Ragging To Loving 2❤পর্ব-১৬

0
1153

#Ragging_To_Loving__2
#পর্বঃ- ১৬
#রিধিরা_নূর

আলিফা ফোন হাতে নিয়ে বসল বিছানার মাঝখানে। খুব মনোযোগ সহকারে কিছু খুঁজছে। গুগলে সার্চ দিল “ক্রাশকে পটানোর উপায়” সাথে সাথে উত্তর চলে এলো।

আলিফা — ইয়াহু পেয়ে গিয়েছি। এখন দেখ কীভাবে তোমায় পটায় মি. আরিফ। (ক্লিক করতেই পেইজ ওপেন হলো। অনেক কিছু লিখা। আলিফা মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করল।) কয়েকটি উপায়ে ক্রাশকে পটাতে পারেন। নিম্নে কিছু উপকরণ দেওয়া আছে। বাঁশ, ইট, খাম্বা, লাঠি, ঝাড়ু। এ্যাহহ! এই আবার কেমন উপকরণ? ক্রাশকে পটানোর উপায় বলছে? নাকি পেটানোর?

আলিফা ভালো করে লক্ষ্য করে দেখল আসলেই ক্রাশকে পেটানোর উপায় ছিল এসব। আলিফা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

আলিফা — তুমি একটা চুলের গুগল। ধুরর। এক কাজ করি কিছু রোমেন্টিক মুভি দেখি। তাহলে জানতে পারব কীভাবে নায়ক তার নায়িকার প্রেমে পড়ে।

আলিফার কান্ড দেখে মেহের মুখে ওড়না চেপে হাসছে। হাসি পেলেও আলিফার জন্য মায়াও হচ্ছে ভীষণ।
.
.
আমরিন জানালার পাশে বসে লাইব্রেরী থেকে আনা বই পড়ছে। হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল আহিলের মায়াভরা চেহারা, করুণ স্বরে তাকে আশ্বাস দেওয়া। আনমনেই তাকে বিশ্বাস করা। আমরিন বেশ অবাক হলো। হঠাৎ আহিলের উপর অভিমান জমা, আবার হঠাৎ তাকে বিশ্বাস করা কেমন যেন ঘোলাটে লাগছে। আরও অবাক হলো এই ভেবে যে, সে এখন আহিলকে নিয়ে কেন চিন্তা করছে? মাথা ঝাড়া দিয়ে বই পড়ছে। তবুও যেন আহিলের চিন্তা মাথা থেকে সরছে না। তার কারণ বুঝতে পারছে না। গার্লস স্কুল এবং গার্লস কলেজেই তারা পড়াশোনা করেছে। কখনো কোন ছেলের সাথে মিশেনি। নতুন পরিচয়ে হয়তো এমনটা লাগছে। এই ভেবে আমরিন নিজেকে সান্ত্বনা দিল।
.
.
নূর দৌড়ে দাদুর বাসায় প্রবেশ করল। ভেতরে যেতেই দেখে দাদুর মুখে উজ্জ্বল হাসি। চেহারায় অন্যরকম ঔজ্জ্বল্য আভা। নূরের মনে কৌতূহল কুতকুত খেলছে।

নূর — বিএফ। আজ এতো খুশি মেজাজ কেন? বল বল।

দাদু — আসলে… (সামনে তাকাতেই দাদী ইশারায় বারণ করল)

দাদুর চোখাচোখি দেখে নূর ভ্রু কুচকে তাকাল। পিছন ফিরে দেখে দাদী চমকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। নূর দাদুর সামনে ফিরে আবার তড়িঘড়ি পিছনে ঘুরে দাঁড়াল। দাদীর মাথা থেকে পা অবধি পর্যবেক্ষণ করে কুটিয়ে কুটিয়ে দেখছে। আবার দাদুর দিকে তাকাল। দুজনেই সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে আছে।

নূর — উহু উহু। বাহ্! সতিন। কত সুন্দর করে সেজেগুজে আছ। উমম। যৌবনকালে আমার বিএফ কে এভাবে নিজের রূপে ঘায়েল করে ফাসিয়েছ। তাই না?

দাদী — যাহ অসভ্য মেয়ে।

নূর — ঐ হৈ। এই বুড়ো বয়সে আবার লজ্জাও পাই৷ দুজনেই এতো পরিপাটি হয়ে কোথায় যাচ্ছ? (ভ্রু নাচিয়ে) হো! তোমরা ডেইটে যাচ্ছ? হাউ রোমেন্টিক। কিন্তু এটা অন্যায়।

দাদু — কি অন্যায়?

নূর — এদিকে এতো সুন্দর একটা জিএফ রেখে এই বুড়ির সাথে কেন যাচ্ছ? (দাদী নূরের কাঁধে থাপড়ান দিল। নূর খিলখিল করে হেসে উঠল) আচ্ছা তোমরা যাচ্ছ কোথায়?

