গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #7
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)
সকাল বেলা নিজেকে বেডে আবিস্কার করলাম! শুয়ে আছি, মাথাটা কেমন জানি জিম জিম করছে! হঠাৎ কারো কান্নার আওয়াজ কানে আসে! পাশে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই! পরে অন্য পাশে তাকিয়ে দেখি যে ওরনি দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে কান্না করছে! গায়ে একটা তোয়ালে পেচানো ছিলো! বিষটা কেমন জানি রহস্যময় লাগছে! যখন আমি বেড থেকে উঠতে যাবো তখন তো আমি বিকাশ থুক্কু আকাশ থেকে পরি যে আমার পরানো প্যন্ট শ্যার্ট কোথায়! কিছুই মনে পরছে না, আর আমি এখানে কেমন! কিছুই মনে পরছে না! প্যন্ট শার্ট পরে! ওরনির দিকে যাই গিয়ে ওর কাঁদে হাত রেখে বলি যে! কি হয়েছো তোমার তুমি কান্না করছো কেনো! কথাটা বলতে দেরি ঠাসসস ঠাসসস করে আমার গালে চড় বসিয়ে দেয়! আমি তো অবাক ওরনি আমাকে কেনো মারলো, আর ও কান্নাই বা কেনো করছে! তখন আমি কান্না জরিত কন্ঠে বলি>
আমিঃ তুমি আমাকে মারলে কেনো? (গালে হাত দিয়ে)
ওরনিঃ তুই আমার সাথে কি করছিস, সেটা কি তুই জানিস!
আমিঃ যা বাবা, আমি আবার কি করলাম!
ওরনিঃ তুই কাল রাতে আমার সাথে কি করছিস, তোর কি কিছুই মনে পরছে না নাকি (রেগে গিয়ে)
তখন তো আমি ঠিক ভেবে পাচ্ছি না যে কি বলবো কারন আশেপাশের পরিস্থিতি দেখে বুঝা যাচ্ছে যে কিছু একটা হয়েছে! কিছু সময় পর কাল রাতের কথা আমার মনে পরে যায়! তখন তো আমার নিজের উপর জীদ হচ্ছে এটা আমি কি করলাম, শেষ পর্যন্ত এত জঘন্য একটা কাজ করতে পারলাম! কিন্তু ও আমার বউ হয় এতে দোষ কোথায়! তখন আমি বলি>
আমিঃ দেখো আমি তখন নিজের মধ্যে ছিলাম না, কি সব আজে বাজে জিনিস খাইছি তার জন্য এমনটা হয়েছে! প্লিস আমাকে মাফ করে দেও! আর আমরা তো স্বামী স্ত্রী তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই!
ওরনিঃ কিসের স্বামী স্ত্রী হ্যা! আমি তোকে স্বামী মানি না! আর কখনো আমি তোকে মেনে নিবো না!
আমিঃ এখন তো তোমার আর কিছু করার নেই! চলো আমরা নতুন করে শুরু করি!
ওরনিঃ সেটা কখনো সম্ভব না! কারন আমি তোকে ভালোবাসি না! আমি জিসান কে ভালোবাসি! আর তুই যেটা করছিস সেটা মোটেও ঠিক করিস নাই!
আমিঃ কাল যে তোমার সাথে না বুজে যেটা হয়েছে তারপর কি তোমাকে জিসান মেনে নিবে!
ওরনি আমার কথাটা শুনো কিছু সময় হেঁসে বলেঃ সেটা সম্ভব কারন তোকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দিবো, এতে আরো সহজ হয়ে যাবে, আর তুই যেটা আমার সাথে করছিস সেটার অনুভূতি চিরোকাল উঠিয়ে দিবো, আর আমার সাথে এমনটা করার ফল তো তোকে ভোগ করতেই হবে!
ওরনি কথাটা বলে! তার পিছনে থাকা ছুরিটা আমার বোকে ঢুকিয়ে দিলো! আমি তো ভাবতে পারিনি ও এমন একটা কাজ করবে! তারপর ওরনি বলে?
ওরনিঃ নে তোর আজি শেষদিন! সরি রে তোর কপালে এটাই হওয়ার ছিলো! তুই থাকলে আমার আর সজিব এর কখনো মিল হবে না কারন তোর আর আমার ফ্রেমিলি কখনো আমাদের আলাদা হতে দিবে না! আর তুই যেটা করছিস তারজন্য এটা তোর শাস্তি! (কথাটা বলে ওরনি ছুরিটা বোকের ভিতরে মোচরে দেয়)
[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন।
#Childhood_love
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]
তখন আমি চিৎকার দিয়ে কান্না করে দেই হয়তো সেই কান্না কেউ না শুনলেও ওরনি দেখেও হাসিতে মেতে উঠছে, হয়তো এটাই তার তৃপ্তি! তখন আমার মুখ দিয়ে অঝরে রক্ত ঝরছে তখন শুধু একটা কথাই বলি ওরনি কে!
