#এক_ফালি_রোদ্দুর?
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম?
#পর্ব:৩৬
—“অভ্রের বাচ্চা তোরে একবার সামনে পাইলে তোর একদিন কি আমার,তোরে এত করে বললাম বিয়েতে রাজি হইস না তারপরও রাজি হয়ে গেলি,,তোরে তো আমি বদমাশের হাড্ডি, শয়তান,ইদুর, ব্যাঙ,বান্দর,কোথায় আছিস তুই সাহস থাকলে ফোনটা তোল…
“লাগাতার ফোন করে চলেছি আমি অভ্রকে!’ রাগে গায়ে আগুন জ্বলছে আমার, কিন্তু অভ্রের বাচ্চা ফোন তুলছে না’!!এই নিয়ে দশবারের মতো ফোনটা কেটে গেল’!!রাগ যেন সপ্তম আকাশে উঠে গেছে,অভ্রের বাচ্চারে সামনে পেলে কি যে করতাম!’বিরক্ত নিয়ে বিছানায় বসে পরলাম আমি’!!রাগ হচ্ছে আমার,চরম রাগ,এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আমার,উপরে অভ্রের নাম্বার দেখে সাথে সাথে ফোনটা তুলে চেঁচিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ
—“এতক্ষণ কোথায় ছিলে ফোন তুলছিলে না কেনো?’
—“ওয়াশরুমে ছিলাম তা এতবার ফোন কেন করছো জরুরি কিছু….
—“তুমি বিয়েতে রাজি হলে কেন?’
“তানজুর কথা শুনে অভ্র অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি…
—“কির গুষ্টি তুষ্টি…
—“এসব কি বলছো তুমি?’
—“দেখো একদম রাগাবে না বলে দিলাম,তোমায় এত করে বললাম বিয়েতে না করে দিতে আর তুমি কিনা বিয়েতে রাজি হয়ে গেলে…
—“তানজু তোমার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে…
—“ভুল হচ্ছে মানে কি ভুল হইছে,কিছুক্ষন আগে বাবা ডেকে বললো আমায় তোমার নাকি আমায় পছন্দ হয়েছে আর কালকে তোমরা আমাদের বাড়িতে এসে পাকা কথা বলবে,আমি তোমায় কিন্তু খুন করে দিবো অভ্র…
“তানজুর এবারের কথা শুনে অভ্র চোখ বড় বড় করে বললোঃ
—“কি….
—“বেশি কি কি করবে না,এমনিতেই লাইফটা প্যারাময় হয়ে গেছে তারওপর,, (রেগে)
—“কুল ডাউন তানজু,,শান্ত হও এভাবে বললে বুঝবে না সামনাসামনি কথা বলতে হবে তোমার সাথে…
—“সামনাসামনি কথা বলার গুষ্টিকিলাই,তুমি আমার সামনে আসলে আমি যে কি করবো,এমনিতেই বুঝতে পারছি না কি করবো,রিয়াদ ভাইয়ার বিয়ে হয়ে যাবে কষ্টে বুকটা ফাডি যাচ্ছে….
“বলতে বলতে নেকাকান্না জুড়ে দিল তানজু’!!অভ্র তো তানজুর কান্ডের আগামাথা কিছু বুঝতে না পেরে বলে উঠলঃ
—“কি হলো তানজু কাঁদছো কেন?’
—“কাঁদবো না তো কি করবো,তোমায় এত করে বললাম এই বিয়েটা না করতে আর তুমি কিনা…
—“কুল ডাইন তানজু,কোথাও একটা মিসআনডাসডানডিং হচ্ছে,অপেক্ষা কর তানজু সামনাসামনি কথা হবে তোমার সাথে…
—“কি কথা শুনি…
—“কাল বলবো!’
“এতটুকু বলে ফোনটা কেটে দেয় অভ্র’!!অভ্রের কান্ডে তানজু রাগ নিয়ে বসে রইলো’!!
“কাল তো অভ্রকে সে ছাড়বে না কোনোভাবেই ছাড়বে না হুহ….
