গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #6
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)
কলেজের ক্যাম্পাসে বসে আছি বন্দুদের সাথে! বন্দুদের আড্ডার মাজে হঠাৎ সজিব বলে>
সজিবঃ কিরে সৌরভ তোদের অবস্থা কি?
আমিঃ কি আর, সেই একি অবস্থা!
সজিবঃ মানে?
আমিঃ যতদিন যাচ্ছে, ততই জিসান আর ওরনি’র ভালোবাসা বেরেই যাচ্ছে। আমিও কম চেস্টা করিনি ওর মন জয় করার জন্য কিন্তু দিনশেষে অপমান আর থাপ্পড় ফেছ করতে হয়েছে। এখন বেশি কিছুদিন দরে ভালোবাসা বলে দাবি করিনা। কিন্তু মনের ভিতর ওরনি কে পাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে বসে আছে। জানিনা ওরে আপনা করে পাবো কিনা। কিন্তু মাজে মাজে ভয় হয় ও যদি আমাকে ছেরে চলে যায় আমি কি করে থাকবো ওরে ছারা!
সজিবঃ দেখ মন খারাপ করিস না! দিনশেষে যেমন রাত আসে ঠিক তেমনি রাত শেষে দিন আসে। তোর হয়তো এখন রাত চিন্তা করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমিঃ হুম তাই যেনো হয়। আচ্ছা আমি যাই!
সজিবঃ সে কিরে এখন চলে যাবি মানে, তাহলে আসলি কেনো?
আমিঃ আসবো না তো কি করবো, বাসায় থেকে কি ওর কথা শুনবো নাকি তাই কলেজে চলে আসলাম। আর বিকালে ওরনি’র মামতো বোনের বিয়ে ওইখানে যেতে হবে।
সজিবঃ আচ্ছা যা!
তারপর সোজা বাসায় চলে আসলাম! বাসায় এসে দেখি কেউ রেডি হয়নি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য, শুধু ওড়নি ছারা!
রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে, আম্মুর কাছে যাই। দেখি আম্মু ভাবির রুমে!
আমিঃ আম্মু, ভাবি তোমরা রেডি হওনি কেনো?
আম্মুঃ না রে সৌরভ আমরা যেতে পারবো না!
আমিঃ যেতে পারবে না মানে?
আম্মুঃ তোর ভাবির অবস্থা তো দেখছিস, যেতে পারবে না, আমি কি ওরে একা রেখে যেতে পারবো! যদি কিছু হয়ে যায়! তাই আর কি?
আমিঃ ভাবির কিছু হবে না, ভাবি কে কুলে করে নিয়ে যাবো, কি ভাবি তুমি রাজি কিনা!
ভাবিঃ সৌরভ তুমি তো দেখছো কেমন অবস্তা, ওইখানে গিয়ে আমি কোনো রকম আনন্দ করতে পারবো না, হুদাই বসে থেকে লাভ আছে!
আমি আর জোর খাটালাম না! কারন ভাবি গর্ভবতী অবস্থায়, না যাওয়াটাই বেটার!
অতএবঃ আমি আর ওরনি তাদের বাসায় চলে আসলাম! সময় টা ছিলো বিকাল! (আর হ্যা ওরনির মামার বাড়ি ওদের পাশের বাসা) এসে তো খাতিন্দারিতে পরে গেলাম, যেমন আপ্পায়ন তেমন সেবা! আমি ওরনি’র কাজিনদের সাথে আড্ডা দিতে বেস্ত হয়ে গেলাম! আস্তে আস্তে সন্ধা হতে লাগলো! মানে হলুদের অনুষ্টান ঘনিয়ে আসছে! অতএবঃ আস্তে আস্তে লোকজন আসতে শুরু হলো! হঠাৎ ওরনি কাজিন জান্নাত বললো যে ওরনি আসতাছে! আমি সোজা ওরনির দিকে তাকিয়ে তো অবাক! এ আমি কাকে দেখছি, এ দেখি সাক্ষাত পরি! পরি অবস্য সাদা থাকে কিন্তু এটা হলুদ পরি যেটা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রশ্তুত ছিলাম না! এক কথায় ক্রাশ যাকে বলে! আমি তো নিস্তব্ধর মতো তাকিয়ে আছি, পিছন থেকে জান্নাত বলে উঠলো!
জান্নাতঃ কি ব্যপার দুলাভাই, এইভাবে তাকালে কি হবে, আমাদের দিকে তো একটু তাকান!
