The Colourful Fragrance Of Love?Part:18

0
1188

?#The_Colourful_Fragrance_Of_Love?

Part:18

উজানঃ অভিক কোথায় সন্ধি?আমার কথা আছে ওর সাথে কিছু?

সন্ধিঃ আসছে ফাইল গুলো নিয়ে,,কি কথা বলবি ওর সাথে তুই?

উজানঃ নীলিমার ব্যাপারে,,অভিক তো নীলিকে ভালোবাসে তাই না সন্ধি!!

সন্ধিঃ হ্যা বাসে কেনো বল তো,,তুই আবার আমি যা ভাবছি সেটা ভাবছিস না তো?

উজানঃ তুই কি ভাবছিস?

সন্ধিঃ তুই যেটা ভাবছিস,,তবে নীলিমা কি রাজি হবে তুই তো জানিসই নীলিমা একটু ঘাড়ত্যাড়া টাইপ,,যে জিনিস টা ওর ইগো তে গিয়ে লাগে সেটাকে কখনো ও

উজানঃ নীলি আর আগের মতো নেই সন্ধি,,নীলি অনেকটা ভেঙ্গে গেছে,,ও বলছে ঠিকই ও একা সব সামলে নিতে পারবে কিন্তু আমি জানি ও ভেতর থেকে কতোটা শেষ হয়ে যাচ্ছে,,আমি নীলিকে সোজাসুজি বলতে পারতাম যে আমি হিয়াকে ভালোবাসি কিন্তু হিয়া নীলির মানসিক অবস্থা দেখে আমাকে নিষেধ করে দিয়েছে বলেছে আস্তেধীরে সব টা হ্যান্ডেল করতে,,তুই বল এভাবে আর কতোদিন একটা বিষয়কে আমি চালিয়ে যাবো??

উজানের প্রতিউওরে সন্ধি কিছু বলতে যাবে তার আগেই অভিক রাগে ক্ষোভে হন্তদন্ত হয়ে ঝড়ের গতিতে উজানের কেবিনে ঢুকে উজানের শার্টের কলার ধরে ইচ্ছে মতো উজানকে মারতে শুরু করে,,ঘটনা কি হলো উজানের কিছু বুঝে আসছে না না বুঝে আসছে সন্ধির,,অভিক উজানকে ঘুষি মারতে মারতে উজানের ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের করে ফেলে,,সন্ধি অভিককে থামাতে গিয়ে ধাক্কা লেগে হালকা চোঁট পায়,,তবুও চেষ্টা করতে থাকে অভিককে থামানোর,,একটা পর্যায় অভিক থেমে গিয়ে উজানের কেবিনের সব ফাইল লন্ডভন্ড করে ফেলে,,সন্ধি গিয়ে উজানকে জড়িয়ে ধরে অভিককে আটকাতে শুরু করে!!

সন্ধিঃ কি করছিস এগুলো তুই অভিক,,পাগল হয়ে গেছিস নাকি,,কেউ কাউকে এভাবে মারে

অভিকঃ তোর সাহস হয় কি করে নীলিমা কে কষ্ট দেওয়ার,,যদি সত্যি সত্যি ফাঁসি দিতে গিয়ে নীলিমা মরে যেতো,,কি করতাম কি আমরা তখন?

সন্ধিঃ অভিক একটু শান্ত হ,,এটা অফিস একটু বোঝার চেষ্টা কর,,সবাই শুনবে,,এটা আমাদের কাজের জায়গা

অভিকঃ ড্যাম ইউর কাজের জায়গা,,ওদিকে নীলিমার জীবনটা তোদের ছেলে খেলার জন্য শেষ হয়ে যাচ্ছে আর তুই আছিস তোর কাজ নিয়ে,,তোরা কবে থেকে এতো selfies হয়ে গেলি রে সন্ধি,,আমাদের Friendship টা তো এরকম ছিলো না কখনো,,আমরা আমরা তো একে অন্যের জন্য নিজের সব ত্যাগ করতে পারতাম,,এমনকি নিজের লাইফটা অবধি sacrifice করতে রাজি ছিলাম,,তাহলে আজ কেনো নীলিমার সাথে তোরা এরকম অন্যায় করছিস

সন্ধিঃ অভিক এখানে কেউ কারো সাথে কোনো অন্যায় করছে না,,তুই পরিস্থিতি টা একটু বুঝ,,দেখ নীলিমার জন্য আমাদেরো কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি নীলি একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ওর মানসিক অবস্থা ভালো না,,আমরা আমরা তো কিছু বলছি না ওকে বল,,

অভিকঃ এটাই তো আমার প্রশ্ন তোরা কেনো কিছু বলছিস না,,মেয়েটা সত্যি সত্যি মরে গেলে তখন তোরা বলবি,,,,ছিঃ তোদের আজ নিজের বন্ধু বলতেই আমার বিবেকে বাঁধছে তোরা শুধু তোদের সুখ টা দেখছিস আর নীলিমা ওর কথা একবারো ভাবছিস না,,

