crazyness
part_11
#sarika_Islam
”
”
”
বেশ অনেকক্ষন বাদ ইয়ামান বাসায় ফিরলো,,,সে সানামকে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যাচ্ছে,,
_আমার জীবন হয়তো এভাবে ইয়ামানের টান খেতে খেতেই শেষ হবে,,(মনে মনে)
ইয়ামান সানামকে রুমের মধ্যে নিয়ে এলো,,সানামকে সোজা ওয়াশ্রুমে নিয়ে এলো,,সানাম বুঝতে পারছে না ইয়ামান কি করার প্রচেষ্টায় আছে,,ইয়ামান সানামকে ওয়াশ্রুমে নিতে গেলে সানাম বলে,,,
_আরে ইয়ামান করছেন টাকি?
ইয়ামান সানামের কথায় পাত্তা না দিয়ে তাকে ধরে বেসিং এর সামনে নিয়ে যায়,,কলের পানি ছেরে রুহান যে হাত ধরেছে সে হাত পানির নিচে দিয়ে ইচ্ছে মতো ডলতে থাকে,,পাগলের মতো ডলতে থাকে,,সানাম থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোন মতেই থামছে না ইয়ামান,,সানামের হাত মনে হয় এখনি ছিলে যাবে,,সে জোরজবরদস্তি হাত ছারিয়ে ইয়ামানকে থামানো চেষ্টা করছে,,
_ইয়ামান থামুন দেখুন আমার হাত ছিলে যাবে,,
ইয়ামান কোন কথা কানে নিচ্ছে না,,সে আবার সানামের হাত টান দিতে নিলে সানাম হাত দেয় না,,ইয়ামান পাগলের মতো করতে থাকে,,,
_ওর সাহস কি করে হলো আমার,, আমার জানের হাত ধরার,,ওকে আজ মেরেই ফেলবো,,
সানাম ইয়ামানকে ঠান্ডা করাত চেষ্টা করছে কিন্তু কোন মতেই হচ্ছে না,, সানাম কোন উপায় না পেয়ে ইয়ামানকে জরিয়ে ধরলো, খুব শক্ত করে,,ইয়ামান সানামকে সরানোর চেষ্টা করছে, সানাম সরছে না,,সানাম বলছে,,
_ইয়ামান ঠান্ডা হন প্লিজ,,আমি রুহানকে বলে দিব নে আমার ইয়ামান চায় না তোমাকে আমার পাশে ঠিক আছে,,
_এই নাহ তুই আবার ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা করছিস?আমিই বলবো যা বলার,,
সানামকে সরিয়ে দিল,,
_ধ্যাত যা করি তার উল্টোই হয়,,,(মনে মনে)
ইয়ামান ওয়াশ্রুম থেকে বাহির হলো,,সানামও হলো,, ইয়ামান রুমের বাহিরে যেতে নিলে সানাম পিছন থেকে ধরে ফেলে,,ইয়ামান সানামকে রাগী গলায় বলে,,
_দেখ সানাম ছেরে দে আমায়,,আজ আমি মেরেই ফেলবো,,এই দারা নাকি তুইও ওকে প্রেম করিস?রংলীলা করিস?হ্যা?বল,,,
সানামের কাছে এসে পিছনে চুল ধরে,,সানাম ইয়ামানকে আবার জরিয়ে ধরে বলল,,
_ইয়ামান রিলেক্স,,প্লিজ রিলেক্স,, আমার ওর সাথে কোন কিছুই নেই,,প্লিজজ রিলেক্স,,
ধীরে ধীরে ইয়ামান রিলেক্স হয়ে সানামকে জরিয়ে ধরে,,আর বলে,,
_জানোই তো তোমাকে নিয়ে আমি কতো পসেসিভ,,আমার একদম সহ্য হয়না কেউ তোমাকে টাচ করুক,,আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়,,
_হুম,,
ইয়ামানের মাথায় হাত বুলাতে থাকে,,ইয়ামানকে ছেরে সানাম বোরকা হিজাব খুলে নেয়,,ইয়ামান বিছানায় বসে মাথা নিচু করে কপালে হাত দিয়ে রেখেছে,,তার কেমন অস্বস্তি লাগছে,,সানাম ইয়ামানের পাশে বসে তার মাথায় হাত দিল,,ইয়ামান যেন এইটারই আশায় ছিল,,সে চট করে সানামের দিকে ঘুরে তার হাত ধরে বলল,,
_সরি জান এতক্ষন যা করেছি,,আসলে আমার মাথা ঠিক ছিল না কি করবো বলো,,সরি,,,(অপরাধী সুরে)
_নাহ ইটস ওকেহ,,এই দেখেন আমার হাতের কি হাল করেছেন ডলতে ডলতে,,(বাচ্চাদের মতো ফেস করে)
_ওলে আমাল বাচ্চাটা,,(বলেই সানামের হাতে চুমু খেল)
সানামের গালে দুই হাত দিয়ে ঠোটে চুমু খেল,,নিচে কলিং বেল বাজছে,,সানাম ইয়ামানকে সরিয়ে নিচে গেল দরজা খুলতে,,
_ধুরররর,,আমার রোমেন্সের সময় কারো না কারো এন্ট্রি হবেই,,ধ্যাত,,(বলে সেও নিচে গেল),,
সবাই এসে পরেছে,,সানামের আম্মু ইয়ামানের আম্মু বেশ চিন্তিত স্বরে বলল,,
_কিরে মা কি হয়েছিল?ইয়ামান কেন এসেছিল?
