নেশালো সে? পর্ব-১৭

0
1988

#নেশালো_সে?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?

১৭.

——-“আমি জানতাম তুমি আমায় ফোন করবে কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সেটা বুঝতে পারি নি….

“একপ্রকার উওেজিত কন্ঠে কথাটা বললো আয়ান’!!কারন অপর পাশের “হ্যালো কেমন আছেন” শুনেই আয়ান বুঝতে পেরেছে অপর পাশে কে কথা বলছে’!!আয়ান আবারো বলে উঠল আরিশাকেঃ

———“তাহলে তোমার উওর কি হবে….

“এই মুহুর্তে আরিশার ইচ্ছে করছে নিজের মাথার চুল নিজেই ছিঁড়ে ফেলতে’!!কেন যে সে ফোন করতে গেল আয়ানকে’!!এখন কি বলবে সে’!!আরিশার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আবারো আয়ান বলে উঠলঃ

———“এই ভাবে নীরবতায় কাটিয়ে দিবে নাকি…..

———“হুম….

“হাসলো আয়ান’!!তারপর সেও চুপ করে রইলো কতক্ষণ’!!দুজনেই চুপচাপ কারো মুখে কোনো কথা নেই’!!নীরবতার বাদ ভেঙে আরিশা বলে উঠলঃ

———-“এখন তাহলে রাখি পরে কথা হবে…

“বলেই তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দেয় আরিশা’!!ভয়ে তার শরীর কাঁপছে’!!অন্যদিকে আয়ান আরিশার কান্ডে হাসলো’!!পরক্ষণেই ভেবে নিলো সে’!!

——–“এতটুকু তো পাক্কা তার মতো আরিশারও মনেও তার প্রতি কোনো অনুভূতি আছে’!!ভেবেই খুশি হয়ে যায় আয়ান….

||

“ভার্সিটির করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে আফিয়া’!!আনমনে ভাবছে সে আয়ান কি এমন বলবে তাকে’!!এমন সময় পিছন থেকে আফিয়ার মাথায় চাটি মারে রুহি আর তিশা’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আফিয়া চমকে উঠলো পরক্ষণেই রুহি তিশাকে দেখে বলে উঠল সেঃ

———–“কি হয়েছে তোদের…..

———–“আরে রেগে যাচ্ছিস কেন মুড অফ তোর….(রুহি)

———-“না মুড অফ থাকবে কেন এমনি ভালো লাগছে না…

———-“ওহ,চল তাহলে আমাদের সাথে শপিংমলে…(তিশা)

———–“এখন…

———–“হুম চল ভালো লাগবে মুড ও ঠিক হয়ে যাবে তোর….(তিশা)

———-“কেন যাবি…

———-“আরে চল না তিশা কিছু কিনবে (রুহি)

“তিশা রুহির জোরাজোরিতে শেষমেশ রাজি হয় আফিয়া’!!তারপর তিনজন পা বাড়ালো শপিং মলের দিকে’!!

||

“একটা বড় শপিংমলের ভিতর ঢুকলো আফিয়া, রুহি আর তিশা’!!তারপর তিনজন মিলে একটা জামাকাপড় এর স্টলে ঢুকে এটা ওটা দেখতে লাগলো’!!হর্ঠাৎই স্টলের ভিতরে থাকা একটা আয়নায় একজনকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় আফিয়ার’!!মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসে তারঃ

——–“আপু এখানে….

“তারপর রুহি-তিশাকে ওখানেই রেখেই আফিয়া দৌড়ে যায় আদিবার কাছে’!!পিছন থেকে ওর কাঁধে হাত দিয়ে বলে আফিয়াঃ

——–“আপু কেমন আছো তুমি….