সন্ধিঃ অভিক অভিক একটু শান্ত হ,,ব্যাপারটা বুঝ,,দেখ আমি আমি মানছি নীলির সাথে যা হয়েছে তা ঠিক হয় নি,,কিন্তু হিয়া!!আজ যদি উজান নীলিকে গ্রহন করে তাহলে তো হিয়াকে ঠকানো হবে,,যেই মেয়ে উজানের দেওয়া হাজারটা অপমান সহ্য করেও উজানের পাশে ছিলো তাকে আজ কি করে তুই ফিরে যেতে বলবি বল আমাকে,,

অভিকঃ আমি এতো কিছু জানতে চাই না,,আমি শুধু জানি নীলিমা কে ভালো থাকতে হবে,,এতে যদি উজানকে হিয়াকে ডিভোর্স দিতে হয় উজান তাই করবে,,

অভিকের কথায় উজান রেগে গিয়ে চিৎকার করে উঠে,,অভিক এসে আবার উজানের উপর রাগ করতে শুরু করলে সন্ধি উজানকে জড়িয়ে ধরে আবার মাঝে দাঁড়িয়ে যায়,,দুই বন্ধুর যুদ্ধে সন্ধি এক প্রকার কেঁদে ফেলে!!

সন্ধিঃ তোরা একটু থাম নাআআআ,,এ-ই ভাবে ঠিক এ-ই ভাবে আমরা আমাদের মাঝে থেকে একদিন আবীরকে হারিয়েছিলাম আজ সেই একই ভুলের জন্য তোরা নিজেদের মধ্যে কেনো একটা দেওয়াল তৈরি করছিস,,আমার না সত্যি আর কিছু ভালো লাগছে না,,অভিক একটু শান্ত হ না

উজানঃ অভিক যা বলেছিস সেটা নিজের মধ্যেই রাখ,,আমার কাছে এই মুহুর্তে হিয়া আমার সব,,হিয়াকে আমি ডিভোর্স দেবো এই কথা টা তুই আনলি কি করে মাথায়?____(একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)তুই তো নীলিকে ভালোবাসিস তুই যদি

অভিকঃ নীলির প্রয়োজন শেষ তাই আমাকে এখন গোছছে দিতে চাইছিস তো নীলিকে

উজানঃ একদম বাজে কথা বলবি না অভিক,,তুই খুব ভালো করে জানিস পরিস্থিতি টা এই মুহুর্তে কি যাচ্ছে,,তারপরো তুই কি করে এরকম ছেলেমানুষী করছিস,,

অভিকঃ আমি না হয় ছেলেমানুষী করছি কিন্তু তোরা কি করছিস,,তোদের মনে হয় আমি যদি এখন নীলিমাকে গিয়ে বলি নীলিমা আমি তোকে ভালোবাসি এই অভিক এই অভিক তোকে তোর উজানের চাইতেও বেশি ভালোবাসে তোর মনে হয় নীলিমা সেই কথাটা বিশ্বাস করবে

উজানঃ অভিক একটু শান্ত হ,,দেখ আমরা আমরা নীলিমা কে বোঝাবো,,অভিক পারলে তুই পারবি নীলিমা কে একটা সুন্দর জীবন দিতে তুই তো নিজে বললি তুই নীলিমাকে আমার চাইতে বেশি ভালোবাসিস তাহলে বল না কথা দে আমায় তুই নীলিমা কে বিয়ে করে ওকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দিবি,,

অভিকঃ সবটা এতো সহজ না উজান,,তোর মনে হয় নীলি এতো সহজে আমাকে গ্রহন করবে

সন্ধিঃ তুই নীলিকে বিয়ে করে নিলেই সব ঝামেলা চুকে যাবে,,সবার সবার মাথা থেকে একটা চিন্তা দূর হবে,,তুই যদি একবার নীলিমার সাথে কথাটা বলে দেখতি,,দরকার হলে

নীলিমাঃ দরকার হলে কি সন্ধি??

সন্ধিঃ নীলি তুই,এ-খানে!!!!!!!!

নীলিমাঃ আমি এখন তোদের কাছে একটা ঝামেলা তাই না রে যেটাকে তোরা চুকে দিতে চাইছিস,,আমি তো তোমার গলার কাটা হয়ে বিঁধে আছি তাই না উজান!!

