crazyness part_5

0
4821

crazyness
part_5
#sarika_Islam

ইয়ামান খুব জোরে সানামকে টানছে,,সানামের পা কাটা সে জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে সেদিকে সানামেরও খেয়াল নেই ইয়ামানের তো নেই ই,,সানাম কিচ্ছু বলছে না সে শুধু দেখছে ইয়ামান কি করছে,,

নিজে দোস করে আবার আমাকে টানছে সাহস কতো!অসভ্য কোথাকার কেরেক্টারলেস কোথাকার আবার আমাকে টানে,,, বলছি কি আমার কি তোর মতো কারেক্টারে সমস্যা আছে নাকি?আমার কেরেক্টার পুরুই ভালো তোর থেকে লাখ গুন ভালো হুহহহ,,

ইয়ামানের টানে সানাম ভাবনার জগত থেকে বের হয়,,ইয়ামান আগের মতো সানামকে টানতে টানতে গারি থেকে নামালো,,আমি এত ক্ষন গাড়িতে ছিলাম?সানাম ভাবছে,,,কলিং বেলের আওয়াজে সানামের হুশ ফিরে,,

_আরে সানাম মা,,

বলেই খালা সানামকে জরিয়ে ধরল,,আরে আমি খালাদের বাসায়!এই খারুসটা আমাকে খালাদের বাসায় আনছে,,ইসমির জরিয়ে ধরায় সানাম নিজ জগতে ফিরে আসে,,

_আরে সানাম,, কেমন আছিস বনু?
_হুম ভালো তুই?
_আমি তো ফাস্ট ক্লাস,,চল ভিতরে,,

বলেই সানামকে ইসমি নিয়ে যেতে নিলে ইয়ামান সানামের হাত ধরে ফেলে,,ইয়ামান কাউকে কিছু না বলে আগের মতো টানতে লাগলো,,,এইবার সানাম বেশ চেতে গেল,,হাত ছারিয়ে চিৎকার করে বলল,,

_আরে আজব তো কতক্ষন ধরে টানছেন আমি কি গরু না ছাগল যে এভাবে টানছেন?

ইয়ামান এইবারও জবাব দিল না সে রাগে কটমট করতে করতে সানামের হাত আবার ধরে সিড়ি বেয়ে উপরে গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ঠাসসস করে দরজা লাগিয়ে দিল,,এত্ত জোরে দরজা লাগায় সানামের আত্তা কেপে উঠলো,,নিচ থেকে ইসমি তার মাকে বলল,,

_মনে হয় সানাম কিছু করেছে তাই ভাই এত্ত রেগে আছে,,না জানি বোনটার কিসমতে কি আছে,,
_যা হবে সানাম দেখিস ঠিক সামলে নিবে,,

এইদিকে ইয়ামান সানামের দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে,,সানাম সেদিকে খেয়াল না করে তার হাত মুচরাতে লাগলো,, এতক্ষন ধরে রেখেছিল বেথা করছে,,

_ওই ছেলেটা কে?
_কোন ছেলে?(ভাব নিয়ে)

ইয়ামান সানামের এমন রুপ দেখে বিছানার সাথে ফুলের বাসটা ঠাসসস করে ভেংগে ফেলে,,সানাম চোখ খিচে বন্ধ করে নেয়,,ইয়ামান সানামের সামনে এসে সানামের দুই হাত পিছে দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়,,সানাম এমন হওয়ায় কিছুটা ভরকে যায়,,তাও সে তার রাগ টা এখন প্রকাশ করে না,,ইয়ামান এইবার খুবি কাছে সানামের,, সানাম চাইলেও সরতে পারবে না,,ইয়ামান চিৎকার করে বলে,,

_যে ছেলেটার সাথে তুই কেম্পাসে কিস করছিলি?এইসব করতেই তুই কলেজে উঠতে চেয়েছিস?