__________
“জোৎসা ভরা রাত!’জানালার কার্নিশ বেয়ে বয়ে চলেছে ঠান্ডা বাতাস’!!অন্ধকার রুমে বিছানার উপর বসে আছে রিয়াদ’!!বুকের ভিতর খা খা করছে তার,কষ্ট হচ্ছে তার,তানজুর সাথে ঝগড়া করে বলে তো দিয়েছে সে তানজুকে ঘৃনা করে সে’!!কিন্তু রিয়াদ কি কখনো ঘৃনা করতে পারে তানজুকে’!!
—“কেন এমন করছিস তানজু,আমি জানি তুই আমায় ভালোবাসিস তাহলে এমন কোন কারনে তুই আমায় মেনে নিতে পারছিস না,,আমি যে তোকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি,,আমায় কি একটু ভালোবাসা যেত না প্রিয়সী’!!
— ‘একটু ভালোবাসলে কি এমন হতো প্রিয়সী’___
‘হয়তো তোমায় ভালোবেসে আমার হৃদয়ের চিঁড়েকোঠায় আঁটকে রাখতাম নিজের করে…
‘দুঃখকে ভাগ করে নিতাম দুজনের মাঝে!’আর সুখকে বন্ধ দরজার আড়ালে লুকিয়ে রাখতাম নিজেদের কাছে…
– যাতে সেখানে “আমি – তুমি” ছাড়া কেউ ধরতে পারতো না….
— ‘একটু ভালোবাসলে কি এমন হতো প্রিয়সী’___
“না হয় তোমায় নিয়েই গড়তাম আমার সুখের কল্পনার রাজ্য’!!মাঝে মাঝে হাত বুলিয়ে দিলাম চুলে,কপালে দিতাম চুমু আর শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরে বলতাম প্রিয়সীঃ
—“তোমায় যে খুব ভালোবাসি আমি….
“তানজুর একটা ছবির দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বললো রিয়াদ,খুব কষ্ট হচ্ছে তার,কিছু ভালো লাগছে না, এক মুহূর্তের জন্য রিয়াদ ভাবলো,
“বাই এনিচান্স তোর সাথে যদি আমার বিয়ে হয় তানজু তাহলে এই কষ্টের শোধ আমি শুধে আসলে ফেরত দিবো,যতটা না পুরিয়েছিস তার চেয়ে ডাবল পুরাবো তোকে আমি,,,
“কিন্তু আধো কি এটা সম্ভব!’
“ভেবেই জোরে এক শ্বাস ফেললো রিয়াদ’!!বুকের ভিতর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে রিয়াদের,আর ভাবলো না রিয়াদ,চোখ দুটো বন্ধ করে তানজুর ছবি বুকে জড়িয়ে নিলো সে…..
||
“পরেরদিন বিকেল_৪ঃ০০টা…..
“রুমে মধ্যে পায়চারি করে চলেছি আমি’!!টেনশন হচ্ছে আমার,কিছুক্ষনে আগেই অভ্র আর তার বাবা-মা এসেছে আমাদের বাড়িতে,আজকে সবাই আছে রুহির বাবা মা, রিয়াদ ভাইয়া বাবা মা, আহান ভাইয়ার বাবা মা, উফ এত মানুষদের মাঝে কি করে বলবো এই বিয়ে করবো না আমি,ধূর কেন যে অভ্রকে বিশ্বাস করতে গেলাম আমি,টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার’….
“এমন সময় রুমে ঢুকলো শিফা আর রুহি,আমার দিকে তাকিয়ে বললো ওঁরাঃ
—“কি রে তানজু তুই এখনও তৈরি হোস নি কেন?’
“ওদের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললাম আমিঃ
—“তৈরি হবো কেন?’
—“আরে তোর শশুর-শাশুড়ি এসেছে দেখা করবি না,,
—“দেখা করতে আবার তৈরি হওয়া লাগে নাকি,,
—“লে শোনো মেয়ের কান্ড,শশুড় শাশুড়ির সামনে যাবে বলে কিনা তৈরি হবে না….