উজানঃ নীলিমা তুমি আমাদেরকে ভুল বুঝছো আমরা কিন্তু কেউ সেভাবে কথা টা বলি নি,,

নীলিমাঃ থাক উজান,,তুমি বা সন্ধি ভাবলে কি করে তোমরা চাইলেই আমি অভিককে বিয়ে করে নেবো,,আমাকে কি বাজারের স্বস্তা জিনিস মনে হয় নাকি তোমাদের,,যখন ইচ্ছে তুমি ব্যবহার করলে যখন ইচ্ছে বলে দিলে নীলিমা তোমাকে গ্রহন করা আমার পক্ষে সম্ভব না,,আবার যখন ইচ্ছে কারো দয়ার পাএী করে কারো গলায় ঝুলে দিলে,,

অভিকঃ আমি তোকে কোনো দয়া করছি না নীলিমা আমি তো সত্যি তোকে একটা সুন্দর জীবন দিতে চেয়েছি,,আমি তো তোকে ভালোবাসি!!❤️

নীলিমাঃ (একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে) এতোদিন তো কখনো এটা বলিসনি তুই আমাকে ভালোবাসিস,,আজ হঠাৎ পরিস্থিতির চাপে পড়ে কেনো এসব আদিক্ষ্যেতা করতে চাইছিস অভি

সন্ধিঃ নীলি একটু মাথা টা ঠান্ডা ঠান্ডা কর দেখ আমরা তো কতো ভালো বন্ধু বল আমাদের সার্কেলটা কতো টা সুন্দর আর স্ট্রং ছিলো,,আমরা আমরা কেউ কি তোর কোনো খারাপ চাইতে পারি,,তুই তো আমাদের মধ্যে সব চাইতে বিবেচক ছিলি কোনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমরা আগে তোর কাছে গিয়ে তোর মতামত জানতে চাইতাম,,প্লিজ তুই এমন রাগ করিস না

নীলিমাঃ আমি এখনো আগের মতোই বিবেচক আছি সন্ধি,,এ্যাসাইলামে ছিলাম বলে পাগল হয়ে যায় নি__উজান,,,,উজান আমি এতো টা নির্দয় না যে হিয়ার মতো একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে কোনো অন্যায় তোমায় করতে দেবো,,তুমি যে এখন হিয়াকে ভালোবাসো হিয়া ছাড়া একটা মুহুর্ত তোমার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না আমি জানি,,হ্যা কাল অবধি একটা ট্রমার মধ্যে ছিলাম,,কারণ যা হচ্ছিলো বা হচ্ছে সেটা আমি কখনো কল্পনা করিনি,,,,তাই আচমকা এই ধাক্কা টা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না_____তবে কি জানো উজান আমি না অবুঝ না,,তোমাকে ভালোবাসি বলে একটা সুখের সংসার আমি ভেঙে দেবো এতোটা পাষাণ আমি নীলিমা হতে পারিনি,,তুমি আর হিয়া ভালো থেকো আমার কোনো আক্ষেপ নেই তাতে হ্যা কষ্ট হবে কারণ আমিও মানুষ মন বলে কিছু একটা আমারো আছে,,একটা অনুভূতি আছে তাই কষ্ট হবে হিংসে হবে কান্না আসবে স্বাভাবিক কিন্তু আক্ষেপ কখনো হবে না,,,,শুধু খারাপ লাগলো এটা দেখে তোমরা আমাকে ভিখারি বানিয়ে দিলে,,দয়া দেখিয়ে নিজেদের গলার কাটা টাকে সরাতে গিয়ে কি সুন্দর বলে দিলে অভিককে বিয়ে করে নিতে,,আমার অনুভূতি টা কি এতোটাই ফেলনা নাকি তোমাদের কাছে,,আমার একটা সোজা মেরুদণ্ড আছে তোমাদের কারো দয়া আমার লাগবে না,,আমি নিজের ভালো থাকার ব্যবস্থা নিজে করতে পারবো

অভিকঃ নীলি তুই আমাদের কে ভুল বুঝছিস,,নীলি আমার কথা টা শোন,,নীলি শোন না,,নীলিমা!!

!
!
!

হিয়াঃ যা করতে হবে আমাকেই করতে হবে,,উনি আমাকে ভালোবাসি কথাটা বলার পর আপু যখন সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছিলো তখন আমি কি করে,,আচ্ছা আপু যদি সেদিন সত্যি সত্যি মরে যেতো আমি আমি কি করতাম সারাটা জীবন তো এটাই আমার মনে হতো যে আমি একটা খুনি,,,,না আমি এতোটা দূর্বল না,,আমি নীলি আপু বা ওনার কোনো দয়া নিতে যাবো না,,দরকার পড়লে আমি তাদের দয়া করবো,,যদি নীলি আপু কখনো এসে বলে সে আমাকে দয়া দেখিয়ে তার ভালোবাসাটা দিয়ে দিছে তখন____না সব কিছু শেষ হবার আগেই আমাকে একটা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে,,আমার কাছে তো যাওয়ার একটা আশ্রয় আছে কিন্তু আপু কোথায় যাবে!!

!
!
!
আবীরঃ হ্যালো কে,,হ্যালো

হিয়াঃ আবীর ভাইয়া?

আবীরঃ হিয়া!!___হিয়া তুমি হঠাৎ আমাকে ফোন করলে বাড়িতে সবাই ঠিক আছে উজান উজান ঠিক আছে?

হিয়াঃ ভাইয়া আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে,,আপনার সময় হবে একটু?

আবীরঃ আমি আসছি হিয়া,,

!
!
!

