তাজ ইলোর প্রণয়ালাপন পর্ব:৩১

0
341

#তাজ-ইলোর প্রণয়ালাপন
লেখনীতে—ইলোরা জাহান ঊর্মি
পর্ব:৩১

বনলতা,
গোলাপের স্নিগ্ধ রূপ দেখেছ কখনও? সচরাচর যে ফুটপাতে ফুল বিক্রেতাদের কাছে গোলাপ দেখো, সেগুলো নয়। ওসব তো শুষ্ক গোলাপ। আমি বলছি গাছে সদ্য ফোটা গোলাপের কথা। সদ্য ফোটা গোলাপে বৃষ্টি কণা মেশানো গোলাপ। বৃষ্টিস্নাত গোলাপে একরাশ স্নিগ্ধতা মেশানো থাকে। বহুদিন আমি বৃষ্টিস্নাত গোলাপের স্নিগ্ধতা দেখিনি, কিন্তু প্রেয়সীর ঘুমন্ত মুখের স্নিগ্ধতা দেখেছি। তার ঘুমন্ত মুখটা যেন বৃষ্টিস্নাত গোলাপের স্নিগ্ধতা মাখানো। ওই স্নিগ্ধতাভরা মুখটা এতটা নেশাময় যে, তাতে আমি বারংবার অসক্ত হয়ে পড়ি। আগামী তিন-চার দিন ওই মুখটা দেখতে পারব না, ভেবেই বুকের বাঁ পাশটা কেমন উতলা হয়ে আছে। তবে মুখোমুখি দেখা না হলেও, সময় করে আমি ঠিকই তার মুখ দর্শন করব। তাকে বলে রাখা হলো, ফোন করলে যেন সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হয়। কথার হেরফের হলে, পানিশমেন্ট উইল বি মেটেড আউট।

ঘুম থেকে উঠেই শিয়রের পাশে চিরকুট পেয়ে দ্রুত পড়ে নিলাম। প্রথম দিকে বেশ মুগ্ধতা কাজ করেছে। কিন্তু শেষের লাইনটা পড়ে পুরো চিরকুটের মুগ্ধতাই কেটে গেল। প্রথম থেকে প্রত্যেকটা লাইন এত সুন্দর করে লিখে, শেষের লাইনে এসে এমন গন্ডগোল বাঁধানো একমাত্র তাজ ভাইয়ের দ্বারাই সম্ভব। এত সুন্দর চিরকুটের মধ্যেও হুমকি, ভাবা যায়! ‌মনে মনে ওনাকে একগাদা বকা দিয়ে বিছানা থেকে নামতেই আমার টনক নড়ল। এত ভোরে উনি চলে গেছেন না কি? কিন্তু এই ভোরবেলা যাবেন কেন? না কি চিরকুটটা আগে থেকেই রেখে গেলেন? আমি দ্রুত পায়ে হেঁটে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। এগিয়ে গিয়ে তাজ ভাইয়ের রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখলাম দরজা বাইরে থেকে লক করা। লক খোলার জন্য হাত বাড়াতেই পেছন থেকে বাবা বলে উঠল,“কিছুক্ষণ আগে চলে গেছে।”

আমি পেছন ফিরে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলে উঠলাম,“এত ভোরে!”

বাবা মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,“গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে। নামাজ পড়ে ওখান থেকেই চলে যাবে। দ্রুত না কি পৌঁছাতে হবে। তুমি এখানে কেন?”

আমি মেকি হেসে বললাম,“আজ তাজ ভাই নামাজের জন্য ডাকলেন না, আমি ভেবেছি উনি এখনও ওঠেননি। তাই ডাকতে এসেছিলাম। তুমি কি মসজিদে যাচ্ছ?”

“হ্যাঁ। তুমিও নামাজ পড়ে নাও আম্মা।”

“আচ্ছা।”

বাবা মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতেই আমি রুমে ফিরে এলাম। এতদিনে এমন এক অভ্যাস হয়ে গেছে যে, এখন বারবার শুধু মনে হচ্ছে, এই বুঝি তাজ ভাই এসে নামাজের জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলবেন। উঠতে না চাইলে মুখে পানির ঝাপটা দিবেন। না চাইতেও বারবার ওনার নামটাই মথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। উনি ডাকতে দেরি করাতেই হয়তো আজ এমনিতেই ঘুম ভেঙে গেছে। আপাতত সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নামাজের প্রস্তুতি নিলাম।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাবার সাথে ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হতেই শ্রেয়ান ভাইয়া এসে উপস্থিত হলেন। এসেই বললেন উনি আমাকে ভার্সিটিতে নিয়ে যেতে এসেছেন। শুনেই আমি নাকচ করে বললাম,“না ভাইয়া, আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। আমি বাবার সাথে যাচ্ছি তো।”

