Childhood Love, পর্ব:২

0
1067

গল্পঃ #Childhood_love
পর্বঃ #2/দুই
লেখকঃ #Sourav_Ahmed (Cute boy)

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার সময় আম্মুকে বলি!

আমিঃ আম্মু ভাবি কোথায়!

আম্মুঃ ওইতো এসে গেছে!

আমিঃ ভাবি তুমি আসতে গেলে কেনো, তোমার খাবার আমি নিয়ে আসতাম।

ভাবিঃ কেনো আমাকে কি মানুষ মনে হয় না। আমারো হাত, পা আছে নাকি! (বসতে বসতে)

আমিঃ হ্যা মানতেছি যে তুমিও মানুষ কিন্তু তুমি আর পাঁচাটা মানুষের মতো না!

ভাবিঃ সবে মাএ তিনমাস এর মধ্যে এত চাপ দিলে কিন্তু আব্বুর বাসায় চলে যাবে।

আমিঃ তোমাকে যেতে দিলে তো!

ভাবিঃ কেনো যেতে দিবা না!

আমিঃ তুমি যখন ছিলে না, তখন আফসু ছিলো (আমার আপু), বাসা’টা পরি-পূর্ন ছিলো। আফসুর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তুমি যখন আসলে তখন তুমিই আফসুর জায়গা’টা দখল করে নিলা! তাই বলছি তুমি ভুলেও যাওয়ার চিন্তা করো না। আর যদি চিন্তা করো তাহলে আমার আব্বু আরিয়ান (ভাবির ছেলের নামও ঠিক করে ফেলেছি) কে রেখে যেও।

ভাবিঃ সৌরভ তুমি এমন কেনো!

আমিঃ যা বাব্বা আমি আবার কি করলাম।

ভাবিঃ এই যে তুমি এত কিছু ভাবো কিন্তু তোমার ভাই কিছুই ভাবে না। আর তুমি অনেক ভালো। ইসস তোমার মতো যদি আর একটা আপন ভাই থাকতো!

আমিঃ ভাবি ভাইয়া আমারি মতো কিন্তু সময় কই যে তোমার কাছে ভালো থাকবে। আর তুমি কি বলছো আমি তোমার আপন ভাই না। (অভিমান করে)

ভাবিঃ আরে আরে তুমি রাগ করছো কেনো। তোমাকে আমার আপন ভাই থেকে বেশি ভাবি। তুমি যে আমার একমাএ+ভাই!

আমিঃ মন থেকে বলছো তো (খুশি হয়ে)

ভাবিঃ হুম মন থেকে বলছি! (গাল টেনে)

আরো কিছু সময় আড্ডা দিয়ে। রুমে চলে আসলাম। একটু পর সজিব’কে ফোন দিলাম। উদ্দেশ্য শপিং করতে যাবো। অতএবঃ সজিব’কে নিয়ে শপিং এ গেলাম। সজিব’কে আমার সাথে বিয়েতে নিবো তাই দুইজনে এক কালারের পাঞ্জাবি পড়বো। অনেক কষ্টে দুইটা নিল কালারের পাঞ্জাবি চয়েজ করলাম! অবস্য আমার নীল কালার পছন্দ! সবিই ঠিক আছে বাট পাঞ্জবির সাইজ নিয়ে ডাউট হইতাছে। তাই এক্সচেঞ্জ রুমে যাই। ভাই বিশ্বাস করেন এক্সচেঞ্জ রুমের দরজাটা খুলতে বাকি। কিন্তু এটা আমি কি দেখলাম। সাথে সাথে জোরে চিৎকার দিয়ে চোখ বন্দ করে ফেলি! মেয়েটিও আমার সাথে চিৎকার দেয়। মেয়েটি আর কেউ না সেই মেয়েটি রিকশার ওইখানে ঝগড়া করছিলো। আমার চিৎকার এর শব্দ পেয়ে দরজা’টা আবার লাগিয়ে নেয়। আমি সেখানেই গাম্বি হয়ে দারিয়ে আছি এটা আমি কি দেখলাম। না না আমি কিছু দেখিনি। সবিই ছিলো বাট ওড়না ছিলো না। কিন্তু চিৎকার কেনো দিলাম। চিৎকার দেওয়াটাই স্বাভাবিক কারন প্রথম বার তাও হঠাৎ করে। সেখানেই দারিয়ে আছি, একটু পর সজিব এর ডাকে ঘোর কাটে।

সজিবঃ কিরে তুই এখানে কি করিস!