সানাম একে একে সব ঘটনা খুলে বলে,,সবাই হেসে ফেলে,,,ইয়ামানের আম্মু সানামের কাছে এসে মাথায় হাত দিয়ে বলে,,,
_আমার ছেলটা পাগল পুরো তোর জন্য জানিসই তো,,আমার ছেলেকে তুই ঠিক সামলে নিতে পারবি আমার বিশ্বাস আছে,,
_জি মা ঠিক সামলে নিব,,
ইসমি এসে বলল,,
_দেখেছিস ভাই আমার তোকে কত ভালোবাসে,,চোখে হারায় তোকে,,
_হুম,, আমার বর আমাকে ভালোবাসবে না তো কি তোকে বাসবে,,,হুহহহ
সবাই সানামের কথায় হেসে ফেলে,,সবাই ফ্রেশ হতে নিজেদের রুমে যায়, ফ্রেশ হয়ে এসে সবাই সব কিছু খুলে খুলে আবার দেখতে থাকে,,ইয়ামান সানামের সাথে বসেছে সোফায়,,সানামের এক হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে রেখেছে,,সানামের কেমন জানি লাগছে,,এত মানুষের সামনে এভাবে না ধরলেও তো চলতো,আমি কি পালিয়ে যাবো নাকি,,সবাই মিটমিট হাসছে আর দেখছে,,সানাম জিনিসটা খেয়াল করে আরও লজ্জা লাগছে,,কিন্তু এতে ইয়ামানের কোন হেলদুল নেই,,তার বউ তার ইচ্ছে,,সব কিছু দেখতে দেখতে কথা বলতে বলতে প্রায় রাত হয়ে গেল তাদের বাবা রাও চলে এসেছে,,সবাই একসাথে বসে ডিনার করে নিল,,কালকে বৌভাতের আনুষ্ঠানের কথা সবাই বলছে,,,
রাত 11টা,,
ইয়ামান সানামকে রুমে নিয়ে যেতে চাইছে কিন্তু সে যাবে না সবার সাথে কথা বলবে,,ইয়ামান বলে উঠে,,
_এই তোমরা সবাই ঘুমাতে যাও কালকে না অনুষ্ঠান আছে,,সকাল সকাল উঠতে হবে,,,সানাম চলো,,
_এই নাহ সানাম আজ তোর সাথে ঘুমুবে না,,কাল থেকে নিয়ে যাস আজ না,,,আজ আমাদের সাথে থাকবে,,(ইয়ামানের আম্মু)
_আচ্ছা মা ঠিক আছে,,(সানাম খুশি হয়ে)
বলেই ইয়ামানের দিকে তাকালো,ইয়ামান রাগী চোখ নিয়ে সানাম চুপ হয়ে গেল,,
_মেয়েটাকে এভাবে শাসাস না যাহ,এখন ঘুমা,, (ইয়ামানের আব্বু)
_আজ আমাদের মেয়ে আমাদের কাছে থাক কাল থেকে তো তোমার হয়ে যাবে সারাজীবনের জন্য,,(সানামের আব্বু)
ইয়ামান কিছু না বলে উঠে ধপাধপ পা ফেলে উপরে চলে গেল,,ঠাস করে রুমের দরজা বন্ধ করলো,সবাই নিচে বসে হাসছে,,
_ছেলেটা পুরুই পাগল,, নিজের মন মতো কিছু না হলে সব সময় রাগ দেখাবে,,(ইয়ামানের আম্মু)
সবাই হেসে দিল,,তারা প্রায় রাত 2টা পর্যন্ত কথা বার্তা বলল,,তারপর সবাই ঘুমুতে গেল,, খুব ঘুম পেয়েছে আবার তারাতারি উঠতে হবে,,পার্লার যেতে হবে কত কাজ,,ইসমি সানিয়া আর সানাম একসাথে ঘুমুবে আর,,সানিয়া আজ রাত শুধু বোনকে পাবে আর কবে না কবে পাবে,,বোনের সাথে অনেক কথা বলে ঘুমিয়ে পরলো,,সবাই,,
ইয়ামানের তো একা একা ঘুমি আসছে না,,,সে বিছানার এপাশ ওপাশ করছে,, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমুচ্ছে তাও যেন শান্তি পাচ্ছে না,,রাত 3টা ইয়ামান বিছানা ছেরে উঠে বসলো,,
