#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 22
#Writer : Sriti Nur Avni
?
হসপিটালে মোশারফ চৌধুরীর সিটের সামনে একটা টুলে বসে অন্য দিকে তাকিয়ে কান্না করছে নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী।অভিমানের বোঝা প্রচন্ড ভাবে আঁকরে ধরেছে ওনাকে।মোশারফ চৌধুরী ও কান্না করছেন।নিজের আদরের বোন কে এতোদিনে দেখে চোখের অশ্রু গুলোর বাদ ভেঙে গেছে আজ।মনিকা চৌধুরী স্বামীর সিটের এককোনে বসে আঁচলে মুখ ডেকে কাঁদছেন।নীল,,মাইশা,,আর নীরব অসহায় মুখ করে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।মোশারফ চৌধুরীর ছোট একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি তবুও বাবার রেস্ট এর কথা বলে হসপিটালে ভর্তি করিয়ে রেখেছে মাইশা।,,,কান্নাজরিত কন্ঠে মোশারফ চৌধুরী বলে উঠলেন,,,
—নিলু কাছে আসবি না আমার?তোর মুশু ভাই ডাকছে তোকে,, কিরে আসবি না কাছে?
ভাইয়ের কান্নাজরিত আদরের ডাক কে উপেক্ষা করতে পারলেন না নীলিমা আহম্মেদ। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ঝাঁপিয়ে পরলেন ওনার বুকে।কাঁন্নাগুলো আজ থামতে চাইছে না দুই ভাইবোনের।ওনাদের কান্না দেখে নীল নীরব আর মাইশার চোখেও পানি চলে এসেছে।দীর্ঘ ২৫ বছর পর দেখা হয়েছে ওনাদের।আজ যেন সেই ছোট্ট নীলিমা হয়ে দুষ্টমি করে মায়ের হাতে মার খাবার ভয়ে গুটিশুটি হয়ে ভাইয়ের বুকে ঝাঁপিয়ে আছে সে।আর ভাই পরম মমতায় মাথায় হাত ভুলিয়ে আশ্বাস দিচ্ছে।চারদিকে কান্নার ভারী শব্দ ছাড়া আর কোনো কিছুই শোনা যাচ্ছে না।নীলিমা আহম্মেদ মাথা উঠিয়ে অভিমানী সুরে বলে উঠলেন,,,
—তুই কি করে পারলি রে ভাইয়া?কীভাবে আমকে এতো দূরে সরিয়ে দিলি?তোর বুড়ি তোকে ছাড়া থাকতে পারে না জানিস না?তুই প্রতিদিন চকলেট না নিয়ে আসলে আমি মুখ ফুলিয়ে থাকবো জানিস না?তোর খাবারে ভাগ বসাতে না পারলে আমার পেটের ভাত হজম হয়না,,তোর সাথে মারামারি করে মায়ের হাতে বকা খাওয়াতে না পারলে ভালো লাগেনা আমার তুই কি জানিস না ভাইয়া?কেন করলি এমন বল কেন করলি? (হাঁতে চড় দিতে দিতে)
মোশারফ চৌধুরী বোন কে আবারো বুকে জরিয়ে ধরলেন।এক হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে আরেক হাত দিয়ে মাথায় হাত ভুলাতে ভুলাতে বলতে লাগলেন,,,,
—তোর কি মনে হয় রে বুড়ি?তোর কাছ থেকে দূরে থেকে আমি ভালো আছি?আমার কষ্ট হয়না?তোকে না জ্বালাতে পেরে আমারো যে খুব কষ্ট হয়েছে রে বুড়ি। কিন্তু সেদিন আমি নিরুপায় ছিলাম। ওটা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিলো না রে।
—বললেই হলো কোনো উপায় ছিলো না?তুই ইচ্ছে করে এমন করেছিস ভাইয়া।
—না রে পাগলি,,তোর ভাই কি তার কলিজার বোন আর প্রানের বন্ধুর সাথে এমন টা করতে পারে এমনি এমনি বল?সেদিন যদি আমি অপমান করে নীহাল কে মেরে ঘর থেকে বের না করে দিতাম তাহলে বাবা বাসায় গিয়ে তোকে অন্য একজনের হাতে তুলে দিতো রে।আমি বুঝতে পেরেছিলাম তুই আর নীহাল দুইজন দুজন কে খুব ভালোবাসিস।কিন্তু বাবা সেটা কোনো দিনও মেনে নিতো না কারন তখন নীহাল এতো বড়লোক বা এতো বড় বিজনেসম্যান ছিলো না তখন।বাবা চট্টগ্রামে কাজে গিয়েছিলো,,সেখান থেকে আমায় কল দিয়ে বললো,,,
—নীলিমা কে কালকে দেখতে আসবে,,ছেলেটা আমার বন্ধুর ছেলে,,আর এই ছেলের সাথেই ওর বিয়ে কালকেই পরিয়ে ফেলবো,, তাই আজকে সন্ধ্যার দিকেই আমি বাসায় চলে আসবো।