আমিঃ কি করবো বল! যেটা হলো সেটা আমি ভাবতেও পারিনি!

সজিবঃ কি হয়েছে?

আমিঃ আরে আআআ?

আর কিছু বলতে পারলাম না, কে জানি আমাকে পিছে মোর গুড়িয়ে ঠাসসসসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়। আমি তাকিয়ে দেখি যে মেয়েটি আর কেউ না সেই মেয়েটি! আমাকে চড় দেওয়ার ফলে আশেপাশের লোকজান থেমে গেলো তামাশা দেখার জন্য, আর সজিব তো অবাক।

মেয়েটিঃ তোর মতে লুচ্চা বদমাশ ছেলে আমি কখনো দেখিনি। নক করে এক্সচেঞ্জ রুমে ঢুকতে পারিস না। আর তুই এখানে কেনো? (রেগে গিয়ে)

আমিঃ ও এখন তো আমার দোষ কারন আমি নক করিনি তাই না! আপনি জানেন না পাবলিক প্লেসে এক্সচেঞ্জ করলে দরজা লক করতে হয়। আর আমি নক করবো কেনো, আমি কি জানি নাকি যে আপনি দরজা লক না করেই চেঞ্জ করবেন। (গালে হাত দিয়ে)

আমার কথাশুনে মেয়েটি ভাবনাচিন্তায় পরে গেলো। তখন সজিব’ বলে>

সজিবঃ তুই কি বলছিস আমার মাথায় কিছুই ঢুকতাছে না!

আমিঃ তোর মোটা মাথায় কিছু ঢুকবে না!

সজিবঃ তুই বলবি কিনা!

তারপর সজিব’কে সব ঘটনা খুলে বললাম!

সজিবঃ ও তাহলে এই ব্যপার, এই আপনি ওরে থাপ্পড় কেনো দিছেন! দোষ নিজে করে অন্যকে মারা হচ্ছে। আর এখন কি এমন চিন্তা করছেন!

মেয়েটিঃ আমি অনেক ভেবেচিন্তে করে দেখলাম আমি ওরে থাপ্পম মেরে ঠিক কাজ করছি!

আমিঃ তা শুনি কি ঠিক কাজের জন্য আমাকে মারছেন! (রেগে গিয়ে)

মেয়েটিঃ আপনি আমাকে দেখে ফেলছেন?

আমিঃ সজিব’ ভাই তুই বিশ্বাস কর আমি অনার কিছুই দেখিনি। সবিই ঠিকঠাক ছিলো শুধু ওড়না’টা ছিলো না!

মেয়েটিঃ সেটার জন্যই মারছি!

আমিঃ কিইইই! আপনি দেখি সেই প্রাচিন কালে চলে গেলেন যে কালে মেয়েরা ওড়না পড়তো। আর আজকাল মেয়েরা যে ওড়না পড়ে সেটা তো পৃথিবীর ৮ম পর্যার ইচিং বিচিং কথাবার্তা।

মেয়েটিঃ কে ওড়না পরে আর কে পড়েনা সেটা দেখার বিষয় আমার না। নিজে ঠিক তো সব ঠিক। আর মন-মানোসিকতা ঠিক কর।

মেয়েটা দেখি খুব ভালো আর হনেস্ট! যাই হোক আমার ক্রাশ বলে কথা। না মেয়েটার নামই তো জানা হলো না! তখন সজিব বলে উঠলো!

সজিবঃ এটার সাথে থাপ্পড় দেওয়ার সম্পর্ক কি!

মেয়েটিঃ সেটা আপনার মোটা মাথায় ঢুকবে না!

সজিব রেগে যাবে ঠিক সেই পর্যায় ওর কানে কানে বলি! শালা চুপ থাক, এটা আমার ক্রাশ, ওরে পটানোর চেস্ট কর! সজিব দাঁতে দাঁত চেপে থাকলো!

আমিঃ আপনি ঠিকি বলছেন, ও একটা মাথা মোটা!

মেয়েটিঃ হুম, তাহলে এই মাথা মোটার সাথে থাকিস কেনো!

আমিঃ সে বুঝবেন না, এলাকার সমান বয়সি তো তাই সাথে থাকে, নয়তো ওর মতো সজিব আমার সাথে রাখি নাকি!