_ধ্যাত ঘুম আসছে না,ওকে ছাড়া এখন আমার ঘুমি আসবে না,, এক রাতেই অভ্যাস হয়ে গেছে,,
বলেই সে বিছানা থেকে নেমে দারালো,,ঘরের বাহিরে গিয়ে সোজা ইসমির রুমে গেল,,রুমের দরজা খুলে সানামের কাছে গেল,,সানাম মাঝে ঘুমিয়েছে দুই বোনের,,সানিয়া তাকে জরিয়ে রেখেছে,,ইয়ামান তা দেখে বলে,,
_শালার শালি,,আমার অধিকারে হাত দেস,,আমার জিনিস ধরে ঘুমাস,,দারা তোকে ঘুম পারাচ্ছি,,(নিজে নিজে বলে)
বলেই ইয়ামান সানামকে তাদের মাঝ থেকে খুব সাবধানে কোলে নিল,,কোলে নিয়ে নিজের রুমের দিকে হাটা দিল,,সানাম ঘুমে বেঘোর,তার কোন হুশ নেই,,ইয়ামান সানামকে রুমে নিয়ে এসে দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ালো,,তারপর সে সানামকে জরিয়ে ধরে সানামের গলায় মুখ দিয়ে পা দিয়ে পা পেচিয়ে,,ঘুমিয়ে আছে,,পুরুই সাপের মতো,,,এখন তার শান্তিতে ঘুম হবে,,তার সানামেএ স্মেলে,,
সকালে,,
বাড়িতে চিল্লাচিল্লির আওয়াজে সানামের ঘুম ভেংগে গেছে,,সে আড়মোড়া দেওয়ার জন্য নরবে,,ঠিক নরতে পারছে না,,সে ঠিক মতো দেখে এটা তো ইসমির রুম না তাহলে সে কোথায়?কিডনাপ হয়ে গেল নাতো?আর যে গলায় মুখ দিয়ে রেখেছে সে কিডনাপার নাতো?সানামের ভয় লাগছে,,সে চোখ ডলে ঠিক মতো রুম দেখলো,,এতো ইয়ামানের রুম!সে এখানে কি করে!তাকে জরিয়ে রাখা মানুষটির দিকে তাকায় দেখে ইয়ামান তার তাকে পেচিয়ে ধরে কি সুন্দর ঘুমুচ্ছে,,সানাম চিন্তায় পরে গেল সে এখানে কিভবে এলো?সে তো তার বোনদের সাথে ঘুমুচ্ছিল,,তাহলে?সেকি ঘুমের মাঝে হাটা ধরলো নাকি?সানাম ইয়ামানকে ঠেলে দূরে সরাতে চাইছে কিন্তু এই পাঠান দেহকে নারাতে পারছে না,,সানাম ইয়ামানকে ডাক দেয়,,
_ইয়ামান উঠুন,,
_উমমম,,
_ধুর উঠুন নাহলে সরুন আমি উঠবো,,
_সকাল সকাল এমন ডাকাডাকি করছ কেন?
_তাহলে কি করবো?উঠুন,,আর আমি এখানে কিভাবে আসলাম?
_আমি নিয়ে এসেছি,,
_হায় আল্লাহ!কেন?
_কেন কি আমার বউ ছাড়া আমি ঘুমুতে পারছিলাম না তাই নিয়ে এসেছি,,
_এখন সবাই কি ভাববে,,ধুর আপনিও না,,উঠুন তো,,
বলেই ইয়ামানকে ধাক্কা মারলো,ইয়ামান ছেরে দিল,,সানাম উঠে বসলো,,ইয়ামানও উঠে বসলো,,দরজায় করা নরছে,,সানাম ইয়ামানের দিকে তাকালো,,সানাম বলল,,
_এখন কি হবে?কাল বড়রা বলে দিল একা না থাকতে আর আপনি নিয়ে এলেন,এখন কি মনে করবে আল্লাহ,,
_এত পেনিক হচ্ছ কেন?দারাও দেখি কে,,
_পেনিক হবো না তো কি হবো,,আপনি আমার ইজ্জত সম্মানের ওয়াট লাগিয়ে দিয়েছে,,
ইয়ামান হেসে দরজা খুলতে গেল,,
_আবার হাসে বেয়াদপ কোথাকার,,(বিড়বিড় করে)
ইয়ামান দরজা খুলে দেখলো দুইবোন হাসি দিয়ে দারিয়ে আছে,,ইয়ামান বলল,,
_সকাল সকাল বাতসুরাত চেহারা নিয়ে দারিয়ে আছিস কেন?