দাদু — ঢাকায় যাব। কিন্তু এখন না। সন্ধ্যায় যাব।

নূর — (রিহানও বাসায় ফিরবে না। আমি একা বলে দাদুর সাথে থাকতে বলেছে। কিন্তু দাদু বাইরে যাচ্ছে। বহুদিন পর এতো খুশি তারা৷)তাহলে তো বোধহয় আজ আর ফিরবে না। আর সন্ধ্যায় কেন যাচ্ছ? এই বয়সে তোমাদের এতো দূরে তাও আবার সন্ধ্যায় ভ্রমণ করা উচিৎ নয়।

দাদু — চিন্তা কর না। সবকিছু ঠিক করে রেখেছি। কোন অসুবিধা হবে না।

নূর — আচ্ছা ঠিক আছে। চাবি দাও আমি বাসায় যাচ্ছি।

দাদী — আগে খেয়ে যা। শাহারা বলে গিয়েছে তোদের এখানেই খেতে। রিহান কোথায়? আর তোদের রাতের খাবার?

নূর — রিহান? আসতে দেরি হবে। রাতের খাবার আমরা খেয়ে নিব।
.
.
রিহানসহ বাকিরা জীপে করে রিহানের বাড়িতে এলো। সামনে আসতেই রিহান ব্রেক কষলো।

আফরান — কি হলো?

রিহান — বাসায় কেউ নেই। দরজা লক করা। বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

রিহান গাড়ি খানিকটা ঘুরিয়ে পিছনের দিকে গেল। টবে লুকায়িত চাবি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল। রিহান তাদের নিয়ে নিজের কক্ষে গেল। আসার পথে খাবার নিয়ে এসেছিল। কারণ বাসায় কেউ নেই। খাবারের যোগানও নেই।

রিহান — সবাই ফ্রেশ হয়ে নে।

ওয়াসিম দৌড়ে ওয়াশরুমে প্রবেশ করল।

ইয়াশ — যাহ। এবার এক ঘন্টা অপেক্ষা কর। কারণ ওয়াসিম এক ঘন্টার পূর্বে বের হবে না৷

আফরান গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়ালো। বেলকনির বিপরীত পাশে ডান দিকে বাগিচা। ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে পরিবেশ সুরভিত হয়ে গিয়েছে। ফুরফুরে শীতল হাওয়ায় আফরানের চুল এলোমেলো হয়ে উড়ছে। আফরান চোখ বুজে অনুভব করছে। হিমেল বাতাসে ঘন্টার টিং টিং শব্দ কানে বেজে উঠল। আফরান চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে পাশের বেলকনিতে “ওয়াইন্ড চিমস” দুলছে। টিং টিং শব্দ যেন সম্মোহনের মতো তাকে কাছে ডাকছে। আফরান নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে আছে সেদিকে। কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করতেই ঘোর কাটলো। তাকিয়ে দেখে রিহান।

রিহান — কোন ভাবনায় আছিস? কবে থেকে ডাকছি শুনছিস না।

আফরান — না কিছু না। আচ্ছা পাশের রুমটা কার?

রিহান — তন্বী আর নূ.. আনন্দিতার।

আফরান — ওহ্!

সবাই একসাথে বসে খাবার খেয়ে নিল। খাবার শেষে বিশ্রাম একেবারে সন্ধ্যায় সবাই ছাদে সম্মেলিত হলো। আড্ডা জুড়ে বসল। আফরান ছাদের রেলিংয়ে হেলান দিয়ে বসল। আবারও টিং টিং শব্দ কানে বাজতে লাগলো। কারণ তার ঠিক নিচ বরাবর নূরের রুমের বেলকনি।আফরান ওয়াশরুমের নাম করে ছাদ থেকে নেমে গেল। নূরের রুমের দুয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। হৃদস্পন্দন বেড়ে চলেছে। ধুকপুক ধুকপুক আওয়াজ কানে প্রতিধ্বনি হচ্ছে। বুকের বাপাশে হাত দিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলল। দরজার দিকে এগুতেই আফরানের ফোন বেজে উঠল। মূহুর্তে আফরানের সম্মোহন ভেঙে স্বাভাবিক হলো। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রুমের দিকে।

আফরান — আমি এখানে?

ফোনের রিংটোন কানে বাজতেই দেখে পান্নার কল। একবার ফোনের দিকে তাকাল, একবার রুমের দুয়ারের। তড়িঘড়ি দু পা পিছিয়ে গেল। নিজের মধ্যে একরকম অপরাধবোধ কাজ করছে। কিন্তু কেন?

