#In_The_Depths_Of_Love
#Mizuki_Aura
#Part_03
মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেল….. একটু নড়ব যে সেই জায়গাটুকু ও নেই। আবির আমাকে এভাবেই জড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। কি কপাল আমার , এতো ভালোবাসা পেয়েও আমি তা চাইছি না। অথচ অন্য কেউ হলে হয়তো সব ভুলে আবিরকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো।
কিন্তু আমিই হয়তো পারবো না….. জানিনা… ঠিক ১ টো মাস আগে তো জিবনটা অন্যরকমই ছিলো। রাই চোখ বন্ধ করে চলে গেলো নিজের সেই দিনগুলোয় , একটু অনুসন্ধান করতে ,,,,, ঠিক কেনো তার এসব সইতে হচ্ছে…………
_______________________?
“এই রাই….. রাই….. কোথায় তুই কতক্ষন লাগবে আর?”
“উফফ চেঁচিয়ে তো কান ঝালাপালা করে দিচ্ছ একদম মা….. তুমি এমন কেনো?” বলতে বলতে বেরিয়ে এলো রাই……
“মহারানী আমার…. আপনার জন্য বাস বসে থাকবে না….. চলেন”
বলে মিসেস সাবিনা সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেলেন…… রাই ও নিজের ব্যাগটা নিয়ে নামছে।
নিচে নেমে তো বাবার ও ঝাড়া ঝাড়ি শুরু “বাসের মধ্যে তোর মেকআপ এর দিকে কে তাকাবে শুনি? এতো সময় লাগে নিচে নামতে?”
রাই মুখ ফুলিয়ে রইলো। ছোটো ভাই তামিম বললো “আপু তুই একটু বেশিই করিস…..”
“আমি মোটেও সাজগোজ করি নি”
“তো দেরি হয় কেনো তোর?” মা চেচিয়ে উঠলো।
এখন এনাদের কিভাবে বলবে রাই যে ও রেডি হয়ে এসে দেখে ওর জামাই মেহেদীর দাগ। গত শুক্রবারে মেহেদী লাগাতে গিয়ে লেগেছিল। মা জানেনা। তাই আবারো জমা বদলাতে হলো। “কিছুনা , এখন আমাকে না বকে চলো তো ….”
বলে রাই হাঁটা শুরু করলো। ওনারা আর কিছু বললেন না। ভালো। মেইন রোডে এসে কিছুক্ষন দাড়ানোর পরই গাড়ি পেলাম একটা।
কতদিন পর গ্রামে যাচ্ছি নিজেও ভুলে গেছি। ৩ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িতে থাকবো আমরা।
তবে এইবার বাড়িতে যাওয়ার কারণ শুধু ছুটি কাটানো নয়। বরং আমার খালাতো বোনের বিয়ে তাই যাওয়া হচ্ছে। বাসের মধ্যে ছোটো ভাইয়ের সাথে খুনসুটি করতে করতে অবশেষে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে এসে পৌঁছলাম। অর্থাৎ বড়ো খালামনির বাড়িতে।
বাস থেকে নেমে আশপাশটা দেখতে লাগলাম। সেই অপরূপ গ্রামবাংলা।
তামিম গিয়ে পাশের ছোটো বরই গাছ থেকে পাতা ছিড়তে লাগলো।
মা বললো “কতদিন পরে আসলাম”
বাবা জবাব দিলো “আমিই তো চিনতে পারছি না , প্রায় ৪ বছর পরে এলাম এই গ্রামে”
মা বললো “হ্যা…. চেনাই যাচ্ছে না। এই রাই… তামিম তোরা আমাদের সাথেই থাকিস … পরে দেখা গেলো হারিয়েই গেলি….”
মায়ের কথায় বাবা হো হো করে হেঁসে উঠল। আমি আর তামিম বাকা চোখে তাকালাম “নাইস জোক”
আমি দুহাত প্রসারিত করে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করার চেষ্টায় ব্যস্ত ….একটা লম্বা শ্বাস টেনে নিলাম এই ঘাস, পাতার গন্ধ পেতে…. কিন্তু ২ সেকেন্ড পরই নাকে একটা বাজে গন্ধ এলো। চোখ মুখ খিচে তাকালাম। সামনে তাকিয়ে দেখি গরুর গোবর পড়ে আছে….. মোটামুটি আমার এহেন কাণ্ডে বাবা , মা আর তামিম গগণবিদারি হাসি হেসে উঠলো…..।
মেজাজটা কোন গাছের চূড়োয় যে উপনীত হলো কি আর বলবো…..