সানাম এইবার আর নিজের রাগটাকে দমিয়ে রাখতে পারলো না,,সেও চিৎকার করে বলল,,

_আমার চোখে কিছু চলে গিয়েছিল আর রুহান ফু দিচ্ছিল এই আর কিছুই না,, আপনার মতো আমাকে কেরেক্টারলেস ভাবেন?শুনুন মিষ্টার ইয়ামান খান আমি কেরেক্টারলেস নই আপনের মতো,,

ইয়ামান সানামের এমন চিৎকার শুনে অবাক হয়ে গেল,যে মেয়ে শান্ত স্বভাবের কত চুপচাপ থাকে সেই মেয়ে এত্ত জোরে চিৎকার দিচ্ছে!ওয়াহহ,,কিন্তু পর মুহুর্তেই রেগে গেল ওকে কেরেক্টারলেস বলায়,,সানামের হাত আর একটু চেপে ধরে আর একটু নিজের সাথে মিশিয়ে বলল,,

_কেরেক্টারলেস লাইক সিরিয়াসলি? তাও আমি ইয়ামান খান?
_হুম আপনি,,অফিসে অন্য মেয়েদের চুমু খান আর এখানে এসে আমার সাথে জোরজবরদস্তির করেন?আমাকে ভালোবাসার দাবি করেন?আমারে ভালোবাসার যগ্যতাই রাখেন না আপনি,,
_দেখ সানাম উল্টা পাল্টা বকিস না,,,চেতাস না আমাকে,,
_হুহহ আপনি শুধু আমার সাথেই রাগ দেখাতে পারেন আমার সাথেই চিল্লাতে পারেন আপনের জন্য আমার একটুও স্বাধিনতা নেই কিন্তু নিজে দিব্বি চুমু খেয়ে বেরাচ্ছে অন্য মেয়েদের,,
_চুমু?কার চুমু খেয়েছি?(অবাক হয়ে)
_কেন অফিসের বাহিরে ওই চিপকু মেয়েটা কিভাবে এসে চুমু দিল,,

বলতে বলতে চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো যে কোন সময় পানিরা আগমন করবে,,,

_তুই আমার অফিস এসেছিলি?
_নাহ,,

বলেই চোখের পানি গাল বেয়ে পরতে লাগলো,,ইয়ামান হাতের বাধন আলগা করতেই তাকে ধাক্কা মেরে বাহিরে চলে গেল,,ইয়ামান বোকার মতো দারিয়ে আছে,,সানাম আমার অফিস এসেছিল?তাহলে আমার সাথে দেখা কেন করলো না?আর কেনই বা গিয়েছিল?সে এইসব ভাবতে লাগলো,,

সানাম নিচে চলে গেল গিয়ে দেখলো তার মা আর বোন এসেছে,,সে তার মার কাছে গিয়ে বলল,,

_মা তোমরা?
_হুম আজ তোর আন্টি আমাদের দাওয়াত দিল,,
_ওহ,,

সানিয়া সানামের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল,,

_কিরে ভাইয়াকে বলেছিস?
_কি বলবো?(ভ্রু কুচকে)
_যা বলতে গিয়েছিলি,,
_চুপ বেয়াদপ যা এখান থেকে ছোট হয়ে বেশি পেকে গেছিস,,,(অনেকটা রেগে)
_কিরে দুই বোন কি বলছিস?(সাইড দিয়ে ইসমি বলল)
_আয় তোকে কিছু বলার আছে,,(সানিয়া বলল)
_কি?
_আগে আয়তো,,
_এই সানিয়া বেশি বারিস না কিন্তু,,(সানাম থ্রেট দিল)
_চুপ,,

বলেই দুইজন ইসমির ঘরে চলে গেল আর সানাম তার মা আর খালার কাছে গেল,,তার ভালো লাগছে না আজ কিছুই,,মা আর খালা রান্না করছে আর কথা বলছে, সানাম দারিয়ে দারিয়ে তাদের কথা শুনছে,,সানিয়া ইসমিকে বলল,,

_ইসু জানিসসসস,,(এক্সাইটেড হয়ে)
_না জানালে জানবো কিভাবে বোকা,,
_জানিস সানাম না তোর ভাইকে প্রেম করে ফেলেছে,,আই মিন প্রেমে পরে গেছে পুরুই,,এখন তো আমার বোন তোর ভাইয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,,