—“দেখ আমার ওতো সময় নেই আমার এক্ষুনি অভ্রের সাথে কথা বলতে হবে….
“বলেই রুম থেকে বেরিয়ে আসতে নিলাম আমি,সাথে সাথে শিফা আমার হাত ধরে বললোঃ
—“এখনই অভ্র দুলাভাইর সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছিস না জানি বিয়ের পর কি করবি…
—“তোর ফালতু কথা বলা শেষ হলে আমায় যেতে দে শিফা…
—“আরে যাবি তো তবে এইভাবে নয়…
—“প্লিজ এখন আমায় যেতে দে পড়ে দেখছি এই বিষয়টা…
—“আরে এত অস্থির কেন হচ্ছিস বল তো…
—“তুই বুঝতে পারছিস না আমার এক্ষুনি অভ্রের সাথে কথা বলতে হবে!’
“এদিকে….
“তানজুর এত অস্থিরতা মটেও ভালো লাগছে না রুহির’!!এত কিসের তারা ওর অভ্রের সাথে কথা বলার…
“শেষমেশ শিফার জোরাজোরিতে আমি যেতে পারলাম না,
“জোর করে সাজিয়ে দিল শিফা তানজুকে,একটা খয়েরি রঙের শাড়ি পড়েছে তানজু,খোলা চুল,সাথে হাল্কা কিছু গহনা,চোখে কাজল ব্যস তৈরি সে’!!
—“হয়েছে শিফা এখন তবে যাই আমি…
—“উফ তুই এমন কেন করছিস বল তো…
—“তুই বুঝতে পারছিস না…
—“আমি বুঝতে চাইও না খালু তোকে তৈরি হয়ে নিয়ে যেতে বলেছিল তাই এসেছি…
—“তুই কি রাগ করলি,প্লিজ রাগ করিস না আচ্ছা বল আর কি করতে হবে আমায়,আরো সাজাবি আমায়,তাহলে সাজা তারপরও রাগ করিস না আমি আর তারা দিবো না যা,তুই যখন নিয়ে যাবি আমি তখনই যাবো….
“তানজুর কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ রইলো শিফা তারপর হেঁসে বললোঃ
—“সব হয়ে গেছে এখন চল তাড়াতাড়ি….
—“চল তাহলে…
“বলেই দ্রুত হাঁটতে লাগলাম আমি,সাথে সাথে শিফা বলে উঠলঃ
—“তানজু…
“ব্যস হয়ে গেল শিফার কথা শুনে নিজের স্পিড কমিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম আমি, আমার কান্ডে হাসলো শিফা,তারপর তিনজন একসাথে বের হলাম রুম থেকে…..
______
“সোফায় গোল হয়ে বসে আছে বাবা আর দু্ই খালু,আর ওনার পাশেই দু’দিকের দুই সোফায় বসে আছে আহানের বাবা-মা আর অভ্রের বাবা মা,,অভ্র তার মায়ের পাশেই বসে আছে,অস্থিরতা কাজ করছে তার ভিতর,সে ভাবতেই পারে নি সে কিছু বলার আগেই তার বাবা এতকিছু বলে দিবে তানজুর বাবাকে,,টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে অভ্রের,তার চেয়ে বেশি খারাপ লাগছে তানজুকে কথা দিয়েও কথা রাখতে পারলো না সে…
“এমন সময় তাদের সামনে এসে হাজির হলো রুহি,শিফা আর তানজু’!!তিনজনকেই অসম্ভব সুন্দর লাগছে, আজকে শিফা একটা নীল রঙের জর্জেট থ্রি-পিচ পড়েছে,আর রুহি কমলা রঙের জর্জেট থ্রি-পিছ,চুলগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে বেনুনী করা,মুখে হাল্কা মেকাপ সবমিলিয়ে খুব সুন্দর লাগছে রুহিকে,অভ্র তো তানজুর আগে রুহির দিকে তাকালো,পরক্ষণেই রুহির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ভাবতেই বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো তার, তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে ফেললো অভ্র….
.
.
.