“আরো নে গন্ধ” বলে তামিম ভেংচি কাটে…..
আমিও তাই করি। বাবা মা আমাদের থামিয়ে একটা ভ্যান ঠিক করলো। এখান থেকে ১০ মিনিটের পথ ভ্যানে
যাবো…..
বাড়ির বড়ো স্টিলের দরজার সামনে এসে পৌঁছলাম। ভ্যান থেকে নেমেই তামিম দৌড়ে ভেতরে চলে গেল আর খালামণিকে ডাকতে লাগলো।
খালামণি আর আবার খালাতো বন সুরাইয়া বেরিয়ে এলো । আমি গিয়ে সুরাইয়া কে জড়িয়ে ধরলাম। “কেমন আছিস সুরাইয়া?”
“ভালো ,,,তুই কেমন আছিস…?”
“আপু কেমন আছো” বলে মা খালামনির দিকে এগিয়ে গেলো।
খালামণি আমাকে জড়িয়ে ধরলো “নে সবাই বাড়ির ভেতরে চল … বাহিরে কতক্ষন দাড়াবি?”
“অনেক ক্ষুধা লাগছে খালামণি” বলে তামিম পেটে হাত ডলতে লাগলো।
“চল দুষ্ট” বলে খালামণি ওর কান ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।
বাড়ির ভেতরে গিয়ে সব আত্মীয়র সাথে কুশল বিনিময় করে নিলাম।
নানুর সাথে গিয়ে আড্ডা জমিয়ে দিলাম আমি। আমার নানুর সাথে আমার কলিজা কলিজা সম্পর্ক। কতদিন পর সবাইকে দেখলাম ।
সন্ধ্যায় সব মহিলা দল খাটে বসে গল্প করছে। গল্পের মূল বিষয় সুরাইয়ার বিয়ে , পাত্র খুজছে।
বিভিন্ন পাত্রের ছবি দেখছে সবাই আর এক এক রকমের মন্তব্য ছড়াচ্ছে।
“এই ছেলের চোখ ভাল না” বললো এক খালা।
সুরাইয়া বলল “এইজন্য তোমার মেয়ের কপালে এমন শাশুড়ি জুটেছে”
খালা বলে উঠলো ” বাপ তোর কপালে তো ভালো বর জুটুক”
আমার মা বললো “আচ্ছা এই ছেলেটা কেমন আপু?”
খালামণি দেখে বললো “আরে এই ছেলেটাকে কিন্তু আমার খুবই পছন্দ আছে….”
তাকিয়ে দেখলাম সুরাইয়া চুপ করে আছে। ওকে ধাক্কা দিয়ে বললাম “কীরে লজ্জা পাচ্ছিস নাকি”?