সেদিন বাবার কথা শুনে আমার ভয় লাগতে লাগলো,,আমার বুড়িটাকে কষ্ট পেতে দেখার ভয়।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না,, বাবা চলে আসলে আর কিছুই করার থাকতো না,,কারন তুই তো জানিস বাবা এক কথার মানুষ। তোর সাথে কথা বলার জন্য তোকে খুঁজতে খুঁজতে যখন ছাদে গিয়ে দেখলাম তুই আর নীহাল জরিয়ে ধরে আছিস তখন আমার কষ্ট টা আরো বাড়তে লাগলো,,,তোদের কে আলাদা হয়ে যেতে দেখতে হবে ভেবে ভয় লাগছিলো।তখনি আমার মনে হলো আমি এখুনি তোদের বাড়ি থেকে বের করে দেই তাহলো তোরা একসাথে থাকবি।তাই তোদের ধমকিয়ে নিচে নামিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বললাম।কিন্তু বুড়ি বোন আমার আমাদের ছেড়ে যেতে নারাজ।তুই আমার পায়ে ধরে কান্না করছিলি আমার ভেতর টা ধুমরে মুচড়ে যাচ্ছিলো। তবুও তোর সুখের জন্য মনটাকে পাষান করে নীহাল কে চাবুক দিয়ে মারতে ছিলাম।প্রানের বন্ধুর সেই আর্তনাদ এখনো আমায় ঠিক মতো ঘুমুতে দেয়না।নীহাল কে এভাবে মারতে দেখে তুই ঠিক থাকতে পারিস নি,,,,নীহালের হাত ধরে বেড়িয়ে গিয়েছিলি বাসা থেকে আর আমাকে বলেছিলি,,,
—i hate u ভাইয়া,,,i hate you,,,আজ থেকে আমার ভাই মরে গেছে।
তোরা বের হবার পর আমি রুমে গিয়ে চিৎকার করে কান্না করছিলাম,,,মা দৌঁড়ে আমাকে জরিয়ে ধরে বললো,,
—এমন টা কেনো করলি? আর এখন কাঁদছিস ই বা কেন?ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসতো এটা আমিও বুঝতে পারছিলাম কিন্তু তাই বলে এভাবে মারলি?
আমি মা কে সব কথা খুলে বলে মা কে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছিলাম আর বলছিলাম,,,মা আমার বুড়ি আমায় আর ভালোবাসে না মা,,বোন আমায় ঘেন্না করে মা,,আমার বুড়ি রে আমি আর দেখবো না মা?আমার বুড়ি আর আমার সাথে মারামারি করবে না?চকলেট না আনলে গাল ফুলিয়ে থাকবে না?আমার খাবারে মারামারি করে ছিনিয়ে নিবে না মা,,,কিন্তু আমার বুড়ি সুখে থাকবে মা।নীহাল বুড়ি কে খুব ভালোবাসে মা,,নীহাল আমার বোন কে অনেক অনেক হ্যাপী রাখবে।
নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরীর ভাইয়ে বুক থেকে মাথা তুলে একমনে তাকিয়ে থেকে কথা গুলো শুনছিলেন,,, সবার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে,,,মোশারফ চৌধুরী নীরবে কাঁদছেন।নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী নীরবতার দেয়াল ভেঙে ভাইকে আবারো জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলেন,,,,
—তুই কেন আমায় তখন বলিস নি ভাইয়া?কেন এতোদিন আমায় এতো দূরে ফেলে রেখেছিস?কেন একটা বার আমার কাছে এসে বললি না বুড়ি চল বাড়ি চল?কেন বললি না আমার ভাই পাল্টায় নি আমার ভাই এখনো আমার আগের মুশু ভাই ই আছে,,কেম বললি না বল?কেন আসলি না আমার কাছে?কেন বললি না তুই আমায় এতো ভালোবাসিস?(চিৎকার করে)
—বুড়ি আমি যদি বলতাম তাহলে কি তুই আমাকে ছেরে যেতে চাইতি?বাবা তোকে ভুল বুঝে তোকে না খুঁজতো বল?আর বাবা তোকে খুঁজে পেলো ঘরে বন্দী করে বিয়ে দিয়ে দিতো তুই তো চিনিস ই বাবা কে।আমি তোদের খুঁজ রাখতাম,,জানতাম তোরা কোথায় থাকিস কিন্তু নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ কাজ করেছে তাই তোর সামনে যেতে পারিনি,,তবে আড়াল থেকে তোকে অনেক বার দেখেছি।