“এদিকে অভ্রদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল রিয়াদ আর আহান!’আহান তো শিফাকে দেখে চোখ টিপ মারলো,আহানের কান্ডে শিফা চোখ গরম করে তাকালো আহানের দিকে,হাসলো আহান শিফার কান্ডে,,.
“আহানের পাশে রিয়াদ তাকিয়ে আছে তানজুর দিকে অসম্ভব মায়াবী লাগছে তানজুকে রিয়াদের কাছে,,চোখ নামিয়ে নিলো রিয়াদ সে এখানে আর থাকবে না কিছুতেই সে এই বিষয়টা মেনে নিতে পারবে না,এটা ভেবে রিয়াদ চলে যায় দিহানের রুমে,তখন দিহান বেরিয়ে আসলো তার রুম থেকে,তাড়াতাড়িতে রিয়াদকে খেয়াল করে নি সে’…..
.
“তানজু হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বসে পরল তার বাবার পাশ দিয়ে’!!তানজুকে দেখে অভ্রের মা হেঁসে বলে উঠলঃ
—“মাশাআল্লাহ আপনার মেয়েকে কিন্তু ছবির থেকেও বেশি ভালো লাগে…
“মায়ের কথা শুনে অভ্র তাকালো তানজুর দিকে’!!দু’মিনিটের জন্য হলেও সে ভাবলো বিয়েটা হয়ে গেলে ক্ষতি কি?’রুহিকে তো কোনোদিন পাবে না সে তাহলে ফেমিলির জন্য না হয় বিয়েটা করে নিক অভ্র তানজুকে’!!আবার ভাবলো তানজুকে কি বলবে সে,,কিন্তু বিয়েটা ভাঙতেও তো পারছে না,সময় কিছু যেন হাতের বাহিরে চলে গেছে,,,
“তানজুকে দেখে অভ্রের মা তানজুর আঙুলে একটা আন্টি পরিয়ে দিল’!!
“রুহির সহ্য হচ্ছে না বিষয়টা,তানজুকে সে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না অভ্রের সাথে,,কিন্তু সে বুঝতে পারছে না এমনটা কেন হচ্ছে সে তো অভ্রকে ভুলে রিয়াদকে ভালোবেসেছিল,তাহলে কি সেটা ভালোবাসা ছিল না!’প্রশ্নগুলো মাথায় এসে আঁটকে যাচ্ছে রুহির…
“বেশি খারাপ লাগছে তার অভ্রকে সে ভুল বুঝে ওর সাথে অন্যায় করেছে একবার কথা বলে সরি বলতে হবে অভ্রকে’!!এমনটা ভাবলো রুহি….
!!
—“তারপর ছোটরা তোমরা সবাই আপাতত তানজুর রুমে গিয়ে বসো আমাদের আলাদা কিছু কথা আছে ওনাদের সাথে আর তানজু,অভ্রকেও নিয়ে যাও তোমাদের সাথে,,,
—“ঠিক আছে বাবা…
“তানজু তো এটাই চেয়েছিলো আলাদা ভাবে অভ্রের সাথে কথা বলতে,,
“তারপর অভ্রকে নিয়েই চললো তানজু’!!তানজুর পিছন পিছন রুহি শিফা আহানও চললো’!!দিহান থেকে গেল ওখানে,,
“রুমে ঢুকে গোল হয়ে বসে পড়লো বিছানায় আহান,শিফা আর রুহি,,এরই ভিতর তানজু সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলঃ
—“তোমরা সবাই একটু দিহান ভাইয়ার রুমে গিয়ে বসো আমার একটু অভ্রের সাথে পারসোনাল কিছু কথা আছে,,
“তানজুর কথা শুনে শিফা অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি…
—“কানা নাকি শুনতে পাসনি আমি কি বলেছি,,
—“তুই আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছিস..(রুহি)
—“আরে তাড়িয়ে দিচ্ছি কোথায় তোরা পাঁচ মিনিটের জন্য দিহান ভাইয়ার রুমে বস প্লিজ…
“আহান এই মুহুর্তে কোনো কথাই বললো না,,শেষমেশ রুহি আর শিফা একটু গাল ফুলিয়েই বেরিয়ে গেল রুম থেকে!’সবাই যেতেই তানজু দরজা আঁটকে অভ্রের কলার চেপে ধরে বলে উঠলঃ
—“এটা কি করলে তুমি তোমায় আমি কি বলেছিলাম আর তুমি কি করলে…
“হুট করে তানজুর এমন এর্ট্যাক নেওয়ার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না অভ্র চোখ বড় বড় তাকিয়ে রইলো সে তানজু দিকে,মুখের কথা যেন বন্ধ হয়ে গেছে,তানজুর এমন ভয়ংকর রূপ দেখে…
_________
“নীরবে চুপচাপ বসে আছে রিয়াদ দিহানের রুমে,,এমন সময় তানজুকে গালি দিতে দিতে রুমে ঢুকলো শিফা’!!শিফার কান্ডে রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
—“কি হলো তোর এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন?’
