crazyness
part_10
#sarika_Islam
”
”
”
_আমি এখন বিবাহিত যখন তখন আমার গলায় ঝুলে যাবি না,,আগে কিছু বলি নি আগে বউ ছিল না কিন্তু এখন আছে,,কথাটা মাথায় রাখবি,,,
বলেই সানামের দিকে তাকিয়ে বাহিরে গেল,,রামিশা অনেকটা অপমান বোধ করলো তাই সে বাড়ি থেকে চলে গেল,,সানাম মনে মনে অনেক খুশি হয়েছে,,ইয়ামান এমন কথা বলায়,,সানিয়া আর ইসমিও,, ইসমি এসে সানামকে বলল,,
_দেখেছিস আমার ভাই তোকে কত ভালোবাসে,
_কই ভালোবাসা দেখলি?
_মাত্রই তো কেন তুই দেখিস নি?
_নাহ তো,,
বলেই বের হলো রুম থেকে,,ইসমি হা হয়ে গেল,সানিয়া ইসমিকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো,,ইয়ামান নিচে গিয়ে সিদা খাবার টেবিলে বসলো,,
_আম্মু নাস্তা দাও,,
_সেকি সানাম কই?
_জানি না,,
_এইযে আন্টি আমি,,
সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে,,,
_আয় মা খেতে বস,,আর এইসব আন্টি কি?আমি কি এখনও তোর আন্টি হই?
_নাহ মা হও,,(বলেই জরিয়ে নিল)
_মা আমাকে কি নাস্তা দিবে নাকি উঠে যাবো?
_আরে দিব তো দারা এত চেতে আছিস কেন বলতো?(সানামকে ছারিয়ে)
_কি হয়েছে নতুন জামাই বাবুর?(পিছন থেকে সানামের আম্মু বলল)
_আম্মু,,,
বলে সানাম জরিয়ে ধরলো,,সানামের আম্মু মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল,,সানাম তার আব্বুকেও জরিয়ে ধরলো,,তারপর সবাই একসাথে নাস্তা করতে বসলো,,খেতে খেতে ইয়ামানের আব্বু সানামের আব্বুকে বলল,,,
_তো কি বিয়াই সাব মেয়েকে কবে পার্মানেটলি আমদের করে দিচ্ছেন?
সানামের আব্বু কিছু বলবে তার আগেই ইয়ামান খেতে খেতে বলল,,
_পার্মানেট তো হয়েই গেছে আমার আবার দেওয়া দেওয়ি কিসের?
_সেকি এভাবে কি হবেনি?বিয়ে করেছিস ঠিক আছে আমরা আয়োজন করবো না,সবাইকে জানাতে হবে,,কত কাজ,,তো ডেট ফিক্স করি,,
_যেভাবে হয়েছে সেভাবেই কোন কিছু হবে না আমি ওকে আর যেতে দিব না এখান থেকে ও এখানেই থাকবে আমার কাছে,,আর তোমার কাজও আসান করে দিলাম,,
বলেই খাওয়া শেষ করে উঠে চলে গেল নিজের রুমে,,সবাই ইয়ামানের কথায় খুব স্যাড হলো,ইয়ামানের মা বলল,,
_ছেলে আমার সানামকে চোখে হারায়,, আপনারা তো জানেনই তো থাকনা যখন ইয়ামান চায় না বাদ দেই,,
ইসমি আর সানিয়ার মুখটা মলিন হয়ে গেল,,তারা প্লান করে রেখেছিল কত আনন্দ করবে সব মাটি ধ্যাত,,,সানামের আম্মু বলল,,
_আচ্ছা আপা যখন ইয়ামান আমাদের বাড়ি ওকে যেতে দিবে না,,তাহলে আমরা না হয় বৌভাতের অনুষ্ঠান করি?
