You_are_mine
Poly_Anan
Part_5
“ঈশা আমি ভাতেই পারি নি তুমি বিয়েতে রাজি হবে। It’s a surprise to me!(খুশিতে গদ গদ হয়ে লিমন)
“কি ব্যাপার তোমার ভাই আসেনি?
” এইতো চলে আসবে… বায় দা ওয়ে তুমি আজ একটা শাড়ি পরে আসতে।আজ তো আমাদের বিয়ে তাই না!
“আসলে আমি যদি এখন শাড়ি পরে বের হই তবে ফুফু আর ভাইয়া সন্দেহ করবে তাই আর..
” আচ্ছা বুঝেছি সমস্যা নেই।
তাদের কথার মাঝে লিমনের ভাই ইমন এসে হাজির হয়।
“ঈশা পরিচয় করিয়ে দি আমার বড় ভাই ইমন!
” কেমন আছেন ভাইয়া (হাসি মুখে ঈশা)
“ভালো, তুমি কেমন আছো?
” ভালো।
“আচ্ছা আমি তবে কাজির সাথে কথা বলে আসি তোরা দাড়া এখানে।
ইমন চলে গেলে ঈশা লিমনকে প্রশ্ন করে,
” তোমার ভাইয়া ভাবিকে আনেনি কেন?
“ভাবীকে এনে কি হবে?ভাবি বাড়ির দিক টা সামলাচ্ছে।
কাজী সাহেবের সামনে বসে আছে ঈশা।মনের মাঝে চলছে তার হাজারো ভয়, দ্বিধা দ্বন্দ।
” ঈশা প্লিজ সাইন টা করে দাও!
লিমনের কথায় ভাবনার ছেদ ঘটে তার।কাপাকাপ হাতে কলমটা তুলে নেয় সে।তখনি পেছন থেকে আসে একটি ধারালো রাগান্বিত কন্ঠ।
“বাহ এখানে তাহলে বিয়ে করা হচ্ছে!
ঈশা চমকে পেছনে তাকালে ঈশানকে দেখতে পায়।ঈশানের পেছনে অনেক গাডকে একসাথে দেখে তার আর বুঝলে বাকি রইলো না ঈশান এখানে রণক্ষেত্র বাধিয়ে ছাড়বে।লিমন সহ বাকিরা ঈশানকে দেখে দাঁড়িয়ে পরে।ঈশাকে ভয় পেতে দেখে লিমন ঈশার হাতটা শক্ত করে আকড়ে ধরে।
সেই হাত জোড়ার দিকে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে থাকে ঈশান।পাশ থেকে মাথা ঘুরিয়ে একবার ইমনকে পরখ করে নেয় সে। তারাও যেন আজ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে যুদ্ধের।
” ঈশা ওর হাতটা ছেড়ে দাও(গম্ভীর কন্ঠে ঈশান)
ঈশা ভয় পেয়ে লিমনকে আরো আকড়ে ধরে। লিমন ঈশার দিকে একবার তাকিয়ে ঈশান কে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আপনি আমাদের মাঝে কেন ডুকছেন আমরা তো আমাদের মতো ভালোই আছি।ঈশা আমাকে ভালোবাসে আমি ঈশাকে ভালোবাসি মাঝখান থেকে আপনি কাবাবের হাড্ডি হচ্ছেন কেন?কিরে ঈশা বল তুই আমাকে ভালোবাসিস।
” হ্যা আমি লি……..
ঈশা পুরো কথাটি শেষ করতে পারলোনা তার আগেই ঈশান তার হাত টেনে সামনে দাড়করিয়ে কষিয়ে একটি চড় দেয়।মূহুর্তেই ঈশার মাথা ঘুরতে শুরু করে আশে পাশে সব যেন ঝাপসা দেখছে,কানের ভেতরে কেমন যেন বিশ্রী একটা শব্দ হচ্ছে।একপর্যায়ে ঈশানের কোলে ঢলে পরে সে।ঈশান ঈশাকে তার দুই হাতের বেষ্টনীতে বুকের মাঝে আড়াল করে নেয়।
“তোকে তো আমি পরে দেখে নিচ্ছি!এতো বার বারন করেছি ঈশার থেকে দূরে সরে থাক কিন্তু তুই দূরে যাস নি উলটো বিয়ে করতে চলে এলি।দুই ভাই তবে একি গোয়ালের গরু।তোরা প্লেয়ার তবে এই ঈশান শাহরিয়ারের থেকেও কাচা।আমার সাথে খেলতে হলে আমার মতো হয়ে তারপর মাঠে নামবি তার আগে না। মাইন্ড ইট।তোরা এখন আমার সাথে লাগতে আসলেও পারবি না কারন তোর ভাইয়ের থেকে ও আমার পাওয়ার বেশি
So the game will not be played today!