উপস্থিত সবাই হেসে দিল।
খালামণি বললেন “এই ছেলের পরিবার আসবে আগামী পরশু দিন। ছেলের বাপের ব্যবসা সামলায় আর ভালো শিক্ষিত…. দেখতেও খারাপ না। পরিবার বেশি বড়ো না। ঢাকায় থাকে । আর এইতো ওদের গ্রামের বাড়িতেও ভালো একটা বাড়ি আছে। সব মিলিয়ে তো আমার ভালই লাগলো”
মা একটু মশকরা করে বললো “আগে পাত্রীকে তো জিজ্ঞেস কর কেমন লাগলো”
সবাই সুরাইয়ার দিকে তাকালো । সুরাইয়া লজ্জায় আর কিছুই বললো না।
সেরাতের মতো হাসাহাসি করে ভাই বোনদের সাথেই কাটিয়ে দিলাম।
দুদিন পরে বিকেলের দিকে হাতে ঘড়িটা পরছি আর সিড়ি দিয়ে নেমে উঠানে এসেছি মাত্রই ,,,,,, দেখি যতসব আয়োজন চলছে। আজ পাত্রপক্ষ আসার কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু কি যেনো একটা সমস্যার জন্য তাদের নাকি আসতে দেরি হবে। তাই ভাবলাম ততক্ষণ একটু নদীর পাড় দিয়ে ঘুরে আসি…… সুরাইয়া তো শাড়ি পরে সং সেজে বসে আছে।
আমি আবার পুতুল সেজে বসতে পারবো না।
উঠানে আসতে পারলাম না মা শুরু হয়ে গেল “কই যাচ্ছিস তুই? এখনি পাত্রপক্ষ আসবে যা সুরাইয়ার কাছে গিয়ে বস। ”
“হ্যাঁ হ্যা যাচ্ছি” বলে পেছনে দুপা গিয়ে যেই দেখলাম মা অন্য কাজে হাত দিচ্ছে , এক দৌড়।
বাড়ির পেছনের ঝোপঝাড় পেরিয়ে কাঁচা রাস্তায় এসে পড়লাম। সাথে আমার চেলাপেলা যত বোনরা ছিলো সেগুলোকেও নিয়ে নিলাম। সবাই একসাথে হৈ চৈ করতে করতে নদীর পাড় এ গেলাম। প্রায় ১ ঘণ্টার মতো ঐখানেই ঘুরলাম ফিরলাম আর ছবি তুললাম। তখনি এক বোন বলে উঠলো “এই রাই….. বাড়ি যাবি না? পাত্ররা মনেহয় এসে গেছে।”
সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ঘড়িটা দেখি …
“১ ঘণ্টা পার! চল চল বাড়ি চল”
বলে সব উঠে দাড়ালাম। নদীর থেকে পা হাত ধুয়ে নিলাম। এতক্ষনে মাটি ধুলোবালি ছিটেছে……
হাটতে হাটতে বাড়ির ঠিক সামনে আসতেই কিছু হৈচৈ এর মতন অনেক শব্দ শুনতে পেলাম। যেনো অনেক মানুষ একসাথে কথা বলছে।
গিয়ে দেখি আমাদের কাকী চাচিরা কথা বলছে। বাড়িতে ঢুকতে প্রথমে একটা টিনের ঘর পড়ে , এটায় এক চাচীরা থাকেন। আর তারপরেই আমার খালামনির দোতলা বাড়ি।
“ওহ এনারা কথা বলছে” ভেবে স্বস্তি পেলাম। ছেলেরা আসেনি তবে….
যাক বাকি বোনেরা যে যার মতো চলে গেলো… আমি নিশ্চিন্ত মনে হেলতে দুলতে আমাদের বাড়ির কাছে এসে গেলাম। আশেপাশে কিছুই খেয়াল করি নি। আমার আবার অভভ্যাস আছে , মাঝে মধ্যে ছিটি বাজাই…..
তো আমি বাঁশি বাজাতে বাজাতে হেলতে দুলতে সোজা সুরাইয়া যে রুমে ছিলো সেই রুমে ঢুকে গেলাম । হাতে ফোন ছিলো , আমি ফেসবুক দেখছিলাম আর হাঁটছিলাম।
অতঃপর রুমে ঢুকে ছিটি বাজাতে বাজাতে যেই উপরে তাকাই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে……
কতগুলো মানুষ আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। পাশে তাকিয়ে দেখি মা, আর খালামণিও আছে।
ভেবাচেকা খেয়ে মুখ থেকে জোরেই বাঁশির আওয়াজ বেরিয়ে এলো।
সাথে সাথে নিজেকে সামলে মুখ বন্ধ করে নিলাম। মাথায় এলো লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার আগে এখন থেকে কেটে পড়তে হবে। সেভাবেই পেছনে ঘুরে দিলাম দৌড়… ৪ কদম যেতেই কেউ ডেকে উঠলো ……
“এই দাড়াও দাড়াও……” থমকে গেলাম। চেহারাটা যে কি বলবো আমি কি যে বানিয়ে ফেলেছি। শালা পালাতেও দিলো না। মুখে কৃত্রিম হাসি টেনে আস্তে আস্তে ঘুরে দাড়ালাম।
খাটের উপরে বসে আছে একটা লোক। পোশাকে খুব সম্ভ্রান্ত ধরনেরই মনে হলো। (বড়লোক বড়োলোক)
তিনি বললেন “এখানে আসো….”
