?#The_Colourful_Fragrance_Of_Love?
Part:15
হিয়াকে নিয়ে বাড়িতে আসার পর শুরু হয় উজানের অন্যরকম পাগলামি,,সে তো একটা মুহুর্ত তার হিয়াকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছে না,,কোথায় তার অফিস কোথায় তার মিটিং এখন এই মুহুর্তে হিয়াকে চোখে চোখে রাখা টাই তার মুখ্য কাজ,,এমনিকে ওয়াশরুমে যেতেও সে হিয়ার পাশে বাড়ির সকলকে বসিয়ে রেখে যাচ্ছে নয়তো দরজা খোলা রেখেই ওয়াশরুমের কাজ করছে,,উজানের এই পাগলামি তে হিয়া প্রচুর পরিমাণে বিরক্ত ত্যাক্ত হেনস্থ?♀️?♀️কি শুরু করছে কি তার অসভ্য বরটা,,তার পাগলামির চোটে এবার না হিয়া সত্যি সত্যি অসুস্থ হয়ে যায়
হিয়াঃ ও উজান কেনো আপনি এরকম করছেন,,আমার কি হ’য়েছে এই হাতে আর পায়ের মধ্যেই তো একটু চোট লেগেছে তার জন্য আপনি এভাবে সবাইকে
উজানঃ দেখি এই আপেল গুলো সব এখুনি শেষ করো কুইক,,আমি একদম ছোট ছোট করে কেটে আনছি যাতে তোমার গলায় গিয়ে না লাগে
হিয়াঃ ?এসব কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে হ্যা ওদিকে কিন্তু সবাই হাসাহাসি করছে দেখুন
উজানঃ আই ডোন্ট কেয়ার,,ওদের কি এরকম খামখেয়ালিতে ভরা বাচ্চা বউ আছে নাকি যে ওরা এসবের মর্ম বুঝবে,,you know যারা হাসাহাসি করছে তারা না সবাই জেলাস বুঝছো বাবা মাকে এরকম করে কেয়ার করে না সন্ধিকে তুষার এভাবে ভালোবাসে না তাই ওরা আমাদের দেখে জেলাসফিল করছে বুঝছো
হিয়াঃ ?♀️হ্যা যা সুন্দর লজিক আপনার না বুঝে উপায় আছে,,হুম হুম জেলাস ওরা আমাদের দেখে খুব জেলাস,,দিন আমি আপেল খাই
!
!
!
হিয়াঃ আপনি যান না অফিস,,ও উজান আমি ঠিক আছি তো এখন,,এখানে মা আছে জিনিয়া আছে আর কি লাগবে বলুন তো আমার
উজানঃ হ্যা আমি অফিসে যাই তুমি আবার উঠে তখন ছোটাছুটি করবে তাই তো,,তারপর পুরো পা টা ভেঙে যাবার কাজ শুধু
হিয়াঃ এই লোক কে কিছু বলে বোঝাতেও তো পারছি না,,গত তিনঘন্টা ধরে বিছানার মাঝখানে বসে আছি তো আছি আমি,,কি যে বিরক্ত লাগছে আমার না এপাশে নড়তে পারছি না ওপাশে,,মনে হচ্ছে লোকটার চুল গুলো সব টেনে টেনে ছিঁড়ে মাথা টা টাক বানিয়ে দেই,,অসহ্য একবারে_____বলছি কি আমি না একটু ওয়াশরুমে যাবো এভাবে আর বসে থাকতে ইচ্ছে করছে না(মিনমিন করে-বসে থাকার চেয়ে একটু ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসি যদি একটু বলে মার কাছে যেতে পারি এসে)
উজানঃ এক্ষুনি যেতে হবে পাঁচ মিনিট ওয়েট করো অভিক আসছে তোমার জন্য একটা বেডপ্যান নিয়ে আসতে বললাম,,এই শুধু শুধু কষ্ট করে হেঁটে ওয়াশরুমে যাবার কি দরকার
হিয়াঃ কি!!!! আপনার মাথা ঠিক আছে,,কিসব বলছেন কি আপনি,,আমি আমি এখন বেডপ্যানে,,এই না কিছুতেই না,,আপ আপ আপনি এক্ষুনি অভিক ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বলুন ওটা থুইয়ে আসতে নাহলে কিন্তু কিন্তু আমি এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যাবো,,আসছি থেকে আপনার এই অনেক আলুততালুত করা ভালোবাসা সহ্য করে যাচ্ছি কিন্তু এই এখন বেড প্যান,,আমি যদি ইয়েএএও করে ফেলি না তবুও ঔ বেডপ্যানে না,,কখনোই না
উজানঃ জাস্ট কিপ ইউর মাউথ শাট,,সবসময় বেশি কথা বলো তুমি,,আরে পিচ্চি আমি তো জাস্ট তোমার ভালোর জন্য
হিয়াঃ আপনি আবার কথা বলছেন?