দুইভাইবোন দুজন কে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না করছে,,এতোদিন পর কাছে পেয়েছে তাই আবেগ গুলো যেনো ঝর্নার পানি হয়ে ঝরে পরছে।৪৫ বছরের নীলিমা আহম্মেদ যেনো ভাইয়ের কাছে আবার সেই পিচ্ছি বোন হয়ে গেছে আজ।বেশ কিছুক্ষন কান্না করার পর মনিকা চৌধুরী পিছন থেকে বলে উঠলো,,,,
—-হয়েছে হয়েছে এবার আমাদের দিকেও একটু তাকাও,,,এতো কান্না করলে পরে তো এখানে সমুদ্র হয়ে যাবে ননদিনী,,, তুমি আমায় চিনো তো?(হেসে)
—হুমম ভাবি,,,আমিও ভাইয়ার মতো আড়ালে থেকে তোমাদের সব খোঁজ রেখেছি।মাহিব কই রে?মাইশা এদিকে আয় তো মা (নীলিমা)
মাইশা গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গেলো তার ফুপ্পির কাছে।নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী মাইশার কপালে একটা কিস করে বললো,,
—মাশা্-আল্লাহ ভারী মিষ্টি মেয়ে।আচ্ছা ভাইয়া বাবা মা কেমন আছে রে?অনেক দিন দেখি না।
—ভালোই আছে।তবে ওরাও তোর জন্য খুব কষ্ট পায়।বুড়ি যাবি ওদের কাছে?
নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরীর খুশিতে চোখ দুটো চিকচিক করছে।কতদিন পর যাবে আবার নিজেদের বাড়ি টায়।ছোট থেকে বড় হবার কত স্মৃতি জরিয়ে আছে বাড়িটায়।নীলিমা আহম্মেদ বললো,,,
—হ্যাঁ ভাইয়া যাবো। কতদিন পর সবকিছু ঠিক হলো কিন্তু বাবা কি আমায় মেনে নিবেন?
—অবশ্যই নিবেন,,,ওনিও তোর জন্য কষ্ট পায়।
—আচ্ছা যাবো কিন্তু তোকে আজ আমার সাথে আমাদের বাসায় যেতে হবে।নীহাল কে একটা বড়সড় সারপ্রাইজ দেয়া যাবে কি বলিস?
—আচ্ছা ঠিক আছে।btw,,নীল নীরব ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?আয় মামার কাছে আয়। (হাত পেতে)
নীল আর নীরব এসে মোশারফ চৌধুরী কে জরিয়ে ধরলো।পাশ থেকে নীলিমা আহম্মেদ বলে উঠলো,,,
—আচ্ছা নীল মুশু ভাইয়া তো তেমন কোনো ব্যাথা পায়নি তাহলে তুই কেন তখন ওমন ভাবে বললি,,তাছাড়া এতটুকু ব্যাথায় তো হসপিটালে ভর্তির ও কথা না তাহলে?মানে কি বলতো?
—না মানে মা ইয়ে,,,ওই ইয়ে (নীল মাথা চুলকে)
—কি ইয়ে ইয়ে করছিস হ্যাঁ?
—মামুনি এইসব তোমায় এই ছোট বিচ্ছু ছেলের প্লান।ওয় ই মামাকে ছোট একটা এক্সিডেন্ট করিয়েছে আর মাইশা কে দিয়ে মামা কে ভর্তি করিয়ে রেখেছে আর তোমাকে ওইসব বলে নিয়ে এসেছে।আমি কিন্তু নীরপেক্ষ মানুষ আগেই বলে দিলাম (নীরব)
—তবে রে তুই কিছু করিস নি ভাইয়া?তুই এই প্লান এ যুক্ত ছিলিনা?
—হু ই একটু আধটু ?(নীরব)
—ওহ পেটে পেটে তাহলে এতো শয়তানি চলে?মামুনি কে বোকা বানানো? দাঁড়া আজ তোর একদিন কি আমার একদিন (নীলিমা)
নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী নীলের কাছে যেতে লাগলেন আর নীল বলতে লাগলো,,,
—মামুনি আমার কোনো দোষ নেই মামুনি আমি শুধু তোমাদের এক করতে চেয়েছিলাম,,মামার ভিতর যে এতো কথা সেটাও জানতাম না।
নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী ছেলের কাছে গিয়ে কপালে চুমু একে দিয়ে বললেন,,,,
—আজকে তোর জন্য বাবা,,,তোর জন্য আমি আমার পরিবার টা কে আমার ফিরে পেলাম,,ওহু শুধু তোর বললে ভুল হবে তোদের জন্য,,আয় সবাই কাছে আয়।
মাইশা নীল নীরব সবাই একসাথে মামা আর মামুনি কে জরিয়ে ধরলেন,,মনিকা চৌধুরী পেছন থেকে হেসেস হেসে এতো দিন পরের সুন্দর এই মুহূর্ত টাকে নিজের মোবাইলে বন্দী করতে ব্যাস্ত।
?