(লিমনকে উদ্দেশ্য করে)
ঈশান ঈশাকে পাজা কোলে তুলে নেয়।লিমন আর তার ভাই এগিয়ে আসলে গাডরা তাদের রাস্তা আটকে দেয়।ঈশান ঈশার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,
” বিয়ে করার খুব শখ না তোমার।চলো তোমার শখটাই পূরন করি!
.
পিট পিট করে চোখ খুলে ঈশা। সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে আমি কোথায় আছি।
“এটা তো ফুফিদের বাড়ির ফ্যান নয়। নাহ আমাদের বাড়ির ও না তবে কার?
” ম্যাম আপনার জ্ঞান ফিরেছে তাহলে।
পাশ থেকে একটি মেয়ের কন্ঠে ধড়ফড় করে উঠে বসে ঈশা। তার দুই হাতের দিকে তাকিয়ে সে অবাকের শেষ সীমানায় পৌছে যায় দুই হাত জুড়ে টক টকে লাল মেহেদীর ডিজাইনে সাজানো।দুই হাতের দুই পীঠেই গোড়ালি থেকে ডিজাই শুরু করে একদম নখের সামনে গিয়ে থেমেছে।পুরো ব্রাইডাল লুক।
“এই আমার হাতে এইসব কি! কে দিলো এইগুলো আমায়?
” আজ আপনার বিয়ে ম্যাম। স্যারের কথাতেই আমরা ডিজাইন করেছি।আর ডান হাতের তালুতে যে ডিজাইনটা আছে সেই ডিজাইনটা স্যার নিজে করেছে।দেখুন ম্যাম কত সুন্দর হয়েছে ডিজাইনটা।
ঈশা না চাইতেও ডান হাতের দিকে চোখ যায় তার। সুন্দর করে হাতের তালুতে ঈশান ❤️ ঈশা লেখা।
হুট করেই তার মনে পরে যায় সে তো ঈশানকে বিয়ে করবেনা। পার্লারের মেয়েদের দিকে তাকিয়ে ঈশা ফিসফিস করে বলে,
“শুনুন আপনাদের দুজনকে আমি ১লক্ষ টাকার অফার করছি আপনারা আমাকে এই বাড়ি থেকে বের করার সুযোগ বের করে দিন প্লিজ।প্রমিস করছি বেরিয়ে গেলেই আপনাদের টাকা আপনারা পেয়ে যাবেন।
” কিন্তু ম্যাম…..
“প্লিজ প্লিজ আপনারা আমার উপকার টা করুন প্লিজ।
” কি জান পালানোর প্লানিং করছো?
দরজার সাথে হেলান দিয়ে বাকা হেসে দাঁড়িয়ে আছে ঈশান।তাকে দেখেই পার্লারের মেয়ে গুলো রুম থেকে বেরিয়ে যা।ভয়ে ঈশার আত্না কেপেঁ উঠে। তবে সত্যি কি এবার বিয়ে টা হবে……
“পালাতে পারবেনা জানু পারবেনা।সারা বাংলো জুড়ে প্রায় একশ জন গাড আছে তাদের চোখ ফাকি দিয়ে তুমি পালাবে। আর সিসি ক্যামেরা তো আছেই।তাই এইসব চিন্তা মাথা থেকে জেরে ফেলো।
” আমি বিয়ে করবোনা?(চোখের পানি মুছতে মুছতে)
“আমি করবো সাথে তুমিও।তোমার না শখ বিয়ে করার। আমি সেই শখ পূরন করে দিচ্ছি ঈশু পাখি ?।
” আমি বিয়ে করবো না?