হাতে থাকা ডিভোর্স পেপার টা টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেললো উজান,,সে তো বারবারই বলছে তার শুধু তার হিয়াকে চাই তার হিয়াকে চাই তাহলে আজ কিসের জন্য হিয়া এতো বড় একটা ডিসিশন নিলো,,কি বোঝো ও ডিভোর্সের কি বোঝে একটা সম্পর্কের,,

উজানঃ হিয়া আমি একবার না হাজারবার করে বলছি সবার সামনে বলছি আমার শুধু তোমাকে চাই শুধু তোমাকে,,তুমি তারপরো কি করে এরকম একটা কাজ,,হিয়া এই পিচ্চি দেখো দেখো আমার দিকে আমি আমি কোনো ভুল করেছি বলো বলো আমাকে তুমি,,আমাকে আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না,,এই পিচ্চি তুমি বলো আবীর আবীর যা বলছে সবটা সবটা মিথ্যাে বলছে

হিয়াঃ আবীর যা বলছে সবটা সত্যি,,আমি সত্যি সত্যি আবীর ভাইয়া কে বিয়ে করেছি,, বিশ্বাস না হলে এই কাগজ গুলো দেখুন

উজানঃ (হিয়াকে ধাক্কা দিয়ে) আমি বিশ্বাস করি না

আবীরঃ উজান!!ভুলে যাস না হিয়া এখন আমার ওয়াইফ,,তোর কোনো রাইট নেই হিয়ার সাথে এরকম আচরণ করার,,

উজানঃ (সপাটে আবীরের কলার ধরে) তুই আমাকে রাইট শেখাচ্ছিস,,তুই____কি মুরাদ আছে তোর,,হিয়া না হয় ছোট ও না বুঝে তোর ফাঁদে পা দিয়েছে কিন্তু আমি এতো সহজে তোকে হিয়ার জীবন নিয়ে খেলতে দেবো না আবীর,,

আবীরঃ তুই না দেওয়ার কে,,হিয়া এখন আমার ওয়াইফ আমি ওর জীবন নিয়ে খেলবো না মজা করবো এটা টোটালি আমার ব্যাপার,,ভালোয় ভালোয় ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়ে এখান থেকে চলে যা,,হিয়া এখন শুধু আমার

উজানঃ তোর এই নোংরা মুখ দিয়ে আমার হিয়ার নামো উচ্চারণ করবি না আবীর,,দরকার পড়লে আমি হিয়াকে মেরে ফেলবো কিন্তু হিয়াকে আমি কিছুতেই তোর সাথে যেতে দেবো না

আবীরঃ আটকে দেখা শুধু,,দেখ হিয়া তোর কাছে থাকে না আমার সাথে যায়

সন্ধিঃ প্লিজ তোরা একটু থাম,,মানুষ দেখছে উজান,,কি করছিস,,মেরে ফেলবি নাকি আবীরকে তুই

উজানঃ দরকার পড়লে তাই করবো,,ওর সাহস হয় কি করে আমার হিয়াকে

আবীরঃ উজান নিজের লিমিটের মধ্যে থাক এরপর আমি তোর গায়ে হাত তুললে কিন্তু ব্যাপারটা অনেকদূর গড়াবে

উজানঃ হুমকি দিচ্ছিস তুই,কে রে তুই,মার না মার,,সাহস থাকলে তুল না গায়ে হাত

আবীরঃ উজান তুই কিন্তু এবার বাড়াবাড়ি করছিস

কথায় কথায় উজান আর আবীরের তুমুল লেগে যায়,দুজনে দুজনের গায়ে হাত অবধি তুলে ফেলে,উজানের আঘাতে আবীরের মুখ দিয়ে রক্ত পর্যন্ত গড়িয়ে পড়ে,,সন্ধি হিয়া অনেক চেষ্টা করে ওদের থামানোর কিন্তু কেউ কারো কথা শুনতে চাইছেই না,,এক পর্যায়ে ব্যাপারটা খুব খারাপ দিকে এগোতে ধরলে হিয়া গিয়ে সপাটে উজানের থেকে আবীরকে ছাড়িয়ে উজানকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে,,ব্যাপারটা আচমকাই ঘটে যায় হিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবে কাজ টা করতে চাই নি

উজানঃ হিয়া!!(অস্ফুটে)

হিয়াঃ এটা আমি কি করলাম,,আ–মি ওনার গায়ে এ–ভাবে

সন্ধিঃ তুমি উজানের গায়ে হাত তুললে হিয়া!!

