে ধরে।সম্পূর্ণ সেন্সলেস হওয়ার আগে সে খেয়াল করে তাকে একটি গাড়িতে তোলা হচ্ছে।আর যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে এইভাবে চেয়ারের সাথে বাধা অবস্থায় দেখে।কিছুক্ষণ পর রুমে প্রবেশ করে দুটো ছেলে তাদের নামগুলো মনে আছে ঈশার। একজন রাসেল আরেকজন সাইফ কিন্তু তাদের কাউকে চিনেনা ঈশা।
সাইফ নামের ছেলেটার যে চরিত্রের দোষ আছে তা ঈশা বুঝে ফেলেছে গত কয়েক মিনিটেই।কিন্তু কিছুক্ষন আগে যে ছেলেটি রুমে প্রবেশ করলো ধব ধবে সাদা গালে খোচা খোচা চাপা দাড়ি তাকে দেখে ঈশার পাগল ছাড়া কিছুই মনে হয় নি। কেমন যেন পাগল, পাগল! মাতাল , মাতাল চাহনি।যে কেউ দেখলেই ক্রাশ নামক বাশটা খাবে ছেলের উপর।কিন্তু এই সময় এইসব ক্রাশ বাশ মোটেই খেতে ইচ্ছে করছেনা ঈশার। তার মন চাইছে এখান থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে।
ঈশার সামনে বসে আছে ঈশান ঈশানের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে সাইফ রাসেল আর একটু সামনেই নাজিম।সবার দৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈশা নাজিমের দিকে ঘৃণার দিষ্টিতে তাকিয়ে আছে বিষয়টা ভালো ভাবেই নোটিস করেছে ঈশান তবে ব্যাপারটা কিছুটা হলেও পরিষ্কার তার কাছে।
“তারপর বলো, আমার বন্ধুর মাথা ফাটিয়েছো কেন?(ঈশান
ঈশা নাজিমের দিকে আরেকবার তাকায়।নাজিমের মাথা থেকে চোখ পর্যন্ত সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো।আর মাথাটা ফাটিয়েছে ঈশা নিজেই।
“আপনার বন্ধু কোন সম্মানীয় কাজ করেনি যে আমি তাকে সম্মাননা দেবো.(ফিচেল হাসি দিয়ে)
ঈশার কাট কাট জবাবে ঈশান বুঝেছে মেয়েটা রেগে গেলে সব ভুলে যায়।সামনে থাকা বলিষ্ঠ চারটা ছেলে দেখেও নিজেকে স্বাভাবিক এবং রাগী মুখ করে রেখেছে।
” তাই নাকি আমার বন্ধু কি করেছে একটু শুনতে চাই আমি।কি এমন কারনে তুমি তার মাথা ফাটিয়ে ২ দিন হসপিটালের জন্য এডমিট করে রেখেছো?(ভ্রু কুচকে)
ঈশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাজিম বলে,
“এএএই একদম উলটা পালটা কথা বলবেন না বলেদিচ্ছি।আ.আ আমি কিচ্ছু করেনি ঈশান তুই এই মেয়ের কথা একদম বিশ্বাস করিস না বলে দিচ্ছি! (তোতলাতে তোতলাতে)
নাজিমের কথা গুলো শুনে ঈশান কিছুটা সন্দেহ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়।ঈশা রেগে বলে,
” খবরদার বলে দিচ্ছি আমাকে মিথ্যুক প্রমান করবেন না ।একবার ছাড়া পাই আরেক বার মাথা ফাটিয়ে ছাড়বো বলে দিলাম(রেগে)
ঈশার রাগ দেখে ঈশান এবার বেশ নড়ে চড়ে বসে।
মনে মনে হেসে বলে,
“উফফফ রেগে গেলে মেয়েটাকে আমার ভাবনার থেকে ও সুন্দর লাগে।তার ভয়ার্ত চেহারা যেমন অতুলনীয় তেমন রাগী চেহারা বাঘেনীর মতো।এমন মেয়ে তো আমার পছন্দ একটু রাগ একটু জেদ আর একটু ভয়ার্ত দৃষ্টি আমাকে ঘায়েল করে ছাড়ছে।আই লাইক ইট বেবি ক্যারি অন..!
” হোয়াট দা হেল…ট্রাকের তলায় পিষে মারবো তোকে বলে দিলাম।
অতিরিক্ত রেগে নিজের নিয়ণন্ত্রন হারিয়ে ফেলে কথাটি বলে নাজিম।কিন্তু ঈশানের ক্রুদ্ধ দৃষ্টি দেখে নিজেকে সামলে নেয়।
ঈশান ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে,
“ওই দিন কি হয়েছে আমি শুধু তা জানতে চাই..!