—“চেঁচাবো না,কি করবো ভাইয়া এখনও বিয়ে হলো না এর আগেই তানজু জামাই পাগলা হয়ে গেছে আমাদের সবাইকে তাড়িয়ে দিল রুম থেকে….
—“তাড়িয়ে দিল মানে…
—“তানজুর নাকি কি কথা বলার আছে অভ্র দুলাভাইকে তাই আমাদের সবাইকে বেরিয়ে যেতে বললো…
“উওরে রিয়াদ আর কিছু বললো না,তার খারাপ লাগছে নাকি ভালো লাগছে নাকি বিরক্ত হলো বুঝতে পারলো না রিয়াদ,আহান এসে কাঁধে হাত রাখলো রিয়াদের’!!সে জানে রিয়াদের মনে কি চলছে এখন,এই আটমাস কিভাবে কাটালো রিয়াদ তা আর কেউ জানুক বা না আহান তো ভালো মতো জানে…?’তাই তো সে রেগে আছে তানজুর উপর,…
“রুহিও চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলছে না, সব কেমন যেন এলেমেলো হয়ে যাচ্ছে তার!’
!!
—“অভ্র চুপ থাকবা না কথা বলো প্লিজ এটা কি করলে,আর কেন করলে…
“তানজুর কথা শুনে এতক্ষন পর ধ্যান ভাঙলো অভ্রের এতক্ষণ যেন শকটে আঁটকে গিয়েছিল সে’!!কিছুটা আমতাআমতা করে বললো সেঃ
—“এটা আবার কেমন রূপ তোমার তানজু…
“এতক্ষণ পর তানজুর ধ্যান আসলো রাগের মাথায় সে কি করে বসেছে তাড়াতাড়ি অভ্রের কলার ছেড়ে দিয়ে বললো সেঃ
—“সরি অভ্র,আসলে রাগে মাথা ঠিক ছিল না…
—“তাই বলে এইভাবে…
“অভ্রের কথা শুনে তানজু রেগে বলে উঠলঃ
—“তোমায় তো আমার খুন করতে ইচ্ছে করছে কি বলেছিলাম তোমায় আর তুমি কি করলে…
—“আমি কিছু করি নি বিশ্বাস কর,আমি কিছু করার আগেই আমার বাবা সব করে ফেলেছে…
“অভ্রের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ
—“মানে…
—“বলছি আগে শান্ত হয়ে বসো তুমি…
“এতটুকু বলে অভ্র বসিয়ে দিল তানজুকে বিছানায় তারপর নিজেও বসলো’!!তারপর শান্ত গলায় বললো সেঃ
—“বিশ্বাস করো তানজু আমি কিছুই করি নি…
“কাল যখন তোমায় সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরেছিলাম তখন,
|| “ফ্লাসবেক…. ||
“অভ্র শকট নিয়েই বাড়ি ঢুকেছিল কালকে,,
“সবটাই যেন ঘোলাটে লাগছিল তার কাছে,রুহির সাথে এতদিন পর দেখা হলো তাও হারিয়ে ফেলেছে অভ্র তাকে,,এসব ভাবতে ভাবতে হেঁটে চলেছিল অভ্র’!!এমন সময় তার বাবা এসে বললো অভ্রকেঃ
—“তারপর অভ্র তানজুকে পছন্দ হয়েছে তোমার?’
