crazyness
part_6
#sarika_Islam
”
”
ইয়ামান রেডি হয়ে হাসি মুখে নিচে নামলো,,,, ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখলো সবাই খাচ্ছে,সেও টেবিলে ঠিক সানামের পাশে বসলো,,চেয়ারটা একদম সানামের চেয়ারের সাথে লাগিয়ে নিলো,সানামের খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল ইয়ামান এমন কাজ করায়,,সে রাগি রাগি চোখে ইয়ামানের দিকে তাকায় ইয়ামান মুচকি হাসি দিয়ে চোখ টিপ মারে,,তা দেখে সানাম যেন আরো রেগে যায়,,,সানাম সবার দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই মুচকি হাসছে আর খাচ্ছে,,সানাম চুপচাপ মাথা নিচু করে খেতে থাকে,,ইয়ামান খাচ্ছে এক হাত সানামের পায়ের উপর রাখে তো একবার পা দিয়ে সানামের পা ধরে রাখে,সানাম বিরক্তি নিয়ে হাল্ফ খেয়েই উঠে যাতে নিলে ইয়ামান সানামের হাত ধরে ফেলে খেতে খেতে,,সানাম থেমে যায়,, ইয়ামান বলে,,
_পুরোটা ফিনিশ করে দেন যাও,,নাহলে আমার খাওয়া কাম্পলিট হওয়া পর্যন্ত বসো,,
_আমার শেষ,, আর আমি বসতে পারবো না,,
বলেই হাত ঝারা দিয়ে চলে গেল,,ইয়ামান বুঝতে পারলো মহারানি বেশ রেগে আছে,,ইয়ামান কিছু বলল না সেও খাবার ছেরে উঠে গেল,,তার মা বলল,
_ইয়ামান খাবারটা শেষ করে যা,,
_জান আমার রেগে বম খাবার গলা দিয়ে ঢুকবে নাকি,,
বলেই চলে গেল,, ইয়ামানের মা কিছুই বুঝতে পারলো না পরে সানামের মা সব খুলে বলল,,
_যাক তাহলে আমার ছেলেটাও এখন সুখি হবে,,আল্লাহ রহম করো,,
বলেই খাওয়া শেষ করলো একে একে সবার খাওয়া শেষ,,ইয়ামান সানামের রুমে গেল গিয়ে দেখলো সানাম জানালার পাশে দারিয়ে আছে,,চুল গুলো ছাড়া বাতাসে উড়ছে খুবি মায়াবি লাগছে,,ইয়ামান দরজা থেকেই সানামকে ডাক দিল,,
_সানাম আমার রুমে আয়,,,
সানামের কোন রেসপন্স পেল না,, ইয়ামান সানামের পিছে গিয়ে দারালো,,তারপর আবার বলল এইবারও সানাম পিছে ঘুরলো না,, ইয়ামান এইবার সানামকে হুট করে কোলে তুলে নেয়,,,হঠাৎ করে কোলে নেওয়ায় সানাম ঘাব্রে যায় ইয়ামানের টি-শার্ট খামচে ধরে,,
_এই এই কি হচ্ছে এসব নামান আমাকে,,
ইয়ামান সানামের কোন কথাই কানে নিচ্ছে না সে নিজের মতো করে হেটে যাচ্ছে তার রুমে,,ইয়ামানের রুমে গিয়ে সানামকে নামিয়ে দরজা লক করে দেয়,,সানাম ছাড়া পেয়ে খুব রেগে বলতে লাগে,,
_আপনি আমাকে টাচ করবেন না আপনের মতো কেরেক্টারলেস মানুষ আমাকে ছুলে আমার খুব বিরক্ত লাগে,,,
_দেখ সানাম কারো সম্পর্কে না জেনে উল্টো পাল্টা কিছু বলবিনা,,
_আর কি জানার বাকি আছে,,ওই মেয়েটা চুমু দিয়েছে আপনি কিছু বলেননি বেস কথা শেষ,, আমিও কাল রুহানকে চুমু দিব,,
বলেই দরজার কাছে যেতে নিলে ইয়ামান সানামের হাত ধরে এক টান মারে সানাম পুরো ইয়ামানের বুকে গিয়ে পরে,,সানাম মাথা তুলে ইয়ামানের দিকে তাকায় ইয়ামান খুবি রাগি চোখে তাকিয়ে আছে,,সানাম সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ছুটছুটি করতে লাগলো,,ইয়ামান এইবার বেশ রেগে বলল,,
_stop dont move,,নাহলে একদম জানে মেরে ফেলবো,,
সানাম ছুটাছুটি বন্ধ করে শান্ত হয়ে দারিয়ে রইল ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে,,, ইয়ামান বলল,,
_ ওয়েট ওয়েট ইউ ফিল জেলাস সানাম?(মুচকি হেসে এক ভ্রু উঠিয়ে)
_হ্যা আমি জেলাস,,এইটা আবার জিজ্ঞেস করতে হয় অসভ্য লোক কোথাকার,,আমি তো জেলাস হবই আমার জিনিসে কেউ হাত দিবে আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো নাকি?একদম জানে মেরে দিব,,
_বাবাহ আমার মতোই তো আমার জান,,পুরুই ঝাল মরিচ,,(মনে মনে)
_কেন জলিস?ভালোবাসিস আমাকে?
