লাভ গেম পর্ব-৭

0
1162

#লাভ_গেম
#ফাবিহা_নওশীন

৭.

রুশাকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। মিজান চাচা তাকে পুরো বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজে ওয়াচ ম্যানের কাছে গিয়ে জানতে পারে রুশা বাইরে গেছে। মিজান চাচা ঘামছেন। আদ্রিশ একা বের হতে পইপই করে নিষেধ করে গেছে আর ও কাউকে কিছু না বলে বাইরে চলে গেল। আদ্রিশ এসে যদি জানতে পারে তবে কি করবে সেটা ভেবেই ঘামছেন। আদ্রিশ বাড়িতে এসে রুমে গিয়ে টাই খুলতে খুলতে রুশাকে ডাকছে। রুশার সাড়া নেই। আদ্রিশ টাই রেখে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে গেল। রুশা হয়তো নিচে আছে এই ভেবে আর ডাকেনি। আদ্রিশ ফ্রেশ হয়ে একটা টাউজার আর টিশার্ট পরে নিচে গেল। রুশাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে ওর নাম ধরে জোরে জোরে ডাকল। কিন্তু এখানেও ওর সাড়া নেই তাই রাগে চিৎকার করছে। সব সার্ভেন্ট দৌড়ে এসে জড়ো হলো ওর চিৎকারে।

“রুশা কোথায়?”

সবাই মাথা নিচু করে চুপ করে আছে। আদ্রিশ তাতে আরো রেগে গেল। চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“আই সেইড রুশা কোথায়?”

মিজান চাচা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে শোয়া থেকে উঠে এল। কিছুদিন ধরে তার শরীর খারাপ। মিজান চাচা সবাইকে ইশারা করল চলে যেতে। আদ্রিশ তখনও রুশার কথা জিজ্ঞেস করছে।
“বাবা, রুশা মা কাউকে কিছু না বলে বাইরে গেছে।”

আদ্রিশ হাত মুঠো করে বলল,
“হাও ডেয়ার সি! বারবার করে না করা সত্ত্বেও কি করে বেড়িয়ে গেল? বাকিরা কি করছিল?”

“ক্ষমা করো। শরীরটা আমার খারাপ ছিল তাই খোঁজ নিতে পারিনি। তবে ভাবিনি কাউকে না বলে বাইরে যাবে। হয়তো খুব দরকার ছিল। একটা কল করে দেখো।”

আদ্রিশ দ্রুত রুশার নাম্বারে কল করল। কিন্তু ওপাশ থেকে বারবার সুইচড অফ বলছে। আদ্রিশ সামনে থাকা সোফায় লাথি মেরে বলল সুইচড অফ। ও প্রচন্ড রেগে গেছে। মাথায় আগুন জ্বলছে। সামনে যা পাবে সব গুড়িয়ে ফেলবে। বাইরে গিয়ে ওয়াচ ম্যানের কলার চেপে ধরে। ওয়াচ ম্যান ভয় পেয়ে যায়।
“স্যার, আমি কি করেছি?”

“কি করেছিস? তোকে বলিনি রুশা যেন বের হতে না পারে? ওকে যেতে দিয়েছিস কেন?”

“আমি নিষেধ করেছিলাম মেডাম বলল তাকে যেতেই হবে। আপনার সাথে কথা বলে নিবে।”

“আমাকে জানাস নি কেন? ওর যদি কিছু হয় তোর বডির একশত টুকরো করব। তারপর আমার পোষা কুকুরকে দিয়ে খাওয়াব।”
আদ্রিশ আরেকবার ওর নাম্বারে কল করল। কিন্তু সুইচড অফ বলছে। তারপর রুমে গিয়ে কাগজপত্র ঘেটে আশ্রমের নাম্বার খুঁজে বের করল। সেখানে কল করে জানতে পারল রুশা এক ঘন্টার বেশি হবে বের হয়ে গেছে। রুশা গাড়ি নিয়ে যায়নি। সব মিলিয়ে আশ্রম থেকে আসতে বড়জোর ত্রিশ মিনিট লাগবে তাহলে রুশা কোথায়? ওর বিপদ হলো না তো? আদ্রিশ গাড়ির চাবি নিয়ে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে গেল। বাড়ির বাইরে যেতেই গেটের সামনে একটা টেক্সি এসে থামল। রুশা ট্যাক্সি থেকে নেমে ভাড়া দিচ্ছে। রুশাকে দেখে আদ্রিশ স্থির হলো। এতক্ষণ চিন্তায় মাথা ফেটে যাচ্ছিল।