“চিরচেনা কন্ঠ শুনে আদিবা পিছন ঘুরে তাকিয়ে নিজের বোনকে দেখে বেশ অবাক হয় সে’!!কম হলেও আজ দু-মাস পর আফিয়াকে দেখছে আদিবা’!!আদিবা খুশি হয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে ওখানেই আফিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলেঃ

———“বোন তুই কেমন আছিস? জানিস তোদের কথা খুব মনে পরতো আমার…

||

“অফিসে বসে কাজ করছে আয়াফ’!!কিছুতেই আজকে তার ভালো লাগছে না’!!অস্থিরতা কাজ করছে ভিষন’!!এমন কেন হচ্ছে বুঝতে পারছে না সে’!!বার বার মনে হচ্ছে সামনে কিছু একটা ভুল হতে চলেছে তার সাথে’!!একরাশ বিরক্ত নিয়ে ফাইলগুলো টেবিলের উপর রেখেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো আয়াফ’!!বুকের ভিতর এক অস্থিরতা কাজ করছে তার’!!কিছু একটা হারিয়ে ফেলার ভয় যেকে বসেছে মনে’!!আয়াফ তার টেবিলে থাকা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে ঢকঢক করে পুরো পানিটা খেয়ে নিলো এক নিশ্বাসে’!!তারপর বলে উঠল সেঃ

———-“আমার এমন কেন লাগছে যে আমি আমার কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলতে চলেছি,,না না,এসব,কি ভাবছি আমি ধুর আফিয়ার চিন্তায় মনে হয় মাথাটা একদম গেছে’!!এসব ভেবে নিজেকে শান্ত করতে লাগলো আয়াফ…

________________

———”তুমি একদম কথা বলবে না আপু কি করে পারলে তুমি বিয়ের দিন এইভাবে পালিয়ে যেতে..রেস্টুরেন্টে বসে একপ্রকার ঝাঁজালো কন্ঠে কথাটা বললো আফিয়া’!!আর আফিয়ার কথা শুনে অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে রইলো আদিবা’!!সে জানে সে যেটা করেছে সেটা ভুল ছিল কিন্তু কি করতো সে’!!ভালোবাসার কাছে যে কঠিন ভুলগুলো মানুষ নিরদিধায় করে ফেলে’!!আদিবাকে এই ভাবে অপরাধীর মতো বসে থাকতে দেখে আফিয়া শান্ত গলায় বলে উঠলঃ

———-“এমন কেন করছে আপু,তুমি জানো তোমার জন্য কত মানুষ বাবা-মাকে কতকিছু বলেছে…

“আফিয়ার কথা শুনে বুকের ভিতর দক করে উঠলো আদিবার’!!কষ্ট হচ্ছে তার’!!আদিবা আফিয়ার হাত ধরে বললঃ

———-“বিশ্বাস কর বোন ওই মুহূর্তে ওটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না’!!তুই তো জানিস আমি বাবাকে কতোটা ভয় পাই,বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস আমার নেই’!!এমন একটা মুহূর্তে সবটা হয়ে গেল যে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না…..

———“কেন করলে আপু,তুমি জানো তোমার জন্য ওই করলার জুসের সাথে বাবা আমায় বিয়ে দিছে,অবশ্য করলার জুস এখন কমলার জুস হয়ে গেছে’!!আসলে ওনাকে শুরুতে যতটা তেঁতো ভেবেছিলাম আসলে উনি ততটা তেঁতো নয়’!!খুব ভালো…..

——–“আমি সবটা জানি…

“আদিবার কথা শুনে আফিয়া অবাক হয়ে বললোঃ

——–“মানে..

———“মানে তোর সাথে যে আয়াফের বিয়ে হয়েছে সেটা আমি জানি আয়াফ সব বলেছে আমায় তবে…

——–“কি তবে….

“এই মুহুর্তে আফিয়ার সেদিন রাতের আয়াফের বলা কথাগুলো মনে পড়ে গেল’!হুট করেই বলে উঠল সেঃ

————“আপু তোমায় নাকি আয়াফ পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, কেন করেছে সাহায্য তোমায়।সবটা জানতে চাই আমি,আয়াফকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কিন্তু উনি কিছু বলে নি…

———–“সেসব তোর না জানলেও চলবে বোন,স্বামী সংসার নিয়ে সুখে থাক!