“আবারো এক কথা বলে।আবারো চড় খেতে চাও তুমি তাই না।দেখো এক চড়ে ডান গালটা কেমন লাল হয়ে ছাপ বসে গেছে এবার কিন্তু বাম গালে মারবো।
দেখো তোমার লিমন তোমায় কিভাবে বিয়ে করতে চেয়েছিল। এটলিস্ট একটা শাড়ি দিতে পারতো কিন্তু দিলো না। কিন্তু দেখো আমি তোমার জন্য সব কিছু অনলাইন থেকে নিজে পছন্দ করে আনিয়েছি।
ঈশান সোফা থেকে লেহেঙ্গাটা ঈশার সামনে রাখে আর ঈশা তা ছুড়ে ফেলে দেয়। তা দেখে ঈশানের মেজাজ পুরোপুরি বিগড়ে যায়।ঈশার চুল গুলোকে মুঠোয় নিয়ে টেনে ধরে। ঈশা ব্যথায় আত্নৎনাদ করতে থাকে।
” আমার ভালো কথা তোর ভালো লাগেনা তাইনা।
বিয়েটা হবে আমার সাথেই হবে। জলদি তৈরি হয়ে নে আমি অপেক্ষা করছি নিচে।আজ তোকে সুন্দর করে সাজানো হবে তুই আজ সাজবি শুধু আমার জন্য।
ঈশার চুল গুলো ছেড়ে ঈশান রুম থেকে বেরিয়ে যায় আর ঈশা হাটুতে মুখ গুজে কাদতে শুরু করে।
গাঢ় লালের মাঝে গোল্ডেন রঙের কাজ করা লেহেঙ্গা পরে বসে আছে ঈশা।পুরো ব্রাইডাল সাজে তাকে অপ্সরীর থেকেও কম লাগছেনা।তার সাথে মিল করে ঈশান শেরোয়ানী দিয়ে নিজেকে সাজিয়েছে।দুজন পাশাপাশি সোফায় বসে আছে আর সামনে থেকে ছবি তুলে যাচ্ছে তার বন্ধু বান্ধব সহ ফটোগ্রাফাররা।
সামনে থেকে কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করে। ঈশা এখনো ফুপি য়ে ফুপিয়ে কেদেঁ যাচ্ছে।
“খবরদার ঈশু কান্না থামাও আর যদি কাদতে দেখি তবে খবর করে দেবো বলেদিলাম.।
“…..(কেদেই যাচ্ছে)
” ঈশু তুমি থামবে নাকি আমি অন্য কিছু করবো?
“”……(কেদেই যাচ্ছে)
” জান তুমি যদি কান্না না থামাও তবে আমি কি করবো যানো?
ঈশা প্রশ্নবোধক চোখ নিয়ে ঈশানের দিকে তাকায়।
” I will kiss you in front of everyone! (কানের সাম নে মুখ নিয়ে)
ঈশানের কথা ঈশার কান্না বন্ধ হয়ে যায়। মনে মনে যে একশো রকম গালি দিতে থাকে।
“বেয়াদপ ছেলে কথা কথা আমার নিষ্পাপ ঠোঁটে চুমু খাওয়ার ধান্দায় থাকিস। দেখেনিস তোর এই ঠোঁট একদিন জ্বলে পুড়ে ছারখার হবে। জোর করে আমার ভালোবাসা আদায় করিস তাইনা এমন ভালোবাসা দেবো তোকে তুই নিজেই আমাকে ছেড়ে যাবি মনে রাখিস।আর তোর সাথেতো আমি জিবনে সংসার করবো না।আমি তো লিমনের সাথেই সংসার করবো সেই হবে আমার প্রাণ প্রিয় স্বামী।
~মা বলো কবুল!
কাজী সাহেবের কথায় ধ্যান ভাঙ্গে ঈশার।হঠাৎ করে তার পুরো পৃথিবী যেন থমকে যায়।বাবার একমাত্র মেয়ে হিসেবে নিজের মেয়ের বিয়েটাও দেখতে পারলেন না তিনি। আচ্ছা বাবা কি মেনে নিবে।আমি তো বাবাকে ঠকাচ্ছি।হঠাৎ করে ঈশা সবার সামনে দাঁড়িয়ে পরে ডানে বায়ে না তাকিয়ে দৌড়তে শুরু করে। ঈশার হঠাৎ কান্ডে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সবাই।ঈশান যখন বুঝতে ঈশা পালিয়ে যাচ্ছে তখনি সে ছুটে যায়। বেচারি ঈশা লেহেঙ্গা ভারি হওয়ায় বেশি দূর যেতে পারেনা। তার আগেই ঈশান তাকে ধরে চড় দেওয়ার জন্য হাত তুলে। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই হাতটা নামিয়ে নেয়।
” সবার সামনে আমাকে আর খারাপ বানিয়ো না ঈশা(গম্ভীর কন্ঠে)চলো বিয়েটা সেরে নি!
“বল্লামনা বিয়ে করবো না!কেনো জোর করছেন আপনি আমায়(চিৎকার দিয়ে)
” ঈশা চলো(গম্ভীর কন্ঠে)
“বল্লাম তো আপনাকে আমি বিয়ে করবো না!
” কাকে বিয়ে করবে তবে ওই লিমনকে। নো নেভার আমি বেচে থাকতে কখনো না(চিৎকার দিয়ে)
ঈশান ঈশার বাম হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে।এতো টাই জোরে ধরে যে ঈশানের নখ যেনো ঈশার হাতের ভেতর ডুকে যাচ্ছে। ঈশা ব্যাথায় আত্ননাদ করে উঠে কিন্তু তবুও ঈশান থেমে থাকেনা। ঈশাকে টেনে বসিয়ে দিয়ে বলে,
“সাইন কর!
” না
“সাইন কর(শান্ত কন্ঠে)
” ন…..