আমি কোনমতে হেসে এগিয়ে গিয়ে তাদের সালাম দেই। সবাই উত্তর নিলো। লোকটি বলল “তুমি?”
খালামণি বলে ওঠে “হেহে …. ও পাত্রীর খালাতো বোন….”
লোকটি ও ও বলে মাথা নাড়লো…. পাত্রী! আমি অবাক….
আমি খাটের যে প্রান্তে দাড়ানো ঠিক সেখানেই একজন বসে । মাথায় ঘোমটা। আমি ডানে ঘুরে ঘোমটার সামনে মুখ এনে তাকিয়ে দেখি সুরাইয়া “ওপস….” বলে সোজা হয়ে দাড়ালাম । মানে পাত্রপক্ষ এনারাই…
“হ্যাঁ…. আমি ওর বোন” বললাম।
সাথে সাথে লোকটির পাশে চেয়ারে বসা এক ছেলে হেসে উঠে দাড়িয়ে পড়লো “আরে…. বেয়াইন সাহেবা….” বলে আমার দিকে দুবাহু প্রসারিত করে এগিয়ে আসতে গেলো।
ঘটনা দেখে তো আমি আকাশ থেকে পড়লাম তার দিকে হাত তাক করে দুকোদম পিছিয়ে গেলাম “আরে আরে”
“বেঁয়াইন কি ভয় পায় নাকি?” বললো ছেলেটি।
“এমন ষাঁড়ের মতো চেঁচালে সবাই ভোট পাবে” আস্তে করে বললাম।
বাকিরা সবাই অবাক। সেই লোকটি বলে উঠলো “নিশান ……”
ছেলেটা তার দিকে তাকিয়ে আবার আমার দিকে ফিরল। আর দুষ্টু হাসি হেসে পিছিয়ে গিয়ে নিজের জায়গাতেই বসে পড়লো।
মা একটু হাসলো ” ভাই … আপনারা নেন না … কেউ কিছু খাচ্ছেন ই না।”
তাকিয়ে লক্ষ্য করলাম খাটের উপরে ৪ জন বসা…. দুটো মাঝ বয়সি লোক আর ৩ য় জন সয়ং পাত্র…. (দেখতে কিন্তু বেশ হ্যান্ডসাম) আর তারপর আমার বোন।
আর ঘরে মা খালা, আর আরো অনেকে আছেন । খালু নেই। উনি পুলিশের চাকরি করেন। তাই ছুটি করতে পারেন নি। তাই আমরাই পাত্র দেখবো।
খাটের সেই লোকটি বলল “তোমার নাম কি ?”
আমি স্বাভাবিক স্বরে বলি “রাই…. ”
“ভালো ভালো…. আমি হলাম রেজোয়ান হোসেন…. আর এই হলো পাত্র (ছেলের দিকে হাত তুলে) আর ইনি পাত্রের বাবা (২ য় লোকটাকে দেখিয়ে) ”
আমি সৌজন্য হাসি হাসলাম।
উনি আবারো বলে উঠলেন “আমি পাত্রের আঙ্কেল হই…. আর এই হলো আমার ছোটো ছেলে নিশান…..আর বড়ো ছেলে আবির….”