ওইদিকে সজিব তো রেগে মেগে আগুন!

মেয়েটিঃ এই তোর মতবল কি রে, হঠাৎ আমার পক্ষ নিচ্ছিস কেনো!

আমিঃ কি বলেন মতবল কেনো থাকবে। আচ্ছা বাদ দেন! আপনার নাম’টা জানি কি! আর কোন ইয়ারে পড়েন?

মেয়েটিঃ ও তাহলে এই মতবল! আমার নাম ওরনি, মাস্টার পাশ!

আমিঃ কিইইই ( আমি অবাক এই মেয়ে বলে কি, দেখে তো তেমন বয়স হবে না তাও বলে নাকি মাস্টার পাশ, আমি যদি বলি সবে মাএ আমি ইন্টারে পরীক্ষা দিলাম, তাহলে এই মেয়ের প্রতি কেমনে ক্রাশ খাইলাম, আল্লাহ তুমি আমার নজর ঠিক করো)

মেয়েটিঃ অবাক হওয়ার কি আছে, আর তুই কিসে পড়স!

আমিঃ আমি সবে মাএ ইন্টারে পরীক্ষা দিলাম! (দাঁত কেলিয়ে)

ওরনিঃ তুই আমার থেকে কত ছোট তা সওে ও আমার সাথে তুমি করে বলছিস, আপনি করে বলবি নয়তো আপু!

আমিঃ না আমি বলতে পারবো না!

ওরনিঃ কেনো?

আমিঃ আমি তোমাকে প্রথম দেখায় ক্রাশ খাই মানে ভালোবেসে ফেলি, মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি!

আমার কথাশুনে ওরনি মেয়েটি হাসতাছে, ইসসস কি মায়াবি হাসি! আবার ক্রাশ খাইলাম! ওরনি দেখতে অনেক সুন্দর মায়াবি প্রথম দেখায় যে কেউ ক্রাশ খাবে, যেমন আমি।

আমিঃ কি ব্যপার তুমি হাসতাছো কেনো!

ওরনিঃ তোর মাথায় কি কোনো সমস্যা আছে?

আমিঃ মানে? (অবাক হয়ে)

ওরনিঃ তোর থেকে পাঁচ বছরের বড় আমি, তুই আমাকে প্রোপোজ করছিস। তাও তুই দেখতে একটা পিচ্চি।

আমিঃ তো কি হইছো, আমি ৫’১০ আছি! ভালোবাসার মধ্যে এত কিছু দেখে না, শুধু দুইটি মনের মিল হলেই চলে!

ওরনিঃ তাই বুঝি ছোট ভাই! আমার কালকে বিয়ে আর তুমি আমাকে প্রোপোজ করছো। যাই হোক তুমি অনেক’টা ফানি টাইপের! (কথাটা বলে ওরনি চলে গেলো)

সজিবঃ কিরে ছেকা খোর আশিক! (আবুইল্লার মতো হেঁসে)

আমিঃ কি আমি ছেকা খোর হইলাম কবে?

সজিবঃ এই যে মেয়েটা তোকে ভাই ঠাকলো, তারপর তুই মেয়েটিকে ভালোবেসেও পর!

আমিঃ আরে আমি তোর মতো বড় মন নিয়ে ঘুরি নাকি। আমার মন ছোট হলেও তোদের মতো ১২ বাতা* না। আর আমাদের তো রিলেশন হয়নি তো ছেকার কোনো প্রশ্নই উঠে না! এখন দারিয়ে না থেকে বাসায় চল! আসার সময় ভাবির জন্য ফুচকা নিয়ে আসলাম, এটা অবস্য নিয়ম বলতে পারেন।

তারপর দুইজনে শপিং করে যে যার বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ভাবিকে ফুচকা দিলাম এত ভাবি অনেকটা খুশি হয়। সেই খুশিতে আমার খুশি। অতএবঃ আগামিদিন!

আম্মুঃ কিরে সৌরভ তৈরি হইছিস

আমিঃ হ্যা আম্মু আমি রেডি!

আম্মুঃ দেখি তোর ভাবির কি হালচাল!