———-“কেন থাকবে আপু আমি সবটা জানতে চাই তুমি এখন বলবে, আমায় প্লিজ বলো, আপু কেন তোমায় পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল আয়াফ’!!প্লিজ বল আপু…

“এই মুহূর্তে আদিবার মনে হচ্ছে আফিয়ার সাথে দেখা না হলেই ভালো হতো’!!এখন কি বলবে আদিবা’!!আদিবার ভাবনার মাঝখানে আবারো বলে উঠল আফিয়াঃ

———–“কি হলো আপু কথা কেন বলছো না বলো প্লিজ….

“আফিয়ার জোরাজোরিতে আদিবা বললোঃ

———“ঠিক আছে আজকে আমি তোকে সব সত্যিটা বলবো তবে আমার একটা শর্ত আছে..

———-“কিসের শর্ত আপু…

———“সব শোনার পর তুই আবার ভেঙে পরবি না…

“এইবার আফিয়ার একটু ভয় হতে শুরু করল’!!তারপরও সেটা বাহিরে প্রকাশ না করে শক্ত কন্ঠে বললো সেঃ

———-“ঠিক আছে আপু তুমি বলো আমি শুনবো….

“আদিবা এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলতে লাগলোঃ

———“আমাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার পিছনে দুটো কারন ছিল এক আমি একজনকে ভালোবাসতাম আর দুই নাম্বার হলো আয়াফ নিজেও বিয়েটা করতে চায় নি’!!কারন আয়াফ নিজেও একজনকে ভালোবাসতো….

“শেষের এক লাইন শুনে আফিয়ার বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো’!!আদিবা আবারো বললোঃ

———-“তুই তো জানিস আয়াফের সাথে বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই ঠিক করা হয়ে ছিল আর আয়াফের বাবা আমাদের বাবার বন্ধু হওয়ায় অনেক আগেই ঠিক করে রেখেছিল আমাদের বিয়েটা’!!কিন্তু আমি ভালোবাসতাম সায়ানকে”!!তাই আমি চাই নি এই বিয়েটা করতে’!!বিয়ের ঠিক একদিন আগে আমি টেনশনে মরে যাচ্ছিলাম কি করবো না করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না’!!অনেক ভেবেচিন্তে ডিসিশন নিলাম৷ আয়াফকে সব সত্যিটা বলে দিবো’!!আমি ভেবে নিয়েছিলাম হয়তো ওকে সবটা বলে দিলে বিয়েটা বন্ধ করা যাবে’!!সেই ভেবে সেদিন রাতে আয়াফের সাথে লুকিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম একটা রেস্টুরেন্টে’!!আমি যাওয়ার আগেই ও পৌঁছে গেছিলও সেদিন ওর চোখে মুখেও দুশ্চিন্তার ছাপ ছিল’!!একবুক সাহস নিয়ে আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আয়াফ বলে উঠলঃ

——–“আমি এই বিয়েটা করতে চাইছি না আদিবা….

“বিশ্বাস করবি না আয়াফের মুখে এমন কথা শুনে কি রিয়েকশন দিবো আমি ভুলে গেছি’!!খুশি হয়ে আমিও বলে উঠল নিরদিধায়ঃ

———-“আমিও তো এটা বলার জন্যই তোমায় এখানে ডেকে ছিলাম আয়াফ’!!

———-“কি….

———–“হুম আসলে কি বলো তো আয়াফ আমি সায়ানকে ভালোবাসি আর তাঁকেই বিয়ে করতে চাই কিন্তু মাঝখান থেকে তোমার সাথে বিয়েটা ঠিক হয়ে গেছে এখন কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না তাই ভাবলাম তোমায় সবটা বলে দিলে হয়তো এই বিয়েটা আটকানো যাবে,,তা তুমি কেন বিয়েটা করতে চাইছো না কোনো লাভ সাভ কেস নাকি….

“আয়াফ হাল্কা হেঁসে বললোঃ

———-“হুম আমারো সেইম কেস আমিও কাউকে ভালোবাসি’!!

———-“তাহলে তো হয়েই গেলো তুমি গিয়ে বলে দেও তোমার বাবাকে তুমি এই বিয়েটা করতে চাইছো না….