“চুপ একদম চুপ (চিৎকার দিয়ে)তুই সাইন করবি নাকি আমি অন্যকোন স্টেপ নেবো?রাসেল হাসিন ভাইকে ধরে নিয়ে আয়।তারপর উনাকে ইচ্চা মতো মারতে থাক। হাড় গুলো যেনো আস্ত না থাকে।
ঈশানের কথায় ভয় পেয়ে যায় ঈশা।
” এই না না হাসিন ভাইয়াকে কিছু করোনা।হাসিন ভাইয়ের কি দোষ।?
“তাহলে সাইনটা করো
” ন…..
ঈশা কথা শেষ করার আগেই ঈশান আবার চিৎকার দিয়ে বলে,
“কিরে রাসেল দাড়িতে আছিস কেন? আমি যা বলছি তাই কর।
” না না আমি সাইন করছি!
ঈশা কাপা কাপা হাতে কলম তুলে নিয়ে সাইন করে নেয় সাথে ঈশান ও।
“যানতাম তুমি সোজা কথার মেয়ে নও। তোমার ঘাড়ের একটা রগ যে বাকা তা আমি ভালো করেই যানি।বাইদা ওয়ে সবাই মিষ্টি মুখ করো।
আর এইযে ফটোগ্রাফার ভাইয়েরা আমার মিষ্টি বউটার সাথে আমার কিছু ছবি তুলে দিন।যানি একটু ত্যাড়া তবুও আমারি তো বউ ?
এদিকে কাজী ফটোগ্রাফার রা হা করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে এটা আবার কেমন বিয়ে??
.
” ভাইয়া তুমি ওই ঈশানের সামনে একটা কথাও বল্লেনা চুপ চাপ দাঁড়িয়ে সবটা দেখছিলে কেন ভাইয়া কেন?
কথাটি বলেই সামনে থাকা ডাইনিং টেবিলটা উপরে তুলে আছাড় দিয়ে ফেলে দিলো লিমন।বাড়িতে আসার পর থেকে একে একে
টিভি,ফুলদানি, টি-টেবিল, ইত্যাদি কোন কিছুই বাদ রাখেনি সে একের পর এক সব ভাঙচুর করে যাচ্ছে।আর চুপ চাপ লিমন কে শান্ত করতে বার বার হাত বারিয়ে দিচ্ছে ইমন। কিন্তু লিমন আজ কিছুতেই শান্ত হবে না।অপমান,না পাওয়ায়, হেরে যাওয়ার আগুনে আজ সে দগ্ধ হচ্ছে।
“লিমন শান্ত হ। আমি দেখছি কি করা যায়!
” কি করবে তুমি এখন এসেছো দেখতে যখন ঈশাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন কই ছিলে।বাই দা ওয়ে আমি যানতাম আমার ভাই পাওয়ারফুল।কিন্তু ওই ঈশানের সামনে জিরোফুল হলো কেন(ভ্রু কুচকে)
“আমি জানতাম তোর সাথে একটা ছেলের শত্রুতা কিন্তু আমি এটা যানতাম না এই ছেলের সাথে তোর শত্রুতা।ঈশান কিন্তু একটু ডেঞ্জারাস ছেলে।সে যেমন তার দল বল টাও তেমন।তাহলে শুন..
ইমন, লিমনকে ভার্সিটি তে ঘটে যাওয়ার কথা গুলো বনর্না করতে থাকে।
” এবার বুঝলিতো ওই ছেলে কেমন।আর শুন ওর সাথে আমার আগে থেকেই শত্রুতা তোর মাধ্যেমে না হয় আবারো শত্রুতা টা জেগে উঠুক।
“কিন্তু আমার ঈশা তার কি হবে?তাকে আমি পাবো কি করে?
” আরে পাবি পাবি চিন্তা করিস না!
“যদি না পাই!
” তবে ঈশাও এই দুনিয়ায় থাকবেনা।ঈশার শোকে ঈশান এমনিতেই পাগল হয়ে যাবে। তারপর তার মৃত্যু আমার হাতে।
“কিন্তু ভাইয়া আমি এতো কিছু যানিনা ঈশাকে আমার চাই। যে করেই হোক।
” আমার ছোট ভাইটা একটা আবদার করেছে আমি কি তা পূরন না করবো। তুই ঈশাকে পাবি তবে তার সাথে কীভাবে যোগাযোগ করা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যা।
#চলবে…..।
?♀️ইসসসরে আমার লিমনের জন্য খারাপ লাগছে কাজি অফিস পর্যন্ত গিয়ে বেচারা বিয়েটা করে আসতে পারলোনা।☹️
?♀️ইয়ে মানে ঈশান আর ঈশার বিয়েটাতো হয়ে গেলো এবার আপনারা খুশি তো?
যানতে চায় আমার নিষ্পাপ মন?