হিয়াঃ না আপু আমি আ–সলে

সন্ধিঃ তোমার কাছে এটা আশা করি নি আমি হিয়া

হিয়াঃ আপু আমি তো শুধু ওনাদের থামাতে

আবীরঃ হিয়া চলো এখান থেকে

সন্ধিঃ হিয়া তুমি সত্যি যেতে চাও আবীরের সাথে

হিয়াঃ হ্যা মানে আমি,,(না না এই মুহুর্তে এসে আমাকে দূর্বল হলে চলবে না,ডিসিশন যখন আমি নিয়েই ফেলেছি তখন আর কেনো এভাবে)

সন্ধিঃ কি হলো চুপ করে আছো কেনো উওর দেও

হিয়াঃ হ্যা চাই___চাই বলেই তো আমি ওনাকে বিয়ে টা করেছি তাই না,,এখন আপনারা বিষয় টা মেনে নিতে না পারলে নিশ্চয় সেটা আমার দোষ না___আর এই যে আপনাকে বলছি___ডিভোর্স পেপার টা ছিড়ে ফেললেই নিশ্চয় সবটা আগের মতো হয়ে যাবে না,,আবীর আমার হাসবেন্ড আপনি ওনার সাথে এতোক্ষণ যা করলেন সেটা কিন্তু মোটেই আপনার সাথে যায় না

উজানঃ তুমি এভাবে আ–মাকে কষ্ট দিতে পারো না হিয়া

হিয়াঃ কষ্ট!!কিসের কষ্ট বলুন তো এখন তো আপনার জীবনে নীলিমা আপু এসে গেছে তাহলে,,তাহলে কিসের এতো আক্ষেপ আপনার,,আপনার তো খুশি হবার কথা আপনার আর নীলি আপুর পথ টা আমি ফাঁকা করে দিলাম,,এখন আপনি চাইলেই নীলি আপুর সাথে

উজানঃ আমার শুধু তোমাকে চাই হিয়া,,নীলিকে না

হিয়াঃ কিন্তু আমার যে আপনাকে চাই না,,এ-রকম অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে তো আমি আমার জীবনটা নষ্ট করে দিতে পারি না,,ভবিষ্যৎ এ কখনো যদি আবার আপনি নীলিমা আপুকে নিয়ে কিছু অনুভব করেন সেটা তো শেষে গিয়ে এই আমাকেই কষ্ট দিবে তাই না বলুন

উজানঃ হিয়া!!

হিয়াঃ এর চেয়ে বরং আপনি আমাকে ভুলে গিয়ে নীলি আপুকে নিয়ে নিজের লাইফ টা গুছিয়ে নিন এদিকে আমিও আবীর কে নিয়ে আমার জীবন টা

উজানঃ আমি আর একবার তোমাকে জিজ্ঞেস করবো হিয়া তুমি কি সত্যি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আবীরকে

হিয়াঃ (অন্যদিকে পেছন ফিরে)আপনি একবার বলুন আর একশোবার আমার উওর টা একই থাকবে,,আপনি ফিরে যান,,এখানে আমার থেকে কিচ্ছু পাওয়ার নেই আপনার

উজানঃ (একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে) সন্ধি আয়

বলেই উজান চোখ ভর্তি জল নিয়ে ওখান থেকে চলে যায়,,উজান চলে যাবার সাথে সাথেই হিয়া ফ্লোরে বসে পড়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে,,আর নিজের হাত টাকে সামনে থাকা ফুলের টব টা দিয়ে নির্মম ভাবে আঘাত করতে শুরু করে

হিয়াঃ এই হাত দিয়ে আমি ওনাকে ধাক্কা দিয়েছি তো তো এই হাত আমি আজকে শেষ করে ফেলবো,,যেই মানুষ টা আমার জন্য পুরো বাড়িটাকে হাসপিটাল বানিয়ে ফেলেছিলো আর আমি কি না তাকে

সন্ধিঃ এখন এতো কষ্ট পাচ্ছ কেনো তুমি,,নাটক করছো

আবীরঃ সন্ধি তুই অনন্ত হিয়াকে ভুল বুঝিস না

সন্ধিঃ ভুল বুঝছি না,,শুধু তোদের সবার কান্ড দেখছি(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)___নিজেকে কি মহান দাবি করতে চাইছো নাকি হিয়া

হিয়াঃ আপু আমি!!

সন্ধিঃ নীলিমার জীবনটাকে সাজাতে নিজের সংসার টা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে তোমার বিবেকে কি একটুও বাঁধছে না

হিয়াঃ আমার কাছে এটাই ঠিক মনে হয়েছিল আপু,,আমি ওনাকে হিয়া নীলিমা হিয়া নীলিমা এই দোটানায় কুঁড়ে কুড়ে শেষ হয়ে যেতে দেখতে পারবো না আর

সন্ধিঃ উজান কিন্তু কোনো দোটানায় নেই হিয়া,,দোটানায় তুমি ভুগছো,,নীলিকে নিয়ে এতো ভাবছো যে নিজের স্বামীকে,,ছিঃ