“আয়াফ একটু চিন্তিত কন্ঠে বললোঃ

———-“ওইটাই তো প্রবলেম বাবাকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না তো এমন একটা মুহূর্ত কাল বাদে পরশু বিয়ে সব আত্মীয় স্বজনরাও চলে আসতে শুরু করেছে এখন যদি বলি এই বিয়ে টা করবো না কি হবে ভাবতে পারছো’!!তাই বিয়ে বন্ধ করা যাবে না অন্যকিছু করতে হবে…

———–“অন্যকিছু মানে….

———-“পালাতে হবে তোমায়…

———–“কি তোমার কি মাথা ঠিক আছে আয়াফ কিসব বলছো তুমি….

———–“এছাড়া আর কোনো উপায় নেই আদিবা’!!তুমি সায়ানকে ফোন করে বলে দিও তোমাদের থাকার ব্যবস্থা পালানোর ব্যবস্থা সব আমি করে দিবো….

———–“কিন্তু আয়াফ এটা করলে তো….

———-“কিচ্ছু হবে না….

“তারপর আয়াফের কথা মতোই আমি আর সায়ান পালিয়ে গিয়েছিলাম’!!সব ব্যবস্থা আয়াফই করে দিয়েছিল’!!এমন কি আমায় বাড়ি থেকে বের করতেও আয়াফ হেল্প করেছে’!!আর এই সবকিছুই আয়াফ হয়তো ওর ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য করেছিল কিন্তু ভুলবশত তোর সাথে বিয়েটা হয়ে যায় ওর….

“এতে ও খুব আপসেট হয়ে পড়ে’!!তোদের বিয়ের পরেরদিন রাতেই আয়াফের সাথে কথা হয় আমার’!!সবশুনে আমি তো অবাক শেষে কিনা তুই সেই করলার জুস কেই বিয়ে করলি’!!সেদিন আয়াফ খুব আপসেট ছিল আমায় বলে ছিল তোকে ডির্ভোস দিয়ে দিবে নাকি ‘!!তারপর আর কথা হয় নি আয়াফের সাথে’!!বুঝতেই পারছিস যার জন্য এতকিছু করলো তাকেই পেল না’!!

.

“এদিকে আরিশা আদিবার মুখে সব শোনার পর ভিতরে ভিতরে খুব কষ্ট হতে লাগলো’!!আয়াফ এত কিছু করেও তার ভালোবাসার মানুষকে পেল না’!!আমিও আর আয়াফের লাইফে বোঝা হয়ে থাকবো না’!!মুক্তি দিবো আয়াফকে’!!তারপর সে তার সেই ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে সুখে থাকুক’!!এসব ভাবছে আফিয়া’!!আফিয়ার ভাবনার মাঝখানে আদিবা বলে উঠলঃ

———-“কি ভাবছিস তুই….

———–“না কিছু না আজকে তাহলে উঠি আপু….

———-“আমার কথা তো শোন আগে আমার মনে….

———–“আর কি মনে হবে আপু ভালো থাকো তুমি আমি যাই….

“বলেই একপ্রকার দৌড়ে বেরিয়ে আসলো আফিয়া রেস্টুরেন্ট থেকে’!!কষ্ট হচ্ছে তার’!!সেও তো এক কয়েকদিনে আয়াফকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিল’!!আর আয়াফ এতদিন যা করেছিল সব তাহলে কি তার নাটক ছিল ভেবে পায় না আফিয়া’!!চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরছে’ তার’!!আফিয়া একটা রিকশা করে যেতে লাগলো’!!তার ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করছে রুহি আর তিশা’!!কারন আফিয়া ওদের কিছু না বলেই চলে এসেছিল আদিবার সাথে রেস্টুরেন্টে’!!আফিয়া তার ফোনটা হাতে নিয়ে ছোট্ট একটা মেসেজ দিয়ে বললোঃ

——–“আমি বাড়ি চলে এসেছি তোরা চিন্তা করিস না…..