“অভ্র নিজের ভাবনায় এতটাই মগ্ন ছিল যে তার বাবা কি বললো তা ঠিক ভাবে না শুনেই হা বলে দিল সে,,তার সেই “হা” তাদের এত দূরে নিয়ে এসেছে…
“যতক্ষণের অভ্রের হুস ফিরলো ততক্ষণে সব হয়ে গেছে অভ্রের বাবা তানজুর বাবাকে ফোন করে বিয়ের পাকা কথা বলে দিয়েছে….
|| “ফ্লাসবেক ওভার…. ||
“অভ্রের কথা শুনে রাগ যেন আমার মাথার উপর উঠে গেছে,বিছানার উপর থাকা বালিশ নিয়ে উড়াধুরা মারতে শুরু করলাম আমি অভ্রকে’!!আর বললামঃ
—“কি এমন ভাবনায় মগ্ন ছিলে যে কে কি বললো তা ভালো মতো না শুনে হা বলে দিলে…
—“সরি তানজু ভুল হয়ে গেছে…
—“এখন সরি বলে কি হবে যা করার তো করেই দিসো…
—“চিন্তা করো না তানজু বিয়ে হওয়ার আগেই বিয়ে ভেঙে দিবো আমি…
—“বিয়ের পাকা কথা চলছে অভ্র…
“অভ্র কিছু বলার আগেই দরজায় নক করলো রুহি শিফা ওঁরা,,সাথে সাথে নিজেদের ঠিক করে নিলাম আমরা’!!তারপর স্বাভাবিক ভাবে দরজা খুলে দিলাম,শিফা আমার দিকে না তাকিয়েই বলে উঠলঃ
—“খালু ডাকছে…
“ব্যস এতটুকু বলেই চলে গেল ওঁরা’!!আমরাও আর বেশি কিছু না বলে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলাম রুম থেকে…..
_________________________________________
_____________________
!!
—“আজ থেকে আগামী ১৫ দিন পর তোমাদের সবার বিয়ে একসাথে দিবো আমরা,….
“একদম নীরবকন্ঠে কথাটা বলে উঠল বাবা’!!আব্বুর কথা শুনে বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো আমার,অটোমেটিক চোখ চলে যায় আমার রিয়াদ ভাইয়ার দিকে, মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে সে’!!হয়তো কিছু বলার নেই তার,,
“কিন্তু এটা তো হওয়ারই ছিল, দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম আমি,,আপাতত কিছু বলার নেই,অভ্রের ভুলের জন্য কি হলো এটা….
“কি করে আমি অভ্র সাথে রিয়াদ – রুহির বিয়েটা মেনে নিবো’!!
.
.
“এদিকে রুহিরও কেমন যেন লাগলো সে তো রিয়াদকে ভালোবাসে কিন্তু তারপরও রিয়াদের সাথে বিয়ের কথা শুনে খুশি হতে পারছে না সে,,অস্থিরতা কাজ করছে তার ভিতর!’
“রিয়াদ কিছু বললো না চুপচাপ সবটা শুনে চলে যায় সে’!!
“তানজুও চলে যায় তার রুমে’!!সবকিছু কেমন যেন তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে?’সাথে সবটা হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে?’
“অভ্রও আর কিছু বলতে পারলো না’!!আর আহান বিয়ের বিষয়টায় খুশি হলেও রিয়াদের বিষয়টায় মটেও খুশি হতে পারছে না,,
“কি হবে না হবে কিছুই বুঝতে না আহান’!বার বার ভাবছে আহান…..
“তার কি উচিত রিয়াদকে সবটা বলে দেওয়া”….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!ভেবেছিলাম এই পর্বেই মূল ধামাকাটা দিবো কিন্তু হয়ে উঠলো না,অপেক্ষায় করো আর একটু.. কালকেই বড় ধামাকা দিবো সবাইকে,]
#TanjiL_Mim♥️