#In_The_Depths_Of_Love
#Mizuki_Aura
#Part_18
এতো অপমান আর অসম্মানিত হওয়ার পর কার এমন মুখ যে থেকে যাবে!? নীলার বাবা মা ভোরের দিকেই সব কাপড় চোপড় গোজগাছ করে চলে গেছেন। অবশ্য আবিরের মা আটকাতে চেয়েছিল কিন্তু পারেননি। রেজোয়ান সাহেব তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন।
ওনারা দুইজন পায়ের তলার মাটি কাপাতে কাপাতে বেরিয়ে গেলেন। অবশ্য দাদী থাকলে বোধহয় থামাতেন। কিন্তু উনিও আপাতত বাড়িতে নেই। কদিন আগে গিয়েছেন বোনবাড়ি বেড়াতে।
“উফফ, আমার ছেলেটা যে দিন দিন শুধু জঘন্য হচ্ছে আর কিছুই না। ” মুখ ভার করে আবিরের মা ঘরে চলে গেল।
নীলার বাবা মায়ের এমন চেঁচামেচি তে রাই এর ঘুমটা প্রায় ভেঙেই গেলো। একটু এপাশ ওপাশ করতেই বুঝতে পারলো, পাশে আবির নেই। চোখ মুখ ছোটো করে হালকা উঠে তাকালো। খাটে তো নেই। তাহলে?
“বাথরুমে হয়তো” ভেবে রাই আবারো ঘুমে লুটিয়ে পড়লো।
ঘুম ভাঙ্গলো প্রায় ৮ টার কাছাকাছি সময়। এবারে রাই আরো আশ্চর্য হলো। আবির এখনও বিছানায় নেই। রাই বিছানা ছেড়ে উঠে চলে গেলো বাথরুমের দিকে। দরজায় আলতো ভাবে হাত রাখতেই দরজাখুলে গেলো “ভেতরেও নেই!”
রাই পেছন ঘুরে দেখে ঘরের দরজা খোলা (ভিড়িয়ে রাখা) । রাই শাড়ির আঁচল ঠিক করে একটু বাহিরে গেলো। সবাই ঘুমাচ্ছে। এই মুহূর্তে এক ফুপি ছাড়া কেউই ৯ টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না। আর ফুপি বাহিরেই দাড়ানো “ফুপি”
“আরে, তুই ! কীরে ঘুম থেকে মাত্র উঠলি?”
রাই মাথা নাড়লো “হুম।।। উনি কোথায়?”
ফুপি বুঝলেন না “কিনি?”
“উনি…..”
“আরে কে সে?”
রাই একটু আমতা আমতা করে বলল “আবির…”
ফুপি হোহো করে হেসে উঠলেন “নাম নিতে লজ্জা করে নাকি?”
“না,,, তবে। ”
“ও তো সকালেই বেরিয়ে গেছে। নামাজ পড়তে উঠেছিলাম তখনি আমাকে বলে গেলো বাইরে কাজ আছে আর তোকে যেনো বিরক্ত না করি। তাই তোকে ডাকি নি”
“ওহ,,,,” রাই চিন্তায় পড়ে গেলো “এতো সকালে কি কাজ!”
“আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি” বলে রাই চলে গেলো।
আবির দাড়িয়ে আছে নিজের গাড়ির পাশে। বারবার হাতের কালো ঘড়িটা দেখছে। কার অপেক্ষা?
“ব্রো…..” কেউ ডাকলো। আবির তাকিয়ে হাত উচু করলো ।
“এতো দেরি করলি যে?” আবির জিজ্ঞেস করলো ছেলেটাকে।
ছেলেটা হেসে মাথা চুলকায়। আবির চোখের হলদেকালো সানগ্লাসটা খুলে জিজ্ঞেস করে “সেদিন যে নম্বর দিলাম , কি আসলো খবরে?”