“তারপর আরেকটা বড় টেক্সট করলো আফিয়া অন্য আরেকজনকে’!!তারপর বলে উঠল সেঃ

———-“ভালো থেকো আয়াফ তোমার ভালোবাসার মানুষের সাথে…

“ভেবেই চোখের পানি মুছে নিয়ে ফোনটা অফ করে দিলো সে’!!বুকের বাম পাশে চিনচিনে ব্যথা হচ্ছে আফিয়ার’!!এই জন্যই হয়তো বলে

“কাউকে খুব বেশি ভালোবাসতে নেই
হারিয়ে গেলে যে খুব কষ্ট হয়”!!?

__________________________________________

_______________________

“রাত_৯ঃ০০টা….

“আয়াফ তার অফিস সেরে বাসায় ফিরে আসলো’!!সারাদিনের অস্থিরও তায় ঠিকভাবে কাজ করতে না পারলেও সব ঠিকঠাকভাবেই শেষ করে এসেছে সে’!!এমন সময় আয়াফের আম্মু এসে বললোঃ

———-“আয়াফ বউমার সাথে কি তোমার কোনো ঝগড়া হয়েছে…..

“আয়াফ বেশ অবাক হলো তার মায়ের কথা শুনে’!!অবাক হয়ে বললো সেঃ

———-“কই না তে আম্মু কেন কি হয়েছে?

———-“আফিয়া বাপের বাড়ি চলে গেছে….

———-“মানে….

———-“মানেটা তো তুমি বলবে আয়াফ আফিয়া নাকি তাদের বাড়ি গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে আছে নিজের রুমে, কাউকে কিছু বলছে না শুধু বলছে নাকি সে একা থাকতে চায়…..
আফিয়ার বাবা ফোন করে জানালো আমাদের’!!আমি তোমায় এতটুকু বলতে চাই ওর সাথে ঝগড়া হয়ে থাকলে তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলো আয়াফ’!!

“বলেই আয়াফের মা চলে গেলেন’!!এদিকে আয়াফ যেন শকট হয়ে দাঁড়িয়ে পরলো’!!কিন্তু আফিয়া হর্ঠাৎ এমনটা কেন করলো’!!তাহলে কি সারাদিন এটারই ভয় পাচ্ছিল আয়াফ’!!এসব ভেবে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো আয়াফ’!!ফোনটা হাতে নিতেই দেখলো আফিয়ার কর অনেক বড় একটা মেসেজ’!!আয়াফ মন দিয়ে পুরো মেসেজটা পরলো’!!সব পড়ে অভিমানী স্বরে বললো সেঃ

———–“একটি বার আমায় জিজ্ঞেস তো করতে পারতে আফিয়া মেয়েটি কে ছিল তার আগেই এতকিছু ভেবে এতকিছু বলে দিলে তুমি’!!

___________

“মাঝখানে কাটলো দুদিন’!!
এই দুদিনে আয়াফও যোগাযোগ করে নি আফিয়ার সাথে আর আফিয়াও রুম থেকে বের হয় নি’!!সে ভেবেছিল হয়তো আয়াফ তাকে ফোন করে কিছু বলবে’!!কিন্তু না তার ধারণা ভুল হলো আয়াফ তাকে কিছু বললো না’!!তার মানে আয়াফ সত্যি সত্যি তার কাছ থেকে মুক্তি চায়’!!ঠিক আছে আমিও তোমায় মুক্তি দিয়ে দিবো’!!

“বিকেল ৫ঃ০০টা…..

“আফিয়া বসে আছে আয়াফের সাথো আসা সেই এতিমখানার একটা ইয়া বড় গাছের নিচে থাকা বেঞ্জের উপর’!!মনটা ভিষণ ভাবেই খারাপ তার’!!এতটাই খারাপ যে কাউকে কিছু না বলেই এখানে চলে এসেছে সে’!!এমন সময় তার পাশে এসে বসলো আয়াফ’!!আর বলতে লাগলো সেঃ……
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে…………

???[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ!!
আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে!!]❤️❤️❤️

#TanjiL_Mim♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here