” ছিহহ! উনি কি করেছে উনাকেই জিজ্ঞেস করুন।
“আমি তোমার কাছে যানতে চাই। এক থেকে তিন কাউন করবো তার মধ্যে না বললে….
ঈশান পকেট থেকে একটা ছোট্ট চাকু আর রিভেলবার বের করে।
ঈশা এবার কিছুটা হলেও দমে যায়।তারপর গলার স্বর পালটে বলে,
” আসলে ওই দিন………
সেদিন দুপুরে কলেজ শেষে ঈশা আর তার বান্ধুবি অনু নিরিবিলি রাস্তা ধরে গুটি গুটি পায়ে হাটছিল হঠাৎ করে খেয়াল করে, একটি পার্কের এক কোনে একটি ছেলে আর একটি ফুল বিক্রতা মেয়ে।মেয়েটি কিছু বারন করছে আর ছেলেটি চাপা কন্ঠে ঘমকাচ্ছে মেয়েটাকে।
ঈশার বুঝতে বাকি নেই এখানে কি হচ্ছে গুটি গুটি পা ফেলে গাছের আড়ালে লুকালে শুনতে পায় নাজিম আর মেয়েটির কথা।নাজিম ছোট্ট মেয়েটিকে তার সাথে যাওয়ার জন্য ফোর্স করে কিন্তু মেয়েটি যেতে নারাজ।এলাকা নিরিবিলি হওয়ায় কেউ সাহায্য করার মতো নেই।
তখনি নাজিম মেয়েটির গলায় জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন লাগিয়ে দেয়।মেয়েটি চিৎকার দিতে গেলেই
মুখ চেপে ধরে তার।ঈশা কি করবে উপান্তর না পেয়ে পাশে থাকা একটি ইট তুলে নাজিমেদ মাথায় আঘাত করে। তখনি অনু মেয়েটিকে সরিয়ে আনে আর পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলে কিন্তু নাজিম ঈশার হাত শক্ত করে আটকে ধরলে অনু আরেকটা ইট দিয়ে আরো জোরে নাজিমের কপালে আঘাত করে। রক্তাক্ত নাজিম সেখানেই লুটিয়ে পরে। তখনি অনু আর ঈশা পালিয়ে যায়।
সম্পূর্ণ কথা শেষ করেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ঈশা। নাজিম ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেছে। ঈশানের কাছে সে এই মূহুর্তে ধরা দিতে চায় না তাই আগেই চুপ চাপ আড়ালে সরে যায়।রাগে ঈশানের শরীর কাপছে। একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে ছিহহ!নাজিমের এই নরপশুর মতো ব্যবহার এর শাস্তি ঈশান দিয়েই ছাড়বে।
(গল্প লেখনীতেঃপলি আনান)
কিন্তু সব বাদ দিয়ে তার আগে যে ঈশাকে নিজের কাছে বন্ধী করতে হবে।ঈশানের কাছে ঈশা একটি অমূল্য রতন যা যে কোন মূল্য ঈশান হারাতে প্রস্তুত নয়। তাই ঈশাকে যে করেই হোক আটকে রাখতে হবে..।যে ভাবা সেই কাজ..! ঈশান তার প্লানিং সাজিয়ে নিয়েছে কিছুক্ষন আগেই।
“তা মিস ঈশা আপনার শিকারক্তি আমি মানলাম।কিন্তু পুলিশ তো তা মানবেনা। পুলিশ তো তাই করবে যা আমরা চাই!(বাকা হেসে)
” মানে(অবাক হয়ে)
“মানে খুব সোজা..! নাজিমের মাথা ফাটানোর দায়ে তার বাবা তোমায় হন্যে হয়ে খুজছে।কে তার একমাত্র ছেলের সাথে এমন করেছে তাকে যেকোন মূল্যে তিনি জেলের ভাত খাওয়াবেন।
কিন্তু আমি তোমাকে বাচাঁনোর একটা ওয়ে রেখেছি!
” কি ওয়ে..!(চোখ বড় করে)
“তোমাকে একটা কাগযে সই করতে হবে সেই কাজযে লেখা আগামী দুই বছর তুমি আমার কথা মতো চলবে। তবে কথা দিচ্ছি আমি কোন খারাপ, বিষয় নিয়ে ফোর্স করবো না।যাস্ট তোমার বাহ্যিক চলাচলের দিক গুলোতে আমি নাক গলাবো। আমার কথায় তুমি উঠবে আর বসবে। কি রাজি..?