ছেলেটা এদিক ওদিক তাকালো “ভাই, অন্য জায়গায় যাওয়া যাক?”
আবির আন্দাজ করতে পারলো “ওঠ” গাড়িতে উঠে আবির হাই স্পিডে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
রাই রান্নার কাজে ব্যস্ত। তখন সুমি ডাকলো “ভাবি…….”
“হ্যাঁ বলো সুমি” রাই তরকারি রাধছিল , সুমি গিয়ে আহ্লাদী সুরে বললো “ভাবি জানো তো আগামী পরশু কি?”
মস্তিষ্কের চাকা ঘুরিয়ে রাই ভাবনায় খুঁজতে লাগলো আগামী পরশু কি? কি মনে?
“কি মনে?”
সুমি অবাক হলো “আরে বাবা পরশু তো একটা স্পেশাল দিন। জানােনা?”
রাই আবারো মস্তিষ্কের ক্যালেন্ডার খুলে খোঁজার চেষ্টা করলো , কিন্তু কিছুতেই কোনো বিশেষ দিন বলে ওর জানা নেই।
“জানিনা, তুমি বলো পরশু কি?”
সুমি একটু মুখ ভার করলো “যাহ, তুমি জানোই না। থাক তোমাকে বলবই না” বলে সুমি রান্নাঘর থেকে চলে গেলো।
“আরে সুমি….” কিন্তু কে শোনে কার কথা। সুমি ও চলেই গেলো।
আবির আর সৌরভ (ছেলেটা কে খবর দিতে এসেছে) একটা রেস্টুরেন্ট এ বসে আছে। সৌরভ খুবই গম্ভীর মুখে কিছু একটা ভাবছে।
“রাজভোগ সামনে আনলে মুখ খুলবি নাকি?”
আবিরের কথায় সৌরভ চিন্তা ছেড়ে তাকালো “হাহ, না ভাই। তবে ভাবছি আপনি যদি….”
“বলে ফেল….”
সৌরভ জানে আবির অযথা রাগার পাত্র নয়। বেশিরভাগই দুটো কথাই শোনায়। তাও যদি সৌরভ কোনো কাজের খবর না আনে। আজও একই অবস্থা , সৌরভ কোনো খবরই আনতে পারেনি “ভাই, কোনো খবর নেই আসলে”
আবির এর মুখটা আর কি বলবো…. “ইউ সেড নো ইনফো?”
সৌরভ মাথা নিচু করে রাখল। এই দ্বিতীয় বারের মতো সৌরভ বেকার হয়ে গেলো। ভাবছিল আবির কিছু বলবে। কিন্তু আবির উল্টো বিড়বিড় করতে করতে মাথা নামিয়ে নিলো “নো, ইনফো!!”
সৌরভ ভাল করে লক্ষ্য করলো আবির কিছু একটা ভাবছে ।
“ভাই…”
“গাড়ির যে নম্বরপ্লেট এর নম্বর দিলাম সেটা?”
দ্রুততার সহিত জবাব দিলো “ভাই হ্যাঁ এটার খবর আছে ….. এই যে গাড়িটা আপনাকে ফলো করছিল এইটা আসলে একটা খোয়া যাওয়া গাড়ি। বেশ কয়েক মাস আগে নাকি এক ভদ্রলোক গাড়িটা পার্ক করে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন গাড়িটা উধাও। সিকুরিটি ওদিকে আবার অন্য কীর্তিতে ব্যস্ত ছিল। গাড়ির আওয়াজ শুনেও না শোনার ভান”
“সিসি ক্যামেরা?”