রুশা দরজার সামনে এসে আদ্রিশের বিস্ফোরিত চেহারা দেখে থমকে দাঁড়িয়ে গেল।
“ঘরে এসো।”

রুশা ভয় পেয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। পা চলছে না। পা মনে হচ্ছে আঁটকে গেছে। রুশাকে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আদ্রিশ ওর দিকে অগ্নি দৃষ্টি ছুড়ল। তারপর হাত ধরে টানতে টানতে সিড়ি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রুশা সিড়িতে হাঁটতে গিয়ে তাল মেলাতে পারছে না। কাঁধের লেডিস্ ব্যাগটা পড়ে গেল। আদ্রিশ ওকে নিয়ে বিছানায় ছুড়ে মারে। রুশা হুমড়ি খেয়ে পড়ল। ঘন ঘন ঢোক গিলছে। আদ্রিশ ওকে ঘুরিয়ে ওর গলা চেপে ধরল।
“তোর দেখি ডানা গজিয়েছে। এতক্ষণ কোথায় ছিলি?”

“আশ্রমে।”

“মিথ্যা! তুই কম করে এক ঘন্টা আগে বেড়িয়েছিস। এতক্ষণ কোথায় ছিলি? কার সাথে ছিলি?”

“আমি সত্যি বলছি আশ্রম থেকেই ফিরেছি। কোথাও যাইনি। আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম।”

“জানাস নি কেন?”

“মোবাইল হারিয়ে ফেলেছি। এতক্ষণ ধরে সেটাই খুঁজছিলাম।”

আদ্রিশ ওর গলা ছেড়ে দিল। রুশা গলা ধরে উঠে বসে বলল,
“আমার মোবাইল খুঁজে পাচ্ছি না। তাই আপনাকে কল করতে পারিনি। ওটা খুঁজতে গিয়েই দেরি হয়ে গেছে।”

“একটা মোবাইলের জন্য এতক্ষণ বাইরে ছিলে? ক’টা মোবাইল লাগবে তোমার?”

“না মানে ওখানে অনেক কন্ট্রাক্ট নাম্বার ছিল। তাই খুঁজছিলাম।”

“ওকে ফাইন। মানলাম এর জন্য দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু তুমি কার পারমিশন নিয়ে বের হয়েছো? আমি নিষেধ করিনি বের হতে? তোমার স্পর্ধা দেখে অবাক হচ্ছি আমি।”

“একটা বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই ইমার্জেন্সি যেতে হয়েছিল। তারপর দেখি মোবাইল নেই। তাই আপনাকে জানাতে পারিনি।”

আদ্রিশ রুশার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। রুশা ভয় পেয়ে আছে। আড়চোখে আদ্রিশের দিকে তাকাচ্ছে। গলা থেকে হাত সরিয়ে নিল।
আদ্রিশ রুশাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল বিছানায়। রুশা উঠার চেষ্টা করলে আদ্রিশ ওর দু-হাত নিজের দুহাত দিয়ে চেপে ধরে। রুশা ঘনঘন নিশ্বাস নিয়ে আদ্রিশের দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। ওর ঘাবড়ে যাওয়া দৃষ্টি আদ্রিশ বেশ উপভোগ করছে। আদ্রিশ রুশার গলায় নাক ডোবাল। গলায় উষ্ণ নিশ্বাস পড়তেই রুশা ছটফট করতে শুরু করল। হার্টবিট দ্রুত চলছে। আদ্রিশ ওর গলায় ঠোঁট ছুইয়ে বলল,
“তোমাকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি এরপর যদি আমার আর একটা কথা অমান্য করো তবে ভয়ানক শাস্তি পেতে হবে।”

রুশা ঢোক গিলে মাথা নাড়াল। আদ্রিশ রুশার কপালে শব্দ করে চুমু খেয়ে উঠে গেল। আদ্রিশ যেতেই রুশা হাফ ছেড়ে বাঁচল কিন্তু মোবাইলের জন্য একটু মন খারাপ হচ্ছে।

***
সকাল সকাল মিডিয়ার লোক এসে হাজির। আদ্রিশ চেঞ্জ করে নিচে এসেছে। আসার আগে রুশাকে বলে এসেছে কিছুতেই যেন ঘর থেকে না বের হয়। রুশা দরজা লক করে ঘরে বসে আছে। আদ্রিশ গতকাল ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছে এরপর উলটা পালটা কিছু করলে ভয়ানক শাস্তি পেতে হবে।
আদ্রিশ নিচে যেতেই সব রিপোর্টার ওর দিকে ছুটে আসে। এ নতুন নয়। নামকরা ব্যবসায়ী হওয়াতে মিডিয়ার লোক পেছনে পড়ে থাকে।

“স্যার, আপনি নাকি বিয়ে করেছেন? সত্যিই কি তাই? যদি তাই হয়ে থাকে তবে কেন এ লুকোচুরি?”