আমি বেশি কিছু পরিনি! নীল কালারের পাঞ্জাবি, থাই প্যান্ট, হাতে ঘড়ি, লোফার, জানিনা দেখতে কেমন দেখা যাচ্ছে।

তারপর আমরা সবাই রওনা দিলাম! আর হ্যা আমরা ওইখানে পৌছানোর পরে ভাইয়া সেখানে আসবে। কারন সেখানে ভাইয়ার অনেক’টা কাছে। অতএবঃ পৌছে গেলাম বিয়ে বাড়িতে! ভিতরে যাওয়ার পর দুইটা লোক আসলো। সজিব’ও আমাদের সাথে আসছিলো শালা মেয়ে পটাতে চলে গেছে। ওর কথা আর না বলাই ভারো। এসেই আম্মুকে জরিয়ে দরলো হয়তো এটাই আম্মুর বান্দবি। তারা তাদের বান্দুবিকে ব্যপারে জানলো খবর নিলো!

আন্টিঃ কিরে সালেহা’ (আম্মুর নাম) এটা কি সেই পিচ্চি সৌরভ না!

[ গল্প পেতে হলে লেখকের আইডিতে রিকুয়েস্ট দিয়ে ছোট একটা মেসেজ দিয়ে সাথে থাকুন।
#Sourav_Ahmed
#Thank_You ]

আম্মুঃ হ্যারে এটাই সেই সয়তানের লিডার সৌরভ, তবে ছোট কালে যত সয়তানি করতো, এখন অনেকটা ভদ্র!

আন্টিঃ তাই বুঝি, তা কেমন আছো তুমি বাবা!

আমিঃ জ্বী আন্টি আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আপনি?

আন্টিঃ আমি ভালোই আছি। তা কত বড় হয়ে গেছে।

ভাই বিশ্বাস করেন এদের আমি চিনিনা, তবুও কি সব যা তা বলতাছে সয়তান, পিচ্চি। যাই হোক অদের ঠিক চিনে উঠতে পারছি না, অনেক ছোট থাকতে দেখছি তো! তারপর আংঙ্কেল আর ভাবির সাথে সবার পরিচিত হলো। একটু পর ভাইয়া চলে আসলো। আমি একটু ভিতরে গিয়ে তো অবাক এটা দেখি সেই মেয়েটা ওরনি’ ও তাহলে ঠিক বলছিলো ওর বিয়ে। আর ওরনি তাহলে আন্টির মেয়ে। ইসসস যদি আগে পরিচিত হতো কতই না ভালো হতো পটিয়ে বিয়ে করে ফেলতাম। কিন্তু আফসোর্স ক্রাশ এর বিয়েতে আসতে হলো। কি আর হবে একরাশ মুড অফ’ নিয়ে বসে রইলাম। তবে কিছু মেয়েকে দেখছি আমার দিকে কেমন করে জানি তাকিয়ে আছে। হয়তো আমি বীনগ্রোহে চলে আসছি, ঠিক বুঝলাম না। কয়েকটা মেয়ে আশেপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করছে। সেখান থেকে ওঠে চলে আসলাম। একটু এগতেই ওরনি আমাকে দেখে ফেলেছে। আমিও আর লজ্জা যেতে পারিনি। কারন কালকে যে কান্ডই না করছে। ও যদি আম্মু কাছে বলে দেয়। না ও বলবে না, কারনও ব্যপার টা সিরিয়ার্স নেই নি! একটু পরে তো বিদায় হয়ে যাবে। অতএবঃ অনেক’টা সময় পার হয়ে গেলো কিন্তু বর পক্ষ আসলো না। সবাই চিন্তায় পরে গেলো বর’ এখনো আসছে না কেনো। বর এর কাছে ফোন দেয কিন্তু ফোন বন্দ বলে!

***আংঙ্কেল আর আন্টিদের কথা***

আংঙ্কেলঃ কি ব্যপার এখনো আসছে না, ফোনও বন্দ, ব্যপার কি!

আন্টিঃ ওদের বাসার নাম্বারে ফোন দেও!

তারপর আংঙ্কেল বরের বাসায় কল দেয়!

আংঙ্কেলঃ হ্যালো, বেয়াই সাহেব, আর কত সময় লাগবে আসতে!

বেয়াই সাহেবঃ (কোনো কথা বললবো না)

আংঙ্কেলঃ কি হলো কথা বলছেন না কেনো?

বেয়াই সাহেবঃ (এইবার কান্না করে দিলো)

আংঙ্কেলঃ আপনি কান্না করছেন কেনো কি হয়েছে বলুন তো?