“নেই। সেবাড়ির আশপাশে সিসিটিভি নেই”
“মাস্টারপ্ল্যান” বলে আবির অন্যমনস্ক হয়ে চেয়ারে হেলান দিলো।
সৌরভ ও ভাবছে ঠিক কি হচ্ছে! ব্যবসায়িক কাজে শত্রুতা চৌধুরী বাড়ির সাথে বরাবরই অনেক কোম্পানির ই আছে। তবে মার্ডার করার মত এত কাপুরুষতার বাহক তেমন কেউ নেই। অবশ্য বলা যায়না কোথা দিয়ে কে হুট করে শত্রুতা নামক খেলনা হাতে বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
কিন্তু সত্যি বলতে সৌরভ ক্রস চেক করেছে। কিন্তু বিজনেস এর সাথে জড়িত কাউকেই পায়নি। ওদিকে আবির যে কখনো সোজা পথে চিন্তা করেনা সেটাও সৌরভ জানে।
বলাই বাহুল্য , আবিরের ব্যবসা জগতের সাথে জড়ানোর পরপরই সৌরভের আগমন। আবিরের ডানহাত। ফলে আবিরকে এটুকু চেনে সে। আবার আবিরও জানে যে সৌরভ কোন পর্যায়ের গোয়েন্দাগিরি পারে।
হাড়ির খবর কিভাবে বের করতে হয় তা ওকে শিখিয়ে দেওয়া লাগেনা। যখন ও কোনো খবর আনতে পারেনি, নির্ঘাত কেউ এমনই ভাবে আবিরের পেছনে লেগেছে যার চিহ্ন টুকুর প্রতিও দয়া করেনি। নো ক্লু।
“আঁধারে হাঁটো…..” বিড়বির করলো আবির। সৌরভ “হূ!?” বলে জিজ্ঞেস করলো ।
“তাহলে আর কি? চলো বের হওয়া যাক” বলে আবির উঠে দাড়ালো।
“ভাই কিছু খাবেন না?”
“হুম, খাবো। গাড়ি ওয়ালাকে পাই। দেন একসাথে খাবো” বলে আবির হাতের সানগ্লাস টা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে যেতে লাগলো। সৌরভ ও পেছনে উঠে এলো।
কিন্তু ভাগ্যের হটাৎ আগমন ভুলে গেলে নাকি?
রেস্টুরেন্টের গেট দিয়ে বাহিরে গিয়ে ডানে ঘুরে হাটতে গেলেই কোত্থেকে কি একটা এসে আবিরের মাথায় সজোরে আঘাত করলো । আচমকা হামলায় আবির দুপা পিছিয়ে গেলো।
পেছনে সৌরভ ও ছিলো। সৌরভ দেখলো একটা কালো হুডি পরে মাস্ক লাগানো লোক একটা বড়ো চওড়া লোহার পাত দিয়ে সজোরে আবিরকে আঘাত করলো।
“ওই….” চেচিয়ে সৌরভ ছুটে গেলো লোকটার দিকে ততক্ষণে লোকটা ও সোজা দৌড়। আবির নিজেকে সামলে সামনে তাকালো। ওই হুডি ওয়ালা লোকটা সেই কালো গাড়িতে উঠে চলে গেলো। সৌরভ তাকে ধরবে তার আগেই লোকটা চলে গেলো। সৌরভ দৌড়ে পেছনে এলো
“ভাই আপনি ঠিক আছেন?”
আবির মাথা নাড়লো।
রাই সেই সকাল থেকে অপেক্ষাই করছে আবির আর আসছেনা। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা। এদিকে আবিরের মা সমানে শুধু রাই এর নামে ক্যান ক্যান করছে। কিন্তু রাই এর সয়ে গেছে। কিছু করার নেই , যার যেমন চিন্তা। সে রাই কে পছন্দ করেনা এতে রাই এর আলাদা করে দোষ নেই। বরং রাই যদি নিশান কে ও বিয়ে করত তখনও উনি একই ব্যবহার করতেন। কেননা উনি এই ধরনের নিজ ইচ্ছায় বিয়েরই বিপক্ষে।
যাইহোক এদিকে সুমি ও মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। কি যে বলবে রাই। সে তো আসলেও জানেনা যে পরশু কি?
