তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো ছেরে দেব না,,
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো ছেরে দেব না,,
গান গাইতে গাইতে বুকে জড়িয়ে রেখছে সানামকে,,সানামের হাতের রিং ফিংগার কাটা হাত থেকে অঝরে রক্ত পরছে,সানাম কান্না করতে করতে এক সময় ইয়ামানের বুকেই ঢলে পরে,,
_ইয়ামান বাবা ছার ওকে ওর বেন্ডেজ করতে হবে,আমার মেয়েটার হাত থেকে কত রক্ত পরছে,,(বলেই সানামের আম্মু কান্না করতে লাগল)
সানামের আম্মুর কথায় ইয়ামান সানামকে বুক থেকে নামিয়ে সোফায় শুয়ালো,এই ফাকে সানামের বোন সানিয়া তার বেন্ডেজ করে দিল,,ইয়ামান ধিরে ধিরে তার খালার (সানামের আম্মু)সামনে গেল,,
_ওকে বিয়ে দিতে যাচ্ছিলে?আবার এনগেজমেন্ট ও হয়ে গেল?(খুবি শান্ত ভাবে)
_হুম,,
এই কথাটা শুনে যেন ইয়ামানের মাথায় রাগ উঠে গেল ইচ্ছে করছে পুরো দুনিয়া ছারখার করে দিতে,
_কেন করলে এমন খালা কেন?(চিৎকার করে বলল)
ইয়ামানের চিৎকারে যেন পুরো দুনিয়া কেপে উঠলো সাথে উপস্থিত সবাই,,
_তোমরা সবাই যানতে সানাম আমার জন্য কি,আমি ওর জন্য কি ফিল করি যানতে না তোমরা?(চিৎকার করে সোফায় লাথি দিয়ে)
_ইয়ামান বাবা চিৎকার করিস না,,(তার মা তার কাছে এসে হাত ধরে)
সে এক ঝাটকায় তার মার হাত সরিয়ে দিয়ে তার মার দিকে তাকালো,,
_তুমিও জানতে ঠিক না তুমিও জানতে আজ সানামের এনগেজমেন্ট, তাই তো সাত সকালে আমাকে অফিসে পাঠার জন্য উতলা হয়ে পরেছিলে,,তুমিও ধোকা দিয়েছ আমায় আম্মু তুমিও,,
_ভাই ভাই শান্ত হ,,ভাই দেখ সানাম কান্না করছে,,
ইসমির কথায় ইয়ামান পিছে ফিরে দেখে সানাম সোফায় বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে,,সানামের কান্না করা দেখে ইয়ামান এক প্রকার দৌড়ে সানামের কাছে গেল,সানামের পাশে বসে তার গালে হাত রেখে বলতে লাগলো,
_জান কোথায় লেগেছে তোমার কোথায় দেখি,,
বলেই সানামের হাত উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলো,,সানামের এই মুহুর্তে ইয়ামানকে খুবি ভয় করছে সে ইয়ামানের থেকে দুরে যেতে চাইছে,,ইয়ামান এটা দেখে উঠে তার মার কাছে গেল,,তার মার হাত ধরে পাগলের মতো বলতে লাগলো,,
_মা মা দেখ সানাম আমাকে তার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চাইছে মা,
তার মার থেকে গিয়ে তার খালার হাত ধরে বলল,,
_খালা খালা দেখ আমার সানাম আমার সানাম আমাকে ঠেলে দিচ্ছে দূরে,এই ইসমি দেখ,
বলেই পাগলের মতো সবার কাছে বলতে লাগলো,,সামনের টি-টেবিলের মধ্যে জোরে লাথি দিল,সানাম এইবার শব্দ করে কেদে দিল,,ইয়ামানের মা ছেলের এই পাগলামো দেখে কান্না করে দিল,একটা ছেলে কিভাবে পারে কেউকে এত্ত ভালোবাসতে,,সবার চোখে পানি,,সানাম তার মাকে ধরে কান্না করতে লাগলো,,ইয়ামানকে যেমন তেমন করে বুঝিয়ে সুঝিয়ে তার মা রুমে পাঠালো,,ইয়ামান তো কোনমতেই তার সানামকে ছাড়া যাবে না,অবশেষে তার সানামের দোহাই দিয়ে তাকে নিয়ে গেল কিন্তু শর্ত রাখল “যেন কাল সকালেই সে সানামকে তার ঘরে পায়”
এইদিকে সানামের নাজেহাল,,সে কান্না করতে করতে এক পযার্য় ঘুমিয়ে গিয়েছে তাকে তার রুমে ঘুম পারিয়ে রেখেছে,,লিভিং রুমে ইয়ামানের বাবা মা বোন সানামের বাবা মা বোন সবাই উপস্থিত,