এইক্ষনে সানাম হুশে আসলো সে রাগের মাথায় কিনা কি বলে দিয়েছে,,আমতা আমতা করে বলে,,
_কি,,কিসের ভালো বাসায়া আমি কাউকে ভালোবাসি না আ,,আমি রুহানকে ভালোবাসি,,
ইয়ামান সানামের গলায় মুখ রাখলো,,সানাম চোখ বন্ধ করে ইয়ামানের টি-শার্ট খামচে ধরল,,ইয়ামান সানামের গলায় ঠোঁট বুলাচ্ছে,,সানামের সারা শরিরে শিহরন বয়ে গেল,,সানাম কাপা কাপা গলায় বলল,,
_দে,,দে,,খুন আমাকে ছারুন বলছি,,
ইয়ামান সেখানেই মুখ রেখে বলল,,
_তোর এই স্মেল যা আমাকে আরও তোর প্রতি এডেক্টেট করে সানাম আমি কিন্তু মরেই যাবো তোকে না পেলে,,আমার রোজ প্রতিদিন তোকে চাই তোর স্মেল চাই সানাম,,
বলেই সানামের গলায় একটা কামোড় দিল,,সানাম আরও শক্ত করে ইয়ামানের টি-শার্ট খামচে ধরল,,সানামের গলা থেকে মুখ তুলে সানামের মুখের খুব কাছে মুখ নিল,,সানাম এখনও চোখ বন্ধ করে রেখেছে,,ইয়ামান সানামের নাকে নাক ঘষে বলে,,
_তুই শুধুই আমার আমি আর কারো হতে দিব না,,তুই না চাইলেও তুই আমার দরকার পরলে জোর করে নিজের বানাবো,,
বলেই নাকে কুটুস করে কামোড় দিল,,সানাম “আহহ” করে উঠলো,,ইয়ামান সানামের ঠোঁটে ডিপলি কিস করলো,,,
_এই ঠোঁট টাও আমার এখানে শুধু আমিই কিস করবো আমিই কামড়ে দিব বুজছিস,,
বলেক একটা কামড় মারলো ঠোটে,,সানাম ইয়ামানকে ধাক্কা মেরে নিজের থেকে আলাদা করে নিল,,,
_আমি ভালোবাসি না আপনাকে,,
বলেই রুমের থেকে বের হয়ে গেল,,ইয়ামান সানামের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসছে,,
সন্ধ্যা,,
দরজায় কলিং বেলের আওয়াজ শুনে সানাম দরজা খুলতে গেল,,,দেখলো একটি মেয়ে দারিয়ে আছে,,শর্ট টপস জিন্স আর গায়ে কোন ওড়না নেয় কাধে একটি বেগ,,সানাম মেয়েটাকে দেখে খুব রেগে গেল সেইদিনের চুমু খাওয়া মেয়েটা এসেছে তাও কি ড্রেসাপ,,সানাম দাতে দাত চেপে বলল,,
_কি চাই?
_ইয়ামানকে,,
_ইয়ামান বাসায় নে,,,
আর কিছু বলতে পারল না মেয়েটি সানামকে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকলো,,সানাম পিছে ফিরে দেখে পুরুই রাগে আগুন হয়ে গেল,,দেখল ওই মেয়েটি ইয়ামানকে জরিয়ে ধরে রেখেছে,,কি চিপকু মেয়েটা আল্লাহ,,সানাম রাগে দরজা ঠাসস করে বন্ধ করে দিল,,দরজার এত্ত জোরে বন্ধ করায় ইয়ামান সানামের দিকে তাকায় সানাম রাগে ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে আছে,,ইয়ামান সানামের রাগ দেখে মুচকি হেসে মেয়েটিকে জরিয়ে নিল,,সানাম আরও রেগে গেল,,ইসমি এসে মেয়েটিকে জরিয়ে ধরলো,,
_আরে রামিশা আপু,,কেমন আছো?এত্ত দিন পর আমাদের বুঝি মনে পরলো?
_আরে আমার ইসু(বলেই নাক টান দিল)তোকে তো আমার ডেইলি মনে পরে একটু বিজি ছিলাম রে তাই আস্তে পারিনি এখন এসেছি অনেক দিন থাকবো,
_ওয়ওওওও ঠিকাছে,,(বলেই লাফ দিল)
_আন্টি,,(বলেই ইয়ামানের মাকে জরিয়ে ধরল)
_কিরে মা কেমন আছিস?
_জি আন্টি ভালোই,,
পাশ থেকে সানামের আম্মু জিজ্ঞেস করে,,
_আপা কে এটা?