_হুম ঠিক বলেছিস,,তাহলে আমরা এইটাই করবো,,
ইসমি আর সানিয়া খুশি হয়ে গেল এক লাফ দিল দুইজন,, সবাই হেসে ফেলল,,সানামের বাবা আর ইয়ামানের বাবা নাস্তা করে অফিসের জন্য বের হয়ে গেল,কিন্তু সানামের এইসবে কোন ধেয়ান নেই সে ইয়ামানের চিন্তায় মশগুল,,কি হলো হঠাৎ ইয়ামানের? সকাল পর্যন্ত তো ঠিকি ছিল তাহলে হঠাৎ? সানাম কোন রকম খেয়ে উপরে চলে গেল ইয়ামানের রুমে,,,এখন থেকে তো সেটা তার ও রুম,,রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো,,দেখলো ইয়ামান কোথাও নেই,,ওয়াশ্রুমে দেখলো সেখানেও নেই,,বারান্দায় গেল দেখলো সেখানে দারিয়ে আছে আকাশ পানে চেয়ে,,সানাম ইয়ামানের পাশে গিয়ে দারালো,,খোলা বারান্দা হাল্কা মন মাতানো বাতাস,,ইয়ামান রেলিংএ হাত দিয়ে রেখেছে,,,সানাম ইয়ামানের হাতের উপর হাত রাখলো,,ইয়ামান সরিয়ে ফেলল,সানাম এখনও বুঝতে পারছে না কি কারনে রেগে আছে,,
ইয়ামান চলে যেতে নিলে সানাম হাত ধরে আটকে ফেলে,,ইয়ামানের বুকে মাথা রেখে জরিয়ে ধরে,,,ইয়ামান সরাতে চাইলে ইয়ামানের মুখের দিকে ছলছল চোখে চেয়ে বলে উঠে,,
_এখন আর আমাকে প্রয়োজন নেই?
_না নেই,,(সানামের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল)
_রামিশাকেই ভালোবাসেন আপনি তাহলে কেন বিয়ে করলেন আমায়?
_মনের খুশিতে,,,ভালোই বলেছ রামিশা আমাকে ভালোবাসে তাহলে আমি ওকেআদর করলে ও কখনো বারন করবে না আমি ওকে যখন তখন আদর করতে পারবো,,
_আমি বারন করেছি?
_হুম
_কবে?(ছলছল চোখে ভ্রু কুচকে)
_সকালে,,আমাকে neck kiss, করতে দাওনি তুমি,,,(বাচ্চাদের মতো ফেস করে বলল)
সানাম ফিক করে হেসে দিল ছলছল চোখেই,,ইয়ামানের গলা জরিয়ে গলায় চুমু দিয়ে বলল,,
_তাহলে বাবুর আদর লাগবে,,তাই ফুলে আছে সকাল থেকে,,
_হুম,,(মুখ ভেংচি দিয়ে)
_ওলে,,,
বলেই দুই গালে চুমু খেল,,ইয়ামান সানামকে বুকের মাঝে জরিয়ে নিল,,,সানাম বলল,,
_এতক্ষন কি বলছিলেন?ওই রামিশা ভালো?ওর কাছে যাবেন হ্যা?
বুক থেকে মাথা তুলে রাগি কন্ঠে বলল,,ইয়ামান হেসে ফেলল,,তারপর বলল,,
_ওলে আমাল বাচ্চাটা,, এখন সে রাগ করেছে,,আসো পাপ্পি দেই,,,
বলেই সানামের গালে চুমু খেল,,ঠোঁটে চুমু দিতে যাবে এমন সময় ইসমি আর সানিয়া ঘরে ঢুকে চিল্লাতে লাগলো,,
_সানাম এই সানাম কই তুই,,
সানাম ইয়ামানকে এক ধাক্কা মারলো,,ইয়ামান কিছুটা দূরে ছিটকে পরে গেল,,সানাম এক দৌড়ে ঘরের ভিতর ঢুকে গেল,,সানিয়া ইসমি সানামকে দেখে বলে,,
_কিরে কই ছিলি সবাই ডাকছে আয়,,
ইয়ামান ভিতরে ঢুকে বলল,,,
_কিরে আমার বউকে আমার পার্মিশন ছাড়া কই নিয়ে জাচ্ছিস?
_এই মনে রেখ তোমার বউয়ের আগে ও আমাদের বোন,,
_হপ বেশি বকিস না,,যাহ,আমাদের টাইম স্পেন্ড করতে দে,,
বলেই সানামকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে কাধে মুখ রাখলো,,,সানাম ছুটছুটি করছে,, ওদের সামনে কি শুরু করলো,,ইসমি বলল,,,
_ভাই তোর লজ্জা নেই?বোনদের সামনে কি শুরু করলি?