সন্ধ্যায় নীহাল আহম্মেদ অভনী কে সাথে করে নিয়ে বাসায় ফিরলেন,,,,পুরো বাসা অন্ধকার। বাসা অন্ধকার দেখে নীহাল আহম্মেদ একটু চিন্তিত হয়ে গেলেন আর অভনী অবাক হলো।নীহাল আহম্মেদ কলিংবেল বাজানোর পর অন্ধকারে কেউ একজন দরজা খুলে দিলো কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না ওরা।ভিতরে গিয়ে সবাই কে ডাকতে লাগলো কিন্তু কেউ কোনো সারা দিচ্ছে না,,,নীহাল আহম্মেদ মোবাইলের লাইট জ্বালালেন কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছেন না।অভনী কে ড্রইং রুমে বসতে বলে নিজেদের রুমের দিকে যেতে লাগলেন উনি,,,তখনি কেউ একজন ডেকে উঠলো,,,
—নীহাল (মোশারফ)
অন্ধকারে মোশারফ চৌধুরীর কন্ঠ শুনে থমকে দাঁড়ালো নীহাল আহম্মেদ। মোবাইলের লাইট টা পিছন দিকে ঘুরালো কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না।তাই মনে ভুল ভেবে আবারো সামনের দিকে হাঁটা ধরলো,,তখনি ঘরের লাইট জ্বলে উঠে সবার একসাথে চিল্লানোর শব্দ তে পিছন ঘুরে তাকালেন ওনি।নীহাল আহম্মেদের চোখ দুটো স্থির হয়ে গেলো ওনার থেকে এক হাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা মোশারফ চৌধুরীর দিকে।মাথায় ছোট একটা ব্যান্ডেজ করা।নীহাল আহম্মেদের চোখের পানিগুলো টলমল করছে,,,মনে হচ্ছে এই বুঝি পানি গুলো অবাধ্য হয়ে পরে যাবে।মোশারফ চৌধুরী নীহাল আহম্মেদ কে জরিয়ে ধরলো তার সাথে নীহাল আহম্মেদ ও জরিয়ে ধরলো মোশারফ চৌধুরী কে।ভালোবাসার বন্ধু টাকে এতো টা কাছে পেয়ে সব কষ্ট গুলো যেনো নিমিষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেলো ওনার।সব অভিমান ভুলে গেছেন ওনি এই মুহূর্তে। সত্যি কারের বন্ধুত্ব বুঝি এমনি হয়?
ড্রইং রুমে সবাই একসাথে বসে পরলো। শাহেরা বেগম সব কিছু জানতে পারলেও অভনীর মাথায় কিছুই ডুকছে না।তাই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সবার দিকে,,,,।নীলিমা আহম্মেদ নীহাল আহম্মেদ কে সব কিছু খুলে বলার পর ওনি মোশারফ চৌধুরী কো জরিয়ে ধরে বললেন,,,
—তোকে আমি ভুল বুঝলাম রে,,আমি তো বন্ধু হবার যোগ্যই না।
—চুপ কর শালা।আমার বোন কে ভালোবাসিস একবার ও তো আমার কাছে বললি না।ভাগ্যিস বুঝতে পেরেছিলাম।
—ভাইয়া আমি কিন্তু আর তোকে ছারছি না।আহা তুই আমার বেয়াই হবি আর প্রতিদিন আবার আমার জন্য চকলেট আনবি,,,যদি রাজি না হস তাহলে আমাদের জেনারেশনে তোর করা কাজ টা বাচ্চাদের জেনারেশনে আমি করবো (নীলিমা)
মাইশা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো,,মোশারফ চৌধুরী হাসলেন।একটুপর আবারো ওরা ছোটবেলার নানান কথা বলে খুনশুটি তে মেতে উঠলেন,,,,
নীল,,নীরব,,অভনী আর মাইশা অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে ওনাদের দিকে।ভালোবাসার মানুষ গুলোকে একসাথে পেয়ে যেনো সবাই আবারো যুবক বয়সের বাচ্চামোতে ফিরে গিয়েছেন।?❤
চলবে,,,,
(একটু ছোট হবার জন্য সরি গায়েস)