আমিঃ যখন কেউ আসে, আর যখন কেউ যায়, আর যখন কেউ পাল্টে যায়, তখনকার মধ্যে অনেকটা পার্থক্য থাকলেও সময়টা থাকে না তার জন্য! থাকে আফসোর্স! অবশেষে ভালো থেকো! চিন্তা করো না তোমাকে কোনো অভিশাপ দিবো না! বরং তোমার জন্য বোক ভরা আবিরাম ভালোবাসা! আল-বিদা!
সাথে সাথে আমার নিস্বঃ দেহটা মেজোতে পরে যায়! তখনো দেখি যে ওরনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে! কেমন জানি রাজ্য জয় করা হাসি দেখা যাচ্ছে! আমি মেজোতে পরা অবস্থায় ওরনির দিকে তাকিয়ে আছি! তখন ওরনি মোবাইলে ফোন করে কাকে জানি আসতে বলছে! তখন আমি মনে মনে বলি যে> কি করছিলাম যে আজ আমার এমন একটি দিন দেখতে হবে! আমি কি ওরনিকে ভালোবেসে ভুল করছি নাকি সময়টা ভুল ছিলো! আচ্ছা ভালোবাসার মানে টা কি আমি বুঝি নাকি না বুঝেই আজ আমার এই পরিস্থিতি! যাই হোক ভালোবেসে কি হলো দিনশেষে সেই একি হাল! আর আজ এইদিন! তবে ওরনি তুমি ভালো থেকো! ভালো থেকো তোমার সিনিয়র হ্যাসব্রেন্ড জিসানকে নিয়ে! কি ভুল ছিলো আমার! ভালোবাসাতে নাকি স্বামীর কৃতঋণএ! অতএবঃ আজ হয়তো চলে যাচ্ছি তবে এই পৃথিবীর থেকে একটা শিক্ষা পেয়ে গেলাম যে কাউকে মন থেকে ভালোবাসতে নেই কারন সেই ব্যক্তি দুঃখে বড় কারন হয়ে দারায়! তারপর আমার চোখদুটি বন্দ হয়ে গেলো! আর কিছু মনে নেই!
***ওরনি’র কথা***
ওরনিঃ হ্যালো আপনারা কোথায়
কেউএকজনঃ হ্যা মেডাম আর পাঁচ মিনিট লাগবে আসতাছি!
তার কিছু সময় পর দুইজন ব্যক্তি আসলো! আর বলে>
ওরনিঃ দেখ তো সৌরভ মরছে কিনা
তখন একটা লোক সৌরভের পার্ল্স চেক করে বলেঃ মেডাম ওনি মারা গেছেন!
ওরনিঃও তা তো আরো ভালো! ওরে কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে আয়! আর এই নে তোদের টাকা!
তারা দুইজন সৌরভ কে নিয়ে চলে গেলো একটা বস্তায় ভরে নিয়ে গেলো! অনেকটা সকাল ছিলো তাই তেমন লোকজন ছিলো না, তাই তারা খুব সহজে নিয়ে চলে গেলো! অতএবঃ সৌরভের মরা দেহ নিয়ে তারা চলে গেলো একটা শুনশান কবরস্থানে! সেই দুইজন সৌরভকে আর দশটা মানুষের মতো করে মাটিচাপা দিয়ে দেয়! তখন একটা লোকের কাছে ফোন আসে>
ওরনিঃ কাজ হয়েছে!
ওদের মধ্যে একজনঃ হ্যা মেডাম কাজ হয়ে গেছে!
ওরনিঃ আচ্ছ আপনারা চলে যান, বাকি টাকা’টা পরে নিয়েন!
এইদিকে ওরনি বিজয়ী হাসি দেয়, আর মনে মনে বলে> সৌরভ তোকে মরতে হতো না, তুই আমার সাথে যেটা করছিস সেটার তো শাস্তির প্রাপ্ত ! এখন আমার আর জিসানের মাজে কেউ আসতে পারবে না! কথাটা বলে ওরনি ওয়াশরুমে চলে যায়!
***********চলবে না দউরাবে***********