_দেখ বোন তোর ছেলের পাগলামো আবার শুরু হয়েছে,,(সানামের মা বলে উঠলো)
_ভাইয়ের পাগলামো বন্ধ হয়েছিলই কবে,(ইসমি বল্ল)
_হ্যা ঠিকি বলেছিস,,,(ইয়ামানের বাবা বলল)
ইয়ামানের বাবা উঠে সানামের বাবার সামনে গেল,সানামের বাবাও উঠলো,ইয়ামানের বাবা সানামের বাবার হাত ধরে বলল,,
_ভাইজান আমার ছেলের পাগলামো এই কয়দিন অনেক কষ্টে সামলিয়েছি কিন্তু আজ অ কিভাবে যেনে গেল আল্লাহই জানে এখন ওকে আমাদের পক্ষে সামলানো বড়ই কষ্টকর,ওকে এক মাত্র আমাদের সানামই সামলাতে পারে,,সানামকে না পেলে আমার ছেলে আর বাঁচবে না,,একজন ছেলের বাবা হয়ে নিজের ছেলের প্রান ভিক্ষে চাইছি ভাই,,(বলেই সানামের বাবা হাতে কান্না করে দিল)
_আরে ভাইজান এভাবে বলছেন কেন,ইয়ামান তো আমাদেরও ছেলে,,আমারাও ওকে পছন্দ করি কিন্তু ওর এইসব পাগলামো যা একটু বেশিই,,
ইয়ামানের মা এসে তার বোনকে বলল,,
_এইসব পাগলামো কমবে একমাত্র সানামকে পেলেই,দেখ বোন সানামকে দে আমার ছেলের কাছে,,(বলেই কান্না করে দিল)
_আমরা রাজি যদি সানাম রাজি থাকে তাহলেই হলো,,
সবাই খুশি হয়ে গেল,,দুই বোন জরিয়ে ধরল,,সবাই ঘুমুতে চলে গেল,,,
রাত 3টা,,
সানামের শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম,সে চাইলেও নরতে পারছে না,কেউ তার বুকে মুখ লুকিয়ে খুব আরমশে শুয়ে আছে,,সানাম কোনমতে পিট পিট করে চোখ খুল্ল,,তার বুকে ঘুমানো ব্যাক্তি টির দিকে তাকালো,হাল্কা ডিল লাইটের আলোতে ইয়ামানের মুখ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সানাম,,ইয়ামানকে দেখা মাত্রই জোরে চিৎকার দিল,,রাত অনেক হওয়ায় আবার সারাদিন সবার উপর অনেক দখল গেছে বিধায় কেউ সানামের চিৎকার শুনলো না,,ইয়ামান ও তার সানামকে ধরে গভির ঘুমে আচ্ছন্য মনে হচ্ছে কতশত দিন সে ঘুমুয় নি,,সানাম ইয়ামানের মুখের দিকে তাকালো কি নিষ্পাপ এই মুখ যে কেউ দেখে প্রেমে পরে যাবে,হাজারো মেয়ের সপ্নের রাজকুমার, সানাম যে পরে নি তা না সেও পরেছে বহু বার তার প্রেমে পরেছে,কিন্তু তার প্রতি পাগলামো দেখে সে ইয়ামানকে খুবি ভয় পায়,একদিন একটি ছেলের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জাস্ট কথা বলছিল হেসে সেটা ইয়ামান দেখে ফেলেছিল কি রকম যে পিটিয়েছিল বলার মতো না,,তারপর থেকে ইয়ামানকে দেখলেই সানাম ভয় পায় দূরে দূরে থাকে তার এই দুরুত্ত ইয়ামান মেনে নিতে পারে নি সে তার খালার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা সবাই রাজিও হয়েছে কিন্তু সানাম রাজি না,সে তার মা বাবাকে বলে দিয়েছে ইয়ামানের কাছে বিয়ে দিলে সে মরে যাবে,,তাও একটা হিংস্র মানুষকে বিয়ে করবে না,তার বাবা মা মেয়ের কথা ফেলতে পারে নি,,তাই আজকে অন্য জায়গায় এনগেজমেন্ট করাতে চেয়েছিল কিন্তু ইয়ামান তা খবর পেয়ে যায়,,তার পরে তো জানেনি,,
সানাম ইয়ামানের বেধরম পেটানোর কথা মনে পরতেই ইয়ামানকে জোরে ধাক্কা মারে ইয়ামান ঘুমের ঘোরে তাল সামলাতে না পেরে পরে গেছে,,এভাবে হঠাৎ ঘুমের ঘোরে পরে যাওয়ায় ইয়ামানের খুব রাগ হয়,, সে নিচ থেকে উঠে সানামের দিকে তাকায় দেখে সানাম বসে গায়ে কাথা টেনে ইয়ামানকে বলছে,,