আফরান — আমি পান্নার সঙ্গে একটি সম্পর্কে আবদ্ধ। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি যেমনই হোক না কেন কিন্তু তার বিশ্বাস আমি ভাঙতে পারব না। ছোট বেলার স্মৃতি বুকের মাঝে চাপা ছিল। হঠাৎ এক কৌতূহল অনুভূতি মাথায় চেপে বসেছে। আনন্দিতাকে দেখার কৌতূহল। কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু অনুভব করা পান্নার প্রতি অন্যায় হবে।

আফরান দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে ফোন রিসিভ করল। কথা বলতে বলতে ছাদের দিকে গেল। আনমনা হয়ে রক্তিম আকাশের পানে তাকিয়ে আছে। গুনগুন করছে।
আহিল ভাবছে আমরিনের কথা। লাইব্রেরীতে তার স্থির দৃষ্টির চাহনি হৃদয় ছোঁয়ার মতো।বেখেয়ালি হয়ে মুচকি হাসছে।

রিহান — লে। মি. প্রেমিক তার প্রেয়সীর স্মৃতিতে ডুবে আছে।

আহিল — স্মৃতি ছাড়া তো আর কিছু নেই।

♪♪♪♪
স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে
আমার দুঃখ বাড়ে যেকোনো ঋতুর
পাল্টে যাওয়া বাতাসে

আলতো গায়ে মাখি যতনে তুলে রাখি
তোমার লেখা যত চিঠি আসে
জানলা খুলে রাখি আসলে সবই ফাঁকি
তোমার নামে তবু আলো আসে|

স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে

অল্প আলোর শহর কত মন ভেঙে যায়
জেগে উঠে অভিমান চিত্রকল্প ভরা কবিতায়
আরো ব্যথা পেতে বাকি আছে
কিছু ঘটনা বুঝি তাই চোখে ভাসে

“আলতো গায়ে……….. আলো আসে”

স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে
হুমম

ব্যর্থ প্রেমের মানুষ কত দূর যাবে আর
চারিদিকে প্রিয় মুখ হয়ে আছে যেন কাঁটাতার
যারে ছুঁয়ে গেলে ভালো লাগে
তারে দেখি না কেন যে বার মাসে

আলতো গায়ে……… আলো আসে

স্মৃতির জোনাকি ছাড়া কিছু নেই
বুকের বা পাশে
আমার দুঃখ বাড়ে যেকোনো ঋতুর
পাল্টে যাওয়া বাতাসে

♪♪♪

আফরান আনমনেই গেয়েছিল গানটি। বাকিরা মুগ্ধ হয়ে শুনছিল। গানে আহিল আমরিনকে অনুভব করছিল। আহিল উঠে আফরানের উপর ঝাপিয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরল। আফরান চমকে উঠল। হঠাৎ করে কি হলো নিজেরই খেয়াল ছিল না।
.
.
নূর দাদী দাদুকে বিদায় দিয়ে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলো। রিহান বলেছে বাসায় আসবে না তাই নিজের জন্য হালকা খাবার কিনে নিল। ঘরে প্রবেশ করে দেখে ড্রয়িংরুম ছাড়া চারপাশে অন্ধকার। একা ঘরে কেমন যেন ভূতুড়ে ভূতুড়ে আভাস পাচ্ছে। ভীত দৃষ্টিতে চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল। উপরে তাকাতেই হঠাৎ চোখ পড়ল রিহানের রুমে আলো জ্বলছে। নূর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।

নূর — রিহান বলেছিল রাতে বাসায় ফিরবে না। এখন দেখি খাটাশ পোলা বাসায় আছে। কিন্তু চাবি তো আমার কাছে। হয়তো পিছনের দিকে প্রবেশ করেছে। কিছু খেয়েছে? নাকি খালি পেটে বসে আছে। রান্নাঘরে গিয়ে খাবার পরিবেশন করে তারপর ডাকব খেতে।

নূর রান্নাঘরে গিয়ে দেখে অনেকগুলো খাবারের খালি প্যাকেট। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

নূর — রিহাইন্না তোরে কুত্তা কামড়াইবো। অসভ্য অভদ্র নির্লজ্জ বেহায়া খাচ্চোর খাটাশ খবিশ। আমি এদিকে তার চিন্তায় আছি আর জমিদার সাহেব বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়ে বসে আছে।

নূরও খাবার খেয়ে চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। অপরদিকে রিহানের রুমে ছেলেরা আড্ডার আসর জমালো।
রাত ১১টা হতেই নূর হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে। পেট চেপে ধরে দুলছে। ভীষণ ক্ষিধে পেয়েছে। রুম থেকে বের হয়ে দেখে রিহানের রুমের আলো জ্বলছে।