তখনি সুমি ইয়া বড় বড় কদম ফেলে ঘরে প্রবেশ করলো। রাই তো বেশ অবাক।
“তো মহারানীর রাগ কমেছে?”
সুমি এক ঝটকায় বসে পড়লো “নাহ”
“তাহলে?”
“তবুও ভাবলাম তোমাকে বলে একটু ধন্য করে দিয়ে যাই। পরে জানতে পারলে তো হাউমাউ করে কাঁদবে।”
সুমির বাকা কথায় রাই এর প্রচণ্ড হাসি পেলো। “তা বলেন শুনি”
সুমি কিছুটা সময় ভাবলো তারপর অনতিবিলম্বে বলে উঠল “পরশুদিন ভাইয়ার জন্মদিন”
রাই স্বাভাবিক ভাবেই ভাবলো হইতো নিশানের কথা বলছে সুমি “ওহ….”
সুমি অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করল “ওহ?? শুধু ওহ?”
রাই বুঝলো না “হ্যাঁ তো?”
সুমির মাথায় বাড়ি “আরে , আবির ভাইয়ের জন্মদিন, আবির ভাইয়ের”
“ওহ,,,,, (বলে মাথা ঘুরাবে তখনি) কিহ.!!!!!! ওনার…”
সুমি কোমরে হাত বেঁধে তাকালো “জ্বী , আপনার ওনার জন্মদিন”
রাই এর মুখে হাসি ফুটে উঠলো “গ্রেট। ওহ মাই গড… আমি জানতামই না”
“তো এখন ট্রিট দাও”
“জন্মদিন কী আমার যে আমি ট্রিট দিবো?” রাই উঠে দাড়ালো।
“আজ্ঞে না, আপনার প্রিয়তম এর ”
বলে সুমি চোখ টিপ দিলো।
রাই হেসে উঠলো “তোমার ভাইয়া আসলে বলো। ”
“এর মানে কি ভাবি?”
“কি!?”
“তুমি কি ভাইয়াকে আজই সব বলে দেওয়ার প্ল্যান করছো নাকি? ”
রাই চিন্তায় পড়ে গেল। সুমি উঠে রাই এর হাত ধরে ঝাকুনি দিয়ে বললো “আরে পরশু তো ভাইয়া কে সারপ্রাইজ দিতে হবে। এটাও তোমাকে বলে দিবো নাকি?”
রাই মাথা নাড়লো। সুমি হতাশ। এটা মেয়ে নাকি বাচ্চা। সব বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। তখনি দরজায় বেল বাজলো “দাড়াও আমি যাই” বলে সুমি এগিয়ে গেলো।
পেছনে রাই ও গেলো।
দরজার বাহিরে আবির দাড়িয়ে । ওকে দেখেই সবাই হামলে পড়লো
“কীরে আবির তোর মাথায় ব্যান্ডেজ কেনো? ” ফুপি এগোলো। এটা শুনে ওর মা ও দৌড়ে এলো “ব্যান্ডেজ! কিসের ব্যান্ডেজ? কি হয়েছে? এই আবির”
আবির আস্তে আসতে ঘরে ঢুকে সোফায় গা এলিয়ে দিল। চারদিকে সবাই ঘিরে ধরেছে। রাই গিয়ে একগ্লাস সরবত করে আনলো “আপনার কি হয়েছে?”
আবির রেমণকিচুই বললো না শুধু বলল ও ঠিক আছে। রেজোয়ান সাহেব অফিসে। নইলে নিশ্চই ছেলেকে ঠাটিয়ে জিজ্ঞেস করতো এই অবস্থা কেনো!
