crazyness
part_8
#sarika_Islam
”
”
”
সানাম ইয়ামানকে চুমু দিতে যাবে ঠিক তখন রামিশা ইয়ামান বলে জোরে ডাক দেয়,,সানাম ইয়ামান কে সরিয়ে তার থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়,,ইয়ামান পিছে ফিরে রামিশার দিকে তাকায়,,দেখে রামিশার হাত থেকে রক্ত ঝরছে,,,ওয়াইনের গ্লাসের কাচ তার হাতে ফুটে গেছে,,ইয়ামান তারাতারি সেখান থেকে রামিশার কাছে চলে আসে রামিশার হাত ধরে দেখতে লাগে,,রামিশা সানামের দিকে তাকি মেকি হাসি দেয়,,সানাম রামিশার হাসির রহস্য ঠিক বুঝতে পারলো না, ইয়ামান রামিশাকে নিয়ে নিজের রুমে গেল তার হাতের ড্রেসিং করতে,,সানামের অনেক রাগ লাগছে,,
আমাকে একা ফেলে কিভাবে চলে গেল ওই শয়তান রামিশাকে নিয়ে,,আমার কোন দামই নেই,,যাহ ভালোই আমিও দাম দিব না হুহহ, সানামের সাথে চিটারি!তার মজা দেখাবো তোমাকে ইয়ামান বাবু,,
এইসব মনে মনে ভেবেই সানাম সেখান থেকে ইসমি আর সানিয়ার কাছে গেল,,সানিয়া সানামকে ফিসফিস করে বলল,,
_কিরে এতক্ষন কোথায় ছিলি?
_মরতে গেসিলাম আমারে নিল না তার আইসা পরসি,,
_এই তুই আমার সাথে সব সময় রাগ দেখাস কেন?
_এই চুপ কর তোরা ঝগরা করিস না,,(ইসমি বলল)
এখন সবাই ডান্স করবে ডান্সের পালা,,সানাম সেই কখন থেকে সিড়ির দিকে তাকিয়ে আছে ইয়ামানের আসার কোন নাম গন্ধই নেই,,তাই সানাম নিজেই উপরে গেল দেখতে এখনও আসছে না কেন,,
সানাম ইয়ামানের রুমে এসে যা দেখলো সে মটেও এমনটা আসা করে নি,,সানাম দরজার কাছে গেল সবে মাত্র দরজা হাল্কা খুলেছে পুরুটা খুবে দেখলো,,ইয়ামান রামিশাকে জরিয়ে ধরে রেখেছে,,সানাম আর এক মুহুর্ত সেখানে দারালো,,অটোমেটিক চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরলো,,,সে নিচে নেমে গেল,,
সবাই তাদের ডান্স পার্টনার দের সাথে ডান্স করছে,,সানিয়াও কারো সাথে নাচ্ছে,,ইসমিও,,শুধু সানাম বসে আছে,,সে কর্নারে একটি চেয়ারে চুপচাপ বসে আছে,,তার সামনে কেউ একজন হাত বারিয়ে দিল,,,সানাম সেই ব্যাক্তিটাকে দেখার জন্য মাথা তুলল,,,সেকি সে নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না এ যে রুহান,,সানামের মুখে হাসি ফুটে উঠলো,,সানাম বসা থেকে দারিয়ে হাসি মুখে বলল,,
_আরে রুহান তুমি?
_হুম আমি,চিনেছ?
_হুম কেন চিনবো না,,
_তুমি এখানে?
_তোমার আংকেলের ফ্রেন্ডের ছেলে আমি,,ইয়ামান ভাইয়ার কাজিন তুমি রাইট?
_হুম,,তুমি ইয়ামান কে আই মিন ইয়ামান ভাইকে চিন?