সানিয়ার কথা শুনে ইসমি তো পুরুই শকড,,ইসমি হা হয়ে রয়েছে,,

_এই ইসু শুনেছিস,,(ঝাকিয়ে)
_হুম হুম,, তুই ঠিক বলছিস তো?
_হুম পুরুই,,
_তাহলে ভাইয়াকে বলেছে?
_জানি না চল জিজ্ঞেস করি গিয়ে,,
_চল,,

বলেই সানিয়া আর ইসমি গেল ইয়ামানের ঘরে,,
দরজায় নক পরায় ইয়ামান দরজা খুলল,,টাওজার পরা খালি শরির দেখেই মনে হচ্ছে সবে মাত্র শাওয়ার নিয়ে বের হলো,,ইয়ামান দরজা খুলে দেখল সানিয়া আর ইসমি দারিয়ে আছে হাসি মুখে,,ইয়ামান তার দুইবোনের এই হাসি বুঝতে পারলো না,,ইসমি আর সানিয়া ঠেলেঠুলে ভিতরে ঢুকে গেল,,ইয়ামান ভ্রু কুচকে তাদের কাহিনি দেখছে,,

_কিরে তোরা কি করছিস এখানে?(ভ্রু কুচকে)
_ভাইয়াাাাাাাাাাাা,,(দুইজন একসাথে দাত কেলিয়ে বলল)
_চেচাচ্ছিস কেন?
_ভাইয়া তুমি কি জানো আমি তোমার শালি,,(সানিয়া বলল দাত কেলিয়ে)
_হুম সেটা তো জানিই,,এতে খাস কি?(ভ্রু কুচকে)
_এই সানিয়া তুই চুপ কর,,(ইসমি থামিয়ে)ভাইয়া সানাম কিছু বলেছে তোমাকে?
_কি বলবে?(ভ্রু কুচকে)এই তোরা কি বলতে এসেছিস এত্ত না পেচিয়ে বল তো,,
_ভাইয়া সানাম যে তোমাকে ভালোবাসে তা কি বলেছে তোমাকে?

ইয়ামান সানিয়ার কথা শুনে পুরুই শকড,,ইয়ামান বহুত খুশি হয়েছে সে এত দিন ধরে যা চেয়েছিল তা সে হাসিল করেই ফেলেছে,সে সানিয়াকে জরিয়ে ধরলো,,ইসমিকে জরিয়ে ধরলো,,সে তো খুশিতে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে,,সানিয়া আর ইসমি শুধু ইয়ামানের কান্ড দেখছে,,সানিয়া বলে উঠলো,

_রিলেক্স ভাইয়া রিলেক্স এত্ত খুশি হওয়ার কিছু নেই আগে যে মেডাম রাগ করেছে তা মানানোর চেষ্টা করো,,

সানিয়ার কথায় ইয়ামান কিছুটা রিলেক্স হয়ে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,,

_রাগ?কেন করেছে?
_ওই যে তুমি কাহাকে কিস করেছেন,,এহ সরি তুমি না তোমাকে,,
_এই তোরা আমার অফিস এসেছিলি?
_হুম,,সকালে,,
_কেন?
_তোমাকে মহারানি নিজের মুখে ভালোবাসি বলবে তাই,,
_ওহ শিট,,তারপর কিস টা দেখে ফেলেছে আর রাগ করেছে ধ্যাত,,আচ্ছা তোরা নিচে যা আমি আসছি,,

সানিয়া আর ইসমি নিচে চলে গেল আর ইয়ামান খুশি,, খুশিতে টি-শার্ট পরলো,,সানামের ফেবারিট ব্লাক কালার,,আজ তার সানাম তাকে ভালোবাসি বলতো ধ্যাত কেন যে ওই মাইয়াটা আমাকে কিস করতে গেল উফফফফ অসহ্য,, এইসব নিজে নিজে ভাবছে আর রেডি হচ্ছে,,

চলবে,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here