বেয়াই সাহেবঃ আমার ছেলে’টা হাসি খুশিতে বিয়ে করার জন্য রওনা দেয়। কিন্তু হঠাৎ বরের’ গাড়ি এ্যাক্সসিরেন্ট করে। আমার ছেলে এখন মৃত্যুর সাথে পানজা লরছে।

আংঙ্কেল কথা’টা শুনে তার হাত থেকে মোবাইল পরে যায়। আংঙ্কেল মনে মনে বলছে> এখন আমার মেয়ের কি হবে। কে বিয়ে করবে আমার মেয়েকে। সবাই তো আমার মেয়েকে নিয়ে হাসাহাসি করবে……! সাথে সাথে কথাটা সবার কানে চলে যায়। একেকজন নানা রকম কথা বলতাছে। কথাটি ছিলো এমন!!! কি মেয়েরে বাবা বিয়ের দিন বর মারা যায়!!! এই মেয়ে আসলেই অলুক্ষী!!! মেয়েটার কপাল ভালো না!!! এ কে কোথায় আছো চলো আমরা চলে যাই। আংঙ্কেল আন্টি তাদের এমন কথা শুনে তো অবাক।

***এইদিকে আমি***

হায় হায় শেষে ওরনির সাথে এমন’টা হতে পারলো। না ওরনি আর তার ফ্রেমিলি অনেকটা ভেঙ্গে পরেছে। কিন্তু এই আজব সমাজের কথা শুনে আমারি রাগ হইতাছে কিন্তু আমার কিছু করার নাই। সমাজের কিছু লোক আছে বাঁশ দেওয়ার সময় মিস’ করে না, লম্বা বাঁশ দেয়। একটু পর দেখি যে আংঙ্কেল আন্টি, আর আমার আম্মুর সাথে কথা বলতাছে তারপর। আংঙ্কেল বলে যে> আপনারা কেউ কোথায় যাবেন না। আজ আর এখন বিয়ে হবে। তখন একটা লোক বলে উঠলো> পাএ তো মৃত্যুর সাথে পানজা লারছে তাহলে কার সাথে বিয়ে দিবেন। তারপর আন্টি এমন একটা কথা বলে যার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আন্টি বলে যে> আমার বান্দুবির ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হবে। একটু পর আংঙ্কেল আন্টি, আম্মু, ভাইয়া, ভাবি আমার কাছে আসে।

আম্মুঃ সৌরভ তোকে একটা কথা বলবো রাখবি!

আমিঃ কি কথা আম্মু?

আম্মুঃ তুই আমার বন্দুবির মেয়ে ওরনি কে বিয়ে করবি!

আমি তো সেই লেভেলের খুশি, ক্রাশ কে বিয়ে করবো, তাো সিনিয়র! কিন্তু এত তারাতারি রাজি হলে আমার ‘এটি-টিউড’ কিছুই থাকবে না। তখন আন্টি বলে উঠলো!

আন্টিঃ দেখো সৌরভ তুমি রাজি হয়ে যাও, না হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না!

আমিঃ আন্টি দেখো ওরনি অনি আমার থেকে অনেক বড় এটা কেমনে হয়! (মানোবতা)

আংঙ্কেলঃ ওই বয়স কিছু যায় আসে না, তুমি বাসসস রাজি হয়ে যাও বাবা!

আম্মুঃ দেখ সৌরভ না করিস না, আর ওরনি মেয়েটাও অনেক ভালো। (ভালো নাকি কি তা আমার যানা হয়ে গেছে, তবুও ক্রাশ বলে কথা)

আমিও আর ভাব’ না নিয়ে রাজি হয়ে গেলাম। কোথা থেকে একটা ঝড় এসে বিয়ে হয়ে গেলো ক্রাশের সাথে তাও আমার থেকে বড়। ওরনি কিছুই বললো না। বিদায়ের সময় তেমন কান্না করলো না, হয়তো মেক-আপ নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ওরনি তো এমনিই অনেক সুন্দর মেক-আপ নষ্ট হলে কিছুই হবে না। তবুও কেনো কান্না করলো না রহস্য’টা অঝানা। অতএবঃ বাসায় চলে আসলাম!

(গল্প পরে লাইক কমেন্ট করবেন, নাহলে লেখকের উৎহ জাগে নাহ)

***********চলবে না দউরাবে************

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here