“কী যে বলো! আমি থাকতে আঙ্কেল কেন কষ্ট করবেন? তাজ নেই বলে আমি আরও তাড়াহুড়ো করে চলে এলাম।”

আমি পুনরায় বাঁধা দিতে গিয়েও পারলাম না। তার আগেই বাবা বলে বসল,“আরে না করছিস কেন? ওর সাথেই যা। তুই তাজের সাথে থাকলে আমি যতটা নিশ্চিন্তে থাকি, শ্রেয়ানের সাথে থাকলেও ততটাই নিশ্চিন্তে থাকব।”

কী আর করা? শ্রেয়ান ভাইয়া আর বাবার কথার চাপে পড়ে শেষমেষ শ্রেয়ান ভাইয়ার সাথেই ভার্সিটি রওয়ানা দিলাম। তাজ ভাই এসে এটা শুনলে, না জানি কী হয়!

ব্রেক টাইমে বান্ধবীদের সাথে গিয়ে ক্যান্টিনে বসলাম। আড্ডার মাঝে আনহা বলে উঠল,“তো ইলো, তোর রোমিওর কী খবর?”

আনহা তাজ ভাইকে ‘রোমিও’ বলে ডাকে। তবে সেটা পেছনে পেছনেই। সামনে ভাইয়া ভাইয়া করে মরে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবেই বললাম,“সবসময় যেমন থাকে, তেমনই।”

মোহনা ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্ন করল,“মিশন কত লেভেলে?”

আমি ঠোঁট জোড়া জোরপূর্বক প্রসারিত করে বললাম,“ওয়ান লেভেলেই আটকে আছে।”

ফারহা কপাল চাপড়ে বলল,“তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। দিন, মাস, বছর চলে গেলেও তুই ওই ওয়ান লেভেলেই আটকে থাকবি, গাধি!”

মোহনা গালে হাত দিয়ে আফসোসের সুরে বলল,“ইশ্! বাবা-মা কেন যে আমার বিয়েটা এত তাড়াতাড়ি ঠিক করল? আর একটু সুযোগ পেলে আমি তাজ ভাইয়াকে প্রপোজ করতে পারতাম। তার থেকে বড়ো আফসোস হচ্ছে, ওনার চোখ একজনের ওপরেই আটকে আছে।”

আনহা মোহনার মাথায় হালকা চাটি মেরে বলল,“তোর ফালতু বকবক রেখে হবু জামাইয়ের সাথে প্রেম কর, যাহ্। এই ইলো, বিস্তারিত বল তো।”

আমি মুখ বাঁকিয়ে বললাম,“ধুর! আর বিস্তারিত! ওই যে বললাম, ওয়ান লেভেলেই আটকে আছে। ওনার লুকোচুরি আর আমার কনফিউশন। জীবনটা কনফিউশনময় হয়ে গেছে।”

আনহা সিঙাড়ায় কামড় দিয়ে বলল,“তোর প্রতি যে ভাইয়ার মনে একটা সফট কর্নার আছে। এটায় তো কোনো সন্দেহ নেই?”

“তা তো অনেকদিন থেকেই নেই। ওই ওনার লুকোচুরির ব্যাপারেই সব কনফিউশন। চেষ্টা করলেও বরাবরই রেজাল্ট আসে জিরো।”

ফারহা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠল,“এই রহস্যের গোডাউনকে বাদ দিয়ে, তার ওই হ্যান্ডসাম ফ্রেন্ডের সাথে প্রেম কর তো ইলো।”

ঐশী প্রায় আর্তনাদ করে উঠল,“এই না, না, না। একদম না। ওই হ্যান্ডসাম আমার। আগেই বলছি ওর দিকে কেউ নজর দিবি না, খবরদার।”

আমি বললাম,“তোর হ্যান্ডসাম শ্রেয়ান ভাইয়ার সাথে প্রেমের কথা মাথায় আনলে, আমার জায়গা হবে ম্যানহোলের অতলে। তা-ও আবার জীবিত না, মৃত।”

ঐশি আগ্রহী হয়ে প্রশ্ন করল,“কেন কেন?”

আমি গাল ফুলিয়ে বললাম,“মেপে মেপে বিশ হাত দূরে থাকতে বলেছে ওনার থেকে। নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকেও জেলাস করে শয়তানটা।”

আনহা হাত তালি দিয়ে বলল,“আরে বাহ্! প্রেম একদম জমে উঠেছে। এবার দেখবি তোর মিশনের লেভেল আপনা-আপনি এক লাফে ওয়ান থেকে টেনে উঠে যাবে।”

আমি ভ্রুকুটি করে প্রশ্ন করলাম,“কীভাবে?”