আমি তার কথা মতই সবার দিকে তাকিয়ে নিশান এর দিকে তাকালাম। ছেলেটা কেমন শয়তানি হাসি দিয়ে রেখেছে।
আর যখন উনি বললেন আবির…. আমি পাশে থাকা ছেলেটার দিকে তাকাই।
আর একপলক এর জন্য আটকে যাই….. বেশ লম্বা দেখতে… সুঠাম দেহ…. জিম করে দেখলেই বলে দেওয়া যায়। একটা লাল টিশার্ট আর কালো জ্যাকেট পরা…. চুলগুলো মারাত্মক সুন্দর ভাবে ডান চোখের সামনে এসে পড়েছে। চেহারায় একটা অন্যই রকম আভা ফুটে আছে।
সে ও আমার দিকে তাকালো। আমি সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নেই।
খালামণি আর পাত্রের বাবা বিভিন্ন কথা বার্তা বলেছেন। আর রেজোয়ান আঙ্কেল ফাঁকে ফাঁকে আমাকে দু একটা প্রশ্ন করছে। তার উত্তর দিচ্ছি।
পাত্রের বাবা বলে উঠলেন “ভাবি… আসতে তো দেরি হতো না…. তবে বন্ধুকে ফেলে আসতে চাই নি…. (পাশে রেজোয়ান হোসেনের কাঁধে হাত রেখে) রেজোয়ান আর আবির গতরাতেই দেশে ফিরে আসার কথা ছিল। আসতে পারেনি। আজ আসলো …. ওদের নিয়েই আসতে চেয়েছিলাম তাই আজ দেরি হয়ে গেলো”
আমি আবার একটু বেশিই কৌতূহলী “আঙ্কেল আপনারা দেশের বাহিরে থাকেন?”
উনি বললেন “না …. ব্যবসার কাজে আমরা দুজনে একটু বাহিরে গেছিলাম। আমার ছেলেই মূলত সামলায় সব ব্যবসার কাজ…..”
“ওহ … কোন দেশ?” আবারো প্রশ্ন করলাম ।
এদিকে মা চোখ গরম করে তাকালো …..
আঙ্কেল হেসে উঠলেন “এইতো প্যারিসে ছিলাম। ”
“ওহ…. আমার খুবই প্রিয় একটা জায়গা প্যারিস” খুশি হয়ে গেলাম আমি
“তাই নাকি…..? ”
আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললাম।
এবার তো আঙ্কেল একে একে প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন আমিও উত্তর দিচ্ছি। কিছুক্ষন পর পাত্রের বাবা কাশি দিয়ে উঠলেন “তো….. ভাবি… পাত্রী আর পাত্র আলাদা গিয়ে কথা বলুক নাকি!”
খালামণি বললেন “হ্যাঁ হ্যা ভাই…. সুরাইয়া …. যাও…. মিহিরকে নিয়ে যাও….”
সুরাইয়া মাথা নেড়ে খাট ছেড়ে উঠে দাড়ালো।
তাকিয়ে দেখি পাত্র খুব হাসি মুখে আছে। আমি সুরাইয়াকে একটু টেনে কানে কানে বললাম “আমিও আসি?”
ও একটা থাপ্পড় দিয়ে চলে গেলো ভেতরের ঘরে…… আমি হাসছি।
কিছুক্ষন পর তাকিয়ে দেখি নিশান আমার দিকেই তাকিয়ে আছে…..
আবিরের দিকে তাকালাম।
দেখি উনি একটা ভাব নিয়ে নিজের রণ টিপছে।
ভাই একটা জায়গায় আসছিস… ফোন না দেখলে কি হয় না নাকি? ম্যানার নাই”””””” মনে মনে ভাবলাম…
তবে যাই বলো,,,, ছেলেটা ক্রাশ খাওয়ার মতই…… ভেবে মনে মনে হেসে দিলাম
__________________চলবে?
বি: দ্র: বেশি কিছু জিজ্ঞেস কইরেন না। পড়তে থাকেন। ?
আর এক আপু জিজ্ঞেস করেছিলেন “রাই” নামটা কি হিন্দুদের দেবী রাধার” নাম কিনা ….. তো আসলে সত্যিই বলতে রাই বলতে আমি এতদিন জানতাম এক ধরনের ফসল বোঝায় । এটা জানতাম না যে এটা তাদের দেবীর নাম। আমি রেন্ডমলী এই নামটা নিয়েছিলাম। তার জন্য সত্যিই আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পরিবর্তন করা তো সম্ভব নয় এখন আর। তাই অনুরোধ করবো সবাই এই নামটা কে বেশি গভীরভাবে নিয়েন না ?সাধারণ ফসল এর নাম হিসেবেই নাহোয় ভাবেন।