আমিঃ আরে তোমাদের কি দেখবো, তোমাদের মুখে পানি দিলের আটার খনি বের হয়ে আসবে!
জান্নাতঃ কিইইই! এতবড় অপমান! সমস্যা নাই আমিও দেখে নিবো!
আমিঃ দেখে তো নিবা বুঝলাম, একটা পিক তুলে নেও দেখতে পারবে!
সাইরাঃ জান্নাত তুই রাগিস কেনো, দুলাভাই তো ঠিকি বলছে, তুই যেসব মুখে use করস!
জান্নাতঃ ব্যপার কি তুই হঠাৎ দুলাভাই এর পক্ষ নিচ্ছিস কেনো…?
সাইরাঃ এমনি…….! আচ্ছা দুলাভাই আপনাকে কিন্তু সেই লেভেলের কিউট লাগছে?
আমিঃ বস্তা বস্তা Thank You শালিকা!
সাইরাঃ তুমি কিন্তু আমার থেকে ছোট, শালিকা না বললেও পারতা!
জান্নাতঃ ও, তাহলে এই মতলব, তোর তো মতলব ঠিক লাগছে না!
সাইরাঃ তোর ওত কিছু বুঝার দরকার নাই!
জান্নাতঃ সাইরা তুই ভুলে যাস না, ও তোর দুলাভাই হয় (কানে কানে)
আমি তাদের দিকে আর কান দিলাম না, হঠাৎ আমার চোখ গিয়ে জিসান এর দিকে গিয়ে পরে! জিসান এখানে কি করে! আর ওরনি’র দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছে কেনো? তারপর জিসান আর ওরনি কি কথা নিয়ে যেনো কথা কাঁটা কাঁটি করতাছে! আমি তাদের মাঝে গিয়ে বলি>
আমিঃ কি হয়েছে, আপনি ওরনি’র সাথে এইভাবে কথা বলতাছেন কেনো?
জিসানঃ তাতে তোর কি?
আমিঃ আমার কি মানে, আমারি সব! আপনি ওর সাথে এমন ভাবে কথা বলতে পারেন না!
জিসানঃ আমি ওর সাথে যেমন ভাবে কথা বলবো তাতে তোর যেটা করার তুই কর!
ওরনিঃ তুই এখান থেকে যা তো? ( আমাকে বললো)
আমিঃ কিন্তু?
ওরনিঃ তুই যা তো?
[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন।
#Childhood_love
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]
আমি সেখান থেকে চলে আসলাম! জানিনা তাদের মাঝে কি এমন কথা নিয়ে কাঁটা কাটি হচ্ছে! যাই হোক একটু পর সব লোকজান চলে আসলো! গায়ে হলুদ অনুষ্টান একে একে শেষ হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু অনেকটা সময় দরে ওরনি কে দেখতে পাচ্ছি না! আশেপাশে খুজতে লাগলাম! কিন্তু পেলাম না! পরে সাইরা আর জান্নাত কে জিঞ্জেস করলাম তারা নাকি দেখেনি! পরে গেলাম মহা জামেলায়! এটা কি করে হতে পারে এতসময় তো এখানেই ছিলো, আর জিসানও নাই ! না আমার কাছে ব্যপারটা ঠিক লাগছে না! চারোপাশে ওরনি কে খুজতে লাগলাম! কিন্তু কোথাও পাচ্ছি না! খুজতে খুজতে হঠাৎ যেটা আমি দেখি, যা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! একটা পুরাতন রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছি দেখি যে জিসান ওরনিকে হালকার উপরে জরিয়ে দরে আছে! ওরনি চোখ বন্দ করে আছে আর জিসান ওরনিকে কিস করারর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে!
আমি গিয়ে সোজা জিসান এর বোকে লাথি মারি! তাতেই ও মাটিতে পরে যায়! ওরনি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে যে এমন অবস্থা! তখন ওরনি আমাকে ঠাসসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়! আমি বুঝলাম না ওরনি কেনো আমাকে মারলো?
আমিঃ তুমি আমাকে কেনো মারলে?
ওরনিঃ তুই ওরে কেনো মারলি?
আমিঃ মারবো না তো কি করবো, জিসান তোমাকে কিস করতে গেছিলো!
ওরনিঃ তাতে তোর কি? (এইবার কথাটা জোরেই বললো)
আমিঃ আমার কি মানে, আমার সামনে আমার ভালোবাসার মানুষ যে আমার বউ তাকে কেউ স্পর্শ করবে তাকে আমি ছেরে দিবো না!