আবির কিছুক্ষন সোফায় বসে , উঠে ঘরে গেলো। এখানে বেশিক্ষণ থাকলে শুধু প্রশ্নই জাগবে। রাই ও চলে গেলো।
।আবির গিয়ে বিছানায় ঢলে পড়লো। রাই ঘরে ঢুকে দরজা টা লাগিয়ে দিল “আপনি কি খুলে বলবেন ঠিক কি হচ্ছে আপনার সাথে?”
আবির আলতো চোখে তাকালো। রাই গিয়ে আবিরের পাশে বসলো “কালকে থেকে আর আপনি বাইরে যাবেন না।”
আবির হেসে উঠলো “তুমি কষ্ট করে শ্বাস কেনো নাও? ছেড়ে দাও শ্বাস নেওয়া নাকি?”
রাই বিরক্ত হলো “আপনি ইদানিং নিশ্চই কোনো একটা সমস্যায় পড়েছেন। আমাকে বলছেন না। আর যতদিন ওই সমস্যা খুলে না বলবেন , ততদিন আপনি ঘর থেকে বেরোতে পারবেন না। ফাইনাল। আর আমার এই কথা সবাই রাখতে বাধ্য। ”
“কোনো সমস্যা না। শুধু সিম্পল অ্যাকসিডেন্ট”
“সব অ্যাকসিডেন্ট কি আপনার সাথে ডিল করে এসেছে নাকি। যত্তসব।” বলে রাই উঠে গেলো।
এদিকে নীলা বসে বসে ভাবছে। গতকাল যে অপমান ওর সহ্য করতে হলো বিশেষ করে ওর বাবা মায়ের। এর প্রতিশোধ ও কিভাবে নিবে?
হাতের ফোনটা অন করে গ্যালারিতে গেলো। ছবি দুটো নিশান আর রাই এর। যেটা সেদিন তুলেছিল। কিন্তু এই ছবি দুটো আর দেখানো হলো না আবিরকে। নীলা ভেবেছিলো আবিরকে ছবিগুলো দেখিয়ে হাত করবে। কিন্তু তার আগেই আবির রেগে সেখান থেকে চলে গেলো। আর ছবিগুলো এখন পাঠানোটা বোকামি ছাড়া কিছুই না। কারণ আবির এসবে আর বিশ্বাস করবেনা।
রেগে উঠে নিলা ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিল।
নিশান এর আজ বাসায় ফিরতে রাত হয়ে গেছে। ইদানিং নিশান বাহিরে বাহিরেই বেশি থাকে। ফলে বাসার সবাই তেমন চিন্তা না করলে ও রাই এর মাথায় একটা চিন্তার প্রতিফলন ঘটেছে। রাই শুধু খাবারটা দিয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।
আবির আজ ও ল্যাপটপ নিয়ে কি একটা কাজে ব্যস্ত। দেখতে ও দেয়না। যাইহোক তাতে রাই এর মাথা ব্যথা নেই। তবে রাই এর সমস্যা এক জায়গাতেই যে আবির এই অবস্থা নিয়ে কেনো কাজ করবে।
“আপনি এই অবস্থায় কেনো কাজ করছেন?”
“শেষ হয়ে গেলে বলে দিবো” বলে আবির ল্যাপটপ নিয়ে সোফায় চলে গেলো।
রাই এদিকে ভাবছে আবিরের জন্মদিনে ঠিক কি করা যায়?
আবিরদের, বাড়ির ঠিক সামনেই রাস্তায় সেই অজ্ঞাত হুডি পরা লোকটা দাড়িয়ে আছে। একদৃষ্টে আবিরের ঘরের ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে সে। ঘরের এনার্জি বাল্ব এর আলোর কিঞ্চিৎ পরিমাণ বারান্দায় পড়েছে। লোকটি সেদিকে তাকিয়ে থেকে নিজের পকেট থেকে নিজের ফোনটা বের করলো।
তখনি আবিরের ফোন এ আবারো একটা মেসেজের শব্দ এলো।
আবির একটু সন্দিহান চোখে ফোনের দিকে তাকালো………
চলবে…☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️