আদ্রিশ বিরক্তি প্রকাশ করল। কেউ একজন মিডিয়ার লোকদের জানিয়ে দিয়েছে। বিয়ের ব্যাপারটা আর লুকিয়ে রাখতে পারল না। আদ্রিশ তাই বিয়েটা সামনে আনার সিদ্ধান্ত নিল।
“হ্যা, আমি বিয়ে করেছি। তেরো দিন হয়েছে আমার বিয়ের।”

“স্ত্রীকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসেন নি কেন?”

আদ্রিশ রেগে গিয়ে বলল,
“কারণ আমার স্ত্রী প্রদর্শনীয় কোনো বস্তু নয়। তাকে মিডিয়ায় মেলে ধরার মতো কারণ দেখছি না। আমি তেরো দিন আগে বিয়ে করেছি। স্ত্রীকে নিয়ে ভালো আছি। দ্যাটস এনাফ৷ আপনারা এখন যেতে পারেন। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।”

“আমরা কি মেডামের সাথে কথা বলতে পারব না?”

“অবশ্যই না। আপনারা এই মুহুর্তে চলে না গেলে আমি স্টেপ নেব।”

রিপোর্টাররা হতাশ হয়ে ফিরে গেল। তবে বিয়ে করেছে এ বিষয় নিয়ে রমরমা একটা নিউজ বানানো যাবে৷ স্ত্রীকে মিডিয়ার সামনে আনতে চান না এটা নিয়েও আর্টিকেল লেখা যাবে।

আদ্রিশ ঘরে গিয়ে রাগে ফোঁসফোঁস করছে। ওর বিয়ে আর বউ নিয়ে মানুষের এত মাথা ব্যথা কেন?

রুশা আদ্রিশকে ফোঁসফোঁস করতে দেখে জিজ্ঞেস করল,
“আপনি এমন করছেন কেন?”

“আমি বিয়ে করেছি, কাউকে জানাইনি কেন? স্ত্রীকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে যাইনি এ নিয়ে মানুষের এত মাথা ব্যথা কেন? আমি কি সেলিব্রেটি?”

“সেলিব্রেটি না তবে নামকরা একজন ব্যবসায়ী তাই হয়তো আপনার প্রফেশনাল লাইফের সাথে সাথে পার্সোনাল লাইফ নিয়েও ওদের ইন্টারেস্ট। এসব নিয়ে অযথা রাগ করছেন কেন? আপনার ইচ্ছে হলে বলবেন না ইচ্ছে হলে নেই। এতে ওদের কিছু করার থাকবে না।”

আদ্রিশের মোবাইলে একের পর এক শুভেচ্ছা কল আসতে থাকল। সন্ধ্যা বেলায় একজন বিজনেস ড্রিলার কল করে ওয়াইফ সহ ওকে ইনভাইটেশন দিল। আদ্রিশ অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিল রুশাকে নিয়েই যাবে।

..

রুশা এক ঘন্টা ধরে তৈরি হচ্ছে। আদ্রিশের বিরক্ত লাগছে। তাই দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে যায়। মেকাব আর্টিস্ট ওকে দেখে বলল,
“স্যার আরো কিছু সময় লাগবে।”

“আপনাদের দেওয়া সময় শেষ। আর এক ঘন্টা ধরে এই সাজালেন?”
আদ্রিশ রুশাকে পর্যবেক্ষণ করে বলল।

“আপনারা যান। বাকিটা ও নিজেই করে নিবে।”

ওরা চলে যেতেই আদ্রিশ পকেটে হাত দিয়ে ঘুরে ঘুরে রুশাকে দেখছে। রুশা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এক হাত দিয়ে আরেক হাত ঘষছে। আদ্রিশ নেকলেস এনে রুশার সামনে ধরল। তারপর পিঠের ওপর থেকে চুল সরিয়ে গলায় পরিয়ে দিল। কানে দুল পরিয়ে দিল। ওর স্পর্শে রুশা বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে। রুশার চোখের দিকে চেয়ে হাত ধরে ব্রেসলেট পরিয়ে দিল। রুশাকে আয়নার সামনে বসিয়ে
চুলে চিরুনি চালাচ্ছে। কিন্তু চুলের সাথে কি করবে মাথায় আসছে না। রুশা সেটা বুঝতে পেরে মুচকি মুচকি হাসছে। রুশা কালো শাড়ি পরেছে। আলোতে শাড়ি চিকচিক করছে। আদ্রিশ রুশাকে হাসতে দেখে বলল,
“হাসছো কেন?”