হিয়াঃ নীলিমা আপুর দিক টা আপনারা কেউ দেখতে চাইছেন না কেউ না,,সবাই শুধু ভাবছেন নীলি আপু আমাদের সংসার টা ভেঙে দিতেই এসেছে তা কিন্তু নাআআ________(চোখের জল গুলো মুছে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)আমি বুঝি মাথার উপর কোনো ছাঁদ না থাকার কষ্ট টা কি জিনিস,,,,,,যে বয়সে নিজের মা বাবাকে হারিয়েছিলাম তখন আমি খুব ছোট্ট ছিলাম খুব,,বয়স কতো হবে আর তখন সবে ক্লাস সেভেনে উঠেছিলাম,,স্কুল থেকে ফিরে জানতে পারি বাস এক্সিডেন্ট এ______মা বাবা কে কবর দিয়ে আসার পর নিজের ঘরটাও নিজের বলতে পারি নি আর,,চাচারা সবাই তুচ্ছ করে কেঁড়ে নিলো সবটা আমাদের,,আমার আশ্রয় হলো বাড়ির উঠোনের ভাঙ্গা কোঠা টায়,,ভয়ে ভয়ে কতো রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছিলাম আমি শুধু আমি জানি,,কেউ পাশে ছিলো না কেউ না,,গ্রামের সার্তকি থেকে শুরু করে সবার কু নজর এসে পড়তো আমার উপর,,কতো বার সমাজের সেই কু লালসা থেকে নিজেকে বাঁচাতে বন্দি পাখির মতো পাখা ঝাপটে চিৎকার করেছি আমি,,প্রতিরাতে ঘুমোনোর সময় সাথে চাকু বটি এসব নিয়ে ঘুমোতাম আমি,,,ঔ অন্ধকার রাত গুলোর কথা ভাবলেই আজো আমার প্রত্যেকটা লোমকূপ কেঁপে উঠে,,,এক মাসের মাথায় আমার এই অবস্থা শুনে মামু নিয়ে গেলো তার বাড়িতে কিন্তু অন্যের বাড়িতেও বা কি সুখে ছিলাম আমি সেই তো এসে জুটলো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য,,তবু মামির প্রতি ঋৃনের কোনো কমতি নেই আমার যতোই অবহেলা করুক জ্বর হলে দু লোকমা খাইয়ে ঔষধ দিয়ে সুস্থ তো করে তুলতো আমায়,,,একদিন এই অন্ধকার জীবনে উনি আসলেন রামধনু হয়ে এতো টা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন আমাকে আমার তো আজো মনে হয় আমি কোনো স্বপ্ন দেখছি স্বপ্ন টা ভেঙে গেলে আবার সেই!!

সন্ধিঃ তাই বলে

হিয়াঃ (সন্ধিকে কিছু না বলতে দিয়ে) আজ নীলিমা আপুর জায়গা টা আমি বুঝি,,একটা মেয়ে শুধু তার ভালোবাসার জন্য একটা বছর মেন্টাল এ্যাসাইলামে কাটিয়েছে তার বিশ্বাস ছিলো উজান আসবে উজান এসে তাকে মুক্তি দেবে,,কিন্তু উজান এসে তাকে মুক্তি দিলো তো ঠিকই কিন্তু দাঁড় করালো একটা কঠিন সত্যের মুখোমুখি,,,বলতে পারবেন এই সমাজ কি কখনো মেনে নেবে আপুকে পাগল বলে বলে তো দূরে তাড়িয়ে রাখবে___না নীলি আপু কে গ্রহন করবে তার বাবা মা না গ্রহন করবে উনি,,মেয়ে টা ঠিক কোথায় গিয়ে আশ্রয় জুটাবে নিজের বলতে পারবেন

সন্ধিঃ আমরা আছি নীলিমার জন্য

হিয়াঃ কতোদিন??কতোদিন থাকবেন আপনারা,,আপনারা তো সবাই এখনি আপুকে বিরক্তিকর একটা বস্তু ভেবে বসে আছেন পারবেন তার সারাজীবনের দায়িত্ব নিতে!!

আবীরঃ দরকার পড়লে নীলিমা বিয়ে করবে অন্য কাউকে হিয়া

হিয়াঃ (হাসি দিয়ে)হাসালেন আবীর ভাইয়া,,অন্য কাউকে বিয়ে করবার হলে নিশ্চয় আপু ঔ এ্যাসাইলামের ছোট্ট বন্দী রুম টায় নিজেকে পুষে রাখতো না

সন্ধিঃ পরিস্থিতি টা এখন ভিন্ন হিয়া

হিয়াঃ পরিস্থিতি যাই হোক,,আমার মাথার উপর যাবার হলেও একটা ছাঁদ আছে কিন্তু আমি চাই না নীলি আপুকেও এই সমাজ কু দৃষ্টিতে দেখুক,,নীলি আপুকেও যেনো আমার মতো রাতের পর রাত ভয়ে কাটিয়ে দিতে হোক,,

আবীরঃ আর উজান,,তার কথা একবারো ভাবছো না তুমি

হিয়াঃ উনি এখনো নীলি আপুকে ভালো বাসে,,হ্যা আমাকে হারানোর কষ্ট টা ওনার সাময়িক হবে কিন্তু উনি ঠিক পারবে আমাকে ভুলে নীলিমা আপুকে নিয়ে

আবীরঃ উজান নীলিকে না হিয়া উজান তোমাকে ভালোবাসে,,

সন্ধিঃ তোমাকে বুঝিয়ে লাভ নেই হিয়া,,একজনের জীবন বাঁচাতে গিয়ে অন্য একজনের জীবন তুমি নিজ হাতে শেষ করে দিচ্ছ,,যেদিন উজান সব জানতে পারবে ঔদিন উজান কোনোদিন তোমাকে ক্ষমা করবে না কোনো দিন না!!মিলিয়ে নিও আমার কথা টা

!
!
!