!
!
!
উজানঃ দেখি ঔষধ গুলো এক এক করে খাও এখন এটা আগে পাঁচ মিনিট পর ওটা
হিয়াঃ ??
উজান ঘড়ি দেখে দেখে ঠিক পাঁচ মিনিট পরই হিয়াকে দুই নম্বর ঔষধ টা খাইয়ে দিয়ে সুন্দর মতো হিয়াকে বালিশে হেলান দিয়ে রাতের আর বাকি কাজ টুকু সেরে দরজা জানালা লাগিয়ে হিয়ার পাশে গিয়ে শুইয়ে পড়ে
হিয়াঃ এই যে শুনুন আজ যা হয়েছে হয়েছে কিন্তু কাল থেকে যেনো আমি আপনাকে আর বাড়িতে এভাবে বসে থাকা না দেখি,,কি ভাবছে কি বাসায় সবাই আপনার লজ্জাশরম নাই থাকতে পারে আমার আছে,,,,কাল থেকে যেনো আমি
উজানঃ চুপ,,দেখি এদিকে ঘুরো,,সারাদিনে আজ অনেক খাটিয়েছ আমায় একবার হসপিটাল একবার বাড়ি একবার এটা আনো একবার ওটা,,এখন দেখি আমার বুকে আসো একটু আদর দেই
হিয়াঃ ঢং দেখলে যেনো গা পিওি জ্বলে যায়,,কে কে বলেছিলো আমার জন্য অফিসে না গিয়ে এসব করতে,,আজ সারাদিন টা আপনার জন্য আমার মাটি হয়ে গেলো,,আজ না পারলাম মা’র সাথে বসে মিঠাই দেখতে না পারলাম বিকালে লুডু খেলতে না পারলাম জিনির সাথে গল্প করতে,,সব সব সব আপনার জন্য,,আমার আর ভালোই লাগে না??
উজানঃ কি ভালো লাগে তা তোমার শুনি?
হিয়াঃ কিচ্ছু ভালো লাগে না আপনি বাড়িতে থাকলে আমার স্বাধীনতা সব ফুরুৎ হয়ে যায় আমি কিচ্ছু করতে পারি না,,আপনি ঔ রাতে করে এসে এসে আমাকে আদর দিয়ে আবার সকালে অফিস চলে যাবেন ওটা ভালো লাগে আমার
উজানঃ ?এতো বিরক্ত লাগে আমি তোমার পাশে থাকলে,,
হিয়াঃ আপনি পাশে থাকলে বিরক্ত লাগে না আপনি এই আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত যা সব করেন তাই আমার বিরক্ত লাগে,,নীলিমা আপু যে কি করে আপনার এই অতিরিক্ত সব কিছু সহ্য করতে কে জানে?
উজানঃ নীলিমা তোমার মতো এতো অন্যমনস্ক খামখেয়ালি ছিলো না নীলিমা আমার সব কথা শুনতো
হিয়াঃ উফফ একবার নীলিমা আপু ফিরে আসলে দেখতাম কে কার কথা শুনতো কে কাকে বাঘের মতো ভয় পাইতো হু
উজানঃ তুমি না ওলয়েজ বেশি কথা বলো,,দেখি ঘুরো ঘুরো এদিকে,,তাড়াতাড়ি ঘুমোতে হবে সকালে ঔষধ আছে
হিয়াঃ না আমি ঘুৃমোবো না,,সারাদিন শুইয়ে বসে থাকলে রাতে আমার ঘুম আসে না
উজানঃ তা চুপ করে মুখটা ওফ রাখো,,দেখি আসো
হিয়াঃ কি?
উজানঃ এরকম করো কেনো একটু আদর দিচ্ছি তাও তোমার ভালো লাগছে না
হিয়াঃ না লাগছে না,,আচ্ছা উজান বলছি কি
উজানঃ কি?