_আরে এটা ইয়ামানের কলেজ ফ্রেন্ড,,খুবি মিষ্টি একাটা মেয়ে,,
_ওহ,,
রামিশা সানামের মাকেও জরিয়ে ধরলো,,,সানাম এইসব দেখে তার মাকে গিয়ে বলল,,
_মা চলো বাড়ি যাবো,,,
_আচ্ছা চল,,
মাঝ দিয়ে ইসমি বলে উঠলো,,
_আন্টি তুমি যাও সানাম আর সানিয়া আজ থাক কাল তো আমার জন্মদিন ভুলে গেলে?
_ওহ হ্যা,, আচ্ছা সানাম তুই আর সানিয়া থাক,,
_নাহ আম্মু আমি যাবো তোমার সাথে,,,
ইয়ামান সানামের মার কাছে এসে বলল,,,
_আন্টি তুমিও থেকে যাও,,
_নাহরে তোর আংকেল আসবে আমার যেতে হবে সানাম তোরা থাক আমি যাই,,
_চলো তোমাকে দিয়ে আসি,,,
_আচ্ছা,,
সানাম, সানিয়া আর ইসমি তার ঘরে গল্প করছিল সেখানে রামিশা চলে আসে,,রামিশাকে দেখে সানাম একদম চুপ হয়ে যায়,, রামিশা এসে গল্প করছে,,ইসমি সানামকে ফিসফিসিয়ে বলে,,
_তোর সতিন,,
_মানে?
_ইয়ামান ভাইয়ার উপর পুরুই লাড্ডু,,
রামিশা বলে উঠলো,,
_কিরে দুইবোন কি নিয়ে কথা বলছিস?
_আরে নাহ আপু কিছু না তুমি বলো,,কেমন গেল দিনকাল,,
_হ্যারে ভালোই,,
এভাবে তারা টুকটাক কথা বলছে সানাম চুপচাপ বসে আছে,,রাতে খাবারের জন্য ইয়ামানের মা সবাইকে ডাকলো,,সবাই নিচে গেল,,সানামের পাশে ইয়ামান বসতে গেলে রামিশা বলে উঠে,,
_ইয়ামান জান এখানে বসো আমার পাশে কতোদিন ধরে একসাথে খাবার খাওয়া হয় না,,
_ওকেহ,,,
বলেই ইয়ামান চলে গেল রামিশার সাইডে,,সানাম তো হা জান?ওয়াওওও,আচ্ছা জান না থাক জান ই সই আমারও জান আছে হুহহহহহ,,,এইসব ভেবেই না খেয়েই উঠে গেল,,ইয়ামান সকালের মতো আর আটকালো না সে তো রামিশার সাথে বসে খেতে বেস্ত,,সানামের চোখে পানি চলে আসলো,,সে চোখের পানি মুছে নিজের ঘরে চলে গেল,,ওয়াশ্রুমে কল ছেরে কান্না করতে লাগলো,,
_কেন কেন আমি ভালোবাসতে গেলাম কেন?এখন বেসেছিস কষ্ট ভুগ,,,
বলেই চিৎকার করে কান্না করতে লাগলো,,ওয়াশ্রুমের থেকে একবারে শাওয়ার নিয়ে বাহির হলো,,বাহিরে এসে দেখলো সানিয়া আর ইসমি বসে আছে,,সানামকে দেখে সানিয়া বলল,,
_কিরে এত্ত রাতে গোসল করেছিস কেন?ঠান্ডা লেগে যাবে তো,,
সানাম কিছু না বলে মাথার টাওয়ালটা বারান্দায় শুকাতে দিল,,,,রুমে এসে চুপচাপ কারো সাথে কোন কথা না বলে খালার রুমে চলে গেল,,,খালু 2 3 দিনের জন্য বাহিরে গিয়েছে,,তার খালার রুমে গিয়ে বলল,,
_আন্টি আমি তোমার সাথে ঘুমাবো,, ভালোলাগছে না,,
_কেন মা কিছু হয়েছে?
_নাহ,,আচ্ছা আন্টি ইয়ামান ভাই কই?
_হয়ত রামিশার সাথে আড্ডা দিচ্ছে,,
_ওহ,,
কথাটা শুনে সানামের আরও খারাপ লাগলো,, এভাবে তো সারাদিন আমার সাথেই চিপকে থাকে আর এখন আমি আছি কি নেই সে খবরও রাখে না এইসব ভেবেই কান্না চলে আসলো,,,সানাম বারান্দায় চলে গেল,,ইয়ামান সানামকে খুজতে খুজতে তার মার রুমে আসলো,,
_মা সানাম কই ওকে কতক্ষন ধরে খুজছি?
_হয়ত বারান্দায় হবে মেয়েটার মনটা ভীষন খারাপ,,কিছু করেছিস?
_কই নাতো,,
_দেখ মেয়েটা খুবি ভদ্র আর কষ্ট হলে সহজে কাউকে বলে না মেয়েটাকে কষ্ট দিস না,,
_হুম,,
বলেই বারান্দায় গেল,,গিয়ে দেখলো সানাম এক ধ্যানে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)