হিয়াঃ ধন্যবাদ আবীর ভাইয়া আপনি আমার জন্য

আবীরঃ হিয়া আমি তোমাকে আবারো বলবো,,তুমি যা করছো সেটা আর একবার ভেবে করো দয়া করে,,তিনটে মানুষের জীবন নির্ভর করছে তোমার ডিসিশনের উপর!!

হিয়াঃ আমার আর ভাবার কিছু নেই ভাইয়া,,বেশি ভাবতে গেলেই সমস্যা,,আমি মেনে নিয়েছি আমার ভাগ্যেকে,,আমি বাবা মা কে হারিয়ে অনাথ হয়ে একা ছিলাম আজো আছি সারাজীবন হয়তো একাই থাকতে হবে,,মাঝের এই দুটো বছর উজান না হয় একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে আমার জীবনে থাকবে

আবীরঃ হিয়া একটা কথা জিজ্ঞেস করি!!

হিয়াঃ হ্যা করুন

আবীরঃ আচ্ছা যদি এখন উজান নীলিমাকে বিয়ে করে নেয় তুমি কি করবে??

হিয়াঃ আমি আর কি করবো,,আমি তো এটাই চাই উনি আবার নীলিমা আপুকে নিয়ে নিজের সবটা সুন্দর করে সাজিয়ে নিক

আবীরঃ না মানে তা বলছি না,,,এভাবে আর কতোদিন তুমি একা থাকবে কখনো যদি বিয়ে করতে ইচ্ছে হয় তোমার তখন

হিয়াঃ হাসালেন আবীর ভাইয়া,,আমার কথা বাদ দিন আপনি কবে বিয়ে করবেন সেটা বলুন,,অনেকদিন ধরে বিয়ের খাবার খাওয়া হয় না তো(চোখের পানি টা মুছে একটা মেকি হাসি দিয়ে)

আবীরঃ বিয়ে করবো বলছো,,তাহলে তোমার মতো একটা মেয়ে খুঁজে দেও,,তোমার মতো দেখতে,সবসময় তোমার মতো এরকম হাসি খুশি থাকবে,,নিজের আগে সবার কথা চিন্তা করবে,,আর তোমার মতো একটা গলার কাছে তিল থাকতে হবে,,বুঝলা___আরে মজা করছিলাম___ধরো এই চাবি টা রাখো পরশু খালা আসবে তারপর তোমাকে ওনার সাথে এই বেড টা শেয়ার করতে হবে,,ততোদিনে এই জায়গাটাকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করো

হিয়াঃ ধন্যবাদ আবীর ভাইয়া,,

আবীরঃ যাওয়ার আগে দুটো কথা বলছি যা করছো সেটা আরেকবার ভেবে করো উজান কিন্তু এবার সত্যি সত্যি না পাগল হয়ে যাবে,,আর

হিয়াঃ আর??

আবীরঃ জীবন টাকে আরেকটা সুযোগ দিয়ে দেখতে পারো,,সবসময় নিজেকে sacrifice করতে হবে এমনটা তো নাও হতে পারে,,

!
!
!

দেড় মাস পরঃ

হিয়াঃ কেমন আছেন আপনি,,আমাকে ভুলে নিশ্চয় খুব ভালো আছেন,,কোথায় একটা বার তো আমার খোঁজ নিতে এলেন না,,পরগাছা টা মরে গিয়ে খুব ভালো হয়েছে না বলুন,,রোদের আলোয় শ্বাস নিতে একটু সুবিধে হচ্ছে আপনার!!!!!!

সিস্টারঃ Excuse me আপনি কি মিসেস হিয়া শাহরিয়ার,,আপনার রিপোর্ট এসে গেছে দয়া করে রিসিপশন থেকে কালেক্ট করে নিয়ে আসুন

সিস্টার কে একটা মলিন হাসি দিয়ে হিয়া রিসিপশন থেকে ওর রিপোর্ট গুলো নিয়ে ডক্টরের চেম্বারে গিয়ে ডক্টরকে রিপোর্ট গুলো দেখাতেই ডক্টর টা হিয়াকে হাসিমুখে উওর দেয় হিয়ার রিপোর্ট পজিটিভ সে মা হতে চলেছে,,সাথে সাথেই একটা ধাক্কা খেয়ে বসে হিয়া,,কি বলছে কি ডক্টর,,সে মা হতে চলেছে মানে!!

হিয়াঃ জীবনে এসব কি পরীক্ষার উপর দিয়ে যাচ্ছি আমি,,যদি এই খবর টা আসারই ছিলো তাহলে আর কয়েকটা মাস আগে আসলেই বা কি ক্ষতি টা হতো,,আমি এখন কি করে সবটা সামাল দেবো,,সৃষ্টিকর্তা আমাকে এ কোন পরীক্ষায় এনে দাঁড় করিয়ে দিলেন!!