হিয়া একটু আবদারের স্বরে উজানের বুক থেকে মুখ তুলে আদুরে কন্ঠে বলতে শুরু করে
হিয়াঃ বলছি কি উজান আমি তো এখন বড় হয়ে গেছি না বলুন,,কিছুদিন পর ভার্সিটিতে উঠবো,,জিনিও তো বড় হয়ে যাচ্ছে সারাদিন টিউশন স্কুল এসব নিয়ে বাহিরে থাকে,,বাড়িতেঔ মা আর আমি একা একা থাকি
উজানঃ কি চাইছো কি সেটা সোজাসুজি বলো
হিয়াঃ বলছি কি আমরা যদি একটা বাবু নেই,,জানেন নিধি আপুও না সেদিন এসে বললো ওনার নাকি বাবু আসছে,,তারপর তারপর ঔ আবীর ভাইয়াদের ফ্লাটে যেই নতুন ভাড়াটিয়ে টা এসেছে ওনার একটা কি সুন্দর পরীর মতো বাচ্চা আপনি জানেন না,,আমার তো দেখেই লোভ লেগে গেছে,,ইসস আমার যদি একটা বাবু থাকতো ওরকম আমি সারাদিন তখন বাবুকে নিয়ে থাকতাম
উজানঃ বুঝলাম,,ম্যাডামের তাহলে বাবু চাই
হিয়াঃ হুম হুম?
উজানঃ কিন্তু আমি যে চাই না,,চাই না বলতে এখন চাই না তুমি ভার্সিটিতে উঠো পড়াশোনা টা আরো কিছু দূর শেষ করো তারপর না হয় এ বিষয়ে ভাববো
হিয়াঃ আরে আমার পড়াশোনা তো আমি করবোই আমাকে তো নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে নাকি,,,আর মা তো আছেই মা আমাকে ভরসা না দিলে কি আমি বলতাম
উজানঃ আমি যখন না বলেছি তখন না,,এ বিষয়ে একটা কথা আমি শুনতে চাই না,,নিধি তোমার থেকে পাঁচ ছয় বছরের বড় ওর বাচ্চা নেওয়াটা জরুরি ছিলো তাই নিয়েছে তুুমি একটু বড় হও তখন আমি একসাথে অনেক গুলো বাবু এনে দেবো তোমায় ঠিক আছে
হিয়াঃ ??তাহলে আদরো ঔ আরো বড় হবো তারপর তার আগে না হু
উজানঃ আরে হিয়া পিচ্চি আদর তো করাই যায় বলো,,ওটা আর এমন কি,,
হিয়া রাগে গাল মুখ ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে উজান একটা হেঁসে দিয়ে হিয়ার বুকের কাছে মাথা রাখে
উজানঃ যদি আমাদের টুইন বেবি হয় ব্যাপারটা কি রকম হবে হিয়াপাখি
হিয়াঃ ??টুইনবেবি মানে জমজ বাচ্চা,,দুজনে সেম সেম
উজানঃ (মুখ তুলে)হ্যা সেদিন অফিসে এক কলিগ তার টুইন বেবি দের নিয়ে এসেছিলো,,দুজনকে দেখে এতোটাই ভালো লাগলো,,মনে মনে ভাবলাম যদি তোমার আর আমার এরকম
হিয়াঃ হুম তাহলে কতো ভালো হতো,,একটা মা’র কোলে একটা বাবা-র হে হে
উজানঃ হ্যা বাকি পড়াশুনা টাও তখন উচ্ছনে চলে যেতো আর কি
হিয়াঃ বলেছে আপনাকে?
উজানঃ দেখি একটু আদর দেই এখন,,অনেক বকবক করছো তুমি এতোক্ষণ
হিয়াঃ আমার হাত পা ভাঙ্গা না আমি কি করে আদর দেবো(রাগে)
উজানঃ তোমার হাত পা ভাঙ্গা আমার টা তো পুরো ঠিক আছে,আমি তো একা একা আদর করতেই পারি
হিয়াঃ ছিঃ কি অসভ্য আপনি ধুর ভালোই লাগে না আর আমার,,কথার কোনো ব্যালেন্স নেই আপনার
!
!
!