_তাহলে তোরা যা,,আর লজ্জা পেলে তো তোরা আর আন্টি ফুপি হতে পারবি না,,
সানামের কাধে মুখ রেখে,,সানাম লজ্জায় মরে যাচ্ছে,,এই ছেলের কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি আল্লাহ,, তুমি মাটি ফাক কর আমি চলে আসছি তোমার কাছে,,সানিয়া বলল,,
_হয়েছে এইবার বোনকে ছারো তো কাজ আছে,,
_কি কাজ?(সানামের সাথে দারিয়ে)
_তোমাদের কাল বৌভাত হবে তার জন্য শপিং করতে হবে,,
_আমি না বলেছি এইসব করতে মানা,,
বলেই ঘরের বাহিরে যেতে নিলে ইসমি ধরে ফেলে,,,
_ভাই দেখ কোন ঝামেলা বাজাস না,,হতে দে আমরাও একটু মজা করবো,,বিয়েতে তো আর করতে পারলাম না,,
ইয়ামান বোনের এই স্যাড ফেস দেখে আর গেল না কিছু বলতে রাজি হয়ে গেল,,ইসমি সানিয়া সানাম তাদের আম্মু সবাই রেডি শপিং এ যাওয়ার জন্য,, ইসমি সানিয়া আর সানাম সেম থ্রিপিস পরেছে কালার ভিন্ন,,তারা সবাই বের হবে ওমন সময় ইয়ামান সিরির উপর দারিয়ে সানামকে ডাক দিল,,
_সানাম উপরে আসো,,
_আমাদের লেট হ,,,
আর কিছু বলতে পারলো না ইয়ামানের চোখ রাঙ্গানো দেখে,,আপসেট হয়ে উপরে যায় সবাই কারে বসে তার জন্য ওয়েট করছে,,সানাম ঘরে ঢুকতেই ইয়ামান বলে,,
_থ্রিপিসের উপর বোরকা হিজাব পরে যাও,,
_কেন? এভাবেই তো ঠিক আছি,,
_যা বলেছি করো,,
_লেট হয়ে যাবে তো,,
_আমি দিয়ে আসবো তাও বোরকা পরো,,
_উফফফফ,,
সানাম বেশ বিরক্তি নিয়ে বোরকা পরে নিল,,সুন্দর ভাবে হিজাব বেধে নিল,,সানামের বাধা শেষ হলে ইয়ামান সানামের পিছন দিয়ে জরিয়ে ধরে কাধে মুখ রেখে আয়নার দিকে তাকিয়ে বলে,,
_তোমাকে এভাবেই খুব মায়াবী লাগছে,,ওই থ্রিপিস থেকে বেশি,,
_কেন এভাবে বুঝি সুন্দর লাগে না?
_আমার জান অলয়েস সুন্দর,, চাদও তার কাছে হার মানবে বিউটি কম্পিটিশনে,,
_হয়েছে ছারেন আপনি,,,
বলেই সানাম যেতে নিলে ইয়ামান ধরে ফেলে,,
_আবার কি?
_না গেলে হয়না?আমার না একদম ভালোলাগছে না তোমাকে ছাড়া,,(দুঃখী হয়ে)
_এই ছারেন তো এভাবেই লেট করে দিলেন কতো,,,
_আচ্ছা আচ্ছা কিস করে যাও,,
সানাম তারাতারি যাওয়ার জন্য ইয়ামানের গালে চুমু দিয়ে দৌড় দিল,,সে জানে এখন তাকে চুমু না দিলে সে ছারছে না,,তাই সে দিয়ে ঝামেলা শেষ করে দিল দৌড়,,নিচে তারাতারি নেমে গাড়িতে উঠে গেল,,সবাই বেশ বিরক্ত নিয়ে বসে ছিল এতক্ষন,,
_এই কোথায় ছিলি এতক্ষন?(ইসমি)
_কিরে তোর থ্রিপিস কই?(সানিয়া)
_আরে ইয়ামান পরিয়ে দিয়েছে,,এখন এইসব বাদ দে চল,,
বলেই সবাই গাড়ি করে চলে গেল শপিং করতে,,,তারা বেশ মজা করে শপিং করছ,,সবার অনেক মজা লাগছে,,সানামকে অনেক অনেক শারি দেখাচ্ছে,,তার বেশ কোনটাই পছন্দ হচ্ছে না,,পরে একটা গাড়ো সবুজ কালার লেহেঙ্গা বের করলো,,সানামের এক দেখায় বেশ পছন্দ হলো,,সে হাতে নিয়ে নেরেচেরে দেখছে,,ইয়ামানের আম্মু জিজ্ঞেস করলো,,
_কিরে তোর এটা পছন্দ হয়েছে?