_হুম,, ইয়ামান ভাইয়া মাত্র আমার থেকে 1 ইয়ার বড়,,আচ্ছা এত কথা পরে চলো ডান্স করি,,
সানামের একদম মন চাইছে না ডান্স করতে,, সিড়ির দিকে চোখ পরতেই দেখলো ইয়ামান আর রামিশা একসাথে নামছে,, পর মুহুর্তেই তাদের রঙ লীলার কথা মনে পরতেই সানাম রাজি হয়ে গেল,,রুহান হাত বারিয়ে দিল সানাম হাতে হাত দিল,,তারা ডান্স করছে,,হাল্কা ব্লু সেডের আলোতে,,দুজন দুজনের খুব কাছে সানামের কেমন অস্বস্তি লাগছে কিন্তু রুহানের সানামের কাছে এসে খুব ভালোই লাগছে,,
is qadar tumse hume pyar ho gaya,,
Hudse zyada hudse par ho gaya,,
গান চলছে আপন গতিতে,,সবাই গানের তালে তালে ডান্স করে চলছে,,ইয়ামান সিড়ি দিয়ে নামার সময় রুহানের হাত সানামের হাত দেখে খুব মিজাজ টা বিগরে গিয়েছিল সে কিছু করেই বসতো,,পার্টি চলছে তাই সে নিজেকে সংযক্ত করেছে কিন্তু এখন পানি মাথার উপরে চলে যাচ্ছে থামাতে হবে,,তাই সে গান স্টপ করে দিল,,সবাই থেমে গেল,,ইয়ামান এইবার নিজেই গান ধরলো,,সে সানামকে নিয়ে মাঝখানে চলে গেল,,,সানাম কিছু বুঝতে পারছে না,,লাইট তাদের উপর,,হাল্কা সেডের লাইটিং হচ্ছে,,ইয়ামান সানামকে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসলো,সানামের কোমরে হাত রাখলো,,সানামের হাত নিয়ে নিজের কাধে হাত রাখলো,,তারা ডান্স করছে,,
dekha hajaro dafa apko,,
Fer bekarari kesi he,,
Sambhale sambhal ta nhi ye dil,,
Kuch apme bat esihe,,,
সানাম ইয়ামানেএ দিকে তাকিয়ে আছে সব রাগ ঝেরে কোন এক ঘোরে যেন সে চলে গেল,,ইয়ামানের নীল চোখের দিকে তাকিয়ে যেন সানাম পুরো দুনিয়া ভুলে যেতে রাজি আছে,,সানামও ইয়ামানের গানের সাথে তাল মিলিয়ে দিল,,
lekar izajat ab apse,,
Sase ye atijati he,,,
Dhunde se milte nhi he hum,,,
Bas ap hi ap baki he,,,
তারা তালে তালে নেচে চলছে,,হঠাৎ সবার হাত তালিতে তাদের দুইজনের হুশ ফিরে,,এতক্ষন দুইজন যেন অন্য এক জগতে ছিল,,সানাম তারাতারি ইয়ামান থেকে দূরে সরে আসে,,,এখন ইসমির কেক কাটার পালা ইসমি কেট কাটলো সবাইকে কেক খাওয়ালো,,সানাম একটু কেক খেয়ে উপরে নিজের রুমে চলে গেল,,,পার্টি শেষ হলে সে এখনি বাড়ি চলে যাবে,,ড্রেন্স চেঞ্জ করে একটা সেলোয়ার-কামিজ পরে নিল, আস্তে আস্তে পার্টি শেষ হয়ে গেল,,সবাই ফ্রেশ হতে যে যার রুমে চলে গেল,,,সানিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে সানাম সানিয়াকে বলে,,
_চল সানিয়া আন্টি আংকেলকে বলে চলে যাই,,
_এখন? এত রাতে?কাল সকালে যাই?এমনেও অনেক টায়ার্ড লাগছে রেস্ট করবো,,
_নাহ আমি আর থাকবো না এখানে,,
বলেই বারান্দায় চলে গেল,,ইয়ামান এসেছিল সানামের সাথে কিছু টাইম স্পেন্ড করতে এসে এইসব শুনে,,,ভিতরে ঢুকে সানিয়াকে বলে,,
_কিরে সানামের কি হয়েছে?