রাত তখন চারটের কাছাকাছি হঠাৎই ঘুমের মাঝে এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখে উজান উঠে বসে,,গলা শুকিয়ে আসে তার হাত পা কাঁপতে থাকে,,কথা বলতে যেয়েও যেনো কিচ্ছু বলতে পারছে না সে,,তবুও অনেক কষ্টে সে ঘোরের মধ্যে তার হিয়াকে খুঁজে চলছে,,উজানের সাথে সাথে হিয়ার ঘুম টা ভেঙে আসতেই হিয়া চোখ টা খুলে দেখে উজান কিরকম হিয়া হিয়া করে ওকে ডাকছে,,হিয়াকে নড়াচ্ছে,,ভয়ে হিয়া উঠে বসে কোনোমতে এক হাতে উজানকে সামলে নিয়ে
উজানঃ হি হিয়া হিয়া হিয়া তুমি কোথায়,,হিয়া
হিয়াঃ এই তো এই তো আমি এখানে এই যে
উজানঃ তুমি তুমি কোথায় যাচ্ছ নীলিমার সাথে,,নীলি তোমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে,,তুমি তুমি নীলিকে বলো তুমি ওর সাথে কোথাও যাবে না তুমি আমার কাছে থাকবে
হিয়াঃ আমি কোথায় যাবো আপনাকে রেখে,,নীলিমা আপু কোথায় নেই তো এখানে,,দেখুন এখানে শুধু আমি আর আপনি
উজানঃ না নীলি নীলি গেটের কাছে দাঁড়িয়ে আছে ও তোমাকে নিতে এসেছে,,ও বলছে তুমি নাকি আমাকে ভালোবাসো না আমাকে আমাকে রেখে যেও না হিয়া,,আমি আমি তো বাঁচতে পারবো না তোমাকে ছাড়া
বলতে বলতে উজান কেঁদে উঠে,,হিয়া বুঝে উজান একটু ঘোরের মধ্যে আছে,,কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখে এরকম করছে,,হিয়া লাইট টা ওন করে দিয়ে এসে উজানকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করতে চেষ্টা করে
হিয়াঃ চুপ চুপ আমি আছি তো এ-ই যে আমি
উজানঃ তুমি আমাকে কথা দাও তুমি আমার থেকে কখনো কোথাও হারিয়ে যাবে না,,কেউ নিতে আসলেও না
হিয়াঃ আরে আমাকে এই আপনি ছাড়া কে নিতে আসবে বলুন তো,,নীলিমা আপু ফিরে আসলে তো আপনাকে নিতে চাইবে আমাকে চাইবে কি!!!!
উজানঃ না তুমি বুঝো না,,তুমি খুব অন্যমনস্ক ছোট্ট মানুষ কেউ তোমাকে ভয় দেখালে
হিয়াঃ উফফ আপনি বড্ড বেশি কথা বলেন,,নিন এ-ই যে আমি এই ওরনা টা দিয়ে আপনার হাতের সাথে আমাকে বেঁধে দিলাম,,এখন কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না দেখবেন!!
হিয়া ওর ওরনা টা দিয়ে উজানের সাথে নিজেকে বেধে নেয়,,উজান যতোটা পারে হিয়াকে শক্ত করে আগলে ধরে হিয়াকে কেউ কেঁড়ে নিলে কি হবে ওর!!
!
!
!
আজ দুই সপ্তাহ পরঃ
উজানঃ মা আমার ফিরতে ফিরতে হয়তো আজ রাত হবে,,তুমি কিন্তু হিয়াকে দেখে রাখো,,একটু যদি শুনে সে আমার কথা
বাসবিঃ কোথায় যাচ্ছিস বাহিরে কাজ নাকি আজকে তো??
উজানঃ হ্যা মা গাজীপুরের কাছে একটা প্রজেক্টের কাজ পেয়েছি,,ওটা একটা মেন্টাল এ্যাসাইলাম ওখানে ঔ মেন্টাল পেশেন্ট দের জন্য আরেকটা নিউ বিল্ডিং হবে তার পুরো কনসট্রাকশনের দায়িত্ব আমাদের কোম্পানিকে দিয়েছে,,তাই জন্য
হিয়াঃ মা তোমার ছেলে এবার পাগলা গারদে গিয়ে পাগল হয়ে আসবে??