!
!
!

আজ চারমাস পরঃ

অভিকঃ তুই এতো রাগ হচ্ছিস কেনো,,আচ্ছা এই ভরা সন্ধ্যাতে বৃষ্টিতে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতে কি এই বাস টা পেলাম সেটা বেটার লাগেনি তোর কাছে

উজানঃ জানি না আমি,,এই লোকাল বাস এখন কখন গিয়ে ছাড়বে কখন মিটিং টা এ্যারেন্জ করবো,,অসহ্য লাগছে সব কিছু আমার

অভিকঃ আস্তে একটু শান্ত হ মিটিং টা কি আজই করতে হবে সেটা কে কি কোনো ভাবে

উজানঃ আমি যখন বলেছি আমি আজ মিটিং এ্যাটেন্ড করবো তো আমি করবোই

অভিকঃ হিয়া আবীরকে বিয়ে করবার পর থেকে তুই একটা কিরকম জানি হয়ে গিয়েছিস উজান,,এভাবে আর কতোদিন যন্ত্রণা টা নিজের মধ্যে পুষে রাখবি

উজানঃ তোকে আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না,,তুই নীলিমা কে নিয়ে ভাব এটাই বেটার হবে তোর জন্য,,হিয়া আবীরকে নিয়ে সুখে আছে তুই নীলিকে নিয়ে সুখে থাকবি আর আমি আমি তো পুরো নিঃস্ব হয়ে গেলাম অভি,,হিয়া তো আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন টাই নিয়ে পালিয়ে গেলো,,তোরা সবাই এক একটা স্বার্থপর তোর রাগ নীলিমার ইগো হিয়ার মহত্ত্ব সব কিছুর মাঝে এই আমি টাই আজ হারিয়ে গেলাম,,,,,!!

অভিকঃ তুই কি কোনোভাবে নীলিমা আর আমাকে একসাথে

উজানঃ just stop অভিক,,তোর মনে হয় আমি নীলিকে আর কখনো গ্রহন করবো,,অভিক আমার এখন যা আছে তার সবটাই হিয়া,,নীলিমা আমার অতীত ছিলো ও আমার জন্য অনেক suffer করেছে তাই ওকে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিলো যেটা এখন তোর দ্বারা আমি পেরেছি,,কিন্তু হিয়া আমার ভালোবাসা অভিক__অতীত আছে বলেই বর্তমানকে আমি কখনো অস্বীকার করতে পারবো না,,আর সবচাইতে বড় বিষয় আমি হিয়াকে ভালোবাসি & that’s enough for me

অভিকঃ কিন্তু হিয়া তো তোকে ছাড়া

উজানঃ ভালো আছে তো,,ভালো থাক ও,,কম তো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করিনি,,আবীরের সাথে নাকি সে খুব সুখে আছে তাই তার আমাকে আর চাই না,,কি কমতি রেখেছিলাম ওর,,কম তো ভালোবাসি নি,,পাগল ছিলাম ওরজন্য এখনো আছি,,হিয়া কি পেলো আমাকে এতোটা আঘাত দিয়ে বলতে পারবি!!

উজান একটা দীর্ঘ শ্বাস টেনে জানালাটা খুলে দেয়,,বাহির থেকে বৃষ্টির ছাট এসে ভিজিয়ে দেয় উজানের এক হাত,,অভিক কি বলবে সত্যি তো সবকিছুর শেষে গিয়ে তো আজ উজান পুরো নিঃস্ব হয়ে আছে!!

কন্ডাকটরঃ দেখি দেখি সাইড দেন ভাই,,,প্রেগন্যান্ট মহিলা আছে ওনাকে যেতে দিন আগে,,,ও আপা বসেন না নিজের সীটে,,দেখি আসেন আপনি

হিয়া কন্ডাকটর এর কথা মতো সামনে আগাতে ধরে আর তখনি ওর চোখ যায় সামনের সীটে বসে থাকা উজান আর অভিকের উপর,,হিয়া থমকে দাঁড়ায় সাথে থমকে যায় উজান অভিক দুজনেই!!

ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে
তোমার দেখা আমার সঙ্গে
মুখোমুখি আমরা দু’জন
মাঝখানে অনেক বারণ____!!

কন্ডাকটরঃ আপা সীট তো নাই আপনি আপাতত দাঁড়িয়ে যান সামনে বাস ফাঁকা হবে,,আপা শুনেছেন,,ও আপা

হিয়াঃ হ্যা__হ্যা কি জানি বলছিলেন

কন্ডাকটরঃ বলছি দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন এখন, সামনে বড় রাস্তার মোড়ে বাস দাঁড়াবে তখন ফাঁকা হলে না হয় সীট দেবো আপনাকে,,এই বৃষ্টি তে কিন্তু আর বাস পাবেন না,,

হিয়াঃ ঠি–ক আছে কতো ভা–ড়া

কন্ডাকটরঃ বলছি,,দাড়ান একটু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here