নূর — রিহান এতো রাতে আলো জ্বালিয়ে আছে কেন? মনে হয় রাতে একা ভয় পাচ্ছে। ভালো হয়েছে। আমাকে না বলে বাসায় একা একা বাহাদুরি করে থাকতে চেয়েছিলি। থাক এবার।

নূর হেলেদুলে রান্নাঘরে গেল। ড্রয়িংরুমের আবছা আলোয় রান্নাঘর খানিকটা আলোকিত আছে। তাই আলো না জ্বালিয়ে ফ্রিজ খুলল। চোখ দুটো বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। ফ্রিজে একটি মাটির হাড়ি ভরতি রসগোল্লা। নূর জিব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিল। দ্রুত হাড়ি বের করে একটি রসগোল্লা মুখে দিল।

নূর — আরে কি খেলাম কিছুই অনুভব হলো। মুখে দিতেই গায়েব। একটা খেয়েনি। এত্তোগুলো রসগোল্লা আছে দুই চারটা খেয়ে নিলে কিছু হবে না।

নূর একটা একটা অনেকগুলো রসগোল্লা খেয়ে নিল। ঠান্ডা ঠান্ডা রসগোল্লা মুখে দিতেই উমমম। টুপ টুপ করে সিরা হাড়ি থেকে বেয়ে পড়ছে। আরেকটা রসগোল্লা মুখে দিতেই নূর কারো উপস্থিতি অনুভব করল। হাড়ি হাতে নিয়ে পিছন ফিরে দেখে লম্বা চওড়া ছায়ামূর্তি। ফ্রিজের আলোয় শুধু পা দুটো দেখা যাচ্ছে। আবছা আলোয় নূরের চেহারাও দেখা যাচ্ছে না।

নূর — (আমি ফাইস্যা গেছি মাইনকা চিপায়। রিহাইন্না এখন আমার বারোটা বাজাবে। এমনিতেই ঠান্ডা আমার সহ্য হয়না। অল্প ঠান্ডায় গলায় টনসিল হয়। এখন তো পুরো এক হাড়ি ঠান্ডা রসগোল্লা খতম করে দিলাম। আর মাত্র চারটি আছে। ঘুস দিয়েও লাভ নেই। কি করি? কি করি? এরই মাঝে একটি রসগোল্লা মুখে দিয়ে দিল।) হাই ভাইয়া। হাউ আর ইউ? আই এম ফাইন থ্যাংক ইউ। ভাইইয়ায়ায়া। ও আসলে আমি রসগোল্লা খায়নি। রসগোল্লা আমাকে খেয়েছে। (জিবে কামড় খেল। কি বলছিস নূর।) না মানে…. (কিছু বলার পূর্বেই একসাথে দুইটা রসগোল্লা মুখে ঢুকিয়ে দিল) রসগোল্লা খা। (হাড়ি হাতে ধরিয়ে দিল। গালে চুমু খেয়ে অবশিষ্ট একটি রসগোল্লা মুখে দিয়ে দৌড় দিল।)

নূর গান গাইতে গাইতে চলে গেল। “আমি কলকাতার রসগোল্লা”। ছায়ামূর্তিটি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ওয়াসিম — আফরান পানি খাওয়ার নাম করে গিয়েছিল এখনো আসছে না কেন?

রিহান — আমি দেখছি।

আহিল — আমরাও আসছি।

রিহানরা রান্নাঘরে গিয়ে দেখে ঘুটঘুটে অন্ধকার। রিহান লাইট অন করে দেখে ফ্রিজ খোলা। আফরান মূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে আফরানের কাছে গেল। গিয়ে দেখে আফরানের হাতে হাড়ি। গাল ফুলে আছে। চোখ দুটো নিষ্পলক স্থির হয়ে আছে।

রিহান — শালা তুই পানি খেতে এসেছিলি নাকি চুরি করে রসগোল্লা খেতে এসেছিলি। (হাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে দেখে পুরো খালি) আব্বে শালা আমাদের জন্য অন্তত রাখতি। সব নিজেই সাবাড় করে দিলি।

বলতে বলতে আফরান পিছন দিকে হেলে পড়ে। বাকিরা তাকে পড়া থেকে ধরে ফেলে। আফরান এখনো স্থির হয়ে আছে। সবাই আফরানের অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গেল। সবাই ধরাধরি করে দ্রুত তাকে ড্রয়িংরুমে সোফায় বসালো। ওয়াসিম এক গ্লাস পানি নিয়ে আফরানের মুখে পানির ছিটা দিল। ঘোর কাটতেই আফরান দ্রুত রসগোল্লা চিবিয়ে খেয়ে ফেলল।

আরিফ — আফরান? তুই ঠিক আছিস? কি হয়েছে তোর?

আফরান — আমি কলকাতার রসগোল্লা।

সবাই একসাথে — কি?

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here