জিনিয়াঃ তার দরকার নেই ভাবি ভাইয়া এমনিতেও তোমার প্রেমে পাগল হয়ে গিয়ে যা সব করছে ইদানীং
হিয়াঃ হুম এরপর ওনাকে ওখানে রেখে দিয়ে আসলে ব্যাপারটা কিন্তু বেশ মজার হবে??,,তারপর ওখানকার একটা সুন্দরী পাগলি দেখে তোমার ভাইয়া কে আবার বিয়ে দিয়ে দেবো তখন খুব মজা হবে
উজানঃ?দেখি,,খিল খিল করে হাসি থামাও খুব মজা হচ্ছে না আজ আমি সারাদিন বাড়িতে থাকবো না বলে
হিয়াঃ হুম হুম খুব খুব আজকে আমি পুরো স্বাধীন,, আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে?
উজানঃ আহ দেখি,, ফোন করবো আমি থেকে থেকে,,ফোন সাথে রেখো,,ঔষধ গুলো ঠিক টাইমে খেয়ে নিও,,আসছি
হিয়াঃ হুম হুম
উজান কপট রাগ দেখিয়ে বের হয়ে আসতেই হিয়া দৌড়ে সিঁড়ির কাছে এসে উজানকে থামিয়ে দেয়
উজানঃ কি হ’য়েছে হঠাৎ এভাবে দৌড়ে আসলে
হিয়া উজানকে জড়িয়ে ধরে এপাশ ওপাশ দেখে উজানের পুরো মুখে চুমু এঁকে দিয়ে
হিয়াঃ তাড়াতাড়ি আসবেন,,রাতে আজকে একসাথে খাবো,,পরশু জিনির আবার জন্মদিন অনেক প্লানিং আছে তাড়াতাড়ি আসবেন কিন্তু,,টা টা
উজানঃ পাগলি একটা,,যাও?
!
!
!
উজানঃ জমি টা পুরোপুরি স্কয়ার না দেখ তুই ভালো করে,এখানে এই মডেল টা ঠিক মানাবে না
অভিকঃ আমিও না তাই ভাবছি,,আচ্ছা একটা কাজ করলে হয় না তুই এই মডেল টা দেখ সিড়ি গুলো মাঝে না দিয়ে বরং এক সাইডে দিয়ে লাইন বাই লাইন রুম গুলো করলে বেটার হবে
উজানঃ এদের ম্যানেজারের সাথে কথা বলবি একবার
অভিকঃ বলবি!!ভেতরে যেতেও তো ভয় লাগে তখন জানিস একজন পেশেন্ট এসে আমাকে কি সব বলছিলো আমি ভয়ে পুরো শেষ
উজানঃ হা হা,,তোকেও পাগল বানিয়ে দেবে দেখিস,,বউ বাচ্চার মুখ না দেখেই পাগল হয়ে যাবি ব্যাপারটা কিন্তু মজার বল
অভিকঃ চুপ হারামি,,তুই তো নিজে একসময় নীলি নীলি বলে পাগল ছিলি এখন হিয়া হিয়া করে,,তুই গিয়ে আগে ভর্তি হ
!
!
!
এই এ্যাসাইলামের একটা ছোট্ট ঘরে বন্দি হয়ে আছে নীলিমা,,গত এক বছর ধরে বাহিরের পরিবেশ থেকে বঞ্চিত সে,,না পারে ক্ষুধা সহ্য করতে না পারে ঠিক মতো খাবার হজম করতে,,তার বিশ্বাস যার জন্য তার এই ত্যাগ সে মানুষটা একদিন ঠিক তাকে এখান থেকে মুক্ত করে আবার খোলা আকাশে নিয়ে মেলে ধরবে!!
সিস্টারঃ খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হলে খাও নাহলে পঁচে মরো এখানে,,আমার আর ভালো লাগে না এই পাগল গুলোর সাথে এখানে এভাবে দিনরাত পাড় করতে,,শুধু পেটের দায়ে পড়ে আছি,,এই মেয়ে শুনছো কথা,,কি বাড়ির লোকরে বাবা একবার দেখতেও আসে না,,মা আর বোন টা যাও আসতো এখন তো দেখি
সিস্টার চলে যেতেই নীলিমা বালিশ মুড়ে আবার কেঁদে উঠে
নীলিমাঃ আমার চোখের পানি গুলোও তো সব শুকিয়ে যাচ্ছে উজান,,এখন তো কাঁদতে চাইলেও চোখ দিয়ে পানি আসে না,,আমার গালের দিকে একটু ভালো করে লক্ষ্য করো কেমন চোখের পানি গুলোর শুকনো দাগের ছাপ দেখা মিলছে!! আর কতোদিন এভাবে এই বন্দি ঘরে আমাকে তোমার অপেক্ষা তে কাটাতে হবে আর কতো??????????