_জানি না,,
_আচ্ছা যাহ ইসমির কাছে,,
_আচ্ছা,,
ইয়ামান বারান্দায় গিয়ে সানামকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে,,সানামের এইকয়দিনে ইয়ামানের স্পর্শ খুব ভালো ভাবেই চেনা হয়ে গেছে,,সে পিছন ফিরলো না সেভাবেই দারিয়ে রইলো,,ইয়ামান সানামের ঘারে নাক ঘষে নেশালো কন্ঠে বলে,,
_কি আছে তোর মাঝে যা আমাকে এত ঘ্রাস করে?আমি জানতেও চাইনা কি আছে আমি শুধুই তোকে চাই,,
বলেই ঘারে কাধে চুমু দিতে লাগলো,,সানাম বলে উঠলো,,
_আপনি রামিশা আপুকেই বিয়ে করে ফেলেন,,আমাদের তো এখনও কিছুই হয়নি বিয়েও হয় নি,,আপনাকে রামিশা আপু খুব ভালোবাসেন আপনিও তো বাসেন,,
ইয়ামানের চুমু দেওয়া বন্ধ হয়ে গেল,,সে সানামকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কিছুক্ষন সানামের দিকে তাকিয়ে থেকে সানামের হাত ধরে টেনে কোথাও নিয়ে যেতে লাগলো,,সানাম বুঝতে পারছে না ইয়ামান কি করার চেষ্টা করছে এখন কি সত্যি সত্যি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে?আর রামিশাকে বিয়ে করে নিবে?যদি আমাকে ভালোইবাসতো তাহলে তো এতক্ষনে আমার কথা শুনে ঝড় উঠিয়ে দেওয়ার কথা কিন্তু না কোন ঝড় তুফান নেই চুপচাপ টানছে আমাকে,,ইয়ামানের ডাকে সানামের হুশ ফিরে,,
_গাড়িতে বসো,
_কেন?(ভ্রু কুচকে)
ইয়ামান আর কিছু না বলে সানামকে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে দিল,,নিজেও বসে পরল ড্রাইভিং সিটে,,ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে,, সানাম অনেক বার জিজ্ঞেস করেছে কোথায় যাচ্ছে তারা কিন্তু ইয়ামান কোন কথা বলেনি,,বেশকিছুক্ষন পর গাড়ি থামলো সানামকে গাড়ি থেকে নামতে বলল,,সানাম গাড়ি থেকে নেমে জায়গা টা দেখছে নাহ সেতো চিনে না,,ইয়ামান সানামের হাত ধরে টানতে টানতে সামিনে নিয়ে যাচ্ছে,,সামনে গিয়ে সাইন বোর্ড দেখে সানামের হুশ উড়ে গেল,,সেকি!তারা কাজী অফিসে এসেছে?এখানে কেন এসেছে?ভিতরে কি রামিশা বসে আছে আর আমাকে সাক্ষী হিসেবে রাখবে নাকি?নাহ আর ভাবতে পারছে না সানাম,,ইয়ামান ভিতরে গিয়ে বলল,,
_কাজী সাহেব বিয়ে পরান,,
এইবার সানামের টনক নড়ল,,নাহ এইখানে রামিশা না বরং তার বিয়ে হতে চলছে তাও ইয়ামানের সাথে,, আল্লাহ!এখন সানাম কি করবে ভেবে পাচ্ছে না,,
_ইয়ামান ভাই আমি বিয়ে করবো না,,
সানাম মাথা নিচু করে বলল,,কিন্তু ইয়ামান সেদিকে পাত্তা দিল না সে কাবিন নামায় সাইন করে দিল,,তারপর সানামের দিকে কাগজ বারালো,,
_সানাম সাইন করো,,
খুব শান্ত স্বরে বলল,,কিন্তু সানাম সাইন করবে না,,
_নাহ আমি সাইন করবো না আমি এভাবে কারো ভালোবাসা ছিনিয়ে নিব না,,
ইয়ামানের এইবার যেন আর রাগটাকে কান্ট্রল করে রাখতে পারলো,,সে বসা থেকে উঠে সানামকে দাড় করালো,,স্বজরে গালে একটা থাপ্পর মারলো,,চিৎকার করে বলল,,
_অনেক ক্ষন ধরে তোর ফালতু কথা শুনছি কিছু বলছি না দেখে বারবেরে গেছিস?চুপচাপ সাইন কর নাহলে কি করবো তোকে তা আমি নিজেও জানি না,,
সানাম সহ কাজী অফিসের সবাই ভয় পেয়ে গেল ইয়ামানের এমন রাগ দেখে,,সানাম কান্না করে দিল,,তাও সে কলম ধরছে না সাইন করার জন্য,,ইয়ামান আবার বলল,,
_দেখ আমার ধর্যের পরিক্ষা নিস না তারাতারি সাইন কর,,
এইবারও সানাম নরছেওনা,, ইয়ামান সানামকে টান মেরে টেবিলের সামনে এনে টিপ সই করে নিল,,ব্যাস বিয়ে কামপ্লিট,,সানাম তার সব শক্তি হারিয়ে ফেলছে,,সে ইয়ামানের বুকে ঢলে পরলো,,ইয়ামান ফট করে ধরে ফেলল সানামকে,,সানামের চোখের সামনে সব ঝাপসা লাগছে কিছুক্ষনের মধ্যে সে ইয়ামানের বুকে তলিয়ে গেল,,ইয়ামান সানামকে কোলে তুলে নিয়ে সব মিটমাট করে গাড়িতে গিয়ে বসলো,,
চলবে,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)