_চলে জান এখান থেকে আমি আপনাকে আমি আপনাকে,,(হেচকি তুলতে তুলতে বলছে)
ইয়ামান শান্ত দৃষ্টিতে সানামের দিকে এগুতে লাগলো,,
_এ,, এই এগুবেন না যান যান বলছি,
বলেই সানাম নিজেকে গুটাতে লাগলো,,
ইয়ামান সানামের পুরো কাছে এসে সানামের পা ধরে টান মারলো,,সানাম বিছানায় শুয়ে পরল,তার উপর ইয়ামান ঝুকলো,,সানাম হাত দিয়ে ইয়ামানের বুকে ধাক্কা দিতে লাগলো,ইয়ামান সানামের দুই হাত বিছানাতে চেপে ধরলো,,সানাম কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইয়ামান সানামের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল,,ইয়ামান পরম আবেশে শুষে নিচ্ছে যেন কতো দিনের খানা তার না খাওয়া,সানাম কি করবে ভেবে পাচ্ছে না সে হাত ও নাড়াতে পারছে না নিজেও নরতে পারছে না,,সানাম হাল ছেরে সেভাবেই রইল চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরতে লাগলো যা ইয়ামানের চোখে পরলনা সে তার সানামের ঠোঁটের স্বাদ নিতে এত্ত বেস্ত যে তার সানাম কান্না করছে সে সেদিকে খেয়াল নেই,প্রায় আধা ঘণ্টা পর সানামের ঠোঁট জোরা ছারলো,,সানাম চোখ বন্ধ করে রেখেছে,,তা দেখে ইয়ামান সানামের চোখে চুমু খেল,,হাতের বাধন আলগা হতে সানাম ইয়ামানকে জোরে ধাক্কা মারলো সানাম উঠে বসলো ইয়ামান সানামের আবার সামনে আসলে সানাম ঠাসসস করে চর বসিয়ে দেয় ইয়ামানের গালে,,ইয়ামান চর খেয়ে রাগ উঠে গেল সে সানামের সামনে গিয়ে চুলের মুঠি ধরে মুখের কাছে নিয়ে চিৎকার করে বলল,,
_তোর সাহস কি করে হয় আমাকে চর মারার আমাকে ইয়ামান খানকে,,কেউ আমার সামনে উচু গলায় কথা টুকু বলতে পারে না আর তুই চর মারলি!তুই আমার জান তাই আজ বেচে গেলি,,
বলেই সানামের কাছ থেকে উঠে রুমের বাহিরে চলে গেল জোরে দরজা লাগিয়ে,,এত্ত জোরে দরজা লাগায় সানাম কেপে উঠলো,সানাম কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেল,,
সকালে,,
_আম্মু আম্মু চলো বাসায় যাবো আমি এখন এই মুহুর্তে,,(বলেই চিল্লাতে লাগলো)
তারা দুই বোন সকালে উঠে নাস্তা বানাচ্ছিল,,ইয়ামানের চিল্লানে বাড়ির সবাই লিভিং রুমে চলে আসলো সানামও,,সানাম এভাবেই কাল রাতের ইয়ামানকে দেখে ভয়ে আছে আবার সকালে চিল্লাচ্ছে,,সানাম সানিয়ার পিছে চলে গেল ভয়ে,,
_বাবা নাস্তা খেয়ে যা,,
_নাহ খালামনি আমি এখন যাব,,
আর কার ক্ষমতা আছে এই রাক্ষসটাকে থামানের সে একবার বলেছে যাবে মানে কিয়ামত হলেও সে যাবেই,,সে সানিয়ার পিছন থেকে সানামের হাত ধরে সামনে আনলো,সানাম মাথা নিচু করে রেখেছে,,ইয়ামান সানামের এক গালে হাত রেখে খুবি শান্ত স্বরে বলল,,
_সানাম যাও রেডি হয়ে এসো আমরা যাব,,
এই কথা শুনে সানাম অবাক চোখে ইয়ামানের দিকে তাকালো,ইয়ামান আবারও একি কথা বলল,,সানাম সবার দিকে তাকালো বুঝতে পারলো সবাই আগের থেকেই যানে এমন কিছু হবে,,সানাম আস্তে করে বলল,,
_আমি যাবো না,
crazyness?
part_1
#sarika_Islam
চলবে,,
(ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন গল্প নিয়ে আশা করি ভালো লাগবে?আপনাদের উৎসাহ পেলে আরও সুন্দর করে লেখার আগ্রহ জাগবে☺️?)