রুশা হাসি থামিয়ে বলল,
“ও আপনার দ্বারা হবে না। আমাকে দিন।”

আদ্রিশ অপমানিত বোধ করল। ওকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গেল। রুশা খোঁপা করে কিছু বেবি হেয়ার কার্লি করে ছেড়ে দিল। তাতে ছোট ছোট ফুল গুঁজে দিল। তারপর আদ্রিশকে ডেকে বলল,
“এই যে মিস্টার এদিকে আসুন। এগুলো পেছনে গুঁজে দিন।”

রুশা স্বাভাবিকভাবে কথা বলায় ওর খুব ভালো লাগছে। স্বামী স্ত্রী ফিলিং আসছে।আদ্রিশ গভীর মনোযোগ দিয়ে ফুল গুঁজছে।
ওর কেন জানি এসব কাজ করতে ভালো লাগছে। ছোট বেলায় চিরুনি দিয়ে মায়ের চুল এলোমেলো করে দিতো আর ওর মা খিলখিল করে হাসত। রুশা আড়চোখ আদ্রিশকে দেখছে। উনার মতো একটা মানুষ এত স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে চুলে ফুল গুঁজছে দেখে বেশ অবাক হচ্ছে।

রুশা তৈরি হয়ে আয়নার নিজেকে দেখছে। আদ্রিশ ওকে আয়নার সামনে থেকে সরিয়ে এনে বলল,
“এত দেখতে হবে না। নিজেকে নিজেই নজর দিয়ে বসবে। তোমার উপর নজর দেওয়ার অধিকার একমাত্র আমার।”

আদ্রিশ আঙুল দিয়ে ওর গালে স্লাইড করলে রুশা দ্রুত বলে উঠল,
“আমার মেকাব নষ্ট হয়ে যাবে।”

আদ্রিশ চোখ মুখ শক্ত করে ওর দুহাত চেপে ধরে বলল,
“সব সময় তোমার ইগনোর করা চাই? তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আমাকে বাঁধা দিচ্ছে নয়তো তোমার এই দম্ভ এতদিনে চুর্ণ হয়ে যেত।”

রুশা মাথা নিচু করে রাখল। আদ্রিশ ওকে ছেড়ে দিয়ে বিছানার উপর থেকে মোবাইল নিয়ে চলে গেল। রুশা বিছানায় বসে পড়ল। যাকে ভালোবাসতে পারছে না তার স্পর্শ কি করে মেনে নিবে?

***
পার্টির প্রধান আকর্ষণ রুশা আর আদ্রিশ। সবাই ওদের পেছনে পড়ে আছে। কাউকে না জানিয়ে হুট করে বিয়ে করা, বিয়ে করা বউকে পার্টিতে এনে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এসব কারণে সবার মধ্যমনি রুশা আর আদ্রিশ। আদ্রিশ পুরোটা সময় রুশার হাত ধরে ছিল। মানুষের খারাপ দৃষ্টি থেকে ওকে বাচিঁয়ে রেখেছে। রুশা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না।

আদ্রিশকে সংকোচ নিয়ে বলল,
“আমার পা ব্যথা করছে। একটু বসতে চাই।”

আদ্রিশ ফাঁকা জায়গা দেখে রুশাকে বসতে দিল।
“এখানেই থাকবে। কোথাও যাবে না।”

রুশা মাথা নাড়াল। বসে একটু শান্তি লাগছে। পা টান টান করে বসে রইল। চারপাশের মানুষ জন দেখছে।

কিছুক্ষণ পরে আদ্রিশ ফিরে এসে রুশাকে পেল না। রুশাকে না দেখতে পেয়ে আদ্রিশ প্রচন্ড ক্ষেপে গেল। চোয়াল শক্ত করে বিরবির করে বলল,
“আবারও অবাধ্য হলে? তোমাকে আঘাত করতে চাই না কিন্তু তুমি আমাকে সেদিকেই ধাবিত করছো।”

চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here