” ছিহহ জীবনে ও না। যেমন এক বন্ধু কুকুর তেমন বাকি টা ও কুকুর।
ঈশার মুখ থেকে এমন কথা আশা করেনি ঈশান। সে রেগে টেবিলের উপর জোরে ঘুসি দেয়।আর রাসেল কে নির্দেশ করে পাশের রুম থেকে মেয়েটাকে নিয়ে আসতে।
পাশের রুম থেকে একটি মেয়েকে মাথায় বিভেলবার তাক নিয়ে আসা হচ্ছে যার মুখে টেপ লাগানো এবং দুইহাত শক্ত করে বাধা।
মেয়েটিকে দেখে ঈশা এতোই খুশি হয়! ঈশার খুশি দেখে সামনে থাকা ঈশান, সাইফ আর রাসেল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
“আরে দোস্ত!অনু মেরি জানননননননন..!(চিল্লিয়ে ঈশা)
অনুও ঈশাকে দেখে গোঙ্গরাতে শুরু করে।
ঈশার চিৎকার শুনে চোখ মুখ কুচকে নেয় ঈশান।
” স্টপ ইট!
ঈশা তখনি চুপ হয়ে যায়।
“কাজের কথায় আসি সাইনটা কি করবে নাকি না।
মূহুর্তেই ঈশা তেলে জল পড়ার মতো ছ্যাত করে উঠে।
” নো, নেভার কখনো না!
“ওকে রাসেল শুট,
অনুর মাথার সামনে রিভালবারটা রাসেল তাক করতেই ঈশা চিৎকার দিয়ে উঠে,
” নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া..!
“কি তাহলে রাজি!(বাকা হেসে ঈশান)
” না ?।(ছলছল চোখে)
“রাসেল শুট (দাতে দাত চেপে)
রাসেল সাথে সাথেই সুট করে দেয়….
ঈশার যেন আত্না উড়ে গেছে। সে সোজা ফ্রিজড হয়ে আছে।অনু আস্তে আস্তে মাথা তুলে দেখে রাসেল একটি পুরনো ড্রামের ভেতরে শুট করে।অনু যেন নিজের জিবন ফিরে পেয়েছে। একটি সস্তির নিশ্বাস ছাড়ে।কিন্তু স্বাভাবিক হয় নি ঈশা সে এখনো সেই ভাবেই আছে।
ঈশান ঈশার মাথা আলতো করে ধাক্কা দিলে সে বাস্তবে ফিরে আসে।
” কি মিস … ঈশা রাজি তো?
ঈশা মাথা নেড়ে সায় দেয়।সে রাজি।ঈশান কাগজ এগিয়ে দিলে ঈশা সেখানে কাপা কাপা হাতে সাইন করে দেয়।সম্পূর্ণ কাগজে ঈশার অবাধ্য চোখের পানির ছোয়া লেগে গেছে।নাক টেনে কেদেঁ দেয় সে।নিজের জীবনের একাংশ স্বাধীনতা আজ যেনো সে নিজ হাতে বিলীন করে দিয়েছে।
ঈশান সবার উদ্দেশ্যে করে বলে,
“সবাই যাও আমার মিস ঈশার সাথে কিছু কথা আছে।
সবাই চলে গেলে ঈশান চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে ঈশার দিকে কিছুটা ঝুকে বলে,
” Welcome to my kingdom baby…!ishan is back Just for you..!
শেষ কথাটি ফিসফিস করে বলে ঈশান।তারপর ঈশার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে।তবে যাওয়ার আগে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঈশার দিকে তাকায়।
“খবরদার মিস ঈশা আজকের বিষয়গুলো যদি আপনাদের দুজনের কান থেকে আর দশ কান হয় তবে কিন্তু একটা চড় ও আমার মাটিতে পড়বেনা।সাবধান করে দিলাম।সো বিকেয়ার ফুল…!
ঈশা শুধু অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে কি বলছে এই লোক ঈশার মাথায় ক থেকে ঁ কিছুই ডুকছেনা।
ঈশান তার মতো করে চলে যায়।আর ভাবতে থাকে নিয়তির কথা…..!যে যাকে চায় নিয়তি হয়তো তার কাছেই আবার ফিরিয়ে আনে হয়তো কিছুটা সময় নেয়।তবুও আবার দেখা দেয়…!
#চলবে…..
You_are_mine
season_2
Poly_Anan
part_1
নিয়ে এলাম আবারো আপনাদের পাগল প্রেমিক ঈশানকে?।গত সিজনে সবাই যেমন পাশে ছিলেন আশা করি এবারো সবাইকে পাশে পাবো।
কালকে ঈশা ঈশানের পরিচয় দেওয়া হবে।আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে দয়া করে যানাবেন প্লিজ।আপনাদের উৎসাহ পেলে পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দেবো।
?বি দ্রঃ সিজন ১ যারা পড়েন নি, তারা সিজন ২ পড়তে পারবেন। সিজন ১ এর সাথে ২ এর কোন মিল নেই…।
হ্যাপি রিডিং❤️