কথাটা বলার সাথে সাথে আবার ঠাসসস করে থাপ্পড় দেয়! এইবার আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না! চোখ দিয়ে দুই ফোটা পানি পরে গেলো!
ওরনিঃ বউ ভালোবাসা এইগুলা তোর মুখে মানায়, কিন্তু পাওয়ার যৌগ্যতা তোর হয়নি! আর আমার সরীর, কে আমাকে স্পর্শ করবে না করবে তাতে তোর কি! চলো জানু আমরা চলে যাই আমাদের রোমান্টিক মুড’টা নষ্ট করে দিলো!
কথাটা বলে জিসান আর ওরনি চলে গেলো! রয়ে গেলাম আমি আর অপমান! কার জন্য আজ আমি অবহেলিত যে কিনা আমাকে এমন নির্মম ভাবে অপমান করে! সেখানে আর না থেকে কোনো এক নিরব স্থানে চলে যাই! একা একা বসে মনে মনে ভাবতে থাকি? না এভাবে আর কতদিন ওরে কত বুঝিয়েছি! কাজ হয়নি, বুঝাতে পারিনি আমার ভালোবাসা! হঠাৎ পিছন থেকে একজন ডাক দেয়! তাকিয়ে দেখি যে ওরিনর একটা কাজিন নাম শুভ!
শুভঃ কি দুলাভাই এখানে একা একা কি করেন?
আমিঃ না মানে’ এমনি বসে আছি?
শুভঃ তা দুলাভাই এখানে বসে না থেকে চলেন আমাদের সাথে!
আমিঃ কোথায়?
শুভঃ আপনাদের জন্য বিয়ার টিয়ারের আর মদ ব্যবস্থা করা হয়েছে!
আমিঃ আমি এইগুলা খাই না, তোমরা খাও!
শুভঃ আরে দুলাভাই চলেন তো একদিন খেলে কিছু হবে না!
আমিও আর না করতে পারলাম না! কারন আমি মদ এইসব বাজে কিছু খাই না! কিন্তু বিয়ার খাই! তাই চলে গেলাম! সেখানে আমার মতো আরো অনেকেই আছে! মদ এর আগে কখনো খাইনি তাই তেমন আগ্রহ নাই! বিয়ার খেতে লাগলাম! খাওয়ার এক পর্যায় মদ খাওয়ার আগ্রহটা বেরে গেলো! নিজেকে আর আটকিয়ে রাখতে পারলাম না! মদ ও খেয়ে নিলাম! খাওয়ার এক পর্যায় নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারছিলাম না! কিছুসময়
পর অতিরিক্ত খাওয়ার কারনে! সবাই বুঝতে পারলো যে আমি একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছি! এইভাবে গান আর মাতাল অবস্থায় মাস্তিতে সময় কেটে গেলো! এখন আর বেশি কেউ জেগে নেই! আমিও সেখানে হেলেঠুলে পরে যাচ্ছি! কে জানি আমাকে দরে দরে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক মনে নেই, হবে হয়তো কেউ, একটু পর বুঝতে পারলাম যে এটা একটা মেয়ে কিন্তু ঠিক ফোকাস করতে পারছি না যে এটা কে? মেয়েটা আমাকে একটা রুমে নিয়ে
গেলো! রুম টা দেখে মনে হচ্ছে রুমটা আমার চিনা! চোখ বুলিয়ে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে শুয়ে আছে
হলুদ শাড়ি পরা অবস্থায়! মেয়েটা শুয়ে আছে আমি তাকিয়ে থাকা অবস্থায় সেই মেয়েটা কি জানি একটা বলে দরজা বন্দ করে চলে গেলো! আমার মাথাটা কেমন জানি জিম জিম করছে। বেডে শুয়ে আছে, সেই মেয়েটি দেখতে অনেকটা মায়াবি যা বলার বাহিয়ে! মুখে প্রচুর মায়া! নিজেকে কেমন জানি নেশাগ্রস্ত লাগছে আর মেয়েটাকে একটা কিস করতে মন চাইছে! মাতাল অবস্থায় চলে যাই কিস করতে! তারপর আর কিছু মনে নেই! অতএবঃ সকালে উঠে নিজেকে এমন পরিস্থিতিতে দেখবো ভাবতে পারিনি! অন্য দিকে তাকিয়ে দেখি যে?
***********চলবে না দউরাবে************