“উনি যেটা নিষেধ করেছে, সেটাই তুই বেশি বেশি করবি। মানে ওনার কানের কাছে সারাক্ষণ শ্রেয়ান ভাইয়া, শ্রেয়ান ভাইয়া জপতে থাকবি। বাকি কাজ উনি নিজ দায়িত্বে করে ফেলবে। দেখবি রাগে-দুঃখে গড়গড় করে সব সত্যি কথা বলে দিবে।”

আনহার কতা শুনে আমি ঠোঁট উলটে বললাম,“আমার ভয় লাগে বইন।”

এবার মোহনা বিরক্তি নিয়ে বলল,“কেন? তোকে কি খেয়ে ফেলবে? ভয় পাওয়ার কি আছে?”

আমি চুপচাপ সিঙাড়ায় কামড় বসালাম। কিসের ভয় তা তো কেবল আমিই জানি। শ্রেয়ান ভাইয়ার নাম নিলেই বিপজ্জনক লোকটা আমার মাথায় গান চেপে ধরবে। তাজ ভাইয়ের দাদা বাড়ি যাওয়ার আগেই আমি আমার বান্ধবীদের সাথে ওনার ব্যাপারে পাকাপোক্ত এক আলোচনায় বসেছিলাম। কারণ আমি নিশ্চিত তাজ ভাই আমাকে খুব পছন্দ করেন। কিন্তু উনি ওনার মনের কোনো কথা প্রকাশ করেন না কেন, এটাই আমার আসল কনফিউশন। বান্ধবীদের বলার পর ওরা আমাকে বলেছিল তাজ ভাইয়ের ভিতরকার রহস্য উদঘাটন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে। যদিও তাজ ভাইয়ের মাফিয়া বিষয়ক কথাবার্তা ওদের থেকে গোপন রেখেছিলাম। তারপর থেকেই আমার মিশন ছিল তাজ ভাইয়ের রহস্য জানা। কিন্তু আজও আমি সফল হতে পারিনি। পারব কি না তা-ও জানা নেই। আজকাল যেন ওনার ভিতরকার রহস্য জানার ইচ্ছেটা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। আমার প্রতি ওনার মনের গোপন অনুভূতিগুলো মুখে প্রকাশ করাতে ইচ্ছে করছে। তার সাথে সাথে আমার মস্তিষ্কও আঁচ করতে পারছে, না চাইতেও ওনার প্রতি আমার কোনো এক অজানা অনুভূতি তৈরি হয়েছে। এই অনুভূতির শুরু কবে, কখন, কীভাবে হলো, সে বিষয়ে আমি নিজেও নিশ্চিত না।

_____________________________________

রাত প্রায় এগারোটা। আফরা আপু আর আমি বসে বসে টিভি দেখছি। সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে একটা হিন্দি মুভি দেখছি। এরইমধ্যে আমার পাশে থাকা ফোনটা সশব্দে বেজে উঠল। আমি আর আফরা আপু একসঙ্গে চমকে উঠলাম। ফোনের দিকে তাকিয়ে আমি আরও চমকালাম। আর আফরা আপু ভ্রুকুটি করল। ফোনের দিকে হাত বাড়াতে বাড়াতে ফোন কেটে গেল। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। এমনিতেই আপুর সামনে কথা বলতে আমার অস্বস্তি হবে। কিন্তু স্বস্তিটুকুও বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। ফোনটা আবারও বেজে উঠল। এবার ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলাম রিসিভ করব, না কি করব না?”

পাশ থেকে আফরা আপু বলে উঠল,“রিসিভ করছিস না কেন?”

আমি রিসিভ করতে যেতেই ফোনটা কেটে গেল। এবারও খুশি হয়ে ফোন রেখে দিতে যেতেই আবার বেজে উঠল। এবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আল্লাহর নাম নিয়ে ফোনটা রিসিভ করে সামনে ধরলাম। সঙ্গে সঙ্গে ফোনের স্ক্রিনে তাজ ভাইয়ের গম্ভীর মুখটা ভেসে উঠল। ওনার চোখে চোখ পড়তেই চট করে আমার মাথায় এল, উনি কি জেনে গেছেন আমি শ্রেয়ান ভাইয়ার সাথে ভার্সিটি গিয়েছি? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? কিন্তু মিনিট খানিক কেটে যাওয়ার পরও উনি একইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। দৃষ্টি তো ফেরালেনই না, উলটো আরও গভীর হলো। আমি কিছু বলতেও পারছি না। আড়চোখে একবার আফরা আপুর চুপসানো মুখের দিকে তাকালাম। আপু থমথমে গলায় বললেন,“কথা বলছিস না যে?”