_ভাইয়াাাাাাাাা,, এখন বউ পেয়ে বোনরা বাতসুরাত?(বাচ্চাদের মতো করে)
_ওলে আমাল বুড্ডি বোনটা,,(বলেই হেসে দিল)
সানিয়াও হেসে দিল,,ইসমি সানিয়াকে থাপ্পর দিয়ে বলল,,
_এই চুরেইল এভাবে দাত কেলাইস না,,
সানাম এসে ইয়ামানের পাশে দারালো,,সেও হাসছে,,তাদের ভাইবোনের কথা শুনে,,সানিয়া চিল্লান দিয়ে বলল,,,
_কিরে তুই এখানে?(অবাক হয়ে)
সানামের হাসি থেমে গেল,,সে ইয়ামানের দিকে তাকালো,,ইয়ামান দাত কেলিয়ে দিল,,সানামের ইচ্ছে করছে ইয়ামানের চুলগুলো সব টেনে ছিরে ফেলতে,,উফফফফ,,সানিয়া আর ইসমি হেসে দিল,,সানিয়া বলল,,
_আমরা সকালে তোকে না পেয়ে যা গেস করেছিলাম তাই ঠিক,,নারে ইসু,,
_হুম,,
ইয়ামান তাদের একা ছেরে দিল,,সে সানামের গালে চুমু দিয়ে ওয়াশ্রুমে চলে গেল,,সানাম পুরু হা হয়ে গেল,,কি করলো এটা?ইসমি আর সানিয়াও হা,,ভাইয়া কি করলো এটা?কিন্তু ইয়ামানের কোন হেলদুল নেই সে কাবার্ড থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশ্রুমে চলে গেল,,সানিয়া বলল,,
_বোন চল তোকে রেডি হতে হবে,,
_হুম চল,,
বলেই তিন জন চলে গেল,,সকালের নাস্তা করে তারা কতশত কথা বলছে,,বিকেল দিক দিয়ে তারা পার্লারে চলে গেল,,ইয়ামান সারাদিনেও সানামকে কাছে পায়নি,,তার মুডটা পুরুই অফ,,সব মেহমান আস্তে আস্তে চলে আসছে,,ইয়ামানের ফ্রেন্ডরাও চলে আসলো,,,ইয়ামান রেডি হয়ে স্টেজে বসে আছে,,বাড়ির পিছে বাগানে স্টেজ সাজিয়েছে,,খুব সুন্দর করে স্টেজ সাজানো হয়েছে, চোখ ধাধানো ডেকোরেশন করেছে,,বাড়ির একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা,,ইয়াদগার করতে চায়,,ইয়ামান সেই কখন থেকে বসে আছে সবাই সানামদের অপেক্ষা করছে,,কতক্ষন পর সানামরা সবাই আসলো,,
সানাম একটু আলাদা আন্দাযে আসলো,,সে রিকশা করে আসলো,,গাড়ি দিয়ে আসলো না,,রিকশা ঠিক তাদের বাগানে এসে থামলো,,রিকশাও খুব সুন্দর করে সাজানো,,সবাই সেখানে তাকালো,,ইয়ামান তো সানামকে দেখে পুরুই লাড্ডু হয়ে গেল,,সবুজ কালার লেহেঙ্গা মেকআপ গয়না তে সানামকে কোন পরির চেয়ে কিছু কম লাগছে না,,ইয়ামান সানামের দিকে তাকাতে তাকাতে স্টেজ থেকে নামছে,,,সানামের সামনে গেল,,সানামকে রিকশা থেকে নামালো,,সানামের দিকে এখনও তাকিয়ে আছে,,সানামও ইয়ামানের দিকে তাকিয়ে আছে,,ইয়ামানকেও কোন অংশে কম লাগছে না,,এস কালারের কোট সুট পরেছে স্পাইক করা চুল,,পুরো হিরো লুক,,ইসমি আর সানিয়াকেও কোন অংশে কম লাগছে না,,ইসমি আর সানিয়া পিঞ্চ করে বলল,,
_হয়েছে পরে দেখা দেখি এখন চলো,,
তাদের বলায় তাদের দুইজনের ঘোর কাটলো,,ইয়ামান সানামের হাত ধরে স্টেজে নিয়ে গেল,,দুইজন পাশাপাশি বসলো,,
চলবে,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)