_হুম বেশ,,
_তাহলে এইটাই ডান,,ভাইয়া এইটা পেক করেন,,
সানামের জন্য এইটা নিয়ে নিল,,আর ইসমি নিল কালারের একটি লেহেঙ্গা নিল আর সানিয়া আকাশী কালার লেহেঙ্গা,,তারা গয়না দেখছে খুব বেশি ভারী গয়না সানামের পরতে অসহ্য লাগে তাই সে নরমালের মধ্যে সুন্দর গয়না নিল,,আরও কেনাকাটা করছে,,
এদিকে ইয়ামানের ভালোই লাগছে না,, কোন মতেই বাড়ি মন টিকছে না সানামকে ছাড়া,, এই একদিনে যেন সানাম তার সব কিছু হয়ে গেছে,,সানামকে ছাড়া এক মুহুর্ত একা থাকার কথা ভাবতেই পারে না,,বিকাল হয়ে এলো এখনও তাদের আসার নাম নেই,,আর ইয়ামানের মন টিকছে না বাসায়,,সে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেল শপিং মলে,,,
সানাম সানিয়া আর ইসমি তারা অন্য স্টোরে ড্রেস দেখছে আর তাদের আম্মু অন্য স্টোরে,,,সানামকে হঠাৎ পিছন থেকে কেউ ডাক দিল,,সানাম শুনে থেমে গেল,,ইসমি আর সানিয়কে জিজ্ঞেস করলো,,
_এই কেউ কি আমাকে ডেকেছে?
_নাহ রে বোন তোকে একমাত্র ভাইয়া ছাড়া কেউ ডাকবে তা কি ভাইয়া হতে দিবে?তো এত না ভেবে চল,,
সানাম আর সেদিকে খেয়াল না করে আগে হাটা ধরলো,,হঠাৎ পিছন থেকে কেউ তার হাত ধরে ফেলে আর সে দারিয়ে যায়,,সানাম পিছে ফিরে সাথে সানিয়া আর ইসমিও,,দেখে রুহান,,,ইয়ামান মাত্র এসেছিল শপিং মলে,,দূর থেকে সানামকে এই স্টোরে দেখে সে হাসি মুখে এগিয়ে আসছিল,,সানামকে সারপ্রাইস দিবে বলে,,কিন্তু রুহান হাত ধরায় রাগ উঠে গেল মাথায়,,পাগল পাগল লাগছে নিজেকে,,সে তারাতারি সানামের কাছে গিয়ে রুহান থেকে হাত ছারিয়ে নিজে হাত ধরে নিয়ে হাটা ধরলো,,,,সানাম হঠাৎ এমন হওয়ায় কিছুই বুঝলো না,,কোথা থেকে রুহান এসে হাত ধরলো,,এখন আবার ইয়ামান,,ইসমি আর সানিয়া ভাইয়ের মুখের রাগ দেখে ভয় পেয়ে গেছে,,
তারা তারাতারি তাদের আম্মুর কাছে গিয়ে বলল,
_আম্মু বাড়ি চলো,,ভাইয়া সানামকে টানতে টানতে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে,,
_সেকি ইয়ামান এলো কখন?
_আরে চলো গাড়িতে বলছি,,
বলেই তারা তারাতারি গাড়িতে গিয়ে বসলো,,ইয়ামান সানামকে টানতে টানতে গাড়িতে নিয়ে বসালো,,,সানাম জিজ্ঞেস করছে,,
_ইয়ামান কি হয়েছে এমন করছেন কেন?
ইয়ামান রাগী চোখে সানামের দিকে তাকায় সানাম বেচারি ভয়ে চুপসে যায়,,আর কোন কথা বলার সাহস হয়ে উঠে না,,ইয়ামান পাগলের মতো গাড়ি টানছে,,
চলবে,,
(ভুল ত্রুটিগুলো হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)