আমি তাজ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম,“কিছু বলবেন?”

উনি প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন করলেন,“ডিনার করেছিস?”

এবার আফরা আপুর মতো আমার মুখটাও ফাটা বেলুনের মতো চুপসে গেল। এই প্রশ্নটাই কেন আগে করতে হলো ওনাকে? দুনিয়াতে এছাড়া কি অন্য কোনো কথা নেই? আমি তো ডিনার করিনি। বাবা আর আফরা আপু যখন করেছিল তখন বলেছি আমি পরে করব। কিন্তু পরে আর করতে ইচ্ছে হয়নি। আমাকে নিরুত্তর দেখে তাজ ভাই ভ্রু জোড়া কুঞ্চিত করে বললেন,“করিসনি, তাই তো? এক্ষুনি ডিনার কর গিয়ে।”

ওনার হুকুম শুনে আমি গাল ফুলিয়ে বললাম,“আপনার মতো আমি রাক্ষস না। এত কীভাবে খাব?”

“এত কী খেয়েছিস তুই? খেতে যেতে বলেছি না তোকে?”

“আরে সন্ধ্যায়ই তো এত্তগুলো ফুসকা খেলাম।” কথাটা বলেই বাঁ হাতে নিজের মুখ চেপে ধরলাম। আহাম্মকের মতো কাজ করে ফেলেছি, বুঝতে পেরে চোরা চোখে তাজ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। উনি যে এখন কী বলবেন তা আমি ভালো করেই আঁচ করতে পারছি। আমার ভাবনাকে সত্যি করে দিয়ে উনি প্রশ্ন করলেন,“সন্ধ্যায় ফুসকা এনে দিলো কে?”

আমি আবারও আফরা আপুর দিকে তাকালাম। বেচারি থমথমে মুখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি মুখ থেকে হাত নামাতেই তাজ ভাই আবার ধমকের সুরে প্রশ্ন ছুঁড়লেন,“বলছিস না কেন?”

আমি অসহায়ের মতো মুখ করে মিনমিনে গলায় বললাম,“শ্রেয়ান ভাইয়া।”

“শ্রেয়ান এসেছিল?”

আমি ওপর নিচে মাথা ঝাঁকালাম। সঙ্গে সঙ্গে উনি সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,“এই, তোকে আজ ভার্সিটি নিয়ে গেছে কে রে?”

আমি ওনার কথা এড়িয়ে ফট করে বলে উঠলাম,“আপু আপনাকে খুব মিস করছে। নিন কথা বলুন। আমি ডিনার করতে যাচ্ছি।”

কথাটা বলেই আমি আফরা আপুর হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে এক ছুটে প্রস্থান করলাম। নিজের রুমে এসে তবেই বড়ো করে দম নিলাম। এত বড়ো একটা বোকামি করায় নিজের মাথা নিজেরই দেয়ালে ঠুকতে ইচ্ছে করছে। আজ তো শ্রেয়ান ভাইয়াই আমাকে ভার্সিটি দিয়ে-নিয়ে এসেছিলেন। তারপর আবার সন্ধ্যায় অনেকগুলো ফুসকা নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। আফরা আপু আর আমার সাথে টানা দেড় ঘন্টা জমিয়ে আড্ডা দিয়ে, ফুসকা খেয়ে তবেই বিদায় নিয়েছিলেন। ভেবেছিলাম এসবের কোনো কথাই তাজ ভাইয়ের কানে পৌঁছাতে দিব না। অথচ পেটের কথা মুখ ফসকে সেই বেরিয়েই গেল। যেচে নিজের পায়ে নিজেই কুঠার মারলাম। না বাবা, আমি আর ওনার ফোন রিসিভ করব না। তাতে পরে যা হবার হবে। আল্লাহ্ জানে শয়তানটা এখন কতটা রাগে ফুঁসছে। সামনে থাকলে নিশ্চয়ই সঙ্গে সঙ্গে মাথায় গান চেপে ধরত। গ্রাম থেকে ফিরলে না জানি আমার কপালে কী আছে!

চলবে…..…..…………?

(আমার পাঠকদের এত অপেক্ষা করানোর জন্য আমি দুঃখিত। এখন থেকে অ্যাডমিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমনই অপেক্ষা করতে হবে। আজ লিখতে খুব ইচ্ছে করছিল, তাই বই ফেলে রেখে গল্প লিখলাম। আশা করি আপনারা রেসপন্স করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here